বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1165



স্বামির অধিকার-২ 3rd part

0

স্বামির অধিকার-২ 3rd part
লেখা/রুবেল(ছদ্দবেশী হিংসুটে ছেলে)



রান্না শেষ, অামার অার রিমুর খাবার রেডি করে রিমু কে ডাকলাম,

রিমু চলো এসো সব রেডি(অামি)
হুম অাসলাম, খাবার খাচ্ছি বলে ভাববেন না যে অাপনাক স্বামি মানছি(রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে মানতে হবে না খাবারটি তো খাও(অামি)
হুম নেন অাপনি ও শুরু করেন(রিমু)
!
দু জন এক সাথে খাবার খেলাম, কি যে ভালো লাগছে তা বলে বুজাতে পারবো না
!
রাত ১০ টা….

রিমু শুয়ে অাছে, অামি বসে টিভি দেখতেছি,
রিমু জেগে অাছে,
!
বলছি কি তুমি কি বাবার বাড়ি যাবে(অামি)
হ্যা যাবো তবে অার অাসবো না (রিমু)
কেন অাসবে না (অামি)
কারন অাপনি অামার কেউ না তাই অার অাসবো না, (রিমু)
তুমি অামার বউ সবাই জানে (অামি,)
১টা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে তো বউ হইছি তাই না অাবার ১ টা স্বাক্ষর দিয়ে ডিফোস দিয়ে দিবো (রিমু)
!
রিমু মুখে কথাটা শুনে বুকের ভিতর মোচর দিয়ে উঠলো,
!
অাচ্ছা রিমু অামি খুব খারাপ তাই না (অামি)
হ্যা অনেক খারাপ (রিমু)

অাচ্ছা ঠিক অাছে অামি অার কখনো কোন কিছু নিয়ে তোমার কাছে জোর করবো না, (অামি)
!

অাচ্ছা অনেক রাত হইছে এবার ঘুমাই.
মাঝ খানে ১ টা কোলবালিশ দিয়ে রিমুর পাশে শুয়ে পড়লাম।
বাহ এত ভদ্র হলেন কবে মাঝখানে বালিস দিচ্ছেন? (রিমু)

অামি মনে হয় সত্যি তোমার যোগ্য না রিমু
তোমাকে এ ভাবে বিয়ে করাটা অামার ঠিক হয় নী
অাচ্ছা ঘুমাও এবার(অামি)

!
রিমু কিছু না বলে চুপ চাপ ঘুমিয়ে গেলো।

সকাল ৭টা……

এই যে শুনছেন (রিমু)
হুম (অামি)
এই নিন চা (রিমু)
না থাক অামি বানিয়ে খাবনী (অামি)
হা হা হা, অাজকে লবন দেই নাই চিনি দিছি ( রিমু)
ঢং বাদ দিয়ে ধরেন তো (রিমু)
!
বিছানায় বসে রিমুর হাত থেকে কাপটা নিলাম,।সত্যি চা টা অাজ অনেক ভালো হইছে,

অাচ্ছা তুমি চা বানালে কেন(রিমু)
অাপনার বাড়িতে খাচ্ছি থাকছি তো , তাই কাজ করে খাচ্ছি (রিমু)
তুমি কি এটা কে নিজের বাড়ি মনে করতে পারো না (অামি)
না অামি এ বাড়িতে অাশ্রীতা ওকে (রিমু)

নাস্তা রেডি ইচ্ছা হলে খান না হলে নাই (রিমু)
হুম খাবো যদি তুমি ও খাও(অামি)
অামি খাইছি (রিমু)
সত্যি(অামি)
হুম(রিমু)
দেখি হাতটা (অামি)
বলে রিমুর হাতটা নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রান নিলাম
হ্যা রিমু সত্যি খাইছে

!
হুম দাও অামি ও খাবো (অামি)

স্বামি কে না খাইয়ে কোন স্ত্রী মুখে খাবার দেয় না,
রিমু তো অামাকে স্বামি মানে না তাই হয় তো খাইছে,
এতে অামার মন খারাপ না, কারন রিমু যে খাইছে এতে অামি অনেক খুশি,
নাস্তা খেয়ে অাবার কাজের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম,

একি অাবার অাসলেন যে ( রিমু)
না কিছু না এমনি(অামি)
ওহ (রিমু)
বলছি কি তোমার কিছু লাগবে(অামি)
না (রিমু)
অাচ্ছা বাই (অামি)

!
মানুষটা এক পরিবতন হলো কেমনে বুজি না,
কি যানি হয়তো অামার মন পাবার জন্য এত ভন্ডামি(রিমু)

!
দুপুর ২টা….
বাসায় অাসলাম
!
রিমু (অামি)
চিৎ কার করছেন কেন(রিমু)
কই (অামি)
অাজ এত তাড়া তাড়ি যে (রিমু)
এমনিতে, বলছি কি রান্না করছো (অামি)

হ্যা করছি (রিমু)
তুমি খাইছো (অামি)
তো কি? অাপনার জন্য ওয়েট করবো? অামি খাইছি (রিমু)

!
সকালের মত রিমুর হাতটা টেনে নিয়ে অাবারো ঘ্রান নিলাম,
!

রাগ অভিমান অার কিছুটা খুনটুসির মধ্যে দিয়ে কেটে গেলো অামাদের কিছু দিন,

স্বামির অধিকার নিয়ে কখনো কোন বেপারে জোর করি নি.
কিন্তু এ ভাবে অার কত দিন, না এভাবে অার না
রিমু কে মুক্তি দিবো,
!
রাত ১১ টা পচা মানুষটা এখনো অাসছে না কেন বুজি না,
একা ভালো লাগছে না,
দুর ছাই অাসলে অাসবে না অাসলে নাই,
অামি ঘুমাই (রিমু)
রাত ১২ টা রিমুর ঘুম অাসছে না মানুষটার জন্য কেন যেন মনটা অানচান করছে,
এ পাশ ও পাশ করে রিমু অাজ না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

সকাল ৭ টা রিমু ঘুম থেকে উঠে দেখে ও পাশে নেই,
দরজা খুলে দেখে উনি বারান্দায়

দরজা তো খোলা ছিলো(রিমু)

আমি/হ্যা খুলা ছিলো আমার ভালো লাগে নাই তাই
রুমে যাই নাই।
রিমু/আপনি কাল রাতে ও নেশা করে আসছিলেন তাই
না?
আমি/হ্যা আগে নেশা করতাম সখে এখন করি
কষ্টে।
রিমু/হা হা হা আপনার আবার কিসের কষ্ট?
আমি/কিছু কষ্ট আছে যে গুলো দেখা যায় না।কথা
না বলে যাও রান্না করো।আমি গোসল করে
আসতেছি।
রিমু/রান্না না করলে কি গায়ে হাত তুলবেন?।
আমি/আপনি খাবেন না?
রিমু/ না খাবো না।
আমি/তুমি ভালো করে যানো এক কথা দু বার আমি
বলি না ।গোসল করে এসে যেন খাবার পাই
রিমু/আপনি কোন অধিকারে আমার সাথে এভাবে
জোর খাটান বলেন তো?
আমি/স্বামীর অধিকার
রিমু/কত বার বলবো আমি আপনাক স্বামি মানি না আর
মানবো ও না কোন দিন।
রিমু কথা গুলো চিৎকার করে বলতেছিলো।
রাগ আর কনট্রল করতে পারলাম না।রিমুর চুল গুলো
ধরে আবারো তার গায়ে হাত তুললাম।
রিমু/হ্যা আপনি আমাক মারেন,মারতে মারতে মেরে
ফেলেন তাও আমি আপনাক স্বামী মানি না আর
মানবো না।
মারতে চাই নাই মেয়েটাকে তার পর ও মারতে
হলো
ধ্যাত বাসায় আর আসবো না।
মেয়েটা কে বিয়া করা আমার ঠিক হয়নি,
আমি যে স্বামী এ ও শুনতে পারে না।
ঘড় বাহির কোথাও শান্তি পাচ্ছি না আমি।
রিমু রে বা কি দোষ সব দোষ আমার।
আমার মত লমপট,বদমায়েশ,নেশা খোর কে রিমু
কেন পৃথিবীর কোন মেয়ে
স্বামী মানবে না।না এ ভাবে আর না ও যদি ওর বাবার
বাড়ি যেতে চায় তো ওকে বাধ্যা দিবো না।।

রাত ৯ টা,সারাদিন কিছু খাওয়া ও হলো,
মেয়েটাও না খেয়ে আছে ও যে জেদি ও রান্না
করে নাই,
হোটেল থেকে দু প্যাকেট খাবার নিয়ে বাসায়
গেলাম।
দরজা নক করতে রিমু এসে দরজা খুলে দিলো।।
খাবারের প্যাকেট দুটা বিছানায় রেখে আমি বার্থরুমে
গেলাম।।
ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম।।

আমি/কি হলো শুধু ১ টা প্যাকেট খুলছো ?তুমি খাবা
না?
রিমু/না আমি খাবো না,আমার খুদা নেই,
আমি/দেখো আমি সারা দিন কিছু খাই নাই।তুমি না
খেলে কিন্তু আমি খাবো না।।
রিমু/শোনেন আপনার এ সব দরদ ভালোবাসা আমার
একদম ভালো লাগে না।আপনি খাইছেন কি খান নাই তা
কি আমি দেখতে গেছি।
আমি/শোনো আমি খারাপ,লমপট,নেশা খোর ঠিক
আছে,কিন্তু আমারো একটা মন আছে
তুমি আমাক স্বামী মানো না ঠিক আছে,আমি তো
কলমা পরে তোমাক বিয়ে করে আনছি।হ্যা আমি
বাজারে খাইতে পারতাম।
আমি যানি তুমি রান্না করো নাই।তুমি না খেয়ে থাকবা
আর আমি বাজারে খাবো এটা কি করে ভাবলে?
রিমু/ এই শুনু আপনার এসব আধিখেতা,দরদ,ভালোবাসার
বানি অফ করুন তো।।
রাগ আর কনট্রল করতে পারছি না।ইচ্ছা করছে গালে
গিয়ে দুটা বসে দেই।কিন্তু না,যে বুজতে চায় না
তাকো কোন ভাবে বুজানো যাবো ।
যতো ক্ষন না সে নিজে থেকে বুঝার চেষ্টা
করে।।

আমি/বিয়ের তো অনেক দিন এ হলো কখনো
দেখছো বাহির থেকে ফিরে রাতে বা দিনে বাসায়
এসে আমি না খেয়ে থাকছি?
হ্যা যে দিন হয়তো নেশা করে আসছি সে রাতে
বাসায় খাই নাই।তার মানে এ না যে হোটেল থেকে
খেয়ে আসছি।
রিমু/আপনি খাবেন কি না সেটা আপনার বেপার আমি
ঘুমাতে গেলাম।।
আমি/আচ্ছা ঠিক আছে যাও ।আর হ্যা তোমার খুব
প্রবলেম হলে তোমার বাবার বাড়ি যেতে
পারো।।
একি মানুষটা সত্যি না খেয়ে দেখি আমার পাশে এসে
ঘুমালো।আর আজকের কথা গুলো কেমন যানি
অন্যরকম লাগলো।।
হ্যা তাই তো উনি বাহির থেকে এসে আমাকে
আগে বলে খাইছো তুমি।মিথ্যা বলবা না এমন কি হাত
নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রান দেখতো খাইছি কি না।
তা হলে সত্যি কি আমি ওনাকে বুঝতেছি না,আচ্ছা উনি
তো আমার কাছে একটু ভালো বাসা চায়।আমার
ভালোবাসয় কি উনি সত্যি ভালো হয়ে যাবে?।
না না আমি পারবো না ও রকম পশু চরিত্রের মানুষ কে
স্বামী মানতে।।
নেশা করে আসছে তাই হয়তো এ সব নীতি কথা
বলছে।নেশা করলে নাকি অনেক সমায় মানুষ নীতি
কথা বলে।
রিমু এ মনে মনে বলতেছিলো।রিমু ও ঘুমিয়ে
গেলো।
……চলবে

স্বামির অধিকার-২  2nd part

0

স্বামির অধিকার-২  2nd part
লেখা/রুবেল(ছদ্দবেশী হিংসুটে ছেলে)



এটা কি চা হলো(অামি)
হুম খুব ভালো হইছে বউ এর হাতে বানানো চা ভালো তো হবে (অামি)
তো খাচ্ছেন না কেন?(রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে খাচ্ছি(অামি)
!
অামি যানি রিমু ইচ্ছা করে চিনির বদলে চায়ে লবন দিছে,
এটা কে অামি অবহেলা না ওর দুষ্টামি হিসাবে নিলাম।
রিমু দাড়িয়ে অাছে ওর সামনে অামি লবন যুক্ত গরম পানিটা খেয়ে নিলাম।
রিমুর দিকে তাকিয়ে দেখি হা করে অামার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অাছে।
!
এ কি ও ভাবে তাকিয়ে অাছো কেন?(অামি)
অাপনি ওটা খেয়ে নিলেন?(রিমু)
কেন প্রবলেম কি? তুমি বানাইছো অার অামি খাবো না এটা কি হয়?(অামি)
কিন্তু এটা তো… (রিমু)
কিন্তু এটা তো লবনের পানি ছিলো তাই তো (অামি)
হুম…(রিমু)
শুধু লবন কেন এতে বিষ মিশে দিলেও অামি খেয়ে নিতাম, কারন তোমাক অনেক গুলো ভালোবাসি (অামি)
রাখেন অাপনার ভালোবাসা, অাপনার ভালোবাসার অামার দরকার নেই(রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে, এই শোন অাবার সত্যি সত্যি বিষ দিয়ো না কারন তুমি বিধবা হলে অামার খুব কষ্ট হবে (অামি)
অাপনাক বিষ দিয়ে মারবো অামি (রিমু)
পারবে না(অামি)
কেন? (রিমু)
কারন অামি তোমার স্বামি(অামি)
হা হা হা স্বামি? জি না অাপনি অামার পথের কাটা (রিমু)
ঝড়গা করো না তো জানু অামি যানি তুমি অামাক অনেক ভালো বাসো, গোসল এ যাচ্ছি নাস্তা রেডি করো (অামি)
বানিয়ে খান(রিমু)
জিদ করো না অামি গোসল করে এসে নাস্তা খাবো (অামি)
!
১৫ মিনিট পর….

একি নাস্তা রেডি করো নাই? (অামি)
না(রিমু)
!
রিমুর না শব্দটা শুনে মেজাজ টা গরম হয়ে গেলো,
গালে একটা থাপ্পর দিয়ে…..
!
সব ভালো লাগে মেয়েদের জিদ অামার ভালো লাগে না তুমি অামার বউ অামি তোমার স্বামি এই কথাটা মাথায় রাখবা(অামি)
অামি পারবো না অাপনার সেবা করতে(রিমু কাঁদতে কাঁদতে)
একি ঠোঁট দিয়ে তোমার রক্ত বের হচ্ছে
দেখি এদিকে অাসো(অামি)
!
থাপ্পরটা এবার খুব জোরে লেগেছে, রিমুর ঠোঁট এর এক কোনা দিয়ে রক্ত পড়ছে
!
অামার শরীরের সম্তত রক্ত বের হতে দেন ছুবেন না অাামাকে (রিমু)
এত জিদ ভালো না বুজছো? যা হবার হয়ে গেছে এখন তো অামি তোমার স্বামি, দু দিন পর দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে শুধু তুমি অামাকে একটু অাপন ভাবার শেষ্টা করো(রিমু)
(রিমুর ঠোঁট এর রক্ত গলো তুলো দিয়ে মুছে দিলাম, এ ভাবে মারাটা অামার ঠিক হয়নি)
!
অাচ্ছা তোমাক কিছু করতে হবে না এখানে বসো অামি নাস্তা রেডি করছি(অামি)
!
রিমু শব্দহীন ভাবে কাঁদছে, শুধু চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে)
১৫ মিনিট পর….

!
এই যে নাস্তা অাসো অামরা দু জনে খাবো (অামি)
এ অাপনি সরেন এখান থেকে অামি খাবো না (রিমু)
সরি জানু প্লিজ(অামি)
কেন জোর করছেন অাপনি (রিমু)
অধিকার(অামি)
অধিকার নিয়ে থাকেন অামি খাবো না (রিমু)
ঠিক অাছে তাহলে অামি ও খাবো না চললাম কাজে(অামি)
৫মিনিট পর
!
কি হলো অাপনি না চলে গেলেন অাবার অাসলেন কেন(রিমু)
না মানে… (অামি)
কি তালা চাবি খুজতেছেন তো এই নেন
দরজাতে তালা লাগিয়ে চান যেন অামি পালাতে না পাড়ি(অামি)
এ শুনো এ সবের জন্য অামি অাসি নাই(অামি)
তাহলে?( রিমু)
বলছিলাম কি তোমার কিছু লাগলে অামাক বলো, শহরে তো যাচ্ছি নিয়ে অানবো(অামি)
বিষ লাগবে অানবেন?( রিমু)
!
রিমুর কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ো গেলো কেন যে ফিরে এসে অাবার প্রশ্ন করতে গেলাম।
অামি তো নিজে তোমার কাছে বিষ অামাকে খেয়ে নাও(অামি)
নেন তালা চাবি দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন,(রিমু)
লাগবে না কারন অামি যানি তুমি অামাকে ছেড়ে কোথায় যাবে না (অামি)
এত বিশ্বাস না, অামার ভালোবাসায় তোমাকে বেধে রাখবে (অামি)
হা হা হা ভালোবাসা (রিমু)
!
রিমুর কোমড় এ হাত দিয়ে একটু চেপে ধরে কপালে একটা কিস দিলাম
!
অাচ্ছা শোন ব্যবসার কাজ তাই কখন বাসায় ফিরবো বলতে পারবো না রান্না করে খেয়ে নিও বাই (অামি)
!
কি অাজব মানুষ বাবা লবন দিয়ে চা বানিয়ে দিলাম তাও খেয়ে নিলো। থাপ্পার দিয়ে অাবার নিজে অনুসুচনা বোধ করছে। অামি খাইলাম না জন্য সে ও খাইলো না, সত্যি অাজব মানুষ,
না না অামি ভুলবো না তার এস ভালোবাসায়।
!

