বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 1159



ভাবিরবোন ৫ম পর্ব

0

ভাবিরবোন ৫ম পর্ব

#_জেএইস_জনি
.
.
এবার নিলার দিকে তাকালাম,
ওর চোখে পানি চিক চিক করছে,,
নিলাঃসামান্য একটা কারনে আপনি আমাকে এভাবে এরিয়ে চলছেন,,,
আমিঃকারনটা সামন্য হলেও কথা গুলো সামান্য ছিলো না,,
নিলাঃতার জন্য তো সরি বললাম,,আর কারন ও বলেছি,,
আমিঃতার থেকে বেসি কষ্ট লেগেছে ভাবির বলা কথা গুলো,,, কেনো সেদিন সুধু শুধু ভাবির কাছে বিচার দিলেন,, ইচ্ছা হলে দুটো থাপ্পর দিয়ে দিতেন আমায়,,
.
নিলা এবার কেদে দিয়ে বললো,,বিশ্বাষ করুন আমি আপুর কাছে বিচার দেইনি,,,আমি বিদেশ থেকে পড়া লেখা করতে পারি কিন্তু এত অহংকারি না,,
সেদিনের কথা গুলো আমি রেগে গিয়ে বলেছি, একটা কথাও মন থেকে বলিনি,,,
আমিঃযে ভাবেই বলেছেন, কথা গুলোতো সত্য,,,,
.
হঠাৎ নিলা আমাকে জড়িয়ে দরে বললো,প্লিজ এভাবে বলবেন না খুব কষ্ট হয়,,,খুব ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে প্লিজ,,অনেক ভালোবাসি,,
.
আমিও ওকে জড়িয়ে দরবো ঠিক তখন ভাবির কথা গুলো মনে পড়লো,,
তাই ওকে কাছ থেকে ছারিয়ে নিলাম,,
নিলা আমার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে,,,
নিলাঃকি হলো,, ভালোবাসবেন না,,
আমি ঃদেখুন,, আপনার যোগ্য কাউকে খুজে নিয়েন,,
আমি চোলে আসবো,,
তখন নিলা আমার হাত চেপে দরে মুখের কাছে মুখ এনে চোখে চোখ রেখে বললো,,
আমি এগুলো শুনতে চাইনি, ভালোবাসেন কি না,,
আমিঃদেখুন,, অনেক রাত হোয়ে গেছে,, কেউ দেখলে সমস্যা হবে,,,
সকালে কথা হবে
এই বলে আমি নিচে চোলে আসলাম,,
,,
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার জন্য টেবিলে গেলাম,,
সবাই বসে আছি কিন্তু নিলাকে দেখছি না,,,
তখন ভাবি বললো,,কিরে নিলা কই,,
এই নিলা, নিলা নাস্তা করতে আয়,,
ইরাঃভাবি আমি ডেকে নিয়ে আসছি দারাও,,
ইরা নিলার রুমে গিয়ে নিলাকে ডেকে নিয়ে এলো,,
নিলার চোখ দেখে ভয় করে উঠলো,,,
লাল হোয়ে আছে চোখ জোড়া,,,
নিলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে সামনের চেয়ারে বসলো,,
ভাবিঃ কিরে তোর চোখ এমন লাল কেনো,, রাতে ঘুমাস নি,,,
তোকে নিয়ে আর পারি না,, সারা দিন শুধু বই বই আর বই নিয়ে পরে থাকে,,
এই বলে ভাবি কিচেনের দিকে যাচ্ছিলো,,তখন নিলা গম্বির শুরে বললো,,,
নিলাঃদারাও আপু,,,
ভাবি ঘুরে নিলার দিকে তাকালো,,নিলার এমন গম্বির স্বর শুনে ভাবি নিলাকে জিগাসা করলো,,
ভাবিঃকিরে নিলা তোর কি হলো,,, জ্বরটর আসলো নাকি,,
নিলা ঃআপু সেদিন কি আমি তোমার কাছে ওনার নামে কোনো বিচার দিয়েছিলাম,,,,
ভাবিঃনাতো,,
নিলাঃওনার নামে কোনো কিছু বলেছিলাম,,,
ভাবিঃনাতো,,কেনো
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,,দেখেছেন আমি সত্যি বলেছিলাম,,
ভাবি আমাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে,,
নিলা ঃতহলে সেদিন ওনাকে শুধু শুধু বকে ছিলে কেনো,, তোমার জন্য আজ আমায় ওনি এরিয়ে চলছে,ঠিক মতো কথা বলছে না,,,
ভাবিঃতুইতো সেদিন কান্না করতে করতে ছাদ থেকে নেমেছিলি,আমি জিগাসা করলে ও তুই তো কিছুই বলিস নি, আর ছাদে দেখলাম জনিকে,,
ভাবলাম ও বুঝি তোকে কিছু বলেছে,,,তাইতো ওকে একটু বকা দিলাম,,,
নিলাঃতোমার বকা দেওয়াতে আজ আমার সাথে ওনি ঠিক মতো কথা বলে না,,
.
নিলা নাস্তা না করে,, রুমে রুমে চোলে গেলো,,
ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে আছে তাই আমিও চোলে গেলাম,,
.
বাহিরে বের হওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি তখন ইরা বললো,,বাহিরে যাচ্ছো বুঝি,,
আমিঃহুম,,
ইরাঃআমি বাসায় একা একা বোর হচ্ছি,,একা একা ভালো লাগে না,,
আমিঃআমার সাথে চল,,
ইরাঃনা,,তোমার সাথে বেসি ঘুরা যায় না,, তোমার বন্ধু কে বলো আসতে,, ওনি আমায় অনেক যায়গায় ঘুরায়,,,অনেক কিছু খাওয়ায়,,
আমিঃহোয়েছে,, আর বলতে হবে না,, পানি তো দেখি অন্য দিকে গড়াচ্ছে,,,
ইরা কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললো,,ভাইয়া,,
আমিঃআচ্ছা আচ্ছা আমি রোমান কে বোলে দেবো,,
.
এই বলে আমি বাহিরে বের হোয়ে গেলাম,,,
.
ভাবি নিলার রুমে গিয়ে দেখে নিলা বালিশে মুখ গুজে কাদছে,,
ভাবি নিলার মাথায় হাত রাখলো,,
তখন নিলা চোখ মুছে উঠে বসলো,,
ভাবি ঃকিরে বোন কি হোয়েছে তোর,,
নিলাঃ???
ভাবিঃআমি যা অনুমান করছি, তা কি সত্যি,,,
.
নিলা নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,,
ভাবিঃআমার দিকে তাকা ,,,
নিলা ভাবির দিকে তাকালো,,
ভাবিঃতুইকি জনিকে ভালোবেসে ফেলেছিস,,
নিলা আবার নিচের দিকে তাকালো,,
.
ভাবি ঃদেখ বোন আব্বু এটা কখনো মানবে না ,,
নিলাঃকেনো মানবে না,,
ভাবিঃজনি এখনো বেকার,, তাছারা তুই বিদেশ থেকে গ্রেজুয়েশন কম্পিলিট করে এসেছিস,,তুই আরো ভালো ভালো উচু লেবেলের ছেলে পাবি,, ওকে বুলে যা,,,আব্বু মানবে না,,
নিলাঃকখনো না,, আমি উচু লেবেলে ছেলে চাই না,, আমি ওকেই চাই,,, আর আব্বু কে তুমি বললে অবশ্যই মানবে,,,,
ভাবিঃআচ্ছা পরের টা পরে দেখা যাবে,,আচ্ছা তুই ওকে এই কথা বলেছিস,,,
নিলাঃহুম
ভাবিঃতো কি বললো,,
নিলা কিছুটা কাদার স্বরে বললো,,কিছুই না,, সেদিনের ওমন ব্যাবহারের জন্য আমার উপর এখন রেগে আছে,,বাকিটা তোমার বকার জন্য এখন কথাই বলছে না,,
ভাবিঃজনি একরোগা টাইপের ছেলে,, তাই বলছি তুই অন্য কোনো ছেলে দেখ,,
নিলাঃতুমি আমাকে চেনো না,,এই নিলা কি জিনিস সামনে দেখবে,,এখন ওনাকে সরি বলে আসো,,যাও
ভাবিঃআচ্ছা যাচ্ছি,,নাস্তা খেতে আয়,,
নিলাঃএখন ভালো লাগছে না,, পরে খাবো,,, যাও সরি বলে আসো,,,
ভাবি ঃআচ্ছা যাচ্ছি,,,
.
অন্য দিকে রোমান ইরা কে নিয়ে ঘুরে বাসার সামনে নামিয়ে দিলো,,
ইরাঃথ্যাংক,স
রোমানঃআচ্ছা একটা কথা জিগাসা করি,,
ইরা ঃকরেন,,
রোমান ঃআপনি কি কারো সাথে রিলেশন করেন,,
ইরাঃনা,,
রোমানঃসত্যি তো,,
ইরাঃজি,,,
রোমানঃআমার বিশ্বাষ হচ্ছে না,,সত্যি করেন নাতো,,
ইরাঃ না,, না,সত্যি করি না,,
রোমানঃও,,
এবার ইরা একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো,,
ইরাঃকেনো বলুন তো,
রোমান কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললো,,কিছুনা, আমি যাচ্ছি,,,,,
.
রোমান কিছুদুর যেতেই ইরা রোমান কে পিছন থেকে ডাক দিল,,
রোমান ইরার ডাক শুনে বাইক জোরে ব্রেক করলো,,আর সাথে সাথে স্লিপ কেটে পরে গেলো,,
হাত কিছুটা ছিলে গেছে
ইরা দৌরে গিয়ে হাত টেনে উঠালো,,
ইরাঃপাগল হলেন নাকি,, এই ভাবে কেউ ব্রেক করে,,, যদি কিছু হোয়ে যেতো,, দেখেন কতটা ছিলে গেছে,রক্ত বের হচ্ছে,,,
রোমান ঃকিছু হবেনা,,
ইরাঃ ওনাকে বলেছে কিছু
হবে না, হাত দেন,,,
ইরা সাইড ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে বেদে দিতে লাগলো,,আর বকতে লাগলো,,
ইরাঃউল্লুক কোথাকার,,, বাইকও চালাতে পারে না,,
হোয়েছে,,
রোমান চোলে যেতে লাগলো,,
ইরাঃএই আপনাকে যেতে বলেছি,,
রোমানঃনা,,
ইরাঃতাহলে যান কেনো,,
রোমান ঃআচ্ছা যাবো না,,কি বলবেন বলেন,,
ইরাঃআপনার নাম্বার দিয়ে যান,,
রোমানঃকি করবেন,,
ইরাঃ আপনার মাথা করবো, দেন,,
রোমানঃনেন,, 017894972……
ইরাঃসাবধানে যাবেন।পরে কথা হবে,,
ইরা বাসায় যাওয়া দরলেই
পিছন থেকে রোমান আবার বললো,আপনি সত্যিই রিলেশন করেন নাতো,,
ইরা মুচকি হেসে বললো,পাগল একটা , যানতো,,,
.
,,
রাতে রুমে বোসে আছি,ইরা পাসে বসে বসে ,, সারাদিন কোথায় কোথায় ঘুরলো,,তা বলছে,
তখন ইরা কফি নিয়ে রুমে ঢুকলো,,
আমার দিকে কফির মগটা বারিয়ে দিয়ে বললো,,
নিলাঃ নিন খান,,
আমি নিলার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম,,
নিলাঃ কি হলো নিন খান,,
আমি হাতে নিতেই ইরা আমার কাছ থেকে কফির মগটা নিয়ে গেলো,,
ইরাঃআমি খেয়ে টেষ্ট করে নেই,,
নিলা ইরার হাত থেকে কফির মগটা ছো মেরে নিয়ে বললো,,এটা তোমার জন্য না, ওনার জন্য,,নিন,
আমি কফির মগটা হাতে নিয়ে ইরার দিকে তাকি মুচকি হাসি দিলাম,
নিলাঃতোমার জন্য আনছি দারাও,,আপু আপু, একমগ কফি দিয়ে যাওতো,,
ভাবি কফির মগ হাতে নিয়ে রুমে ঢুকলো,
নিলাঃইরাকে দেও কফিটা,
.
ভাবি ইরাকে কফির মগটা দিয়ে আমার পাসে এসে বসলো,,
ভাবিঃভাই আমার, ক্ষমা করে দে আমায়,, সেদিন না বুৃঝে কত কি বলেছি,,
আমিঃকি যে বলো,,মা থাকলে হয়তো এমনই শাষন করতো,,তুমি মায়ের মতো আমাকে বকতেই পারো,,
ভাবিঃআচ্ছা তোরা কথা বল,,আমি কিচেনে গেলাম,,,
.
ভাবি কিচেনে চোলে গেলো,,
.
নিলা বসে বসে আমার কফি খাওয়া দেখছে,,
কফি অর্ধেক শেষ হোতেই নিলা আমার কাছ থেকে কফির মগটা নিয়ে গিয়ে বললো,,আর খেতে হবে না, দেন,,
আমিঃশেষ করি,,
নিলাঃখেতে হবে না, বাকিটা আমি খাবো,,
.
পাগল টাগল হলো কিনা কে জানে,,,
.
এভাবেই একসপ্তাহ কেটে গেলো,,
.
সকাল সকাল ড্রইং রুমে বসে টিবি দেখছি, তখন নিলা সহ ভাবি আসলো,,,
আমি ঃকিছু বলবে ভাবি,,
ভাবিঃএকটু নিলার সাথে এয়ারপোর্ট যাতো,,
আমি ঃকেনো,,
ভাবিঃবিদেশ থেকে আমার ফুফাতো বোন আসবে,,নিলা যাদের বাসায় থেকে স্টাডি করেছে,,
আমিঃতুমি সাথে গেলেইতো পারো,,
ভাবিঃআমার হাতে কাজ আছে,, আমি যেতে পারবো না,,তুই যানা,,আব্বু গাড়ি পাঠিয়েছে,,
আমিঃআচ্ছা যাচ্ছি,,
.
নিলা আর আমি নিচে গেলাম,,
গাড়িটার সামনে গিয়ে দারালাম,,
ভাবলাম একা একা গিয়ে কি বোর হবো নাকি, তাই আমার কাছের ফ্রেন্ড #সাগরকে আসতে বললাম,,
পিছন থেকে নিলা বললো,,আমাদের মাঝে আবার আপনার বন্ধুকে টানছেন কেনো,,
আমিঃএকা একা বোর হবো নাকি,,
নিলা আর কিছুই বললো না,,
.
সাগর আসলে ওকে নিলার সাথে পিছন বসতে বললাম,তখন নিলা বলো,
নিলাঃ না ভাইয়া আপনি সামনে বসেন,,
কি আর করার,, সাগর সামনে বসলো আর আমি নিলার সাথে পিছন বসলাম,,
.
গাড়ি চলছে আপন গতিতে এয়ারপোর্টের দিকে,,

আর আমি চুপচাপ বসে আছি,,
নিলা হঠাৎ আমার হাতের আঙুল গুলো ওর হাতের আঙুল দিয়ে পেচিয়ে দরলো,,
আমিঃএই কি করছেন,,ছারেন,,সাগর দেখবে,,
নিলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে অন্যহাত দিয়েও আমার হাত চেপে দরলো,,
.
আমি হাত ছারাতে না পেরে চুপ করে থাকলাম,,
নিলা আমার এক হাত ওর দুহাতের মাঝে চেপে দরে আছে,,
আমার অবস্থা দেখে নিলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলো,,
সামনে থেকে সাগর আমাদের কাহীনি দেখে হাসছে,,
নিলা আমার হাতটায় হঠাৎ একটা চুমু দিলো,
আমি সিহরিত হোয়ে গেলাম ওর আলতো ছোয়ায়….
.
To Be Continue……..

