বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1161



স্বামীর ভালোবাসা part : 20

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 20

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
সময় থাকতে তো তোমাদের শাসন করিনি,
তাই আজ এদিন দেখতে হচ্ছে আমার,
!
কি হলো সাহেব চুপ করে বসে আছেন কেন?
বৌ রানী কি বলেছে আপনাকে?
!
বলেছে ও আমার কাছে আর কখনওই ফিরে আসবেনা,
আমি জানিনা আমি এখন এখানে থাকবো কি করে?
দমবন্ধ হয়ে আসছে আমার,
!
যাকে আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ভেবেছি,
সেই আমার ঘরের শত্রু বিভীষণ,
!
জানিনা আমি আরিয়ানের কি ক্ষতি করেছি?
যে ও আমার সাজানো সংসার টা এভাবে ভেঙে ফেললো?
!
সাহেব ছোটো মুখে বড় কথা,
আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমরা একটা কথা কই?
!
হ্যা বলো ময়নাপাখি,
!
সাহেব ওই আরিয়ান সাথের নজর না মোটে ও ভালো না,
উনি যখনি বাসায় আসতো চোরের মতো বৌ রানী কে এমন ভাবে ঘুরে ঘুরে দেখত,
যেন উনি বৌ রানী কে কাছে পেলে খেয়ে ফেলবে,
!
ময়নাপাখির কথা শুনে ইমানের নয় মাস আগের কথা মনে পরে যায়,
!
যখন আরিয়ান টাকার বিনিময় মিশকার ডিল করতে চেয়েছিল ,
মিশকাকে ভালোবাসার কথা ওকে বলেছিল ,
!
কি হলো সাহেব?
!
তাহলে আরিয়ান এতকিছু মিশকাকে পাওয়ার জন্যে করেছিল?
!
আর এখন আমরা আলাদা আছি বলে ও এর সুযোগ নিয়ে মিশকার জন্যে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে যাবে?
!
হতে পারে সাহেব,
!
না হবে না আমি এমন টা হতেই দিবো না,
আমার মিশকা ওকে পছন্দ করে না,
আমরা মিশকা কখনো রাজি হবে না,
আর আমি এটা ভালো করে জানি,
!
কি ভাবছ বড় ভাইয়া?
!
আমাদের হাসি খুশি বোন টা কতো শান্ত হয়ে গেল তাই না মিষ্টি?
!
আমি বলি কি আমরা ওর আবারো ওর বিয়ে দিতে পারিনা ভাইয়া?
!
দিতে পারি তবে তুই ওর চোখ দুটো দেখেছিস?
!
পুরুষ মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে ওর,
আমরা ওর ভাইয়েরা ও আমাদের থেকে ও দূরত্ব বজায় রেখে চলতে চায়,
কিভাবে বিয়ে দিবো ওর?
আর আমি চাই না ও আবারো বিয়ে নামক সম্পর্কে জড়িয়ে আবারো কষ্ট পাক,
!
আমি আমার বোন টাকে আর কষ্টে দেখতে পারবোনা মিষ্টি,
!
আমি ও চাই না আমাদের বোন টা আর কষ্ট পাক,
!
আমরা ও চাইনা বড় ভাইয়া ও মিষ্টি আপু,
!
আমরা আটজন ভাই মিলে কি পারবোনা আমাদের বোন টাকে সবসময় সুখেস্বচ্ছন্দে রাখতে?
আমাদের এক এক ভাইয়ে কম কি আছে?
যে সারাজীবন আমাদের ছোটো কে
সুখেস্বচ্ছন্দে রাখতে পারবোনা?
!
মেজো ভাইয়া ঠিক বলেছে মিষ্টি আপু,
তাই প্লিজ ছোটোর সামনে তোরা বিয়ে বিয়ে করবি না কেমন?
!
কিন্তু?
!
কি?
!
কালকে তো আরিয়ান ওর ফ্যামিলির সাথে বিয়ে সম্বন্ধ নিয়ে আসবে তখন?
!
ছোটো যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটাই হবে মিয়াদ,
!
আমি জাস্ট ছোটো কে এখন হাসিখুশী দেখতে চাই বড় ভাইয়া,
!
শুধু তুই না মিয়াদ,
আমরা ও ওকে অলওয়েজ হাসিখুশি দেখতে চাই ভাই,
!
কি হলো তোমরা?
আমাকে ছেড়ে গোলবৈঠক করছ কেন ভাইয়া?
!
কিছুনা পাখি,
মামারা কি করে?
!
খাইয়ে দিয়েছি ঘুমিয়ে পরেছে,
!
কি হলো বাবা একা একা হাসিস কেন?
!
যাকে এতদিন আমি আমার করে পেতে চেয়েছি,
কালকে আমি তাকে সারাজীবনের জন্যে আমার করে পাবো আব্বু আমি অনেক খুশি,
!
মিশকা কে খুব ভালোবাসো তাই না?
!
হ্যা আব্বু,
আমি ওকে অনেক ভালোবাসি আব্বু,
আমি ওর জন্যে সবকিছু করতে পারি,
মানুষ মারতে পারি,
!
ভাইয়া কি যে হলো তোর?
এতো মেয়ে থাকতে রেডিমেড বাচ্চার মা পছন্দ হলো তোর?
!
মুখ সামলে ও সম্মান দিয়ে কথা বলো আরিয়ানা ও তোমার ভাবি,
আমার হবু বৌ,
…..
ওর সম্পর্কে কেউ উল্টোপাল্টা বললে সুই দিয়ে মুখ সেলাই করে দিবো তার,
…….
যা পারো কর গিয়ে মানা করছে কে?
সাইকো জানি কোথাকার,
তুই তো বৌ বৌ করে পাগল হয়ে যাচ্ছিস সে যদি বিয়ে তে মত না দেয় তখন?
!
কেনো মত দিবে না?
কিসের অভাব আছে আমার ,
আমি ওকে অনেক ভালোবাসি ও আমাকে না করবে না দেখেনিস তোরা,
!
পরেরদিন সকালে আরিয়ান ওর ফ্যামিলি সহ ফুলফল, মন্ডামিঠাই নিয়ে মিশকার বাসায় হাজির হয়,
!
দুই ফ্যামিলির মধ্যে মতবিনিময় হওয়ার পরে আমাকে ডাকা হয়,
……
আর
আমি স্পষ্ট ভাবে না করে দেই,
!
তখন আরিয়ান আমাকে বলে,
!
দেখ মিশকা আমি ইমান নই তোমাকে তোমার বাবুদের আমি অনেক ভালোবাসি বিয়ের পরো অনেক ভালোবাসবো,
……
কখনো তোমাকে চিট করবোনা বিশ্বাস করো আমি তোমাকে বাবুদের কে অনেক অনেক ভালোবাস বো,
!
এই সোজা কথা আপনার কানে যায় না তাই না?
!
বললাম তো আমি আপনাকে বিয়ে করবো না,
আপনি কেন কাও কে বিয়ে করবোনা,
!
পাপা তোমার কি আমাকে বোঝা বলে মনে হয়?
তাহলে বলে দাও প্লিজ,
আমি আমার বাচ্চাদের এখান থেকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবো পাপা,
!
এসব তুই কি বলছিস মা?
!
আমরা কখনো তোকে বোঝা মনে করিনি মা,
তুই আমার মেয়ে আমরা ওনাদের কে বিয়ের জন্যে না বলেছি শুধু তোর মতামতের অপেক্ষায় ছিলাম রে মা,
!
মিশকা তুমি রাজি হয়ে যাও আমি,
!
কানে কালা গিয়ে ডক্টর দেখান,
বললাম তো আমি আপনাকে বিয়ে করতে ইন্টারেস্টেড নই,
!
কোন কিসের খামতি আছে আমার মধ্যে বলো?
কি কম আছে আমার মধ্যে বলো?
!
আসলে আপনারা একি গোয়ালের গুরু,
…….
পার্থক্য হলো,
একজন জাবর কেটে ঘাস খায়,
……
আর একজন খাওয়ার পরে জাবর কাটে মিস্টার চৌধুরি,
!
মানে,
!
ইটস সিম্পল,
আপনি কি ভাবেন আমি কিছু জানিনা?
আপনার ইশা বেবি আপনার সকল গোপন তথ্য ফাস করে দিয়েছে মিস্টার ডারলিং,
……
উফফফ,
সরি এটা তো ইশা আপনাকে ডাকে তাই না?
মিস্টার চৌধুরি?
!
কি হলো স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
কিছু বলুন?
কি যেন বলেন?
……..
ও হ্যা,
আমি ইমান না আমি ব্লা ব্লা ব্লা……
!
একচুয়ালি আপনি ব্লা ব্লা ব্লার থেকে ও খারাপ আর আপনারা একি ঘাটে জল খান,
কিন্তু খাওয়ার স্টাইল টা আলাদা আর কি?
তাই তো?
!
আমি সবকিছু তোমার জন্যে করেছি,
শুধু মাএ তোমার জন্য,
!
ওওওও হ্যালো
আপনি যাই করে থাকুন সেটা আমার দেখার বিষয় না ওক্কে,
……
অ্যান্ড অনেস্টলি আপনি বা ইমান কেউ আমার জন্যে ম্যাটার করে না মিস্টার চৌধুরি,
!
কারন আপনারা উভয়ক্ষেত্রে একইধরনের একইরকম মিস্টার চৌধুরি,
!
একবার বিয়ে করে ঠকেছি আর ঠকতে চাই না মিস্টার চৌধুরি,

তার ওপরে আপনি হলেন নরপিশাচ আপনার ওপরে ভরসা নেই আর ভয়সা কখনো আসবেনা,
ভালোবাসা তো দূরের কথা,
!
আপনি ইমান দুজনি আমাকে খেলার পুতুল মনে করে খেলতে চান,
সেটা কখনওই হবে না মিস্টার চৌধুরি,
!
যতই আপনারা আমার কাছে মহান সাজার চেষ্টা করুণ না কেন?
আপনারা দুজন আমার কাছে সমান দোষে দোষী,
দুজনি আমার অপরাধী,
!
আমি ইশা কে মেরে দিবো ওটা ঠিক করেনি ও জানেনা আমি কতটা জঘন্য,
…..
আর তুমি আমাকে বিয়ে না করলে আমি তোমাকে তুলে নিয়ে যাবো,
ভালোবাসি খুব বেশি ভালোবাসি ওই ইমানের থেকে ও অনেক ভালোবাসি,
!
আরিয়ানের কথা শুনে আমার ভাইয়েরা ওকে আমাদের বাসা থেকে ঘাড় ধরে বেড় করে দেয়,
!
!
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 19

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 19

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
কারন এ অবস্থার জন্যে আমি নিজে দায়ী,
!
একা একা কথা বলতে বলতে সারারাত ইমান ওই মসজিদেই কাটিয়ে দেয়,
!
পরেরদিন ভোরে মসজিদের ইমাম এসে দেখে,
…..
ইমান মসজিদে ঘুমিয়ে আছে,
তাই ওকে আস্তে করে নামাজের জন্যে ডেকে তোলে,
!
ইমানো উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে নামাজ পরতে বসে,
নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম ওকে বলে,
!
বাবা আমি জানিনা তুমি কেমন গুনাহ করেছ,
কাকে কষ্ট দিয়েছ?
…..
এবং কেন কষ্ট দিয়েছ?
……
শুধু এটাই বলবো,
যে তুমি যখন তোমার করা গুনাহের জন্যে অনুতপ্ত,
…….
তখন যার সাথে অন্যায় টা করেছ?
তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও,
!
কারন,
তুমি তার মনে আঘাত করেছ.
……..
আর আল্লাহ মনে আঘাত কারী ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন,
……..
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে অপছন্দীয় বস্তুু হলো মনে আঘাত কারী ব্যক্তি,
যদি ও আল্লাহ পরম করুনাময়ী ক্ষমা শীল,
!
তুমি যদি সত্যি মন থেকে অনুতপ্ত হও তাহলে তুমি তার কাছে ফিরে ক্ষমা চাও,
……..
সে তোমাকে ক্ষমা না করলে ও তোমার প্রতি নির্দয় হবে না,
!
সকাল আটটা নাগাত ইমান মিশকার বাসায় চলে যায়,
!
মিশকার পাপা না চাইতে ও ইমান কে বাসায় ঢোকার অনুমতি দেয়,
!
ঠিক তখনি মিশকা ওর পাপার জন্যে কফি বানিয়ে হলে চলে আসে,
!
সেখানে যেতেই মিশকা ইমান কে দেখে রেগে গিয়ে বলে,
!
উনি এখানে কি করছেন পাপা?
!
আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি মিশকা,
তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও,
!
আপনাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আমি কে?
আপনি যদি ভেবে থাকেন আমি আপনার করা সমস্ত অন্যায় ভুলে গিয়ে আপনাকে গ্রহণ করে নিবো?
তাহলে ইউ আর অ্যাবসোলুটলি রং মিস্টার খান,
!
একচুয়ালি আই এম সরি আমি এতো টা দয়ালু নই,
আমি পরম করুনাময়ী আল্লাহতালার বান্দা,
তবে তার মতো করুনাময়ী নই আই এম সরি,

….
প্লিজ আপনি এখান থেকে চলে জান,
!
তুমি আমাকে ক্ষমা করে আমার কাছে ফিরে আসবেনা ইটস ওকে,

তবে যাদের জন্যে আজকে আমার এই পরিণতি,
তাদের আমি ছাড়বো না সোনা,
!
তারা আমায় বাধ্য করেছে তোমার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে,
…..
আমার বিয়ে করা বৌয়ের থেকে দূরে দূরে থাকতে,
অবশ্য ওদের আর দোষ কি?
আমি বোকা বোধহীন মানুষ এটা বুঝতে পেরেই ওরা আমার বোকামোর সুযোগ নিয়েছে,
!
আমাদের সাজানো সংসার কে নষ্ট করে ফেলেছে,
!
ওদের কথা আমি জানিনা,
জানতে ও চাই না,
আমি শুধু এটা জানি যে,
!
যে নারী যে পুরুষের সাথে সহবাস করে তাকে সে সবচেয়ে ভালো করে চেনে,
!
আপনি হয়তো ভুলে গেছেন যে ইশা কে বিয়ে করে আমাদের জীবনে প্রবেশ করানোর দুমাস আগে থেকেই আমি আপনার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতাম কেন জানেন?
!
কারন আপনি ওর কাছ থেকে আমার কাছে ফিরলে আমি বুঝতে পারতাম,
…….
যে আপনি অন্য মহিলার সাথে সহবাস করে ফিরেছেন,
প্রথমবার যখন আপনি একাজ টা করে ফিরেছেন,
………. সেদিন আপনি আমার কাছে এসে বসতেই আপনার আসল রূপ টা আমি দেখতে পেয়েছি মিস্টার খান,
!
আপনি কি ভাবেন?
আপনি চিট করবেন আর আমি সেটা বুঝতে পারবোনা?
!
আমি জানি আমি তোমার অপরাধী তবে আমি যানতাম না ইশা তোমার বোন,
!
সম্পর্কের সমীকরণ টা আপনার জানানা থাকলে ও সম্পর্কের বিশ্বাস ভালোবাসা ও ভরসা টা তো আপনার জানা ছিল তাই না?
….
তাহলে কেন আপনি এমন টা করলেন?
!
ইশা আমার বোন জানতেন না বলে তাই?
…….
জানলে তো আপনি অন্য মেয়ের সাথে ছিঃ,

আপনি ভাবলেন কি করে,
আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিবো?
!
আপনি ক্ষমা তখনি পাবেন যখন আপনি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আমার জীবন থেকে অনেক অনেক দূরে চলে যাবেন,
!
আমি এটা কখনো করতে পারবোনা, কখনওই না,
!
তাহলে আমার সামনে থেকে দূর হয়ে যান,
কারন আমি আপনার এই মুখ টা আর দেখতে চাই না মিস্টার খান,
!
তুমি যখন চাও না আমি চলে যাবো,
তবে তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না,
!
তারপর ইমান চোখেরজল মুছতে মুছতে ওখান থেকে বাসায় ফিরে যায়,
!
সেখানে গিয়ে দেখে,
বাসা একদম নিট অ্যান্ড ক্লিন কোথাও কোনো জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই,
!
হঠাৎ করে ইশা ওকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
সারারাত কোথাকার ছিলে বেবি?
আমি তো তোমার চিন্তায় ঘুমতে পারিনি বাবু,
!
আমি ও কাল সারারাত ঘুমইনি জানো?
!
কেন?
!
এই পেপারস গুলো সাইন করে দাও তারপরে বলছি,
!
ওকে বাবু দাও,
!
ইশা পেপারস গুলো সাইন করে দিতেই ময়না পাখি ওর জিনিস পএ এনে বাসার বাহিরে ছুড়ে ফেলে,
!
এসবের মানে কি ময়নাপাখি?
!
সাহেবরে জিগান আমরা কিছু জানিনা,
!
হোয়াট ইজ দিছ বেবি?
!
ডিভোর্স হয়ে গেছে নাও ইউ জাস্ট গেট আউট ফরম হেয়ার,
!
তুমি এটা করতে পারেনা ইমান,
!
তুই দারোয়ানের সাথে বেড শেয়ার করলে আমি ও তোকে ছেড়ে দিতে পারি,
সত্যি করে বলল তো আর কার কার সাথে কি করেছিস?
!
তোমার প্রশ্নোত্তর দিতে আমি বাধ্য নই ইমান,
!
তাহলে এখান থেকে বেড়িয়ে যা নষ্টা মেয়ে যেন কোথাকার,
!
তারপর ইশা ওখান থেকে আরিয়ানেরর কাছে চলে যায়,
!
আরিয়ান ওর কাছ থেকে সব শোনার পর ওকে দূরদূর করে ওর বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়,
!
কারন ওর ফ্যামিলি দুবাই থেকে ফিরে এসেছে,
……….
নেক্সট তিন চারদিনের মধ্যেই ও এবং ওর পরিবার মিশকার জন্যে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে যাবে,
!
তাই ও আর কোনো ঝামেলা বয়ে বেড়াতে চায় না,
!
ইমান আরিয়ানের কাছ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর ইশা ওর বাবা মানাফ চৌধুরির কাছে ফিরে যায়,
!
মানাফ চৌধুরি মেয়ের মুখে সব শোনার পরে বলেন,
!
তুমি যেটা করেছ সেটাই ফেরত পেয়েছ ইশা,
…..
আর আমারি ভুল আমি তোমাকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে পারিনি,
…..
তোমার অন্যায় আবদার গুলো কে প্রশ্রয় দিতে দিতে আমি তোমাকে নষ্ট করে ফেলেছি,
!
তোমাকে তোমার ভাইকে প্রশ্রয় দিতে দিতে নৈতিক শিক্ষা দিতে ভুলে গেছি আমি,
আর তাই তোমরা নষ্ট হয়ে পচে গেছ,
!
আব্বু তুমি তোমার মেয়ে কে এভাবে বলছ?
!
ইশার কথা শেষ হতে না হতেই মানাফ চৌধুরি ওর গালে ঠাসসস ঠাসসসস করে দুটো চড় বসিয়ে দেয়,
!
চড় খেয়ে ইশা হতভম্ব হয়ে ওর আব্বুর দিকে চেয়ে থাকে,
!
আব্বু তুমি আমায় মারলে?
!
হ্যা মারলাম,
কিন্তু এখন মেরে লাভ কি বলো?
সময় থাকতে তো তোমাদের শাসন করিনি তাই এসব দেখতে হচ্ছে আমায়,
!
!
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 18

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 18

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
ময়না চুপ কর তুই,
হা হা হা,
!
সেই কখন থেকে তোমরা ফিসফিস করে কথা বলে যাচ্ছ,
কি এতো বলছ তোমরা?
আমি তো সেই কখন থেকে না খেয়ে বসে আছি চোখে পরেছে তোমাদের?
!
আমরা বলে পড়েনি বৌ রানী হলে পরত সাহেব,
আর সে আপনাকে না খাইয়ে বসিয়ে রাখতো না,
পারলে নিজের হাতে খাইয়ে দিতো,
!
ময়না পাখির কথা শুনে ইমানের মন খারাপ হয়ে যায়,
আর ও শওয়ার নিতে রুমে চলে যায়,
!
শাওয়ার নিয়ে ডায়নিং এ খাবার খেতে এসে খাবার মুখে দিতেই ইমানের চোখে জল চলে আসে,
!
কি হলো সাহেব কাঁদছেন কেন?
!
এই খাবার কোথায় পেয়েছ তোমরা?
!
সাহেব,
!
মিথ্যে বললে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না ময়না পাখি,
!
আসলে সাহেব আমরা বৌ রানী ও বাবুদের দেখতে তার বাপের বাড়ি গেছিলাম,
তখন বৌ রানী আমাদের জন্যে খাবার প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে,
!
আসলে বৌ রানীর রান্নাকরা খাবার আমরা আপনাকে দিতাম না,
কিন্তু দিতে বাধ্য হয়েছি কারন আমরা আজকে রান্না করিনি সাহেব,
!
কেমন আছে ও আর বাবুরা কেমন আছে?
ওরা কেমন দেখতে হয়েছে?
আমার মতো হয়েছে ওরা?
!
না সাহেব শুধু আপনার মতো ফর্সা হয়েছে বাদবাকি সব বৌ রানীর মতো হয়েছে ওদের,
!
আমার মতো হবে কি করে?
দশ মাসে একবারো আমার দেখা পেয়েছে ওরা?
দেখা তো দূরের কথা ছোয়া ও তো পায়নি ওরা,
!
কি হলো সাহেব?
কি ভাবছেন আপনি?
!
বাবুদের ছবি আছে তোমাদের কাছে?
!
না সাহেব,
!
কি হলো বাবু তুমি কখন এলে?
!
এসেছি আমি আমার সময় মতো,
ইউ হ্যাভ অ্যানি প্রবলেম?
!
না তবে তুমি আমায় বলো নি কেন?
!
তোমাকে বলে লাভ কি বলো?
তুমি তো আর আমার যত্ন নিতে পারেনা,
!
মানে কি কে বলেছে আমি তোমার যত্ন করিনা?
…..
প্রতি রাতে আমি আমাকে তোমার বিছানায় বিলিয়ে দেই আর তুমি আমাকে ভোগ করো এটা তোমার যত্ন নেওয়া নয়,
!
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কখনওই ভোগের সম্পর্ক হয় না ইশা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুধু ভালোবাসার সম্পর্ক হয়,
!
তাই বলে তো তুমি বিয়ের আগে আমাকে ভোগ করেছ,
!
ইশার কথা শেষ হতে না হতেই ইমান ইশার গালে চড় বসিয়ে দেয়,
তখন ইশা রাগে গজগজ করতে করতে আরিয়ানের কাছে চলে যায়,
!
আর ইমান সোনা মুখ করে মিশকার রান্না করা খাবার গুলো খেয়ে নেয়,
!
পরেরদিন বেবিদের ঠান্ডা লেগে যাওয়ায় মিশকা বেবিদের নিয়ে ডক্টরের কাছে যায়,
ডক্টর ওদের প্রপার ট্রিটমেন্ট করে ঔষধ লিখে দেয়,
!
তখন হঠাৎ করে মিশকার ইমানের সাথে দেখা হয়ে যায়,
তখন ও বেশ ভয় পেয়ে যায়,
!
তুমি ভয় পাচ্ছ কেন?
আমি তোমাদের খেয়ে ফলবো না,
তুমি ও আমার বেবি দুটো ও আমার,
আমি কখনো ওদের ক্ষতি চাইবো না,
শুধু একবার একটু ওদের মুখ খানি দেখতে দিবে প্লিজ?
!
নাহহহ কখনওই না,
হয় আপনি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিন নয় আমার থেকে দূরে দূরে থাকুন প্লিজ,
!
মিশকার কথা শুনে ইমানের বুকের মাঝখান টায় মোচড় দিয়ে ওঠে,
আর ও ঠায় ওখানে দাঁড়িয়ে চোখেরজল ফেলতে থাকে,
!
ততক্ষণে মিশকা ওখান থেকে বেবিদের নিয়ে চলে যায়,
!
রাতে ইমান বাসায় ফিরে দেখে,
!
পুরো বাড়ি অন্ধকার আচ্ছন্ন হয়ে আছে,
শুধু ইমানের রুমে লাইট জ্বলছে,
আর কারো হাসাহাসির শব্দ ওর কানে ভেসে আসছে,
!
হাসাহাসির শব্দে বিরক্ত হয়ে ইমান রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে যা দেখে তার জন্যে মোটে ও প্রস্ত ছিলো না ও,
!
কারন ও দেখে ইশা আরিয়ান উলঙ্গ অবস্থায় ফ্লোরে শুয়ে জঘন্য ভাবে শারীরিক সম্পর্ক করছে,
………
আরিয়ান হিংস্র পশুর মতো ইশার শরীর টাকে উপভোগ করছে,
…..
আর ইশা স্বইচ্ছায় নিজের শরীর টাকে আরিয়ানের কাছে বিলিয়ে দিচ্ছে,
!
হঠাৎ ইশা বলে,
!
বেবি আমি ভেবেছিলাম আমার গর্ভে ইমানের সন্তান পরে বুঝালাম ওটা ইমানের নয় আমাদের সন্তান ছিলো,
………
কারন পিরিয়ডের আগে ও পরে ইমানের সাথে আমার কোনো ফিজিক্যাল রিলেশন হয় নি কারন ওর মনে হয় পিরিয়ডের সাতদিন আগে ও সাতদিন পরে আমার নিজের যত্ন নেওয়া উচিত,
কিন্তু এই চৌদ্দদিন ধরে থাকবে কে বলো?
…….
আমারো কিছু চাহিদা আছে চাওয়া আছে,
……
আই মিন ইমান কত ব্যাকডেটেড বলো এই যুগে কে এতো সাতপাঁচ ভাবে?
……..
আর মিসক্যারেজ কি হয়েছে বলো?
ওটা তো আমরা ইমান কে বোকা বানাতে করেছি,
না হলে ও তোমার বাচ্চা কে নিজের বাচ্চা বলে লাফালাফি করত,
!
এটা তুমি ঠিক বলেছ জান,
হা হা হা,
!
ইমান নিজেকে কি যে ভাবে ওই জানে?
!
আমার তো ওকে ভালোই লাগে না ওর চাহিদা খুবি কম একটু সময় আমার সাথে মেলামেশা করে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়,
!
জানিনা মিশকা ওকে নিয়ে কেমন সুখে ছিল?
ওর গায়ে তো তেমন জোড় নেই,
………..
অক্ষম একটা জানি কোথাকার,
আমি একদিন ও ওর সাথে মেলামেশা করে মনের মতো শান্তি পাইনি বেবি,
!
কিন্তু তোমাকে পেয়ে এখন আমি পরিপূর্ণ,
!
আই অল সো বেবি,
তাই তো ইমান তোমাকে যখন পছন্দ করা শুরু করল,
………
আমি ওর পছন্দ কে ভালোবাসার ট্যাগ লাগিয়ে,
ওকে তোমার সাথে রুম ডেট করতে পাঠালাম,
!
আর ইমানো নিজের পছন্দ কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে তোমাতে এতো টাই মজে গেল যে,
……
মিশকার থেকে দূরে সরে গেল ও বেচারা বুঝতেই পারলো না হা হা হা,
!
তবে যাই বলো মিশকা ইজ ব্রিলিয়ান্ট ও নিজের হাতে আমাদের বাসর সাজালো,
নিজ দায়িত্বে দূরে সরে গেল,
তুমি বলো নিজের স্বামীর ভাগ কে দিতে চায় হুমম,
!
ইয়েস বাট আমি তোমাদের বিয়ের খবর মিশকা বেবির কানে তুলেছি,
!
এই তুমি ওকে বেবি বললে কেন?
!
এমনি বেবি,
!
আরিয়ান ইশার কথা শুনে শকর্ড হয়ে যায় ইমান,
আর ও কাঁদতে কাঁদতে বাসার কাছের মসজিদে গিয়ে শুয়ে পরে,
নিজেকে বলে,
!
কেন?
কেন আমি আমার বন্ধুবেশি শত্রুদের বুঝতে পারিনি,
কেন আমি ওদের কথা শুনে আমার সাজানো সংসার টা ভেঙে ফেললাম,
যার কাছে আমার সুখের আসল ঠিকানা ছিল তাকে হাড়িয়ে ফেললাম?
অন্যের কাছে সুখ খুঁজতে দিয়ে নিজের সুখটাই হাড়িয়ে ফেলেছি আমি,
!
যার গড়া সাম্রাজ্য তাকে তাড়িয়ে আমি তো বুকভরা কষ্ট নিয়ে এলাম,
!
নিজের জীবন রঙিন করতে গিয়ে জীবনের সব রং হাড়িয়ে ফেললাম আমি,
!
তোমাকে বোরিং ভাবতে ভাবতে আমি নিজেই বোরিং হয়ে গেলাম,
!
ইশা কে তোমার জায়গায় বসাতে গিয়ে আমি ভুলে গেছি যে,
“পায়ের জুতো কখনো মাথায় তুলতে নেই ”
!
পায়ের জুতো টাকে মাথায় তুলতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ আমি নিজেই ডেকে আনলাম,
!
এখন আমি বুঝতে পারছি যে,
নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ কে অন্যের বুকে দেখলে বুকটা কষ্টে ফেটে যায়,
!
আমি কতো চিপ আরিয়ান ইশা কে আমার পেছনে লেলিয়ে দিল আর আমি সেটা কে সম্মানের সাথে সম্মিত গ্রহণ করলাম?
!
আমি নিজেই নিজেট সবকিছু কেরে নিলাম?
!
মিশকা আমাকে কখনো ক্ষমা করবে না আমার কাছে ফিরে ও আসবেনা,
!
কারন আমি নিজেই এ অবস্থার জন্যে দায়ী,
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 17