দুপুর ২টা….
ভালো লাগছে না বউ এর জন্য মনটা কেমন অানচান অানচান করছে
উফপ কাজেরো অনেক চাপ
কি যে করি,
কাজ শেষ করতে প্রায় ৬ টা বাজলো
তাই অার দেরি না করে সোজা বাসায় অাসলাম
যদি ও প্রতিদিন বন্ধু দের সাথে অাড্ডা দিতাম, নেশা করতাম অাজ অার তা করলাম না, কারন রিমু যদি বুজতে পারে অামি নেশা করছি ঘৃনাটা অারো বেড়ে যাবে।

!
রিমু জান অামার কই তুমি? রিমুর কোন সারা পাচ্ছি না, পালিয়ে গেল না তো? তালা লাগানো বোধয় ভালো ছিলো,
না দেখি পাশের রুমে।
পাশের রুমে গিয়ে দেখি রিমু পা গুটিয়ে অসহায় মেয়ের মত ঘুমাইছে।
চুপি চুপি কাছে গিয়ে রিমুর কপালে চুমে দিতে কেমন একটা গরম অনুভব করলাম,
কপালে হাত দিয়ে দেখি রিমুর গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে,
হয়তো অাঘাত অার ঠান্ডা লাগার কারনে এমনটা হইছে,
রিমু কে ডাক না দিয়ে দৌড়ে ডাক্ততার নিয়ে অাসলাম।
!
১৫ মিনিট পর…
রিমু এই রিমু উঠো ডাক্তার দেখবে তোমাক(অামি)
একি অাপনি কখন অাসলেন(রিমু)

রিমু কে ধরে বসালাম,
রিমু চুপ করে বসে অাছে ডা, চেকাপ করে কিছু ও ষুধ লিখে দিলো।
!
রিমু তুমি শুয়ে থাকো অামি যাবো অার অাসবো ওকে (অামি)
হুম(রিমু)
!
বদমায়েশ টা কি ভাবে জানলো অামার জ্বর? ডা, নিয়ে অাসছে,
তাহলে কি উনি অাগেও অাসছিলেন? অাজব মানুষ তো পাগল গুলোর মত অাবার ছুটে গেলো ওষুধ অানতে,, মানুষ টা কি সত্যি খারাপ? না কি অামাকে কাছে পাওয়ার অভিনয়(রিমু)
!
ও ষুধ তো নিলাম , রিমু তো রান্নাও করে নাই, কিছু খাবার নিয়ে যাই,
হোটেল থেকে ২ প্যাকেট খাবার, তার পর কিছু ফলমুল নিয়ে বাসায় অাসলাম।
!
রিমু এবার উঠো তো, নাও অাগে খাবার টা খেয়ে নাও তার পর ওষুধ(অামি)
অামি খাবো না (রিমু)
প্লিজ জিদ করো না, অামি ও কিন্তু কিছু খাইণি সকাল থেকে (অামি)
এই দেখো হোটেল থেকে ভাত নিয়ে অাসছি নাও খেয়ে নাও প্লিজ (অামি)
না বলছি না (রিমু)
এমন করো না প্লিজ (অামি)
অামি হোটেল এর খাবার খাই না (রিমু)
অাচ্ছা ঠিক অাছে কিছু ফল তো খাবে? কেন বুজনা খালি পেট এ ওষুধ খাওয়া যাবে না (অামি)
হুম(রিমু)
হুম না প্লিজ খাও, তারপর অামি নিজে রান্না করবো ওকে (অামি)
!
রিমু বাধ্য মেয়ের মত কিছু ফল অার ওষুধ খেলো,
!
এবার শুয়ে থাকো তুমি অামি রান্না ঘড়ে গেলাম, রান্না করার অভ্যাস অাছে অামার বুজছো, মা বাবা মারা যাওয়ার পর বাবার ব্যবসা অার রান্না বান্না অামাকে করতে হইছে, অন্যনের হাতের রান্না অামি লাইক করি না, তবে বউ এর হাতের রান্না খাইতে খুব ইচ্ছা করে, কি কপাল বউ কে রান্না করে খাওয়াতে হচ্ছে, তরকারি কাটতে কাটতে কথা গুলো বললাম।
!

!
বাবা এনি তো দেখি মিঃ পারফেক্ট, সবটা জানে,
হি হি হি অাবার মেয়েদের মত দরকারিও কাটছে,
মানুষটা সত্যি অন্যরকম, বুজে উঠতে পারি না উনি খারাপ না ভালো,
রিমু একটু ফ্লাসব্যাকে ব্যক এ গেলো,
লবনের পানি খাওয়া, নাস্তা রেডি করা, ডা, ইত্যাদি,
রিমু কেমন যে নিজে কে খুব অপরাধি মনে হচ্ছে,
!
কি হলো হাসছো কেন(অামি)
কই না তো (রিমু)
অামি যানি, কারন মেয়োরা হাসলে হেলিকাপ্টারের মত জোরে শব্দ করে হাসে (অামি)
এই চুপ অামি জোরে হাসিনী অাসতে হাসিছি(রিমু)
হা হা হা তার মানে শিকার করলে তুমি হাসিছো (অামি)

চলবে…???

স্বামির অধিকার-২/1st part

0

স্বামির অধিকার-২
লেখা/রুবেল(ছদ্দবেশী)
—– 1st part


প্লিজ ছাড়ুন অামাকে,অামার এসব ভালো লাগে না (রিমু)
এমন ভাবে বলছো মনে হয় এর অাগে অনেক বার….(অামি)
এই অাপনি কি বলতে চান(রিমু)
না মানে তুমি তো বললে তোমার এসব ভালো লাগে না (অামি)
হ্যা অামার এসব ভালো লাগে না প্লিজ অামায় রেহাই দেন(রিমু)
তাহলে অামার ধারনা ঠিক(অামি)
মানে(রিমু)
হয় তো এর অাগে কারো সাথে তুমি…….(অামি)
setup, একদম বাজে কথা বলবেন না(অামি)
ও মা অামি কি করলাম(অামি)
নিজের মত কি সবাই কে মনে করেন?(রিমু)
কথা ভালো করে বলবি কইলাম(অামি)
এ অাপনার মত লমপট, বদমাইশ, নেশা খোর মানুষের সাথে কি ভাবে কথা বলবো (রিমু)
!

রিমু এমন ব্যবহার অামার ভালো লাগছে, প্রচুর রাগ হচ্ছে, রিমুর চুল গুলো ধরে দু গালে দুটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম,ও ভুলে গেছে অামি ওর স্বামি।
!
মারুন যতো ইচ্ছা মারুন কারন সমাজের চোখে অাপনি অামার স্বামী,কিন্তু অামি অাপনাক কোন দিন স্বামি মানবো না, (রিমু)
এই তোরে কে বলছে স্বামি মানতে? এই বলে রিমু কে বিছানায় শোয়ালাম,
রিমু অনেক জোর করেও নিজেকে বাঁচাতে পারলো না,
রিমু কে জোর করে ভোগ করলাম,,
বেচারি অধউলঙ্গ, ক্লান্ত শরীর অার কিছু অসহ্য যন্ত্র না নিয়ে খাটের এক কোনে শুয়ে নিরবে কেঁদে যাচ্ছে।
!
!
এই তুমি কাঁদছো কেন? তোমার স্বামি তো তোমাকে অাদর করছে(অামি)
কে স্বামি? অার কিসের অাদর? অারে অাপনি তো অাকে ধষন করেছেন(রিমু)
এ তুমি যাই বলো অামি কিন্তু স্বামির অধিকার টা অাদায় করলাম(অামি)
হা হা হা অধিকার অাদায় করলেন?(রিমু)
হুম(অামি)
এটা অধিকার না এটা নিযাতন(রিমু)
তুমি যাই বলো প্রতিটা স্বামি তার স্ত্রীকে যে ভাবে অাদর কে অামিও কিন্তু সে ভাবে করছি (অামি)
স্বামি? হা হা হা স্বামি কাকে বলে অাপনি যানেন? অামি অাপনাক স্বামি মানি না অার অাপনি অামাকে অাদর না ধষন করছেন (রিমু)

তো যাও না, থানায় গিয়ে মামলা করো অামার নামে(অামি)
অাপনি কেন এমন করলেন অামার সাথে অামি অাপনার কি ক্ষতি করছি? কেন এ ভাবে অামাকে বিয়ে করলেন?(রিমু)
কপালে তুমি অামার ছিলে তাই তোমাকে পেলাম, বিধির বিধান বুজছো(অামি)
অারে বিধান তো অাপনি নিজে তৈয়ার করছেন, অাল্লাহ বিধানে অামি অাপনার ছিলাম না (রিমু)
এ তুই চুপ করবি(অামি)
কেন শুনতে খারাপ লাগচ্ছে?(রিমু)

!
রিমু কথা গুলো অামার কাছে বিষ মনো হচ্ছে, এত কথা বলে মেয়েটা।
অাবারো দুটা থাপ্পর দিলাম।
দিয়ে বাহিরে গিয়ে বারান্দায় বসলাম।

!
অাজ কে অামাদের বিয়ের ২য় রাত, স্বজন হারানোর বেদনা অার রিমুর মানুসিক কথা ভেবে বাসর রাতে রিমু কে অামি ছুয়েও দেখিনী,
কিন্তু অাজ রাতে অার ছাড়িনী, জোর করে স্বামির অধিকার অাদায় করলাম,
!
রিমু অামাকে স্বামি হিসাবে মানতে পারছে না, কারন ও একটা ছেলে অনেক ভালো বাসে,
কিন্তু অামার কিছু করার ছিলো না রিমু কে প্রথম দেখায় ভালো লেগেছিলো, তাই অার দেরি না করে ওর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম,
মেয়ের সুখের কথা ভেবে ওর বাবা ও বিয়েতে রাজি হলো।
রিমু প্রথম থেকে বিয়েতে রাজি ছিলো না,
বাবা মার চাপে শুধু কবুল টা বলছে,
!
রাত ৩ টা……
হয়তো রিমু ঘুমাইছে।
রুমে গিয়ে দেখি রিমু একটা হাত মাথার নিচে দিয়ে পা দুটো জড়ো করে অসহায় মেয়েদের মত ঘুমাইছে,
মেয়েদের ঘুমান্ত অবস্থায় এতটা সুন্দর লাগে রিমু কে না দেখলে বুজতাম না।
প্রচুর ঠন্ডা তাই রিমুর গায়ে চাদরটা দিয়ে অামি রিমুর পাশে ঘুমালাম

সকাল ৭ টা…..
ঘুম থেকে জেগে দেখি রিমু পাশে নাই,
ও মা এ মেয়ে কই গেলো পালাইলো না তো,
জোরে জোরে ডাকতে শুরু করলাম…..
!
রিমু ও রিমু রিমু…..
না কোন রুম এ তো দেখছি না,
সত্যি কি রিমু পালালো?
!
না রিমু পালায় নি বারান্দায় গিয়ে বসে ছিলো,
অামার ডাকে রিমু রুমে অাসলো
!
কি হইছে এত চিৎকার করছেন কেন(রিমু)
না মানে চা খাবো একটু দাও না বানিয়ে(অামি)
পারবো না (রিমু)
এটা তুমি কি বলছো তোমার স্বামি তোমার কাছে চা খাইতে চাইছে অার তুমি….(রিমু)
কে স্বামি কিসের স্বামি অামি চা বানাতে পারবো না (রিমু)
উফপ এমন করো না প্লিজ যাও না বানিয়ে অানো(অামি)
পারবো না(রিমু)
জিদ করো না তো যাও(অামি)
কিসের জিদ বলছি না পারবো না(রিমু)
পারতে হবে (অামি)
জোর করছেন(রিমু)
জোর না এটা অধিকার বুজছো যাও(অামি)
এত দিন কে চা বানিয়ে দিতো (রিমু)
অামি নিজে বানাতাম(অামি)
তো অাজ ও গিয়ে বানিয়ে খান(রিমু)
কিন্তু অাজ তো অামার বউ অাছে (অামি)
কে বউ? অামি অাপনার বউ না(রিমু)
!
না অার সহ্য হচ্ছে না,, কাছে গিয়ে অাবারো রিমুর চুল গুলো ধরে গালে দুটা দিলাম বসে।

!
তুই চা বানাবি ঠিক অাছে যা (অামি)
!
রিমু কোন কথা না বলে চা বানাতে গেলো,

রিমুর ভেজা চুল থেকে এখনো পানি ঝড়ছে, তার মানে রিমু……..

ইসসস রিমু যদি ভেজা চুলের পানিতে অামার ঘুমটা ভাঙ্গাতো…..

যাই হোক রিমু চা নিয়ে অাসলো

!
এই নিন চা (রিমু)
হুম অামার শোনা বউ দাও (অামি)
!
চাটা মুখে দিয়ে অার ফিতরে নিতে পারলাম না, চিনির বদলে দিছে ১বস্তা লবন,

মুখ থেকে থু করে সব বের করে দিলাম
রিমুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি মুচকি মুচকি ঠোঁট কামড়িয়ে হাসছে।

চলবে…?????

বিঃদ্রঃ সম্পুন গল্পটা না পড়ে কেউ বাজে বন্তব্য করবেন না।
দ্রুত টাইপিং এর কারনে বানান কিছু ভুল হতে পারে,
কষ্ট করে পড়ে নিবেন।

স্বামীর অধিকার শেষ পর্ব

0

স্বামীর অধিকার
শেষ পর্ব
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

হয়তো করবে কারন তার ভালোবাসার মানুষটির হাতে আজ তাকে তুলে দিবো

এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে

রিমি ঘুমিয়ে গেছে ঘুম নেই শুধু আমার চোখে কি করে নিজের বউকে অন্যের হাতে তুলে দিবো

অপেক্ষা করছি ভোরের
অপেক্ষার রাত যেন কাটতে চায়না

দেখতে দেখতে সকাল হয়ে এলো

ছোট্র একটা কেক কয়েকটা মোমবাতি এনে পাশের টেবিলে রেখে রিমিকে ডাক দিলাম

আমি/ এই উঠুন সকাল হয়ে গেছে আর কত ঘুমাবেন

রিমি একটু রাগী গলায়

রিমি/ কি হলো এত ডাকাডাকি করেন কেন
একটু ঘুমাতেও পারবনা আপনার জন্য
বলতে রিমির চোখ পড়লো কেক আর মোমবাতির দিকে

এসব কি

আমি/ একটু ঘুমে ভুলে গেলে আজ না তোমার জন্মদিন

রিমি মাথায় হাত দিয়ে

রিমি/ সরি

আমি/ আর সরি বলতে হবেনা আসেন কেক কাঁটেন

রিমি কেক কাঁটলো তারপর তাকে শুভেচ্ছা জানালাম একটা ফুল দিয়ে

রিমি/ এত সকাল সকাল কি দরকার ছিলো এটা করার

আমি/ কারন…. আমি চেয়েছিলাম আমার আগে কেউ যেন তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা না জানায়

এখন যাও রেডি হয়ে নাও এবার তোমার উপহারের পালা

রিমি/ কই যাবেন আর সেই উপহারটা কি

আমি/ উঁহু এখন বলা যাবেনা

রিমি/ আপনি না সত্যি পাগল
যান বাহিরে যান আমি কাপড় বদলাবো

আমি/ আচ্ছা

বাহিরে এসে অপেক্ষা করছি রিমির জন্য

এতক্ষন অনেক কষ্ট হয়েছে চোখের পানি ধরে রাখতে

আর পারছিনা তাই বাহিরে এসে চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরালাম

মন চায় চিৎকার করে কাঁদতে আর বলতে রিমি তুই শুধু আমার আর কারও নয়

নাহিদকে একটা ফোন দিয়ে বললাম

আমি/ ভাই একটু তাড়াতাড়ি আসো

নাহিদ/ আমি আসতেছি রিমি আর আপনি কোথায়

আমি/ এতো আমরা বের হচ্ছি

নাহিদ/ ঠিক আছে আসুন

আমি ফোনটা রেখে রিমিকে বললাম

আমি/ কই হলো আপনার

রিমি/ না

আমি/ দ্যাতততত এত দেরি হয় কেন

রিমি/ কি করবো শাড়ী তো পড়তে পারিনা

আমি/ কি….. দুদিন পরে মা হবেন এখনও শাড়ী পড়তে পারেন না

আমি আসবো নাকি

রিমি/ হুমমমম আসেন যদি পড়াতে পারেন

আমি ভিতরে গিয়ে রিমিকে শাড়ী পড়িয়ে দিলাম

আমি/ এ কি চুল গুলো এমন কেন

মেয়ে মানুষের চুল যদি কপালে না থাকে তাহলে তাকে পেত্নীর মত লাগে

রিমি চুলের বাঁধনহার খুলে কয়েকটা চুল তার কপালে এনে রাখলাম

আমি/ দেখুনতো এবার কেমন লাগছে আপনাকে

রিমি/ বাহ্ববা…. আপনি তো দেখি অনেককিছু জানেন

আমি/ এতকথা না বলে এবার চলুন

দুজনে বের হয়ে গেলাম

একটা সি এন জি নিলাম

রিমি বার বার জানতে চাচ্ছে আমরা কোথায় যাচ্ছি

আমি/ চুপ করে বসে থাকুন

রিমি/ একি আপনার চোখে জল
কি হয়েছে আপনার

আমি/ মনে হয় চোখে কিছু পড়েছে ও কিছুনা

দেখতে দেখতে চলে আসলাম

রিমি/ একি পার্কে কেন

আমি/ এখানে আপনার সবচেয়ে বড় উপহারটা

রিমি/ আজ সারাদিন বুঝি এখানে কাটাবো আমরা

আমি কোন কথাই বলিনা

নাহিদকে দেখা যাচ্ছে একটু দূর থেকে

আমি/ ঐ দেখুন আপনার উপহারটা

রিমি একটু হেঁসে

রিমি/ এটাতো একটা মানুষ আমার উপহার হয় কিভাবে
সত্যি আপনার মাথা ঠিক নেই

আমি/ হুমমম তাই চলুন সামনে গেলে বুঝবেন

রিমি/ চলুন তাহলে
সামনে যেতে না যেতে রিমির চোখ কপালে উঠলে

রিমি/ একি নাহিদ তুমি

আমি/ হ্যাঁ তোমার নাহিদ তোমার ভালোবাসার নাহিদ তোমার স্বপ্নের পুরুষ
তোমার মনের মানুষ
যাকে ভেবে রোজ তুমি কাঁদো

রিমি/ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সত্যি ছোট এই জীবনে আমাকে এতবড় উপহার কেউ দিতে পারেনি

কেমন আছো নাহিদ

নাহিদ/ ভালো তুমি

রিমি/ আমি ভালো নেই

আমি/ তোমরা তাহলে কথা বলো আমি চলে যাচ্ছি

রিমি/ চলে যাচ্ছি মানে কোথায় যাবেন

আমি/ শোন ভাই
রিমিকে আমি বিয়ে করেছি সত্যি তবে কখনও স্বামী হতে পারিনি

রিমি আমার বউ ঠিক-ই তবে তার মনে কখনও আমার জন্য জায়গা হয়নি

রিমিকে আমি ভালোবেসেছি
ঠিক-ই কিন্তু কখনও তার একটু আদর সোহাগ ভালোবাসা কিছুই পাইনি

কেন জানো
কারন…. তার মনে প্রাণে শুধু তুমি আর তুমি ছিলে

ও সবসময় কাঁদতো তোমার জন্য
নামাজ পড়ে মুনাজাতে তোমাকে চাইতো

আমিও রিমিকে ভালোবাসি হয়তো তোমার মত না
তাই হয়তো তার মনে জায়গা করে নিতে পারিনি

তাই আজ তাকে তোমার হাতে তুলে দিলাম
আমি চাইনা আমার জন্য দুটো জীবন নষ্ট হয়ে যাক

সুখে থেকো তোমরা এই কামনা করি

রিমি পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও

জানো রিমি আজ আমি অনেক অনেক খুশি তোমার চেয়েও বেশি

কেন জানো

কারন… আজ আমি তোমাকে তোমার প্রিয় মানুষটার হাতে তুলে দিতে পারছি

রিমি/ এসব আপনি কি বলছেন আমিতো কিছুই বুঝতেছিনা

আমি/ যা আরও অনেক আগে বলার ছিলো অনেক আগে করাতোমার হাতটা দাও
নাহিদ তোমারটাও দাও

দুজনের হাত নিয়ে দুজনার হাত মিলিয়ে দিলাম
আর বললাম
তোমাদের এই নিষ্পাপ ভালোবাসার মাঝে আমি আর থাকতে চাইনা