ভাবির বোন ৪র্থ পর্ব

0

ভাবির বোন ৪র্থ পর্ব

#_জেএইসজনি
.
.
.
,,,খুব এরিয়ে চলছেন আমায় তাই না,,,
,
.হঠাৎ নিলার এমন কথায় বেস চমকে গেলাম আমি,,
পাসে তাকিয়ে দেখি নিলা,,
ও এত রাতে এখানে কি করছে,,
নিলা আবার বলা শুরু করলো,,
নিলাঃছোট কাল থেকেই বেস আদরে বড় হোয়েছি, তাই অবহেলাটা সয্য হয় না,,কারো অবহেলা আমি সয্য করতে পারিনা,,,
কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো,,
বুঝছি না,, কান্না করছে কি না,,
নিলাঃআসলে সেদিন আমার কাছের এক ফ্রেন্ড গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে,,তাই মনটা খারাফ ছিলো,,,আর তখন ই আপনি এসে ফাজলামো শুরু করলেন,,
আমিঃকারো মন ভালো করার চেষ্টা করা বুঝি ফাজলামো,,
নিলাঃসরি তো বুঝতে পারিনি,,
আমি ঃভাবির কাছে বিচার দিয়েছিলেন কেনো,,
নিলাঃআমি,,(কিছুটা অবাক হোয়ে)
আমিঃথাক আর অস্বিকার করা লাগবে না,,জানেন তো, কাছের মানুষদের কাছ থেকে সামন্য কথাও অন্তরে গিয়ে আঘাত করে,,
নিলাঃবিশ্বাষ করুন আমি আপুকে কিছু বলিনি,,
আমিঃআমার বিশ্বাষে কি আসে যায়,,আচ্ছা আমি সব ভুলে গেছি আপনিও ভুলে যান,,
নিলাঃতাহলে আপনি আপনি করে বলছেন কেনো,, আমার কাছে আসেন না কেনো,,
আমিঃসবাইকে তুমি বলা যায় নাকি,, আর আপনার কাছে আসতে যে যোগ্যতার প্রোয়োজন আছে আগে জানতাম না,,
আচ্ছা চলি,,এত রাতে দুজনকে কেউ দেখলে খারাফ ভাববে,,
.
আমি চলে আসলাম,,
পিছন থেকে নিলা বললো,,শনুন,,
নিলার গলা কেমন দরে আসছে,,
.
আমি রুমে এসে সুয়ে পরলাম,,
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার মামাতো বোন ইরা ড্রইং রুম বোসে আছে,,,
.
ইরা আমাকে দেখেই জড়িয়ে দরলো,,
আমিঃকিরে কখন আসলি,,
ইরাঃমাএ আসলাম,,রাতে বাসে চরলাম,, সকালে এসে পৌছালাম,,
আমিঃআমাকে বলতি,, পিক করে নিয়ে আসতাম,,
ইরাঃসারপ্রাইজ দিলাম,,
আমিঃভালো তা মামা কোথায়,,?
ইরাঃকোন কাজে যেনো এসেছিলো, সেই কাজে চোলে গেছে,,।
হঠাৎ চোখ গেলো,, কিচেনের দিকে,
নিলা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,
দেখেতো মনে হয় কিছুটা রেগে আছে,,,
ইরা নিলাকে দেখে বললো,,ভাইয়া উনি কে,,,
আমি ঃবিদেশি ম্যাম,,
ইরাঃকি বলো বুঝিনি,,,।
আমিঃভাবির বোন,,।
ইরাঃদারাও আমি কথা বলে আসি,,
নিলা আমার দিকে কেমন ভাবে যেনো রাগী চোখে তাকালো,,
আমি ছাদে গেলাম,,,
হঠাৎ নিলা পিছন থেকে বললো,,আপনাকে আপু নাস্তা করতে ডাকছে,,
আমি নিচে যেতে লাগলাম,,
তখন নিলা আবার বললো,,মেয়েটা আপনার কি হয়,,
আমি এবার ঘুরে নিলার দিকে তাকালাম,,
নিলা আমার চোখের দিকে নিরলিপ্ত ভাবে তাকিয়ে আছে উওরের আশায়,,
আমিঃআপনার বেয়াইন হয়,,,
নিলাঃআপনার কি হয়,,
নিলা কি বুঝাতে চাচ্ছে আমি তা ভালোভাবেই বুঝেছি,,
আমি আর কিছু না বলে নিচে চোলে আসলাম,,
নাস্তার টেবিলে বসে নাস্তা খাচ্ছি,,
নিলা আমার সামনে বসেছে,ইরা পাসে,,,
.
খাবার খেয়ে যাচ্ছি,,ইরা টুকটাক কথা বলছে,,
নিলা শুধু আমাদের দুজনের মুখের দিকে তাকাচ্ছে,,
.
ভাবি ইরাকে বললো,, তা বোন আমার,তোমার খবর কি,,,পড়ালেখা কেমন চলে,,
ইরাঃএতো কোনো রকম চলে ভাবি,,
ভাবিঃকেন,কোনো রকম কেনো,
ইরাঃএমনেই,,
.
বিকালে ইরা বায়না দরলো,, আমার সাথে ঘুরবে,,
আমিঃআচ্ছা রেডি হোয়ে নে,,,
ইরা ঃতুমি যাষ্ট পাচ মিনিট ওয়েট করো,,, আমি রেডি হোয়ে আসছি,,
আমিঃআচ্ছা তারাতারি আয়,,
.
আমি ড্রইং রুমে বোসে আছি,,
তখন ভাবি আসলো,,
ভাবিঃজনি কোথায়ও যাচ্ছিস,,
আমিঃহুম, ইরাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো,,
ভাবিঃঘুরতে যখন যাবিই, তখন নিলাকে সাথে নিয়ে যা,
আমিঃআচ্ছা ওনাকে রেডি হোতে বলো,
ভাবির পিছন থেকে নিলা বললো, আমি রেডি,,
আমি নিলার দিকে তাকিয়ে আবারো প্রেমে পরে গেলাম,,
না কি ভাবছি,,, ওর প্রেমে পড়া যাবে না,,
আমি এসব ভাবছি, তখন ইরাও এসে বললো, হোয়ে গেছে আমার চলো,,,,
আমি নিলাকে বললাম চলুন,,
.
বাহিরে রিক্সা নিতে গিয়ে জামেলা,,,লোক হলাম তিনজন,,,
আমিঃআচ্ছা তোমরা দুজন একরিক্সায় যাও,,আর আমি একা এক রিক্সায় যাচ্ছি,,
ইরাঃআমি তোমার সাথে যাবো,,
আমিঃওনি কি একা যাবে নাকি রিক্সায়,,।
ইরাঃকিচ্ছু হবে না,,
.
নিলা শুধু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,
দেখছে আমি কি বলি,,
.
আমি নিলাকে উদ্দেশ্য করে বললাম,,, আচ্ছা তাহলে আপনি এই রিক্সায় উঠেন,,আমরা দুজন এই রিক্সায় উঠি,,
নিলা কিছু বললো না,,
রিক্সায় উঠে গেলো,
পিছন থেকে দেখলাম নিলা হাত দিয়ে চোখ মুচছে,,,
.
আমরা গিয়ে একটা পার্কের সামনে নামলাম.
.
তিনজন হাটছি,আমি মাঝে, ওরা দুজন দু পাসে,,
ইরা ফুচকার দোকান দেখে বললো,,, জনি ভাইয়া আমি ফুচকা খাবো,,
আমিঃআচ্ছা চল,
নিলা কে জিগাসা করলাম,, আপনি খাবেন,
নিলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো,,
বুঝলাম খাবে,,
.
তিনজন গিয়ে ফুচকার দোকানে বসলাম,,
আমি ঃ মামা তিন প্লেট ফুচকা দেন তো,,
.
তারপর ইরা বললো,
ইরাঃজনি ভাইয়া, আমি তোমাকে আর ভাইয়া বলে ডাকতে পারবো না,, নাম দরে তুমি করে বলবো,,
আমি কিছু বলার আগেই নিলা বলে উঠলো,,কেনো,, তোমার বড় ভাইকে নাম দরে তুমি করে বলবে কেনো,, তাছারা তোমার বড় ভাই হয়তো,
ইরাঃতো কি হোয়েছে,,আমি তুমি করে বলবো,,
আমিঃআচ্ছা তুমি করে বলিস,,
নিলা কিছুটা রেগে বললো,তুমি করে বলবে মানি,, তোমা…..
তখন ফুচকা চোলে আসলো,,তাই নিলাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম,, ফুচকা খান,,
.
আমরা চুপচাপ ফুচকা খাচ্ছি,,
হঠাৎ ইরা বললো,,জনি আমাকে একটা ফুচকা খাইয়ে দেও,হা…
আমিঃনিজে নিয়েই তো খেতে পারিস,,
ইরাঃদেওতো এই হা করলাম,,
আমিঃকি যে পাগলামি করিস,,, নে,,
ইরাকে খাইয়ে দিলাম,,,
ইরার এই ঢং দেখে নিলার গা জলে যাচ্ছে,,তা মুখ দেখেই বুজা যাচ্ছে,,,
ইরা এবার বললো, হা করো,, খাইয়ে দেই,,
আমিঃআচ্ছা দে,,
আমি হা করতেই খাইয়ে দিলো,, তবে ইরা নয় নিলা,,,
ইরা আর আমি অবাক,,,
ইরা ফুচকা হাতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
নিলা কিছুটা রেগে বললো,,বেসি ফুচকা খাওয়ার ইচ্ছা না,, খান,,
এই বলে ফুচকার ফেলেটা ফেলেই চোলে গেলো,,,
এর আবার কি হলো,,
ইরা ঃওনি এমন করলো কেনো, ,
আমিঃতুই বুঝবি না,, ফুচকা খা,,,,,
নিলা সেখান থেকে রাগ করে বাসায় চোলে আসলো,,
নিলার মনে যে কিছু একটা চলছে,,তা বেস ভালো করেই বুঝছি,,,,
.
আরো কিছুক্ষন গোরাফিরা করে বাসায় চোলে আসলাম,
.
বাসায় ঢুকতেই দেখলাম নিলা ড্রইং রুমে বসে আছে,,
আমাকে দেখে নিলা চোখ গড়ম করে আমার দিকে তাকালো,,,
তখন ভাবি কিচেন থেকে এসে বললো,,জনি, নিলা একা একা চোলে আসলো কেনো,,
আমিঃওনি ই ভালো যানে,,,
আমি রুমে চোলে আসলাম,,
.
রাতে রুমে বসে ইরা আর আমি গল্প করছি,,,
তখন নিলা কফি হাতে রুমে ঢুকলো,,
আমার দিকে বারিয়ে দিয়ে বললো,, কফি আপনার জন্য,,,
তখন ইরা বললো আপু আমার জন্যও এক মগ কফি আনো,,,
আমি কফিটা নিয়ে ইরাকে দিয়ে দিলাম,,,
ইরাঃতুমি খাবে না,,,
আমিঃনাহ,,
নিলা ফিছন ঘুরে চোলে গেলো,, নিলার চোখের কোনে স্পস্ট পানি দেখতে পেলাম,,,
.
রাতে ডিনার করার সময় ভাবি বললো,,জনি তোর জন্য আজ নিলা নিজের হাতে স্পেসালভাবে কফি বানিয়েছে,,খেয়ে কেমন বুঝলি,,
আমি নিলার দিকে তাকালাম,, নিলা আমার চোখের দিকে এক পলক তাকিয়ে মাথা নিচু করে ভাত নারা চারা করতে লাগলো,,
,,
আমিঃকফিটা ইরা খেয়েছে,,
ভাবিঃবানালো তোর জন্য খেলো ইরা,,
আমিঃসবার সব জিনিস খাওয়ার জন্য যোগ্যতা লাগে,,।
ভাবিঃবুঝলাম না,,
আমিঃ কিছু না, খাওতো,,
নিলা খাবারে আছতে করে পানি ঢেলে রুমে চোলে গেলো,,
.
রাতে ইরাকে নিলার সাথে ঘুমুতে দেওয়া হলো,,
.
সকালে ঘুম থেকে উঠতেই কাউকে রুম থেকে বের হোয়ে যেতে দেখলাম,,
ফ্রেস হোয়ে নাস্তা করতে বসলাম,,তখন ইরা বললো,,জনি ভাইয়া আজ কিন্তু আমাকে সারাদিন ঘুরাতে হবে,,
আমিঃআমার তো আজ সময় হবে না,,আচ্ছা আমার এক ফ্রেন্ড কে বোলে দিচ্ছি,, ও ই তোকে ঘুরাবে,,,
ইরাঃআচ্ছা,,তারাতারি আসতে বলো,,নিলা আপু তুমি যাবে নাকি,,,
নিলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, না জাবো না,,
.
আমি আমার কাছের ফ্রেন্ড রোমন কে কল করে চোলে আসতে বললাম,,
সে ইরাকে নিয়ে ঘুরতে বের হোয়ে গেলো,,,
আমি আমার কাজে চোলে গেলাম,,,
.

রাত হোয়ে গেলো এখনো বাসায় ফিরিনি,,,
হঠাৎ আমার ফোনটা বেজে উঠলো,,ফোন বের করেই দেখি ভাবির ফোন,,
আমিঃহুম ভাবি বলো,,
ভাবিঃকি করছিস এখনো,,
আমিঃএকটু কাজে আছি,,
ভাবি কে পাস থেকে কে যেনো শিখিয়ে দিচ্ছে,, কখন আসবে,,
ভাবিঃকখন আসবি,,
আমিঃআসতে একটু রাত হবে,,
ভাবিঃতারাতারি চোলে আসিস,,
আমিঃহুম,,
.
বাসায় ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হোয়ে গেলো,,
কলিং বেল দিতেই নিলা দরজা খুলে দিলো,,,
আমি পাস কাটিয়ে চোলে আসলাম,,
বাকিরা সব ঘুমিয়েছে,,
.
ফ্রেস হোয়ে ছাদে চোলে গেলাম,,
.
বেস তো আনন্দেই আছেন দেখছি,,
.
নিলা কখন যে আমার পাসে এসে দারালো বলতেই পারলাম না,
নিলার কথায় বুঝতে পারলাম,,
নিলা আবার বললো,,,কষ্ট দিতে খুব ভালোই যানেন,,
এবার নিলার দিকে তাকালাম,
ওর চোখে পানি চিক চিক করছে,,
নিলাঃসামান্য একটা কারনে আপনি আমাকে এভাবে এরিয়ে চলছেন,,,
আমিঃকারনটা সামন্য হলেও কথা গুলো সামান্য ছিলো না,,
নিলাঃতার জন্য তো সরি বললাম,,আর কারন ও বলেছি,,
আমিঃতার থেকে বেসি কষ্ট লেগেছে ভাবির বলা কথা গুলো,,, কেনো সেদিন সুধু শুধু ভাবির কাছে বিচার দিলেন,, ইচ্ছা হলে দুটো থাপ্পর দিয়ে দিতেন আমায়,,
.
নিলা এবার কেদে দিয়ে বললো,,বিশ্বাষ করুন আমি আপুর কাছে বিচার দেইনি,,,আমি বিদেশ থেকে পড়া লেখা করতে পারি কিন্তু এত অহংকারি না,,
সেদিনের কথা গুলো আমি রেগে গিয়ে বলেছি, একটা কথাও মন থেকে বলিনি,,,
আমিঃযে ভাবেই বলেছেন, কথা গুলোতো সত্য,,,,
.
হঠাৎ নিলা আমাকে জড়িয়ে দরে বললো,প্লিজ এভাবে বলবেন না খুব কষ্ট হয়,,,খুব ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে প্লিজ,,অনেক ভালোবাসি,,
.
To Be Continue……