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 17

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
গেল তো গেল পাবলিক প্লেসে আমাকে লুচ্চা বলে গেল,
!
কি হলো মুখ টা বাংলার পাঁচের মতো করে আছিস কেন?
!
পাঁচ নাতো কি দশের মতো করে থাকবো?
!
ক্যান কি হয়েছে হুমম?
!
এক লুচ্চার জ্বালায় অতিষ্ঠ,
আরেক লুচ্চা আবার হেলফ করতে চায়,
!
এম্মা কি কও কি তুই?
!
আরে মিশকা আরিয়ানের কথা বলছে,
!
কি এই মদনা টাকে তুই আবার কোথায় পাইছ?
!
কোথায় আবার?
বাস মিস করে দাঁড়িয়ে ছিলাম,
….
তখন এসে বলে,
মে আই হেলফ ইউ?
!
ওর আবার এতো হেলফ করার সখ হলো কবে থেকে?
!
জানিনা জিসা তবে আমার মনে হয়,
!
কি?
!
“ডাল মেয়ে কুছ কালা হ্যায়”
!
বাট আরিয়ান তো ধলা,
!
আর আমার মতে ওর ক্যারেক্টার ঢিলা,
!
আমার কথা শুনে ওরা সবাই হেসে দেয়,
!
তারপর আমরা ক্লাস করতে যাই,
!
দুটো ক্লাসের পরে ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ করতে বসি,
লাঞ্চ শেষে মিস্টার মানাফ চৌধুরি এসে বলে,
!
মা আমি তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাই,
!
কিন্তু আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই না মিস্টার চৌধুরি,
!
আমি তোমার অপরাধী তুমি আমাকে শাস্তি দাও কিন্তু,
আমার কথা গুলো শোনো প্লিজ?
!
মিস্টার মানাফ চৌধুরি ফর ইউওর কাইন্ড ইনফরমেশন শুধু আপনি না আপনার পুরো ফ্যামিলি আমার অপরাধী,
!
কোর্টে তো অপরাধী ও নির্দোষ সবার বয়ান সমান নেওয়া হয়,
তুমি আমার বয়ান নিবে না?
!
নো মিস্টার চৌধুরি,
কারন,
আমার কাছে যে অপরাধী সে অপরাধী আর আমার কোর্টে তার বয়ানের কোনো প্রয়োজন নেই গেট দ্যাট?
!
মা আমি তোমার বাবা,
!
সেটা আপনি বলেন,
লোকে কি বলে?
লোকের কথা শুনেছেন?
কয়জন লোকে আপনাকে আমার বাবা হিসেবে দেখেছে?
আপনি বলতে পারেন?
কি হলো চুপ করে আছেন কেন?
!
দুধের শিশু ছিলাম,
তখন আমার আপনাদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি ছিল,
তখন কোথায় ছিলেন আপনি এবং আপনারা?
!
আমার দুঃখের সময় ছিলেননা এখন এই সুখের সময়ে ভাগ নিতে আসছেন?
!
কি হলো চুপপ করে আছেন কেন?
বাবা নামের ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরলেই বাবা হওয়া যায় না মিস্টার চৌধুরি,

আমি আমার ছোটো বেলা থেকে আমার পাপার হাত ধরে মেলায় গিয়েছি,
আপনার আপনার হাত ধরে নয় মানাফ চৌধুরি,
..
জন্মের পরে আমার সব সখ আল্লাদ আমার পাপা
মাহির চৌধুরি পুরণ করেছে,
আপনি নন,
………..
আমি যখন অসুস্থ থাকি,
আমার মাম্মা পাপা সারারাত আমাকে যত্ন করে,
একটু ব্যথা পেলে তারা তারা ব্যথা পায়,
!
তাদের তো একজন নয় দুজন নয় আটজন ছেলে আর একটি মাএ মেয়ে আছে তবুও তাদের আমাকে কেন দরকার জানেন?
!
কারন তারা আমাকে ভালোবাসে অনেক ভালোবাসে,

এতো ভালোবাসে যেটা নিজের জন্মদান মাতাপিতা ও বাসতে পারেনা বুঝলেন মিস্টার মানাফ চৌধুরি,
!
তারপর মিশকা ওখান থেকে চলে যায়,
….
আর মানাফ চৌধুরি ওখানে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে চোখেরজল ফেলতে থাকে,
!
মিশকা বাসায় ফিরে বাচ্চাদের বুকে জড়িয়ে চুপটি বসে থাকে,
….
রাতে ওদের খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পারিয়ে দেও ও,
!
আমি বুঝতে পারছিনা ইশা কেন?
আমাকে মিথ্যে কথা বলছে?
তবে ওর গলায় স্পষ্ট ওটা কামড়ের দাগ,
আচ্ছা ওকি আমাকে চিট করছে?
……
নাহহহ না ও এটা করতে পারে না,
ও আমাকে অনেক ভালোবাসে,
আর এসব আমারি মনের ভুল,
!
যাই হোক রাতে মিটিং শেষে বাসায় ফিরে ওর সাথে এ বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে,
এখন এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না,
!
পরেরদিন ইমান বাসায় ফিরে দেখে,
!
ইশা বিবস্ত্র হয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে,
আর বেড রুমের জিনিস পএ এদিকওদিকে পরে আছে,
!
ইশা কে বিবস্ত্র হয়ে থাকতে দেখে ইমানের ওর প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হয় হয়,
তাই ও চুপটি করে হলে গিয়ে টিভি ছেড়ে বসে থাকে,
!
তখন ময়না পাখি ওর পেছনে দাঁড়িয়ে একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে হাসতে হাসতে আস্তে আস্তে বলে,
!
“বেচারার তো ঘর শত্রু বিভীষণ ”
!
তা তো হবেই তাই না কারন?
এ কয়দিন স্বামীর অভাবে ইশা ম্যাম আরিয়ান সাহেব কে তার স্বামী বানিয়ে ফেলেছে,
!
হা হা হা,
!
মাইয়া মানুষে এতো বেশি কিসের খোদা মালুম,
!
সেদিন মুই দেখছি কি জানো?
!
কি?
!
ইয়ে মানে ইশা ম্যাম দারোয়ানের সাথে চুমাচুমি করে,
!
ছিঃ মুই তো আরিয়ান সাহেবের লগে দেখছি,
এই দারোয়ান টা আবার আসলো কোথা দিয়া,
!
ব্যভিচার করতে গেলে যেকোনোভাবে আসতে পারে ময়না,
আমি চাই এই ব্যভিচার
আল্লাহ যেন ওনাকে স্বচক্ষে দেখার তৌফিক দান করে ,
!
আমিন,
বেচারা ইমান সাহেব ওনার জন্যে কাঁদতে কাঁদতে আমার চক্ষের জল শুকাইয়া গেছে,
!
তুই আবার এই এনার জন্যে কাঁদলি কখন?
!
মনে মনে,
!
হা হা হা,
মনে মনে ও কান্দা যায়?
!
ইমান সাহেবের জন্যে,
মোর তো মনে মনে কান্দন আয় রে বুইন,
!
আমার হেরে দেখলে বোএিশ টা দাঁত বেড় কইরা হাসি পায়,
!
এ কও কি তুই?
হা হা হা
!
ময়না চুপ কর তুই,
হা হা হা,
!
!
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 17

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 17

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
গেল তো গেল পাবলিক প্লেসে আমাকে লুচ্চা বলে গেল,
!
কি হলো মুখ টা বাংলার পাঁচের মতো করে আছিস কেন?
!
পাঁচ নাতো কি দশের মতো করে থাকবো?
!
ক্যান কি হয়েছে হুমম?
!
এক লুচ্চার জ্বালায় অতিষ্ঠ,
আরেক লুচ্চা আবার হেলফ করতে চায়,
!
এম্মা কি কও কি তুই?
!
আরে মিশকা আরিয়ানের কথা বলছে,
!
কি এই মদনা টাকে তুই আবার কোথায় পাইছ?
!
কোথায় আবার?
বাস মিস করে দাঁড়িয়ে ছিলাম,
….
তখন এসে বলে,
মে আই হেলফ ইউ?
!
ওর আবার এতো হেলফ করার সখ হলো কবে থেকে?
!
জানিনা জিসা তবে আমার মনে হয়,
!
কি?
!
“ডাল মেয়ে কুছ কালা হ্যায়”
!
বাট আরিয়ান তো ধলা,
!
আর আমার মতে ওর ক্যারেক্টার ঢিলা,
!
আমার কথা শুনে ওরা সবাই হেসে দেয়,
!
তারপর আমরা ক্লাস করতে যাই,
!
দুটো ক্লাসের পরে ক্যান্টিনে গিয়ে লাঞ্চ করতে বসি,
লাঞ্চ শেষে মিস্টার মানাফ চৌধুরি এসে বলে,
!
মা আমি তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাই,
!
কিন্তু আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই না মিস্টার চৌধুরি,
!
আমি তোমার অপরাধী তুমি আমাকে শাস্তি দাও কিন্তু,
আমার কথা গুলো শোনো প্লিজ?
!
মিস্টার মানাফ চৌধুরি ফর ইউওর কাইন্ড ইনফরমেশন শুধু আপনি না আপনার পুরো ফ্যামিলি আমার অপরাধী,
!
কোর্টে তো অপরাধী ও নির্দোষ সবার বয়ান সমান নেওয়া হয়,
তুমি আমার বয়ান নিবে না?
!
নো মিস্টার চৌধুরি,
কারন,
আমার কাছে যে অপরাধী সে অপরাধী আর আমার কোর্টে তার বয়ানের কোনো প্রয়োজন নেই গেট দ্যাট?
!
মা আমি তোমার বাবা,
!
সেটা আপনি বলেন,
লোকে কি বলে?
লোকের কথা শুনেছেন?
কয়জন লোকে আপনাকে আমার বাবা হিসেবে দেখেছে?
আপনি বলতে পারেন?
কি হলো চুপ করে আছেন কেন?
!
দুধের শিশু ছিলাম,
তখন আমার আপনাদের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি ছিল,
তখন কোথায় ছিলেন আপনি এবং আপনারা?
!
আমার দুঃখের সময় ছিলেননা এখন এই সুখের সময়ে ভাগ নিতে আসছেন?
!
কি হলো চুপপ করে আছেন কেন?
বাবা নামের ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরলেই বাবা হওয়া যায় না মিস্টার চৌধুরি,

আমি আমার ছোটো বেলা থেকে আমার পাপার হাত ধরে মেলায় গিয়েছি,
আপনার আপনার হাত ধরে নয় মানাফ চৌধুরি,
..
জন্মের পরে আমার সব সখ আল্লাদ আমার পাপা
মাহির চৌধুরি পুরণ করেছে,
আপনি নন,
………..
আমি যখন অসুস্থ থাকি,
আমার মাম্মা পাপা সারারাত আমাকে যত্ন করে,
একটু ব্যথা পেলে তারা তারা ব্যথা পায়,
!
তাদের তো একজন নয় দুজন নয় আটজন ছেলে আর একটি মাএ মেয়ে আছে তবুও তাদের আমাকে কেন দরকার জানেন?
!
কারন তারা আমাকে ভালোবাসে অনেক ভালোবাসে,

এতো ভালোবাসে যেটা নিজের জন্মদান মাতাপিতা ও বাসতে পারেনা বুঝলেন মিস্টার মানাফ চৌধুরি,
!
তারপর মিশকা ওখান থেকে চলে যায়,
….
আর মানাফ চৌধুরি ওখানে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে চোখেরজল ফেলতে থাকে,
!
মিশকা বাসায় ফিরে বাচ্চাদের বুকে জড়িয়ে চুপটি বসে থাকে,
….
রাতে ওদের খাইয়ে দাইয়ে ঘুম পারিয়ে দেও ও,
!
আমি বুঝতে পারছিনা ইশা কেন?
আমাকে মিথ্যে কথা বলছে?
তবে ওর গলায় স্পষ্ট ওটা কামড়ের দাগ,
আচ্ছা ওকি আমাকে চিট করছে?
……
নাহহহ না ও এটা করতে পারে না,
ও আমাকে অনেক ভালোবাসে,
আর এসব আমারি মনের ভুল,
!
যাই হোক রাতে মিটিং শেষে বাসায় ফিরে ওর সাথে এ বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে,
এখন এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না,
!
পরেরদিন ইমান বাসায় ফিরে দেখে,
!
ইশা বিবস্ত্র হয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে,
আর বেড রুমের জিনিস পএ এদিকওদিকে পরে আছে,
!
ইশা কে বিবস্ত্র হয়ে থাকতে দেখে ইমানের ওর প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হয় হয়,
তাই ও চুপটি করে হলে গিয়ে টিভি ছেড়ে বসে থাকে,
!
তখন ময়না পাখি ওর পেছনে দাঁড়িয়ে একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে হাসতে হাসতে আস্তে আস্তে বলে,
!
“বেচারার তো ঘর শত্রু বিভীষণ ”
!
তা তো হবেই তাই না কারন?
এ কয়দিন স্বামীর অভাবে ইশা ম্যাম আরিয়ান সাহেব কে তার স্বামী বানিয়ে ফেলেছে,
!
হা হা হা,
!
মাইয়া মানুষে এতো বেশি কিসের খোদা মালুম,
!
সেদিন মুই দেখছি কি জানো?
!
কি?
!
ইয়ে মানে ইশা ম্যাম দারোয়ানের সাথে চুমাচুমি করে,
!
ছিঃ মুই তো আরিয়ান সাহেবের লগে দেখছি,
এই দারোয়ান টা আবার আসলো কোথা দিয়া,
!
ব্যভিচার করতে গেলে যেকোনোভাবে আসতে পারে ময়না,
আমি চাই এই ব্যভিচার
আল্লাহ যেন ওনাকে স্বচক্ষে দেখার তৌফিক দান করে ,
!
আমিন,
বেচারা ইমান সাহেব ওনার জন্যে কাঁদতে কাঁদতে আমার চক্ষের জল শুকাইয়া গেছে,
!
তুই আবার এই এনার জন্যে কাঁদলি কখন?
!
মনে মনে,
!
হা হা হা,
মনে মনে ও কান্দা যায়?
!
ইমান সাহেবের জন্যে,
মোর তো মনে মনে কান্দন আয় রে বুইন,
!
আমার হেরে দেখলে বোএিশ টা দাঁত বেড় কইরা হাসি পায়,
!
এ কও কি তুই?
হা হা হা
!
ময়না চুপ কর তুই,
হা হা হা,
!
!
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 15

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 15

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
আমার কথা শুনে রুহান আমার মুখ চেপে ধরে হা হা হা কে হেসে দেয়,
!
ফাজিল তুই আমার মুখ চেপে রেখেছিস কেন?
!
এমন কথা বলেনা বুঝলি?
!
আমি বলবো কি করবি তুই?
!
মাইর দিবো,
!
ছেমড়া তোরে ও ইমান আরিয়ানের সাথে মেরে উগান্ডা ট্রান্সফার করবো,
!
কোথায় ট্রান্সফার করবি?
!
উগান্ডায় হালার পুত,
!
তুই আর জিসার সাথে মিশবি না,
!
ক্যান তোর কথায়?
!
ওর সাথে থাকতে থাকতে তুই ও ওর ভাষা শিখে গেছ,
!
ওম্মা তাইই,
!
জ্বি,
!
জিসা দেখ রুহান আমাকে তোর সাথে মিশতে মানা করে,
!
কি?
এ ছেমড়া তোর সাহস কতো?
!
অনেক,
!
বাদাইম্মা খাড়া তুই আইতাছি মুই,
বলেই জিসা রুহান কে পেটাতে ওর পেছনে লাঠি নিয়ে তাড়া করতে থাকে,
!
তখন তাকিয়ে দেখি শয়তান গুলো এখনো শুয়ে আছে,
নির্ঘাত দুটোর একে অপরের মধ্যে আকর্ষণ অনুভাব করছে,
…….
“নো নড়ন নো চড়ন অনলি মুচকি মুচকি স্মাইল করিং”
!
তাই আমি দুষ্টুমি করে মাইক্রোফোনে বলি,
!
এখানে যাদের জেন্ডারে প্রবলেম আছে তাড়া তাড়াতাড়ি ডক্টর দেখাতে জান প্লিজ,
!
তখনি সবাই আবারো হা হা করে হেসে দেয়,
আর ওমনি শয়তান দুটো লাফ দিয়ে ওঠে পরে আমার দিকে রাগে ফোঁসফোঁস করতে করতে তেড়ে আসে,
!
“তাই আমি চাচা আপন প্রাণ বাচাঁ”
বাঁচিয়ে ওখান থেকে মানে মানে কেটে পরি,
!
তারপর আমি আমাদের ইউনিভারসিটির গোলচত্বরে যাই,
সেখানে গিয়ে আমরা সবাই মিলে ফটোসেশন করি,
….
তখন আমাদের ইউনিভারসিটির পিয়ন এসে বলে,
!
মিশকা ও জিসা আফা আর রুহান ও জাহাদ ভাই আপনাদের ভি,সি স্যর ডাকেন,
!
ওকে আপনি জান আমরা আসছি,
!
তারপর আমরা তাড়াতাড়ি অনুষ্ঠানে চলে যাই,
…..
তখন ভি.সি স্যর আমাদের বলেন,
!
প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্টরা ড্যান্স করবে তোমরা করবেনা?
!
জ্বি স্যর,
!
তাহলে মিশকা রুহান ও জিসা জাহাদ কেমন?
!
ওকে স্যার,
!
গেট রেডি ফর ড্যান্স,
আকাশ মিউজিক প্লে করো,
!
ওকে স্যরর,
!
কিনে দে কিনে দেরে তুই রেশমি চুড়ি,
কিনে দে কিনে দেরে
তুই রেশমি চুড়ি,
নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
কিনে দে কিনে দেরে তুই রেশমি চুড়ি,
নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
বলে ছিলি তুই আমায় মেলায় ঘুড়াবি,
তবে ডাকনারে ডাকনারে গাড়ি নইলেরে নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
কিনে দে কিনে দেরে তুই রেশমি চুড়ি,
নইলেরে নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
রেশমি চুড়ি, রেশমি চুড়ি, রেশমি চুড়ি, রেশমি চুড়ি,,
হায় রেশমি চুড়ি রেশমি চুড়ি, রেশমি চুড়ি,
!
সোনা দানা কিছুই তো চাই না প্রেমে আজ মন মেলেছে পাখনা,
ওহহহো হো সোনাদানা কিছুই তো চাই না মনে প্রেমে আজ
মন মেলেছে পাখনা,
!
বলেছিলি তুই আমায় শপিং করাবি তবে করিস না করিস না দেরি,
নইলেরে নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
কিনে দে কিনে দেরে তুই রেশমি চুড়ি,
নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
আরে আরে কিনে দিবো সাজিয়ে দিবো পড়িয়ে দিবো তোকে রেশমি চুড়ি ওঅঅঅ নিয়ে যাবো শপিং করাতে তোর কথা কি কখনো ফেলতে পারি?
!
আকাশ থেকে নামছে জোছনা জোছনা খুশি তে মন ঘরে তে টেকে না,
ওঅঅঅ আকাশ থেকে নামছে জোছনা খুশি তে মন ঘরে তে টেকে না,
!
বলেছিলি তুই আমায় ডিনার করাবি তবে করিস না করিস না দেরি নইলেরে নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
কিনে দে কিনে দেরে তুই রেশমি চুড়ি নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
কিনে দে কিনে দেরে তুই রেশমি চুড়ি নইলে করবো তোর সাথে আড়ি,
!
রেশমি চুড়ি, রেশমি চুড়ি রেশমি, রেশমি চুড়ি,
!
নাচের শেঅ পর্যায় আমরা স্টেজ ছেড়ে ভি.সি স্যারের পাশে গিয়ে খচখচ করে সেলফি তোলা শুরু করি,
তখন সবাই আমাদের কান্ডা কারখানা দেখে হা হা করে হেসে দেয়,
!
পরে যখন আমি একা একা সেলফি তুলছিলাম তখন আমার ফোনের সেলফি ক্যামেরায় দেখি,
!
মিস্টার খান ও চৌধুরি কে আমার দুপাশে ভালো করেই দেখা যাচ্ছে ,
আর আমি যখন সেলফির জন্যে পোজ দিচ্ছি,
……
তখন শয়তান দুটো ও ইবলিশ মার্কা পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসি দিচ্ছে,
!
ফইন্নি কতো গুলো দেখলেই জুতোপেটা করতে মন চায়,
!
ওরা এতো বড়বড় বিজনেস এ্যম্পায়ারের মালিক হইছে কি করে আল্লাহ মালুম?
!
ক্যালারর ছোলায় আছাড় খাইয়া ও আমার পেছনে লাগার শখ যায় নাই ধলা ইন্দুর কনে কার,
!
তখন আমার ফ্রেন্ড নিরব এসে বলে আমার আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে মিশকা,
!
আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমাদের জিজু কি কালা না ধলা?
!
এ আবার কেমন প্রশ্ন?
!
প্রশ্নের উওর দে তারপর বলছি,
!
জিজু কালো,
!
আলহামদুলিল্লাহ্‌,
!
কেন?
!
নিজের জীবন থেকে শিখেছি অতিরিক্ত সুদর্শ স্বামীর চরিত্র খারাপ হয় চরিত্রহীন হয়,
!
মিশকার কথা টা ইমানের বুকে তীরের মতো গিয়ে লাগে এবং সাথে সাথে চোখ জোড়া ছলছল করে ওঠে ওর,
!
তারপর মিশকা বাথরুমে চলে যায় ওর ল্যাহেঙ্গা ঠিক করার জন্যে,
……
ল্যাহেঙ্গা ঠিক করার পরে মাথায় হাত দিয়ে দেখে,
…….
খোপা খুলে গেছে ওর,বেলি ফুলের মালা টাও নেই হয়তো খুলে পরো গেছে,
….
তখনি পেছন থেকে কেউ চিরুনি দিয়ে ওর চুল গুলো আঁচড়ে দেয়,
আর খোপা করে বেলি ফুলের মালা পরিয়ে দেয়,
!
তখন তাকে থ্যাংকস জানাতে পেছনে ফিরে রীতিমতো ভয় পেয়ে মিশকা,
……..
কারন ও এক্সপেক্ট করেনি,
যে ইমান ওর চুল আঁচড়ে বেলি ফুলের মালা পড়িয়ে দিবে,
!
এসবের মানে কি মিস্টার খান?
!
মানে কিছুই না,
বুকের ওপর থেকে ওড়না সরে গেছে ঠিক করে নাও,
!
গেছে তো?
আমি আপনাকে আমার ওপরে নজরদারি করতে বলিনি গট ইট,
!
তখন ইমান খুব জোড়ে বেসিনে ঘুসি মেরে বলে,
!
আমি আমার বৌয়ের নজরদারি করবোনা তো কি?
পরপুরুষে মানে তোমার ওই রুহান করবে?
!
এসবের মধ্যে রুহান কে টানবেন না বুঝলেন?
আপনি নিজে যেমন সবাই কে তেমন মনে করেন?
এই আপনি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছেননা কেন?
সমস্যা কোথায় কি সমস্যা আপনার?
!
ডিভোর্স তো আমি মরে গেলে ও দিবো না বুঝলে?
!
কেন সেটা জানতে চাইছি আমি?
তাই নাটক করবেননা প্লিজ,
!
কারন আমি চাই না কেউ তোমাকে ডিভোর্সি বলে অপমান করুক,
!
সবচেয়ে বেশি অপমান তো আপনি আমাকে করেছেন,
আর আপনি যেটা বলছেন সেটা সত্যি নয়,
অন্য কারনে আপনি আমাকে ছাড়তে চাইছেন না,
তাই সেই আসল কারন টা বলুন?
!
যেটা সত্যি সেটাই বলেছি তোমায়,
!
শুনুন যে নারী যে পুরুষের সাথে সহবাস করে তাকে সে সবচেয়ে ভালো করে চেনে,
তাহলে আপনি আমাকে মিথ্যে বলছেন কেন?
!
কারন সত্যি যেনে কোনো লাভ নেই তোমার,
!
তারপর উনি ওনার কোর্ট টা বেসিনের ওপরে রেখে টাই লুজ করে শার্টের বাটান খুলতে খুলতে আমার কাছে এক পা এক পা করে এগিয়ে যায়,
!
এএএএসসসবের মামানে কি?
আপনি শার্ট খুলললছেন কেন?
!
একজন স্বামী তার স্ত্রীর সামনে কখন শার্ট খোলে?
!
দেখুন আপনি এমমমন কিছু করবেন না,
আপনি আমার স্বামী না,
!
তুমি অস্বীকার করলে ও এটাই সত্যি যে আমি তোমার স্বামী,
আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে তোমার ওপরে,
!
নেনেনেই আপপপনার কোনো অধিকার আমার ওপরে,
আপনি আপপপনার ওই নোংরা হাত দিয়ে আমাকে ছোঁবেন না প্লিজ,
!
আমি আমার হাত ডেটল হ্যান্ডওয়াস দিয়ে ধুয়ে এসেছি এখন আর আমার হাতে নোংরা নেই,
!
নোংরা মানুষ নোংরামোর ও একটা সীমা থাকা উচিত,
আমি বলছি আপনি আমাকে ছোঁবেন না,
!
আমি ছুঁয়েছি বলেই আজ তুমি আমার সন্তানের মা,
!
নিজের ওই নোংরা মুখ থেকে আমার বাচ্চাদের কথা উচ্চারণ করবেননা,
!
আমি নোংরা বলেই তুমি তোমার প্রেগন্যান্সির কথা আমার থেকে লুকিয়ে গেছ?
আমাকে বললে কি আমি তোমার যত্ন নিতাম না?
!
যে সারাদিন ব্যভিচারে লিপ্ত থাকে সে কখনোওই কারো যত্ন নিতে পারেনা,
একান্তই তাকে চিট করা ছাড়া,
!
আপনি আপনার বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে আপনি বিয়ের আগে ইশার সাথে শারীরিকভাবে মেলামেশা করেননি?
কি হলো দাঁড়িয়ে গেলেন কেন?
আসুন আমার কাছে আসুন কি করবেন করুন,
!
আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্যি টাকি জানেন?
……….
সত্যি টা হলো আপনি আমার স্বামী আর ইশা আমার নিজের বোন আপনি ওর সাথে ব্যভিচারের লিপ্ত ছিলেন আর ওকে বিয়ে করে নিজের ঘরে এনে তুলেছেন,
আর আজ আপনি ওরি সন্তানের বাবা হতে চলেছেন,
আর এখন আপনি আমার সন্তান কে নিজের বলে দাবী করতে এসেছেন?
আপনার একটু ও লজ্জা করে না তাই না?
!
মিশকার প্রশ্নের উওর দিতে না পেরে চোখেরজল ফেলতে থাকে ইমান,
!
কারন আমি জানতাম না যে মিশকা ইশার বোন,
আর মিশকা জানেনা ইশার মিসক্যারেজের কথা
মিশকা ইশার বোন?
কি কিরে জানতে হবে আমার?
ওরা বোন হলে আমি তো মস্তবড় অপরাধী,
কারন আমি জানি ইশার কোনো বোন নেই?
সত্যি টা কি সব জানতে হবে আমার,
……..
তখন মিশকা ওখান থেকে চলে যায়,
!
কিছুক্ষণ পরে মিশকা মেলার স্টলে রেশমি চুড়ি কিনতে যায়,
!
লালসবুজ চুড়ি পছন্দ করে হাতে পড়তে যেতেই,
ইমান ওর হাত চেপে ধরে নিজের কিনে আনা সোনার বালা পরিয়ে দিয়ে বলে,
!
আমাকে তোমার অসহ্য লাগতেই পারে তাই বলে তুমি বিধবা সেজে থাকবে?
!
অন্তত আমাদের বাচ্চাদের মুখ চেয়ে সেজে গুজে হাসিখুশি থাকবে,
!
তুমি জানো আমি শুধু ওদের কথা শুনেছি তাও ময়নাপাখির মুখে,
আমি তো ওদের বাবা এখনো ওদের চাঁদের মতো মুখ টা দেখিনি,
!
তবে একদিন তো দেখবো,
তুমি জানো আমি জানতাম না ইশা তোমার বোন,
জানলে কখনো ওকে ছিঃ,
!
আপনি সবজান্তা ছিলেন, আপনি জানতেন আপনি সব ইচ্ছে করে করেছেন,
………
কারন ও আমার থেকে অনেক সুন্দরী,
আপনার জন্যে পারফেক্ট ও আপনার সাথে মানানসই,
!
আর আপনি যদি ভেবে থাকেন আমি আপনার কাছে ফিরে যাবো,
…….
তাহলে ইউ আর অ্যাবসোলুটলি রং মিস্টার খান,
আমি মরে যাবো তবু ও আপনার কাছে ফিরে যাবো না,
!
তারপর মিশকা ওখান থেকে চলে যায়,
!
আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃণা করো বলে বিশ্বাস করছ না,
কিন্তু আমি প্রমাণ করে দিবো যে আমি জানতাম না যে ইশা তোমার বোন,
!
তারপর তুমি আমায় একটু হলে ও কম ঘৃণা করবে ,
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 14