পারলে ক্ষমা করে দিও

বলে চলে আসতেছি

চোখের পানিটাও কেন জানি স্বার্থপর হয়ে গেলো
শুধু অন্যের জন্য কাঁদে
চোখের জল মুছতে মুছতে হাঁটতে লাগলাম

আর ভাবছি
কতই না সুন্দর মানিয়েছে ওদের জুটিটা

আচ্ছা ওরা দুজন কি আমাকে ক্ষমা করেছে
নাকি এখনও আসামীর কাঁঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখছে

কি স্বার্থপর মেয়েরে বাবা এতবড় একটা উপহার দিলাম একটা ধন্যবাদও দিলনা

হয়তো নাহিদকে পেয়ে ভুলে গেছে দিতে

এভাবে হয়তো আস্তে আস্তে ভুলে যাবে আমাকে

একবার পিছন ফিরে তাকাবো না থাক

কেন জানি মন বলে রিমি হয়তো একবারের জন্য হলেও আমাকে ডাকবে

কিন্তু ডাকেনি

চলে আসলাম ওদের মাঝখান থেকে

আজ আর বাসায় যাবোনা
আর বাসায় গিয়ে কি করবো
তাই সব হারিয়ে দেউলিয়ে হয়ে এদিক ওদিক ঘুরি

আর খোদাকে বলি শুধু একটা কারন দাও আমাকে যার জন্য রিমিকে ঘৃণা করতে পারব

সন্ধ্যা হয়ে এলো তাই চলতে লাগলাম বাসার দিকে

বাসায় গিয়ে দরজা টোকা দিলাম

ওহহহহ আমিতো ভুলে গেছি দরজা খুলার মত এখন কেউ নেই

দরজাটা খুলে ভিতরে গিয়ে বসলাম

উফফফ খুব ক্লান্ত লাগছে

চোখটা বন্ধ করলাম

কিছুক্ষন পরে একটা কণ্ঠ শুনতে পেলাম

খুব ক্লান্ত লাগছে তাইনা এই নিন শরবত খান

র ছিলো তাই করছিআমি একটু ভয় পেলাম চোখটা খুলে

আমি/ এ কি আপনি এখানে কখন আসলেন আর কেন আসলেন আপনাকে না আপনার শেষ ঠিকানা রেখে আসছি

রিমি/ হুহহহহহ আমার বাড়িতে আমি আসছি তাতে আপনার কি

আর আপনি কি বলুনতো লজ্জা করেনা আপনার নিজের বউকে অন্যের হাতে তুলে দিতে

এই বুঝি আপনার স্বামীর অধিকার

খুবতো বড় বড় কথা বললেন সেখানে

আমার চোখের জল আপনার সহ্য হয়না
আমাকে সুখী দেখতে চান
আমার মুখে হাঁসি দেখতে চান

কিন্তু একবারও কি জানতে বা বুঝতে চেয়েছেন আমার কি চায়

আমি/ মানে

রিমি/ মানে আবার কি

আমি কি বাজারের পণ্য যে চাইবে সেই পাবে

আমি কারও প্রেমিকা হয়ে নয়
আমি কারও লক্ষী বউ হয়ে থাকতে চাই আর সে হলেন আপনি

আমি আপনাকে না বলছি আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো

জানেন সে কথাটা কি
জানেন না

তবে এখন শোনেন আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি
দয়া করে একটু জায়গা দাও তোমার বুকে

রিমির চোখের জল মুছে দিয়ে রিমিকে বললাম

খুব কষ্ট হয়েছে তোমাকে সেখানে রেখে আসতে
মন চেয়েছে আবরও জোর করে নিয়ে আসি সঙ্গে কিন্তু পারিনি

রিমি/ তখন পারেন নি এখনতো পারবেন

আমি/ কি

রিমি/ খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে

রিমি বলতে করেছে কিন্তু আমি বুকে নিতে একটুও দেরি করিনি

রিমিকে বুকে নিয়ে বললাম

আমি স্বামীর অধিকার চাইনা
শুধু তোমাকে যে তোমাকে হারিয়ে যাবো আমি তোমার ভালোবাসায়

ছোট ছেলে

#ধ্রুব

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১১

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১১
লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~~

নিজেকে আজ খুব হাল্কা হাল্কা লাগছে

বাসায় ফিরতে

রিমি/ সারাদিন কোথায় ছিলেন ফোনটাও বন্ধ করে রাখলেন

আমি/ একটা জরুরী কাজ ছিলো

রিমি/ কি ব্যপার অজ এত খুশি খুশি কেন

আমি/ একটা খুশির খবর আছে যা শুনলে আমার চেয়ে বেশি খুশি আপনি হবেন

রিমি/ তাহলে আর বলে দিন খুশির খবরটা কি

আমি/ না তা বলা যাবেনা
কিন্তু হ্যাঁ আপনাকে বললাম আপনার জন্মদিনে একা বড় উপহার দিবো
সেটাই কিনে রেখে আসছি

রিমি/ কি সেই উপহারটা বলেন না প্লিজ বলেন না

আমি/ না বলা যাবেনা কাল নিজের চোখে দেখবেন

রিমি/ আচ্ছা চলুন

আমি/ কোথায়

রিমি/ খেতে

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার বাকি তারপরতো রিমিকে হারিয়ে ফেলবো তাই আর না করিনি

রিমি/ চুপ করে খেতে লাগলাম
রিমি চেয়ে আছে

দুজনার কেউ কথা কয়না

রিমি/ একটা কথা বলবো

আমি/ হুমমমম বলুন

রিমি/ না থাক কালকে বলবো

আমি/ ঠিক আছে

খাওয়া শেষ করে ঘরে এসে শুয়ে রইলাম মনে হাজারো প্রশ্ন তখন-ই

রিমি/ আসতে পারি

আমি/ ওহহহ হ্যাঁ আসুন

রিমি ভিতরে আসলো

আমি/ দাঁড়িয়ে কেন বসুন

রিমি বসলো

রিমি/ আপনাকে একটা কথা বলবো

আমি/ আবার সেই এক-ই প্রশ্ন

রিমি/ না মানে দুদিন ধরে দেখছি আপনি কেমন জানি অন্যরকম হয়ে গেছেন কেন বলুনতো

আমি/ কই নাতো আমি একদম ঠিক আছি

আর শোন কাল সকাল ৯টা রেডি থাকবে

রিমি/ কেন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন

না বাবা আমি আপনার সাথে যাবোনা

আপনার হাত ধরে হাঁটতেও পারবনা

আমি/ আপনাকে কিছু করতে হবেনা

আপনি শুধু সকাল ৯টা রেডি থাকবেন ব্যস

রিমি/ ঠিক আছে যাব তবে

আমি/ তবে কি

রিমি/ না কিছুনা আপনি ঘুমান আমি যাচ্ছি

রিমি চলে যাচ্ছে

আমি পিছন থেকে তাকে ডাক দিলাম

আমি/ রিমি

আমার ডাক শুনে রিমি পিছন ফিরে তাকালো

রিমি/ কিছু বলবেন

আমি/ ঠিক ৯টা মনে থাকে যেন

রিমি/ হুমমম থাকবে আর না থাকলে তো আপনি আছেন

বিকালটা ঘুমে ঘুমে কাটলো

ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি রিমি টিভি দেখে

আমি/ কি করেন

রিমি/ কি আর করবো একা একা টিভি দেখি

আসুন দুজনে একসাথে দেখি

আমি/ না আমার ভালো লাগেনা আপনি দেখুন

রিমি/ এই আপনি কি বলুনতো আমাকে আপনি আপনি করে কেন বলেন বলুনতো

আমি/ যার উপর কোন অধিকার-ই নেই তাকে কি করে নাম ধরে ডাকি

রিমি/ থাক আর ডাকতে হবেনা চা খাবেন

আমি/ হলে ভালো হয়

রিমি/ আচ্ছা আপনি বসুন

চা খেতে রিমির সাথে কিছুক্ষন গল্প করলাম

তারপর বাহিরে গিয়ে আড্ডা মারলাম
কিন্তু কোনখানে মন বসেনা

একলা একা রাতে ছাদে গিয়ে বসে আছে

রিমি/ কি ব্যপার এই অন্ধকারে একা একা এভাবে বসে আছেন ঘুমাবেন না

আমি/ যার জীবনটা অন্ধকার সে আর আলোর দেখা কি করে পাবে

আপনি গিয়ে ঘুমান আমি একটু পরে আসতেছি

রিমি/ না আমার এরা একা খুব ভয় করে আপনিও চলুন আমার সাথে

আর হ্যাঁ আমি কিন্তু আপনার সাথে ঘুমাবো

আমি/ এই নোংরা মানুষটার সাথে ঘুমালে আপনার কি আর ঘুম আসবে

রিমি/ না আসলে নাই

আমি/ ঠিক আছে চলুন

দুজনে গিয়ে শুয়ে পড়লাম

আর ভাবছি কিভাবে রিমিকে নাহিদের হাতে তুলে দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিবো

আচ্ছা রিমি কি আমাকে ক্ষমা করবে

অপেক্ষা করুন শেষ পর্বের জন্য……..

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১০

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ১০
লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~~

আমি ছাদে বসে বসে সিগারেট টানি

রিমি/ আপনি এখানে আর আমি আপনাকে সারা বড়ি খুঁজি

আমি/ আমাকে হা হা হা

রিমি/ এতে হাঁসির কি আছে

আমি/ হাঁসির কথা শুনলে তো হাঁসতে হবে
আমাকে যে আপনার প্রয়োজন হতে পারে এটাতো আমি বিশ্বাস-ই করতে পারছিনা

রিমি/ আপনি আবরও সিগারেট টানছেন
আপনাকে না বারণ করলাম সিগারেট না টানতে

আমি/ আমি কারও বারণ মানতে রাজি নয়

জীবনটা আমার আমার মত-ই চলবে

রিমি/ না কখনওই না আমি যেভাবে বলবো সেভাবে চলবে

আমি/ এই শোন আপনার রূপে পাগল হয়েছি তাই আপনাকে বউ করেছি
এখন আর আপনাকে আমার দরকার নেই

যান চলে যান এখান থেকে

রিমি রাগ করে চলে যাচ্ছে

সে হয়তো বুঝার চেষ্টা করছে

সত্যি কি আমি তার রূপের পাগল ছিলাম নাকি তার ভালোবাসার

কিন্তু আমি তাকে কি করে বলি আমি তাকে এখনও অনেক ভালোবাসি

দূররররর…. কোনকিছুতে মন বসেনা

মেয়েটা ডুবে চোখের জলে আর আমি পুঁড়ি কষ্টের আগুনে

বাহিরে যাবো রিমি দেখতে

রিমি/ কই যান

আমি/ বলার মত এখানে কেউ নেই আমি কোথায় যাচ্ছি

দরজাটা লাগিয়ে দিন ফিরতে দেরি হবে

ফিরলাম সে রাতে

রিমি/ এতক্ষন কই ছিলেন সেই কখন থেকে আপনার পথ চেয়ে বসে আছি

আমি দরজাটা খুলে আকাশের দিকে তাকালাম

রিমি/ কি হলো ঐদিকে কি দেখেন

আমি/ কিছুনা
দেখতেছি আকাশের চাঁদটা কোনদিক থেকে উঠছে

আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করছেন তাই

রিমি/ অপেক্ষা তো আর এমনি এমনি করছিনা একা একা ভয় লাগছে তাই

আমি/ ওহহহহহ

রিমি/ খেতে দিচ্ছি আসুন

আমি/ আমি খেয়ে এসেছি

রিমি/ কি….. তাহলে আমি কার জন্য বসে আছি

বাহিরে খেতে গেলেন কেন

আমি/ সেটা আমি কাউকে বলতে বাঁধ্য নয়

ঘরে যেতে যেতে

ঘরে গিয়ে বালিশটা নিয়ে হাঁটতে লাগলাম

রিমি/ কি ব্যপার বালিশ নিয়ে কই যান

আমি/ ঘুমাতে

রিমি/ ঘুমাতে মানে কোথায় ঘুমাবেন আপনি

আমি/ পাশের ঘরে

রিমি/ পাশের ঘরে কেন

আমি/ আপনার সুবিধার জন্য

আপনি নিজেইতো আমার সাথে থাকতে চান না

তাই ভাবলাম আজ থেকে দুজন দু ঘরে থাকবো

চলে আসলাম পাশের ঘরে শুয়ে রইলাম

কিন্তু চোখেতো একটুও ঘুম নেই

আচ্ছা রিমিও কি আমার কথায় ভাবছে নাকি নাহিদের

দূররররর….. আমার কথা কেন ভাববে

আমিতো একটা নোমরা মনের মানুষ
আমিও না একটা পাগল

এসব ভাবতে ভাবতে অনেক রাত হয়ে গেলো চোখটা বন্ধ করলাম

সকাল হয়ে এলো

রিমির ফোন পেয়ে ঘুম ভাঙ্গলো

ফোন ধরতে কেটে দিলো
তারপর ছোট্র একটা ম্যাসেজ

অনেক বেলা হয়ে গেছে

আমি ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুঁয়ে বসে রইলাম

রিমি/ এই নিন আপনার চা

রিমির দিকে তাকিয়ে রইলাম না চাইতে আজ চা
যাইহোক যাবার সময় মেয়েটা একটু বেশি মায়া লাগিয়ে দিচ্ছে

আমি/ এইযে

রিমি/ কিছু বলবেন

আমি/ কাল তো আপনার জন্মদিন

রিমি/ হুমমমম জানি আমার অনেক বন্ধুকে দাওয়াতও করেছি

আমি/ কিসের দাওয়াত আর কেন করলেন

রিমি/ এত ভোলা মন আপনার
আপনিতো বললেন আমার জন্মদিন অনেক ধুমধাম করে পালন করবেন তাই

আমি/ না তা আর হবেনা
কোন ফালতু কাজে আমি আমার টাকা পঁয়সা নষ্ট করতে চাইনা

রিমি/ তাহলে আর কি করা সবাইকে মানা করে দিবো

আমি/ হুমমমম সেটাই ভালো
হবে

আমারও খুব ইচ্ছে ছিলো রিমির জন্মদিনটা বড় করে করবো কিন্তু তা আর হলোনা

কারন জন্মদিনের চেয়ে তার মুখের হাঁসিটা আমার কাছে অনেক দামি

রিমি চলে গেলো বুঝতেছিনা খুশি হলো নাকি কষ্ট পেলো

যাক এসব ভেবে আমার কাজ নেই

বাসা থেকে বের হতে

রিমি/ কোথায় যাচ্ছেন বুঝি

আমি/ হুমমমমম

বাসা থেকে বের হয়ে নাহিদকে ফোন দিলাম আমাকে কিছুটা সময় দিতে

নাহিদ রাজি হলো

দুজনের দেখা হলো

প্রথমে নাহিদের কাছে জ্ক্ষমা চাইলাম তারপর

নাহিদকে প্রশ্ন করলাম

আমি/ আচ্ছা নাহিদ তোমার কাছে যদি রিমি ফিরে আসে তাহলে কি তুমি তাকে গ্রহণ করবে

নাহিদ চুপ করে রইলো কিছুই বলেনা

আমি/ কি হলো ভাই কিছুতো বলো

নাহিদ কি বুঝে হ্যাঁ বলে দিলো

আমি/ ভয় নেই তোমার নির্ভয়ে বলতে পারো

নাহিদ/ ই…..য়ে মানে হুমমমম করবো

আমি/ খুশি হলাম তোমার কথায়

ঠিক আছে কাল সকাল ১০টা এখানে এসো আমি তোমার হাতে তোমার ভালোবাসাকে তুলে দিবো

নাহিদ/ আচ্ছা

আমি/ ঠিক আছে তাহলে দেখা হবে কাল ঠিক এসময়

ভালো থেকো আজ আসি

নাহিদের হ্যাঁ উত্তরটা শুনে যতটানা খুশি হয়েছি তারচেয়ে বেশি বুকে ব্যাথা করছে তাতে কি রিমির মুখেতো একটু হাঁসি ফোটাতে পারব

চলবে…???