ভাবির বোন ৩য় পর্ব

0

ভাবির বোন ৩য় পর্ব

#_জেএইস_জনি
.
.
আমি হাসবো না কাদবো নিজেই ভেবে পাচ্ছি না,,, ভাবি এসব বলে গেলো আমায়,,
.
নিলা, ভাবির কাছে আমার নামে বিচার দিয়েছে,,
এই সামান্য কারনে,,
.
রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম,,
.
বেস কান্না পাচ্ছে আমার,,
কিছুক্ষন কাদলাম,,
.
আসলে আমি সহজে কোনো কথা মনে নেই না,,
যারা মন থেকে কিছু বলে তাদের দারে কাছেও যাই না,,,
কাছের মানুষ দের কাছ থেকে সামান্য বকাও অন্তরে গিয়ে আঘাত করে,,
.
রাতে ভাবি কয়েক বার খাবার খেতে ডাকলো,,
না বলে দিয়েছি,,
কেনো জানি খেতে ইচ্ছে করছে না,,
বেস কিছুক্ষন পর ভাবি দরজা ধাক্কাচ্ছে,,
ভাবিঃ এই জনি দরজা খোল,,
আমিঃকেনো,
ভাবি ঃতোকে দরজা খোলতে বলছি,,
.
আমি উঠে গিয়ে দরজা খোলতেই দেখি ভাবি খাবার হাতে দারিয়ে আছে ,,
বিছানায় নিয়ে গিয়ে বসালো আমাকে,,ভাবি ও বসলো পাসে
.
আমিঃবললাম না খাবো না,, কেনো এনেছো,,
ভাবিঃআমার উপর রেগে আছিস,,
আমিঃরাগবো কেনো,,,তুমি হলে মায়ের মতো,, শাশন করার অধিকার তোমার আছে,,
ভাবিঃআমি যদি মায়ের মতো ই হই তাহলে ভাত খেয়ে নে,
.
ভাবিঃহা কর,,,
.
ভাবি আমাকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে,,
ভাবি আবার বলতে লাগলো,,কেনো নিলার পিছন লাগিস,, নিলা বিদেশ থেকে স্টাডি কম্পিলিট করে এসেছে,,ওর ভাব মুর্তি আলাদা,কেনো বুঝিস না,,
তোকে আমার আপন ভাইর মতো মনে করি,, এই ফেমিলিতে আসার পর থেকে তোকে কখনো তোর মায়ের অভাব বুঝতে দেইনি,,,
তুই যেভাবে খুশি, তোকে সেভাবে রাখার চেষ্টা করেছি,,
.
ভাবির কথা শুনে কেনো জানি চোখ দিয়ে পানি বের হোয়ে গেলো,,
ভাবি ঃএই পাগল কাদিস কেনো,,
ভাবি আমার চোখের পানি মুছে দিলো,,,
ভাবি ঃশোন ভাই আমার, এমন কিছু করিস না যাতে আমার সম্মান যায়, তোর ভাইর সম্মান যায়,নিলা এসে ছে অল্প কিছুদিনের জন্য, ওকে হাসি মুখে বিদায় দিতে পারলেই হলো,,
আমিঃতোমি নিশ্চিত থাকতে পারো,, তোমাদের সম্মানে আচ পরতে দেবো না,,,
ভাবি ঃএইতো আমার লক্ষি ভাই,, এবার ঘুমা,,
এই বলে ভাবি আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে লাইট বন্ধ করে চোলে গেলো,,
.
আমি ঘুমের দেশে চোলে গেলাম,,,
.
সকালে নাস্তা করতে বসেছি,, নিলা নিচের দিকে তাকিয়ে খাচ্ছে,,
আমিও খাচ্ছি,, কেউ কাউর দিকে তাকাচ্ছি না,,,
এর ভিতর ভাবি কিচেনে গেলো,,
আমি নিলাকে বলে উঠলাম সরি,,
নিলা মাথা উঠিয়ে আমার দিকে তাকালো,,
বুঝার চেষ্টা করছে,,আমি বলেছি কি না,,।
আমিঃআসলে কালকের জন্য সরি,,
নিলা কিছুটা নিচু স্বরে বললো,,আমিও সরি,, কাল মন খারাফ ছিলো, তাই কি থেকে কি বলে ফেলেছি,,,
আমিঃইট,স ওকে,,
তার পর নিচের দিকে তাকিয়ে খেতে লাগলাম,,
.
বাসায় আর ভালো লাগছে না, তাই বাহিরে বন্ধুদের কাছে চোলে গেলাম আড্ডা দিতে,,,
বেস কিছু ক্ষন আড্ডা দিয়ে, বাসায় চোলে আসলাম,,
আসার সময় ভাবির জন্য তেতুলের চাটনি নিয়ে আসলাম,,,
.
আমিঃভাবি তোমার জন্য,,
চাটনি গুলো এগিয়ে দিলাম,,
ভাবিঃখুব ভালো করেছিস এনে,,
ফ্রেস হোয়ে আয় খাবি,,,
.
দুপুরে নিচের দিকে তাকিয়ে খেয়ে চোলে আমলাম,,
রাত হোয়ে গেলো,,
নিলার সাথে সারা দিন আর কোনো কথা হয় নি,,,
দেখিনি,,
দেখবো কিভাবে,, বাসায় আসলে থাকিতো রুমের ভিতর,, প্রোয়োজন ছারা বের হই না,,
পরের দিন বিকালে ছাদে গিয়ে দেখি আজো নিলা দোলনায় বই হাতে বোসে আছে,,
.
একবার ভাবলাম চোলে যাই,আবার ভাবলাম নাহ,ওর মতো থাকুক, আমি আমার মতো,,
তাই ওর বিপরীদ পাসে ছাদের কিনারে চোলে গেলাম,,
নিলা বই থেকে মুখ উঠিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো,,
বেস কিছুক্ষন ছাদে থাকলাম,,
একবারো তাকাই নি নিলার দিকে,,,
.
রাতে খেতে বসেছি,, তখন হঠাৎ নিলার পায়ের সাথে পা লাগলো,,
ভাবলাম,, অনইচ্ছাকৃত হয়তো পা লেগেছে,,
কিছুক্ষন পর আবার আমার পা ছুয়ে দিলো নিলা,,,
আমি ওর দিকে তাকিয়ে বুজার চেষ্টা করছি,, অনইচ্ছাকৃত লেগে গেলো নাকি,,
না নিলার ভিতর কোনো পরিবর্তন দেখছি না,,
.
এবার আমি আমার পা পিছনে নিয়ে আসলাম,,
.
হঠাৎ ভাইয়া পাস থেকে বলে উঠলো,, কিব্যাপর নিলা,, পা দিয়ে আমার পা খোচাচ্ছো কেনো,,
নিলা কিছুটা লজ্জা পেয়ে ভাইয়াকে বললো,,সরি ভাইয়া,,
.
আমার হাসি পেলো,,
চুপচাপ খাচ্ছি,,।
ভাইয়া বলে উঠলো,, তা জনি,
পড়ালেখা শেষ করলি কবে,,এখনতো আমার সাথে গিয়ে আমাদের কম্পানিতে জয়েন করতে পারিস,,
আমিঃকরবো,,
ভাইয়াঃকবে,,
আমিঃআর কিছুদিন পর,,
ভাইয়া ঃআচ্ছা ওকে,,
.
আমি রুমে চোলে আসলাম,,
.
আজ সকাল সকাল ছাদে গেলাম,কতদিন সকালের রোদ্র গায়ে মাখা হয় না,,
.
যতো মোর জালা,, একটু দোলনাতে গিয়ে বসবো, তাও নিলা সেখানে বসা,,
এই মেয়ে এত সকাল সকাল তো উঠে না,,
.
ওর থেকে দুরে ছাদের অন্যপাসে চোলে গেলাম,,।
.
কিছুক্ষন পর আমার পাসে কাউকে অনুভব করলাম,,
পাসে তাকিয়ে দেখি নিলা,
.
চুপচাপ দারিয়ে রইলাম,,কোনো কথা বললাম না,
তখন নিলাই বললো,,কি করছেন,,
আমিঃকিছু না,,
নিলাঃও,,,
.
আমি আর না দারিয়ে সেখান থেকে চোলে আসলাম,,
হয়তো আরো কিছু বলতো,,
.
দুদিন পর,, বিকালে আদসোয়া
হোয়ে খাটে বসে আছি,
তখন রুমে নিলা সহ ভাবি আসলো,,
আমি ঃকিছু বলবে ভাবি,,
ভাবিঃএকটু কাজ করে দেনা,,
আমি ঃ কি কাজ ভাবি,,
ভাবিঃ নিলাকে নিয়ে একটু মার্কেটে যা না,, ও কি কি কিনবে,,
আমিঃভাবি আমার এখন ভালো লাগছে না,,তুমি দারোয়ান চাচা কে বলো,,, সাথে যেতে,,,
নিলা কিছুটা রেগে বললো,,হোয়াট,, আমি দারোয়ান চাচার সাথে যাবো মার্কেট করতে,,, আমি যাবো না,,আমার লাগবে না কিছু কেনা,,,
এই বলে নিলা আমার রুম থেকে বের হোয়ে তার রুমে চোলে গেলো,,
.
ভাবি ঃ লক্ষি ভাই আমার, যা না,, ওকে একা ছারতে পারবো না ওর কিছু হোয়ে গেলে আমি বাবার কাছে কি জবাব দেবো,,
বড় মুখ করে এনেছি ওকে,,
জা না ভাই আমার,,
.
আমিঃওানাকে রেডি হোতে বলো,,
ভাবিঃতুই রেডি হোয়ে আয়,,আমি ওকে বলছি,,
.
আমি রেডি হোয়ে রুম থেকে বাহিরে আসলাম,, ড্রইং রুমে এসে দেখি নিলা ছোপায় বসে আছে,,
কত যে মায়াবি লাগছে মেয়েটাকে বলে বুঝাতে পারবো না,,
.
না আমার তাকানো যাবে না,,,
.
আমি ওর কাছে যেতেই নিলা দারিয়ে গেলো,,
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,,
আমিঃচুলুন,
.
বাহিরে রিক্সার জন্য ওয়েট করছি,,, নিলাকে রিক্সায় উঠিয়ে দিলাম,
রিক্সাওয়ালা মামা কে মার্কেটের ঠিকানা বলেদিছি,,
আমি ঃমামা এবার যান আপনি,,
নিলাঃএই দারান দারান,,
আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,আপনি যাবেন না,,
নিলা কিছুটা সরে গিয়ে বললো,, উঠুন
.
আমি একটা মুচকি হাসি দিলাম,,
নিলা ঃ কি হলো উঠুন,,উঠতে না পারলে আমার হাত দরে উঠুন,,
নিলা হাত বারিয়ে দিলো আমার দিকে,
আমিঃআপনার পাসে বসার যোগ্যতা এখনো হয়নি, , আপনি যান আমি পরের রিক্সায় আসছি,,
এই কথা বলতেই নিলার মুখে কেমন পরিবর্তন দেখলাম,,,
কিছুটা মলিন ভাব,,
.
একটা বড় মলের সামনে নামলাম,,
নিলা দারিয়ে আছে,,
আমি নেমে ভাড়া চুকিয়ে নিলাকে নিয়ে ভিতরে গেলাম,,,
.
কয়েকটা দোকান ঘুরে ঘুরে দেখলো,
তারপর একটা শাড়ির দোকানে ঢুকলো,,
.
নিলা শাড়ি দেখছে,,
.
একটা শাড়ি দেখছি আমি,, ব্লু কালারের,,
বেস পছন্দ হোয়েছে আমার,,
আমি তাকিয়ে তাকিয়ে সেটা দেখছি,,
নিলা হয়তো খেয়াল করেছে,,
তাই দোকানদার কে বললো,, আংকেল ওই শাড়িটা দেখান তো,,
নিলা আমার সামনে শাড়িটা দরে বললো,খুব পছন্দ হোয়েছে আপনার,,
আমিঃআমার পছন্দতে আপনার কি আসে যায়,,,।
.
নিলা আমার চোখের দিকে একটু তাকিয়ে দোকানদার কে বললো, আংকেল এটা প্যাক করে দিন,,
.
আমি বুঝিনা ওর আবার হঠাৎ কি হলো,,
এরপর আমাকে নিয়ে একটা ছেলেদের দোকানে ঢুকলো,,,
বুঝিনা ছেলেদের দোকানে ওর কি,,,
নিলা পান্জাবি দেখছে,,
ওর শাড়ির সাথে মেসিং করে পান্জাবি নিলো,,,
দেখতেও খুব সুন্দর।
দোকান্দার তখন( আমাকে দেখিয়ে) বললো,,আপনার হাজবেন্টর গায়ে মানাবে খুব,,
নিলা কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললো, থ্যাংস,,,
.
মার্কেট থেকে বের হোতেই
নিলা আমার দিকে পান্জাবির প্যাকটা বারিয়ে দিয়ে বললো,,
আপনার জন্য,,
আমিঃসরি,,আপনার জিনিস আমি নেবো কেনো,,,
আমার কথায় নিলা কিছুটা ভরকে গেলো,,,
নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,,
আমি নিতে বলছি নিবেন,,
আমিঃসরি, আমার যতেষ্ট আছে,, নিতে পারবো না,,,
নিলাঃতো আমি এটাদিয়ে কি করবো এখন,,
আমিঃ আপনি ভালো জানেন আপনি কি করবেন,,
.
নিলার মুখটা মুহুর্তে মলিন হোয়ে গেলো,,
.
নিলা আর কোনো কথা বলেনি,,,
নিলাকে একটা রিক্সায় উঠিয়ে দিলাম,,
আমি ও একটা রিক্সা নিয়ে চোলে গেলাম, বাসায়,,,
.
নিলাকে রেখেই আমি বাসার ভিতর চোলে গেলাম,,
ও আমার পিছন পিছন হেটে আসছে,
.
নিলার চেহারার মলিন ভাব দেখে ভাবি বললো,, কিরে নিলা কি হোয়েছে,,
নিলা চুপ করে থাকলো,,
ভাবিঃমুখটা এমন শুকনো কেনো,, কি হোয়েছে বলবি তো,,
নিলা ভাবির দিকে পান্জাবিটা এগিয়ে দিলো,,
ভাবিঃপান্জাবি কার জন্য,,
নিলাঃতোমার দেবরের জন্য,,আমার কাছ থেকে নেয়নি,,,
ভাবিঃআচ্ছা মন খারাফ করিস না,, আমার কাছে দে, আমি নিয়ে দিচ্ছি,,
.
ভাবি পান্জাবিটা নিয়ে আমার রুমে আসলো,,
আমার পাসে এসে বসলো,,
আমি ঃকিছু বলবে,,,
ভাবিঃপান্জাবিটা পরতো দেখি কেমন লাগে,,,,
আমিঃআমার এখন ভালো লাগছে না,,
ভাবিঃতো পান্জাবিটা নিচ্ছিস না কেনো,,
আমিঃডয়ারে আমার আরো তিনটা পান্জাবি আছে,,আমার লাগবে না, তুমি নিয়ে যাও,,,
ভাবিঃবুঝিতো,,আমাকে তোর আপন ভাবতে পারিস নি এখনো,,
আমিঃদেখো ব্লাকমেইল করবা না,
ভাবিঃতাহলে নিচ্ছিস না কেনো,,নে,, না হলে বুঝবো তুই আমায় আপন ভাবতে পারিস নি,, তোর বোন ভাবতে পারিস নি,,
আমি ঃতুমিও না, কিসের মধ্যে কি বলোযে,,
দেও,,,
ভাবিঃএবার এটা গায়ে দে,, একটু দেখি আমার ভাইটাকে কেমন দেখায়,,
আমিঃআবার পরাও লাগবে,,
আচ্ছা পরছি,,,
.
এবার দেখেছো, হোয়েছে,,
ভাবিঃহুম,এবার খেতে আয়,,
আমিঃআচ্ছা খুলে নেই,,
ভাবিঃনা না,, খোলা লাগবে না,,এটা পরেই খেতে আয়,,
আমিঃবুঝিনা, তোমার আবার কি হোয়েছে,,চলো,,
.
খেতে বসে একটা জিনিস লক্ষ
করলাম,, নিলা বার বার আর চোখে আমাকে দেখছে,,
হয়তো ওর কিনা পান্জাবি পরেছি বলে,,
.
রাতের আকাশটা দেখতে মন চাইলো, তাই ছাদে চোলে গেলাম,,
ছাদের এক কোনা গেসে দারিয়ে আকাশ দেখছি,,
রাতের আকাশ দেখতে মজা আলাদা,,
.
আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখায় বিভোর,
,
,,,,,খুব এরিয়ে চলছেন আমায় তাই না,,,
,
.হঠাৎ নিলার এমন কথায় বেস চমকে গেলাম আমি,,

পাসে তাকিয়ে দেখি নিলা,,
ও এত রাতে এখানে কি করছে,,
নিলা আবার বলা শুরু করলো,,
নিলাঃছোট কাল থেকেই বেস আদরে বড় হোয়েছি, তাই অবহেলাটা সয্য হয় না,,কারো অবহেলা আমি সয্য করতে পারিনা,,,
কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো,,
বুঝছি না,, কান্না করছে কি না,,
নিলাঃআসলে সেদিন আমার কাছের এক ফ্রেন্ড গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে,,তাই মনটা খারাফ ছিলো,,,আর তখন ই আপনি এসে ফাজলামো শুরু করলেন,,
আমিঃকারো মন ভালো করার চেষ্টা করা বুঝি ফাজলামো,,
নিলাঃসরি তো বুঝতে পারিনি,,
আমি ঃভাবির কাছে বিচার দিয়েছিলেন কেনো,,
নিলাঃআমি,,(কিছুটা অবাক হোয়ে)
আমিঃথাক আর অস্বিকার করা লাগবে না,,জানেন তো, কাছের মানুষদের কাছ থেকে সামন্য কথাও অন্তরে গিয়ে আঘাত করে,,
নিলাঃবিশ্বাষ করুন আমি আপুকে কিছু বলিনি,,
আমিঃআমার বিশ্বাষে কি আসে যায়,,আচ্ছা আমি সব ভুলে গেছি আপনিও ভুলে যান,,
নিলাঃতাহলে আপনি আপনি করে বলছেন কেনো,, আমার কাছে আসেন না কেনো,,
আমিঃসবাইকে তুমি বলা যায় নাকি,, আর আপনার কাছে আসতে যে যোগ্যতার প্রোয়োজন আছে আগে জানতাম না,,
আচ্ছা চলি,,এত রাতে দুজনকে কেউ দেখলে খারাফ ভাববে,,
.
আমি চলে আসলাম,,
পিছন থেকে নিলা বললো,,শনুন,,
নিলার গলা কেমন দরে আসছে,,
.
আমি রুমে এসে সুয়ে পরলাম,,
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি….
.
To Be Continu