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 14

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
বাট আই স্টিল লাভ ইউ বাবুনি,
হা হা হা,
!
কি হলো মা মেজাজ খারাপ বলে মনে হচ্ছে?
!
পাপা ওই আরিয়ান টা আছে না?
!
হুমম,
!
ওকে দেখলেই আমার ঝাঁটাপেটা করতে মন চায়,
!
কেন মা?
হা হা হা,
!
কারন ও উগান্ডা আদিবাসী তাই,
!
হা হা হা,
তোমাদের আজকাল কার ছেলেমেয়েদের এতো রাগ যে কিছু হলেই চৌদ্দ গুষ্ঠি কে উগান্ডা ট্রান্সফার করো,
এটা কেন কর মা?
!
গায়ে সয় না তাই,
!
হা হা হা,
!
আজকে অনেক দিন পরে পাপার সাথে মন খুলে মজা করলাম ও হাসলাম,
!
উফফ,
এখন খুবী শান্তি লাগছে আমার,
!
বিকেলে জিজু মানে জিসার বর আমাকে ও আমার বাবুদের এসে নিয়ে যায় ওদের বাসায় ওদের ছেলে জিসামের বার্থডের অনুষ্ঠানে,
!
জিসামের বার্থডে তে আমি ওকে আমার বানানো ও ডিজাইন করা শার্ট প্যান্ট ও কেক উপহার দেই,
!
তারপর সারারাত ধরে সবাই মিলে হৈচৌ করে মাঝরাতে আমি ঘুমিয়ে পরি,
তখন জিসা আমার পরাণ পাখি দুটো কে সামলে রাখে,
!
ভোররাতে জিসামের কান্না শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমার,
তাই আমি ওকে কোলে নিয়ে পাইচারি করতে করতে ছাদে চলে যাই,
!
কিছুক্ষণ পর জিসা আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
আমার ছেলে টা আমার থেকে ও বেশি তোকে পছন্দ করে তাই বলি কি?
তুই তোর দুটো আমাকে দিয়ে দে আর আমার এই ছেলে কে তুই নিয়ে নে,
!
আহারে এতো কষ্ট করে জন্ম দিয়েছি কি তোকে দিয়ে দিবো বলে?
শয়তানী জানি কোথাকার?
বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি পেতে চায়,
!
হা হা হা,
!
হাসির শব্দ শুনে দেখি,
জিজু আমার কথা শুনে হাসছেন,
!
কি হলো জিজু হাসেন কেন?
!
সক্কাল সক্কাল শালীর গলা শুনলে জিজুদের মনে যে কি হয় সেটা তুমি বুঝবেনা গো শালীকা,
!
আপনি একটা নির্লজ্জ,
!
কেন?
!
সক্কাল সক্কাল কোরানশরিফ বুকে জড়িয়ে বাঁদরামো করছেন?
আপনি তো পাক্কা জাহান্নামের বাসিন্দা,
!
হা হা হা,
!
আপনি ওখানে যাবেন আমি নিশ্চিত,
!
গেলে একা যাবো না গো শালিকা,
তোমাকে সাথে করে নিয়ে যাবো আফটার অল শালি আধি ঘড় ওয়ালী বলে কথা,
!
তাহলে আপনার জাহান্নামে ও জায়গা হবে না,
!
হা হা হা,
!
ব্যাটা অসভ্য তুই আমার সামনে আমার বেষ্টুর লগে আলগা পিরিত করো?
!
না মানে,
!
তোর মানে তোকে দেখাচ্ছি তুই একটু খাড়া,
তারপর জিসা জিজু কে মারতে মারতে রুমে নিয়ে যায়,
!
আর আমি জিসাম কে আমার বুকে জড়িয়ে হাসতে থাকি,
তখন হঠাৎ করে পাশের ছাদে নজর যেতেই দেখি,
!
ওই বাজে লোক টা আমার দিকে মলিন চোখে তাকিয়ে আছে,
!
আর ওই লোক টাকে দেখে ঘৃণা করছে আমার,
আমার বিশ্বাস হয় না যে আমি এই লোক টাকে কোনো একসময় অনেক ভালোবেসেছি,
কোন দুঃখে যে বেসেছিলাম তাই আজকে এমন দিন দেখতে হচ্ছে আমার,
!
যাই হোক আর এক সেকেন্ড ও এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো না আমি,
তাই আমি ওখান থেকে চলে যেতে শুরু করি,
!
তোমার সমস্ত সুখশান্তি কেরে নিয়েছি বলে কি যাওয়ার আগে আমাকে অভিশাপ দিয়ে গেছ?
!
ওহহহ হ্যালো,
অভিশাপ কাও কে দিতে হয় না আল্লাহর কাছ থেকে নিজে থেকেই আসে,
আর আপনাকে অভিশাপ দেওয়ার সখ কোনো কালেই আমার ছিলো না,
কারন সেটা দেওয়ার জন্যে আমার আল্লাহ একাই যথেষ্ট গট ইট,
!
তারপর আমি জিসাম কে নিয়ে রুমে চলে আসি আর ওকে আমার বুকে জড়িয়ে শুয়ে পরি,
কারন আমার দুটো কে জিসা জড়িয়ে রেখেছে,
……
আর জিজু মানে জিসার বর সাইমুম ভাইয়া রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে দারওয়ান গিরি করছে মানে আমাদের পাহারা দিচ্ছে,
হা হা হা,
!
পরেরদিন ইউনিভারসিটি তে গিয়ে শুনি,
!
ইউনিভারসিটি তে বৈশাখী উৎসব পালন পরা হবে,
দুদিন ব্যাপী বিশাল বড় মেলার আয়োজন করা হবে ইউনিভারসিটি তে,
!
ইসসসস,
কি মজা টাই হবে না?
আমার দুটো পাপা কে ধরে আনবে আমাকে চুড়ি কিনে দিতে,
হা হা হা,
!
হায় আল্লাহ আমি বড় হয়ে গেছি, দুটো বাচ্চার মা হয়ে গেছি তবু ও এমন বায়না করছি ,
হা হা হা,
!
কি হলো মা কি এতো ভাবো সারাক্ষণ?
!
কিছুনা মা?
!
আসলে আমার জন্যে সোসাইটি তে তোমাদের কথা শুনতে হয় এসব ভালোলাগে না আমার মাম্মা,
!
তুই কাঁদছিস কেন?
এখানে তোর কোনো দোষ নেই, তোর ইচ্ছের বিরুদ্ধে আমরা তোকে ইমানের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম আমাদের ক্ষমা করে দে মা,
!
তুমি এমন করে বলো না মাম্মা আমার এসব শুনতে ভালো লাগেনা,
!
তুমি জানো আমি ওই অসভ্য টালে কতবার ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছি?
যতবার পাঠিয়েছি ও ততবার ডিভোর্স পেপার গুলো ছিড়ে আমাকে পার্সেল করে পাঠিয়েছে,
!
হা হা হা,
আসলে ওর অবস্থা খাইতে পাইলে শুইতে চায়,
!
হা হা হা,
!
মা দেখ তো এই ড্রেস টা তোর জন্যে উগান্ডা দিয়ে আনিয়েছি,
!
পাপা?
!
কেমন হয়েছে মা?
হা হা হা
!
সাদা পরির মতো অনেক সুন্দর হয়েছে পাপা আমি কাল কেই এই ড্রেস এা পরবো,
তবে বাংলাদেশে এতো ড্রেস থাকতে উগান্ডা গেলে কেন আমার ড্রেস কিনতে?
!
আমার ছোটো মেয়ে তাই?
!
তুমি না এখনো আগের মতো দুষ্টু আছো পাপা,
!
ফাজিলের ফাজিল পাপা কে দুষ্টু বলতে আছে?
!
আলবাত আছে হা হা হা,
!
পরেরদিন সকালে আমি পাপার দেওয়া সাদা কালারের ল্যাহেঙ্গা পরে হালকা সাজুগুজু করে ইউনিভারসিটির বৈশাখী অনুষ্ঠানে যাই,
!
সেখানে গিয়ে আমি, রুহান, জিসা, জাহাদ মিলে লাল সাদা বেলুন দিয়ে স্টেজ সাজাতে শুরু করি,
স্টেজ সাজানো কমপ্লিট করে খেয়াল করে দেখি,
!
জিজু জিসাম কে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
মিস্টার ইমান খান মিসেস ইশা খান ও আরিয়ান চৌধুরি কে নিয়ে আমাদের প্রোফেসর ও লেকচারারদের সাথে আলাপ আলোচনা করছেন,
!
কেন যেন মনে হচ্ছে মিস্টার খানের অবস্থা ভালো নেই তাকে আমার কি?
!
তখন হঠাৎ আমার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খিলে যায়,
!
তাই আমি রুহান কে মজা করে বলি,
!
শোন ক্যালা খাইতে মন চায়,
!
কলা খাবি?
!
হুমম?
!
তা এতে কিছু থুইয়া ক্যালা খাবি ক্যান?
!
মন চায় তাই?
!
এতো কিছু থাকতে ক্যালা তোর মনে চাইছে?
!
হুমম,
!
নে ধর তোর ক্যালা,
!
তখন খেয়াল করে দেখি,
সবাই আমার দিকে চেয়ে মুচকি মুচকি হাসছে,
!
তাই একটা ভেংচি মেরে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলি,
!
হাসবেন যখন বোএিশ টা বেড় করে হাসুন মুচকি মুচকি হাসার মানে কি?
!
আমার কথা শেষ হতে না হতেই সবাই হা হা করে হেসে দেয়,
তারপর একটা কলা আমরা চার জনে শেয়ার করে খাই,
!
পরে ডংডং করতে করতে মিস্টার খান ও আরিয়ান চৌধুরির পেছনে গিয়ে ক্যালার ছোলা ফেলে আসি,
!
তখন রুহান এসে বলে,
এতো সুন্দর দেখায় তো হাতে পায়ে আলতা পরিস নি কেন?
!
আমি আলতা পরতে পরি না,
!
দেখি চুপ টি করে বয়,
!
ক্যান?
!
বয় তারপরে বলছি,
!
আমি বসার পরে রুহান আমার হাতে পায়ে সুন্দর করে আলতা পরিয়ে দেয়,
আর ওর পকেট থেকে এক জোড়া পায়েল বেড় করে পরিয়ে দেয়,
!
মিশকা কোথায় যেন জ্বালা পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি,
!
তখনি ধুমধাম করে কেনোকিছু পরে যাওয়ার শব্দ হয় খোয়াল করে চেয়ে দিকে একটা শয়তান আরেকটা শয়তানের ওপরে পরে গেছে,
আই মিন আরিয়ান ইমানের ওপরে পরে গেছে,,
!
কিন্তু কি নির্লজ্জ আমার ও রুহানের দিকে এমন করে তাকিয়ে আছে যেন এখনি আমাদের চিকেন ফ্রাই করে খেয়ে ফেলবে,
!
হা হা হা,
!
হাসিস ক্যান?
!
মেয়েদের দিয়ে মন ভরে না,
তাই ছেলেতে ছেলেতে শুরু হয়ে গেছে,
!
আমার কথা শুনে রুহান আমার মুখ চেপে ধরে হা হা করে হেসে দেয়,
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 13

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 13

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
পরে নিজেই মিশকার বলা কথা গুলো মনে করে হা হা করে হাসতে থাকে,
!
ইসসস,
আমি যদি জানতাম এটা ওর বিজনেস তাহলে আমি ওকে যেতেই দিতাম না,
অনেক কথা বলার আছে আমার ওকে,
!
ও আমার এতো কাছে ছিল আমি ওকে ছুঁতে পারলাম না,
!
কি আশ্চর্য তাই না?
আমি আমার এক বৌয়ের কাছ থেকে অন্য বৌয়ের জন্যে ওর্নামেন্টস কিনছি,
!
জানিনা কেন এমন হচ্ছে আমার সাথে?
আমি কি কোনো ভুল করেছি?
মস্ত বড় ভুল?
!
বাবা রুহান তুমি তো মিশকার বন্ধু তাই না?
!
জ্বি স্যরর,
!
তুমি ওর মা-বাবা কে চিনো?
!
হ্যা স্যরর,
!
কি নাম ওর বাবার?
!
মাহির চৌধুরি,
!
মাহির চৌধুরি নাম শুনে এই মানাফ চৌধুরি চমকে যায়,
!
কি হলো স্যরর?
কিছু বলবেন?
!
তুমি আমাকে ওর বাসার ঠিকানা টা দিবে বাবা?
!
হ্যা স্যরর অবশ্যই,
!
রুহানের কাছ থেকে মিশকার ঠিকানা নিয়ে চলে যায় মানাফ চৌধুরি,
!
মা তোকে ও কোনো খারাপ কথা বলেছে নাকি হুমম?
!
না মা ওনাকে বলার সুযোগ দেই নি আমি,
তার আগেই “আপনি বাঁচলে বাপের নাম ”
করে কেটে পরেছি আমি,
!
আমার কথা শুনে যে যার মুখ চাওয়াচাওয়ি করে হা হা করে হেসে দেয়,
!
রাতে যখন আমি বাবুদের খাওয়াচ্ছিলাম তখন মা এসে বলেন,
!
মা শুধু ওদের খাওয়ালে হবে নিজের খেতে হবে না?
!
খিদে নেই মা,
!
কেন মন খারাপ?
!
আসলে মা,
!
কি মা?
মাকে বিশ্বাস করে বলা যায় না নাকি?
!
আসলে মা আমি মাম্মা পাপার কে মিস করছি তাই,
!
ওওওও,এই কথা?
কাল কেই তোর আব্বু কে বলবো তোকে ওখানে দিয়ে আসবো কেমন?
!
ওকে মা,
!
দেখি মা এখন হা কর আমি তোকে খাইয়ে দিচ্ছি কেমন?
!
জ্বি মা,
!
তারপর মা আমাকে খাইয়ে দিয়ে, ঘুম পারিয়ে নিজের রুমে চলে যায়,
!
ইসসস,
ওর হাতের কাজ কতো সুন্দর?
ও যে এতো গুনবতী এটা তো আমার আগে জানা ছিলোনা?
আর ও আমাকে বলে ও নি,
কেন বলেনি ও আমাকে?
স্বামী হিসেবে কি আমার এতো টুকু জানা অধিকার নেই নাকি?
!
এখন আমি বুঝেছি তোমার কেন আমাকে প্রয়োজন নেই?
কেন নেই আমাকে প্রয়োজন আমি কি এতো টাই খারাপ?
এতো টা খারাপ নই আমি যে তোমার হাতে বানানো গহনা আমি ইভা কে পড়তে দিবো,
!
বেবি এই রেশমি সুতোর গহনা গুলো জাস্ট ওয়াসাম,
!
আসলে এগুলো তোমার নয়,
!
তাহলে কার?
!
আমার বোন ইমার,
!
ও আচ্ছা তাই বলো,
ওকে গুড নাইট ,
!
গুড নাইট,
জানিনা আমি কেন ওকে মিথ্যে কথা বললাম?
তবু ও মিথ্যে বলে ভালো লাগছে আমার,
অদ্ভুত একটা প্রশান্তি লাগছে আমার,
!
পরেরদিন সকালে মিশকা কে ওর বাবার বাড়ি নিয়ে যায় ইফতি খান,
সেখানে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেয়েদেয়ে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে যায় মিশকা,
!
দুপুরে চ্যাঁচামেচির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ওর,
তাই ও বাবুদের বুকে জড়িয়ে নিচে চলে যায়,
সেখানে গিয়ে দেখে মিস্টার মানাফ চৌধুরি ওর বাবা
মাহির চৌধুরির হাত ধরে বলছে,
!
ভাই আমার মেয়ে টা কে আমি তোর অনাথ আশ্রমে ফেলে এসেছিলাম,
ও কোথায় আমাকে বল?
আমি ওকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাবো ভাই,
!
আমি জানিনা তুই তোর মেয়ে কে কোথায় ফেলেছিস,
তোর মেয়ে আমার কাছে নেই,
!
আমার মেয়ে তোর কাছে আছে ভাই,
!
আমি বলছি আমি জানিনা তোর মেয়ে কোথায়?
আর এর প্রমাণ কি যে তুই ওকে আমার অনাথ আশ্রমে ফেলে এসেছিস?
!
প্রামাণ আমি নিজে,
!
সো হোয়াট শুড আই ডু?
!
মিশকা কার মেয়ে?
!
মানে?
তোর সাহস কি হয় আমার মেয়ে কে নিয়ে প্রশ্ন করার?
!
কারন ও আমার মেয়ে,
!
ও তোর মেয়ে কিছু তেই হতে পারে না ও আমার মেয়ে,
!
তখন আমি খেয়াল করে দেখি,
আমার মাম্মা দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন,
ও পাপা বেশ ভয় পেয়ে আছেন,
!
তাহলে কি উনি আমার…….?
না হতে পারেনা,
আর হলে ও আমি মানি না,
এতদিন উনি কোথায় ছিল যে এখন উনি আমাকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করতে এসেছেন?
!
“দুঃখের সময় আমার পাশে ছিলোনা, সুখের সময়ে ভাগ নিতে এসেছে”
এটা আমি কখনওই হতে দিবো মা,
আমার মাম্মা পাপা কে কিছু তেই অপমানিত হতে দিবো না,
!
জন্মের পরে উনি আমাকে ফেলে এসেছেন,
আর ওনার মেয়ে সাজানো সাম্রাজ্য কেরে নিয়েছেন,
আরকি নিতে বাকি আছে ওনার?
!
নাহহহ আর না,
কিছু তেই না,
আজকে আমি ওনা কে ওনার জায়গা টা দেখিয়ে ছাড়বো,
কারন ওনার কোনো যোগ্য নেই আমার পাপা হওয়ার,
!
পাপা?
!
তখন পাপা আমাকে তার ছলছল চোখে বলেন,
মা তুই এখানে কি করছিস?
যা রুমে যা তোর শরীর তো ভালো নেই মা,
!
না মিশকা কোথাও যাবে না,
আজ ওর সত্যি টা জানা প্রয়োজন,
!
আজ আমার না আপনার সত্যি টা জানা প্রয়োজন মিস্টার মানাফ চৌধুরি,
!
মানে?
!
ফাস্ট অফ অল আপনি আমার বাবা নন সেকেন্ড অফ অল আপনার কোনো যোগ্যতা নেই আমার বাবা হওয়ার এবং আমার পাপা মাম্মা কে অপমান করার,
কোন সাহসে আপনি আমার পাপা কে অপমান করেন হুমম?
আপনার কোনো অধিকার নেই নিজেকে আমার পাপা বলে পরিচয় দেওয়ার,
!
মা,
!
এই মেলা ফ্যাচফ্যাচ করবেন না তো,
এই মা ডাক টা আপনার মুখে মানায় না,
!
একচুয়ালি ইউ অ্যান্ড ইউওর ফ্যামিলি গুড ফর নাথিং মিস্টার মানাফ চৌধুরি,
পাপা তুমি ওনাদের এখনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দাও নাহলে আমি কিছু করে ফেলবো,
!
মিশকার কথায় কষ্ট পেয়ে মানাফ চৌধুরি তার চোখেরজল মুছতে মুছতে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়,
!
তখন মাহির চৌধুরি মিশকা কে জড়িয়ে ধরে বলেন,
!
মা বিশ্বাস কর আমি আমি তোর বাবা,
মানাফ মিথ্যে কথা বলছে,
!
আমি জানি তোমরাই আমার সব আর উনি মিথ্যে কথা বলছেন,
তাহলে তুমি কাঁদছ কেন হুম?
তুমি কাঁদছ মাম্মা কাঁদছে আমার কি এসব দেখতে ভালো লাগছে পাপা?
!
বিশ্বাস কর,
!
ধুররর পাগল?
“মা বাবা হলো বেহেশতের দরজা ”
তাকে কি কখনো অবিশ্বাস করতে আছে হুম?
!
না?
!
তাহলে এসব বলো কেন হুম?
এসব যেন আমি আর কখন না শুনি কেমন?
!
আচ্ছা ঠিক আছে আম্মু,
!
মনে থাকে যেন?
!
থাকবে থাকবে খুব থাকবে মা,
!
ওদিকে ইমান যখন অফিসে কনফারেন্স করছিল তখন হঠাৎ ওর ফোন বেজে ওঠে,
ফোন রিসিভ করে জানতে পারে ইশা হসপিটালে,
!
তাই ও কনফারেন্স ছেড়ে হসপিটালে চলে যায়,
সেখানে গিয়ে জানতে পারে,
ইশা বাথরুমে স্লিপ করে পরে গেছে,
তাই আরিয়ান ওকে হসপিটালে নিয়ে এসেছে,
!
তারপর ডক্টর চেকআপ করে জানা যে,
ইশার বেবি মিসক্যারেজ হয়ে গেছে,
তাই ওর বেবি অ্যাবট করতে হবে,
!
অ্যাবটের কথা শুনে ইমান স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে পরে,
আর হঠাৎ করে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে শুরু করে,
!
কত স্বপ্ন দেখেছিল ও ওর বেবি কে নিয়ে,
সব একটা দমকা হওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গেল,
বাবা হওয়ার কথা শুনারর পর থেকেই বাবুর খেলনাপুতুল কিনে আনা শুরু করেছিল ও,
আর এই এক মাসে খেলনা কিনতে কিনতে খেলার পাহাড় বানিয়ে ছিল ও,
!
কিন্তু এখন এসব দিয়ে খেলবে কে হুমম?
যার জন্যে এতকিছু সেই তো আর নেই,
!
আল্লাহ কেন দিয়ে ও সবকিছু কেড়ে নেয়?
কেন আল্লাহ এমন করে হুমম?
তার ইবাদত বন্দেগি তে আমি কোনো কমতি রাখিনি,
তাহলে কেন সে আমাকে এভাবে পরীক্ষকা করছে?
তাও আবার আমার সন্তান কে আমার থেকে কেড়ে নিয়ে,
!
কিরে মা কি এতো ভাবছিস?
!
কিছুনা পাপা,
তোমরা না শুধু বাচ্চাদের মতো কান্নাকাটি করো,
তোমরা যে ভাবে কান্নাকাটি করো এতো কান্নাকাটি আমার সোনা দুটো ও করে না,
!
হা হা হা,
ওদের তো শুধু খাই আর শুই কান্না করবে কখন,
!
হা হা হা,
লিসেন পাপা আমি না বেবিদের ক্লথস কিনতে শপিং এ যাবো,
আমি যাই?
!
হ্যা মা তবে সাবধানে কেমন?
!
আচ্ছা পাপা ঠিক আছে,
!
তারপর আমি শপিং এ চলে যাই,
সেখানে গিয়ে বেবি ওয়্যাের,বেবি ওয়াইপস ও জনসন বেবি ট্রিজ কিনে নিজের জন্যে সাড়ি কিনতে যাই,
!
তারপর একটা বেবি পিংক কালারের সিল্কের সাড়ি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের গায়ে ধরি,
তখনি খেয়াল করে দেখি,
!
মিস্টার আরিয়ান আবরাহাম চৌধুরি আমার অপজিটে দাঁড়িয়ে আমার গায়ে একটা বিয়ের সাড়ি ধরে দেখার চেষ্টা করছেন,
!
বেটা অসভ্য মন টা চায় ওকে ধরে জুটো পেটা করি,
সাহস কতো আমার গায়ে বিয়ের সাড়ি ধরে দেখতে চায়?
!
তখন উনি আমাকে বলে,
!
হায় মিশকা,
!
বাই,
!
মানে?
!
আমি ইন্টারেস্টেড নই আপনার সাথে বকবক করতে কেমন?
!
তুমি ইমানের রাগ টা আমার ওপরে ঝাড়ছ কেন?
!
এই ফালতু বলবেননা কেমন?
তারপর আমি ওখান থেকে মানে মানে কেটে পরি,
!
বদমেজাজি যেন কোথাকার?
আমার ফিলিংসের কোনো দাম নেই তাই না?
!
বাট আই স্টিল লাভ ইউ বাবুনি,
হা হা হা হা
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 12

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 12

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
ইমানের কথা শুনে আয়ান ইশা হ হা হা করে হেসে দেয়,
!
জিসা জাহাদ তখন দৌড়াদৌড়ি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে হোটেলের ফ্লোরে শুয়ে পরে,
আর ওদের কান্ড দেখে হোটেলে উপস্থিত সবাই তাদের বোএিশ টা দাঁত বেড় করে হা হা করে হেসে দেয়,
কিন্তু,
জিসা সে দিকে খেয়াল না করে জাহাদ কে বলে,
!
দোস্ত আমি যদি ভুল না হই এই আরিয়ান ও ইশার মধ্যে ইন্টুপিন্টু চলে,
!
কি?
ইয়া আল্লাহহহহ কও কও কি তুই?
ওই অসভ্য মেয়ে টার জন্যে আমাদের মিশকার সাজানো সংসার টা তছনছ হয়ে গেলো,
আর তুই এই সব কও?
!
হালার পুত তুই জানোস না আমি প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা কই না,
!
তাও তো ঠিক,
তবে কি প্রমাণ পাইছো তুই?
!
মোক্ষম প্রাণ পাইছি আমি,
!
কেমনে?
কোথায় পাইছো প্রমাণ?
!
আরে আমি আমার স্বামী কে নিয়ে ক্যান্ডেল লাইট ডিনারে হোটেল ব্লু মাউন্ট রিসোর্টে গেছিলাম,
তখন তোর জিজু আরিয়ান ও ইশা কে একটা বেডরুমের মধ্যে খুবি খারাপ অবস্থায় দেখছে,
!
ইয়াককককক,
থুথু থুথু,
তারপর তুই জিজু কে কিছু বলো নাই?
!
কি বলবো?
তোর জিজু ইমানের বাল্যবন্ধু ও ইমান কে ফোন করে অন্য বাহানা করে হোটেলে ডেকেছিল,
কিন্তু,
ও আসতে লেইট করছে,
আর পাখি ফুড়ুত করে উড়ে গেছে,
!
হায় আল্লাহ কি কও?
ছেমড়ি তুই?
!
যেটা সত্যি সেটাই বলছি ভাই,
আমি অ্যাবসোলুটলি ড্যামেন সিওর ওরা ইন্টুপিন্টুন করে,
!
শোন ওরা যা করে হেয়া রে ইন্টুপিন্টু কয় নারে বোন,
হেয়া রে ডিরেক্ট পরকিয়া বলে,
!
ইসসসস,
একদম ঠিক হইছে জন্মেরমত ভালো হইছে,
বান্দর ছেমড়া আমাদের মিশকার লাইফ টা তেজপাতা বানাইয়া দিয়েছিল,
আর এখন ওর টা নিমপাতা হয়ে যাবে,
!
হা হা হা,
!
তুই আবার এসব মিশকারে কইছ নি?
!
নারে ভাই আমি কি পাগল?
যে ওরে কমু?
তুই জানোস না ও কেমন?
নিজে মরবে তবু ও কাও কে মারবে না,
!
এইটা তুই ভালো করেছিস রে বোন,
!
তখনি হঠাৎ করে ধাম করে কোনো কিছু পরে যাওয়ার শব্দ হয়,
!
শব্দ শুনে সবাই বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে দেখে,
!
মিশকা রুহান কে ফ্লোরে ফেলে ওর পিঠের ওপরে বসে আচ্ছা মতো ওর গায়ে, মাথায়, মুখে, চুলে কেক মালিশ করে দিচ্ছে,
!
ওদের এই অবস্থা দেখে,
জিসা জাহাদ মিশকা কে বলে,
!
ওই সাপ তুই বেজি টাকে ছাড়,
বেজির অবস্থা খুবি খারাপ ,
হা হা হা,
!
লাইফে প্রথম দেখলাম সাপ বেজির উপ্রে উঠে কিরতন করতেছে,
হা হা হা,
!
ওদের দুষ্টুমি দেখে আরিয়ান বলে,
“কিছুকিছু বন্ধুত্ব আছে যে টা এতো টাই অটুট যে পারমাণবিক বোমা ফেললে ও নষ্ট হয় না”
হা হা হা,
!
এটা কে বন্ধুত্ব বলে?
!
নাতো কি বলে?
!
পাবলিক প্লেসে নষ্টামো করা বলে,
!
ইমান তুই ওনা,
আমরা ও তো আমাদের সময়ে কতকিছু করেছি তো ওরা করবেনা?
!
না মানে,
!
ঠিকি বলেছে ও তুমি সবকিছু এতো খারাপ নজরে দেখ কেন হুমম?
!
আমার কাছে খারাপ লাগে তাই আমি খারাপ নজরে দেখি তোমাদের কোনো সমস্যা?
!
নো বাবু,
!
তখন হোলেটের ম্যানেজার এসে মিশকা রুহান ও জিসা জাহাদ কে বলে,
!
স্যর এবং ম্যাম আজকে আমাদের হোটেল স্কাই সিটির পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে,
……
আর আপনারা আমাদের পাঁচ বছরে পাঁচ হাজারতম লাকি কাপেল,
তাই আমরা আপনাদের জন্যে সামান্য কিছু আই মিন কাপেল ড্যান্সের আয়োজন করেছি,
…..
আপনারা যদি অনুগ্রহ করে আমাদের আয়জনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে আমরা অনেক খুশি হবো ,
!
কেননা অবশ্যই আমরা অংশগ্রহণ করবো কাপেল ড্যান্সে,
!
তখন ম্যানেজার মিশকা, রুহান,জিসা,জাহাদ ও অন্যান্য গেস্ট ও স্টাফদের নিয়ে স্কাই সিটির পাঁচ বছর পূর্তি জন্যে কেক কেটে সেলিব্রেট করেন,
…….
তারপর মিশকা ও রুহান কে ড্যান্স করার জন্যে অনুরোধ করেন,
!
মিশকা রুহান আবারো নাচবে শুনে ইমানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরে,
তবু ও চুপটি করে বসে থাকে,
আর হোটেল ম্যানেজার তখন গান প্লে করতে বলেন,
!
একটা ফালি রোদ এসে হাতছানি ভিন দেশে,
!
নীল আসমানি মনমানি যে আজ,
!
সারাদিন তেরে বিন কেটেছে এতো দিন,
চল ঘর ছাড়া মনকাড়া মেজাজ
!
মাহিরে ও মাহিরে
চল পায়ে পায়ে নিখেজ হয়ে যাই,
!
মাহিরে ও মাহিরে নীল চোখের তাড়ায় নিজে কে হাড়াই,
!
আজ উদাস হাওয়ায় ছুটির ডাকে অনেক,
কল্পনা সব ঘরের বাধন টুকরে খুড়ে প্রেমের জল্পনা,
ওই সোনার জলে মরিচিকা ইচ্ছারা স্বাধীন,
!
হোক বালির ঢেড এ সারাবেলা অপেক্ষা রঙিন,
!
হঠাৎ ই পাগলামি তোর মুচকি হাসি ঝড়,
খুশির এই মোহনায় এক নতুন খেলাঘর,
!
মাহিরে ও মাহিরে চল পায়ে পায়ে নিখেজ হয়ে যাই,
মাহিরে ও মাহিরে নীল চোখের তাড়ায় হাড়াই,
!
নাচের শেষে রুহান মিশকাকে কোলে তুলে নেয়,
আর তখনি সবাই হাত তালির বন্যা বইয়ে দেয়,
আর এতে লোকের ভিড়ে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেলে ইমান,
এবং চোখেরজল মুছতে মুছতে ভিড় ঠেলে ইশা কে না জানিয়ে বাসায় চলে যায় ইমান,
!
আর ইশা আরিয়ানের সাথে ওর বাসায় চলে যায়,
!
আচ্ছা বাবু তুমি আজকে খুশি?
!
অনেক খুশি বাট তুমি তো ইমানের বেবি ক্যারি করছ তোমাকে আদর করবো কি করে?
!
উফফ,
এই বেবি বেবি করা বাদদেও তো কালকের পর থেকে আর বেবি বেবি করা লাগবেনা তোমার,
!
কেন বেবি?
!
প্লান করেছি পরে বলবো,
আচ্ছা একটা কথা বলো তো?
!
কি?
!
তুমি আজকে হোটেলে ওই মিশকাকে ও ভাবে ফ্যালফ্যাল করে কি দেখছিলে হুমম?
আমি না বুঝিনা,
আমার মতো হট, বিউটিফুল ও আকর্ষণী মেয়ে থাকতে তোমরা ওকে কি দেখ?
আর ইমানের ও বলি হারি যাই,
ওই মেয়ে কে ওর কি দেখে প্রেমে পরছিল ও?
!
তখন আরিয়ান মনেমনে বলে,
মায়াবিনী মেয়ে যেকেউ ওর সাথে সংসার করতে চাইবে আমি ও চাই,
জানিনা ওরকম মায়াবিনী বৌ ফেলে ইমান তোমার মতো নষ্টা মেয়ের প্রেমে কি করে পরল আল্লাহ মালুম?
!
তবে যাই হোক না কেন?
আমার ফ্যামিলি দুবাই থেকে ফিরলেই আমি মিশকার বাসায় বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে যাবো,
…..
ওকে বিয়ে করবো আর ওকেই ভালোবাসব,
তখন ইশা দিশা বাদ শুধু আমার বৌ বাচ্চা নিয়ে থাকবো,
আর তুমি?
তোমার মতো মেয়ে দিয়ে স্বামী সংসার হয় না,
তাই তোমাকে তোমার জায়গা দেখিয়ে দিবো,
!
কারন আমি তো মিশকা কে আমার করে পাওয়ার জন্যে ইমান কে ইশার সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছি,
…….
আর এই ব্লাডিফুল টা ইশার পাগল হয়ে মিশকাকে ছেড়ে দিয়েছে,
হা হা হা,
!
কি গো কি ভাবছ তুমি?
!
কিছুনা বাবু,
!
আদর করবেনা?
!
না আজকে তুমি রেস্ট করো,
আমার অফিসের কাজ আছে আমি করবো,
!
ওকে বাবু,
!
তারপর আরিয়ান ওর স্টাডি রুমে গিয়ে ল্যাপটপ থেকে মিশকার ছবি গুলো দেখতে থাকে,
!
উফফ,
এই রুহান টা এতো সাহস কি করে পায় মিশকার সাথে ড্যান্স করার?
ওকে কোলে তোলার,
কি ভাবে কি ও নিজেকে?
মিশকার স্বামী?
স্বামী বেঁচে আছে ওর বেশি তেড়িমেড়ি দেখলে খুন করে গুম করে ফেলবো কাকপক্ষী তে ও টের পাবেনা,
!
আর ওর ও বলি হাড়ি যাই পরপুরুষের সাথে এতো পিরিত কিসের আল্লাহ ভালো জানে?
….
মাথা টা খারাপ হয়ে গেছে আমার,
তাই তুমি ও বেশি উড়া উড়ি করলে সোজা খপ্প করে ধরে গপ্প করে এনে খাঁচায় পুরে রাখবো,
পালিয়ে যাবে কোই জানু?
…….
আমি বেচেঁ থাকতে তোমাকে অন্য কারো হতে দিবো না,
কখনওই না,
কারন যে আমার না সে আর কারো না,
!
পরেরদিন সকালে,
ইমান পিক আপ পয়েন্ট ও চলে যায় ইশার জন্যে ওয়ার্ডার দেওয়া ওর্নামেন্টস নিতে,
!
সেখান গিয়ে কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর,
!
মিশকা গিয়ে ওর হাতে ওর্নামেন্টস এর বক্স ধরিয়ে দিয়ে বলে,
!
স্যাররর এক হাজার টাকা ওন ওয়ার্ডস,
!
মিশকার কথা শুনে ইমান হা করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে,
কারন ও জানতো না যে মিশকাই ওর ওর্নামেন্টস সেলার,
!
তখন মিশকা ইমান কে বলে,
!
স্যররর আপনার এতো বড় হা দেখার সময় নেই আমার আরো অনেকের পার্সেল কুরিয়ার করতে হবে,
তাই বিল টা পে করে দিন প্লিজ,
!
কিন্তু কে শোনে কার কথা?
!
হা তো হা হয়ে রয়েছে,
তাই মিশকা নিজেই ইমানের পকেট থেকে ওয়ালেট টা বের করে হাজার টাকার চকচকে নোট টা নিয়ে ওয়ালেট টা ইমানের হাতে ধরিয়ে দিয়ে সি.এন.জি তে করে বাসায় চলে যায়,
!
তখন ইমানের ঘোড় কেটে ওয়ালেট চেক করে বলে,
!
ফাজিল মেয়ে গেলে তো গেলো আমার হাজার টাকার চকচকে নোট টা নিয়ে গেল,
!
পরে নিজেই মিশকার বলা কথা গুলো মনে করে হা হা হা করে হেসে দেয়,
!
!
!চলবে

(আপিরা ইমান তো ইমান,
আরিয়ান একটা ছ্যাঁচড়া লুইচ্চা?
এখন ওর কি করা উচিত?)