স্বামীর অধিকার পর্ব/৯

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৯
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

বাসায় আসতে একটু লেট হয়ে গেলো

বাসায় এসে দেখি রিমি আর তার বান্ধবী খেয়ে দেয়ে গল্প করছে

রিমি আমাকে দেখতে পেয়ে

রিমি/ কি ব্যপার এতক্ষন কোথায় ছিলেন

আমি/ তোমার জন্য সুখের সন্ধানে

রিমি/ মানে কি সুখ কি হাঁটতে বাজারে বিক্রি হয় যা আপনি টাকা দিয়ে কিনে নিবেন

আমি/ টাকা দিয়ে আর জোর করে যে সুখ আর ভালোবাসা কেনা যায়না সেটা আমি বুঝেছি

রিমি/ বুঝেছেন তবে আমার জীবনটা নষ্ট করে

খেয়েছেন আপনি

আমি/ না

রিমি/ এখনও না খেয়ে আছেন
যান টেবিলে খাবার দেয়া আছে খেয়ে নিন

আমি কোনকিছু না বলে চুপচাপ দু বান্ধবীর মাঝখান থেকে চলে আসলাম

অন্য আরেকটা ঘরে শুয়ে রইলাম চোখেও অনেক ঘুম তাই বিছানা পিঠ লাগাতে ঘুমিয়ে পড়লাম

একটু পরে রিমি এসে ডাকাডাকি করে

রিমি/ এইযে শুনছেন এইযে

আমি/ কি হলো আপনার
আপনার জন্য কি শান্তিতে একটু ঘুমাতেও পারবনা

রিমি একটু অবাক হলো
অবাক হওয়ার-ই কথা

বিয়ের পর থেকে রিমিকে আমি তুমি করে বলতাম
কখনও তার সাথে রাগী গলায় কথা বলতামনা

কিন্তু আজকের কন্ঠটা আমার অন্যরকম

রিমি/ কি হয়েছে আপনার এমনভাবে কথা বলছেন কেন

প্রীতি (বান্ধবী)কি আপনাকে কিছু বলেছে

আমি/ সবকিছু কি আপনাকে বলতে হবে নাকি আপনি আমার কে

আপনি আমাকে একদম বিরক্ত করবেন না
যান এখান থেকে

ম রিমি/ যাবো তার আগে বলুন না খেয়ে আছেন কেন

আমি/ আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই খাইনি
বুঝেছেন

প্রীতি এসে রিমিকে নিয়ে চলে গেলো

আমি মনে মনে বলি তোকে ছাড়া কখনও খেয়েছি আমি

রিমি/ যে মানুষটা আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল হয়ে যেতো সে মানুষটা আজ এতটা কঠিন হলো কি করে

তুই কিছু বলিসনি তো তাকে

প্রীতি/ আরে না কি বলিস
পুরুষ মানুষের মনটা এরকম
নেশা ধরলে বুকে নেয়
নেশা কেটে গেলে লাথি মারে

রিমি/ আরে দূরররর তুইও না

মানুষটা ঐরকম নয় যেমনটা তুই ভাবছিস

মানুষটা ভালো সবসময় আমার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কতকিছুই না করতো শেষ পর্যন্ত কান্নাও করে খাইয়েছে

সেই মানুষটা আজ আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে

প্রীতি/ তুইও না কি আমি বুঝিনা

যাকে সহ্য করতে পারিসনা তাকে নিয়ে এত চিন্তা করিস কেন দেনা তাকে তার মত করে থাকতে

রিমি/ কি বলিস এসব বিয়েটা যেমন করে হোক আর মানুষটা যেমন হোক কিন্তু সে তো এখন আমার স্বামী

প্রীতি/ এই দাঁড়া দাঁড়া কি বলিস এসব স্বামী মানে তুই কি ওঁকে স্বামী বলে স্বীকার করেছিস

রিমি/ জানিনা শুধু এটা জানি
ওর একটু রাগে আমার খুব কষ্ট হয়

প্রীতি/ সর্বনাশ শুধু স্বামী হিসেবে নয় তুইতো ওকে ভালোবেসে ফেলেছিস

তাহলে তাকে বলে দে

রিমি/ না আমি কখনওই পারবনা

প্রীতি/ ঠিক আছে তাহলে তোর হয়ে আমি বলে দিবো

রিমি/ না না একদম এমনটা করবিনা আমাকে একটু সময় দে আমি বলবো আমার মনের কথা তাকে

প্রীতি/ কিন্তু আমি এটা বুঝতেছিনা ওর প্রতি তোর এই ভালোবাসব কোথা থেকে জন্ম নিলো

একটু আগে আমার কাছে যার সম্পর্কে এত বাজে কথা বললি

আর সে তাকে তুই ভালোবেসে ফেললি
কি এমন দেখলি তার মাঝে

রিমি/ আমি নাহিদকে ভালোবাসতাম ঠিক-ই
কিন্তু আমার ভালোবাসা তার কাছে কোন দাম নেই

আমি সবসময় চাইতাম তাকে
কিন্তু সে অন্যকাউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতো আমাকে একা রেখে

আমি সবসময় নাহিদকে বোঝাতে চাইতাম তাকে ছাড়া আমার পৃথিবীতে কেউ নেই
কিন্তু সে আমাকে কিন্তু বোঝাতো আমি ছাড়াও আরও অনেকে আছে তার পৃথিবীতে

আমি যেদিন আমার অমতে এই বাড়ির বউ হয়ে এসেছি

সেইদিন থেকে বুঝেছি
এই পাগলটা আমাকে কত ভালোবাসে

কত উপায়ে আমাকে নিজের করে নিতে চেয়ে

হাজারো ঝগড়া দুষ্টুমিতে আমার কাছে আসতে চেয়েছে

আমাকে ঠিক ততটা ভালোবেসেছে ততটা আপন করে নিয়েছে যতটা আমি চাইতাম

আমি চাইতাম আমার বরটা আমাকে রান্নার কাজে সাহায্য করবে সেটাও সে করেছে

আমি চাইতাম আমার বরটা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিবে
সেটাও সে করেছে

আমার মুখের একটু হাঁসির দেখার জন্য যে মানুষটা ব্যাকুল হয়ে থাকতো

তুই বল সে মানুষটাকে রেখে আমি কিভাবে অন্যকে নিয়ে সুখী হবো

প্রীতি/ আমি আর কিছুই বলার নেই শুধু এটাই বলবো
স্বামী পেতেছিল একটা মনের মত

তাই আর দেরি না করে বলে দে তাকে

দেখবি অনেক ভালোবাসা পাবি অনেক স্বপ্নের চেয়েও বেশি

রিমি/ বলবো আমার জন্মদিনের দিন

সেদিন আমি আমার জন্মদিনের উপহার হিসেবে তাকে চাইবো

প্রীতি/ ঠিক আছে তুই যা ভালো বুঝিল তাই কর

যাইরে অনেক দেরি হয়ে গেছে

রিমি/ থাকবেনা আজ

প্রীতি/ অন্য একসময় এসে থাকবো

রিমি/ আচ্ছা ঠিক আছে

চলবে,,,???

স্বামীর অধিকার পর্ব/৮

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৮
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

আর শোনেন বাজারে গিয়ে কিছু বাজার নিয়ে আইসেন

আমি/ আগে খেতে দাও তারপর অন্য চিন্তা

এই নাও তুমিও একটু খাও নাহলে তো পরে বলবে

রাক্ষস স্বামী শুধু নিজে খায় পাশে থাকা বউটাকে একটু জিজ্ঞেসও করলোনা খাবে কিনা

রিমি/ শোনেন এত ভালোবাসা দেখাতে হবেনা

যার পেটে ক্ষুধা থাকে তাকে খাইয়ে দিতে হয়না
সে এমনিতে খেয়ে নিবে

আর আপনার হাতের খাবার সেটাতো কখনওই না

আমি/ ও ও ও ঠিক আছে যার যেমন ইচ্ছা

কি লাগবে

রিমি/ তেমন কিছুই নয়

আপনার পছন্দমত করে আনুন

আমি/ আমার পছন্দমত তো তোমাকেও ঘরে তুলছি কই তাতে কি কোন লাভ হলো

রিমি/ সবসময় এসব শুনতে আমার আর ভালো লাগেনা যান বলছি যান যান

আমি/ যাচ্ছি যাচ্ছি

বাজারে গেলাম বাজার করে বাসায় আসলাম এসে দরজা টোকা দিলাম ভিতর থেকে রিমি আওয়াজ দিলো

রিমি/ দাঁড়ান আসতেছি

দরজা খুললো ভিতরে ঢুকতে দেখি রিমির বান্ধবী

বান্ধবীটা তো খুব সুন্দর যাই একটু মজা করে নেই

আমি/ আসসালামু আলাইকুম ভাবিজান

রিমির বান্ধবী ওদিক ওদিক তাকিয়ে আমাকে বলে

বান্ধবী/ আমাকে বলছেন

আমি/ আপনি ছাড়া আর কেউ আছে এখানে

বান্ধবী/ তা নেই কিন্তু ভাবি ডাকলেন কাকে?

আমি/ আপনাকে

বান্ধবী/ আমাকে…..হা হা হা
আমি আপনার ভাবি হতে যাবো কোন দুঃখে

আমি কিছু বলতে যাবো
ঠিক তখন-ই রিমি এসে

রিমি/ কি হলোরে সই

বান্ধবী/ দেখনা সই তোর স্বামী আমাকে ভাবি বলো ডাকে

আমি/ তাতে কি বউয়ের বান্ধবী তো আর আমার বান্ধবী নয়

রিমি/ চুপ থাকুনতো
দেখ সই আমি কাকে নিয়ে সংসার করি আর কতটা সুখে আছি

বান্ধবী/ হুমমম দেখতে পাচ্ছি
আমি বুঝতেছিনা এমন একটা মানুষকে তুই বিয়ে কেন করলি

আমি/ না না আপনার বান্ধবী করতে চাইনি আমি জোর করে করেছি

বান্ধবী/ তাই নাকিরে সই

রিমি/ হুমমম
শুধু বিয়েটা জোর করে নয় সবকিছু জোর করে করেছে

কিন্তু এই মানুষটা এটা জানেনা জোর করে না ভালোবাসা হয় আর না কারও মনে জায়গা করে নিতে পারে

বান্ধবী/ ঠিক বলছিস কিন্তু তোর জীবনটা তো নষ্ট হয়ে গেলো

সারাজীবন তোকে এই লোকটার সাথে থাকতে হবে

রিমি/ আচ্ছা বাদ দে এসব

এই প্রথম আসলি
তাই তোকে এত সহজে ছাড়বোনা

বান্ধবী/ না’রে সই আমাকে বিকালে চলে যেতে হবে

আমি/ সেটাই ভালো আপনি থাকলে আমার ১২টা বেড়ে যাবে

রিমি/ এই কি বললেন আবার বলেন কিসের ১২টা বাজবে
হুহহহহ

আমি/ স্বামীর থেকে বউ বউয়ের থেকে স্বামীর সোনার সংসারটা একদিনে ভেঙ্গে ফেলবে

রিমি/ কি আমার সামনে আমার বান্ধবীকে এতবড় কথা

আপনাকে আমি আপনাকে আমি

আমি/ থাক আর বলতে হবেনা আমি বুঝে গেছি

যাও বান্ধবীর জন্য ভালো কিছু রান্নাবান্না করে খাওয়াও

রিমি/ ওহহহ তাইতো
চল সই রান্না করতে করতে দুজনে গল্প করি

বান্ধবী/ তুই যা আমি তোর স্বামীর সাথে কথা বলি একটু

রিমি/ আরা না না কোন দরকার নেই তুই আমার সাথে চল

বান্ধবী/ আরে যা না তুই
কোন সমস্যা নেই

রিমি/ আচ্ছা ঠিক আছে

এইযে শুনেন আমার বান্ধবীর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করবেন না

তাহলে কিন্তু আপনার খবর আছে

বান্ধবী/ আপনি কেমন পুরুষ বলুনতো একটা মেয়েকে জোর করে বিয়ে করছেন

আমি/ আমি হলাম প্রেমিক পুরুষ আপনার বান্ধবীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি

বান্ধবী/ এটা কেমন ভানোবাসা আপনার যে ভালোবাসায় কোন দাম নেই

আমি/ কে বলছে আপনাকে দাম নেই
আমার ভালোবাসা কেনার মত ক্ষমতা আপনারও নেই

বান্ধবী/ আপনি জানতেন না আমার বান্ধবী অন্যকাউকে ভালোবাসতো

আমি/ জানতাম তো তাইতো তার হাত পাঁ ভেঙ্গে ভর্তি করে দিছি তাকে

বান্ধবী/ আপনি সত্যি একটা অন্য মানুষ যার সাথে কখনও রিমির মন মিল খাবেনা

আমি/ আপনি শুধু অপেক্ষা করুন সময় হলে আপনি নিজে বুঝতে পারবেন

বান্ধবী/ আপনি কখনও রিমির মুখে হাঁসি ফোটাতে পারবেন না

আমি/ আমার চেয়ে বেশি তার মুখে আর কেউ হাঁসি ফোটাতে পারবেনা

বান্ধবী/ আপনার সংসারে রিমি কখনও সুখী হতে পারবেনা

আমি/ আমার চেয়ে বড় সুখ তাকে আর কেউ দিতে পারবেনা

বান্ধবী/ তাই নাকি কিন্তু রিমির চেহারা দেখেতো বুঝা যায়না সে সুখী

আমি/ সবাই সবকিছু বুঝেনা

বান্ধবী/ কিন্তু আমি বুঝি আমার বান্ধবী আপনার সংসারে এসে কত কষ্টে আছে

আমি/ কই আমিতো দেখিনা
আমারতো মনে যতটা সুখে রিমি আছে কতটা সুখ আপনিও পাবেন না

বান্ধবী/ তাই নাকি বাহ্ বাহ্ ভালোতো
রিমি তোর স্বামীর কথা শোন

হা হা হা

রিমি/ কি হয়েছে তোর এত হাঁসিস কেন

বান্ধবী/ তোকে নাকি তোর স্বামী খুব সুখে রাখছে

রিমি চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো

বান্ধবী/ কিরে কিছু বল

রিমি/ তুই আমার সাথে দেখা করতে এসেছিস নাকি ওর সাথে গল্প করতে

চল আর কথা বলতে হবেনা

দু বান্ধবী মিলে রান্না ঘরে গেলো

রিমির মুখে আজ হাঁসি রাশি রাশি

প্রাণ জুড়িয়ে গেলো রিমির মুখে আজ হাঁসি দেখে

আবারও চলে গেলাম বাহিরে

খোঁজ নিতে লাগলাম নাহিদের

নাহিদ রিমির ভালোবাসা
যে আমার আগে জায়গা দখল করে নিয়ে রিমির মনে

নাহিদের ঠিকানা আর ফোন নাম্বারটা জোগাড় করতে এত কষ্ট হয়নি

নাহিদকে ফোন করে বলেছি সামনে ৫তারিখ বিকাল ৪টা আমার সাথে যেন দেখা করে

নাহিদ রাজি হয়ে গেলো
কারন। না বলার মত সাহস তার নেই

চলবে…!!!

স্বামীর অধিকার পর্ব/৭

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৭
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

রিমি/ ছিঃ কি বাজে দুর্গন্ধ আপনি সিগারেট টানছেন তাইনা

আমি/ হুমমমম তাতে কি

রিমি/ তাতে কি মানে এই দুর্গন্ধটা আমার একদম সহ্য হয়না তার উপর আবার সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

আমি/ তাতে আমার কি
আর লিপস্টিকও কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর
এটা জানোনা

রিমি/ মানে কি লিপস্টিকের সাথে সাস্থ্যের কি সম্পর্ক

আমি/ হুমমমমম সেটা যদি বুঝতে তাহলে এতদিনে তুমি আমার থেকে অনেক বেশি বড় কলম হতে

রিমি/ কি বলেন এসব কিছুই বুঝিনা
খেতে দিচ্ছি আসেন

আমি/ ক্ষুধা নেই তুমি খেয়ে নাও

রিমি/ আমি অনেক আগে খেয়েছি

আমি/ তাহলে আর কি ঘুমিয়ে পড়ুন

রিমি/ তাই করবো রাত জেগে কারও সাথে বকবক করে সময় নষ্ট করার মত মেয়ে আমি নয়

রিমি শুয়ে পড়লো

আমি মোবাইল টিপি

রিমি/ একটা কথা বলবো

আমি/ আমিতো আর কারও মুখ সেলাই করে রাখিনি
বলুন

রিমি/ দ্যাতততত থাক বলবনা

আমি/ মনের কথা চেপে রাখতে নেই পাহাড় সমান হয়ে যাবে
অভিনয়

রিমি/ কাল আমার বান্ধবী আসবে

আমি/ কেন কেন তোমার বান্ধবী আসার কি দরকার

রিমি/ একা একা ভালো লাগেনা

আমি/ একা আমিতো সবসময় তোমার সাথে থাকি

আর সঙ্গী লাগলে আমাকে বলতে ২টা এনে দিতাম

রিমি/ তারা কারা আর কোথা থেকে আনবেন

আমি/ একটা তোমার থেকে
একটা বাহির থেকে

রিমি/ মানে কি

আমি/ মানে বুঝলেনা সোনা

তোমার থেকে যে আসবে সে হলো বাবু আর বাহির থেকে যে আসবে সে হলো সতীন

রিমি/ কি…..
বাবু আর সতীনের মুখ দেখার আমার এত শখ নেই

আপনার সাথে কথা বলাটা বোকামী

দ্যাততত
আমি/ এই শোন বলে দিও আসতে

রিমি/ আপনার অনুমতি লাগবেনা বলেই দিছি আসতে

আমি/ তাহলে আমাকে জিজ্ঞেস করলে কেন

রিমি/ এমনি দেখতে চেয়েছি আপনি কি বলেন

আমি/ ওহহহহহ স্বামীর অবাধ্য তো ভালোই হতে পারো

রিমি/ এখানে অবাধ্যের কি আছে

আমার বান্ধবীর কি পারেনা
আসতে

আমি/ পারে তবে সেটা যদি তোমার স্বামীর বাড়ি হতো
কিন্তু এটাতো একটা বাজে লোকের বাড়ি এখানে এসে কি করে সে থাকবে

রিমি/ রিমি মুখের উপর বলে দিলো
স্বামী নয়তো এটা কার বাড়ি

বলে রিমি নিজে নিজেই কেমন জানি হয়ে গেলো

আমি/ সত্যি এটা তোমার স্বামীর বাড়ি

রিমি/ জানিনা এত কথা বলেন কেন

আমি/ শুনতে ভালো লাগে তাই

রিমি/ আর শুনতে হবেনা এবার ঘুমান আর আমাকে একটু ঘুমাতে দিন

আমি/ আমি ঘুমিয়ে কি হবে চলো ছাদে গিয়ে গল্প করি

রিমি/ দরকার নেই আমি আমার ঘুমের ভাগ কাউকে দিতে চাইনা

আপনি যান

আমি/ হায়রে বউ তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিলো কিন্তু তুই হলিনা আমার আপন

ঠিক আছে আমি একাই যাই তাহলে

রিমি/ যান তবে হ্যাঁ সিগারেট টানতে পারবেন না কিন্তু

আমি/ তাহলে আর ছাদে গিয়ে কি হবে

আসো জানু আমার বুকে আসো তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই

রিমি কোলবালিশটা দিয়ে বলে

রিমি/ এই নিন আপনার বউ
যা খুশি তা করেন

কেউ কিছু বলবেনা

আমি/ এ

রিমি/ হ্যাঁ
শুভরাত্রি

আমি/ হুহহহহহ

রিমি/ কেন গো আপনার আবার কি হলো

আমি/ মাঝখানের এই বেটা(কোলবালিশ) না থাকলে হয়না

রিমি/ একদম হয়না কারন…..

আমি/ কারন কি

রিমি/ সব কথা মুখে নয় কিছু কথা বুঝে নিতে হয়

ঘুমান আর কোন কথা নয়

কি আর করা লাইট বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেলাম

সকাল হতে দেখি রিমি পাশে নাই

আমি/ রিমি রিমি এই রিমি

রিমি/ কি হলো বললাম না সারাদিন রিমি রিমি করে চিৎকার করবেন না

আমি/ ওমা কি বলে….. বউকে বলে ডাকবো না তো কি বলে ডাকবো

আরে আরে তোমার নাকে মুখে এসব কি

রিমি/ কোথায় কিসের কথা বলছেন

আমি/ যাক বাবা এতদিন পর আমার একটা ইচ্ছা পূরণ হলো
অনেক স্বপ্ন ছিলো তোমাকে পেত্নীর সাঁজে দেখবো আজ সে ইচ্ছাটা পূরণ হলো সত্যি আজ তোমাকে পেত্নীর মত-ই লাগে

রিমি/ আপনি যাই বলেন না কেন সেদিনের কথা আমার আজও মনে আছে

কালি মুছে দেবার নাম করে চুমু খেলেন ছিঃ

আমি/ আজকের নাস্তাটা কি

রিমি/ বলার সময় নাই টেবিলে দেয়া আছে গিয়ে খেয়ে নিন

আমি/ আচ্ছা

টেবিলে দগিয়ে দেখি পিঠা

আমি/ আহহহ তুমি পিঠাও বানাতে পারো

আহারে কত স্বার্থপর বউ আমার সবকিছু জেনেও এদিন আমায় না খেয়ে রাখছে

রিমি/ আজকেও রাখতাম
আপনি কি ভাবছেন আপনার জন্য বানালাম
আরে না আমার বান্ধবীর জন্য বানালাম
এ পিঠা গুলো সে খুব ভালোবাসে তাই বানালাম

আমি/ যাও তুমি তোমার কাজ করো
যেভাবে তাকিয়ে আছো কিছুক্ষন পর হয়তো আমার পেট নিয়ে টানাটানি লাগবে

রিমি/ শয়তান পোলা রিমির চোখ এতটা খারাপ নয়
যার তাকানোতে কারও সমস্যা হবে

চলবে!!!