ভাবির বোন ২য় পর্ব

0

ভাবিরবোন ২য় পর্ব
.
#_জেএইসজনি
.
.
ভাবিঃ কি করেছে,,
নিলাঃওনি আমায়,,, আমি বলতে পারবো না,,তুমি সরোতো,
এই বলে যেই দরতে যাবে, তখন আবার দৌরে পালালাম,,
.
এ ঘর থেকে ও ঘর,,
অবশেষে আমার রুমে চোলে গেলাম,,
আয়হায় এবার কোথায় যাবো,,
নিলা দৌরে এসে ভার সামলাতে না পেরে আমাকে নিয়ে খাটে পরলো,,
ভাগ্যের কি খেলা,, ও আমার বুকে আর ওর ঠোটদুটো আমার আমার ঠোটের উপর,,
.
সুযোগ কি আর হাতছারা করা যায়,
ওর হাত দুটো চেপে দরে ঠোটে চুমুক দিয়ে দরলাম,,
নিলা ছোটার জন্য নরাচরা করছে,,
চুমুক দিয়ে দরতেই নিশ্বতব্দ হোয়ে গেছে,,
.
কিছুক্ষন পর ছেরে দিতেই নিলা আমাকে লাথি থাপ্পর যা পারলো দিলো,,
নিলাঃ লুচ্চা ব্যাটা একটা,
নিলা রুম থেকে দৌরে পালালো,,
.
কি ত্যাজ রে বাবা হাতে,,
সব জালিয়ে দিলো,,,….
.
আমরা নাস্তা করতে বসেছি সবাই,
কেনো জানি ওকে চুমু দেওয়ার পর থেকে পেটের খুদা চোলে গেছে,
তাই খাবার নারা চারা করছি,
.
ভাবিঃ কি ব্যাপার জনি,, খাচ্ছো না কেনো,,
আমিঃখুদা নেই,,
ভাবিঃকেনো,,
আমিঃসকালে যা খেয়েছি, তাতে আর খুদা থাকবে কি করে,,,
.
নিলা আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো,,
.
ভাবিঃ কি এমন খেয়েছো যে, খুদা নেই,,
আমিঃবলা যাবে না,, অনেক দামি জিনিস খেয়েছি,,
.
নিলা আরো রেগে গেলো,,
.
ভাবিঃআমার ভাইটা কি এমন খেয়েছো যে বলা যাবে না,,,
আমিঃবললাম তো বলা যাবে না,,
ভাবিঃআমার লক্ষি দেবর টা আমায় বলো না,,শুনি,,
আমিঃআচ্ছা শোনো তাহলে,,চুপি চুপি বলি কানটা আগাও,,
আমি যেই ভাবির কানে বলতে যাবো ঠিক তখনই নিলা আমার পায়ে জোরে একটা পারা দিলো,,
আমিঃউ, ভাবি গো,,
ভাবির কানের কাছে চিতকারটা দমিলাম,,
ভাবিঃওরে দুষ্ট এ জন্য কান আগাতে বললি,,
আমিঃ না ভাবি,,
ভাবিঃদুষ্ট মারবো একটা,চুপচাপ খা,,,আমার কানটা গেলো,,
.
নিলা রেগে রুমে চোলে গেলো,,
ভাবিঃকিরে নিলা,,না খেয়ে চোলে যাচ্ছিস কেনো,,তোর আবার কি হলো,,
.
নিলা তার রুমে গিয়ে মনে মনে আমাকে ইচ্ছে মতো গালি দিতে লাগলো,,
.
আমি আড্ডা দিতে বাহিরে চোলে গেলাম,,
.
বন্ধু সাগর কে কল দিলাম,,
হ্যা তুই কই,,
সাগরঃ মোরের মাথায়,,
আমিঃআচ্ছা থাক, আমি আসছি,,,
সাগরঃআমি আছি তুই আয়,,
আমিঃরোমান আছে,
সাগরঃ হুম সবাই আছে তুই আয়,,
আমিঃআচ্ছা ওয়েট কর আসতেছি,,
.
ওদের সাথে গিয়ে বেস কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম,,
.
ফেরার পথে ফুচকার দোকান সামনে পরলো,, তখন ই নিলার কথা মনে পরেগেলো,,,
ভাবলাম পাগলিটার জন্য দু প্লেট নিয়ে যাই,,
যেই ভাবা সেই কাজ, নিলার জন্য ফুচকা নিয়ে গেলাম,
.
ওর রুমে ঢুকে দেখি নিলা সুয়ে সুয়ে বই পরছে,,,
আমিঃ কি করো,,
নিলা কিছুটা রুক্ষ্য ভাষায় বললো,,আপনি দেখেন না কি করি,,
আমি ঃআচ্ছা উঠো,,, দেখো তোমার জন্য কি এনেছি,,
.
নিলাঃ এখন উঠতে পারবো না,, আপনি যানতো,,
.
আমি নিলার হাত থেকে বইটা সরিয়ে ওকে টেনে বসালাম,,
ওর দিকে ফুচকার পোটলাটা বারিয়ে দিয়ে বললাম, তোমার জন্য ফুচকা এনেছি,,স্পেসাল ফুচকা,,
নিলা আমার হাত থেকে ফুচকার পোটলাটা নিয়ে আমার মুখে মেরে বললো,,আমি রাস্তার এসব খাই না,, কয়বার বলবো,,যত সব আজাইরা,,
.
আমার কিছুটা রাগ উঠে গেলো,, তাই পোটলা থেক এক পিজ নিয়ে নিলাকে জোর করে খাইয়ে দিয়ে পোটলাটা নিয়ে চোলে আসলাম,,
.
আমিঃভাবি, ভাবি,,কোথায় তুমি,,
ভাবিঃকি হোয়েছে,,
আমিঃএদিকে আসোতো,,
ভাবিঃকি বলবা তারাতারি বলো,, রান্না করছি তো,,
আমি ঃ হা করো,
ভাবিঃ কেনো,,
আমিঃআহা করো তো,,
ভাবিঃ আচ্ছা করছি,
আমি একপিজ ফু্চকা ভাবির মুখে পুরে দিলাম,,তারপর ফুচকার পোটলাটা ভাবির হাতে দিলাম,,
ভাবিঃ ওয়াও ফুচকা
আমিঃহুম,,
ভাবি ঃআমার দেবরটা আমায় এত ভালোবাসে,,
আমিঃহুম,,এবার আমাকে খাইয়ে দেও,,
ভাবিঃ আচ্ছা হা করো,,
.
ভাবি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে,, আমি ভাবি কে দিচ্ছি,,
ভাবিঃওফ কি মঝা,,
আমিঃস্পেসাল ভাবে বানিয়ে এনেছি,

নিলা একপিজ খেয়ে মনে হয় মঝা পেয়েছে,,তাই বারবার রুম থেকে উকি দিয়ে আমাদের দেখছে,,আর আপছোছ করছে কেনো ফিরয়ে দিলো,,
.
আমিঃ ভাবি,
ভাবিঃহুম,
আমিঃতোমার বোন কে নিয়ে সাধো,, দেখো খাবে কি না,,
ভাবিঃআচ্ছা,
.
তারপর আমি আমার রুমে চোলে আসলাম,,
ভাবি ফুচকা নিয়ে নিলার রুমে গেলো,

আমি ফুচকা নিয়ে যেতে পারতাম,,
আমি আবার গেলে হয়তো ইগোর কারনে আমার কাছ থেকে খেতো না,

.
ভাবি আমার কাছে এসে বললো
ভাবিঃজনি, নিলা ফুচকা খেয়ে বেস তারিফ করলো ফুচকার,,
.
আমিঃতাই নাকি,,
ভাবিঃহুম,, আরেকদিন এনো তো, তোমার এই এস্পেসাল ফুচকা,,,
আমিঃআচ্ছা আনবো নে,,,
.
দুপুরে লান্স করার সময় ভাবলাম পা দিয়ে একটু আলতো ছুয়ে দেই,,
.
পা ছুয়ে যাচ্ছি পা দিয়ে,,
কিন্তু নিলার কোনো পরিবর্তন দেখছি না,
ব্যাপার কি,, আরেকটু বেসি পা ছুয়ে দেখি,
এবারো কোনো পরিবর্তন দেখলাম না,,
ভাবির দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো,,ভুল করে কার পায়ে পা ছোয়াচ্ছো,,,
আমিঃসরি ভাবি,,
ভাবিঃখাওয়ার সময় দুষ্টমি না করলে হয় না,,চুপচাপ খা,,দুষ্ট একটা,,
নিলা মুচকি মুচকি হাসছে,,,
.
বিকালে দেখি নিলা ছাদের দোলনায় বসে আছে,,
আমি গিয়ে সোজা ওর পাসে বসে পরলাম,,
নিলা দোলনা থেকে উঠে গিয়ে আমার দিকে করা ভাবে তাকিয়ে বললো,,, সমস্যা কি আপনার,,এভাবে কাছে এসে বসলেন কেনো,,,
আমিঃআরে বেয়াইন রেগে যাচ্ছো কেনো,,,
নিলা ঃআমি এসব পছন্দ করি না,,,
আমিঃকিছু কিছু জিনিস পছন্দ না করলেও অন্যের পছন্দের জন্য করতে হয়,,
নিলাঃআপনি কি আমার বি এফ লাগেন নাকি যে আপনার পছন্দের দাম দেবো,,
আমিঃহোলে ক্ষতি আছে নাকি,,
নিলাঃযত সব আজাইরা লোক,,,
এই বলে নিলা চোলে যেতে লাগলো,,,
আমিঃ এই নিলা, সোনো কথা আছে,,,,
নিলা আমার কথা না শুনে চোলে গেলো,,
.
রাতে বাহির থেকে আড্ডা দিয়ে বাসায় আসলাম,,
ফ্রেস হোয়ে খাটে হ্যালান দিয়ে একটু রেষ্ট নিচ্ছি,,
তখন নিলার কথা মনে পরলো,,
ওর কথা মনে হোতেই আনমনে হেসে দিলাম,,
এই দুদিনই এমন হচ্ছে,,
ভালোবেসে ফেললাম নাকি ওকে,,,
হয়তো,,
.
নিলাকে দেখার জন্য মন এমন উসখুস করছে কেনো,,
একবার গিয়ে দেখে আসি আমার বিদেশি ম্যাম কি করে,,
.
ওর রুমে চোলে গেলাম,,
কাজ নেই সারা দিন শুধু বই পড়ে,,
ওর সামনে বসলাম,,
আমিঃ কি করো,,
নিলাঃদেখতেই তো পারছেন,,
আমিঃও,,আমাকেও একটা বই দেও পড়বো,,
নিলা তার পাস থেকে একটা বই বের করে দিলো,,
আমি বইটা মেলে রেখে ওর দিকে পলক হিন ভাবে তাকিয়ে থাকলাম,,
আসলেই মেয়েটা অপরুপা,, তাকিয়ে থাকতেই মন চায়,,
নিলা হঠাৎ ই আমার দিকে তাকালো,,
আমি আবার চোখ বইতে দিলাম,,
দেখে ফেললো নাকি,,
না আবার বই পড়ছে,,
,
আমি আবার নিলার দিকে তাকিয়ে থাকলাম,,
নিলা আবার তাকালো,,
এইরে এবার দেখে ফেলেছে,,
আমি বইর দিকে তাকিয়ে আছি,,
নিলা আবার মনে হয় বই পড়ছে,,
এবার তাকানো যাক,,,
মাথা উপরে উঠাতেই দেখি নিলা আমার দিকে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে আছে,,,
তারপর আমার বইটা হাত দিয়ে সোজা করে দিলো,,
.
মানে আমার বই এতক্ষন উলটা ছিলো,,
হায়হায় মান সমসম্মান গেলো সব,,বই উলটা ছিলো খেয়াল ই করিনি,
.
নিলা বইটা ঠিক করে আমার দিকে একই ভাবে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে আছে,,
হয়তো জানার চেষ্টা করছে,আমার আসল উদ্দেশ্যটা কি,,
বই পড়া যে আমার উদ্দেশ্য না, সেটা এতক্ষনে বুঝে গেছে,,
.
আমিঃ সরি বলে একটা বোকা বোকা হাসি দিলাম,,
নিলা এবার চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,
কিছু বলার আগে কেটে পড়তে হবে,,
বইটা পাসে রেখে তরিগরি করে চোলে আসলাম,,,
.
ওর সবকিছুই আমার ভালোলাগে,, কেনো তা জানি না,,
.
ওর কথা ভাবলেই মুখে আনমনে হেসে উঠি,,
প্রেমে পরলেই বুঝি এমনি হয়,,
.
.
আমিযে নিলার প্রেমে পরেছি ভাবি কিছুটা অনুমান করতে পেরেছে,,
.
যাই হোক সেদিন বিকালে দেখলাম নিলা সাদে একা মন খারাফ করে বসে আছে,, তাই আমি গিয়ে ওর গা গেসে বসলাম,,
নিলা চুপ করে আমার পাস থেকে উঠে গেলো,,
চোলে যাবে তখন,,
আমিঃপ্রিয়তমা কোথায় যাচ্ছো,,
এইবলে
ওর হাত দরে আবার আমার পাসে বসালাম,,
নিলা এক জটকায় আমার হাত ছারিয়ে উঠে দারালো,,
.তারপর বলতে লাগলো,,
নিলাঃসমস্যা কি আপনার, আমার হাত দরার সাহস হয় কি করে আপনারা,,,
আমার পাসে বসার মতো জোগ্যতা আছে আপনার,,
আমিঃ???
নিলাঃকি হলো চুপ করে আছেন কেনো,, বিদেশ থেকে পড়ালেখা করে আসছি,,হেংলা মেয়ে পেয়েছেন আমাকে,,যখন ইচ্ছে হাত দরবেন যখন ইচ্ছে ফাজলামো করবেন,,একটা কথা শুনে রাখুন,,এর পর ফাজলামো করলে ভেবে চিন্তে করবেন,, না হয় এর ফল ভালো হবে না,,এ কথা বলেই নিলা কাদতে কাদতে চোলে গেলো,,
.
আমি ভাবতেও পারিনি নিলা এমন কিছু বলবে,,,
ওর মন ভালো করতে গিয়ে আজ আমার বেহাল দশা,,।
বুঝলাম না,, কান্না করার কথা আমার, সে যায়গায় নিলা কেনো কান্না করলো,,
.
মুহুর্তেই আমার হাসিখুশি মনটা বেদনায় ভরে গেলো,,,
.
বেস কিছুক্ষন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম,
তারপর নিচে চোলে গেলাম,,
.
রুমে ঢুকতে যাবো ঠিক তখনই ভাবি আমার সামনে এসে দারালো,,
ভাবির দিকে তাকাতেই দেখলাম বিরক্তির ছাপ মুখে,,
ভাবিঃজনি, কাজ কিন্তু মোটেও ঠিক করিস নি,,
তোর কাছে এসব আশা করিনি আমি,,
আমার ভাবতেও ঘিন্ন হয় তুই,
ছি,,
এই বলে ভাবি আমার সামনে থেকে চোলেগেল,,
আমি হাসবো না কাদবো নিজেই ভেবে পাচ্ছি না,,, ভাবি এসব বলে গেলো,,
.
নিলা ভাবির কাছে আমার নামে বিচার দিয়েছে,,
এই সামান্য কারনে,,
.
রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলাম,,
.
বেস কান্না পাচ্ছে আমার,,
কিছুক্ষন কাদলাম,,
.
আসলে আমি সহজে কোনো কথা মনে নেই না,,
যারা মন থেকে কিছু বলে তাদের দারে কাছেও যাই না,,,
কাছের মানুষ দের কাছ থেকে সামান্য বকাও অন্তরে গিয়ে আঘাত করে,,
.
রাতে ভাবি কয়েক বার খাবার খেতে ডাকলো,,
না বলে দিয়েছি,,
কেনো জানি খেতে ইচ্ছে করছে না,,
বেস কিছুক্ষন পর ভাবি দরজা ধাক্কাচ্ছে,,
ভাবিঃ এই জনি দরজা খোল,,
আমিঃকেনো,
ভাবি ঃতোকে দরজা খোলতে বলছি,,
.
আমি উঠে গিয়ে দরজা খোলতেই দেখি……….
.
To Be Continue……
.
.
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন..।