স্বামীর ভালোবাসা part : 11

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 11

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
তয় ওহন বইসে বইসে কল্পনা কর কি কি পাবে?
হা হা হা,
!
তুমি বলতে পারো ইশারর আম্মু কোন পাপের জন্যে আল্লাহ আমাদের এমন করে শাস্তি দিচ্ছে?
যে আমাদের ছেলেমেয়ে দুটো এভাবে নষ্ট হয়ে গেল?
বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা কোনো কিছুর অভাব নেই,
অভাব শুধু একটাই আর সেটা হলো ছেলেমেয়ে দুটো কে মানুষের মতো পারিনি,
!
পারবো কি করে?
একজন কে জন্মের পরেই সে কালো বলে তাকে উনিশ বছর আগে অনাথ আশ্রমে ফেলে এসেছিলাম তার নিষ্পাপ মুখ দেখার ও প্রয়োজন করিনি,
কেন সে কালো ও আমাদের জন্যে একটা কন্যাসন্তান যথেষ্ট ছিল তাই?
আজ আমাদের সাথে এসব কেন হচ্ছে জানো?
!
বাচ্চা টাকে যে কষ্ট আমাদের জন্যে ফেস করতে হয়েছে আল্লাহ তারি জন্যে আমাদের সাথে এগুলো করছে,
!
এই উনিশ বছরে আমাদের মেয়েটা বোধ হয় অনেক বড় হয়ে গেছে তাই না?
একবার চোখের দেখা ও দেখতে যাওয়া হয়নি তাকে অনাথ আশ্রমে,
!
একবার নিয়ে যাবে সেখানে আমাদের মেয়েটার কাছে?
!
ওকি এখনো ওই অনাথ আশ্রমে আছে?
যদি থাকে তাহলে কেমন দেখতে হয়েছে আমাদের মেয়ে টা?
যাবো আমি সেখান যাবো ইশার আম্মু,
আর আমাদের মেয়ে কে বলবো,
মা তোর অভিশাপ টা ফিরিয়ে নে মা এই বয়সে এতো কিছু সহ্যকরার ক্ষমতা
নেই রে মা,
!
তুমি জানো আব্বু তুমি আবারো দাদুভাই হতে চলেছ,
তোমার ছেলে তো বাবা হওয়ার খুশি তে পাগল হয়ে যাচ্ছে,
আজই তার সাথে দেখা হলো আমার, আর তার চোখমুখ ঠিকরে বাবা হওয়ার খুশি উপচে পরছে,
!
ওই বাচ্চা এ দুনিয়ার মুখ দেখবে না মা,
!
মা উনি তোমার ছেলে তুমি ওনা কে অভিশাপ দিচ্ছ?
!
অভিশাপ নয় এটাই হবে দেখেনিস তুই,
আর ও আমার ছেলে না ও আমার কেউ না,
ইশা কে নিয়ে আজ যে আদিক্ষেতা গুলো ও করছে,
সে গুলো ওর তোকে নিয়ে করা করা উচিত ছিল,
!
আজ ও ফুটফুটে দুটো বাচ্চার বাবা হয়ে ও নিজের পিতৃত্ব থেকে অজানা,
এমন একটা মানুষ ও জানেই না যে ও আজ এই মুহূর্তে দু-দুটো সন্তানের বাবা,
!
মা একটু শান্ত হও তোমার বি.পি হাই হয়ে যাবে,
!
যাবেনা মা চল আমি তোকে খাইয়ে দেই,
তুই না খেলে ওরা খাবে কি?
!
কেন তোমাদের আদর খাবে,
তোমাদের মতো শশুড়-শাশুড়ি যে আমার কপালে ছিল এটা আমি স্বপ্নে ও ভাবিনি মা,
!
ফারদার যদি শশুড়-শাশুড়ি তোর মুখ থেকে শুনেছি?
আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না,
!
তোমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হতে ও পারবেনা আম্মু,
!
ফাজিল মেয়ে যেন কোথাকার,
এতকিছুর পরে ও এত হাসিখুশি থাকিস কি করে মা?
!
তোমাদের জন্যে মা,
মা আই লাভ ইউ,
!
আই লাভ ইউ টু আমার সোনা মা,
!
বাড়ির বৌ টাকে ও বাড়ির মেয়ে বানিয়ে রেখেছ,
আর আমি তো মনে হয় বানের জলে ভেসে এসেছি,
!
নাতো কি?
হিংসুটে যেন কোথাকার?
!
আম্মু তোমার বৌ মা বলে কি?
!
তোর মাথা চল আমার সাথে চল,
বলে আম্মু ইমা কে তার সাথে করে নিয়ে যায়,
!
তারপর আমি আমার ফেসবুক ওর্নামেন্টস গ্রুপে ঢুকি,
সেখানে ঢুকে অনেকের ওয়ার্ডার কালেক্ট করার পর,
!
হঠাৎ করেই মিস্টার ইমান খানের কমেন্ট দেখতে পাই,
কমেন্টে লেখা ছিল,
!
তোমার ক্রিয়েশন গুলো জাস্ট ওয়াও আমি আমার ওয়াইফের জন্যে তোমার থেকে ম্যাজেন্ডার কালারের রেশমি সুতের ব্লাইডাল ওর্নামেন্টস নিতে চাই,
সো আমি এগুলো কি ভাবে কালেক্ট করবো?
!
তার প্রশ্নের উওরে আমি বলি,
আপনি হয় তো গ্রুপের পিন পোষ্ট টি পরে দেখেননি,
ওখানে আমার গ্রুপের রুলস ও ডেলিভারি সিস্টেম এক্সপ্লেইন করা আছে,
!
সেটা আমি পরেছি আমি বলতে চেয়েছি এই ওর্নামেন্টস গুলো আমি কবে আমার হাতে পাবো?
!
তিনদিন পরে পেয়ে যাবেন স্যরর,
!
ওকে,
কুরিয়ার করতে হবে না আমি পিক আপ পয়েন্ট থেকে নিয়ে যাবো,
!
ওকে স্যার,
!
তারপর আমি ফেসবুক থেকে লগ আউট করে কিছুক্ষণ পড়ালেখা করে,
মিস্টার ইমান খানের ওয়াইফের জন্যে ওর্নামেন্টস বানাতে বসি,
!
তখন মা এসে আমার হাত থেকে ও গুলো কেরে নিয়ে বলে,
!
তুই ইমান কে মানা করে দে,
তুই ইশার জন্যে কিছু বানাবি না কেমন?
!
মা তুমি এমন কর কেন হুমম এটা তো আমার কাজ তাই না?
তাহলে তুমি এটা বলছ কেন বল?
!
তোর কষ্ট হয় না মা?
!
আগে হতো এখন আর হয়না কোনো ফিলিংস নেই তোমার ছেলের প্রতি আমার,
!
পাগলী মেয়ে আমার,
তখন মা আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেয়,
!
তারপর আমার কলিজার টুকরো দুটো উঠে কান্না জুড়ে দেয়,
তখন আমি ওদের কোলে তুলে আদর করে খাইয়ে দেই,
এবং ওদের বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে যাই,
!
পরেরদিন সকালে নিজের হাতে অনেক সুন্দর করে ক্রিম কেক বানাই কারন আজ আমার রুহানের বার্থডে,
!
আর দুপুরে রুহানের বার্থডে সেলিব্রেট করতে আমি আমার বানানো কেক নিয়ে হোটেল স্কাই সিটি তে যাই এবং অনেক সুন্দর করে স্টাফদের দিয়ে একটা টেবিল বেলুন দিয়ে ডেকোরেশন করাই,
!
তখন হঠাৎ সামনের টেবিলে নজর যেতেই দেখি,
মিস্টার খান তার ওয়াইফ কে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছেন,
!
হঠাৎ করে ওনার নজর আমার ওপরে পরতেই উনি ওনার ওয়াইফের সাথে লুতুপুতু মার্কা আলোচনা শুরু করে দেয়,
!
তখন হোটেল ম্যানেজার এসে আমাকে বলে,
!
ম্যাম আপনি আপনার গেস্টের জন্যে যে স্পেশাল খাবার গুলো ওয়ার্ডার করেছেন ও গুলো তৈরি হয়ে গেছে,
আপনি একটু টেস্ট করে দেখে নিন প্লিজ,
!
ওকে সার্ফ করার ব্যবস্থা করুন,
!
অ্যাজ ইউওর উইশ ম্যাম,
!
তারপর আমি খাবার গুলো টেস্ট করে নেই,
আর অন্যান্য ফ্রেন্ডস ও বার্থডে বয় রুহানের জন্যে অপেক্ষা করতে থাকি,
!
জানিনা মিশকা কারন জন্যে এতো আগ্রহ নিয়ে এখানে বসে আছে,
সে যেই হোক কোনো ছেলে হবে না হয়ত,
তবে ও এমন কেন?
চুপটি করে বসে আসে,
একবারো এদিকে তাকিয়ে দেখছে না,
!
কি হলো বাবু?
আবার কি ভাবতে বসেছ হুমম?
!
কিছুনা বেবি,
ভাবছি আমাদের বেবি টা হয়ে গেলে আমরা আবারো বিয়ে করে গ্রিসে যাবো হানিমুনে,
!
গ্রিসে গিয়েছি কয়েকবার এবার থাইল্যান্ড যাবো,
!
ওকে বেবি,
!
বিয়ে করবি একটা ক্যান দশ টা কর অসভ্য বেটা জানি কোথাকার,
!
তখন হঠাৎ কেউ মিশকার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে ওর গালে চুমু খেয়ে বলে,
!
আমরা এসে গেছি বেবি,
!
সাথে সাথে মিশকা তাকিয়ে দেখে জিসা, জাহাদ আর বার্থডে বয় ফোনে কথা বলতে বলতে এদিকে আসছে,
!
রুহান ফোনে কথা বলতে বলতে এসে মিশকা কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে খুবি শক্ত করে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরে,
!
সাথে সাথে এদৃশ্য দেখে আমার্র চোখ থেকে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পরে,
!
কারন আমার মনে হলো,
কেউ আমার আত্নাকে আমার থেকে কেড়ে নিতে চাইছে?
আমার কেন এতো কষ্ট হচ্ছে ওকে অন্য কারো বুকে জড়িয়ে থাকতে দেখে?
!
আমরা এই নয় মাস একে অপরের ধরা ছোয়ার বাহিরে,
না আমাদের মাঝে ভালোলাগা আছে না আছে ভালোবাসা, তাহলে কেন আমি ওকে রুহানের বুকে মেনে নিতে পারছিনা?
কেন আমার এতো কষ্ট হচ্ছে?
!
তখন আরিয়ান ওকে গুঁতো মেরে বলে,
!
ভাই ওই রুহান কে দেখ,
ও তো পাকা খেলোয়াড়,
একটু আগে মিশকা কে জারিয়ে ছিল এখন ওর হাত কেক খাচ্ছে?
!
ওটা কে কেক খাওয়া বলে না কেকের মেকআপ করা বলে,
দেখো ওই মিশকা রুহান ও ওর বন্ধুূদের কেক মাখিয়ে ভূত করে দিচ্ছে,
!
শুধু কি তাই?
ভূতেরা আবার দৌড়াদৌড়ি ও করছে,
!
আমার তো ডাউট হচ্ছে এটা হোটেল না খেলার মাঠ যে ওরা একে অপর কে কেক লাগাতে ছুটোছুটি করছে?
!
তখন ইমান অতীতের কথা মনে করে হাসতে হাসতে বলে,
!
ও তো এমনি আমাকে ও কেক লাগিয়ে ভূত বানিয়ে রাখত আর আমি লাগাতে গেলেই আমাকে বাহানা দিয়ে পালিয়ে যেত,
!
ইমানের কথা শুনে আয়ান ইশা হা হা করে হেসে দেয়
.চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 9

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 9

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
লাভ ইউ জিসা,
!
সাধারনত চিফ গেস্ট হিসেবে এডুকেশন মিনিস্টার,প্রাইম মিনিস্টার ও বিদেশি ইউনিভারসিটির সনামধন্য লেকচারাররা আসে এবার কি সামথিং স্পেশাল আছে নাকি হুমমম?
!
হ্যা আছে তো বেবি,
!
কে সে?
!
সেটা তো ফাংশনের দিনে জানতে পারবি,
এখন বল তোর নাম দিবো স্টেজ পারফরমেন্সেরর জন্যে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে?
!
দিবি মানে অবশ্যই দিবি,
!
তুই না বললে ও দিবো কারন মাসফি স্যরর বলেছেন,
!
কেউ স্টেজ পারফরমেন্স করুর আর নাই করুক মিশকা করবে মাস্ট,
!
এসব কি বলছিস তুই?
ওই আধা বুইড়া খচ্চর এই কথা কয়?
আমি তো ওর দুচোখের বিষ,
তাহলে ওর এতো পেয়ার কিসের আমার উপ্রে?
!
জানিনা রে,
কিন্তু স্যরর প্রায়সময় তোর শরীর-স্বাস্থের খবরাখবর নেয়,
তোর বাচ্চাকাচ্চার খবর জানতে চায়,
!
কি যে বলো না তুই?
“এতো দেখি ভূতের মুখে রাম নাম”
!
ঠিকি বলেছিস তুই,
!
বেটা আমি কালো বলে অলওয়েজ আমাকে অবহেলার পাত্রী বানিয়ে রাখে আর আজ হঠাৎ তার এতো পেয়ার আসে কোথা থেকে আল্লাহ মালুম,
!
তখনি মাসফি চৌধুরি এসে হাজির হয়,
!
তখন ওরা সবাই চুপ হয়ে যায়,
আর মাসফি চৌধুরি মিশকার মাথায় হাত রেখে বলে,
!
কেমন আছো মা তুমি?
!
আল্লাহ যেমন রাখছে তেমন আছি স্যরর,
!
তুমি অনুষ্ঠানে স্টেজ পারফরমেন্স করবে?
!
জ্বি স্যররর,
!
তাহলে তোমার নাচের গান সিলেক্ট করে আমাকে বোলো,
!
ওকে স্যররর
!
ভালো করে প্রাকটিস করো কেমন?
!
জ্বি স্যরর,
!
তারপর উনি ওখান থেকে চলে যায়,
!
আশ্চর্য এই বেটা এতো ভালো হলো কেমনে রুহান?
!
আল্লাহ তৌফিক দান করছে বোধ হয়,
হা হা হা,
!
জানিনা আল্লাহ কি করেছে?
তবে ওনা কে দেখলেই মন থেকে ঘৃণা আসে আমার,
!
যাই হোক বাদ দে এখন আর বল পিচ্চি দুটো কেমন আছে?
!
আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছে খুব,
!
সারাদিন তোকে খুব জ্বালায় তাই না?
!
নাহহহ,
আমার বাবারা অনেক শান্ত,
সারাদিন শুধু খাই আর শুই,
!
কি খায়?
!
গাধা তোরা পয়দা হইয়া যা খাইছ আমার দুটো ও তাই খায়,
!
ওহ হয় দেহি,
হা হা হা,
!
ভাগ্যিস রুহান জাহাদ চলে গেছে না হলে কি ভাবত ওরা?
!
কিছুনা দুপাটি দাঁত বেড় করে হাসতো,
হা হা হা,
!
হারামী তোরা মেয়ে জাতীর কলঙ্ক,
!
নাহহহ কলঙ্ক না গর্ভ কারন আমি ও দুটো বাচ্চা পয়দা করেছি,
!
জিসা চুপ কর হারামী,
!
আচ্ছা করলাম,
!
হা হা হা,
!
তারপর ওরা মিশকার ওর্নামেন্টসের বিজনেসের নয় মাস সাকসেসফুললি রানিং হিসেবে সবাই মিলে পার্টি করতে যায়,
!
পার্টি শেষে রুহান মিশকা কে বাসায় পৌঁছে দেয়,
!
মিশকা বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে,
নিজের আলালের ঘরের দুলাল ও দুলালী কে বুকে জড়িয়ে আদর করে দুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে দেয়,
!
তারপর সবার সাথে বসে ইউনিভারসিটি ফাংশনের স্টেজ পারফরমেন্সের জন্যে গান সিলেক্ট করে নাচের প্রাকটিস শুরু করে দেয়,
!
তোমার কি হয়েছে বাবু?
!
কিছুনা,
কালকে আমার সাথে শপিং এ যাবে?
!
যাবো না মানে?
অবশ্যই যাবো,
তুমি আমাকে বৈশাখের গিফট কিনে দিবে তাই তো?
!
হ্যা দিবো,
তবে আমাকে তোমার আব্বুর ইউনিভারসিটি তে চিফ গেস্ট হিসেবে ইনভাইট করা হয়েছে,
তাই বলছি ওখানে ভদ্রবেশী হয়ে যেও কেমন?
!
তা তো যাবো ওই আব্বুর মন জয় করতে হবেনা হুমম,
আমার আব্বু আমাকে অনেক ভালোবাসে ,
সে নিশ্চই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন আমার করা কাজের জন্যে,
আর তোমাকে ও জামাই হিসেবে স্বীকার করে নিবেন,
!
আশাকরি এমন টাই যেন হয়,
!
হবে হতেই হবে,
শুনলাম আরিয়ান কেও ইনভাইট করা হয়েছে?
!
হুমমম আমরা একসাথে যাবো,
!
তাহলে তো ভালোই হবে,
!
দেখতে দেখতে চলে আসে ইউনিভারসিটির অনুষ্ঠানেটর দিন,
!
সেখানে চিফ গেস্ট হিসেবে উপস্থিত হয় ইমান খান তার ওয়াইফ ইশা খান,ও আরিয়ান আবরাহাম চৌধুরি,
!
ইউনিভারসিটির প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট থেকে ইমান, ইশা ও আরিয়ান কে ফুলেল সংর্বধনা ও শুভেচ্ছা দেওয়া হয়,
!
তারপর ইমান ইশার হাত ধরে ওদের বসার জায়গায় গিয়ে বসে,
!
হঠাৎ আরিয়ান ওর মুখ ফসকে বলে,
!
লুকিং সো স্টানিং,
!
কি ভাই?
!
কানা নাকি?
স্টেজে চাহিয়া দেখ,
!
স্টেজে মিশকা কে দেখে সারপ্রাইজড হয়ে যায় ইমান,
!
তখন ইমান ও আরিয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশ বলে,
!
উফফ,
মিশকা কে যা লাগছেনা আজ,
হালকা হলুদ কালারের সাড়ি,
রাউন্ড পাফ খোপা হালকা লিপস্টিক ওহহহ,
সব ঠিক আছে শুধু একটা জিনিস মিছিং,
আর সেটা হলো বেলি ফুলের মালা,
!
এখন এই রাতে বেলি ফুল পাবি কোই?
!
আমার পাওয়ার দরকার নেই,
!
মানে?
!
ওই দেখ রুহান বস ইউনিভারসিটির গার্ডেন থেকে বেলি ফুল তুলে নিয়ে মিশকার কাছে ছুটে যাচ্ছে,
!
আকাশের কথা শুনে ইমান আরিয়ান স্টেজে তাকিয়ে দেখে,
!
রুহান মিশকার খোপায় বেলি ফুল গুজে দিচ্ছে,
আর মিশকা ওকে চকলেট খাইয়ে দিচ্ছে,
!
এসব দেখে ইমানের মুখ টা কালো হয়ে যায়,
আর আরিয়ান হিংসায় জ্বলে পুরে যায়,
!
অনুষ্ঠান শুরু হাতেই মিশকা রুহান হোস্টিং শুরু করে দেয়,
!
হোস্টিং এর সময়ে রুহান সবাই কে হাসাতে বলে,
!
আমার বিউটিফুল কো-হোস্ট আমার সাথে কোয়াপারেট করার বদলে বারবার তার চুলের সাথে কোয়াপারেট করছেন,
আই মিন ঠিক করছেন,
!
এ কথা শোনা মাঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই হা হা করে হেসে দেয়,
!
তারপর ইউনিভারসিটির ভি.সি তার মহামূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন,
তখন মিশকা স্টেজ থেকে নেমে ওর বাবুদের বুকে জড়িয়ে আদর করে,
আর ইমান তখন ওকে দেখে মিষ্টি করে হাসি দেয় আর ভাবে,
!
আমরা এতদিন সংসার করলে হয়তো আমাদের ও দুটো বাচ্চা হতো আর আমরা ওদের অনেক ভালোবাসতাম,
!
তখনি ইশা ওকে ধাক্কা মেরে বলে,
!
তুমি কি এতো ভাবছ হুমম?
!
কিছুনা,
!
তাহলে এখনি একটা গ্রুপ ড্যান্স হবে সেটা মন দিয়ে দেখ?
!
ওকে,
!
তারপর মিশকা ও রুহানের গ্রুপ ড্যান্স শুরু হয়ে যায়,
!
ধার ধারি না পাড়াপড়শি ধারধারি না কারো,
প্রেমের পথে আসবে বাধা আসতে পারে,
আসতে পারে ঝড়ো,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরান বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
ধারধারি না পাড়াপড়শির ধারধারি না কারো,
প্রেমের পথে আসবে বাধা আসতে পারে ঝড়ো,
তবুও যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
মনি যখন দিলাম তারে,
কিসের এতো বাধা?
সখ রাখায় শরম ছেড়ে হেলাম কেন রাধা?
লোকের কথা লোকে বলুক কি বা আসে যায় নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরান বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
প্রেমে পরলে ভিশন চালাক সাজে যেমন বোকা,
আমি বোকা কিংবা চালাক হবে এবার দেখা,
একবার যখন হারালো মন মনের ইশারায় নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু ও যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায়?
নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
তবু যদি পরাণ বন্ধু আমার পানি চায় নুপুর পায়ে রিনিঝিনি নাচবো সাড়া গায়ে,
!
নাচের শেষ পর্যায় প্রোফেসরদের নির্দেশনা অনুসারে মিশকা রুহান স্টেজ ছেড়ে চিপ গেস্টদের সামনে এসে সালাম দিয়ে নাচ শেষ করে,
!
তখন ভি.সি মিশকা ও রুহানের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে অনেক সুন্দর হয়েছে বাবারা গোয়িং অন,
!
থ্যাংকইউ স্যরর,
!
আরিয়ান বলে,
আউটসস্টাডিং গাইজ,
!
তাতো হবেই পুরো নাচটার সময়ে আপনি গালে হাত দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে মিশকা কে দেখ ছিলেন,
!
কি?
!
কিছুনা,
!
তারপর ইমান ওদের বলে,
সিরিয়াসলি গাইজ তোমরা অনেক গ্লোয়িং পারফরমেন্স করেছো,
!
কিন্তু মিশকা তখন দেখেও না দেখার ভান করে অন্যদিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে,
!
তাই রুহান বলে,
থ্যাংকইউ স্যরর,
!
ওয়েলকাম,
লিসেন রুহান তোমার পাশের জন কে ডেকে দাও তো?
!
মিশকা তোকে ডাকে,
!
কে?
!
সামনে তাকিয়ে দেখ,
!
মিশকা তাকাতেই ইমান মুচকি হাসি দিয়ে হ্যান্ডশেখ করতে হাত বাড়িয়ে দেয়,
!
কিন্তু,
মিশকা ইমান কে আসসালামু ওয়ালাইকুম বলে,
রুহানের হাত ধরে হেচকা টান মেরে উল্টো দিকে ফিরে হাসতে হাসতে দৌড়ে স্টেজের পেছনে চলে যায়,
!
সাথে সাথে ইমান ও আরিয়ানের মুখ টা বাংলার পাঁচের মতো হয়ে যায়,
!
বাট হু কেয়াস?
আমি সেতো হেসেই চলেছি হেসেই চলেছি,
কেন হাসছি তাও জানি না?
শুধু হাসি পাচ্ছে আমার,
তাও আবার মন প্রাণ খুলে,
!
আমি মরে যাবো কখনো তোমার কাছে ফিরে যাবো না মিস্টার খান,
!
কারন আমার মনে হলো আমি ওই ওনাকে বুড়োআঙুল দেখিয়ে এসেছি,
!
হা হা হা,
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 8