স্বামীর অধিকার পর্ব/৬

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/৬

লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

রিমি চুপ হয়ে রইলো

তুমি বসো আমি খাবার আনছি

প্লেট দিলাম ভাত দিলাম
এবার নাও খাও

রিমি/ খেয়ে পানি পানি করে

আমি/ দিচ্ছি দিচ্ছি দাঁড়ান

এই নাও পানি খাও

রিমি/ দূরররর এটা কোন রান্না হলো এক্কেবারে বাজে

আমি/ এই শোন এটা কোন বাবুর্চির রান্না নয় একজন স্বামীর রান্না তাই চুপচাপ খেয়ে নাও

রিমি/ তাই বলে এত ঝাল আপনি জানেন না আমি ঝাল খেতে পারিনা

আমি/ কিভাবে জানবো তুমি নিজেইতো ঠিকমত রান্না জানোনা

রিমি/ আপনি কি এতদিন না খেয়ে ছিলেন

আমি/ আমি একদম নয় তবে পেট ভরে খেতে পারিনি

রিমি/ হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবেনা যে যেমন সে সবাইকে তেমন-ই মনে করে

আমি/ ওহহহহ আচ্ছা ভালো কথা সামনে তো তোমার জন্মদিন বলো কিভাবে পালন করলে তুমি খুশি হবে

রিমি/ হুহহহহহ আমার আবার জন্মদিন যে অনেক আগে মারা গেছে তার আবার জন্মদিন কিসের

আমি/ চুপ এরকম কথা আর কথা আর কখনও বলবেনা

তুমি আমার বড় আদরের বউ আমি অনেক ধুমধাম করে তোমার জন্মদিন পালন করবো

রিমি/ না তার আর কোন প্রয়োজন নেই যদি আমার কথা না শুনেন তাহলে আমি সত্যি সত্যি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো নয়তো এই পৃথিবী ছেড়ে

আমি/ না না তার দরকার নেই তুমি যেভাবে বলবে আমি সেভাবে করবো

তবে হ্যাঁ তোমাকে আমি সেদিন খুব বড় একটা উপহার দিবো যা তুমি কখনও স্বপ্নেও দেখনি

রিমি/ থাক আমার কিছু দরকার নেই
আপনি খেয়েছেন

আমি/ না তোমাকে না খাইয়ে আমি কি করে খাই বলতো

রিমি/ হুমমম আর ভালোবাসা দেখাতে হবেনা খেয়ে নিন

বউ জামাই দুজনে খেতে লাগলাম

যদিও রান্নাটা ভালো হয়নি
খাওয়া শেষ করে

আমি/ তুমি যাও আরাম করো আমি প্লেট গুলো ধুঁয়ে আসতেছি

রিমি/ আচ্ছা

রিমি খুব খুব আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলো

আমি/ এই দাঁড়াও দাঁড়াও
তুমি কি বলতো স্বামী থাকতে কেউ এত কষ্ট করে

রিমি/ মানে

আমি তোমার বলে রিমিকে কোলে করে ঘরে দিয়ে আসলাম

তুমি ঘুমাও আমি সবকিছু গুছিয়ে আসতেছি

সবকিছু ধুঁয়ে মুছে গুঁছিয়ে এসে দেখি রিমি এখনও জেগে আছে

আমি/ কি হলো তুমি এখনও ঘুমাওনি

রিমি/ ঘুম না আসলে কি করবো

আমি/ ঘুম আসেনা মানে

তুমি চোখ বন্ধ করো আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি

রিমি চোখ বন্ধ করলো আর আমি তার মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম

কখন যে রিমির সাথে আমিও ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি

বিকালে আমার আগে রিমির ঘুম ভেঙ্গে যায়

রিমি/ শুনছেন এইযে শুনছেন

ঘুম ভেঙ্গে যায় রিমির ডাকে

আমি/ সরি বুঝতে পারিনি কখন যে চোখে ঘুম চলে আসলো

কিছু লাগবে তোমার

রিমি/ না কিছুনা উঠলো

আমি/ কোথায় যাচ্ছো

রিমি/ সব কথা কি আপনাকে বলতে হবে বসে থাকুন এভাবে

আমি মনে মনে কি মেয়েরে বাবা

যার জন্য এতকিছু করলাম সে বলে আমি চোর

আমি কি কখনও ওর মনে জায়গা করে নিতে পারবনা

কিন্তু কোথায় গেলো সে পালিয়ে যায়নি তো দূররর আমিও না সব উল্টাপাল্টা ভাবি

রিমি/ এই নিন

আমি/ আরে বাহ্ এই নাহলে বউ

রিমি/ বেশি বকবক করবেন না

মন চাইছে তাই বানিয়ে খাওয়ালাম

আমি/ হুমমম বউয়ের হাতে চা না খেয়ে কি থাকতে পারি

চা টা খেয়ে

আমি/ শোন তুমি ঘরে থাকো আমি একটু বাজার থেকে ঘুরে আসি
দরজাটা লাগিয়ে দাও

রিমি/ শোনেন

আমি/ কি

রিমি/ একটু তাড়াতাড়ি আসবেন একা একা ভয় করে

আমি/ হুমমমম

দোকানে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে একটু দেরি হয়ে গেলো

বাসায় ফিরবো এমন সময় মনে হলো

পাগলীটার জন্য কিছু নিয়ে নেই

কিছু চকলেট আর আইসক্রিম নিলাম

বাসায় গিয়ে দরজা টোকা দিলাম

রিমি/ কে

আমি/ দরজা খোল আমি তোমার প্রাণের স্বামী

রিমি দরজা খুলে

রিমি/ আপনি কি বলুনতো আপনার কি কোন আক্কেল জ্ঞান নেই বাসায় একটা মেয়েকে একা রেখে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারেন

আপনাকে মন চায় খুন করে ফেলতে

আমি/ কি শুরু করলে এসব বাহির থেকে আসলাম কোথায় শাড়ির আঁচল দিয়ে ঘামটা মুছে দিবে

আর তা না করে উল্টো আমার রক্ত ঝরাতে চাইছো

রিমি/ হুহহহহ কি আমার মহা পুরুষরে কি এমন বিশ্ব জয় করে আসলেন যার জন্য

যার জন্য আমার শাড়ির আঁচল দিয়ে আপনার ঘাম মুছে দিতে হবে

আমি/ বিশ্ব জয় করা সহজ হলেও তোমার মন জয় করা অনেক কঠিন

রিমি/ বুঝেছেন তবে অনেক দেরিতে

আমি/ এই নাও

রিমি/ কি এসব

আমি/ প্রশ্ন ছাড়া কি আর কিছুই জানোনা খুলে দেখ

রিমি/ চকলেট আইসক্রিম এসব কার জন্য

আমি/ কেন তুমি জানোনা আমাদের ৪-৫টা ছেলেমেয়ে আছেনা তাদের জন্য

রিমি/ কি…….

আমি/ তার মুখের কাছে গিয়ে জ্বী……

চলবে…???

স্বামীর অধিকার পর্ব/৫

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/৫
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~

রিমি চোখ দুটো খুব বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো

আমি/ আমি কি হলো মা’কে ডাকো কেন আমাকে জান বলে ডাকো তাহলে তোমাকে সাহায্য করবো

রিমি/ দরকার নেই আপনার মত মানুষের সাহায্য

মেয়েটা খুব-ই জেদী এভাবে আর যাই করি মনে জায়গা করে নিতে পারবনা

তাই আমাকে একটু যত্নশীল হতে হবে ভালোবেসে তার মনে জায়গা করে নিতে হবে

আমি/ উফফফ মেয়েদের এত জেদ থাকা ভালো নয়

চলুন আপনাকে ঘরে নিয়ে যাই

রিমি/ আমাকে একদম স্পর্শ করবেন না
আমি নিজে যেতে পারবো

আমি/ ঠিক আছে তাহলে আমি যাচ্ছি

বলে উঠে দাঁড়ালাম
আমার মত রিমিও দেখি উঠার জন্য চেষ্টা কিন্তু তা কি সম্ভব

না পারলনা রিমি নিজেকে দাঁড় করাতে

আমি/ কি এখানে বসে থাকবেন

রিমি চুপ করে রইলো আমি হাত বাড়ালাম রিমির দিকে জানেন- তো মেয়েরা খুব বেশি অসহায় না হলে কারও হাত ধরতে চায়না

আমি/ কি হলো হাত ধরে থাকবেন নাকি উঠবেন

রিমি/ পারছিনা তো

আমি/ বুঝেছি

রিমি/ কি বুঝলেন

আমি/ কি আর কোলে উঠার শখ হয়েছে চলুন তাহলে আর কোলে করে নিয়ে যাই

রিমিকে কোলে নিলাম যদিও ওজনটা বেশি নয় তারপরও

আমি/ আল্লাগো এই আমি কি নিলাম ময়দার বস্তা নাকি গাজী ট্যাংক

হি হি হি করে রিমি হাঁসতে লাগলো যাক বাবা একটু হলেও মেয়েটার মুখে হাঁসি ফুটলো তাও আবার আমার জন্য

আমি/ এই যে এভাবে হাঁসলে হবেনা দুহাত দিয়ে আমার গলা পেঁছিয়ে ধরুন

রিমি যেভাবে বললাম সেভাবে ধরেছে

হাঁটতে লাগলাম রিমির দিকে তাকিয়ে

রিমি/ এইযে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন এভাবে

আমি/ বউয়ের দিকে স্বামীতো তাকাবে এখানে দোষের কি আছে

রিমি/ না আপনি তাকাবেন না আমার…..

আমি/ আমার কি হুমমম

রিমি/ কিছুনা

রিমিকে খাটে নিয়ে শোয়ালাম

চুপচাপ শুয়ে থাকো আমি আসতেছি

আমি মলম এনে রিমির পাঁয়ে মালিশ করতে লাগলাম

আমি/ কি এখন কেমন লাগে

রিমি অপলোক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে

আমি/ কি হলো অমন করে কি দেখ

রিমি/ দেখার মত তো চোখের সামনে কিছুই নেই
কি দেখব আর

আমি/ এখন কেমন লাগে

রিমি/ ভালো

আমি একটু খোঁচা দিয়ে বললাম

আমি/ শুকরিয়া জানাও উপরওয়ালার কাছে এমন একটা বর পাওয়ার জন্য

কিন্তু কথায় আছেনা আদা মরলেও আদার ঝাল কমেনা

রিমি মুখ ভেটকীয়ে বলে

রিমি/ ইসসসসস শখ কত পোলার এ মনটা অনেক আগে অন্যকাউকে দিয়ে দিছি সে মনে আর না কাউকে জায়গা দিতে পারব আর না কাউকে নতুন করে ভালোবাসতে পারব

আমি/ কিছুই করতে হবেনা তোমাকে

শুধু আমার ঘরে আমার বউ হয়ে থাকলে চলবে

রিমি কিছু বলতে যাবে তখন-ই

আমি/ না না আর কোন কথা নয় চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ঘুমাও

আমি বরং রান্না বসাই

রিমি খিলখিল করে হাঁসতে লাগলো

আমি/ ঐ মাইয়্যা হাঁসো

রিমি/ না হেঁসে কি উপায় স্বামী রান্না করবে আর বউ খাবে
হিহিহি

সত্যি রিমির হাঁসিটা পাগল করার মত

এতদিন শুধু দেহটা ভোগ করেছি তার মুখের হাঁসিটা তাই দেখতে পাইনি

যাক তারপরও তো রিমি আজ স্বামী বলে স্বীকার করলো

রিমি/ কি ভাবেন মনে মনে

আমি/ ভাবছি বউটা আমার প্রেমে পড়লো নাকি

রিমি/ পোলার শখ কত যান গিয়ে রান্না করেন তা নাহলে না খেয়ে থাকতে হবে

হুহহহহহ এমন ভাবে বলছে
মনে হয় সে আমার মালকিন

কিন্তু করার তো কিছুই নেই রাঁধতে তো হবেই

আমি/ ঠিক আছে যাচ্ছি তুমি ঘুমাও

রান্না বসালাম আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম

ঘরে বউ এনে কি লাভ হলো যদি রান্না করে নিজেকে খেতে হয়

একটু পরে রান্নাবান্না সব শেষ

রিমি এমন ভাবে হাত পাঁ মেলে শুয়ে আছে মনে হয় বাবার বাড়িতে আছে স্বামীর বাড়ি নয়

আমি/ এইযে ম্যাডাম চলুন
খেয়ে আমায় উদ্ধার করুন

রিমি/ এত দেরি হলো কেন সেই কখন গেলেন রান্না করতে
আর এখন বলছেন রান্না শেষ আমার তো মনে হয় দিনটা শেষ

আমি/ চটাং চটাং কথা না বলে খেয়ে নিন

রিমি/ না দিলে কি করে খাবো
এখানে নিয়ে আসেন

আমি/ পারবনা আপনি গিয়ে খেয়ে নিন

রিমি/ কি করে যাবো হাঁটতেই তো পারিনা

আমি/ ওহহহহ তাইতো

চলুন আমি নিয়ে যাই আপনাকে

রিমি/ হাতমুখ না ধুঁয়ে খেতে যাবো না না

দ্যাতততত এটা কি বউ নাকি ১বছরের শিশু

আমি/ দাঁড়াও আমি পানি আনতেছি

এই নাও হাতমুখ ধুঁয়ে নাও
এক বাস্তিল পানি এনে

চলুন আমার কাঁদে হাত রেখে

আমিও সে সুযোগে একটু মজা নিলাম

আমি/ বুঝলে তো বউ স্বামী ছাড়া মেয়েদের কোন দাম নেই
আরে স্বামী হলো মেয়েদের হাতের লাঠি যার উপর ভর করে পথ চলতে তাদের জন্য সহজ হয় হোক সে খারাপ নয়তো ভালো

রিমি/ বললে হলো আমি মানিনা

আমি/ তুমি তো স্বামীকে মানোনা স্বামীকে আর কি মানবে

চলবে…???

স্বামীর অধিকার পর্ব/৪

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/৪
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~~

রিমি/ জানি আপনার মত ছোটলোকরা শুধু শরীর-ই চায় আর আপনাদের শরীর পেলে চলে

একটা মেয়ের চাওয়া মনের কথা গুলো বুঝার মত সুন্দর একটা মন আপনাদের নেই

আমি রিমি মুখ চেপে ধরে বললাম

আমি/ চুপ একদম চুপ কোন কথা বলবেনা শুধু এটাই মনে রাখো তুমি শুধুই আমার আর কারও নয়

আর আমাকে স্বামী বলে গ্রহন কর

রিমি/ কখনওই না কোনদিনও না

আমি/ উফফফ আর সহ্য হয়না এই একটি কথা শুনতে

বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে

ফিরে আসলাম সেই রাতে
তাও আবার নেশা করে

দরজা টোকা দিতে

রিমি/ কে…..

আমি/ আমি

রিমি/ আমি কে

আমি/ আমি তোর স্বামী দরজা খুল তাড়াতাড়ি

রিমি বুঝতে পারছে এবার তাই দরজা খুললো

দরজা খুলতে আমি তার উপহার পড়ে গেলাম

রিমি/ ছিঃ ছিঃ আপনি নেশা করেছেন

শেষ পর্যন্ত নেশা করে বাসায় ফিরলেন

আমি/ হ্যাঁ আমি নেশা করছি তাতে তোর কি আমার টাকার আমি খাইছি
তোর বাবার টাকায় তো আর নেশা করিনি
আমার বাসায় আমি আসছি তুই বলার কে

রিমি চুপ হয়ে রইলো কারন সে বুঝতে পারছে মাতালরা এভাবে কথা বলে

রিমি আমাকে ঘরে নিয়ে গেলো

শুয়ে দিলো পাঁয়ের জুতাটাও খুলে দিলো

তারপর রিমি চলে যাবে এমন সময় তার হাতটা ধরে টান দিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম

আমি/ কোথায় যাও আমাকে একা করে

রিমি/ আপনার মত একটা মাতাল নষ্ট মানুষের সাথে থাকার কোন ইচ্ছায় আমার নেই

আমি/ তোমার না থাকলেও আমার আছে
আসো বুকে আসো

রিমিকে জড়িয়ে ধরলাম
রিমির যেমন ইচ্ছা নেই তেমনি বাঁচারও উপায়

সেই রাতেও রিমিকে অনেক কাছে পেয়েছি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে

সকাল হয়ে এলো ঘুম ভাঙ্গতে দেখি সবকিছু এলোমেলো

মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম

হায় মাবুদ না জানি কালরাতে আবার কি করলাম

আমি/ রিমি এই রিমি

রিমি/ নেশা কেটেছে আপনার মাতাল স্বামী

আমি মনে মনে খুশি হইলাম
আর সেই খুশিতে রিমিকে কোলে তুলে গান গাইতে লাগলাম

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে

রিমি/ এই ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন ছাড়ুন

আপনি কি জড়িয়ে ধরা ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া আর কিছুই জানেন না

আমি/ ঐ তোমার এত গা জ্বালাপোড়া করে কেন

আমার বউকে আমি ভালোবাসবো আদর করবো
কোলে তুলে নাচবো

তাতে তোমার কি

রিমি/ বউ মানে কি হুমমমম বউ মানে কি কারও স্বামী হওয়ার কোন যোগ্যতা আমিতো আপনার মাঝে দেখিনা

আমি/ দেখবে কি করে তুমি যে চোখ থাকতে অন্ধ

যাও সোনা খুব ক্ষুধা লাগছে কিছু খেতে দাও

রিমি/ বাহ্ বাহ্ বাহ্ খুব ভালোতো রাতে বললেন তুই করে আর এখন বলছেন সোনা বলে

সত্যি আপনারা পুরুষরা না সব পারেন

আমি/ এই শোন পুরুষ মানুষের এত দোষ ধরতে নেই

আর তুমি কি জন্মের পরে শুধু নিম পাতা খেলে চিনি মিষ্টি সন্দেশ এসব কিছুই তোমার পেটে পরেনি

রিমি/ এই শুনেন আমাকে যা বলার বলুন কিন্তু আমার পরিবারের কাউকে নিয়ে কিছু বলবেন না এই বলে দিলাম

যাক বাবা কি মেয়েরে এই মেয়ের সাথে কথায় কিংবা শক্তিতে নয়
ভালোবেসে তার মন জয় করতে হবে

রিমি আমার জন্য নাস্তা বানাতে যায়

আমি পিছন থেকে ডেকে তাকে হাত জোর করে বললাম

আমি/ রিমি

রিমি পিছন ফিরে তাকিয়ে

রিমি/ রিমি কি আবার কি আসলো আপনার ঐ নষ্ট মাথায়

আমি হাত জোর করে তাকে বললাম

ক্ষমা করে দিও কালরাতের ব্যবহারের জন্য

রিমি/ মুখ বাঁাকা করে বললো

রিমি/ থাক আর ন্যাকামো করতে হবেনা

নাস্তা দিচ্ছি খেতে আসুন

আমি/ রিমির আঁচল ধরে বললাম চলো

রিমি/ এটা কি হচ্ছে

আমি/ তেমন কিছুই নয় তোমার কথা শুনে মাথা ঘুরে

তোমাকে ধরে হাঁটলেতো অসভ্য বলবে

তাই আঁচল ধরে হাঁটি

রিমি/ ছাড়ুন খেতে দিচ্ছি বলে ভাববেন না আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি

আমি চাইনা কেউ আমার জন্য না খেয়ে থাকুক তাই ইচ্ছা না থাকলেও খেতে দিচ্ছি

টেবিলে গিয়ে দেখি ওমা পিঠা

আমি/ পিঠা কে বানালো

রিমি/ এ ঘরের চাকরানীটা

আমি খেতে খেতে বলি

আমি/ সেটা আবার কে

যাইহোক পিঠাটা দারুন হয়েছে আরও দারুন হতো যদি বউটা তার হাতে খাইয়ে দিতো

রিমি/ হুহহহহহ শখ কত

আমি/ এদিকে আসো তো

রিমি/ কেন

আমি/ আরে আসোইনা

রিমি এক পাঁ দু পাঁ করে আসে

আমার পকেটে হাত দাও

রিমি/ কি…..