ভাবিরবোন পার্ট : ১ম

0

ভাবিরবোন পার্ট : ১ম
.
#_জেএইস_জনি
.
.
ভাই আমার বিয়ে করেছে কিছুদিন হলো,,
আমাদের চাইতে একটু বড় ঘরেই ভাইর বিয়ে দিয়েছে,,
আমরা দুভাই এক বোন,।
বোনই সবার বড়, তারপর ভাই, তারপর আমি,,
.
আমি সবার ছোট,,আমি #জনি
ভাইয়ার নাম #সাইদ
আর
আপুর নাম #সারমিন,,।
.
কয়েক বছর আগেই আপুর বিয়ে দিয়েছে,,
আর এই কয় মাস হলো ভাইয়াকে বিয়ে দিলো,,
.
ভাবি আমার সেই লেবেলের ভালো,,
আপন ভাইর মতো দেখে আমায়,,
যাগগে সেসব কথা,,
বর্তমানে আসি,,
.
রুম থেকে বের হোতেই দেখি খাওয়ার বেস আয়োজন চলছে,,
তাই ভাবির কাছে গেলাম,,
.
ভাবি আমায় দেখে বললো,,
কি ব্যাপার,আমার ভাইটার কিছু লাগবে নাকি ,,,
আমি ঃ না,,তা কেউ আসবে নাকি, এত খাবার রান্না করছো,,
ভাবিঃহুম,,
আমিঃকে,
ভাবিঃ তোমান বেয়াইন আসবে,মানি আমার বোন,,
আমিঃকি বলো,,তোমার বোন আছে নাকি,,বিয়েতেও তো তোমার কোনো বোনকে দেখলাম না,,
ভাবিঃআমার বিয়ের সময় ও বিদেশে ছিলো,এই দু সপ্তাহ হলো বিদেশ থেকে এসেছে,,
আমিঃ বিদেশ কি করে,,
ভাবিঃস্টাডি করার জন্য গিয়েছিলো,,এখন শেষ চোলে এসেছে,,
আমিঃও,ভালো,,তা কখন আসবে,,
ভাবি ঃএইতো কিছু ক্ষন পর,,
.
আমিঃআচ্ছা ভাবি আমি বাহিরে গেলাম,,
ভাবি, ঃকিছু খেয়ে যাও,,
আমিঃএসে খাবো,
.
বাহিরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম,,
.
না আগে আমার বেয়াইকে দেখে আসি,,নিশ্চই পরির মতো দেখতে হবে,,
.
গেষ্ট রুমের বাহির থেকে উকি মেরে দেখছি রুমের ভেতরটা,,
ব্যাগ, জামা কাপর দেখা যাচ্ছে,,
বেয়াইন কই,,
তখন পিছন থেকে কে যেনো বললো,, উকি মেরে কি দেখা হচ্ছে,,
আমি ঃপিছন না দেখে বললাম, একটা পেত্নি এসেছে বাসায় সেটাকেই দেখছি,,
এবার আমি পিছন ঘুরে দেখি একটা মেয়ে দারিয়ে আছে,,মনে হয় কিছুটা রেগে আছে,,
এর আগে তো এই মেয়ে কে দেখিনি,,
বায়দা ওয়ে,, তুমি কে,, এর আগে তো কখনো আমাদের বাসায় দেখিনি,,
মেয়েটিঃএতক্ষন যাকে দেখার জন্য রুমের বাহির থেকে উকিঝুকি মেরেছেন, আমি সেই পেত্নি,,
আমিঃতুতুমি ভাবির বোন ,,সসরি,,
নিলাঃআমি পেত্নি,,
আমিঃসসরি,, বুঝতে পারিনি,,
নিলাঃওকি দিয়ে দেখার বেস অভিজ্ঞতা আছে দেখি আপনার,,,(আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললো,)
.
তখন ভাবি আসলো,,
ভাবিঃকি কথা হচ্ছে দুজনের,,আচ্ছা পরিচয় করিয়ে দেই,,জনি এহলো আমার বোন নিলা,,আর নিলা এহলো আমার একমাএ আদরের দেবর জনি(নাক টেনে বললো)
নিলাঃহইছে আর পরিচয় করাতে হবে না,, যা চিনার চিনে নিয়েছি
ভাবিঃতাহলে তো ভালোই হলো,,আচ্ছা দুজন আসো নাস্তা দেবো,,
নিলাঃ রুমে দিয়ে যাও,,রুমে খাবো,,
ভাবিঃ তাহলে জনি তুমি আসো,,
আমিঃএখন নাস্তা করবো না,,এক সাথে লান্স করবো,,
ভাবিঃআচ্ছা,,
.
এই কথা বলে ভাবি চোলে গেলো,,,আমিও আমার রুমে চোলে আসলাম,,
.
দুপুরে সবাই একসাথে লান্স করতে বসেছি,,
আমি বসেছি একদম নিলার সোজাসুজি,,
খাবার খাচ্ছি,,হঠাৎ নিলার পায়ে সাথে আমার পা লাগলো,,
আমি নিলার দিকে তাকালাম,ওমা সেকি রাগ,
আরে ভাই রাগেরর কি হলো আমি তো ইচ্ছে করে পা লাগাইনি,,
রাগি ভাবে যখন তাকালি তখন এবার ইচ্ছা করে লাগাবো,,,
নিলা আমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে আবার খাবার খেতে লাগলো,,
একটু পর আমার পা দিয়ে ওর পায়ে আলতো করে ছুয়ে দিলাম,,
নিলা কেমন সিহরিত হোয়ে উঠল,,তারপর খাবার রেখে আবার আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো,,
আমি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে ওর পা আবার ছুতে লাগলাম,,
নিলা মুচকি একটা হাসি দিয়েই পায়ে জোরে একটা পারা দিলো,,
আমি উ করে উঠলাম,
ভাবিঃ কি হোয়েছে জনি,,
আমিঃকিছুনা ভাবি,,
ভাবি ঃআচ্ছা খাও,,
.
খাবার খেয়ে রুমে চোলে আসলাম,,
কি বজ্জাত মেয়েরে বাবা,,পুরোই ধানি লংকা,,
.
বিকালে ছাদে গেলাম,
গিয়ে দেখি নিলা ছাদের এক কর্নার দরে দারিয়ে আছে,,
তাই নিলার পাসে গেলাম,,
আমিঃপায়ে কেউ এভাবে লাথি মারে,
নিলাঃতাহলে অসভ্যের মতো পা ছুয়েছেন কেনো,,
আমি ঃতুমি প্রথম ওমন ভাবে তাকালে কেনো,, তাইতো পা ছুয়েছি,,
আচ্ছা যাক সেসব কথা,, তুমি এত সুন্দর কেনো,,।
নিলাঃপ্লোটিং করছেন আমারা সাথে,,
আমিঃ না সত্যি তুমি খুব সুন্দর,,
নিলাঃআমি সুন্দর তা আমি জানি,, আপনার বলতে হবে না,,
আমিঃতুমি ছোট থেকে বিদেশে পড়ালেখা করেছো,
নিলাঃহুম,, তো,,
আমিঃবিদেশি মেমদের মতো ছোট ছোট জামা কাপর পড়তে, এগুলো কি পড়ছো,,
নিলাঃ কি,!
আমিঃমঝা করলাম,,
.
নিলাঃহুম।
.
নিলা মুখটাকে বাকিয়ে সেখান থেকে চোলে গেলো,,
.
আমার এত বালা লাগতাছে ক্যারে,,,
.
তারপরের দিন রুমে বসে আছি,, তখন ভাবি সহ নিলা রুমে ঢুকলো,,
.
ভাবি ঃকি ব্যাপার আমার ভাইটার কোনো খোজ খবর নেই, ব্যাপার কি,,
আমিঃভাবি কি যে বলো না,,কিছু বলবে,,
ভাবিঃনিলাকে নিয়ে একটু বাহির থেকে গুরে আয়,,
আমিঃআমি পারবো না,,
ভাবিঃজা না ভাই,,
আমিঃযেতে পারি এক শর্তে,,
ভাবিঃ কি সর্ত?
আমিঃ তোমরা দু বোন আমার দু গালে দুইটা পাপ্পি দিতে হবে,,
.
পাস থেকে নিলা রেগে গিয়ে বললো,,কিইই,
আমি ভয়ে বললাম, ভাবি ওর লাগবে না,, তুমি দিলেই হবে,,
ভাবি ঃওরে আমার দুষ্ট দেবর রে আয় কাছে আয়,,,
আমি কাছে যেতেই ভাবি গালে একটা চুমু দিলো,, আমি ও ভাবি গালে একটা চুমু দিয়ে নিলাকে বললাম চলো,,
পিছন থেকে ভাবি বললো,,দুষ্ট একটা,, তারাতারি চলে আসিস,,
আমিঃওকে,,
.
নিলাকে নিয়ে একটা পার্কে গেলাম,
সেখানে অনেক কাপল বসা ছিলো
কেউ কারো কোলে মাথা দিয়ে সুয়ে আছে,,
কেউ আবার চুমু খাচ্ছে,,
নিলা এসব দেখে বললো,,
নিলাঃ আচ্ছা ওরা ওখানে কি করছে,,
আমিঃআকাম করছে,,
নিলাঃ কি কাম,,
আমিঃ ভালোবাসা করছে,,
নিলাঃ এভাবে ভালোবাসা করে,,
আমিঃহুম,,আচ্ছা চলো,,ওখানে গিয়ে বসি,,
.
আমরা গিয়ে একটা ব্যান্সে বসলাম,,
.
আমিঃআচ্ছা কি খাবে,,
.
নিলাঃআমি বাহিরের কিছু খাই না,,
আমি কাছ থেকে কিছু বাদাম নিলাম,,
কয়টার খোশা ছারিয়ে ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম,
খাও,
নিলাঃআমি বাহিরের এসব খাই না বললাম তো,
আমি ঃ খেয়েই দেখো না,,
নিলাঃ খাবো না,
আমি জোর করে ওকে খাইয়ে দিলাম
,
আমিঃএবার খাও,,,
নিলা খেয়ে বেস মঝা পেলো,,
ওকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে,
.
এর পর আমি আর সাধলাম না,,
একা একাই খেতে লাগলাম,
নিলা আমার আর বাদামের দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে বারবার,,
আমি খেয়েই যাচ্ছি,,
কিছুক্ষন পর নিলা বললো,,আপনি আচ্ছা বজ্জাত তো,,
আমিঃকি করলাম আবার।
নিলাঃএকা একাই খেয়ে যাচ্ছেন ,,,
আমিঃতুমি তো খাবে না, তাই সাধলাম না আর,,
নিলাঃনা বলেছি বলেকি আর সাধা যাবে না,,দিন আমি খাবো,,
আমিঃসামনেই তো আছে, নিয়ে খাও,,,
নিলাঃআমি খোসা ছারাতে পারি না,, খোসা ছারিয়ে দিন,,
আমিঃওরে বিদেশি মেম সাহেব রে,,আচ্ছা দিচ্ছি,,
.
আমি খোশা ছারিয়ে দিচ্ছি,, ও খাচ্চে,, কত সুন্দর করে খাচ্ছে,,,কত অপরুপ লাগছে মেয়েটাকে,বিদেশি মেম, আমাকেতো পাগল করে দিলে,,
ওর দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবনায় হারিয়ে গেলাম, কল্পনায় দেখছি,, ও আর আমি পুতুলদের বাসার ছাদে বেলে ড্যান্স করছি,,,
.
হঠাৎ নিলার কথায় হুস আসলো,,
নিলাঃ কি হলো, ওমন করে কি দেখছেন আমাকে,,, বাদাম দিন,,
আমিঃও কিছু না,,বাদাম নেও,,
.
বিকালটা ওকে নিয়ে গুরে সন্ধায় বাসায় আসলাম,,
.
ভাবিঃকি ঘুরতে কেমন লাগলো দুজনের,,
আমি ঃতোমার বোন সাথে থাকলে সারা জীবনই সুন্দর লাগবে,,,
ভাবিঃদুষ্ট একটা,, যা ফ্রেস হোয়ে আয়,,নাস্তা দেবো,,
আমিঃ ওকে,,,
.
আমি ফ্রেস হোয়ে আসলাম,,
.
রাতে ডিনার করে সুয়ে সুয়ে ভাবতে লাগলাম,,
যদি এই বিদেশি ম্যাম আমার হতো,, দিলটা খুশ হোয়ে যেতো,,
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে সুনি নিলা এখনো ঘুম থেকে উঠেনি,,
তাই সোজা চোলে গেলাম নিলার রুমে,
ওমা একি অবস্থা,, আমার এত লজ্জা লাগে ক্যারে,,
.
নিলাকে জাগাতে লাগলাম,,
.
নিলা হঠাৎ আমার হাতটা জড়িয়ে দরলো,
হায় হায় কি করবো এখন,,
এরপর নিলা কোলবালিস মনে করে আমাকে টেনে জরিয়ে দরলো,,
বাহ খারাফ না,,ঘুমের ঘোরে হলেও বিদেশি ম্যাম কে জড়িয়ে দরতে পারবো,,,
.
নিলা ঘুমের ঘোরে আমাকে কোলবালিশ মনে করে আস্টেপিষ্টে জড়িয়ে দরলো,,
আমি বাদ থাকবো কেনো, আমিও জড়িয়ে দরি,,
.
মেয়েদের শরিল এত নরম কেনো,, আমারতো ঘুমই চোলে আসছে,,
.
কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি, বুঝতেই পারি নি,,
আহ কি ঘুম রে,,
.
কিছুক্ষন পর হঠাৎ ব্যাথা পেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলাম,
তাকিয়ে দেখি আমি নিচে পরে আছি,,
কি ব্যাপার, আমি তো নিলাকে জড়িয়ে ছিলাম,, তাহলে নিচে কি করি,,
উপরে তাকিয়ে দেখি নিলা খাটের উপর বসে রাগে ফুশছে,, ,
আমিঃ কি ব্যাপার,, এই ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো,,
.
নিলাঃ আপনি আমাকে এইভাবে জড়িয়ে দরেছিলেন কেনো,,
আমিঃতোমাকে ডাকতে এসেছিলাম,,আর তখনই তুমি আমাকে টেনে জড়িয়ে দরলে,,তাইতো আমিও,,
নিলাঃলুচ্ছা ব্যাটা কোনহানকার,,,,তাই বলে আমার বুকের মাঝে ঘুমিয়ে যেতে হবে,,
আমিঃতোমার শরিল এত নরম যে আমার ঘুম চোলে এসেছিলো,,
নিলাঃ কি,,,
আমিঃ কই কি,, কিছু না,,,
নিলাঃতবেরে,
এই বলে নিলা আমাকে দৌরাতে লাগলো,,
সারা ঘর দৌরাচ্ছে,,
অবশেষে ভাবির পিছন গিয়ে লুকালাম,,,
.
নিলাঃআপু তুমি সরো,, আজ ওনার একদিন কি, আমার একদিন,,
ভাবিঃসকাল সকাল তোরা কি শুরু করলি,,,
নিলাঃতুমি সরোতো আপু ওনি সকাল সকাল কি করছে জানো,,
ভাবিঃ কি করেছে,,
নিলাঃওনি আমায়,,, আমি বলতে পারবো না,,তুমি সরোতো,
এই বলে যেই দরতে যাবে, তখন আবার দৌরে পালালাম,,
.
এ ঘর থেকে ও ঘর,,
অবশেষে আমার রুমে চোলে গেলাম,,
আয়হায় এবার কোথায় যাবো,,
নিলা দৌরে এসে ভার সামলাতে না পেরে আমাকে নিয়ে খাটে পরলো,,
ভাগ্যের কি খেলা,, ও আমার বুকে আর ওর ঠোটদুটো আমার আমার ঠোটের উপর,,
.
সুযোগ কি আর হাতছারা করা যায়,
ওর হাত দুটো চেপে দরে ঠোটে চুমুক দিয়ে দরলাম,,
নিলা ছোটার জন্য নরাচরা করছে,,
চুমুক দিয়ে দরতেই নিশ্বতব্দ হোয়ে গেছে,,
.
কিছুক্ষন পর ছেরে দিতেই নিলা আমাকে লাথি থাপ্পর যা পারলো দিলো,,
নিলাঃ লুচ্চা ব্যাটা একটা,
নিলা রুম থেকে দৌরে পালালো,,
.
কি ত্যাজ রে বাবা হাতে,,
সব জালিয়ে দিলো,,,……..
.
To Be Continue……..

.