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 8

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
তবু ও বিছানায় শুয়ে ডুকরে ডুকরে কান্নাকাটি করে,
!
কি হলো বাবু?
তোমার কি হয়েছে হুমমম?
তুমি তো আগে এমন ছিলে না তো কি হয়েছে তোমার?
!
কিছুনা,
!
কিছুনা বললেই হলো?
আমি জানি,
!
কি?
!
মিশকা তোমাকে যাওয়ার আগে যা নয় তা বলে অপমান করে গেছে,
তাই তোমার মন খারাপ তাই তো?
তাতে কি হয়েছে?
আমি তো আছি তোমার ইশা,
তোমাকে এতো আদর করবো যে তুমি মিশকা কে ভুলেই যাবে,
!
বেশি বকবক করোনা না তো আমি কি বলেছি আমি ওকে নিয়ে ভাবছি?
!
না তবে তুমি কাঁদছ কেন?
!
জানিনা,
!
আমি জানি,
!
কি?
!
আব্বু আম্মুর কথা ভাবছ তাই তো?
ভেবে লাভ কি বলো?
…..
তাড়া তো স্বেচ্ছায় আমাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেছে আমরা তো করিনি তাই না?
!
ওহহহ এতো জ্ঞান দিয়ো না তো আমি অফিসে যাবো,
তারপর ইমান অফিসে চলে যায়,
!
ওদিকে মিশকা ওর দিন গুলো হেসে খেলে পার করে দেয় আজ নয় মাস মিশকা ওর শশুড় বাড়ি তে এসেছে,
এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জননী হয়েছে,
!
মিস্টার ইফতি চেয়েছিল তার নাতিনাতনির হওয়ার খুশি তে ধুমধামিয়ে গ্রান্ড পার্টি করতে,
…….
কিন্তু,
ইমান ঝামেলা করবে ভেবে অল্পসল্প তে অনুষ্ঠান সেরে নেয়,
!
মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ইফতি তো বৌ-মা বলতে পাগল,
সবসময় মিশকার পছন্দের খেয়াল রাখা হয়,
!
প্রতিদিন সময় করে মিসেস ইফতি খান মিশকা কে রসগোল্লা খাওয়ায় কারন তার বিশ্বাস তাহলে তার নাতিপুতি রসগোল্লার মতো রসালে ও টুসটুসে হবে,
!
আর এই ব্যাপার টা মিস্টার ইফতি খান কে খুবি হাসায়,
তবু ও সে মিশকার জন্যে প্রতিদিন চকলেট নিয়ে আসে,
!
আর ইমা তো আছেই মিশকার তেরো টা থেকে বারোটা বাজানো জন্যে,
মেয়ে টা ওর শশুড় বাড়ি থেকে ও মিশকা কে এটা ওটা বলে জ্বালিয়ে খায়,
!
এই তো মিশকা এখন কানে হেড ফোন দিয়ে গান শুনে হালকা পাতলা নাচানাচি করছে,
…..
তখনি মিস্টার ইফতি খান কে ইমা ফোন করে বলে,
!
আব্বু গিয়ে দেখো তোমার বৌ-মা কি করছে?
!
হ্যা যাচ্ছি,
!
মেয়ের ফোন পেয়ে ইফতি খান ও মিসেস ইফতি খান মিশকার রুমে গিয়ে দেখে,
!
মেয়ে তার কানে হেড ফোন দিয়ে হালকা পাতলা নাচানাচি করছে?
!
তখন হঠাৎ আব্বু আম্মুর সাথে চোখাচোখি হতেই লজ্জা পেয়ে যায় আমি,
!
তখন তারা ওদের আদর করে বলে,
!
মা ডক্টর তোকে হাসিখুশি থাকতে বলেছে,
তা বলে কি একাএকা থাকবি এই বুড়োবুড়ি দুটো কে নিয়ে থাকবি না হুমম,
!
এমন টা নয় আব্বু,
!
তাহলে কেমন টা?
আমাদের ছেলেটার জন্যে মা বিশ্বাস কর আমার পরিবারের কোন পুরুষ এমন না,
!
আব্বু তুমি পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটছ কেন হুমম?
…..
তোমার মেয়ে কি তোমায় কিছু বলেছে হুমম?
!
না তবু ও মনে হয় কেন তোর হা-পা ধরে ওই শয়তান টাকে বিয়ে করতে রাজি করালাম?
!
আব্বু তুমি কেঁদো না প্লিজ,
…..
আমার জন্যে তোমরা তোমার ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছ,
মা তার একমাত্র ছেলে কে বুকে জড়িয়ে আদর করতে পারছেনা শুধু মাএ আমার জন্যে,
!
তোর জন্যে কেন পাগলি?
ওর মতো ছেলে কে বুকে জড়িয়ে আদর করার থেকে তোর মতো মেয়ের মা হয়ে থাকতে বেশি পছন্দ করবো,
!
আমার মেয়ের মা শুধু আমিই,
!
মাম্মা?
!
আমার মেয়ে কে অনেক ভরসা করে আপনার ছেলের হাতে তুলে দিয়ে ছিলাম,
…..
কিন্তু, আপনার ছেলে ছিঃ,
আমার মেয়ে আপনার গুনোধর ছেলে কে বিয়ে করতে চায় নি,
আমরাই,
!
তোমরা কেঁদো না প্লিজ মাম্মা পাপা,
ডক্টর আমাকে স্ট্রেস ফ্রি থাকতে বলেছে,
তোমার বোধ হয় সেটা চাও না,
তাই না?
!
তখন পাপা-মাম্মা আমাকে জড়িয়ে আদর করতে থাকে,
!
রাতে মিসেস ইফতি মিশকাকে ঘুম পারিয়ে ওকে ওনার বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকেন,
!
তখনি মিশকার ফোনে টুংটুং করে ম্যাসেজ আসে,
ম্যাসেজ সিন করে মিসেস ইফতি দেখেন,
সেই ম্যাসেজ এ লেখা,
!
লোকেরা কি দুটো বিয়ে করে না?
করে তো?
তাদের সাথে সংসার ও করে একি বাড়ি তে না হোক আলাদা আলাদা বাড়ি তে?
সমস্যা কি ছিল যে তুমি আমাকে ছেড়ে চলে এলে?
…….
তুমি চাইলে আমি তোমাকে নতুন বাড়ি গাড়ি কিনে দিতাম দুজনের সাথে আলাদা সংসার করতাম,
তোমাদের কারো মুখ দেখাদেখি হতো না,
তোমরা যে যার মতো সুখে সংসার করতে আমাকে নিয়ে,
সমস্যা কি ছিল?
আমি কি তোমার কোনো জিনিসের অভাব রেখেছি?
রাখিনি তো তাহলে তুমি এমন টা কেন করলে?
ভালোভাবে বলছি আমার কাছে ফিরে এসো,
প্রয়োজনে আমি তোমাকে নতুন সংসার গুছিয়ে দিবো,
আর আগের মতো ভালোবাসার চেষ্টা করবো,
!
ছেলের এই কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ পরে মিসেস ইফতির চোখেরজল চলে আসে,
…..
আর উনি মিশকার সুখের কথা ভেবে ওর কপালে চুমু খেয়ে,
ওই ম্যাসেজ টা ডিলিট করে দেয়,
!
আর পরেরদিন সকালে ছেলের অফিসে গিয়ে ছেলের গালে দুটো চড় বসিয়ে আসে,
!
জীবন টা কতো বদলে গেছে তাই না?
বিয়ের পর আমাদের প্রথম বৈশাখে তুমি আমাকে মেলা থেকে নিজের পছন্দের চুড়ি কিনে দিয়েছিলে,
আজ ও দিবে কিন্তু হাত টা হবে অন্য কারো,
ভালোবাসা টাও হবে অন্য কারো,
!
ইশা?
!
হ্যা বাবু?
!
তাড়াতাড়ি এই সাড়ি টা পরে আসো তো,
!
বাবু আমি তো সাড়ি পড়তে পারিনা,
!
আমি পরিয়ে দিবো?
!
যাহহহহ, দুষ্টু,
!
দেই না বেবি প্লিজ?
!
আমি কখনো পড়িনি সাড়ি,
কিন্তু আজ পরবো শুধু মাএ তোমার জন্যে.
!
আই লাভ ইউ বেবি,
!
আই লাভ ইউ টু বাবু,
!
এই নয় মাসে ইমান মিশকা কে ওর মাথা থেকে পুরোপুরিভাবে ঝেড়ে ফেলেছে,
কিন্তু,
মাঝেমধ্যে ওর সাথে কাটানো মুহূর্ত ইমান কে কাঁদিয়ে ছাড়ে,
তখন ও লালসাময় হয়ে ওকে আজেবাজে ম্যাসেজ লিখে পাঠায়,
এবং তার উওরে মিস্টার অ্যান্ড মিসেসস ইফতি গিয়ে ওকে যা নয় তাই বলে অপমান করে আসে,
!
এই তুই আবারো কাঁদছিস?
!
কোই না তো?
!
চল,
!
কোথায়?
!
সারপ্রাইজ তাই এই সাড়ি টা পরে আয় প্লিজ,
!
রুহান সবকিছুর একটা লিমিট থাকে হুমম,
!
আমার কোনো লিমিট নেই তাই ভালো করে এই সাড়ি টা পরে আয় প্লিজ,
!
ওকে বাবা সাড়ি পরে আসছি,
!
তারপর মিশকা সাড়ি পরে হালকা সাজুগুজু করে নিচে যায়,
তখন মিসেস ইফতি ওকে বলেন,
!
মা কতদিন তো বাড়ি তে ছিলি যা গিয়ে রুহানের সাথে ঘুরে আয়,
!
তা নয় বুঝলাম কিন্তু?
!
ওদের আমরা দেখে নিবো মা,
!
আচ্ছা মা ঠিক আছে,
!
তারপর ওরা মেলায় চলে যায়,
!
বেবি তোমার হাত টা দেখি?
!
দেখ,
!
এই চুড়ি গুলো পরে দেখো তোমাকে অনেক সুন্দর লাগবে,
!
হোয়াট আমি এই সস্তার কাঁচের চুড়ি পরবো?
আমাদের বিয়ের পরে প্রথম বৈশাখে তুমি এই সস্তার চুড়ি গুলো আমাকে উপহার দিতে চাও?
!
আমি তোমাকে এগুলো ভালোবেসে কিনে দিতে চাই সোনা,
!
চাইনা আমার তোমার ওমন সস্তার ভালোবাসা,
!
ইশার এই কথা গুলো ইমানের বুকে কাটাঁ মতো গিয়ে বিধে,
এবং ওর চোখ জোড়া সাথে সাথে ছলছল করে ওঠে,
!
আর ও কষ্ট পেয়ে উল্টোদিকে ফিরে হাটতে শুরু করে,
হঠাৎ করে তখনি ওর কারো সাথে ধাক্কা লেগে যায়,
!
ধাক্কা খেয়ে রেগে গিয়ে বকা দিতে সামনে তাকিয়ে দেখে,
মিশকা দুহাত ভর্তি রেশমি চুড়ি পরে ওকে রুহান ভেবে বলছে,
!
আমার এই চুড়ি গুলো অনেক পছন্দ হয়েছে রুহান,
আমি আজকে এতো এতো হ্যাপি এই চুড়ি গুলো পেয়ে,
পাক্কা এগারো মাস পর আমাকে কেউ দুহাত ভরে চুড়ি কিনে দিলো,
তাই আমি আমার খুশি কাও কে বলে বোঝাতে পারবোনা হুমম,
!
হঠাৎ করে নয় মাস পরে চেনা মুখ টাকে দেখে থমকে যায় ইমান,
আর ও স্পিচ লেস হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,
আরতখনি রুহান মিশকা কে ওর সামনে থেকে নিয়ে চলে যায়,
!
রাতে বাসায় ফিরে পুরনো স্মৃতি মনে করে কেঁদে ফেলে ইমান,
তখন ও ভাবে,
!
কেন ও রুহানের সাথে মেলায় গেছে?
কে হয় রুহান ওর?
ওকে চুড়ি কিনে দিতে রুহান কে?
…….
তারপর ও হন্তদন্ত হয়ে রুমে মধ্যে মিশকার ব্যবহৃত জিনিশ পএ খুঁজতে শুরু করে,
কিন্তু,
পুরো বাড়ি খুজে মিশকার একটা চুল ও খুজে পায়না,
!
পরেরদিন সকালে মিশকা ইউনিভারসিটি তে যেতেই সব শয়তান গুলো ওকে চেপে ধরে বলে,
!
বেবি গেট রেডি ফর ড্যান্স,
!
হোয়াট আর ইউ সিরিয়াস গাইজ?
আই মিন আমি নতুন মাম্মা হয়েছি ওয়ান মান্থ আর আমি স্টেজ পারফর্মেন্স করবো?
!
হ্যা করবি,
ডক্টর তো বলেই দিয়েছে ইউ আর অ্যাবসোলুটলি ওক্কে বেবি,
যে চিপ গেস্ট আসছে তাকে দেখাতে হবে না?
!
ইউ আর দ্যা মোস্ট স্ট্রংগেস্ট উইমেন ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড,
!
আমি জানি জানিনা তোরা কার কথা বলছিস,
বাট আই এম ডুয়িং ইট,
!
লাভ ইউ জাননননন,
!
লাভ ইউ জিসা,
!
!
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 7

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 7

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
আমার বিশ্বাস ও আমাকে ভালোবাসে,
!
তাই ও আর যাই করুক আমাকে ছেড়ে চলে যাবেনা,
এবং তাই ও আমাকে যাই যাই করে ভয়ে রাখছে,
হা হা হা,
!
গাছে কাঠাঁল গোফে তেল,
!
মানে?
!
আমি জানিনা ওনি ওনার মনেমনে কি ছক কষছেন.
বাট উনি যা ভাববে আমি তার উল্টো করবো রুহান,
!
এক্সিলেন্ট আইডিয়া মিশকা,
!
কংগ্রাচুলেশনস মিশকা?
!
কেন জিসা?
!
ফর ইউওর ওর্নামেন্টস বিজনেস জানু,
আয় মিন সিরিয়াসলি তোর ক্রিয়েশন জাস্ট ওয়াসাম সোনা,
!
থ্যাংকস দোস্তোরা,
!
ট্রিট দিবি কবে?
!
তোরা যদি চাও আজকেই দিবো,
!
না আজ না বিজনেস টা রান করুক তারপর আমরা মিশকার টাকায় পার্টি করবো কেমন?
!
হ্যা অবশ্যই রুহান একদম ঠিক বলেছে,
বিজনেস রান করবে তারপর আমরা পার্ট করবো,
!
সরি ফ্রেন্ডস আমি তোদের কে ট্রিট দিতে পারছিনা,
!
তুই কাঁদছিস কেন হুমম?
তুই আমাদের প্রাণ তোকে আমরা এভাবে হার্ট হতে দেখতে পারি না তুই জানেনা সোনা?
!
তখম মিশকার সব বন্ধুরা ওকে জড়িয়ে ধরে ওর সাথে মিলে কাঁদতে থাকে,
!
তারপর রুহান ওর চোখেরজল মুছিয়ে দিয়ে বলে,
!
একটু ও চোখেরজল ফেলবি না তুই,
তোর বিজনেস রান করার ব্যবস্থা আমি নিজের হাতে করবো,
!
কথা সেটা না কথা হলো এটা,
যে আমার দোষ টা কোথায়?
যে উনি আমার সাথে এমন টা করলো?
!
তোর দোষ তুই ওকে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ভালোবেসেছিস,
তাই ও তোর মাথায় উঠে ধৈই ধৈই করে নাচছে,
!
নেক্সট টাইম তোকে ওই ব্যাটার জন্যে কাঁদতে দেখলে চড়িয়ে গাল লাল করে ফেলবো,
!
তোর হাতে অনেক ব্যথা রে ভাই ও তোকে নিতে পারবেনা,
!
তাই তো কান্নাকাটি
করতে বারণ করেছি,
!
আচ্ছা আমি কাঁদবো না,
তুই আমাকে……….
!
আজ পর্যন্ত ফুলের টোকা ও দেই নি তোর গায়ে হাত তুলবো কোন সাহসে?
!
আমাকে বাসায় দিয়ে আসবে?
!
নাহহহ তোকে নিয়ে আমি চাঁন্দে যাবো,
!
হা হা হা,
!
ফাইনালি আমার ফুলটুসির মুখে হাসি ফুটেছে ,
!
কি এই কি বললি তুই আমাকে?
!
ফুলটুসি,
!
বেগুন ভাজা চড়চড়ি ইটস নট ফেয়ার,
!
এটাই ফেয়ার আমি তোর বেগুন ভাজা চড়চড়ি হলে,
তুই আমার ফুলটুসি,
হা হা হা,
!
অসাইভ্য ছেমড়া,
!
আমি জানি আমি অসভ্য,
তাই আর ঘটা করে মনে করাতে হবে না হুমম,
!
হা হা হা,
!
একটা কথা বলবো?
!
হ্যা বল,
তবে একটা না হাজার টা বল,
!
তোরা যখন আমার কাছে থাকো মনে হয় যেন আমি স্বর্গে থাকি,
আর ওখানে গেলেই মনে হয় যেন নরকে আছি,
!
তাহলে ওখানে যেতে কে বলেছে হুমম?
!
কেউ না দুদিন পরেই আব্বু আম্মু এসে পরবে,
তারপর আমি ওই ব্যাটা কে বুড়োআঙুল দেখিয়ে চলে আসবো হুম,
!
তাহলে তো গ্রেট হবে,
!
হুম হবে,
!
রুহান আমাকে চাঁন্দে নিয়ে যাওয়া হয়ে গেলে প্লিজ বাসায় দিয়ে আয় ভাই,
!
কি ভাই?
এই আমি কি তোর মায়ের পেটের ভাই?
!
না,
!
তাহলে এতো ভাই ভাই করো কেন?
!
এই ধর খুশির ঠেলায় ভাল্লাগে তাই,
!
হা হা হা,
তোর সাথে আমরা কথায় পারবোনা,
!
না পারলে চুপ করে থাক,
হু হু হু,
!
ধুররর বাবা ভাল্লাগেনা,
!
চল তোকে ভালো লাগাচ্ছি মিশকা,
তারপর রুহান মিশকা কে বাসায় পৌঁছে দেয়,
!
রাতে মিশকা ডিনার করে বাগানে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখতে থাকে,
!
হঠাৎ করেই তখন ইমান এসে পরে,
এবং সাথে সাথে চাঁদের বলো মিশকার গায়ে এসে পরে,

মিটিমিটি চাঁদের আলোতে ইমানের নজর মিশকার কোমরে গিয়ে পরে,
…..
আর ও নেশাগ্রস্থের মতো লালসার কামনায় মিশকার কোমরে চুমু খেতে যায়,
!
তখনি কেউ ইমানের শার্টের কলার চেপে ধরে,
ঠাসসসস ঠাসসসস করে ওর দুটো গালে চড় বসিয়ে দেয়,
!
চড় খেয়ে ঘোর কেটে সামনে তাকিয়ে দেখে,
…..
ওর বাবা মা ওর দিকে বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে,
!
আর ওর আব্বু মিশকা কে তার বুকে জড়িয়ে আছে,
!
আবববব্বু?
!
কোন কুক্ষণে এই কুকুর টাকে জন্ম দিয়ে ছিলে ইমার আম্মু?
!
আমার কষ্ট হচ্ছে এটা ভেবে যে টা আমার ছেলে,
আমি ওকে আমার গর্ভে ধারন করেছি?
ভাবাই যায়না,
!
মা আমরা এসে গেছি,
আমরা তোকে নিয়ে যাবো মা,
তুই আমাদের সাথে যাবি মা?
!
হ্যা আব্বু যাবো মানে?
অবশ্যই যাবো,
তবে তোমাদের তো দুদিন পরে আসার কথা ছিল,
!
ছিল কিন্তু আমরা আর তো দুদিন পরে আসতে চাই নি মা,
তোর চিন্তার তোর আম্মুর বি.পি হাই হয়ে গেছে মা,
!
তবুও আমার জন্যে কোম্পানির পাঁচশো কোটি টাকা লস হয়ে গেল আব্বু,
!
ও টাকা তো আসবে যাবে,
যদি আমাদের মেয়ে টার কিছু হয়ে যেতো?
!
আমি এতো টাও খারাপ না আম্মু যে ওকে কিছু করে ফেলবো,
!
ফেলবি মানে?
করেই তো ফলেছিস?
আমরা সবাই দেখেছি তুই ভাবির কোমরে ছিহহহহহ,
নষ্টামোর জন্যে তো আরেক টা মেয়ে নিয়ে থুক্কু বিয়ে করে এনেছিস তার সাথে গিয়ে কর,
আমার ভাবির সাথে না কেমন?
তোকে তো আমার নিজের ভাই বলতে ও লজ্জা করে ইমান,
!
কালকেই আমরা মিশকা ওকে নিয়ে চলে যাবো,
তারপর তোর যা মন চায় তা করিস কেমন?
!
মিশকা কখনো আমাকে ছেড়ে যাবেনা দেখেনিও তোমরা,
!
কি দেখবে?
কারো কিছু দেখার নেই?
!
মানে?
!
জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি মিস্টা খান,
তখন মিশকা ওর মুখের ওপরে ডিভোর্স পেপার ছুড়ে মেরে বলে,
!
আমি ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিয়েছি,
দয়া করে আপনি সাইন করে বাধিত করুন প্লিজ,
!
দয়া,
আই এম সরি,
এটা আমি করতে পারবোনা জান,
!
মানে?
!
তুমি সাইন করলে আমায় করতে হবে এটা কোথায় লেখা আছে?
!
ভণিতা না করে স্পষ্ট করে বলুন,
!
আমি তোমাকে ডিভোর্স দিবো না জানু,
!
ভালোয় ভালোয় সাইন করে দাও ইমান,
!
সরি আব্বু আমি এতো ভালো ছেলে নই,
কোথায় তোমরা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে রাখবে,
তা না তোমরা আমাদের ডিভোর্স করাতে চাইছ?
কেমন বাবা মা তোমরা?
!
তখন ইমানের আম্মু ওকে দুটো চড় মেরে বলে,
!
তোর মতো সন্তানের বাবা মা হওয়ার থেকে নিঃসন্তান থাকা হাজার গুনে ভালো,
!
তারপর ইমানের আব্বু আম্মু মিশকাকে নিয়ে তখনি ওনাদের বাসায় চলে যায়,
!
মিশকার এভাবে চলে যাওয়া তে ইমান বড়সড় রকমের আঘাত পায়,
যদি ও সেটা প্রকাশ করে না,
!
তুবও বিছানায় শুয়ে ডুকরে ডুকরে কাদেঁ
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 6

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 6

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে ইমানের কথা শুনে ময়না পাখি ওদের মুখ চেপে হাসতে থাকে,
!
হা হা হা,
!
তখন ইশা এসে ওদের বলে,
!
তোমরা এখানে কি করছ হুমম?
!
ম্যাম সাহেবের জন্যে পানি লইয়া আসছি,
!
ওহহ,
ওক্কে আমাকে দাও,
অ্যান্ড বোধ আর গেট আউট ফরম হেয়ার,
!
আচ্ছা ম্যাম,
!
তারপর ওরা ওখান থেকে চলে যায়,
!
এউক্কা কথা ক দেখি?
!
কি?
!
আমাগো বৌ রানী ও লেখাপড়া করা মাইয়া ইনি ও লেখাপড়া মাইয়া কিন্তু কোনো দিক দিয়াই হে বৌ রানীর পায়ের ধরে কাছে ও যায় না,
!
একদিনে একটা হক কতা কইছিস তুই,
!
এই যে কথার দোকান কি বলছ তোমরা?
!
কিছুনা বৌ রানী,
আইজ কে তুমি ঘোমটা দিলে না?
!
না গো নাহহহহ,
ঘোমটা দিলে নতুন বৌ বলে মনে হয়,
!
ও তাই,
হা হা হা হা,
!
ময়না তুই হেটকাও ক্যান আমাগো বৌ রানী যা সুন্দরী এখনো দশ টা বিয়া কইরা বিশটা বচ্চার মা হইতে পারবো,
!
ময়না পাখির কথা ইমানের কাছে যেতেই ও উকি মেরে দেখে,
মিশকা ময়না পাখি কে বলছে,
!
ইসসস,
কি যে বলো না তোমরা?
এবার বিয়ে করে লাইফ টাই হেল হয়ে গেছে আমার,
আর তোমরা আবারো আমার বিয়ে দিতে চাও?
!
হ দিমুনি তোমার বিয়া,
!
হা হা হা কার সাথে দিবি?
!
সাহেবের বন্ধু আছে না আরিয়ান সাহেব হের লগে দিবো,
বড্ড ভালা মানুষ আরিয়ান সাহেব আমনারে পুরো রানী বানাইয়া রাখবে,
!
কি এতো খুজে শেষমেশ ওই থাককক আর কইলাম না,
!
তখনি হঠাৎ আরিয়ান এসে বলে,
!
মে আই কাম ইন মিশকা?
!
ওহহহ আরিয়ান,
ইয়েস অফ কোরস,
!
কেমন আছো তুমি?
!
আল্লাহ যেমন রেখেছি তেমন আছি,
তা আজ হঠাৎ এখানে?
পথ ভুলে ঢুকে পরেছেন বুঝি?
!
না একচুয়ালি কিছু অফিসের অফিসিয়ালি কাজ ছিল,
তাই ইমানের কাছে এসেছি,
!
তাহলে তার কাছে জান আমার কাছে দাঁড়িয়ে বকবক করছেন কেন?
!
বকবক করবো বলে,
হা হা হা,
!
কি আশ্চর্য?
তুমি না আমার সাথে কথা বলো না আমার মুখ দেখ আর সেই তুমিই আমারি বন্ধুর সাথে হেসে খেলে কথা বলছ?
!
কি হলো?
কি ভাবছ বেবি?
আরিয়ান এসেছে চলো চলো,
!
তখন ইমান ইশার হাত ধরে ওকে নিয়ে নিচে চলে যায়,
আর আরিয়ানের সাথে সোফায় বসে অফিসের অফিসিয়াল কাজের কথাবার্তা বলতে থাকে,
!
কথা বলতে বলতে ইমান হঠাৎ খেয়াল করে দেখে,
!
আরিয়ান মিশকা কে ঘুরে ঘুরে দেখছে আর বাকা ঠোঁটে মৃদু হাসি দিচ্ছে,
!
এসব দেখে মেজাজ খারাপ হচ্ছে ওর,
না ও সইতে পারছে না কিছু কইতে পারছে,
!
তখনি বাসার কলিং বেল বেজে ওঠে,
তাই ময়না গিয়ে দরজা খুলে,
!
সাথে সাথে রুহান পা টিপে টিপে কিচেনে গিয়ে মিশকার চোখ চেপে ধরে,
!
তখন মিশকা ওকে বলে,
!
বেগুন ভাজি চড়চড়ি ছাড় আমাকে ছাড়,
!
তুই খালি আমাকে এটা বলো কেন হুমমম?
!
গাধা জানি কোথাকার,
!
কি আমি গাধা?
!
নাতো কি?
শোন ভাই বেগুন ভাজি ও ডালের চড়চড়ি তোর ফেভারিট,
তাই তো তুই আমার বেগুন ভাজি চড়চড়ি,
হা হা হা,
!
কেলা কেলা যতো পারো দাঁত কেলা,
আমারো দিন আসবে হুহহহহহ,
!
সে আসবে যখন আসবে তখন দেখেনিস,
কিন্তু এখন এই ভরদুপুরে তুই এখানে কেন এসেছিস?
!
তোর জন্যে আম্মু খাবার রান্না করে পাঠিয়েছে,
আর এই বাজার করে এনেছি তাই,
!
ও তাই?
!
হুমমম?
!
তা আপনার খাওয়া হয়েছে মিস্টার বেগুন ভাজা চড়চড়ি,
!
নাহহ, পরে খাবো,
!
তুই আর পরে খাইছ?
পয়দা হওয়ার পর থেকে তোকে দেখছি তুই একটা মিচকে শয়তান,
!
হুহুহু
হা হা হা হা,
!
এতো হাসিস না তো যা গিয়ে বস,
আমি এখনি আসছি,
!
কোথায় বসবো?
!
এতো জায়গা তোর চোখে পরেনা?
!
না,
!
তাহলে আমার কোলে এসে বয়,
!
মিশকার কথা শুনে সবাই হেসে দেয়,
!
মিশকা ও রুহানের দুষ্টু মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক টা সবার মন ছুয়ে য়ায়,
কিন্তু,
ইমান রাগে ফায়ার হয়ে যায়,
!
বাট হু কেয়ারর্স?
মিশকা নিজের হাত ধুয়ে এসে রুহান কে নিয়ে খেতে বসে,
!
তখন আরিয়ান এসে বলে,
আমি কি এখানে জয়েন করতে পারি?
!
নো, নেভার কাভিনেহি সো প্লিজ মাইন্ড ইউওর ওউন বিজনেস,
!
মিশকার কথায় বাকা ঠোঁটের হাসি দিয়ে আরিয়ান ওখান থেকে চলে যায়,
!
রাতে ইমান ইশার জন্যে বাসায় ক্যান্ডেল লাইট ডিনার আয়োজন করে,
!
মিশকা তখন জাগে পানি নিতে কিচেনে চলে যায়,
পানি নিয়ে হলে যেতেই দেখে অনেক সুন্দর করে তাজা গোলাপ দিয়ে সাজানো,
!
তাহলে কি উনি ওনার ভুল বুঝতে পেরেছেন?
!
তখনি কিছু একটা পরে যাওয়ার শব্দ হয়,
শব্দ শুনে শব্দের উৎসের কাছে গিয়ে দেখে,
!
ইমান ইশা একে অপর কে আলিঙ্গন করে দাঁড়িয়ে আছে,
!
এসব দেখে নিজের চাপা কষ্ট গুলো চেপে রেখে উল্টোদিকে মুখ ঘুড়িয়ে হাটতে শুরু করে,
!
তখন ইমান মিশকা কে দেখে ওকে ঝাড়ি মেরে বলে,
!
এই মেয়ে এই তোমার প্রবলেম কি হুমমম?
!
যখনতখন যে খানে চলে যাও কি চাও কি তুমি?
!
বাবু ও হয় তো আমাদের ক্যান্ডেল লাইট ডনারের কেক খেতে চায়,
!
ওহহহ রেয়ালি?
!
নো একচুয়ালি আমি পানি নিতে এসেছিলাম,
ইউ গাইজ আর কন্টিনিউ প্লিজ,
অ্যান্ড আই এম সর ফর দিছ ডিস্টার্বেন্স,
!
ওহহহ তার আগে কিছু মনে ছিল না তাই না?
তবে এসে যখন পরেছ,
কেক টা খেয়ে যাও,
!
না থ্যাংকস,
কিন্তু ইমান ওর কথা না শুনে ওর মুখে পুরো কেক লেপটে দেয়,
!
আর বলে,
তুমি এতো কালো দেখো কেক মেখে ফর্সা হতে পারো কিনা?
!
ইউ আর রাইট বাবু,
হা হা হা,
!
মিশকা এটা সহ্যকরতে না পেরে ওর রুমে ছুটে গিয়ে দরজা লাগিয়ে শাওয়ার নিয়ে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে বসে,
এবং সালাতের মাঝে মিশকা তার অভিযোগ অনুযোগ সমস্ত কিছু আল্লাহর কাছে করে,
!
সালাত আদায় শেষে মিশকার ফোন বেজে ওঠে,
ফোন রিসিভ করতেই ফোনের ওপাশ থেকে রুহান বলে,
!
কিরে এখনো জেগে আছিস?
!
তখন মিশকা ওর কান্না সামলে বলে,
!
নারে ভাবছি একটা বিজনেস করবো,
!
কি?
মানে কিসের বিজনেস?
!
ওর্নামেন্টসের বিজনেস,
!
ওহহহ,
পাইকারি?
!
না, নিজেই তো বানাতে পারি ইভেন কিছু স্যাম্পল ও আছে আমার কাছে,
!
ওহহ,
তাহলে তো গ্রেট আইডিয়া,
একটা কাজ কর,
!
কি?
!
আমাকে কিছু ওর্নামেন্টসের পিক তুলে দে আমি তোকে এখনি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ খুলে দেই,
!
তাই?
!
হুমমমম,
স্টার্ট আপ যখন করতেই হবে এখন কেন নয়?
!
ওকে আমি এখনি তোকে পিক তুলে দিচ্ছি,
!
তারপর আমি রুহান কে পিক তুলে পাঠাই,
আর ও আমার জন্যে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ খুল দেয়,
এবং আমাদের সকল ফ্রেন্ডস কে সেই পেজ ও গ্রুপে ইনভাইট করে,
!
যাক আমি আমার জীবনের একটা গতি পেয়েছি,
ইনশাআল্লাহ সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমি আমার লক্ষে পৌছতে পারবো,
!
তাই নতুন জীবনের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায় মিশকা,
!
পরেরদিন সকালে মিশকা হলে যেতেই ইমান অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে মনেমনে ভাবে,
!
মেয়েটা এতে স্বাভাবিক হয়ে কি করে থাকে হুমম?
কাল রাতে আমি ওর সবচেয়ে দূরবল জায়গায় ওর দূরবলতায় আঘাত করেছি তারপর ও সেই আগের মতো হেসে খেলে যাচ্ছে?
!
কি হলো কি ভাবছ?
!
কিছুনা,
!
কিন্তু মিশকা ও গুলো কি করছে?
!
মানে?
!
ভালো করে চোয় দেখো,
!
তখন ইমান দেখে মিশকা ওর ফোন থেকে সিমকার্ড খুলে অন্য একটা পাঁচ সাত হাজার টাকার মোবালে পুরছে,
!
আশ্চর্য এই ফোন টা আবার ওর কি ক্ষতি করল?
!
নিন ধুরন,
!
কেন?
!
কারন আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সময়ে আপনার এবং আপনার সমস্ত স্মৃতি কে ফেলে চলে যেতে চাই,
!
মানে?
!
কোনো পিছুটান রাখতে চাই না মিস্টার খান,
!
এগুলো কি করবো বৌ রানী?
!
কি এই সাড়ি গুলো?
তোমরা নিয়ে নাও,
!
এতদিন ইমানের চোখে পরেনি,
কিন্তু এখন খেয়াল করে দেখে,
মিশকা ওর শরীরে তার কোনো চিহ্ন রাখেনি,
নতুন একটা সাড়ি ও ওর বাবার দেওয়া লকেট পরেছে গলায়,
!
মাএ কদিনে কাও কে এতো ঘৃণা করা সম্ভব?
!
কি ভাবছ বাবু?
!
বারবার একি কথা বললাম তো কিছুনা,
!
তখনি মিশকার ফোন বেজে ওঠে,
!
মিশকা ফোন রিসিভ করতেই জাহাদ ওকে বলে,
!
দোস্ত তোর ভাবির জন্যে আমি তোর কাছ থেকে ওর্নামেন্টস নিবো,
কতো দিবো?
!
বেয়াদব তুই বিয়া করছিস কবে?
!
করিনি একদিন তো করবো তাই না?
তাই বলছি আর কি?
!
ওহহ তাই বল,
!
ওহন কতো দিমু?
!
হুমমমমমম ওক্কে,
ফাস্ট ওয়ার্ডার তো?
হাজার দুই দে,
!
কি?
কমটম হবে না?
একটু ছাড় দে আমরা তো দোস্তো তাই না?
!
নো দোস্তো নো পোস্তো শুধু বিজনেস টাই আসল,
হা হা হা,
!
একটু ছাড় দে প্লিজ?
!
উন্দুর জানি কোথাকার, আগে বলবি তো যে আমি এটা বানাবো ওটা বানাবো নাকি পয়সা বেশী হইয়া গেছে তোর?
!
ওহহহ দোস্তো আমি পিক দিচ্ছি তুই ও ভাবে বানাইয়া দিবি,
!
ওকে উন্দুর,
!
হা হা হা,
!
আচ্ছা মিশকা বিজনেস, বানাইয়া দিবে?
কি বিজনেস কি বানাইয়া দিবে ও?
কি চলছে কি ওর মনে?
!
কি হলো মিস্টার খান?
!
তুমি মানে বিজনেস?
কিসের কথা বলছ তুমি?
!
সেটা যেনে আপনি কি করবেন?
একচুয়ালি ইটস নান অফ ইউওর থিংগস,
সো কিপ ক্লাম,
!
ময়না পাখি আমি ইউনিভারসিটি যাচ্ছি সো প্লিজ আমার জিনিশ গুলো সামলে রেখ,
!
আচ্ছা ঠিক আছে,
!
আমি তোমাকে ড্রপ করে দেই?
!
নো থ্যাংকস,
অনেক ড্রপ করেছেন আর ড্রপ করতে হবে না বুঝলেন?
এখন আমি বাকি টা পথ একাই চলে যেতে পারবো,
!
কিন্তু,
!
কি এমনি তেই কালো আরো একটু কালো হয়ে যাবো নো প্রবলেম,
বিশ্ব সুন্দরী বা ছিলাম কবে?
!
মিশকার এই কথা টা শুনে ওর চোখ জোড়া ছলছল করে ওঠে,
!
তারপর মিশকা মিষ্টি হাসি দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়,
!
আর ওর এই হাসি টা ইমানের ভাবনার যগৎ কে অতিরিক্ত ভাবিয়ে তোলে,
!
কি ভাবছে কি মেয়ে টা?
আমার বিশ্বাস ও আমাকে ভালোবাসে,
!
তাই আর যাই করুক কখনো আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না,
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 5