আমি/ আরে হাত দাওতো

রিমি হাত দিতে ৫টাকার ১টা কয়েল পেল

রিমি/ এ ৫টাকার কয়েল এটা দিয়ে আমি কি করবো

আমি/ কাজের মেয়েটাকে দিয়ে দিও আর বলবে

তোমার ভাইজান তোমার হাতে বানানো পিঠা খেয়ে তোমাকে এই ৫টাকা বকশিষ দিয়েছে

রিমি বেলুনের মত ফুলতল লাগলো

আর বলে

রিমি/ কি আমি কাজের মেয়ে আর এই ৫টাকা আমার বকশিষ তবেরে আজকে তোমাকে আর ছাড়বোনা

রিমি আমাকে মারার জন্য ছুঁটতে লাগলো

আমিও এ ঘর ও ঘর ছুঁটা বেড়াই

রিমি/ দৌড়াও কেন তুমি না পুরুষ মানুষ একটা মেয়েকে এত ভয় পাও কেন

আমাকে তাড়া করতে গিয়ে হঠাৎ করে রিমি পাঁ মঁছকে পড়ে যায়

রিমি/ উহহহহ মা গো আহহহহ

আমি/ কি হলো সোনা ব্যথা কি খুব বেশি পেলে

চলবে….???

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ৩

0

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ৩

লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~~~

 

আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি রিমির হাতে লাঠি

 

শেষ পর্যন্ত বউয়ের হাতে লাঠির মার খেতে হবে না না সমাজ এটা মেনে নিবেনা

 

আমি/ আচ্ছা জানু তোমার সাদা শাড়ি পড়তে কেমন লাগে

 

রিমি/ বাজে একদম বাজে

 

আমি/ তাহলে হাতের লাঠিটা রেখে ূআমাকে একটু সাহায্য করো

 

রিমি/ ওহহহ হ্যাঁ তাইতো আমি ভুলে গেছি

 

কি করতে হবে বলুন

 

আমি/ এতদূর থাকলে কিভাবে কিভাবে কি বলবো

 

কাছে আসো

 

রিমি কাছে আসলো

 

আমি/ দেখতো সোনা লবণটা ঠিকমত হলো কিনা

 

রিমি/ হুমমমমম এক্কেবারে মনের মত

 

আমি/ এই এই পাগলী তোমার নাকে কালি আসলো কোথেকে

 

রিমি/ কই নাতো আমিতো মুখে হাত-ই লাগাইনি

কি বলছেন আপনি এসব

 

আমি/ দেখ স্বামীকে অবিশ্বাস করতে নেই তাহলে সংসারে অমঙ্গল নেমে আসে

 

রিমি/ কিন্তু আমিতো দাঁড়াও আমি আয়নায় গিয়ে দেখে আসি

 

আমি/ আরে আরে তার আর দরকার নেই আমি আছিনা তোমার স্বামী আমার দিকে তাকাও তুমি দেখতে পাবে

 

রিমি/ তাহলে মুখটা ধুঁয়ে আসি

 

না থাক তার আর দরকার নেই পকেট থেকে একটা টিস্যু বের করে

 

এদিকে আসো জানু রিমি আমার কাছে আসতে

 

টিস্যু দিয়ে মুছার নাম করে তার মুখে একটা চুমু খেয়ে নিলাম কোন ঝামেলা ছাড়া

 

রিমি/ হা করে তাকিয়ে এটা কি হলো

 

আমি/ স্বামীর আদর

এবার লক্ষী বউয়ের মত রান্না করো যাই আমি বরং একটা ঘুম দেই

 

রিমি/ ইহহহহ আপনি কোথায় যাচ্ছেন এখনও তো কিছুই হয়নি

 

আমি/ যতটুকু করেছি অনেক বেশি করেছি বাকীটা তুমি সামলাও

 

আর হ্যাঁ রান্না হলে আমাকে বলবে

 

রিমি/ সত্যি চলে যাবেন

 

আমি/ হুমমম লোকে দেখলে বউ পাগল বলবে তাই তোমার কাজ তুমি কর আমি বরং একটা ঘুম দেই

 

রান্না হলে আমাকে

বিছানা এসে শুয়ে রইলাম কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি

 

দুপুর হয়ে এলো

 

রিমি আমাকে না ডেকে খুব জোরে আওয়াজ দিয়ে একটা গান লাগালো

 

আমি/ এই তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে তুমি দেখনা আমি ঘুমাচ্ছি

 

রিমি/ তো আমি কি করবো

আমার গান শুনতে মন চাইছে তাই আমি লাগালাম

 

আমি/ গান শুনতে কে না করছে কিন্তু তাই বলে এত জোরে

 

রিমি/ এত ঘুম কিসের শুনি

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখুন

কয়টা বাজে

 

মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘড়িতে ২টা বাজে

 

এবার বুঝেছি গান শোনার শখ হয়নি আমাকে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য এই ব্যবস্থা

 

আমি/ ওহহহহহ সরি বুঝতে পারিনি

 

তুমি খেয়েছো

 

রিমি/ মানে কি আমি আপনার জন্য না খেয়ে বসে থাকবো নাকি

 

আমি/ না তা নয় একটু অপেক্ষা করলে পারতে

 

রিমি/ কোন প্রয়োজন মনে করিনা কারও জন্য অপেক্ষা করার

 

দূররররর এই মেয়ে সাথে কথা বলে কোন লাভ নেই আগে খেয়ে নিই তারপর যা করার করবো

 

আমি/ চলো খাবার দাও টেবিলে রাখা আছে খেয়ে নিন

 

কি আর করার যাই খেয়ে নিই এটাই বুদ্ধিমানের কাজ

 

খাওয়া শেষে এসে দেখি রিমি শুয়ে আছে কখনও রান্নাবান্না করেনি তাই হয়তো একটু অশান্তি লাগছে

 

তাই কপালে হাত দিতে

 

রিমি/ আচ্ছা আপনার কি লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই যখন তখন গায়ে হাত দেন কেন

 

আমি/ না তেমন কিছু নয় তোমার জ্বর আছে কি না দেখলাম

 

রিমি/ দরকার নেই দেখার এসব বাজে পুরুষকে আমার ভালো করে চেনা আছে

 

যারা একটা না একটা অজুহাত দেখিয়ে নারীর শরীর ছুঁতে চায়

 

আপনি আর কখনও আমাকে স্পর্শ করবেন না

 

আমি/ কেন করবনা তোমাকে স্পর্শ করার অধিকার আমার আছে কারন আমি তোমার স্বামী

 

রিমি/ জোর করে বিয়ে করে হয়তো স্বামী হওয়া যায় কিন্তু মন থেকে নয়

 

আমি/ জোর করে যেমন বিয়ে করে বউ বানিয়েছি

ঠিক তেমনি জোর করে স্বামীর অধিকারও আদায় করে নিবো

 

রিমি/ জানি আপনার মত ছোটলোকরা শুধু শরীর-ই চায় আর আপনাদের শরীর পেলে চলে

 

একটা মেয়ের চাওয়া মনের কথা গুলো বুঝার মত সুন্দর একটা মন আপনাদের নেই

 

আমি রিমি মুখ চেপে ধরে বললাম

 

আমি/ চুপ একদম চুপ কোন কথা বলবেনা শুধু এটাই মনে রাখো তুমি শুধুই আমার আর কারও নয়

 

আর আমাকে স্বামী বলে গ্রহন কর

 

রিমি/ কখনওই না কোনদিনও না

 

আমি/ উফফফ আর সহ্য হয়না এই একটি কথা শুনতে

 

বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে

 

ফিরে আসলাম সেই রাতে

তাও আবার নেশা করে

 

দরজা টোকা দিতে

 

রিমি/ কে…..

 

আমি/ আমি

 

রিমি/ আমি কে

 

আমি/ আমি তোর স্বামী দরজা খুল তাড়াতাড়ি

 

রিমি বুঝতে পারছে এবার তাই দরজা খুললো

 

দরজা খুলতে আমি তার উপহার পড়ে গেলাম

 

রিমি/ ছিঃ ছিঃ আপনি নেশা করেছেন

 

শেষ পর্যন্ত নেশা করে বাসায় ফিরলেন

 

আমি/ হ্যাঁ আমি নেশা করছি তাতে তোর কি আমার টাকার আমি খাইছি

তোর বাবার টাকায় তো আর নেশা করিনি

আমার বাসায় আমি আসছি তুই বলার কে

 

রিমি চুপ হয়ে রইলো কারন সে বুঝতে পারছে মাতালরা এভাবে কথা বলে

 

রিমি আমাকে ঘরে নিয়ে গেলো

 

শুয়ে দিলো পাঁয়ের জুতাটাও খুলে দিলো

 

তারপর রিমি চলে যাবে এমন সময় তার হাতটা ধরে টান দিয়ে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসলাম

 

আমি/ কোথায় যাও আমাকে একা করে

 

রিমি/ আপনার মত একটা মাতাল নষ্ট মানুষের সাথে থাকার কোন ইচ্ছায় আমার নেই

 

আমি/ তোমার না থাকলেও আমার আছে

আসো বুকে আসো

 

রিমিকে জড়িয়ে ধরলাম

রিমির যেমন ইচ্ছা নেই তেমনি বাঁচারও উপায়

 

সেই রাতেও রিমিকে অনেক কাছে পেয়েছি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে

 

চলবে…???

স্বামীর অধিকার পর্ব/ ২

0

স্বামীর অধিকার
পর্ব/ ২
লেখক/ ছোট ছেলে
~~~~~~~
রিমি/ কি হলো রিমি রিমি করা ছাড়া কি আপনার আর কোন কাজ নেই

আমি/ এটা কি দিলে
চা নাকি লবণের শরবত

রিমি/ মানে…..

আমি/ চায়ে চিনির বদলে লবণ কেন

রিমি দাঁত কিলিয়ে ইসসসসসস

আমি/ যাও আরেক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আসো

রিমি/ পারবনা

আমি/ কি আমার মুখের উপর কথা আজ তোমাকে আমি……..

রিমি/ হুমমমমম কি করবেন আমাকে বলুন

আমি/ কত ভাবিকে দেখলাম স্বামীর জন্য যখন চা বানায়
তখন আগে সে খেয়ে দেখে চা’টা তার মনের মত হলো কিনা

রিমি/ আমি তেমন মেয়ে নয় তেমন বউও নয়
আর আপনিও আমার সেরকম বর নয়

হঠাৎ করে আবার রিমি গরম হয়ে গেলো

যা দিয়েছি তাই খান আপনার মত মানুষের জন্য এটাই অনেক বেশি

আমি/ বলি এভাবে হবেনা শুধু এই সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বামীর ঘর করা যায়না

রিমি হা হা হা করে হাঁসতে বলতে লাগলো

রিমি/ স্বামী কিসের স্বামী কার স্বামী আপনিতো আমার কাছে রাস্তার ঐ মানুষ গুলোর মত

যারা না ভালোবাসতে জানে আর না ভালোবাসার মূল্য বুঝে

শুধু দেহ পেলে চলে

আমি/ এই শোন আমাকে জ্ঞান দিতে আসবেনা যাও

রিমি/ আপনার মত মানুষের সাথে কথা বলতে যার ইচ্ছে হয়না তাকে কি জ্ঞান দিবো

আমি/ চুপ একদম চুপ কথা বলতে ইচ্ছে না হলেও সারাজীবন আমার পাশে কাটাতে হবে

আর কোন উপায় নেই

জলদি যাও চা বানিয়ে নিয়ে আসো

রিমি/ বললাম তো পারবনা দোকান থেকে খেয়ে আসেন

আমি/ ঠিক আছে আজকে ছেড়ে দিলাম কাল কিন্তু ছাড়বনা

ওহহহহ হ্যাঁ তুমি খাইছো

রিমি/ আমাকে নিয়ে কারও না ভাবলেও চলবে

আমি/ পাখা গজিয়েছে না তোমার পাখা আমি ভেঙ্গে খাচায় বন্ধী করে রাখবো

রিমি/ শোনেন আপনার এসব কথায় এখন আর আমি ভয় পাইনা কারন এখন আর যার কিছুই নেই তার আবার হারানোর ভয় কিসের

মন চায় মেয়েটার দুগালে দুইটা দিয়ে দিয়ে দেই

না বড় আদরের বউ কষ্ট দেয়া যাবেনা

আমি/ এই শোন আমি বাহিরে গেলাম ফিরতে দেরি হবে হয়তো তুমি খেয়ে নিও

রিমি/ আপনাকে কে বললো যে আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করবো

আমি/ চুপ মেয়ে কোন কথা নেই যা বলছি তাই করবে

বেরিয়ে পড়লাম আর বললাম

আমি/ দরজাটা লাগিয়ে দিও

রিমি যদি পালিয়ে যায় একটা তালা লাগিয়ে দিবো নাকি

আবার ভিতরে গেলাম

রিমি/ কি ব্যপার আবার কেন ফিরে আসলেন কোথায় না যাচ্ছেন বললেন

আমি/ আমি গেলেই তো তুমি বাঁচো তাইনা যাবোনা কোথাও আজ সারাদিন বাড়িতে কাটাবো

রিমি মুখ বাঁকা করে চলে গেলো

এই সুযোগে আমিও এদিক ওদিক তালা খুঁজতে লেগে গেলাম

দূররররর শালার প্রয়োজনের সময় কিছুই পাইনা

রিমি/ এটাই তো খুঁজতেছেন তাইনা ধ্রুব সাহেব

আমিতো পুরাই হাবলু মার্কা হয়ে গেলাম

খুঁজি আমি কিন্তু রিমি কি করে জানে আমি যে তালা খুঁজি

তারপরও কথাটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেললাম

আমি/ ঐ দেমাগী মাইয়্যা এত পড়ালেখা করে কি হলো যদি স্বামী……….. না মানে অন্যকে সম্মান দিতে না জানো

রিমি/ শোনেন কোনরকম আজেবাজে কথা বলবেন না এই নিন তালা নয়তো আমি ভেগে যাবো

আমি/ আমি আপনাকে বলছি আমার তালা চাই

রিমি/ না বললেও জানি যে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারেনা সে আবার অন্যকে কি করে বিশ্বাস করবে

দ্যাততততত এই মেয়ের সাথে কথায় পারবনা

লাগবেনা আমার তালা আমি কথাও যাবোনা

রিমি/ যাবেন কি করে আপনি গেলে আমাকে পাহারা দিবে কে

আমি/ এত চটাং চটাং কথা না বলে যাও চুলায় রান্না বসাও

রিমি/ পারবনা

আমি/ না পারার কি আছে আর সব বউতো স্বামীর ঘরে এসে রান্না করে

রিমি/ সবাই সবার স্বামী পেয়েছে মনের মত কিন্তু আমি পেয়েছি একটা বাজে লোক কে যার সাথে কখনও আমার মনটা মিলবেনা

রিমি/ চোখে কালো চশমা পড়া থাকলে কাউকে ভালাবাসা যায়না

কাউকে ভালোবাসার মত মন কি তোমার আছে

রিমি/ চুপ একদম চুপ আর একটা কথাও বলবেন না

আমি/ কোন কথায় শুনবনা যান রান্না বসান

রিমি/ সত্যি বলছি আমি পারিনা

আমি/ না পারলেও রাঁধতে হবে যান আমিও আসতেছি

রিমি/ মানে আপনি কি করবেন

আমি/ তোমাকে রান্না শেখাবো

রিমি/ হুহহহহহহ বলে চললো রান্না ঘরে

আমি শুয়ে আছি

কিছুক্ষন পর রিমি এসে বললো

এইযে শুনছেন এইযে আপনাকে বলছি শুনছেন

আমি/ কি হলো এত চিৎকার করেন কেন বাড়িতে কি বাগ পড়ছে

রিমি/ বাগ নয় পাতিলটা পুঁড়ে গেছে

আমি/ পাতিল পুঁড়ে গেছে মানে

রিমি/ আপনি আসবেন বলে এখানে শুয়ে আছেন কেন

আমি/ বউ থাকতে আমি কোন দুঃখে রান্না করবো শুনি

রিমি/ খেতে হলে করতে হবে

আমি/ একটু দুষ্টুমি করে বললাম

আমার না খেলেও চলবে দুএকদিন লিপস্টিক খেয়ে বেঁচে থাকবো

রিমি/ কি বললেন

আমি/ কিছুনা চলুন

দুজনে রান্না করতে গেলাম

আহা জীবনে এত কান্না আমি আর কখনও কাঁদিনি

দুচোখ দিয়ে বৃষ্টি নামতে শুরু করলো

যখন আমি পেঁয়াজ কাঁটা শুরু করলাম

কিন্তু রিমি দেখি অন্য মনস্ক হয়ে আছে বুঝতে পারছি মেয়েটা আমাকে কিছু করতে চায়

চলবে….!!!

স্বামীর অধিকার প্রথম পর্ব

0

স্বামীর অধিকার প্রথম পর্ব

লেখক/ ছোট ছেলে

~~~~~

Thank You সোনা আমাকে এতটা মজা দেওয়ার জন্য আমি তোমার থেকে প্রতিদিন এভাবে মজা নিবো

শার্ট পড়তে পড়তে বললাম রিমিকে

রিমি এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে আর শুয়ে শুয়ে কাঁদতেছে

না পারছে চিৎকার করতে আর না পারলো নিজেকে রক্ষা করতে

রিমি আমার বিয়ে করা বউ
বাঁসর রাতে তার চোখের জল আর স্বজন হারানো কষ্ট দেখে সে রাতে আমি রিমিকে স্পর্শও করিনি

কিন্তু কালরাতে তাকে আর ছাড়িনি

রিমি আয়ানার সামনে বসে বসে চুল আঁছড়ায়

আমি পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরি

রিমিকে জড়িয়ে ধরতে সে আমাকে অনেক কথা বললো অনেক কথা শোনালো

রিমি/ বিয়ে করেছেন বলে কি যখন যা ইচ্ছা তাই করবেন
আমি আপনার হাতের খেলনা নাকি যখন যেভাবে বলবেন আমি সেভাবে নাচবো