গল্পটাকে কেউ খারাফ মাইন্ডে নেবেন না,

আমার পাগলি প্রেমিকা ১২তমপার্ট & শেষপার্ট

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ১২তমপার্ট & শেষপার্ট

………#জেএইসজনি
.
.
আনিসাঃ বান্ধুবিদের সাথে ছিলাম তো তাই মনে নেই,
সাইদঃআমি কিছুটা অভিমান করে বললাম,, এখানে আর আসছো কেনো,,যাও ওদের কাছে যাও,
এই বলে আনিসাকে বুক থেকে উঠাতে চাইলে, আনিসা আর একটু জোরে জড়িয়ে দরে বললো,, এর আগে বুক থেকে উঠানোর জন্য চিমটি কেটেছিলাম মনে নেই,, এবার কিন্তু আরো জোরে দেবো,
আনিসা আরো কিছুক্ষন সাইদ কে জড়িয়ে দরে থাকলো,,
.
আমি বাসর ঘরে ঢুকলাম,
নিলা এসে আমর পা ছুয়ে ছালাম করলো,,
আমি নিলাকে নিয়ে খাটে বসালাম,
.
কিছুক্ষন পর,
নিলা আমার বুকে মাথা রেখে কাদতে লাগলো,,
আমিঃ কি হোয়েছে তুমি কাদছো কেনো,
নিলাঃ আমি ভাবিনি আপনাকে এত সহজে পাবো,, সবসময় আপনাকে হারানোর ভয় হতো ,আপনাকে না পেলে আমার কি হতো,,এই নিয়ে চিন্তায় থাকতাম।
আমিঃএখন তো পেয়েছো,, এবার কান্না বন্ধ করো,,
নিলাঃ না, আজ সারা রাত কান্না করবো,,
আমিঃএ্যা, তাহলে বাসর করবো কখন,,
নিলাঃ কোনো কথা বলবেন না,, আমাকে কান্না করতে দিন,,আজ আমার খুশির কান্না।আপনাকে পাওয়ার কান্না।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি. নিলা গোছল করে ফ্রেস হোয়ে হাতে চা নিয়ে দারিয়ে আছে,,
.
টেবিলে চা রেখে বললো,, কি সাহেব ঘুম হোয়েছে,,
,
আমিঃ না,, এই বলে নিলার হাত টান দিয়ে বুকে এনে বললাম,, আরো ঘুমাবো,,
নিলাকে নিয়ে সুয়ে পরলাম,,
নিলা আমার বুকে মুখ গুজে আদুরে গলায় বললো,, চা ঠান্ডা হোয়ে যাবেতো, উঠে খেয়ে নিন,
আমি মন ভরে নিলার বেজা চুলের সুবাশ নিতে থাকলাম,,
.
নিলা ঃ কি হলো,,
আমিঃ অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করছে,,
নিলা বুঝতে পেরে বললো,,খাওয়াব,,,উঠবেনতো,
আমিঃহিম,,
নিলাঃ আছা, চোখ টা বন্ধ করুন,,
আমিঃ চোখ খোলা রাখি , তুমি দেও
.
নিলা ঃ না,আমার লজ্জা করে, চোখ বন্ধ করেন?
আমি ঃ আচ্ছা দেও,এই বন্ধ করলাম,
নিলা আমার ঠোটের সাথে ঠোট মিলিয়ে দিলো,,,
অনুভুতিটা প্রকাশ করার মতো না,,,
কিছুক্ষন পর ছেরে দিয়ে বললো, উঠেন এবার,,
আমিঃ তুমি বুকের উপর থেকে না উঠলে, আমি কিভাবে উঠবো,
নিলাঃআচ্ছা উঠছি,, চা খেয়ে ফ্রেস হোয়ে নিচে আসুন,
আমিঃ তুমি কিছু খেয়েছো,,
নিলাঃ না,, টেবিলে আসুন, সবাই এক সাথে নাস্তা করবো,,,
আমিঃ ঠিক আছে আমি আসছি,,,
,
নিলা চোলে গেলো,,
,,
ফ্রেস হোয়ে টেবিলে আসলাম,, নিলা সবাই কে খাবার বেরে দিলো,
মাঃ মা তুই ও বস।,
নিলাঃ না, মা, খান,, আমি পরে খাবো,, আপনাকে আরেকটু মাংশ দেই,,
মাঃলাগবে না, তুই বস,,
.
মা নিলাকে টেনে বসিয়ে দিলো,,
সবাই এক সাথে খেলাম,,
.তার পর
আমি আমি আমার কাজে চোলে গেলাম,,
নিলা পিছন থেকে বললো,, তারাতারি ফিরবেন,, আপনি আসলে একসাথে খাবো,,
আমিঃআচ্ছা,,
.আমি অফিসে চোলে গেলাম,
,,
অন্যদিকে আনিসা আর সাইদ গেলো পার্কে,, সেখানে গিয়ে দেখে,, মিরা রাহাতের কাদে মাথা দিয়ে বোসে আছে,,
দুজন মুখামুখি হতেই,
মিরা দারিয়ে বললো,, তুই এখানে, ,
আনিসা ঃ তলে তলে এত দুর, ভালো,, ভালো,
রাহাত ভাইয়া চালিয়ে যান,,
রাহাত লজ্জায়, মাথা নিচু করে আছে,,
মিরাঃ তুই যাতো মুটি,, তোর জন্য শান্তিতে একটু প্রেম ও করতে পারবো, না,,
আনিসা ঃরাহাত ভাইয়া মিরাকে একটু আদরও করে দিয়েন,,
মিরাঃ তুই যাবি ,
আনিসা চোলে গেলো,,
.
মিরা ঃএত লজ্জা পেতে হবে না, ওরা চোলে গেছে
রাহাতঃও
মিরাঃও কি,, ওরা কি বলে গেছে শুনেছেন,,
রাহাতঃকি,
মিরাঃ আদর করে দিতে বলেছে,
রাহাত ঃতুমিকি বাচ্চা নাকি,,
মিরা ঃ গাদা কোথাকার, আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না, আসেন কাদে মাথা রাখবো,
.
সাইদঃরাহাত ভাইয়াকে তো, আদর দিতে বললে, আমাকে বলবে না,,
আনিসা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো,, সব কি আপনাকে বলেদিতে হবে নাকি,,আপনি বুঝেন না।
সাইদঃ তা হলে কাছে আসো,, আদর দেই,,
আনিসাঃ ধ্যাত আপনি না, খুব দুষ্ট,,পাজি কোথাকার,,
দুজনেই হাসতে লাগলো,,
.
দুপুরে আমি অফিস থেকে একটু দেরিতে ফিরলাম,,
নিলা আমার জন্য না খেয়ে বসে আছে,,
আমি ঃ কি ব্যাপার খাওনি এখনো,
নিলাঃবললাম না আপনার সাথে খাবো,
আমিঃপাগলি, আমার আসতে কখনো কখনো দেরি হবে তাই বলে না খেয়ে বোসে থাকবে,,
নিলাঃ হুম না খেয়ে বোসে থাকবো,,
আমিঃআচ্ছা হোয়েছে হা করো,
নিলার মুখে ভাত দিয়ে বললাম,, এমন পাগলামি করবে না,, খিদা লাগলে খেয়ে নিবে,,,
নিলাঃ এইটা পাগলামি না,, এইটা ভালোবাসা,, আর এই পাগলামি না করলে আপনি কি এখন আমাকে খাইয়ে দিতেন,,
আমিঃ তুমি আসলেই পাগলি হা করো,,
.
দু সপ্তাহ পর মা-বাবার যাওয়ার সময় সময় হোয়ে গেলো,,
যাওয়ার সময় মা নিলাকে বললো,,
.
মাঃবৌউমা আবার এসে যেনো দাদু ডাক শুনতে পাই,
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো, লজ্জায়,,
.
রাতে নিলা আমার বুকে মুখ গুজে আছে,, আমি নিলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি,
নিলা মাথা উঠিয়ে, মুখটা আমার মুখের কাছে এনে বললো,, শুনছেন,
আমি ঃ হুম বলো,,
নিলাঃ বলছিলাম কি মাতো একা(নিলার মা) রাহাত ভাইয়াকে বিয়ে করিয়ে দিলে কেমন হয়,,
আমিঃহুম আমিও ভাবছিলাম,, তা মেয়েকি দেখবো,,
নিলাঃ মেয়ে দেখা আছে আপনি শুধু মার সাথে কথা বলুন,,
আমিঃআচ্ছা, তা মেয়েটা কে,,
নিলাঃ আমার বান্ধুবি আছে না,মিরা, সে,কেমন হবে,,
আমিঃখারাফ না, ভালোই,, তাহলে কাল যাই,
নিলাঃহুমস, আচ্ছা শুনুন আরেক টা কথা,,
আমিঃহিম বলো,
নিলাঃ আম্মা যাওয়ার সময় বলে গেছে তাকে যেনো আবার আসলে দাদু ডাক শুনাই,
আমিঃআচ্ছা সেই ব্যাবস্থা করবো,, পাগলি একটা,,
নিলাঃ আমার কিন্তুু ছেলে চাই,,
আমিঃ না,, তোমার মতো একটা পরি চাই,
নিলাঃ না, আপনার মতো একটা রাজ কুমার চাই,
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে,,
নিলাঃ আপনার নামের সাথে মিল রেখে আমাদের ছেলের নাম রাখবো জোহান।,,জনি জোহান,কত মিল,,নামটা সুন্দর না,,
আমিঃ হুম,,, পাগলি কোথায় কি,, আর তুমি এখনই নাম নিয়ে নাচা নাচি করছো,, ঘুমাও,,
.
পর দিন নিলার মার সাথে গিয়ে রাহাত আর আনিসা বিয়ের ব্যাপারে কথা বললাম,,
তিনি বললেন, আমি আর কি বলবো বাবা,, তুমি যেটা ভালো মনে করো,সেইটা করো,,
আমিঃ তার পরেও, আপনি মা,, আপনার মতামত টা আগে, আপনার কি মিরাকে পছন্দ হয়,?
নিলার মাঃ আমারতো ভালোই লাগে মেয়েটাকে,, তুমি বরং রাহাত কে জিগিসা করো,,
আমিঃ জি তাতো করবো ই,,
আচ্ছা আজ তাহলে আসি,,
.
দুপুরে মিরা আর রাহাত কে ডেকে আনালাম আমার বাসায়,,
নিলা আমাদের খাবার বেরে দিচ্ছে,,
মিরাঃ তুই বস আমাদের সাথে
নিলাঃ না, পরে খাবো,
মিরাঃ কেনো,,
নিলাঃ তুই বুঝবি না,,
মিরাঃও,
রাহাত ঃতা ভাইয়া আমাকে ডেকে আনালেন কেনো,,
মিরাঃ জি ভাইয়া হঠাৎ ডেকে আনালেন কেনো,,
আমিঃ একটা গুরুত্ব পূর্ণ কথা বলবো তাই ডেকে আনালাম,,
কথা টা হচ্ছে, তোমাদের দুজনের বিয়ে দিতে চাই,, নিলার মার সাথে কথা হোয়েছে আমার,, তোমাদের কোনো আপওি আছে,,
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে না বললো,,
আমিঃ তা হলে আর কি,,
বিয়ের জন্য রেডি হও,,সামনের সপ্তায় বিয়ে,,
.
মিরার আম্মুর সাথে আমি আর নিলা কথা বলে বিয়ের ডেট ঠিক করলাম,,
বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো,,
মিরা আর রাহাতের বিয়েটা দিয়ে দিলাম,,
আমি পরে জানতে পারলাম, মিরা আর রাহাতের আগেথেকে রিলেশন ছিলো,,
.
এর ভিতর বেশ কিছুদিন চোলে গেলো,,
নিলা প্রেগনেট,,
খবরটা শুনে বেশ খুশি হলাম,,,,
,,,
নিলার আম্মুকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসলাম, নিলার দেখাশুনার জন্য,,
নিলাকে এখন কোনো কাজই করতে দেই না, আমি।
,,
অফিসে কাজ করছি তখন বাসা থেকে আম্মা কল দিলো,,
আমিঃ জি আম্মা বলেন,,
আম্মা ঃ বাবা নিলার পেইন উঠেছে,, তুমি এম্বুলেন্স নিয়ে আসো জলদি,,
.
আমি তরিগরি করে এম্বুলেন্স নিয়ে
নিলাকে হসপিটালে নিয়ে গেলাম,,
নিলা ব্যাথায় কান্না করে দিয়েছে,,
ওকে শান্তনা দেওয়ার মতো ভাষা আমার নেই,,আমার চোখ দিয়েও পানি বের হোয়ে গেছে,, নিলার কষ্ট দেখে,,।
.
অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাচ্ছে নিলাকে,,
নিলা আমার হাত শক্ত করে দরে আছে,,
আমিঃ তোমার কিচ্ছু হবে না ভয় পেও না তুমি,
নিলাঃ আমার যদি কিছু হোয়ে যায়, আপনি আমার সন্তানকে দেখে রাইখেন,, আমার খুব ভয় করছে হাত ছারবেন না,,
আমি কান্না করে দিয়ে বললাম,, না, পাগলি এগুলো বলে না,, তোমার কিচ্ছু হবে না,
ডাক্তার রা আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিলো না,,
আমার কলিজাটা আনচান আনচান করছে,,
মা বাবাকে ফোন করে দিলাম,
ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে গেছে,,,
না জানি ভিতরে কি হচ্ছে,,
ইস্থির থাকতে পারছি না,,
,,
আনিসা রাহাত, মিরা সবাই চোলে এসেছে,,
বেশ কিছুক্ষন পর ডাক্তার বের হলো,,
আমিঃ ডাক্তার ডাক্তার আমার জানটার কি অবস্থা,, আমি একটু দেখবো,,
ডাক্তার ঃ কনগ্রাচুলেশন মিঃজনি,
আপনি ছেলের বাবা হোয়েছেন,, মিষ্টি রেডি করেন,,
ডাক্তার আমি একটু দেখবো,,
ডাক্তার ঃ যান ভিতরে গিয়ে দেখেন,,
.
আমি ভিতরে গিয়ে দেখি আমার জানটা আমার আরেকটা জান নিয়ে সুয়ে আছে,,
আমি কাছে যেতেই বললো,, বলেছিলাম না,, আমাদের ছেলে হবে,,
কি নিজের ছেলেকে কোলে নিবেন না,,
আমি নিলার কপালে একটা চুমু দিয়ে, আমার ছেলে জোহান কে কোলে নিলাম,, বাহিরে থেকে কে যেনো দাদু ভাই দাদুভাই বলে বলে ভিতরে আসছে,,
তাকিয়ে দেখি মা বাবা,,
মাঃ দে দেখি আমার দাদুভাইকে দে ,,
মা আমার কাছ থেকে নিয়ে গেলো,,
,,
এক সপ্তাহ পর নিলা কে বাসায় নিয়ে আসলাম,,
পাগলিটা অনেক খুশি,তার ছেলে হোয়েছে,, অফিসে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালাম,,
সাইদ তো সেই খুশি,,
তার বাতিজাকে কোলে কোলে রাখছে,,
সে আর আনিসা জোহান কে নিয়ে কারাকারি করছে,,
আমি আর নিলা হাসছি,,
.
নিলা আমার বুকে সুয়ে আছে,,
নিলা তার মুখটা আমার মুখের কাছে এনে বললো, আপনি তো এখন ছেলেকে পেয়ে আমাকে ভুলেই গেছেন,, আগের মতো আর ভালোবাসেন না,,আগের মতো আদর করেন না,,
.
আমি নিলার অভিযোগ শুনে একটু হেসে ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম,, এই যে,, আদর দিলাম,,
নিলা তার ঠোট দেখিয়ে বললো হবে না এখানে দেন,,
আমি নিলার ঠোটের সাথে ঠোট মিলিয়ে দিলাম,,
নিলা চুমুক দিয়ে দরেছে,,
ভালোবাসা সিহরিত হচ্ছি দুজন,,
ঠিক তখন পাস থেকে জোহান কেদে উঠলো,,
নিলা আমাকে ছেরে দিলো,
আমি হেসে বললাম,তোমার আদরে ভাগ বসাতে চায় তোমার ছেলে,
.
নিলা মুখ বেকিয়ে বললো,, হু আমার আদর ভালোবাসায় কাউকে ভাগ বসাতে দেবো না,,
হাসবেন না আপনি,, জোহান কে ঘুম পারিয়ে নেই, তার পর আপনার হাসা দেখাচ্ছি,,,
.
দেখতে দেখতে আমাদের জোহানের দূ বছর হোয়ে গেলো,,
.
নিলাঃ জোহান জোহান, এই জোহান কোথায় গেলি,,
দেখ কোথায় গিয়ে পালিয়ে ছে,,বের হ টেবিলের নিচ থেকে,, ছেলেটা ও হোয়েছে ওর বাবার মতো,,
জোহান ছুটছে,, নিলা জোহানের পিছু পিছু খাবার হাতে ছুটছে,,
আমি দেখছি আর হাসছি,,
.
এর ভিতর হঠাৎ একদিন, আনিসা বাসায় এসে কেদে কেদে সব বাসিয়ে ফেললো,,
.
নিলা ঃ কিরে কি হোয়েছে,, এভাবে কাদছিস কেনো,,
আনিসাঃসাইদের জন্য মেয়ে দেখছে আনটি,, আমি সাইদকে ছারা বাচবো না,, আত্মহত্যা করবো,,
আমিঃ সমস্যা নেই আমি পুলিশ আছি সব সামলিয়ে নেবো,,
নিলা আমাকে দমক দিয়ে বললো,, রাখেন আপনার ফাজলামো,,ওর জীবন যাচ্ছে, আর আপনি আছেন ফাজলামো নিয়ে,,আচ্ছা আনিসা তুই কাদিস না,,আমি আর উনি আম্মা আব্বার সাথে কথা বলবো,,
.
তারপর আর কি,
নিলা মাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সাইদ আর আনিসার বিয়েটা দিয়ে দিলো,,
নিলা খুব খুশি, আনিসাকে তার জাল হিসেবে পেলো,,
.
আমিঃ কি এত খুশি কেনো?
নিলাঃ চোখটা বন্ধ করেন, তারপর বলছি,,
চোখটা বন্ধ করতেই নিলা তার ঠোট আমার ঠোটের সাথে চেপে দরলো,,
চুমুক দিয়ে দরেছে নিলা,, ঠোট যেনো ছিরে ফেলতে চাচ্ছে,,
ভালোবাসার গভিরে হারিয়ে যাচ্ছি আমরা,
ঠিক তখনই জোহান বললো,, আব্বু আম্মু আমি কিন্তু দেখছি,,
নিলা আমাকে ছেরে দিয়ে বললো কি দেখেছো সোনা,, যাও বাহিরে গিয়ে খেলো,,
.
আমি ঠোটে হাত দিয়ে দারিয়ে আছি,, ঠোট জোরা লাল করেফেলেছে,,
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ছেলেটা হোয়েছে ঠিক
ওর বাবারর মতো দুষ্ট,,
জোহানঃএহ আমি দুষ্ট না,,
আমি আর নিলা হেসে দিলাম,,
.
ভালোবাসায় ভরপুর আমাদের সংসার,
মিরার একটা মেয়ে হোয়েছে,,
আনিসারাও সুখে আছে,,,
.
সবাই সুখে থাকুক, এটাই প্রত্যাশা..
.।
.
.
………….সমাপ্ত…………..