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 5

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
বেটা এতক্ষণ বাঘ বনে ছিল এখন বেড়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
!
হা হা হা,
!
তারপর মিশকা ওর রুমে গিয়ে,
নিজের পেটের ওপরে হাত রেখে ওর অনাগত সন্তানের সাথে কথা বলতে শুরু করে,
!
উফফ,
আজকে আমার এতো ভালো লাগছে যে আমি কাও কে বলে বোঝাতে পারবোনা বাবাই,
!
তোর মাম্মা পেরেছ বাবাই,
এখন তাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে,
তুই তাকে সাপোর্ট করবি তো বাবাই?
নিজের অনাগত সন্তানের সাথে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলে মিশকা,
!
ওদিকে ইমানের ঘুম হারাম হয়ে গেছে,
মিশকার বলা কথা গুলো ওর কানে গিটারের মতো বাজছে,
না কিছু করতে পারছে না কিছু বলতে পারছে,
শুধু চুপচাপ বিছানা এক কনে পরে মিশকার কথা ভাবছে,
!
তখন রিয়া শাওয়ার নিয়ে ওর শরীরে টাওয়াল জড়িয়ে এসে ইমানের কপালে চুমু খেয়ে বলে,
!
আর ইউ রেডি বাবু?
!
ফর হোয়াট?
!
বিয়ের পরে এ বলে দিতে হবে হুমম?
আসলে মিশকার জন্যে তোমার মুড টা অফ হয়ে আছে তাই,
!
তখন ইমান ওকে ঝাড়ি মেরে বলে,
উইল ইউ থিংক আমি এখন এই মুহূর্তে তোমার সাথে সাথে শোয়ার মুডে আছি?
!
বাবু?
!
ইউ জাস্ট গেট লস্ট ফরম হেয়ার,
বলে নিজেই নিজের রুম থেকে গজগজ করতে করতে ছাদে চলে যায়,
আর সেখানে গিয়ে দেখে মিশকা একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছে,
তখন ও ভাবে,
!
আমি জানি না কেন আমি না চাইলে ও আমার মন টা কেন বাড়বার ছুটেছুটে যায়,
আমি জানিনা কেন এই মুহূর্তে আমি তোমাকে ছুঁইয়ে দেখতে চাইছি,
!
কিন্তু সত্যি অনেক দিন হয়ে গেছে আমি তোমাকে ছুঁইয়ে দেখিনি,
তবে আজ এখন যখন তোমাকে একা পেয়েছি এখন একটু ছুঁইয়ে দেখবো তোমাকে,
!
তখন মিশকা ভাবে,
তোমার কোনো অধিকার নেই আমার পরে,
আমাকে ছুঁইয়ে দেখার,
আমি জানিনা আমার কি ভুল ছিল?
যে আপনি আমার সাথে এমন টা করলেন?
!
আমার কষ্ট কোথায় জানেন?
আমার কষ্ট আপনি আমাকে ভালোবেসে ছিলেন,
এতো এতো প্রমিছ করেছিলেন,
আমাকে স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন,
আমার এই এতটুকু জীবনে আসার আলো হয় ছিলেন,
!
কিন্তু আজ এই দু মাস আপনি আমাকে ও আমার স্বপ্ন কে মিথ্যে প্রমাণ করে দিলেন, আমাকে ধোকা দিলেন,
কি দরকার ছিলো আপনার আমাকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখানোর?
একটা বছর ধরে মিথ্যে ভালোবাসা দেখানোর?
!
তখন হয় তো বুঝতে পারিনি,
বাট নাও আই এম সিওর,
উনি আমাকে ভোগ করেছেন,
আর একটা বছর ধরে আদর্শবান স্বামী হয়ে নিজের আসল রূপ টা লুকিয়ে রেখেছেন,
!
ইউ আর গুড নাহহ না ইউ আর টু গুড,
!
আমি চাইছি আমার মাম্মা পাপার কাছে ফিরে যেতে চাইছি,
কিন্তু,
তারা তো জানেই না তাদের মেয়ে এখানে কত সুখে আছে,
তারা তার মেয়ের সুখের খবর শুনে কষ্টেই শেষ হয়ে যাবে,
একে তো আমি তাদের নিজের সন্তান নই তবু ও তাড়া আমার জন্যে পাগল হয়ে যাবে
!
যাই হোক পাস্ট ইজ পাস্ট তাই আমাকে স্ট্রং হতে হবে,
নিজের অনাগত সন্তান কে নিয়ে নতুন জীবনে ফিরে যেতে হবে,
!
মিশকা যখন ওর ভাবনা শেষে চোখেরজল মুছছিল তখনি ওর পিঠে কারো গভীর নিঃশ্বাস এসে পরে,
আর ও সেই নিঃশ্বাসের গভীরতা বুঝতে পেরে,
চোখ বুঝে ছুটতে শুরু করে,
আর ইমান ও মিশকার পেছনে ছুটতে শুরু করে,
মিশকা যখন ইমানের ধরাছোয়ার কাছাকাছি,
!
তখন ও ইমানের হাত থেকে নিজেকে বাচঁতে ওর গায়ে টেবিলের ওপরে রাখা মার্বেলে ভরা বাটি ছুড়ে মারে,
আর ইমান সেই মার্বেলে স্লাইড করে ইমান ফ্লোরে পরে যায়,
!
মিশকা তখনি ওর রুমে ঢুকে পরে ঠাসস করে দরজা লাগিয়ে চুপ করে নিজের বিছানায় গিয়ে গুটিসুটি মেরে শুয়ে পরে আল্লাহর শুকুরিয়া আদায় করতে থাকে,
!
আর ওদিকে ইমান ফ্লোরে পরে নিজের অজান্তেই কেঁদেই চলেছে কেঁদেই চলেছে,
!
কারন ও বুঝতে পেরেছে মিশকার আর ওর প্রয়োজন নেই,
তাই তো নিজ দায়িত্বে নিজেই নিজের সব সুখস্বচ্ছন্দের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে,
!
আচ্ছা ও এসব করছে তাতে আমার এতো কষ্ট হচ্ছে কেন?
আমি কেন ওর অবহেলা মেনে নিতে পারছিনা?
এসব ভাবতে ভাবতে ফ্লোরে ঘুমিয়ে যায় ইমান,
!
পরেরদিন সকালে ইমান ইশার সাথে কোনো বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করতে করতে দোতালায় নজর যেতেই দেখে,
!
মিশকা মিষ্টি কালারের সাড়ি পরে চুলে খোপা করে হাল্কা সাজুগুজু করে এসেছে,
!
ওহহহ,
মিশকা ইউ আর লুকিং সো গ্লোয়িং অর গ্লামারাস অল সো,
!
থ্যাংকস ইশা,
!
ওয়েলকাম, বাট তুমি এভাবে সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছে?
!
বয় ফ্রেন্ড তো নেই যে তাকে নিয়ে রুম ডেটে যাবো ইউনিভারসিটি তে প্রেজেন্টেশন আছে ওখানে যাচ্ছি,
!
ওহহহ,
তাহলে সাবধানে যেও কেউ আবার রাস্তা থেকে তুলে না নিয়ে যায়,
!
মানে?
!
তোমাকে কিউট লাগছে খুব,
!
ইশার কথা শুনে ইমান আড়চোখে মিশকার দিকে তাকিয়ে মৃদু মৃদু হাসি দেয়,
!
তখন ময়নার পাঁচ বছর বয়সের ছেলে মামুন এসে মিশকা কে একটা বেলি ফুলের মালা দিয়ে বলে,
!
মা তুমি এটা পরবে? তাহলে তোমাকে আরো সুন্দর লাগবে,
!
মিশকা তখন ওকে আদর করে ওর কপালে চুমু খেয়ে বলে,
!
হ্যা বাবা অবশ্যই পরবো,
!
ইকাকককক,
তুমি এই নোংরা বস্তির ছেলেটার আনা ফুলের মালা পরবে মিশকা?
!
হ্যা পরবো,কারন আমার ছেলে না কিছু কিছু মানুষের মন মানুষিকতাই নোংরা বস্তির মতো,
বাবা তুমি আমাকে মালা টা পরিয়ে দাও তো?
!
আমি তো পারিনা মা,
!
আমি পরিয়ে দিবো?
!
রুহান?
দে ভাই তাড়াতাড়ি দে,
!
ওক্কে,
!
তারপর রুহান বেলি ফুলের মালা টা মিশকার খোপায় পরিয়ে দেয়,
!
আর এদৃশ্য দেখে ইমানের চোখ রাগে লাল হয়ে যায়,
আর সেটা সবার চোখ এরিয়ে গেলে ও রুহানের চোখে লেগে যায়,
তাই ও মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে,
!
হয়ে গেছে চল,
!
হ্যা চল,
তবে বাইক নিয়ে এসেছিস?
!
হ্যা,
!
তাহলে চল তাড়াতাড়ি চল বাইকে চড়ব আমি,
!
তখন রুহান মিশকা কে নিয়ে চলে যায়,
বাইকে বসতেই রুহান ওকে ওকে হাসতে হাসতে বলে,
!
তোর স্বামীর না কি যেন প্রবলেম আছে,
ওনি বোধ হয় একশো বিয়ে করলে ও তোকে নিজের পারসোনাল প্রপার্টি মনে করবে,
আজকে আমার দিকে রক্তচক্ষু রাগে তাকিয়ে ছিল,
!
ছেমড়া তোর সমস্যা কি?
তুই সামনে চাহিয়া ড্রাইভ কর,
!
তুই রেগে গেলি কেন?
!
তুই ওই ব্যাটার কথা মনে করালি কেন?
!
সরি আর কমুনা,
!
তার মানে তুই একশোবার কবি,
!
হয় কমু হা হা হা,
পিছনে চাহিয়া দেখ,
!
ফাজিল টার কথা পেছনে শুনে পেছনে চাহিয়া দেখি,
!
উনি ঠিক আমাদের পিছনে আমাদের দিকে চাহিয়া ফুল স্পিডে কার ড্রাইভ করছে,
!
কি আশ্চর্য তাই না?
আগে তুমি আমার পেছনে বসতে আর আমি আমাকে বাইকে ঘেরাতাম,
আর এখন তুমি পরপুরুষের বাইকে বসে শহরতলি ঘুরে বেড়াচ্ছ,
অবশ্য আমার তো খুশি হওয়া উচিত যে তুমি নিজে থেকে আমার থেকে দূরে যেতে চাইছ,
কিন্তু আমি পারছিনা তোমার এই দূরত্ব টা মেনে নিতে,
!
আমি চাইছিনা তুমি আমাকে ভালোবাসো,
তবে আমার বন্ধু হয়ে তো থাকতে পারো,
দূরে থাকতে চাইছ তা বলে এতো দূরে?
!
হঠাৎ ইমানের ঘোর কাটতে দেখে ও সাভার ক্রস করে চলে এসেছে,
তাহলে মিশকা ওর ইউনিভারসিটি তে চলে গেছে?
!
সারাদিন কাজ করে বাসায় ফেরার পথে ইমান দেখে,
!
যে মিশকা পরম যত্নে গাড়িঘোড়া না পেয়ে সাভার থেকে খুব সাবধানে হেটে হেটে কাঠফাটা রোধে ঘেমে নেয়ে বাসায় যাচ্ছে,
!
মিশকা কে এমন অবস্থায় দেখে ইমানের বুকে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে যায়,
তখন ও না চাইতেও মনের কথা শুনে
তাড়াতাড়ি গাড়ি পার্ক করে মিশকার কাছে ছুটে গিয়ে ওর পথ আটকে দাড়ায়,
!
কি সমস্যা কি আপনার?
!
তুমি তো অসুস্থ,
এভাবে রোদেগরমে থাকলে আরো অসুস্থ হয়ে পরবে,
!
লিসেন আই এম ওকে উইথ ইট,
আর আপনার কানসার্নের কোনো প্রয়োজন নেই মিস্টার খান,
অনেস্টলি আই ওয়াক নো নিড ফর ইউওর কানসার্ন,
!
তখনি কিছু বয়স্ক লোক জড়ো হয়ে মিশকা কে বলে,
!
কি হয়েছে মা আমাদের বলো?
!
আঙ্কল উনি আমাকে বিরক্ত করছেন, আমি ওনাকে চিনি না,
!
এই ছেলে ঐই পাবলিক প্লেসে একটা মেয়ে কে বিরক্ত করছ পাবলিকের প্যাঁদানি খাওয়ার ভয় নেই তোমার?
!
আঙ্কল ও আমার ওয়াইফ ও মিথ্যে কথা বলছে,
!
আঙ্কল উনি মিথ্যে বলছেন,
আমি ওনাকে তো জীবনে কখনো দেখিনি,
!
মিশকার কথা শুনে এক আঙ্কল মিশকা কে পানি খাইয়ে সি.এন.জি তে বসিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়,
আর ইমান কে অনেকে ধরে হালকা পাতলা উওম মাধ্যম লাগায়,
!
পাবলিক প্যাঁদানি খেয়ে ইমান বাসায় এসে রাগে গজগজ করতে করতে বলে,
!
সবকিছুর একটা লিমিট আছে,
আমার বিয়ে করা বৌ আমাকে নিজের স্বামী হিসেবে মানতে অস্বীকার করে?
পাবলিক প্লেসে বলে কিনা আমাকে চিনে না?
আমাকে জীবনে চোখে দেখনি?
তাহলে কি গত একবছরে ভুতের সাথে সংসার করেছে ও?
!
দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে ইমানের কথা শুনে ময়না পাখি ওদের মুখ চেপে হাসতে থাকে,
!
হা হা হা,
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 4

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 4

লেখিকা সুরিয়া মিম

সুইপারদের কথা শুনে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেলে ইমান,
!
তবু ও নিজেকে সামলে নিয়ে চোখের জল মুছে,
সুইপার গুলো কে ঝারি মেরে বলে,
!
কি হলো?
কি নিয়ে আলোচনা করছ তোমরা?
!
তখন সুইপার গুলো তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে,
!
কিছু না সাহেব,
মোরা ওহন যাই,
!
সামান্য সুইপার আমাকে এভাবে অপমান করলো?
!
আই ডোন্ট কেয়ার যে মিশকা আমাকে কি ভাবে?
আই রেয়ালি ডোন্ট কেয়ার,
!
তারপর ইমান রেগে ওর রুমে গিয়ে রেডি হয়ে অফিসে চলে যায়,
কিন্তু কোনো কাজ মন দিয়ে করতে পারেনা,
কারন ওর ভাবনা জুড়ে এখন মিশকার বিচরণ,
ও ভাবছে,
!
আমরা একি বাড়িতে অপরিচিত হয়ে থাকি,
একে অপরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ,
আমি তোমার আশেপাশে থাকলেই তুমি আমাকে ইগনোর করে চলে যাও,
এখন কি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইছ?
তাহলে আমি থাকবো কি করে?
!
আশ্চর্য আমি এগুলো কি ভেবে চলেছি?
আমি ইশা কে ভালোবাসি ও আমার সব,
মিশকা গেলে যাবে ওকে আটকে রাখবে কে?
আমি ওকে ভালো বাসি না তাই ওকে আটকে রাখবো না,
!
আর এমনি তেও,
“দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো”
ও চলে গেলে আমি ইশা কে নিয়ে আমার বাকি জীবন টা সুখেস্বচ্ছন্দে কাটিয়ে দিবো,
!
তাই মিশকা কি দেখলো? কি ভাবল?
সত্যি আই রেয়ালি ডোন্ট কেয়ার,
!
কিরে ভাই কি এতো ভেবে চলেছিস?
!
কিছুনা,
!
ওহহ তাই বলল আমি তো ভেবেছি অন্যকিছু?
বাই দ্যা ওয়ে মিশকা ভাবি কেমন আছে?
!
আল্লাহ যেমন রাখছে তেমন আছে,
তোরা সবাই শুধু ওর কথা জিজ্ঞেস করো ইশার কথা তো জিজ্ঞেস করো না?
!
দেখ ভাই ইশা আশা কে জানিনা জানতে ও চাই না তাই ভাবির কথা জিজ্ঞেস করেছি,
বললে বলবি না বললে বলার দরকার নেই কেমন?
!
তুই রেগে যাচ্ছিস কেন?
!
কেন সেটা শুনলে ও তুই সুধরোবি না তাই তোকে বলে ও লাভ নেই,
!
তাহলে বলিস না,
!
তোকে বলবো ওনা গাধা যেন কোথাকার?
তুই বাবা হতে চলেছিস তুই জানো না আর আমি তোর বন্ধু হয়ে তোর খবর জানি,
!
কি হলো কি ভাবছিস?
!
তোর মাথা শালা গাধা যেন কোথাকার?
!
তুই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড হয়ে আমাকে এভাবে বলতে পারলি আরিয়ান ?
!
শালা তুই এটারি যোগ্য,
!
কি বললি তুই?
!
যেটা সত্যি সেটাই বলছি আমি,
!
ভাই তুই হাইপার হয়ে যাচ্ছিস কেন?
!
কারন আমি বিয়ের জন্যে ভালো মেয়ে খুজে পাচ্ছি না,
!
ওহহহ এই ব্যাপাররররর?
হা হা হা,
আমি তোকে খুজে দিবো মেয়ে?
!
খুঁজত হবে না তোর কাছেই আছে,
!
মানে?
!
বিজনেস ডিলের মতো ডিল করবি আমার সাথে?
!
কি সের ডিল?
!
মানে?
!
মিশকার ডিল করবি আমার সাথে?
আমি কোনো অযত্ন করবোনা ওর শুধু ওকে ভালোবাস বো,
শুধু ওরি হয়ে থাকবো,
!
মাথা ঠিক আছে তোর?
!
আমার ঠিকি আছে,
তাই বলছি আমার সাথে ডিল কর তুই যা চাবি তার ডাবল দিবো প্রমিছ,
!
নিজের বেষ্ট ফ্রেন্ডের মুখে একথা শুনে ইমানের বুকে চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে যায়,
আর ও আরিয়ানের শার্টের কলার চেপে ধরে,
!
তখন আরিয়ান ওকে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে,
!
তোর যখন ওকে চাই না আমাকে দিয়ে দেনা ভাই,
আমি নারীর এক পুরুষ হয়ে থাকতে চাই তোর মতো নই আমি,
আমি ওকে অনেক ভালোবাসবো,
আমি ওকে অনেক পছন্দ করি,
বন্ধু বৌ বলে কখনো মুখ ফুটে মনের কথা বলিনি,
!
যখন বলনি বলবি ওনা,
যা তুই এখান থেকে চলে যা,
আমি ওর স্বামী কোনো দালাল নই যে ওকে নিয়ে বিজনেস করবো,
!
তুই তো দালালের থেকে ও খারাপ,
তুই একটা জঘন্য,
!
আরিয়ানের কথায় কষ্ট পেয়ে নিজেই নিজের ক্যাভিন ছেড়ে বেড়িয়ে যায় ইমান,
আর ফুল স্পিডে কার ড্রাইভ করতে শুরু করে,
!
ড্রাইভ করতে করতে সাফারি পার্কে এসে চুপটি করে বসে থাকে,
!
তখন খেয়াল করে দেখে,
মিশকা রুহান কে নিজের হাতে ইলিশ পোলাও খাইয়ে দিচ্ছে,
!
এই দৃশ্য দেখে ইমানের অতীত মনে পারে যায়,
আর তার চোখ থেকে জলের ধারা বইতে শুরু করে,
!
আমাকে খাইয়ে দিলে হবে তুই খাবি না?
!
নারে ভাই সকালে যে দৃশ্য দেখে এসেছি তারপরে আর খেতে মন চায় না,
!
তা বললে তো শুনবো না,
বাবুর জন্যে হলে ও তো খেতে হবে তোর,
দেখি হা কর তুই,
আমি তোকে খাইয়ে দিচ্ছি,
!
তখন ইমান চুপটি করে ওদের দেখতে থাকে,
ও জানে না রুহানের সাথে ওকে দেখে কেন এতো কষ্ট হচ্ছে ওর তবু ও একদৃষ্টে ও দৃশ্য উপভোগ করতে থাকে,
!
আমি আর খেতে পারবোনা ভাই,
!
এতকিছু আমি জানিনা আমি খাইয়ে দিচ্ছি তুই খেতে বাধ্য,
!
শয়তান ছেমড়া,
!
হা হা হা,
আচ্ছা তুই ভেবে দেখেছিস?
!
কি?
!
আর কয়দিন পরেই তো তোর শরীরে মাতৃত্বের সমস্ত চিহ্ন ফুটে উঠবে তখন কি করবি?
!
তার আগেই আমি আম্মু আব্বুর কাছে চলো যাবো ভাই,
!
ওহহহ তাহলে ভালোই সুখেস্বচ্ছন্দে থাকবি তুই,
!
তাতো থাকবোই,
হুহুহুহু,
!
হা হা হা,
!
হাসছিস কেন হুমম?
!
ছোমড়া আমি কি হাসতেও পারবোনা হুমম?
সারাদিন ধরে তো কাঁদতে হয় তুই আবার এভাবে বলছিস?
!
নারে বোন,
তুই কাঁদলে আমার একটু ও ভালোলাগে না,
!
তা লাগবে কেন?
তোর জন্যে লাইফে ফাস্ট টাইম ক্লাস বাদ দিয়ে বেষ্টুর সাথে ঘুরতে এসেছি হুমমম,
!
ইউ আর রাইট হা হা হা,
বাই দ্যা ওয়ে খেয়াল করেছিস?
!
কি?
!
সবাই আমাদের এমন ভাবে ঘুরে ঘুরে দেখছে যেন বি. এফ জি.এফ প্রেম করতে বসেছে,
!
হা হা হা, এ আর নতুহ কি?
ভাইবোন কে হ্যাজবেন্ড বানাইয়া দেয় তারপর তো আমরা,
!
আসলে এই যুগেরর মানুষ গুলো এতো এতো আপডেট হয়েছে,
যে ভাই বোন কেও ছাড়ে না,
!
ঠিক বলেছিস,
এই তো সেদিন রুহি কে নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম তখন জাহাদ ওকে আমার সাথে দেখে বলে,
!
ভাই ভাব্বি না পুরাই জোশ,
!
হা হা হা,
তারপর?
!
আর কি রিকশা থেকে নেমে ইচ্ছে মতো পেঁদানি দিছি,
!
হা হা হা,
বাইচা আছে ওটায়?
!
আছে মনে হয়,
!
হা হা হা,
!
তারপর রুহান মিশকাকে বাসায় ড্রপ করে দেয়,
!
আজ কতদিন পরে ওকে দেখলাম মুখটা মলিন হয়ে আছে,
স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গেছে ,
মানে আগে লাঠি ছিল আর এখন সলা হয়ে গেছে,
কিন্তু অস্বাভাবিক ভাবে লাবণ্যময়ী হয়ে গেছে,
ইশা কে বিয়ে করে আনার পর থেকে আজ এই প্রথম ওর সৌন্দর্যে নজর পরল আমার,
আমি ভেবে পাচ্ছি না ওকে এতো সুন্দর লাগছে কেন?
!
রুহান তো ওর ফ্রেন্ড তবু ও কেন আমার ওকে ওর সাথে সহ্য হয় না,
আমি ওকে ভালোবাসি না তবু ও আরিয়ানের কথা গুলো আমার বুকে কাঁটার মতো বিধল,
!
কি হলো বাবু?
কার কথা ভাবছ?
!
কারো কথা না সোনা,
!
এই দেখ,
!
ওয়াও কিন্তু এটা তো মিশকা ও আমার এ্যাংগেজমেন্ট রিং তুমি পেলে কি করে?
!
মিশকা আমায় দিয়েছে বাবু ও নাকি ডায়মন্ড রিং চায় না তাই আরকি,
!
ইশার কথা শুনে আবারো ইমানের মন খারাপ হয়ে যায়,
!
তখন হঠাৎ কোনো কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ হয়,
…….
শব্দ শুনে ইমান বাহিরে গিয়ে দেখে মিশকা ওর পছন্দের ফুলদানি টা ভেঙে ফেলেছে,
…….
তাই ও রেগে গিয়ে বকা দিয়ে বলে,
!
দেখে চলতে পারেনা নাকি?
তুমি জানো এটা আমি কত টাকা দিয়ে কিনেছি?
এটার কতো দাম?
!
জানবে কি করে বাবু?
ওকি ব্রান্ডি জিনিশ কখনো চোখে দেখেছ হুমম?
!
তখন মিশকা নিজেকে সংযত করে ঘোমটার আড়াল থেকে বলে,
!
ভাগ্যিস দেখেনি তাহলে আমার ও তোমার বরের থেকে নামিদামি পয়সাওয়ালা বর থাকতো,
আর আমি ও কি যেন বলে?
ও হ্যা বিকিনি পরে ঘুরে বেড়াতাম,
!
মিশকার কথা শেষ হতে না হতেই ইমান ওর গায়ে হাত তুলতে যায়,
!
তখন মিশকা ওর গ্লাভস পরা হাত দিয়ে ইমানের হাত টা ঠেকিয়ে ওর মুখের ওপরে কত গুলো পেপারস ছুড়ে মেরে বলে,
!
আপনি আপনার যে প্রপার্টি আমাকে দান করে ছিলেন আমি সেই প্রপার্টি আপনাকে দান করে দিলাম,
!
কারন আমার পাপার অনেক আছে আর ভবিষ্যতে আমি নিজে ও নিজের যোগ্যতায় অনেক পয়সা প্রপার্টির মালিক হবো সো আপনার এই দয়ার দান চাই না আমার,
!
মিশকার কথা গুলো শুনে হতভম্ব হয়ে যায় ইমান,
!
কারন ও ভেবেছিল সবকিছু দিয়ে দিলে ও এতটুকু নিজের শেষ সম্বল হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিবে ও,
তাই ইমান ওকে বলে,
!
এগুলো আমার চাই না,
তোমাকে দিয়েছি তুমি তোমার শেষসম্বল হিসেবে তোমার কাছে রেখে দাও প্লিজ,
!
ওহহহহ হ্যালো,
ইউ জাস্ট শাট আপ,
আল্লাহ আমাকে দুহাত দিয়ে পাঠিয়েছে,
সে হাত দিয়ে নিজে করে খেতে পারবো কেমন?
সো নিজের চরকায় তেল দিন ওকে?
!
মিশকার কথা গুলো এবার সোজা গিয়ে ইমানে মনে গিয়ে লাগে,
আর ও কতক্ষণ চুপ করে মিশকার দিকে তাকিয়ে থাকে,
!
পরে রাগে গজগজ করতে ইমান ওকে ভয় দেখাতে বলে,
!
আজকে থেকে তোমার সমস্ত খরচ বন্ধ,
দেখবো তুমি কি খাও কি পরো?
আর কি ভাবে চলাচল করো?
!
গোয়িং ওন মিস্টার খান,
!
তখনি ব্যাংক ম্যানেজার কে ফোন করে বলে,
!
স্যররর আপনার মিসেসস মিশকা ইমান খান ওনার ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিজ করে দিতে বলেছেন,
আর আমরা আজকে তার অ্যাকাউন্ট ও ক্রেডিট কার্ড সিজ করে দিয়েছি,
!
ম্যানেজারের কথা শুনে ইমান অবাক হয়ে মিশকার দিকে তাকিয়ে থাকে,
!
বেটা আমাকে অনেক জ্বালিয়েছ আমি কি তোমাকে ছেড়ে দিবো হুমম?
!
তোমার সবচেয়ে বড় ভুল কি জানো?
তুমি এখনো আমাকে নিজের পারসোনাল প্রপার্টি মনে করো,
কোনো একসময় ছিলাম তোমার প্রপার্টি এখন আর নই,
তাই তোমার কোনো জিনিস ও আমার চাই না,
কারন এখন আমি নিজের পায়ে দাঁড়াবো,
আর তোমায় ঘৃণা করবো,
ভালোবাসি ভালোবাসি বলে অনেক ভালোবেসেছ আর কোনো প্রয়োজন নেই তোমার ওমন ভালোবাসার,
!
তুমি চাও আমি তোমার ওপরে ডিপেন্ড করে থাকি,
আর আমি সেটাই কখনো থাকবোনা মিস্টার খান,
!
আর তখন আমি ওনাকে হাসি মুখে ওকে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে চলে যাই,
!
বেটা এতক্ষণ বাঘ বনে ছিল এখন বেড়াল হয়ে দাড়িয়ে আছে,
!
হা হা হা,
!
!
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 3