শোনেন এসব ভালোবাসা আমাকে একদম দেখাতে আসবেন না এসবের আমি ঘৃণা করি

রিমির কথা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়

আর তাই রিমিকে জোর করে বিছানায় নিয়ে যাই

মন ভরে আদর করি রিমিকে নিজেকে অনেক চেষ্টা করার পরও বাঁচাতে পারেনি

কাজ শেষ রিমির পাশে শুয়ে রইলাম

খুব ক্লান্ত লাগছে

আমি/ আরে এত কান্নার কি আছে তোমাকে তো আর কেউ স্পর্শ করেনি তোমার স্বামী তোমাকে আদর করছে

যা অন্য স্বামীরাও করে

রিমি/ স্বামী কে কার স্বামী আর কে কার বউ

আপনার মত একটা বাজে মানুষ আমার স্বামী ছিঃ
এটা আপনি কি করে ভাবলেন আপনাকে আমি স্বামী হিসেবে মেনে নিবো

আর কে বলেছে আপনি আমাকে আদর করেছেন

আপনিতো আমাকে ধর্ষণ করেছেন স্বামীর মুখোশ পরে

ভাবতেও আমার ঘৃণা হয় আপনার মত একটা ছোটলোক কুৎসিত নোংরা মনের মানুষ সমাজের চোখে আমার স্বামী

আমি তার মুখ চেপে ধরে বললাম

আমি/ চুপ একদম চুপ তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে মানো আর নাই মানো তুমি রাজি থাকো আর না থাকো আমি এভাবে জোর করে স্বামীর অধিকার ছিনিয়ে নিবো

রিমি/ আপনার মত ছোটলোক গুলো এটা ছাড়া আর কি করতে পারে

আমি/ বুঝতে যখন পারলে তখন আর এত কথা কিসের

রিমি অন্যদিক ফিরে শুয়ে রইলো

রিমি অন্য আরেকটা ছেলেকে ভালোবাসে

আমি জানি তার মন প্রাণ দেহ জুড়ে ঐ ছেলেটা আছে

যার হাত পাঁ ভেঙ্গে দিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছি

তাকে মেরে ফেলার ও ভয় দেখিয়েছি আমি রিমিকে যদি সে আমাকে বিয়ে করতে রাজি না হয়

এই বিয়েতে রিমির পরিবারের সবাই রাজি ছিলো শুধু রিমি ছাড়া

কিন্তু পরিবারের চাপে আর প্রিয় মানুষটাকে বাঁচানোর জন্য আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয় রিমি

সকালে ঘুম ভাঙ্গতে দেখি রিমি পাশে নেই

ভাবলাম গোসলখানায় না সেখানেও নেই তারপর এ ঘর ও ঘর খুঁজে মরি কোথাও পাইনা

ছাদে দিয়ে দেখি রিমি এক কোণায় বসে আছে

আমি/ কি ব্যপার এখনও এখানে কি করছো একা একা
তোমাকে আমি সারা ঘর খুঁজে মরি

রিমি/ কেন খুঁজেন আমাকে এখনও কি আমাকে কিছু করার বাকি আছে নাকি আপনার

আমি/ হুমমমম অনেককিছু করার বাকি আছে তবে আমার নয় তোমার

রিমি/ মানে……

আমি/ মানে আবার কি দেখতে পাওনা তোমার স্বামী ঘুম থেকে উঠছে যাও গরম গরম এক কাপ চা বানিয়ে আনো

রিমি/ আপনাকে না বললাম স্বামী স্বামী করবেন না
আপনার মত একটা ছোটলোক কখনও আমার স্বামী হতে পারেনা

আর আমি চা বানাতে পারিনা
পারলেও একটা বাজে মানুষকে চা বানিয়ে খাওয়ানোর কোন ইচ্ছা আমার নাই

আমি/ জানলে নয় বলো পারিনা
আর না পারলে মানুষ এমনি বলে

যাও যাও চা বানাও নয়তো এখন…….

রিমি/ নয়তো এখন কি আর কি করার আছে নতুন করে

আমি/ নিজে বানিয়ে খেয়ে নিবো

হাঁসতে না চাইলেও রিমির মুখে তার অজান্তে হাঁসি চলে আসে

আমি রিমির হাত ধরে নিচে নিয়ে আসতেছি

রিমি/ এই কি করছেন কি করছেন এসব একদম ভালো হবেনা বলে দিচ্ছি হাত ছাড়ুন আমার

আমি রিমিকে রান্না ঘরে নিয়ে বললাম

আমি/ নাও চা বানাও আমি গোসল করে আসি

বেলুনের মত ফুলে আর মরিচের মত লাল হয়ে এক সাগর রাগ নিয়ে চুলায় আগুন দিলো

আমি তা দেখে গোসল করতে চলে যাই

গোসল করে এসে দেখি টেবিলের উপর চা আর বিস্কুট রাখা আছে

আমি দেরি না করে চায়ে চুমুক দিলাম

এক চুমুক খেতে মনে হয় কেউ আমার ভিতরে সব কেঁটে ফেলছে

বুঝতে আর বাকি নেই চিনির বদলে লবণ দিয়ে চা বানানো হয়েছে

আমি/ রিমি রিমি

চলবে…!!!

দুষ্টু বউ  পর্ব- ৫ম এবং শেষ.

0

দুষ্টু বউ  পর্ব- ৫ম এবং শেষ.
Jealous boy

!

!


(বলেই কাঁদতে শুরু করলাম)
.
–অই পাগল কাঁদস কেন?
.
–না কাদি না এমনি।
.–কান্না থামা,, আমি কোথাও
যামু না,, ওই পাগল, কান্না
থামা .
–তাইলে ক কাল যাবি না।।
.
–কাঁদলে যামুগা।।
.
–না কাঁদুমনা।।
.
–তুই একটা পাগল।। তোরে
ছাইড়া কই যামু
.
–হ,,,, সকালে তাইলে ঐ পোলা
কে আছিলো।
.
–ও আমার খালাতো ভাই, আমার
মেঝ খালার ছেলে।
.
–আমি কিছু জানি না, কারো
সাথে কথা বলবি না।
.
–নিজে যে টিনার সাথে…
.
–তোরে চেতাই বার লিগাই
তো।।
.
–হ আমিও বুঝছি, এর জন্যই তো
খালাত ভাই আর আমি মিইল্লা এই
প্লেন করছি।।
.
–ইও,, দুষ্টু
.
—না দুষ্টি,,
.
–তাহলে বল আর দুষ্টামি করবি
না .
–না করুম না।।
.
সেদিন একটা কম্বাল ছুড়ে
ফেলে দুইজনে
এক কম্বলেরই নিচে,, আমার উপর
দিয়ে ও পা দিয়েছে আর আমি
ওর উপর দিয়ে হাত দিয়ে দুজন
দুজনকে জড়িয়ে ধরে
শুয়ে আছি। কেন জানি খুব
ভাল লাগছে।।নিজেকে
পরিপূর্ন লাগছে।।
যাক বাঁচা গেলো, কাল থেকে
তবে আর দু্ষ্টোমি করবে না,, আর
চলেও যাবে না।
ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে
পড়লাম।। সকাল বেলা আবার ওর
সেই চিল্লাচিল্লি শুনে ঘুম
ভাংলো।। .
–আন্টি আন্টি দেখে
যাও,,দেখে যাও আন্টি তোমার
ছেলে কি করছে।।
.
–কি করছে মা? ( আম্মু)
.
–এই দেখো আন্টি, তোমার
ছেলে আমার কামিছ পড়ে বসে
আছে।।
.
হায় হায় এটা কি হলো, আমি
কামিছ পড়লাম কিভাবে।। হায়
হায় ইজ্জত বুঝি গেলো।। না না
এটা আমি পড়ি নি।।
এটা নিশ্চই অন্য কেও করেছে,
এটা নিশ্চই ওর কাজ, মানে
আমার “দুষ্টু বউ “এর।।।
সমাপ্ত
.
(বিঃদ্রঃ বাল্য বিবাহ আইনত
অপরাধ।)
.
কিছু কথা– গল্পটার স্থান, পাত্র,
ঘটনা সবই কাল্পনিক।।তাই
কারো সাথে কিছু মিলে গেলে
বা অনুভুতিতে আঘাত হানলে
আমি (লেখক) কোন ভাবেই দায়ী নই।।

দুষ্টু বউ “পর্ব– ৪র্থ

0

দুষ্টু বউ “পর্ব– ৪র্থ
jealous boy

!

!

.
–চলে গেছে মানে? (আমি)
.
–হ স্কুলে চলে গেছে। কি নাকি কাজ
আছে।(আম্মু)
.
–আচ্ছা। আমি তাহলে যাই। রিক্সা করে
স্কুল যাচ্ছি, আজ মনে হচ্ছে রিক্সা
চলছে না। রাস্তাও বুঝি আর
ফুরোচ্ছে না। কি কাজ থাকতে পারে
ওর?
না তেমন কোন কাজওতো নেই,,
আর প্রাইভেট স্যারের তো আজ পড়া
নাই।।
তবে কি কারো সাথে দেখা করতে
আসছে,, মেজাজটা বেশ খারাপ
হচ্ছে।।
রিকসা থেকে নেমে ভাড়া দিচ্ছি-
.
–মামা এই নাও
.
–কত দিলেন মামা?
.
–কেন ১৫ টাকা
.
–মামা ২০ টাকা তো।।
.
–১৫ টাকা দিছি ওটাই রাখো
.
–মামা আপনে ২০ টাকাইতো
দিতে চাইছেন।।
–দুর রাখো।।
কখনো রিকসা ওয়ালা মামাদের সাথে, উচু
গলায় কথা বলি না, কিন্তু কেন জানি আজ
বকা দিলাম। পরে আবার গিয়ে ৫ টাকা
দিয়ে আসলাম।
ক্লাসে ঢুকে যে সিন দেখলাম তা
দেখে মাথা গরম হয়ে গেলো।
আমার বউ অন্য ছেলের সাথে হাসি
তামাসা করছে। কেমন কাছে গিয়ে
কথা বলছে।
ওদের মাঝে কি তবে কিছু আছে?
ওরা কি তবে একে অপরকে,,,,,
.
না না কি সব ভাবছি আমি, আর ও চলে
গেলে তো আমার খুশি হওয়ার কথা।
আমার এমন লাগছে কেন। কেমন
যেন মনে হচ্ছে, যেমনটা প্রিয়
কোন জিনিস হারালে লাগে।
। ভাবতে
ভাবতে গিয়ে সান্তাকে ডাকলাম-
.
–সান্তা, শোন
আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ঘুড়িয়ে
নিলো,, মনে হলো আমি যেন বিরক্ত
করছি ওকে।।
–সান্তা,, এইদিকে শোন
.
–কি হইছে? (একটু রেগেই বল্লো)
.
–এদিকে একটু শোন
.
–যা বলার এখানেই বল।।
.
–না কিছুনা।।
.
বলেই চলে আসলাম।। আমি কি কম নাকি,
গিয়ে টিনার সাথে আমিও হাসি তামাশা শুরু
করে দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ ধরে
হাসি তামাসা করছি কিন্তু ও কোন রকম
রিসপন্স করলো না।। আজ ওর মাঝে
আর রাগ দেখতে পেলাম না। আজ আর
চোখ গরম করলো না, বেশ স্বাভাবিক
ভাবেই বসে আছে।। তবে কি সত্যি ও
ঐ ছেলেটার সাথে কোন
রিলেশনে জড়িয়েছে?
.
কেন জানি আজ আর ক্লাসে মন
বসছে না, যে মেয়ে দিনে অনেক
বার তাকাতো সে আজ ভুলেও একবার
তাকায়নি।।
.
স্কুল ছুটির পর বাসায় যাবো, কিন্তু রিকসা
পেলাম না।। তাই দুজন হেটেই যাচ্ছি
আর মাঝে মাঝে কথা বলছি–
.
–ঐ ছেলেটা কে রে?
.
–কেও না
.
–ও,, পছন্দ করিস?
.
–তাতে তোর কি?
.
–না এমনি,, তোদের ভাল মানাবে
.
–জানি,, ও কাল ওর আম্মুকে আমার কথা
বলবে।।
.
–এত ফাষ্ট তোরা?
.
–হুম
.
–আমার উপর রেগে আছিস?
.
–কেন? রাগ করবো কেন?
.
–না, এমনি মনে হলো,, আজ যে বিছানা
ভিজালি না, দুষ্টমিও করলি না।
.
–কে বলছে করি নি,, আজ ওরে (ঐ
ছেলে) কিল দিছি পিঠে।
.
–ও,, আচ্ছা তারাতারি হাট
.
কেন জানি খুব খারাপ লাগছে, আজ ও
অন্য কারো সাথে দুষ্টুমি করছে।
কিছু ভালো লাগছে না।বলতে ইচ্ছে
করছে, সান্তা তুই আমার সাথে দুষ্টমি
করবি, আর কারো সাথে না। কিন্তু সে
সুযোগটা হয়তো আর নেই।
.
বাসায় গিয়ে দেখি খেয়ে দেয়ে
সান্তা ব্যাগে কাপড় গুছাচ্ছে।।
.
–কিরে কই যাস? (আমি)
.
–কাল বাড়ি যামু
.
–কেন?
.
–তোগো বাড়ি থাইকা তোরে
দিস্টার্ব কইরা লাভ নাই। কাল আম্মু আব্বু
আসবো।
.
–তুই কোথাও যেতে পারবি না।
.
–আমাকে যেতেই হবে।
.
কেন জানি জোর করতে পারলাম না,
কারন এ বাসা থেকে যাওয়ার কারনটা যে
আমি। খুব কষ্ট হচ্ছে। বুকের
ভেতরটা কেমন যেন করছে,,
কাঁদতে পারছি না। আম্মুর কোলে মাথা
রেখে কাঁদতেছি আর আম্মু বলছে
.
–কিরে কি হইছে?
.
–আম্মু অনেক পেট ব্যাথা করছে।
(সত্য কথাটা বলতে পারলাম না যে সান্তার
জন্য খারাপ লাগছে) .
–পানি দিয়ে ঔষধটা খা।।
.
–না খাবো না, এমনিতেই চলে যাবে।।
.
রাতে আর খেলাম না, শুয়ে পড়লাম।।
সান্তা আমার পাশে আর একটা কম্বল
নিয়ে শুয়ে আছে।। কেউ কিছু বলছি
না। অনেক ক্ষণ পর আমিই কথা শুরু
করলাম।।
.
–সান্তা,,,,,,,,,, ওই সান্তা,,,, ঘুমাইছিস?
.”
–কি হইছে বল।।
.
–কালকি সত্যি তুই চলে যাবি?
.”
— হ,, থাইকা কি করুম বল।।
.
–হ তাইতো,,
……(চলবে)

হিংসুটে ছেলে

দুষ্টু বউ  পর্ব- ৩য়

0

দুষ্টু বউ  পর্ব- ৩য়
jealous boy
!

!

.
-আন্টি আন্টি দেখে যাও, তোমার
ছেলে বিছানা নষ্ট করে
ফেলেছে। এই বুড়া বয়সে।। –কি
করছিস এটা? (আম্মু)
.
–কিছু করি নি তো,,
.
–তাহলে বিছানা ভেজা কেন?
.
— ও ভিজাইছে।
.
–ও ভিজাইলে ওর জমা ভেজা থাকবো,
তোর প্যান্ট ভেজা কেন? .
— আন্টি আগে বলতা তোমার
ছেলের এ অভ্যাস আছে, তাহলে
আমার ভাতিজার পেমপার্স নিয়ে আসতাম,,
পড়ে ঘুমাইতো।। (সান্তা) .
–তুই কিন্তু বেশি কথা বলস (আমি) .
–ইইইই বিছানা নষ্ট করতে পারবা, কেও
বলতে পারবো না।
.
বলতে বলতে দুজনে রুম থেকে
চলে যায়, যাওয়ার আগে কি যেন ইঙ্গিত
করে সান্তা।। কিন্তু কি তা বুঝলাম না।।
তাহলে কি সত্যি সত্যি বিছানা নষ্ট করে
দিলাম,, খাটের তলা থেকে স্যান্ডেল
বের করতে গিয়ে দেখি খালি পানির
জগ, তার মানে বজ্জাতটার কাজ।। কিসের
পাল্লায় পড়লাম রে ভাই।।। ভাবতে ভাবতে
গোসল করে স্কুলের জন্য রেডি
হতে হতে ৮.৩০ বেজে গেছে। ।
বিয়ের পর প্রথম স্কুল আজ।
দুইজনে রিকসায় যাচ্ছি। রিকসাটাও যেন
ওর দখলে।। কোন রকম একটু বসে
যাচ্ছি আর রিকসাওয়ালা বলল।
.
–মামা গালফ্রেন্ড নাকি?
.
–গালফ্রেন্ড হলেতো ব্রেক আপ
কইরা বাইচা যাইতাম।। (আমি)
.
–তাইলে কি?
.
–এইডা আমার দজ্জাল বউ।।
.
–অই তুই আমারে দজ্জাল কইলি কেন?
(সান্তা)
.
–তোরে কি কইবো?
.
–মামা কওতো আমার মত সুন্দরি মেয়ে
ওর মত বাদর মার্কা পোলায় পাইবো?
.
. (রিকসাওয়ালা আমাদের দিকে ঘুড়ে
তাকিয়ে)
.
–না পাইবো না।
.
হায়রে কপাল, রিকসাওয়ালা মামাও ওর পক্ষ
নিলো। কোথায় যাবো।। নাহ আর না
ওরে আমি মজা দেখাবো।।
.
–অই তুই ঐ মায়ার দিকে তাকিয়ে ছিলি
কেন?
–কই নাতো।।
.
— হ তাকিয়ে ছিলি। দেক কারো দিকে
তাকাবি না, নইলে তোর খবর আছে।।
.
আমি অন্য কারো দিকে তাকালে
অনেক রাগ করে,, তাহলে অন্য
কারো সাথে প্রেম করতে
দেখলে কি অবস্থা হবে।। ও ইয়েস,,
দাড়াঁও মেয়ে তোমার প্রতিষোধ
নিচ্ছি।। .
স্কুলে সেরা ১০ সুন্দরিদের মধ্যে
ও নিজেও আছে। আর কাটা দিয়েই কাটা
তুলতে হবে।।। টিনাও সেরা সুন্দরিদের
মধ্যে ১ জন।। তবে টিনার সাথে আজ
থেকে প্রেম করবো,, টিনা আমাকে
আগে
থেকেই পছন্দ করে। ওর সাথেই
রিলেশন করবো। এ মেয়ের সাথে
সংসার করা যাবে না।
.
স্কুলে গিয়েই টিনার সাথে ঘেসে
ঘেসে কথা বলছি, আর হাসাহাসি করছি
দুজন।। আরেক জন লুচির মত
ফুলতেছে।। এটাইতো চেয়েছিলাম।।
যাক বাচা গেছে স্কুলের কেও
জানে না যে আমাদের বিয়ে হইছে।।
.
স্কুল ছুটির পর আবার রিকসায় বাড়ি যাচ্ছি,,
কিন্তু এবার আর কথা নেই।।মাথা নিচু করে
বসে আছে।। বাসায় গিয়েই আম্মুকে
বলছে।।
.
–আন্টি আমি বাসায় যাবো।।
.
–কেন বাসায় যাবে কেন? তোমার
আব্বু আম্মুতো হজ্জ থেকে
আসে নি।। তুমি একা বাড়িতে। না না
এখানেই থাক।।
.
–না আন্টি আমি বাসায় যাবো..
.
— পাজিটা কিছু করছে?
.
–না
.
— বকছে?
.
–না,, এমনিতেই বাসায় যাবো।।
.
–কোথাও যাওয়া হচ্ছে না।। কাপড়
ছেড়ে গোসল করে খেতে
আস।।
.
আম্মুর কথায় বাধ্য হয়ে থাকছে। আমার
কি, গেলে ভালো হতো বেঁচে
যেতাম।। সাবধানে থাকতে হবে, আবার
কোন মতলব আটছে জানিনা।।
.সেদিনের মত রাতে খেয়ে
দেয়ে ঘুমাতে গেলাম। খেতে
বসে ওকে দেখা যায় নি,, রুমে এসে
দেখি ও আলাদা কম্বল নিয়ে শুয়ে
আছে।। আজ কম্বল ভিজায় নি, কোন
মতলবও করে নি।। যাক বাবা আজ
শান্তিতে ঘুমানো যাবে।। কিন্তু ঘুম
যেন আসছে না।। দুষ্টমি করলো না
কেন? ওর দুষ্টমিতে একটু একটু রাগ
হলেও বেশ ভালই লাগতো।। আজ
ভাললাগাটা মিছ করছি।।
আজ আর ঘুম আসলো না। মধ্যরাত
হয়ে গেছে কিন্তু ঘুম আসলো না।।
আজ ওর পাঁ’টাও আমার উপর দিয়ে দেয়
নি।। আমার উলটো দিকে মুখ করে
শুয়ে আছে।। যাক বাবা ঘুমাই সকাল সকাল
ওর আগে উঠতে হবে নইলে আবার
কোন কান্ড করে বসবে।।
.
সকালে উঠতে উঠতে তাও ৮টা
বেজে গেছে।। কাজ সেরেছে
আজ আবার কি করেছে,, বিছানা চেক
দিলাম, না ভেজা না।। আয়নার সামনে
গেলাম, না মুখেও কিছু নেই।। কেন
জানি খুব খারাপ লাগছে।। মনে হচ্ছে কি
যেন নেই।। সবকিছুর মাঝেও কি একটা
যেন নেই।। ভাবতে পারছি না।।
.
গোছল করে স্কুলের জন্য রেডি
হয়ে ৯ টায় নাসতা করতে বসছি। কিন্তু
ওকে দেখলাম না।। কেন যেন খুব
জানতে ইচ্ছে করছে দুষ্টুটা
কোথায়।।
.
–আম্মু,,
.
–কি বল?
..
–না কিছু না।।
.
–ওকে খা,,
.
–আম্মু, সান্তা কই? দেখছি না যে। .
–ও তো চলে গেছে……(চলবে)