আমার পাগলি প্রেমিকা ১১তম পার্ট

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ১১তম পার্ট

…….#জেএইসজনি..
.
.
.
.
মা তার হাত থেকে একটা আংটি খুলে নিলার হাতে পরিয়ে দিলো,,
মানে আংটি বদলের কাজ টা সেরে ফেললো,,তারপর হাত থেকে মা তার নিজের হাতের বালা দুটো খুলে বললো,, দেখি মা তোর হাতটা,, সুন্দর করে নিলার হাতে পরিয়ে দিয়ে বললো, এই বালা জোরা আমাদের বংশের গৌরব, ,আমার শাশড়ি আমাকে দিয়েছিলো,, আজ আমি তোকে দিলাম,, এর মান রাখবি কিন্তু,
.
নিলা খুশিতে মাকে জড়িয়ে দরে কেদে দিলো, এত সহজে মেনে নিবে তা কখনো ভাবে নি,,
মা নিলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো, ছি এই খুশির দিনে কেউ কাদে, পাগলি একটা,
.
নাহ সাইদ কে তো একটা থ্যাংকস দেওয়া দরকার, ও আমার অনেক বড় উপকার করলো,,
.
আমি সেখান থেকে উঠে বাসার ভিতরে সাইদকে খুজতে লাগলাম,,
কোথায়ও খুজে না পেয়ে অবশেষে বারান্দায় গেলাম,,
.
সেখানে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখেতো আমি অবাক.
দেখি আনিসা সাইদের কাদে মাথা দিয়ে বসে আছে,
.
আমাকে দেখে ওরা বেশ ভয় পেয়ে গেলো,,
দুজন মাথা নিচু করে দারিয়ে আছে,,
.
আমি কিছু বলবো তার আগেই নিলা পিছন থেকে বললো,,
কি হোয়েছে,,,
নিলা ওদের দেখে ব্যাপার টা বুঝতে পারলো,, তাই আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,,খবর দার ওদের কিছু বলবেন না।,,
নিলা ওদের কাছে যেতেই ওরা নিলার পিছন লুকালো,,
.
আমিঃ তা তোমাদের এসব চলছে কবে থেকে,,,
নিলাঃ আমি বলছি,, এর আগে যখন সাইদ এসেছিলো তখন থেকে,,,
আমিঃ ও।ভালো,,ওর পিছন থেকে এবার দুজন আমার সামনে আসো,,
.
দুজন আমার সামনে আসলো,, ভয়ে মাথা নিচু করে রেখেছে,,,
আমি ঃ তা আমার আগে বিয়ে করার নিয়ত আছে নাকি তোমাদের,,
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মাথা নারিয়ে না বললো,,
নিলা ঃ কি শুরু করেছেন আপনি,,
ওদের একা থাকতে দেন,,আর আপনি আমার সাথে চলেন, কথা আছে আপনার সাথে,,
.
নিলার পিছন পিছন আমি নিলার রুমে গেলাম,,
রুমে যেতেই নিলা আমাকে জড়িয়ে দরে কেদে দিলো,,
.
আমি ঃ এই পাগলি কি হোয়েছে তোমার আবার,,
নিলা কান্না মাখা কন্ঠে বললো,, আমি ভাবতে পারিনি এত সহজে সব কিছু হবে,, আমার মার মতো একটা মা পেলাম, বাবার মতো একটা বাবা পেলাম,, এত সুখ কি আমার সইবে,,,
.
নিলার মাথাটা উচু করে কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম,, পাগলি একটা, এর জন্য কাদতে হয়,, এখন হাতটা দেখি,,
পকেট থেকে একটা আংটি বের করে নিলার হাতে পরিয়ে দিলাম,,
আমিঃ এটা হলো,আমার পক্ষ্য থেকে,, নিলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,,
আমিঃ আমাকে পরাবা না,,,
নিলাঃ একটু অপেক্ষা করেন,,
এই বলে নিলা গিয়ে তার ডয়ার খুলতে লাগলো,,
আমিঃএই পাগলি কি করছো তুমি, আরে আমি তো এমনেই বলেছি,,
.
নিলা ডয়ার থেকে একটা আংটি বের করে আনলো,,
নিলাঃ দেন হাতটা দিন,,
.
নিলা আমার হাতে একটা আংটি পরিয়ে দিলো,
আমিঃতুমি আংটি পেয়েছো কোথায়?
নিলা ঃএটা আমার বাবার দেওয়া স্মৃতি,,
আমি ঃ তোমার বাবার দেওয়া স্মৃতি তুমি আমাকে দিচ্ছো কেনো,, এটা তোমার কাছে রেখে দাও,, তোমার কাছেই ভালো মানাবে,,
এই বলে যেই খুলতে যাবো, তখন নিলা বললো,, খবরদার খুলবেন না এটা,, এটা আমার প্রিয় মানুষের কাছে অযত্নে থাকবে না, ,খুব যত্নে থাকবে,,
তাছারা আমি নিজেকে কখনো আপনার কাছ থেকে আলাদা ভাবছি নাকি,,
আমি নিলাকে আলতো করে জরিয়ে দরে বললাম, আমার পাগলিটাতো দেখি খুব কথা শিখেছে,,
নিলাঃ দেখতে হবে না কার হবু বৌউ আমি,,,
কিছুক্ষন পর,
নিলাঃ হইছে এবার ছারেন, আম্মা – আব্বার জন্য খাবার রেডি করতে হবে,,,মা একা পারবে না,
আমিঃ আচ্ছা যাবে তো যাও,, তার আগে একটা পাপ্পি দিয়ে যাও,,
নিলাঃ ধ্যাত,, আমার লজ্জা লাগে,
.
আমিঃতাহলেতো ছারছি না,,
নিলাঃআচ্ছা চোখ বন্ধ করেন,,
আমি চোখ বন্ধ করতেই নিলা একটা পাপ্পি দিলো, তারপর নাকটেনে দিয়ে চলে গেলো,,
.
কিছুক্ষন পর নিলা চা হাতে রুমে প্রবেশ করলো,,
নিলাঃআপনার চা, ,
.
নিলা আমার হাতে চা দিয়ে আবার নিয়ে একটু খেয়ে আমর হাতে দিলো,,
নিলাঃ নিন এবার খান,,
আমিঃ ওর নাকটা টেনে দিয়ে বললাম পাগলি একটা,,
নিলাঃ শুধু আপনার,,
,, নিলা চোলে গেলো,,
মেয়েটা আজ অনেক খুশি মনে হচ্ছে,,
.
রাতে সবাই এক সাথে খেতে বসলাম,, তখন
মা বললো,, আরে বেয়াইন সাহেবা আপনি বসেন আমাদের সাথে,,
নিলার মা ঃ না বেয়াইন আপনার খান, আমি বেরে দিচ্ছি,,
মা নিলার মাকে হাত দিয়ে টেনে বসালো, আর নিলাকে মার পাসে বসালো,,
.
খেতে খেতে আমার আব্বু বললো,,
বেয়াইন সাহেবা আমরা কিন্তু ওদের বিয়ে এক সপ্তাহর মধ্যেই পরাতে চাচ্ছি,, কি বলেন,,
.
নিলার মাঃআমি আর কি বলবো বেয়াই সাহেব, আপনারা যা ভালো বোঝেন তাই করেন,,
আব্বু ঃ তাহলে সামনের সপ্তায় শুভ কাজটা ছেরে ফেলি,,
আমাদেন উদ্দেশ্য করে বললো, ,
তোদের কোনো আপওি আছে,,
আমরা না জানালাম,,
.
মা ঃ তা হলে, জনি তুই কালকেই নিলা মাকে নিয়ে বিয়ের কেনাকাটা শুরু করে দে,,
আমিঃ জি মা।
.
রাতে খেয়ে বিদায় নিলাম মা বাবা আর সাইদ সহ,
.
পর দিন নিলাকে বাসা থেকে এসে নিয়ে গেলাম,, সাথে আনিসা আর সাইদ আছে,, শফিংমলে গিয়ে সাইদ কে বললাম তুই আনিসা কে নিয়ে ওদিকে যা,, যা যা কিনার কিন, বিল আমি দেবো,
সাইদ আনিসা কে নিয়ে চোলে গেলো অন্যপাসে,,
.
আমি নিলাকে নিয়ে শাড়ির দোকানে ঢুকলাম,,
আমিঃএই আমাদের কিছু শাড়ি দেখান তো,,
.
নিলা দেখো তো কোনটা পছন্দ হয় তোমার,,
নিলা কিছুটা রেগে বললো, একবার বলেছিনা, আপনার পছন্দই আমার পছন্দ,,
.
আমি একটা শাড়ি নিলার মাথায় দরে বললাম, বাহ বেশ মানাবেতো আমার মায়াবতীটাকে,,
নিলা লজ্জা পেয়ে মাথাটা নিচু করে ফেললো,,
তাহলে এই শাড়িটা নেই বিয়ের জন্য,
নিলা মাথা নারিয়ে হ্যা জানালো,,
,
আমিঃআচ্ছা এই শাড়ি গুলো বাসায় পরার জন্য দেখোতো,
আমি পাচটা শাড়ি পছন্দ করে সেগুলো প্যাক করে দিতে বললাম,
.
সেখান থেকে লেডিস সফে ডুকলাম,
সেখানে নিলার যা যা দরকার তা নিলো,,
.
অন্যদিকে সাইদ আনিসাকে
একটা ল্যাহেঙ্গা দেখিয়ে বললো, দেখোতো এইটা পছন্দ হয় কিনা,,
আনিসা কিছুটা রেগে বললো,
বিয়েতে কি আমি এইটা পরবো,,
সাইদঃ কেনো কি হোয়েছে,
আনিসাঃ আপনার মাথা হোয়েছে,, শাড়ি দেখান বিয়েতে শাড়ি পরবো,,
.
সাইদ ঃআচ্ছা তাহলে এই আকাশি কালারে শাড়িটা দেখো,,
আনিসা ঃ আপনার মন মতো একটা নেন,,
সাইদঃ আচ্ছা তাহলে এইটাই নেই,,
আনিসা ঃ এবার চলুন এটার সাথে ম্যাচিং করে আপনার একটা পান্জাবি কিনবো,,
.
আমিঃ অবশেষে কিনাকাটা করে কাউন্টারে সাইদের জন্য অপেক্ষা করছি, কিছুক্ষন পর তারাও চোলে আসলো,,
বিল পেমেন্ট করে ওদের নিয়ে রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেলাম,,
.
তারপর ,
.
আমিঃসাইদ তুই আনিসা কে বাসায় পৌছে দিয়ে আয়,, আমি তোর ভাবি কে বাসায় দিয়ে আসছি,,,
সাইদঃ ঠিক আছে , এই চলো,,
সাইদরা চোলে গেলো,,
আমি ঃ চলো,,
নিলাঃনা আমি বাসায় যাবো না, আমি আপনার সাথে যাবো, আম্মা কে দেখবো,,,
আমি ঃআচ্ছা চলো,,
নিলাকে নিয়ে বাসায় গেলাম,,
নিলা মাকে গিয়ে জড়িয়ে দরলো,,
মাঃ আমার মেয়েটার কিনাকাটা হলো,,
নিলাঃ জি আম্মা,,
.
বিকালে নিলাকে তার বাসায় পৌছে দিলাম,,
.
আছতে আছতে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসলো,, আমার আত্নীয় সজনদের দাওয়াত দিলাম,,
পুলিশে কিছু অফিসারদের দাওয়া করলাম,,
..
আজ আমাদের বিয়ে, যাকজমক ভাবে বিয়েটা হোয়ে গেলো,,
.
অন্য দিকে সাইদ আনিসা কে খুজে হয়রান,,
সাইদ ঃ এইতো সুন্দরি পেয়েছি তোমাকে,,
আনিসা পাস দিয়ে যাওয়ার সময় টান মেরে বুকে নিয়ে আসলাম,।
.
আনিসা ভয় পেয়ে গেলো,,
আমিঃআরে আমি,
আনিসাঃ ও আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম,,

আমিঃতোমার তো কেনো খোজ নেই,
আমার কথা একটুও মনে নেই,
.
আনিসাঃ বান্ধুবিদের সাথে ছিলাম তো তাই মনে নেই,
সাইদঃআমি কিছুটা অভিমান করে বললাম,, এখানে আর আসছো কেনো,,যাও ওদের কাছে যাও,
এই বলে আনিসাকে বুক থেকে উঠাতে চাইলে, আনিসা আর একটু জোরে জড়িয়ে দরে বললো,, এর আগে বুক থেকে উঠানোর জন্য চিমটি কেটেছিলাম মনে নেই,, এবার কিন্তু আরো জোরে দেবো,
আনিসা আরো কিছুক্ষন সাইদ কে জড়িয়ে দরে থাকলো,,
.
আমি বাসর ঘরে ঢুকলাম,
নিলা এসে আমর পা ছুয়ে ছালাম করলো,,
আমি নিলাকে নিয়ে খাটে বসালাম,
.
কিছুক্ষন পর,
নিলা আমার বুকে মাথা রেখে কাদতে লাগলো,,

আমিঃ কি হোয়ে তুমি কাদছো কেনো,
নিলাঃ আমি ভাবিনি আপনাকে এত সহজে পাবো,, সবসময় আপনাকে হারানোর ভয় হতো ,
আমিঃএখন তো পেয়েছো,, এবার কান্না বন্ধ করো,,
নিলাঃ না, আজ সারা রাত কান্না করবো,,
আমিঃএ্যা, তাহলে বাসর করবো কখন,,
নিলাঃ কোনো কথা বলবেন না,, আমাকে কান্না করতে দিন,,
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি……
.
……চলবে…….
.
.
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।