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 3

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
যা পারো করো গিয়ে তাতে আমার কি?
আমার কোনো কষ্ট হয় না,
একি ঘরে তো অপরিচিত হয়ে থাকো,
!
তারপর ইমান রুমে চলে যায়,
সেখানে গিয়ে দেখে,
ইশা মিশকার বিয়ের গহনাগাঁটি গুলো ট্রাই করে দেখছে,
!
তাই নিজেকে সংযত করতে না পেরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
!
তুই মানে তুমি এগুলো কোথায় পেয়েছ?
!
বাবু মিশকা আমাকে ওর সব গহনাগাঁটি দিয়ে দিয়েছে সাথে লকারের চাবি এবং তোমার ইম্পরট্যান্ট পেপারস গুলো ও দিয়ে দিছে
!
এতকিছু দিয়েছে সাড়ি গুলো দেয়নি?
!
বাবু ও জানে আমি সাড়ি পড়িনি আর পড়ি না তাই ও সাড়ি গুলো ভিক্ষারী কে দিয়ে দিবে,
!
ও তাই?
!
হুমমম,
!
তারপর ইমান ওকে মিষ্টি হাসি দিয়ে কনফারেন্সে চলে যায়,
যতই হাসি দিক ওর মিশকার এমন আচরণ একটু ও ভালো লাগছে না,
তাই ও কনফারেন্স শেষে বাসায় ফিরে আসে,
!
আর শাওয়ার নিয়ে ইশা কে নিয়ে ওর বন্ধুর বিবাহবার্ষিকীর পার্টি তে যাওয়ার জন্যে রেডি হয়ে হলে যায়,
সেখানে গিয়ে দেখে,
!
মিশকা সেই একহাত ঘোমটা দিয়ে কিচেনে ডিনার তৈরি করছে,
তখন ও ইশার প্রশংসা করে বলে,
!
বেবি ইউ আর লুকিং সো হট,
!
ময়না বেশি গরম হলে পুরে যাবে গ্যাস টা অফ করে রাখ,
!
তখন ময়না মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
আচ্ছা বৌ রানী,
!
তখন ইমান মিশকার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে,
আর ইশা এসে বলে,
!
আয় নো আয় এম রেয়ালি হট বাবু,
ওর কথা শুনে ইমান মিশকাকে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে,
ইশা কে কোলে নিয়ে গাড়ি তে গিয়ে বসায়,
!
ময়না পাখি তখন মিশকা কে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
কাইন্দো না গো বৌ রানী,
এই বৌ দিয়া সাহেবের কখনওই সুখ হবে না তুমি দেইখা লইয়ো,
কেমন চলা ফেরা ও বিশ্রী সাজপোশাক সাহেব কেন?
যেকোনো পুরুষ এমন মহিলার বাইরে বেড়িয়ে থাকা অঙ্গ দেখলে লালসাকামনা করবে,
আর ইনি তো চব্বিশঘণ্টা এমন পোশাক পরে যে সবি দেখা যায়,
!
তয় এতো কষ্ট করে ছোটো ছোটো জামাকাপড় পড়ে লাভ কি?
জামাকাপড় ছাড়া নাঙ্গা থাকলেই তো পারে,
!
তোমরা চুপ করবে প্লিজ?
আমার এসব শুনতে ভালো লাগছেনা প্লিজ,
!
তুমি তো ভালা তাই তোমার খারাপ জিনিস সহ্য হয় না সেটা মেরা জানি গো বৌ রানী,
!
তাহলে প্লিজ চুপে করো,
!
আচ্ছা,
ওহন তো আমনের ঘোমটা তোলেন এহন কেউ নাই,
!
ওদের কথা শুনে আমি আমার ঘোমটা তুলে চোখের জল মুছে,
নিজের অনাগত সন্তানের কথা ভেবে পেট ভরে খাবার খেয়ে নেই,
তারপর নিজের বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরি,
!
পরেরদিন সকালে আমার ঘুম থেকে উঠতে দেড়ি হচ্ছে দেখে,
ময়না ও পাখি এসে
আমাকে ডেকে তোলে,
তখন আমি ওদের বলি,
!
আমি না খাবারের কাছে গেলে খেতে গেলে আষ্টে গন্ধ পাই আর সাথে সাথে আমার বমি পেয়ে যায়,
তাই আর আমি রান্নাবাড়া করবো না তোরা প্লিজ ম্যানেজ করে নে?
!
এ আর নতুন কি?
মা হতে হলে এসব তো হবেই,
আর আমরা তো আমি তুমি টেনশন করো না গো বৌ আপি,
আমরা সব সামলে নেবো,
তুমি শুধু তোমার আর বাচ্চার যত্ন নেও,
!
যাক বাবা বাচাঁলি আমায়,
তাছাড়া এখন আর এটা আমার সংসার নয়,
তাই যার সংসার তাকে তার জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়ে,
আমি আমার সন্তান নিয়ে দূরে কোথাও চলে যেতে চাই,
যেখানে শুধু আমি ও আমার সন্তান থাকবো,
!
তুমি এটা অনেক ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছ বৌ রানী,
!
হুমমম নেক্সট উইকে আমার শশুড় শাশুড়ি আসছেন আমাকে আমার এই বন্দী দশা থেকে মুক্তি দিতে,
!
আলহামদুলিল্লাহ্‌ তাহলে তো ভালোই,
!
হুমম তোমরা এখন যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি,
!
ওরা চলে যেতেই আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখি,
!
উনি ও ওনার বৌ ড্রিংক করে সোফায় পরে পরে ঘুমচ্ছে,
আগে তো তুমি এমন ছিলে না গো,
বিড়ি, সিগারেট, ড্রিংক এসবের ধরে কাছে ও ঘেষতে না তুমি,
আর সেই তুমি আমার ভালোবাসা ভুলে এমন একজনের ভালোবাসায় মাতলে যে তোমাকে………. থাক আর বললাম না আমার বলায় কি বা আসে যায়?
!
আমার শুধু একটাই কষ্ট,
যে আমি তোমাকে পতন থেকে অধপতের দিকে এগিয়ে যেতে নিজের চোখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি,
কিছু করার নেই আমার তুমি সেচ্ছায় এপথ বেছে নিয়েছ,
তাই নিজের খেয়াল নিজ দায়িত্বে রেখো,
!
কি ভাবছ বৌ রানী?
!
নাথিং,
আমি ইউনিভারসিটি যাচ্ছি ওনারা উঠলে ওনাদের আচ্ছা মতো প্যামপাড় করো কেমন?
!
জ্বি বৌ রানী,
!
হা হা হা,
!
ইসসসস,
বৌ রানীর হাসি টা কত সুন্দর আর এই লোকটা ওনার হাসি টাই নিয়ে গেছে,
!
শোন পাখি যে লোকেরা একটা থুইয়া একটা লইয়া পইরা থাকে হেগো কপালে শান্তি নাই নিজের চোখে দেহা,
!
ঠিক কইছিস,
চল কামে চল না হলে হেরা উঠে আবার ফাইফরমাশ খাটানো শুরু করবো,
!
ময়না শোন এ বাড়িতে ভালো মানুষ শুধু একটাই আর সেটা আমাগো বৌ রানী,
মাঝেমধ্যে মনডায় চায় আমি ওনাগো দুজনরে বৌ রানী পা ধোয়া পানি এনে খাওয়াই,
!
হা হা হা,
চল বোন কামে চল,
!
কিছুদিন ধরে ইমান খাবার খেতে পারেনা,
খাবারে সেই আগের স্বাদ পায় না,
সবকিছু পানসে পানসে লাগে,
তাও চুপচাপ সোনা মুখ করে খেয়ে নেয়,
!
কিন্তু আজ কে রাগ করে ময়না পাখিকে ডেকে বলে,
!
এরকম এই বাজে খাবার গুলো কে রান্না করছে?
!
সাহেব আমরা রান্না করেছি,
!
কেন সে কোই?
!
বৌ রানী অসুস্থ তাই আমরাই এখন থেকে রান্নাবাড়া করবো,
!
মিশকা অসুস্থ শুনে ওর বুকে টা অজানা ব্যথায় চিনচিন করে ওঠে,
আর তখনি মিশকার বেষ্ট ফ্রেন্ড রুহান এসে হাজি হয়,
!
আরে রুহান তুমি এখানে?
!
হ্যা আমি এখানে,
আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড কে ডক্টর দেখাতে নিয়ে যেতে এসেছি,
!
বকবক করা হলে ওপরে আয়,
আমার কষ্ট হচ্ছে আমি রেলিং ধরে নামতে পারবোনা,
!
আচ্ছা বাবা আসছি,
তারপর রুহান এসে মিশকাকে ধরে নিচে নিয়ে যায়,
!
ইমান বিষয় টা এভাবে এড়িয়ে গেলে ও অন্য একটা ছেলে ওকে এভাবে ধরে ধরে নামাচ্ছে এটা ওর মনে কষ্টের সৃষ্টি করছে,
!
তুই এভাবে একহাত ঘোমটা দিয়েছিস কেন?
!
লজ্জা করে তাই,
!
কেন করে?
!
পরপুরুষ কে মুখ দেখাতে লজ্জা করে তাই,
!
এতো লজ্জা করে যে পরপুরুষ কে মুখ দেখাচ্ছ আর আমার সাথে অপরিচিত হয়ে থাকছ,
!
সাহেব বৌ রানী কে রুহান ভাই একা ধরে নামাতে পারবেনা আপনি একটু ধরেন,
!
নাহহ না,
আমি ঠিক আছে রুহান পারবে,
আপনি প্লিজ আমাকে ছোঁবেন না,
!
মিশকার কথা শুনে ইমান নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে,
আর রুহান ওকে নিয়ে হসপিটালে যায়,
দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ইমান ওর চলে যাওয়া দেখে,
!
বাবু তুমি দরজায় দাঁড়িয়ে আছো কেন?
!
কোই কিছুনা তো এমনি দাঁড়িয়ে আছি,
!
একটা কথা বলি,
!
কি?
!
মিশকা তোমাকে বললে পারতো খামোখা অন্য একটা ছেলে কে,
!
তোমার ভালোলাগাত আমি যদি ওকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যেতাম?
!
তখন ইশা চুপ করে মাথা নিচু করে ইমানের সাথে খেতে বসে যায়,
কিন্তু,
ইমানের গলা দিয়ে খাবার নামছেনা কারন ও না চাইলে ও মিশকাকে নিয়ে ভাবছে,
তাই কোনো মতে খেয়েদেয়ে বিছানায় গিয়ে গা এলিয়ে দেয়,
আর ভাবে,
!
এই কি সেই মিশকা যে আমাকে তার চোখে হারাত?
আমাকে অনেক ভালোবাস তো?
নাহহহ চিনতে পারছিনা আমি ওকে,
আমার ছোয়ার পাগল আমাকে ছুতে বারণ করে,
!
আশ্চর্য আমার এতো গায়ে লাগে কেন?
ও ওর মতো আমি আমার মতো,
আমি আর কখনো ওকে নিয়ে ভাববো না,
!
পরেরদিন সকালে মিশকা ইমানের রুমের সামনে দিয়ে হলে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ করে রুমের মধ্যে নজর যেতে দেখে,
!
ইমান ইশা উলঙ্গ অবস্থায় একে অপর কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে শারীরিক সম্পর্ক করছে,
!
মানুষ কতো টা নির্লজ্জ হলে বেড রুমের দরজা খেলা রেখে এসব করে খোদাতায়ালাই জানে,
!
তবু ও মিশকা নিজেকে সামলে নিয়ে কিচেনে গিয়ে ইলিশ পোলাও রাধতে শুরু করে,
!
ইলিশ পোলাও এর গন্ধে পাগল হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ইমান নিচে চলে আসে কারন এটা ওর সবচেয়ে ফেভারিট ডিশ,
আর ও ভাবে,
!
যে মিশকা এক হাত ঘোমটা টেনে ওর জন্যে ইলিশ পোলাও রান্না করছে,
!
কিন্তু ওর আশায় জল ঢেলে মিশকা রুহানের জন্যে রান্নাকরা ইলিশ পোলাও নিয়ে ইউনিভারসিটি তে চলে যায়,
!
তখন ইমানের চোখ জোড়া ছলছল করে ওঠে,
!
তখন বাসার বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা সুইপারদের বলাবলি করতে শোনে,
!
সাহেব কত নির্লজ্জ ছিছিছি,
দরজা খোলা রেখে বৌ রানী কে দেখাতে ওনার দ্বিতীয় বৌয়ের সাথে ছিছিছি কি আর বলবো?
হে সময় মুই ঘর মুছি
হঠাৎ দেহি ওই সব ছিছিছি
হেই
আবার আশা করে আমাগো বৌ রানী হেরে নিজের হাতে রান্নাকরে খাওয়াবো,
আল্লাদে বাচেঁ না,
!
বাপের কালে যে কি কি দেখবো খোদাতায়ালা জানে,
!
তুই খোদাতায়ালার কথা কও?
মুই ভাবি বৌ রানী কি ভাব যে?
ছিছিছি,
!
সুইপার দের কথা শুনে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেলে ইমান,
!
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 2

0

স্বামীর ভালোবাসা♥
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 2
!
শুধু আমার প্রথম স্ত্রী বলে আমি ওকে এ ঘরে ঠাই দিয়েছি, নাহলে ওকে কবে ও ডিভোর্স দিয়ে দিতাম,
!
কি হলো বাবু কি এতো ভাবছ?
!
কিছুনা সোনা,
!
দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে,
ওনা মুখে ইশার জন্যে সোনা ডাক টা শুনে পরান টা স্তব্ধ হয়ে গেল আমার,
তবু ও নিজেকে সামলে নিয়ে রুমে চলে যাই,
!
উনি ও খেয়েদেয়ে ইশা কে নিয়ে ঘুরতে চলে যায়,
গত বছর এমন সময় উনি আমাকে নিয়ে কত জায়গায় ঘুরেছেন,
এবারো তো আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার ছিল,
ছিল টা ছিল রয়ে গেল,
শুধু ওনার সাথের মানুষ টা বদলে গেল,
যে মানুষ টা আমি অসুস্থ হলে পাগল হয়ে যেতো,
সে এখন আমাকে চোখ তুলে তাকিয়ে চোখের দেখা ও দেখতে আসেনা,
!
কেন আল্লাহ?
কেন তুমি আমাকে এমন পরীক্ষায় ফেললে?
কেন তোমার সমস্ত ধৈর্য্যের পরীক্ষা আমি দিবো?
কিছু ভালো লাগেনা আমার?
মাঝেমধ্যে মনে হয় সুইসাইড করে ফেলি,
!
কিন্তু,
সুইসাইড তো হারাম,
কেন সুইসাইড করবো?
কার জন্যে করবো?
জন্মের পরি আমি কালে বলে আমাকে আমার বাবা মা পরিত্যাগ করে চলে গেছিলো,
!
তাই আমি আমার স্বামী কে পেয়ে সকল কষ্ট ভুলে থাকার চেষ্টা করে ছিলাম,
কিন্তু তার এ রূপ দেখে কষ্ট গুলো না চাইতেও চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমার,
!
আমি আর কখনো ওনার জন্যে নীল সাড়ি, চুড়ি পরে বসে থাকবো না,
নীল ওনার ফেভারিট কালার তাই তো?
এখন থেকে ওনার মতো এটা ও আমার সবচেয়ে অপছন্দের হবে,
ওনার কোনো পছন্দের জিনিশ আমি আমার কাছে রাখবো না,
!
তাই তখনি কাজের মেয়ে ময়না ও পাখি কে ডেকে পাঠাই,
আর ওরা আসতেই আমি ওদের আমার ছয়টা নীল সাড়ি তিনটে তিনটে করে ভাগ করে দেই ,
সাথে নীল চুড়ি গুলো ও দিয়ে দেই,
!
তখন খেয়াল করে দেখি ময়নার চোখ দুটো ছলছল করছে,
পাখি ওর দুহাত দিয়ে চোখেরজল মুছছে,
!
কি হলো তোরা কাঁদছিস কেন?
!
এতো দামিদামি সাড়ি ও চুড়ি আমাদের দিয়ে দিলে বৌ রানী?
ভাই সাহেব দেখলে তো রাগ করবেন?
উনি তো তোমার জিনিস কাওকে ধরতে দেন না,
!
না তোমার ভাই সাহেব রাগ করবেন,
না আমার জিনিস বা আমাকে কেউ ছুঁইলে ওনার কিছু হবে,
এতদিনে তোরা বুঝলি না যে তোদের ভাই সাহেব আর আগের মতো নেই,
থাকলে কি এসব করতো বল,
!
তুমি কাইন্দো না গো বৌ রানী,
তুমি একদিন এর সঠিক বিচার পাইবা,
!
আমরা তোমারে কইতাছি,
“গরিবের কতা বাসী হইলে ও ফলে”
!
জানিনা কি পাবো?
আর কি পাবো না,
তবে ওনার কাছ থেকে আজ পর্যন্ত যা যা পেয়েছি তা হয় তো দান করে দিবো নয় তো তার বৌয়ের হাতে তুলে দিবো,
!
তোমার কষ্ট আগো সহ্য হয় না গো বৌ রানী,
কখনো ভাবিনী যে আমাগো ভাই সাহেব ওমন মাইয়ার পাল্লায় পরে,
“ঘরের লক্ষি কে পায়ে ঠেলে দিবে”
!
এসব কথা বলে লাভ নেই ময়না,পাখি তোমরা এখন আসো আমি একটু রেস্ত নিতে চাই শরীর টা ভালো নেই আমার,
!
তা হইবো কেমনে?
তুমি মা হইতে চলেছ এই কথা তুমি যেদিন বলবে ওই দিন তোমার স্বামী তোমার সতীন কে ঘরে এনে তুলেছে,
আর হেই লইগাই তুমি চুপপপ মেরে গেছ,
বলতে চেয়ে ও বলতে পারনি,
!
মোর স্বামীডা হারাদিন মদগাজা খাইয়া মটকা মাইরা ঘরের মধ্যে পইরা থাহে,
ওরে খালি ভাই সাহেবের প্রশংসা শুনাইতাম,
কিন্তু আমাগো হেই ভাই সাহেব কি থেইক্কা কি হইয়া গেল,
তোমারে তো পাগলের নাহান ভালোবাসতো কিন্তু কি দেইহা যে ওই বিলাতী মাইয়ার পেছনে ছুটলো খোদাতায়ালা জানে,
যাই হোক তুমি সাবধানে থাকবা,
ওহন আর তুমি একা নও আরো একজন আসতাছে তোমার মাধ্যমে,
তাই ঠিক মতো খাওয়া লওয়া করবা,
!
আমার প্রেগন্যান্সির কথা তোমরা কাও কে জানাইয়ো না প্লিজ,
কেন জানি খুব ভয়ভয় করছে,
!
কাকপক্ষী তেও টের পাবে না বৌ রানী তুমি নিশ্চিন্ত থাইকো,
মোরা ওহন আসি,
!
আচ্ছা আসো,
সারাদিন কাও কে পাইনা নিজের দুঃখ্য কষ্ট গুলো কাওকে শেয়ার করার জন্যে,
তবে আজকে ময়না ও পাখির সাথে কথা বলে মন টা হালকা হয়ে গেছে আমার,
!
ইদানীং ইমান যাই করুক না কেন?
ওর চোখ দুটি মাঝেমধ্যেই মিশকা কে বাড়িময় খুজে বেড়ায়,
সেটা সে শিকার করতে না চাইলেও এটাই সত্যি,
!
মিশকার এক ঝলক দেখার জন্যে প্রায়শই ইশার হাত ধরে বাসার দক্ষিণ দিকের ফুলের বাগানে পাইচারি করে বেড়ায়,
কিন্তু তার কোনো দেখা পায় না,
পাবেই বা কি করে?
মিশকা যে নিজেকে চারদেওয়ালের মধ্যে বন্ধি করে রেখেছে,
ইউনিভারসিটি ও বাসা ছাড়া কোথাও যায় না ও,
শুধু নিজের আর ওর অনাগত সন্তানের যত্ন নেয়,
!
এক রাতে মিশকা পানি নিয়ে রুমে যাচ্ছিল তখন,
ও ইমান ও ইশার খুনসুটি ভরা ভালোবাসা দেখে ফেলেছিল,
!
“যেটা ওর হৃদয়ে সুচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেড় হয়ে ছিল ”
তবু ও নিজেকে সামলে নিয়ে রুমে গিয়ে সালাত আদায় করতে শুরু করেন,
!
ইতিমধ্যে সবাই ইমানের দ্বিতীয় বিয়ের খবর যেনে যায় তাই ওকে সবাই যা নয় তাই বলে অপমান করে,
!
কি হলো ইশা তুমি কাঁদছ কেন?
!
আব্বু আমাকে বলেছে আমার মতো মেয়ের পক্ষেই অন্যের সাজানো সংসার ভেঙে তার স্বামীর সাথে ঘর করা সম্ভব,
!
যে যাই বলুক না কেন?
আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছি কোনো অন্যায় করিনি তাই তুমি মন খারাপ করো না আমার কলিজা টা,
আমাকেও তো লোকে কতকিছু বলে,
আমি কি সবার কথা গায়ে মেখে চলি নাকি হুমমম,
!
তবে হ্যা তোমার জন্যে একটা সারপ্রাইজ আছে সোনা টা,
!
কি?
!
কালকে একটা পার্টির আয়োজন করেছি ফর আওয়ার রিসেপশন ও কোম্পানির সাকসেস পার্টি জন্যে সো শপিং এ যাবেনা?
!
হুমম বাবু,
!
তারপর ওরা শপিং করতে যায়,
!
বিয়ের আগে থেকেই উনি কোম্পানির সাকসেস পার্টি তে আমার নাম উল্লেখ করতো এবার করবে ইশার নাম,
এ আর নতুন কি?
এটা তো জানা কথা,
!
পরেরদিন রাতে ওনাদের রিসেপশন ও কোম্পানির পার্টি তে উনি বলেন,
!
একজন সফল পুরুষের পেছনে দুজন মহিলার হাত থাকে একজন হল তার মা অন্য জন তার ওয়াইফ,
আর আমার সাকসেসের পেছনে ও আমার মা এবং আমার মোস্ট বিউটিফুল ওয়াইফ ইশা ইমান খানের অবদান সবচেয়ে বেশি,
তখন সবাই হাত তালি দিতে শুরু করে,
তারপর তারা ড্যান্স পার্টি থ্রো করে,
!
পার্টি শেষে মিশকা ওর রাতের খাবার নিতে নিচে চলে যায়,
তখন কিছু একটা পরে যায়,
আর সেই শব্দ শুনে
ইমান কিচেনে ছুটে আসে,
তখন খেয়াল করে দেখে,
!
কেউ একজন মিষ্টি কালারের সাড়ি পরে ভেঙে যাওয়া কাঁচের গ্লাসের টুকরো তুলছে,
!
প্রথমে মিশকা কে বুঝতে না পারলে ও ওর পিছু করতে করতে রুমের কাছে আসতেই ময়না ওকে বলে,
!
বৌ রানী তুমি কষ্ট করে নিচে গেছ কেন?
আমি বা পাখি আমাদের বললে তো হতো,
!
না ঠিক আছে,
আমি নিয়ে এসেছি,
!
আজ প্রায় ষাট দিন মানে দুই মাস পরে ইমান মিশকাকে দেখছে ওর কথা শুনছে তাও ঘোমটা দিয়ে নিজের মুখ টা ঢেকে রেখেছে ,
!
ইমান পিছু ডাকতে চেয়েছিল কিন্তু তার আগেই মিশকা ওর রুমে চলে যায়,
!
তখন ও ময়না কে ডেকে জিজ্ঞেস করে,
!
ও এখনো খায়নি?
!
ময়না ইমানের কথার মানে বুঝতে পেরে ও কথা ঘুড়িয়ে বলে,
!
ইশা ম্যাম তো খেয়েছে সাহেব,
!
আশ্চর্য আগে ওরা আমি কিছু বলার আগেই বুঝে যেত আমি কার কথা বলছি আর এখন?
আচ্ছা আমি কেন এতো ওকে নিয়ে ভাবছি?
আমার এতো ওকে নিয়ে ভাবার টাইম নেই হুমম,
!
তারপর ও ওর রুমে গিয়ে শওয়ার নিয়ে বেড় হয়,
তখন ইশা ওর সামনে নাইটি পরে ঘুরে ঘুরে বলে,
!
কেমন লাগছে বাবু?
!
ভালো,
!
আজকে আমাকে আদর করবেনা বাবু?
!
মুড নেই আমার,
তাই ও অন্যদিকে ফিরে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পরে,
!
কিন্তু শতচেষ্টা করে ও ঘুমোতে পারছেনা ও কারন ও না চাইতেও মিশকার চিন্তাভাবনা ওদের কাটানো মুহূর্ত গুলো ওর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে,
আর ও ভাবছে,
ত এতো শুকিয়ে গেছে কেন?
ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করেনা নাকি?
একি বাড়িতে অপরিচিতা হয়ে থাকি,
আগের ভালোবাসা টা হয়তো নেই কিন্তু বিশ্বাস টাও কি নেই?
একটু আমার সাথে কথা বললে কি হয় কি তোমার?
বন্ধু হয়ে কি থাকা যায় না নাকি?
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে ও,
!
পরেরদিন সকালে ইমান ফ্রেশ হয়ে কিচেনে গিয়ে দেখে,
!
যে কেউ একজন নীল সাড়ি চুড়ি পরে কিচেনে এদিকওদিক করে রান্নাবাড়া করছে,
!
ইসস,
এতকিছুর পরে ও নীল সাড়ি যাক ও আমার পছন্দ ভুলেনি,
তাই আমি ও ওকে চমকে দিতে চাই,
তারপর ওকে বলবো আমরা সারাজীবন এভাবে বন্ধু হয়ে থাকবো আর আমাদের ডিভোর্স হবে না সবাই মিলেমিশে থাকবো,
!
তাই হাসতে হাসতে গিয়ে নীল সাড়ি ওয়ালী কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
!
তখন নীল সাড়ি ওয়ালী চিৎকার করে বলে,
!
ভাই সাহেব আমারে ছাইড়া দেন,
মুই না বৌ রানী নই,
!
এ কথা শুনে নীল সাড়ি ওয়ালী কে ছেড়ে দিয়ে ইমান হা করে তাকিয়ে দেখে যে,
!
ময়না মিশকার নীল সাড়ি চুড়ি পড়ে আছে,
!
ময়না কে মিশকার সাড়ি চুড়ি পরে থাকতে দেখে রাগে কটমট করে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
!
এগুলো তুই কোথায় পেয়েছিস?
!
বৌ রানী তার সাড়ি চুড়ি আমারে ও পাখি রে দিয়ে দিছে সাহেব,
!
এসব শুনে ইমানের মধ্যে রাগের আগুন জ্বলতে শুর করে,
তাই ও রাগে একা একা বিড়বিড় করে বলে,
!
ঘৃণা করো আমায়?
আমার ভালোবেসে দেওয়া সমস্ত জিনিস তুমি দান করে দিলে?
!
যা পারো করো গিয়ে তাতে আমার কি?
কোনো কষ্ট হয় না আমার,
একি ঘরে তো অপরিচিত হয়ে থাকো,

চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 1

0

স্বামীর ভালোবাসা♥
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 1
!
আজই আমাদের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হলো আর আজি আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরে এলো,
না জানি কার খারাপ নজর এসে আমার সংসারে পরল?
যে আমার এই এক বছরে তিলেতিলে গোড়ে ওঠা সংসার টা এক নিমেষে শেষ হয়ে গেল,
!
তুমি তো আমাকে বলেছিলে,
তুমি আমার আর তমি শুধু তোমার,
!
তুমি কখনওই আমাকে কষ্ট দিবে না তাহলে তুমি আমার সাথে কেন এমন টা করলে?
!
তোমাকে এমন প্রশ্ন করার সাহস আমার নেই কারন,
!
আমি কালো বলে আমার কোটিপতি বাবা-মা আমাকে অনাথ আশ্রমে ফেলে চোলে গেছিলো,
!
আর সেই অনাথ আশ্রমের মালিক তার আট পুত্র ও এক কন্যা সন্তান থাকা সত্বে ও আমাকে নিজের মেয়ে করে নেয় আমাকে কখনওই তারা জানতে দেয়নি যে আমি অনাথ আমার বাবা-মা আমাকে কালো বলে অনাথ আশ্রমে ফেলে গেছে,
!
সে যাই হোক আমি এ কথা গুলো আমাদের বাড়ির পুরনো কাজের বুওায় মুখে শুনতে পেয়েছিলাম তাও আবার লুকিয়ে লুকিয়ে,
!
তবে সেদিনের পর থেকে পাপা কাজের বুয়া কে তাড়িয়ে দিয়েছিল আমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে,
!
আমি জন্ম থেকে কালো ছিলাম বলে যেমন আমার বাবা মা আমাকে ফেলে দিয়েছিল,
!
তুমি ও আমাকে কালো বলে ফেলে দিলে অন্য কারো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে,
!
সেটা তুমি আমাকে না বললে আমি সেটা বুঝি,
!
তাই তো মাঝরাতে ম্যাসেজের টুংটাং শব্দে তুমি আমাদের বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে ছাদে প্রেমালাপ করতে,
!
তুমি তো আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতে তাহলে তুমি আমার সাথে এমন কেন করলে?
!
যে মানুষ টা আমি বলতে পাগল ছিল আজ আমি তার দু চোখেরবালি,
!
জানিনা আমার সাথে এমন কেন হলো?
কি দোষ ছিল আমার?
যে তোমার দ্বিতীয় বিয়ের কথা আমার তোমার বন্ধুরর কাছ থেকে শুনতে হলো,
!
তুমি যদি এমনি করবে তাহলে আমাকে ভালোবাসার স্বপ্ন দেখিয়ে বিয়ে করে ছিলে কেন হুমমম?
আমার মা-বাবার পা ধরে আমাকে ভিক্ষে চেয়েছিলে কেন হুমম?
!
তুমি যদি বলতে তুমি আমার সাথে সুখী নও আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যেতাম,
কখনো তোমাদের মাঝে কাটা হয়ে থাকতাম না,
!
সে যাই হোক মিস্টার স্বামী এসব কথা বলো কখনওই নিজের দূরবলতা জাহির করবোনা,
একি বাড়ি তে তুমি তোমার মতো আমি আমার মতো থাকবো,
!
এখন যাই গিয়ে আল্লাহর কাছে আমাদের বিবাহবার্ষিকে পাওয়া বেষ্ট গিফটের জন্যে শুকুরিয়া আদায় করি,
তারপর নিজের হাতে নিজের ঘরে নিজের বিছানায় তোমাদের বাসর সাজাবো,
!
তাই তখনি মিশকা গিয়ে তাহাজ্জুদের বারো রাকাত সালাত আদায় করে,
পরে নিজের হাতে তাজা তাজা গোলাপ ফুল দিয়ে ওর স্বামী ও সতীনের বাসর সাজায়,
!
আর ভাবতে থাকে আমি হয়তো সেই মহিলা,
যে নিজের বিবাহবার্ষিকী তে স্বামী ও সতীনের বাসর সাজাচ্ছি,
!
আল্লাহ শুনেছি তুমি যা করো ভালোর জন্যে করো,
তাহলে এটা কেমন ভালো?
সে যাই হোক কান্নাকাটি করা যাবে না,
তাহলে ওরা আমার দূরবলতা বুঝে যাবে,
!
তাই আমি গোসল করে সুন্দর করে সাড়ি পরে সাজুগুজু করে একহাত ঘোমটা টেনে আমার স্বামী ও সতীনের আসার অপেক্ষা করতে থাকি,
!
প্রায় ঘন্টা তিনেক পর বাসার কলিং বেল বেজে ওঠে,
!
আর আমি সাথে সাথে গিয়ে দরজা খুলি,
এবং ওনাদের গায়ে তাজা গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছুড়তে ছুড়তে বলি,
!
আপনারা একটু ওয়েট করেন আমি শাশুড়ি মায়ের সাড়ি নিয়ে আসছি,
কারন বাড়ির নিয়ম আছে,
নতুন বৌ এলে তাকে শাশুড়ি মায়ের সাড়ি দিয়ে বরন করতে হয়,
তাহলে নতুন বৌ নাকি ঘরের লক্ষি হয়,
!
মিশকার এমন আচরণে ইমা ও তার নতুন বৌ শকর্ড হয়ে যায়,
কারন তাড়া ভেবেছিল মিশকা ইমানের পা ধরো কান্নাকাটি করবে, ওকে ধোকা দেওয়ার জন্যে দোষারোপ করবে,
কিন্তু তার কিছুই হয়নি তাই ওরা শকর্ড হয়ে যায়,
!
ইমানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরে,
!
কারন ও ভালো করেই জানে যে মিশকা ঘোমটা দিয়ে থাকতে পারেনা,
আর সেই সেই ও ওর ৫ ফুট শরীরে ১৪ ফুটের সাড়ি পরে এক হাত ঘোমটা দিয়ে হাসি মুখে ওদের বরন করে নিচ্ছে?
আর ও ওদের কথা জানলো কি করে?
সে টাই ভেবে পাচ্ছেনা ওরা,
তার ওপরে আজকে ওদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী আর সেদিনি ইমান ওর নতুন বৌ ঘরে এনে তুলেছে,
কিন্তু মিশকা কোনো রিএ্যাক্ট করছে না?
!
হঠাৎ ওদের ভাবনায় ছেদ ঘঠিয়ে বলে,
!
এই যে আপনি কি নতুন বৌ নিয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকবেন?
!
ইমানের এতক্ষণ খেয়াল না হলে ও এখন খেয়াল করে দেখে,
মিশকা ওকে আপনি করে সম্বোধন করছে আর যেটা ইমান কে একটু হলে ও আঘাত করেছে,
তবুও চুপচাপ নতুন বৌ কে নিয়ে বাসায় ঢুকে পরে,
!
এই মেয়ে তোমার নাম কি?
!
ইশা,
!
বাহহ,
নাম টাতো অনেক সুন্দর ইমান ইশা তাছাড়া আপনাদের অনেক মানিয়েছে,
লাইক মেইড ফর ইচ আদার টাইপ?
!
ইশা বাড়ির নিয়ম অনুসারে নতুন বৌ তার বর কে মিষ্টি খাইয়ে দেয়,
!
তুমি ও তোমার বর কে খাইয়ে দাও,
!
তোমার বর কথা রি শুনে ইমান জিজ্ঞাসু দৃষ্ট তে মিশকার দিকে তাকায়,
!
তখন ইশা ওকে মিষ্টি খাইয়ে দেয়,
!
মিষ্টি যেন ইমানের গলা থেকে নামছেই না,
!
কারন ও মিশকাকে চিনতে পারছেনা,
এই কি সেই মিশকা যে আমাকে অন্যকারে সাথে কথা বলতে দেখলে কাঁদতে কাঁদতে পাগল হয়ে যেত?
!
আচ্ছা আমি এতো কেন ভাবছি?
আমার তো ওর প্রয়োজন ফুরিয়েছে তাহলে কেন ওর কথা গুলো আমাকে এতো টা আঘাত করছে?
!
মিশকা কে যতই দেখছে ততই অবাক হচ্ছে তারা,
তবু ও তারা চুপটি মিশকাকে পর্যবেক্ষণ করছে,
!
তারপর মিশকা এমন কিছু বলে যেটা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় ওরা,
কারন মিশকা ওদের বলে,
!
মনে তো হয় ডিনার করে এসেছেন তাই আর আমি হাত পুড়িয়ে কিছু রান্না করিনি,
সকালে করবো,
!
ইসসসস,
আমি কতটা বোকা?
আপনাদের বাসরঘর সাজিয়ে রেখেছি সো টাইম ওয়েস্ট না করে সেখানে যান ওকে,
!
বাই দাঁ ওয়ে আমার কালকে এক্সম আছে সো আমার স্টাডি করতে হবে সো গুড নাইট,
!
তারপর ও স্বাভাবিক ভাবে অন্যরুমে যায় যেটা ইমান কে ভাবিয়ে তোলে,
!
কিছুক্ষণ বসে থাকা পরে বাসরে গিয়ে ওদের স্ট্রোক করার উপক্রম হয়,
!
কারন একটা মেয়ে কিভাবে নিজের বিবাহবার্ষিকী তে তার স্বামী ও সতীনের বাসর সাজাতে পারে?
মেয়ে টাতো একফোঁটা চোখেরজল ফেলেনি ওদের সামনে?
!
তাহলে কি আমি এতদিন একটা?
!
কি ভাবছ বাবু?
আজকে তো আমাদের বাসর তাহলে তুমি?
!
কোই কিছুনা তো?
!
ওদিকে মিশকা ওর ঘরে তাহাজ্জুদের সালাতে বসে নিজের চোখেরজলের বিকর্ষণ দিচ্ছে,
নামাজ শেষে মিশকা নিজেকে ওয়াদা করে বলে,
!
তুই এখানে পরে থাকবি না মিশকা,
তোর অনার্স কম্পিলিট করতে আর মাএ তিন বছর বাকি,
তাই তুই ওনার টাকায় লেখাপড়া করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ওনাকে ফেলে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে যাবি আর কখনওই পেছনে ফিরে চাবি না,
কখনওই না,
!
তারপর ও ওর বিছানায় গিয়ে শুয়ে করে,
সারারাত ও ওর চোখেরজলে বালিশ ভিজিয়ে কাটিয়ে দেয়,
!
পরেরদিন ভোরে উঠে রান্নাবাড়া করে আমি আমার ইউনিভারসিটি তে চলে যাই,
বিকজ এখন তো আর তার আমাকে দেওয়ার জন্যে সময় নেই,
সে তো তার নতুন বৌ কে নিয়ে থাক ওসব বাদদ,
আজকে আমার এক্সম,
!
সো নো টেনশন ডু রেলাক্সড,
!
এক্সম শেষে আমি আমার ফোন চেক করে দেখি,
ওই বাজে লোক টার একশো মিসকল,
!
উনি ও ওনার বৌয়ের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে রেখে এসেছি,
তাহলে ওনার এতো মিসকল কিসের?
!
উফফফ,
এসব ভাবার টাইম নেই আমার বাসায় ফিরে টিউশনে যেতে হবে,
তাই আমি তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে যাই,
!
বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘোমটা দিয়ে নিচে গিয়ে দেখি,
!
ইশা মিনি স্কার্ট ও ব্যাকলেস গেঞ্জি পরে সোফায় বসে টিভি দেখছে,
!
তাই তো বলি কেন আমি ওনার অসহ্য হয়ে উঠেছি?
আমি তো আনস্মার্ট, ক্ষ্যাত ও ব্যাহেনজি টাইপ তার ওপরে কালো তাই হয় তো আমি ওনার অরুচি তে পরিণত হয়েছি,
!
ওকে ফাইন,
এসব ভাবার সময় নেই,
তাই আমি নিচে গিয়ে আমার খাবার রেডি করতে থাকি,
তখন ইশা আমাকে বলে,
!
তুমি অনেক ভালো আর ইমান ও আমায় অনেক ভালোবাসেন,
!
বাসবেই তো তুমি ওনার নতুন বৌ বলে কথা,
!
না মানে তুমি আমাদের বিয়ের কথা জানলে কি করে?
!
বলে না “যার বিয়ে হুশ নেই পাড়াপড়শির ঘুম নেই ”
সে ভাবেই যেনেছি গো,
!
তখন ও মাথা নিচু করে দরজার কাছে এগিয়ে যায়
আর ওমনি বাড়ির কলিং বেল বেজে ওঠে,
আর আমি ওই বাজে লোক টার গলা শুনতে পাই,
!
তাই আমি আমার খাবার নিয়ে ঘরে চলে যাই,
!
কি হলো বাবু তুমি এসময়ে বাসায়?
!
আসলে তোমায় মিস করছিলাম তার ওপরে আব্বু লন্ডন থেকে মিশকার জন্যে অনেক গিফট পাঠিয়েছে ওগুলো নিয়ে এসেছি,
!
মিশকার জন্যে?
আমার জন্যে পাঠায় নি?
!
তারা তোমার কথা জানেনা জানলে আমাকে তেজ্য পুএ করে দিবেন,
!
ওহহহ আচ্ছা,
দাও আমি মিশকাকে দিয়ে আসি,
!
ওকে দাও,
!
শাওয়ার নিয়ে বাহিরে বেড় হয়ে বেডের ওপরে তাকিয়ে দেখে,
ওর আব্বুর পাঠানো গিফট গুলো ইমা খুলে খুলে দেখছে,
!
এসব দেখলে আমার রাগ উঠে যায় কারন আমি অন্যের জিনিসে মাথা ঘামাতে পছন্দ করিনা,
তাই রাগ দেখিয়ে ইশা কে বলি,
!
তোমাকে না বললাম এগুলো ওকে দিয়ে আসতে?
!
গেছিলাম দিতে ও বললল,
যার জন্যে এগুলো আমাকে দিয়েছে সেই তো আমার না সো তার নামে দেওয়া জিনিশ আমি কেন পড়বো ?
তোমার স্বামী তুমি পরো ফেল যা মন চায় তাই করো,
তাই আমি এগুলো নিয়ে এসেছি,
কিন্তু এগুলো আমার ব্যাবহারের যোগ্য না,
!
কেন?
!
কারন এখানে এতো এতো সাড়ি ও সোনার ওরনামেন্টস,
আমি তো সাড়ি পরিনা আর ডায়মন্ড ছাড়া কোনো গহনা পড়িনা ইউ নো না বাবু,
!
ও হ্যা বুঝেছি,
যাও এক গ্লাস পানি নিয়ে আসো,
!
ওকে বেবি,
!
ইশা আমার জন্যে খাবার পানি আনতে যেতেই আমার নজর একটা সুন্দর কার্ডে আটকে যায়,
!
তাই কার্ড টা খুলে দেখি আব্বু আম্মু ও বোনেরা আমাদের মানে আমাকে ও মিশকা কে হ্যাপি এ্যানিভারসারি উইশ করেছে,
!
কালকে ইশা কে আপন করে নেওয়ার সুখে আমি আমাদের বিবাহবার্ষিকীর কথা
ভুলে গেছিলাম,
এদিন টা নিয়ে আমরা অনেক প্লান করে ছিলাম,
কিন্তু প্লান গুলো প্লানি রয়ে গেছে,
তবে আমার মধ্যে কেন অপরাধবোধ কাজ করছে?
আমি তো ওকে ভালোবাসি না?
!
দেখতে দেখতে কেটে যায় কয়েকসপ্তাহ কিন্তু সে আমার সামনে আসে না,
!
ইশা কে বিয়ে করে বাসায় আনার পর থেকে একদিন ও আমার সামনে পড়েনি,
এবং আমি বা আমার গন্ধ পেলেই সেখান থেকে পালিয়ে যায়,
তবে তাতে আমার কি?
আমি তো ওকে ভালোবাসি না,
!
শুধু আমার প্রথম স্ত্রী বলে ওকে এ ঘরে ঠাই দিয়েছি,
না হলে কবে ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিতাম,

চলবে…

নষ্ট গলি শেষ পর্ব

8

নষ্ট গলি শেষ পর্ব

লেখা-মিম

– মানুষটা আমার শরীরের লোভ করেনি। আমার ভালোবাসা আর একটু যত্নের লোভ করেছিলো। উনি আমার কাছে আসেনি। আমি উনাকে কাছে টেনেছি। উনার সংস্পর্শে যাওয়ার আগ পর্যন্ত জানতাম মেয়ে মানুষ জাস্ট একটা মাংসের দলা। পুরুষ যেভাবে খুশি সেই মাংসের দলাকে কামড়াবে নখের আঁচড় দিবে। উনার কাছে যাওয়ার পর জানলাম মেয়ে মানুষ সবার কাছে মাংসের দলা না। কারও কারও কাছে মেয়েরা খুব যত্নের। খুব ভালোবাসার। পরম স্নেহে বুকে আগলে ধরার মতো।
– উনার ফ্যামিলি জানে?
– হুম জানে।
– উনারা এক্সেপ্ট করে নিলো তোকে?
– নাহ্।
– দেবর আর দেবরের বউ খুব স্বাভাবিক মেনে নিয়েছে। ওরা এমন ভাব নিয়ে আমার সাথে মেলামেশা করে মনে হয় যেনো কিছুই জানে না। শ্বশুড় অনেকটা বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছে। আর শ্বাশুড়ী আমাকে একদম সহ্য করতে পারে না। আমার শ্বশুড় দেবর আগে থেকে জানতো আমি কে? আমার অতীত কি? আমার শ্বাশুড়ী জানতেন না। উনাকে বলা হয়েছিলো আমার সাথে সোহানের এ্যাফেয়ার ছিলো৷ নিজেরা বিয়ে করে নিয়েছি।এটা নিয়ে ছেলের সাথে মায়ের বেশ কথা কাটাকাটি হয়েছিলো। দেড় বছর আগে আমার দেবরের বিয়ের জন্য চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো শ্বশুড়বাড়ি যাই। গায়ে হলুদের দিন আমার এক কাস্টমার আমাকে দেখে ফেলে। উনি আমার শ্বশুড়ের বন্ধুর ছেলে ছিলো। উনি যখন জানতে পারে আমি সোহানের বউ তখন সাথে সাথে সবার কাছে ছড়াতে লাগলো সোহান একটা প্রস্টিটিউট ধরে এনেছে। ব্যস শুরু হয়ে গেলো তুমুল সমালোচনা৷ আমার শ্বাশুড়ি তো কোমড় বেঁধে লাগলেন আমাকে ঘর থেকে তাড়াবেন৷ কত কি যে শুনেছি! ভিতর থেকে একদম দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিলো আমার। এত সমালোচনা নিতে পারছিলাম না। অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার এখনও মনে আছে আমার দেবরের সাথে উনি একদিন রাতে বসে বলছিলো, কত চেষ্টা করলাম ওর অতীত ধামাচাপা দেয়ার। ওর সমস্ত রেগুলার কাস্টমারের মুখ বন্ধ করালাম। কোনো কাজ হলো না৷ কোন ফাঁকে এই একটা পিস রয়েই গেলো। ছোট্ট একটা মেয়ে। এত প্রেশার ও নিতে পারছে না। ওকে এভাবে চুপচাপ সারাদিন এক কোনায় পড়ে থাকতে দেখে মনে হয় বুকের হাড়গুলো বুঝি ভেঙে যাচ্ছে।
সেদিন উনার কথাগুলো শুনে আড়ালে যেয়ে খুব কেঁদেছিলাম। মানুষটা আমাকে এনেছিলো একটু সুখের আশায়। অথচ আমি উনাকে সুখী করতে পারছি না। প্রায় পনেরোদিন ঘরে বসেই কাটিয়ে দিলাম। এই কোনায় ঐ কোনায় পড়ে থাকতাম। ব্যবসায়ের দিকে কোনো নজর নেই। পড়ালেখা সব বন্ধ। নীরবে কান্নাকাটি করতাম। একদিন উনি এসে আমার পাশে বসলো। আমার ডানহাতটা খুব শক্ত করে ধরলো। বললো,
– আমার কতগুলো কথা শুনবে।
আমি বললাম হ্যাঁ শুনবো।
উনি আমার চোখে চোখ রেখে কথা গুলো বলতে লাগলো,
কেনো মন খারাপ করছো? কার কথায় মন খারাপ করছো? সমাজের লোক কি বললো সেসব শুনে? যারা তোমাকে নিয়ে সমালোচনা করছো তারা ভালো? তাদের সন্তানরা ভালো? জগতে কেও ফেরেশতা না মায়া৷ প্রতিটা মানুষের ত্রুটি আছে। আর আমাদের সোসাইটির তোমার বয়সি কয়টা ছেলে মেয়ে একদম ফুলের পবিত্র আছে দেখাও তো? স্কুলে থাকতেই তো মেয়েগুলো নিজের ভার্জিনিটি বিসর্জন দিয়ে আসছে প্রেমিকের কাছে। তোমার কি ধারনা কার ছেলে মেয়ে কখন কি করে সেসব আমাদের কানে আসেনা? আসে। কয়েকদিন তুমুল আলোচনা সমালোচনা হয়৷ এরপর সব শেষ। কে কি বললো সেসব নিয়ে মাথা কেনো ঘামাও? তুমি নিজে কেমন তা তো তুমি জানো। তুমি সেঁধে সেঁধে তো আর ঐ লোকদের সাথে শুতে যাওনি। তুমি পরিস্থিতির শিকার ছিলে। তুমি জানো তুমি ভালো। আমি জানি আমার বউ ভালো৷ দুনিয়ার সবাই তো এক মেন্টালিটির না। দুনিয়াতে যদি আমি সালমান শিমুর মতো মানুষ থেকে থাকে যাদের একজন প্রস্টিটিউটের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই তাহলে ধরে নিও আমাদের মতো আরও দশটা মানুষ সোসাইটিতে আছে যাদের তোমাকে নুয়ে কোনো মাথাব্যাথা থাকবে না। সমাজের একশটা লোকের মাঝে নব্বইজন তোমার বিপক্ষে কথা বলবে আর দশটা লোক তোমার পক্ষে কথা বলবে। তুমি সেই দশটা মানুষ নিয়েই নিজের একটা জগত তৈরী করে নিবে। দরকার নেই সেই নব্বই জনের। যারা তোমাকে বুঝে না কি দরকার তাদেরকে নিজের জগতে রাখার? আর কি কিছু প্রয়োজন? মাথা উঁচু করে হাসিখুশি ভাবে বেঁচে থাকতে কি তোমার এর চেয়ে আরো কিছু দরকার? এ ধরনের মানুষ প্রতিনিয়ত একটা মুখরোচক টপিক খুঁজে যেটা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা যায়। আজকে সমালোচনার শীর্ষে তুমি আছো কাল আরেকজন থাকবে। নিজেকে গড়ে তুলো মায়া। নিজের পায়ের তলা মাটিটাকে শক্ত করো। লোকে যখন তোমার যোগ্যতা দেখবে তখন আপনা আপনিই সবাই মুখে কুলুপ এঁটে রাখবে। তোমাকে হুজুর হুজুর করবে। ইটস অল এ্যাবাউট মানি এ্যান্ড পজিশন। তুমি সোহানের ওয়াইফ। সোহানের ওয়াইফ মাথা নিচু করে কেনো বাঁচবে? তোমার গায়ে লেগে থাকা ময়লাটা তোমাকে ঘষে মেজে উঠিয়ে ফেলতে হবে। উত্তর দিতে শিখো মায়া। সবসময় আমি থাকবো না তোমার হয়ে মানুষকে উত্তর দেয়ার জন্য৷ নিজের লড়াই নিজে লড়তে শিখো৷ মানুষ যখন দেখবে তুমি তোমার জায়গায় শক্ত আছো, তোমাকে কাবু করা এতটাও সহজ না তখন মানুষ চুপ হয়ে যাবে। তোমাকে নিয়ে আর এতটা মাতামাতি করবে না। তোমাকে কিছু বলার আগেও দশবার ভেবে চিন্তে এরপর বলবে। দুনিয়া উল্টেপাল্টে যাক একটা কথা মাথায় রাখবে জগতে এখনো একজন আছে যে তোমাকে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে ভালোবাসে। তুমি ছাড়া মানুষটা নিঃশ্বাস নিতে পারে না। তুমি আছো তো সে আছে, তুমি নেই তো সেও নেই।
শেষের দুটো লাইন বলার মূহূর্ত্বে উনার চোখে পানি ছলছল করছিলো। উনি প্রচন্ড স্ট্রং একজন মানুষ। শত কষ্টেও উনি কখনো কাঁদে না। বা আমি কখনো উনার চোখে পানিও আসতে দেখিনি। সেদিনই প্রথম আর সেদিনই শেষবারের মতো উনার চোখে পানি ছলছল করতে দেখেছিলাম। পানি গড়িয়ে চোখের বাহিরে আসার আগেই উনি সেখান থেকে চলে গিয়েছিলো। হয়তোবা আমার সামনে বসে থাকলে কান্নাটা আর ধরে রাখতে পারতো না।
– এরপর?
– প্রায় পনেরো মিনিট ধরে উনার কথার প্রতিটা লাইন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাইয়েছি। ঠিকই তো ছিলো উনার কথাগুলো। একটা কথাও অযৌক্তিক ছিলো না। উনি যদি একটা প্রস্টিটিউটকে নিয়ে ঘর বাঁধার তাকে ভালেবাসার দুঃসাহস দেখাতে পারে তাহলে কেনো আমি এই লোকটার মুখের দিকে তাকিয়ে বাকি জীবনটা খুশি খুশি কাটাতে পারবো না? ছুটে গিয়েছিলাম উনার কাছে। খুব শক্ত করে উনাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম৷ কতক্ষণ ওভাবে উনাকে ধরে রেখেছিলাম জানি না। মুখ ফুটে শুধু একটা কথাই বলেছিলাম,
আপনাকে ভালোবাসি। আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে সব করতে পারি।
উনি প্রতিউত্তরে কিছু বলেননি। আমার মাথার উনার থুঁতনিটা রেখে আমাকে আরও যত্নে আগলে ধরেছিলেন। এরপর থেকে কেও কিছু বলতে আসলে একদম মুখের উপর উত্তর দিয়ে দিতাম। কিছুদিন বেশ চড়াই উতরাই দেখতে হয়েছে৷ এরপর সব স্বাভাবিক। তেমন ভাবে সমালোচনা কাওকে কখনো করতে শুনিনি। সমালোচনা হয় না ঠিক তা না। হয়। তবে আগের মতো না। আমি থাকি ঢাকায়। তাই এখানে অতটা ঝামেলা হয় না। প্রত্যেক ঈদে চট্টগ্রামে গেলেই গুনগুন শোনা যায় । যার যার উত্তর তাকে দিয়ে দেই। পারি না শুধু শ্বাশুড়ীর সাথে। শত হোক এমন একটা সন্তানকে জন্ম দিয়েছে যে আমার নজরে ফেরেশতা। তার সাথে খারাপ আচরন করি কি করে? আসলে ভিতর থেকে উনাকে উত্তর দেয়ার ব্যাপারটা আসে না। দেখা যায় ঐ বাড়িতে গেলে উনি রুম থেকেই বের হোন না। আমিও যতটা সম্ভব উনার কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। ঐ ঘটনার পর উঠেপড়ে লাগলাম ব্যবসা আর পড়ালেখার পিছনে। দুইবছরে ব্যবসা কতটুক টেনে এনেছি তা তো জানিসই। এর কিছুদিন পর আম্মাকেও উনি নিয়ে আসলো ঐ পাড়া থেকে। অন্য একটা ফ্ল্যাটে আম্মাকে রাখলো। সাথে দুটো কাজের মেয়ে দিয়ে দিলো৷ আম্মা হাতের কাজ খুব ভালো জানতো। তবুও আম্মাকে আবার নতুন করে ট্রনিং সেন্টারে ভর্তি করালো। আরও ভালোভাবে কাজ শিখলো। একদিন হুট করে আম্মাকে আর আমাকে ছোট একটা কারখানায় নিয়ে গেলো। সেখানে যেয়ে আম্মাকে বললো,
এটা আপনার কারখানা। বিশজন কর্মীও এপোয়েন্ট করা হয়েছে। দুইটা বুটিক হাউজের সাথে কথা হয়েছে। ওরা আপনাকে শাড়ী, সালোয়ার কামিজের ডিজাইনসহ অর্ডার করবে। আপনি সেগুলো তৈরী করে সাপ্লাই দিবেন।
আম্মা সেদিন একটা কথাও কারো সাথে বলেনি। পরদিন সকালে আমার বাসায় এসে উনার হাত ধরে কি কান্নাটাই না কেঁদেছিলো৷ আম্মার কারখানা এখন দিব্যি যাচ্ছে।
– রুপকথার গল্পের মতো লাগছে।
– হ্যাঁ অনেকটা এরকমই। উনি আমার জীবনে আসার আগ পর্যন্ত কল্পনা করিনি আমি কোনোদিন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবো। কোনো পুরুষ তার সবটা উজাড় করে দিয়ে আমাকে ভালোবাসবে। আমার মাথায় হাত রেখে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখাবে। উনি এমন একটা মানুষ যাকে ভালো না বেসে থাকা অসম্ভব। সম্মানটা আপনা আপনি একদম মনের ভিতর থেকে চলে আসে। কখনো উনি আমার অতীত নিয়ে ঘাটাননি। সেদিন মাত্র কয়েকটা মূহূর্ত্বে আমার জীবনটা ঘুরে গিয়েছিলো। মাত্র কয়েকটা মূহূর্ত্ব……
জীবনে জোয়ার ভাটা থাকে। একটা ভুলকে কেন্দ্র করে গোটা জীবনটাকে আমি বলি দিয়ে দিবো তা কি ঠিক? কেনো আমি ধরে নিবো আমার ভবিষ্যত অন্ধকার। ভালোও তো হতে পারে। অন্ধকারের কথা ভেবে যদি জীবনটাকে শেষ করে দেই তাহলে আলোর দেখা মিলবে কিভাবে?

দীর্ঘশ্বাস নিলো আনিকা। গল্পটা অক্সিজেনের মতো ওর মস্তিষ্কে ঘুরপাক খাচ্ছে। মনে হচ্ছে গায়ে যেনো স্বস্তির শীতল বাতাস লাগছে৷ প্রতিটা রাতের ভোর হয়। ওর জীবনের ভোরটাও বোধহয় সুন্দর স্নিগ্ধ আলোতেই হবে। হোক বা না হোক আলোর আশা করতে দোষটা কোথায়? ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে তো আলোর আশা করতেই হবে। আর নয়তো জীবনটা অন্ধকারের মাঝেই থমকে দাঁড়াবে।

মুচকি হাসছে আনিকা। মায়ার হাত ধরে বললো,
– এত ভালোবাসিস। তবুও আপনি করে বলিস?
– হা হা হা,,,,,, আপনি বা তুমি তে কি আসে যায়? ভালোবাসার গভীরতা বুঝাতে কি তুমি করে বলাটা খুব জরুরী?
– তোর এ্যানিভারসারি ছিলো গতকাল। আমার জন্য ঠিকমতো সেলিব্রেটও করতে পারলি না।
– ধুর, বাদ দে৷ উনার সেলিব্রেশন সারাবছর ধরে লেগেই থাকে।
– কিছু গিফট করিসনি?
– হুম করেছি তো।
– কি?
– মোবাইল। যেটা হাতে নিয়ে উনি এখন গেমস খেলছে।
– তুই জানিস কিভাবে?
– আমার চোখের সামনেই বসে আছে।
– মানে?
– বারান্দার বাহিরে কাকে দেখছি এতক্ষণ ধরে? উনি সামনের বিল্ডিং এর বারান্দায় বসে আছে। ঐ যে দেখ মোবাইলের স্ক্রিনের লাইট জ্বলছে।
– উনি এখানে?
– হুম। উনার বন্ধুর ফ্ল্যাট। কি যেনো মনে হলো কে জানে? সাড়ে দশটার দিকে ফোন করে বললো আনিকার সাথে যদি গল্প করো তাহলে বারান্দায় বসে গল্প করবে৷ ল্যাম্পপোস্টের আলোতে সারারাত তোমাকে দেখবো। একরাতের জন্য প্রেমিক হবো। পাশের বিল্ডিংয়ের প্রেমিক।

মায়ার কথায় সজোরে হাসছে আনিকা। যে ভালোবাসার সে এমনিই বাসবে। শত ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও মানুষটার ভালো দিকগুলোই দেখবে। যে ভালোবাসবে না তাকে হাজারটা গুন দেখিয়েও লাভ হবে না। ত্রুটি সে বের করবেই। সোহান প্রথম শ্রেণীর আর শোভন দ্বিতীয় শ্রেণীর। কেউ পতিতার মাঝে ভালোবাসা খুঁজে আর কেও ভালোবাসার মাঝে পতিতা…..

সমাপ্ত