দুষ্টু বউ  পর্ব – ২য়

0

দুষ্টু বউ  পর্ব – ২য়
Jealous boy

!
!
..
কি করবো কিছুই বুঝতেছি না, আম্মু ওর
হাতে মানে ক্ষমতা ওর হাতে।।
জোট সরকারকে আমি বিরোধী দল
কি করতে পারবো।
কিন্তু করতে হবে, ভাবতে ভাবতে
মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এলো। এক গ্লাস সরবত
বানিয়ে নিয়ে গেলাম।-
.
-সান্তা, সান্তা
.
-ওই আমার নাম ধরে ডাকলি কেন?
.
-তুইনা আমার আদরের বউ।
.
-বাহ বা,, এত পীরিত,, নিশ্চই কোন
মতলব আছে
.
-তুইযে কি বলিস, মতলব করবো কেন,
তাছাড়া তোরে সেই কবে থেকেই
আমার ভাল লাগতো, তোর দিকে
তাকিয়ে থাকতাম। (পুরাই ফাপড়)
.
-ওই মুখ ছুটাইস না, তুই তাকাইতি শ্রাবণীর
দিকে।।
.
(এই মেয়ে দেখি আমাকে আগে
থেকেই ফলো করছে, ফাপর
দিয়েও কাপড় ছিড়লো না।। উলটা ধরা
খেলাম)
.
.-দুর কি যে বলিস, তুইতো আমার সব,
আমার আদুড়ি।
.
–হইছে হইছে কি করতে হইবো
সেটা বল।।
.
– এই সরবতটা খা।। তোর জন্য বানিয়ে
এনেছি।।
.
–এত ভালবাসিস আমাকে?
.
-হুম, তুই বুঝিস না?
.
-হুম বুঝছি। দে গ্লাসটা (গ্লাসটা নিয়েই
চিল্লাতে থাকে,)
.
–আন্টি, আন্টি,, আন্টি,,,,
.
— আন্টিরে ডাকস কেন,, ওই থাম থাম
আম্মুরে কেন?
.
–কি হইছেরে মা? ( আম্মু)
.
–আন্টি, তোমার ছেলে আমারে
কি যেন খাওয়াইতে চাইছিলো, এই
সরবতে মিসেয়ে
.
–সত্যি? ছিজান বল এমন করেছিস? .
— না আম্মু কিছু নাই ওটায়।।
.
–তাহলে তুই খাঁ।।
.
(এই সেরেছে,, এটা খেলেতো
টয়লেটে গিয়ে বসে থাকতে হবে)
.
–না আম্মু একটু আগে অনেক পানি
খেলাম।।।
.
-আন্টি খাবেনা দেইখেন।। কার এডের
ভিতর কিছু দিছে।।
.
দুই জনের চিল্লা চিল্লিতে সরবতটা বাধ্য
হয়ে খেলাম।। খাওয়ার ঘন্টাখানেকের
মধ্যে একশন শুরু।। গুনে গুনে ১৭ বার
টয়লেটে যাই।। শেষবার টয়লেটে
যাওয়ার আগে দেখি টয়লেট তালা
দেওয়া।। আম্মুও পাশের বাড়ি গেছে।।
নিশ্টই এটা বজ্জাত মায়াটার কাজ।।
.
-ওই বাতরুমে তালা দিছে কে? (আমি)
.
-আমি।
.
-তুই ভয় পাসনা আমারে? আবার বলস
“আমি”
.
– তোরে? আর ভয়? হি হি হি
.
-হাসি থামা আর চাবি দে।
.
-না,, চাবিও দিমু না হাসিও থামামুনা,, হি হি হি, হো
হো হো।। (আরো যেন বেশি হাসি
শুরু করলো, এদিকে আমার যায় যায়
অবস্থা)
.
-দেনা চাবিটা?
.
-তাইলে ক আর আমার পেছনে লাগবি না
.
–আইচ্ছা, এবার চাবিটা দে (পেটে খুব
গন্ডগোল করছে। মনে হয় প্যান্ট
নষ্ট হয়ে যাবে।।) –এই নে এবারের
মত দিলাম,, আমার সাথে লড়তে আইলে
তোর অবস্থা খারাপ করে ফেলবো।।
.
চাবিটা নিয়ে বাতরুমে, গেলাম ইস
আরেকটু দেরি হলে প্যান্ট নষ্ট
হয়ে যেত।। মেয়েটাকে জব্দ
করতে হবে।। আজ বাতরুমে যেতে
যেতে অবস্থা শেষ।। দাড়াঁবার শক্তি
পাচ্ছি না।। ভাবতেছি আর মনে মনে
বলছি-সখী রাতে আসো দেখাবো
মজা।।। বাতরুম থেকে বের হয়ে
দেখি ও দাড়াঁনো।।
.
–ভিতরে বইসে বইসে কি ভাবলি,,
আমারে জব্দ করবি?
.
–না না, তা কেন,,, (ও জানলো
কেমনে আমি বসে বসে ওকে
জব্দ করার কথা ভাবছি,, মেয়েটাকি তবে
কালা জাদু জানে?)
.–দেক আমার সাথে পাঙ্গা লবি না।। মায়া
মানুষের সাথে পাঙ্গা লইলে তার ফল
ভাল হয় না।।
.
–থাক বাবা, তুই তোর মত আমি আমার
মত।।
.
–জি না,, আমি যা বলুম তোরে তা শুনতে
হইবো।।
.
–ইস আমার ঠেকা পড়ছে!!
.
-করবি নাতো? ঠিক আছে তোরে
দেখে নেবো।।
.
সেদিন রাতে বসে খাচ্ছি সবাই, খাবারটা
বেশ মজা হইছে।। আহ কি মজা, গরুর
মাংশটা বেশ হইছে।। তাই আম্মুকে
জিজ্ঞাস করলাম- .
-আম্মু গরুর মাংশ কে রান্না করছে?
.
-সান্তা,, কেন?
.
-একটুও মজা হয় নাই। (মজা কিন্ত ঠিকই
হইছে, বাট উলটা টা বল্লাম,, বলতে
চাইছিলাম মজা হইছে বাট ও রান্না করছে
তাই বল্লাম মজা হয় নাই )
.
-মজা হয় নাই? কাওরে খাইতেতো
কেও জোর করতাছে না।। আন্টি
আপনার কেমন লাগছে?
.
— হুম, অনেক মজা হইছে।। (আম্মু) .
–আন্টি তোমার মজা লাগলেই হইবো।।
.
মজার মাংশ প্লেটে রেখে উঠতে
ইচ্ছে হচ্ছিলো না। কিন্তু ইজ্জতের
একটা ব্যাপার সেপার আছে। উঠে
রুমে গেলাম।। আজ নিজের কম্বল
আলাদা এনেছি। আজ আর আমাকে
জ্বালাতে পারবে না।।
.
কিন্তু যা ভাবলাম তার উলটোটা হলো।।
ও জগ দিয়ে পানি আনলো। ভাবছিলাম
আমার কম্বলটা ভিজাবে।। একি সে
নিজের কম্বলটাই ভিজালো। আবে মায়া
নিজেরটা নিজেই ভিজাইলো, মাথা খারাপ
হইলো নাকি। যাইহোক আমারটা ভিজায় নি
তো।।
.
কম্বল ভিজিয়ে বাইরে
চলেগেলো।।
এবার দেখি আম্মুকে নিয়ে এসে
রিপোর্ট-
.
–আন্টি দেখো তোমার ছেলে কি
করছে?
.
–কি করছে?
.
–আমার কম্বলে পানি ঢেলে দিছে।।
.
(বলেই নেকা কান্না শুরু করছে, আর
আমাকে লুকিয়ে, লুকিয়ে
ভেঙাচ্ছে।। আল্লাহ কোথায় এসে
পড়লাম।।)
.
— আম্মু আমি ভিজাই নি, ও নিজেরটা
নিজেই ভিজাইছে।।
.
—থাক, আর বলতে হইবো না।। যা দুইটায়
এক কম্বল নিয়েই ঘুমা।। .
কিছু করার নেই, একই কম্বলের নিচে
দুজনে শুতে হলো কিন্তু কম্বলটা
কালকের মত আবার নিজেই দখল করে
নিলো।। আম্মুকে ডাকতে চাইলাম
.
–আম্মু, আম্মু
.
-বুইড়া পোলা আম্মুরে কেন?
.
-দেখামু কতটুকু কম্বল দিছস।। .
–ও তাই,, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা,, তোর কষ্ট
করা লাগবেনা আমিই ডাকি।। আন্টি আন্টি
.
–অইে চুপ চুপ।। আর করুম না
.
–কানে ধর
.
–না,,
.
— আন্টি,,,,
.
– ধরছিতো,,
.
–এবার ঘুমা।। কিছু করার চেষ্টা করবি তার
ফল ভাল হবে না।। কিছু বল্লাম না, ঘুমিয়ে
পড়লাম।। সারা দিনের ধকলে শরির
ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে পড়লাম।
.
প্রতিদিনের মত আজও মাঝরাতে ঘুম
ভেঙে যায়।। ঘুম ভাংতেই দেখি তার
একটা পাঁ আমার উপর দিয়ে ঘুমাচ্ছে।।
ইচ্ছে হচ্ছে পাঁ টা ভেঙে দেই।।
কিন্তু শত হলেও আমার বউতো।। তাই
আমিও ওর উপর হাত দিয়ে ঘুমিয়ে
পড়লাম।। সকাল বেলাই ওর চিল্লাচিল্লি
শুনে ঘুম ভাংলো,।। আম্মুকে ডাকছে-
.
— আন্টি, আন্টি দেখে যাও তোমার
ছেলে কি করছে।।
.আবার কি করলাম,
আবার কোন মতলব আটলো দুষ্টুটা?………(চলবে)

দুষ্টু বউ পর্ব– ১ম

0

দুষ্টু বউ  পর্ব– ১ম
jealous boy
!.

!
আম্মু আম্মু ঐ মেয়েটা নাকি
আমার সাথে শুবে।।
আমার বিছানায়। কেমন লাগে
বলো।। এমনিতেই আমার রাতে
লুঙ্গি ঠিক থাকে না, তার উপর
আবার এই মেয়ে যে দুষ্টু।। না না
আম্মু, আমার রুমে আমি একা
থাকবো।।
.
তখন থেকে আমি আম্মুকে বলেই
যাচ্ছি, বলেই যাচ্ছি কিন্তু আম্মু
কিছু বলছে না। শুধু মুচকি মুচকি
হাসছে।।
বিরক্ত হয়ে শুতে আসলাম।। কিন্তু
সেই মেয়েটা আমার বিছানা দখল
করে আছে।। কি পাজিরে ভাই,
কিছু বল্লেই সাপের মত ফনা তুলে।
কিছু বলতে পারি না।
না জানি কি করে বসে।। কিছু
বলার আগেই আন্টি আন্টি করে
আম্মুকে ডাকে। আর কি সব
বানিয়ে বানিয়ে বলে আম্মুর
হাতে আমাকে জব্দ করে।।
এই পাজি মেয়েটাকে আম্মু আমার
গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে।।
.
একদিন যেই ক্লাসে একটু কলম
চেয়েছিলাম বলে কেমনই না
করলো।। আমাকে সারা ক্লাস
ভেঙিয়েছে।।।
.
আম্মুযে কি করলো, পাজি আর
ফাজিল মেয়েটারে আমার গলায়
ঝুলিয়ে দিলো।
.
.ক্লাসের সবাই যদি জানে
আমাদের দুজনের বিয়ে হইছে,
তবেতো শেষ।। তার উপর আবার
আমি মাত্র ১৬ বছর বয়সি। এত
পিচ্চি বয়সে বিয়ের কথা বল্লে
কেমন যেন হাসে।। যাইহোক
সাত পাঁচ না ভেবে ওকে
ডাকলাম।।
.
-ওই শোন।
.
-কি হইছে? (এমন ভাব নিলো যেন
রুমটা ওর)
.
-আমার রুমে, আমারই বিছানায়
শুয়ে বলছো কি হইছে?
.
-তোর রুম,? তোর বিছানা? নাম
লেখা আছে?
.
-নাম লিখা লাগবে না, এগুলো
আমার
.
– বল্লেই হলো আমার,, এগুলো
আমার, আমি আগে শুইছি আমার।।
.
কিসের পাল্লায় পড়লামরে বাবা,
আমার বিছানা দখল করে, বলছে
তার বিছানা।।
এই ছিলো আমার কপালে। বাসর
রাতে নাকি কত রোমেন্টিক কথা
বার্তা বলে, বউ আর বর।।
আমার বউ, ইস যেন ধানি লঙ্কা।।
কি আর করার, শীতের ভেতর ছোট
লেপটা নিয়ে পাশাপাশি শুয়ে
আছি, কিন্তু লেপটা যেন তার
একাই লাগবে।। টেনে পুরোটা
নিজেই দখল করে রেখেছে। তাই
বিরক্ত হয়ে বল্লাম-
.
-দেখ ভাল হচ্ছে না কিন্তু
.
-অই অই তুই আমারে কি ভাল
দেখাবিরে?
.
-তোরে ধইরে পিটামু।
.
-ইইইইইইই,,, আইছে বীরপুরুষ,,রাত্র ে
নিজের লুঙ্গি ঠিক রাখা পারে
না, আসছে আমার সাথে পাঙ্গা
লইতে।।
কিছু বল্লাম না, এ মেয়ে দেখি
সবই জানে, ইজ্জতের ১২ টা
বাজিয়ে দিবে নইলে।। ঘুমানোর
চেষ্টা করছি আর ভাবছি,,
১৬ বছরে কোন ছেলে যেন বিয়ে
না করে নইলে আমার মত ফাইসা
যাইবো।।।
.
মাঝরাতে কেনযানি ঘুমটা ভেঙে
যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি ও
ঘুমিয়ে আছে, এলোচুলে যেন ওর
প্রতি কেমন যেন একটা আকর্ষন
হচ্ছে,, ইচ্ছে করছে ওর এলো চুল
গুলো ঠিক করে দিই।।
ডিম লাইটের আলোতে, ওকে যেন
সর্গের পরীর মত লাগছে।।
আমি ছুয়ে দিতেই, চ্যা চ্যা করে
চিল্লায় ও।।
.
–অই অই মায়া মানুষের শরিরে হাত
দেস? আন্টি আন্টি..
(বলতে বলতেই চেচায়, আমি হাত
দিয়ে মুখটা চেপে ধরতেই সজরে
কামড় বসিয়ে দেয়।।)
–মা গো বাবা গো,,, আমাকে
কামড় দিয়ে মেরে ফেল্লো গো।।
এবার ও আমার মুখ চেপে ধরে।
আমি কিছু বল্লাম না।।
.
–কিরে কামড় দিবি না? (ও)
.
-না দিবো না,, আমি তোর মত
ফাজিল না।।
.
–আমি ফাজিল হইলে তুই
ফাজিলের জামাই,, হি হি হি
.
-হাসিছ না হাসিছ না, হাতটা
জইলে গেছে
.
–কই দেখি দেখি
.
—না দেখা লাগবো না, কামড়
দিয়া অহন আবার ঢং
.
-কি আমি ঢং করি?
.
-তা নাইলে কি,, যা ঘুমা আমারেও
ঘুমাইতে দে।।
.
সেদিনের মত ঘুমিয়ে পড়লাম,
সকালে ঘুমথেকে উঠে দেখি,
পাজিটা ঘুমাচ্ছে।। ইচ্ছে হচ্ছিলো
পাতিলের তলাটা ঘষে সাদা
মুখটা কালো করে দিই। কিন্তু
দিলাম না।।
ঘড় থেকে উঠে আমার নিত্য
দিনের অভ্যাস সূর্যটা দেখা, তাই
দেখতে বেরুলে, সবাই আমার
দিকে তাকিয়ে হাসে। কিছু বুঝে
উঠার আগে তুমুল হাসি।। অতিপতি
করে আয়নার সামনে গিয়ে দেখি!
গালে পাওডার, ঠোঁটে
লিপিষ্টিক, কপালে টিঁপ। এগুলো
বজ্জাতটার কাজ।। বজ্জাত
মেয়েটার আজ খবর করছি,, আজ ওর
একদিন কি আমার একদিন।। বলতে
বলে বেশ রেগে মেগেই রুমে
গেলাম কিন্তু কোথাও খুজে
পেলাম না।। শেষে দেখি আম্মুর
পেছনে গিয়ে লুকিয়েছে।।। একি
সর্বনাস হলো আমার। আমার
আম্মুটাকেও দখল করে ফেলেছে।।
এ মেয়েকে যে করেই হোক দ্রুত
তাড়াতে হবে।।…..(চলবে)