আমার পাগলি প্রেমিকা ১০ম পার্ট 

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ১০ম পার্ট

……#জেএইসজনি..
.
.
.
সাইদঃ রাতে শুয়ে আছি, তখন আনিসার কথা মনে পরলো,,
তাই আনিসার নাম্বারে ফোন দিলাম,,
.
দুবার রিং হোওার পর রিসিব করলো,
আনিসা ঃহ্যালো,কে বলছেন,
ওর কন্ঠ শুনে বুঝলাম, কুচ গরবর হে,
কান্না করেছে মনে হয় অনেক,,
ভাঙ্গা কন্ঠে আবার বললো, কি হলো কথা বলছেন না কেনো, কে আপনি,,
আমিঃআমি সাইদ,,
আমার নামটা শুনে, আনিসা তেলেবেগুনে জলে উঠলো,,
আনিসা ঃআমার কাছে ফোন দিয়েছেন কেনো,,
সাইদঃ তো কার কাছে দিবো,,
আনিসা কিছুটা চাপা কান্না করে বললো,কেনো,আপনার পরি আছেনা, তার কাছে ফোন দিবেন,
সাইদঃ সেতো আমাকে ভুল বুঝেছে, শুধুমাএ একটা মিথ্যা কথা বলেছি বলে,,এখন আমাকে বকা দিচ্ছে,,
আনিসাঃ ডং করবেন না আমার সাথে,,
সাইদঃ আচ্ছা, তুমিকি বোকা, কিচ্ছু বোঝ না,,
আনিসা এবার কেদে দিয়ে বললো হ্যা
আমি বোকা হোয়েছে, ফোন রাখেন,,
,টুটটুটটুট….
.
আনিসা কল কেটে দিলো,
.
সাইদঃ যা বাবা, কেটে দিলো,, রেগে আছে খুব,,
ফোনটা পাসে রেখে শুয়ে পরলাম,,
.
কিছু সময় পর ফোনটা আবার বেঝে উঠলো,
হাতে নিয়ে দেখি আনিসা ফোন দিয়েছে,
আনমনে হেসে দিলাম আমি
রিসিব করে চুপ করে থাকলাম,,
.
আনিসাঃ কি হলো, কথা বলেন না কেনো,,
সাইদঃ কি বলবো, তুমি তো আর কথা বলবে না,
আনিসাঃবললাম না, বেশি ঢং করে কথা বলবেন না,,
সাইদঃও,আমি ঢং করে কথা বলি, ঠিক আছে, আমি তো ঢং করে কথা বলি, আমার সাথে কথা বলা লাগবে না,,
এই বলে,কলটা কেটে ফোন বন্ধ করে সুয়ে পরলাম,, দেখি ও কি করে,,,
,,,
সাকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম,,
আসলে রাতে ঠিক মতো ঘুম হয়নি তো তাই,,
.
আড়মোরা দিয়ে হালকা চোখ মেলে জাপসা জাপসা দেখতে লাগলাম,
কেউ আমার পায়ের কাছে বোসে আছে,,, ভাবলাম ভাইয়া হবে হয়তো,
তাই চোখটা আবার একটু বন্ধ করলাম,,
তখনই কে জেনো পায়ে জোরে একটা চিমটি কাটলো,,
উ করে চিৎকার করে উঠে বসলাম,,
.
পায়ের কাছে লোকটাকে দেখেতো আমি ভিষম খেলাম,,
পায়ের কাছে আর কেউ নয়, আমার ঘুম কেরে নেওয়া পরি আনিসা,,
.
আনিসা আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে,,
চোখটাও ফুলা,,,
.
সাইদঃ তু তুতি এখানে,,
আনিসা ঃ তো,
সাইদঃ ভাইয়া কোথায়,
আনিসা ঃওনাকে অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি,
আমিঃও,
আনিসাঃও কি হুম, ও কি,,রাতে ফোন কাটলেন কেনো,,
সাইদঃ ভাবলাম তুমি বিরক্ত হও বুঝি, তাই কেটে দিলাম,,
আনিসা কিছুটা কান্না কান্না ভাব করে বললো,হ্যা এখন কত কিছু ভাববেন,, থাকেন আপনি, আমি যাই,,
সাইদঃ ও উঠে যেতে চাইলে আমি ওর হাত দরে টান দিয়ে আমার উপর এনে ফেললাম,,
ও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,
আমি বললাম, এত জিদ কেনো তোমার,,
আনিসা কিছুটা রেগে বললো, ছারেন আমাকে, আপনি আপনার পরিকে কে গিয়ে দরেন, ছেরে দেন আমাকে,
সাইদঃআমিতো আমার পরিকে দরেছি,,
আনিসাঃ কে আপনার পরি, আমি কারো পরিনা,,
সাইদঃআনিসাকে একটু চেপে দরে বললাম, হাহাহা পাগলি একটা,তুমি বোঝনা,
আচ্ছা একটা কথা বলোতো, তুমি কি আমাকে ভালোবাসো, ?
.
আনিসা ঃকিছুটা অভিমান করে বললো,….না,
সাইদঃ আমি কিছুটা আহত ভঙ্গিতে বললাম, ও আমি তো ভাবলাম তুমি হয়তো আমাকে ভালোবাসো,,
এই বলে আনিসাকে যেই বুক থেকে উঠাতে যাবো, তখনই আনিসা বুকে একটা জোরে চিমটি কাটলো,,
সাইদঃআউ, কি করলে এটা, ব্যাথা পেয়েছিতো,
আচ্ছা এবার উঠো,,
আনিসাঃআবার একটা দিবো কিন্তু,,
.
কিছুখন পর,,
আনিসাঃনাস্তা করছেন,,
আমি ঃনা,,
আনিসা উঠে যেতে চাইলে আমি বললাম, থাকো না এইভাবে জড়িয়ে আর একটু, ভালো লাগছে তো,
.
আনিসা আর কিছুক্ষণ থেকে উঠতে উঠতে বললো, হইছে এবার উঠে ফ্রেস হোন আমি নাম্তা রেডি করছি,, নাস্তা খেয়ে আপনাকে নিয়ে আমদের কলেজে যাবো,,
.
আমি উঠে ফ্রেস হোতে চোলে গেলাম,,
ফ্রেস হোয়ে এসে দেখি নিলা নাস্তা রেডি করেছে,, তাই খেতে বসলাম,,
.
আনিসা কিছুটা অভিমানের সুরে বললো, একা একাই খান, আমি যে কাল হোতে না খেয়ে আছি তার কোনো খোজ নেই,
,
সাইদঃএদিকে আসো,
আনিসাঃ না লাগবেনা, আপনি একাই খান,,
সাইদঃ আমি ওকে টেনে পাসে বসালাম ,এবার হা করো,,,
আনিসাকে, খাইয়ে দিলাম,,
,,
চলো এবার তোমার কলেজে,,
.
রিক্সা নিয়ে আমি আর আনিসা ওর কলেজে চোলে গেলাম,,,
,,.
কলেজে গিয়ে দেখি,, ভাবি আর মিরা বোসে আছে মাঠে,,,
আমাদের এক সাথে দেখে, ভাবি অবাক না হলেও মিরা কিছুটা অবাক হোয়েছে,,
আনিসা আমার হাত দরে কলেজে ভিতর আসলো,,
.
নিলাঃ কি রাগ তাহলে কমেছে,,
সাইদ ঃ না কমে যাবে কোথায়,,
নিলাঃ কিরে আনিসা, শেষ পর্যন্ত আমার দেবর কে বেছে নিলি,,
.
আনিসা বেস লজ্জা পেয়ে গেলো,,
মিরাঃ কিরে আনিসা, তুই আমাকে না বলে এটা করতে পারলি,,
.
আনিসাঃতুই করিস নি মুটি, তুইতো তো আমাকে না বলে রা….
মিরাঃ হইছে থাম থাম,
.
নিলাঃ তা আমার ভাইটা কি খাবে,,
সাইদ ঃআবাদতো কিছুই খাবো না,, ওকে নিয়ে একটু ঘুরে আসি,,
..
নিলাঃ আচ্ছা যাও,,
,,
আমি আর আনিসা একসাথে ঘুরতে বের হলাম,,
সারাদিন ঘুরলাম,, তারপর বাসায় চোলে আসলাম,,
.
দেখতে দেখতে সাইদের যাওয়ার সময় হোয়ে গেলো,
.
রাতে আমি আর সাইদ খেতে বসেছি, তখন সাইদ বললো,,
সাইদঃ ভাইয়া কাল আমি চোলে যাবো,,

আমিঃসে কি,, আর কিছুদিন পরে যা, ,
সাইদ ঃ না ভাইয়া, তুমি তো যানোই বাসায় ছেলে বলতে আমি একজনই, তুমি তো থাকো এখানে,
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,.

খাবার খেয়ে সাইদ ঘুমাতে গেলো,,.
.
সাইদঃকাল চোলে যাবো, আনিসাকে যানানো দরকার,,, তাই আনিসার মোবাইলে কল দিলাম,,
.
আনিসা ঃএত ক্ষনে মনে পড়লো আমার কথা,,
সাইদঃ শোনো কাল আমি চোলে যাবো,
আনিসা চুপ হোয়ে আছে,,
সাইদঃ কি হলো কথা বলছো না কেনো,,
আনিসা কান্না চাপিয়ে রেখে বললো,, ইচ্ছা হয়েছে এসেছেন ইচ্ছা হোয়েছে চোলে যাবেন,, আমাকে বলার কি আছে,,
সাইদঃ বুঝলাম ও খুব অভিমান করেছে,,
আচ্ছা রাগ করো না,আবার আসবো তো,,কি হলো কথা বলছোনা কেনো,,
.
আনিসা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্ন করছে
সাইদঃকান্না করছো কেনো,,
আবার আসবো তো, আচ্ছা কাল পার্কে দেখা করো সকালে,,
আনিসা কিছুই বললো না, ফোনটা কেটে দিলো,, হয়তো কান্না করবে,,
.
পরদিন সকালে দুজন পার্কে বসে আছি,,

আনিসা কিছুই বলছে না, চুপ করে আছে,,
সাইদঃ আমি আনিসাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে বসে আছি,,
সাইদঃ কি হোয়েছে মন খারাফ, আরে আমিতো আবার আসবো, তাছারা মোবাইলেতো কথা হবেই,,এবার একটু হাসো,,
.
আনিসাঃতাহলে আমাকে কথা দিতে হবে খুব তারাতারি আসবেন,,
সাইদঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,

.
বিকালে সাইদ কে এগিয়ে দেওয়ার জন্য আমি নিলা আর আনিসা গেলাম বাস স্ট্যান্ডে,,
.
সাইদঃ আচ্ছা ভাইয়া আমি গেলাম, ভালো থেকো,
ভাবি তুমিও ভালো থেকো,,
আমিঃসাবধানে যাস , আর মা-বাবাকে আমার সালাম যানাস,
,,
সাইদঃ ভাইয়ার সামনে আনিসার সাথে কথা বলতে পারছি না, সেটা ভাবি বুঝতে পারলো,, তাই ভাইয়াকে নিয়ে অন্যপাশে চোলে গেলো,
আমি আনিসার কাছে গেলাম ,,
মেয়েটা কেদে দিবে এখনই মনে হয়,,
কাছে যেতেই সত্যিই জড়িয়ে দরে কেদে দিলো,,
সাইদঃ আরে পাগলি কাদছো কেনো, খুব তারাতারি চোলে আসবো তোমাকে দেখতে,,
আনিসার মুখটা উচু করে কপালে একটা চুমু দিলাম,,
এবার আসি, ভালো থেকো,,
আনিসাঃ সাবধানে যাবেন,, গিয়ে আমাকে কল দিবেন,,
সাইদঃ আচ্ছা যাই,খোদা হাফেজ,,
.
সাইদ চোলে গেলো, আর আমরা আমাদের মতো চোলে আসলাম,,
.
এভাবেই দিন গুলো চলতে লাগলো,
,
দু দিন পর নিলার কলেজে চোলে গেলাম,,
নিলা আমাকে দেখে বললো, কি ব্যাপার আপনি হঠাৎ ,,,

আমিঃক্যানো খারাফ লাগছে,
নিলাঃ ধ্যাত, সবসময় উল্টা বোঝে, আপনি আসবেন আমাকে বলেন নি সেইটা বলছি,,
আমিঃ তোমাকে দেখতে মন চাইলো তাই চোলে এসেছি,,চলো,,?
নিলাঃ কোথায়?
আমিঃ ঘুরবো,
.
নিলা আর কিছু না বলে আমার সাথে গাড়িতে গিয়ে বসলো,,
ওকে নিয়ে বড় একটা শফিংমলে ডুকলাম,,
নিলাঃএখানে আসলেন কেনো,
আমিঃ কেনাকাটা করবো,,
নিলাঃও,,
.
ওকে নিয়ে একটা শাড়ির দোকানে গেলাম,,
নিলাঃএখানে আসলেন কেনো, এটা তো মেয়েদের,,
আমি ঃ আমি আমার জানটার জন্য কেনাকাটা করতে আসছি,,
.
এই শাড়ি দেখান তো,
আচ্ছা নিলা তোমার কেমন শাড়ি পছন্দ, এখান থেকে পছন্দ করো,,
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
আমার কিছু লাগবেনা,, কিছুই চাওয়ার নেই, শুধু একটা জিনিস চাই সেটা হলো আপানাকে,,
আমিঃ হইছে এত ভালোবাসা দেখাতে হবে না, এখন পছন্দ করো,,
নিলাঃ আপনার পছন্দই আমার পছন্দ,,,
আমিঃ আচ্ছা, তাহলে এই কালো শাড়িটা দেখো,, খুব মানাবে তোমায়,,
নিলাঃহ্যা খুব ভালো,,
এইটা প্যাক করে দেন,,
,,
ওখান থেকে সোজা একটা রেস্টুরেন্টে চোলে গেলাম, নিলার পছন্দ মতো খাবার ওয়াডার দিলাম,,
দিনটা ওকে নিয়ে গুরেফিরে কাটিয়ে দিলাম,,
,,,
কিছুদিন পর,,
আমি অফিসে বসে কাজ করছি,,
বিকাল হবে,মনে হয়,,
তখন নিলা কল দিলো,,

.
আমিঃ হ্যা নিলা বলো,,
.
নিলা তরিগরি করে বললো আব্বা আম্মা আসছে,,
,,
নিলার কথা শুনে ঘাবরে গেলাম, ওর কথায় কিছুটা খুশি আর ভয় শুনতে পেলাম,,
আমিঃ কি বলো এসব, তোমার বাবা কবর থেকে উঠলো কিভাবে,,
নিলাঃ আরে গাদা আপনার বাবা মা মানে আমাদের বাবা মা,,,
.
এবার আমি ভয় পেয়ে গেলাম,,
আমিঃ বলোকি বাবা মা ওখানে গেলো কি করে,, আর আসলে তো আমাকে জানাতো,,দেখো এরা অন্য কোনো লোক,,
নিলাঃ আরে না, ওরা আমাদের বাবা মা ই,,সাথে সাইদ ও আছে,,
.
এবার তো পুরো গেছি,, আল্লা গেছি,
নিলাঃ কি হলো চুপ করে আছেন ক্যানো,,আপনি তারাতারি আসেন, আমার খুব ভয় করছে,,

নিলাঃ আচ্ছা তুমি চিন্তা করো না আমি আসছি,,
.
আমি তরিগরি করে নিলাদের বাসায় চোলে গেলাম,,
ভিতরে গিয়ে দেখি বাবা মা তাদের মাঝে নিলাকে নিয়ে বোসে আছে,,
নিলাকে মা এক হাত দিয়ে বুকে মাজে দরে রেখেছে,,সামনে নিলার মার সাথে কি যেনো কথা বলছে আর হাসছে,
.
আমি কাছে যেতেই, মা উঠে এসে আমার কান দরলো,
আমিঃ আহ মা লাগছে তো,
মাঃলাগুক,তুই এখানে এসে মেয়ে পছন্দ করেছিস, অথচ আমাদেরর বলিস নি,,সাইদ যদি না বলতো তাও তো জান্তাম না,,
.
নিলা সহ সবাই আমাদের মা ছেলের কান্ড দেখে হাসছে,,
.
আমিঃ সরি মাই ডিয়ার মাদার,,
মাঃ হোয়েছে আর ডং করত হবে না,, তবে মেয়েটাকে কিন্তু আমার খুব পছন্দ হোয়েছে,,
নিলার মার দিকে তাকিয়ে বললো,,
“বেয়াইন সাহেবা,আজ থেকে নিলা কিন্তু আমার ও মেয়ে,, কিরে হবি না আমার মেয়ে,,
..
নিলা নিচের দিকে তাকিয়ে মাথা নারিয়ে হ্যা বললো,
মাঃ পাগলি মেয়ে আমার,, মার কাছে এত লজ্জা পেতে হয়,,
.
মা তার হাত থেকে একটা আংটি খুলে নিলার হাতে পরিয়ে দিলো,,
মানে আংটি বদলের কাজ টা সেরে ফেললো,,তারপর হাত থেকে মা তার নিজের হাতের বালা দুটো খুলে বললো,, দেখি মা তোর হাতটা,, সুন্দর করে নিলার হাতে পরিয়ে দিয়ে বললো, এই বালা জোরা আমাদের বংশের গৌরব, ,আমার শাশড়ি আমাকে দিয়েছিলো,, আজ আমি তোকে দিলাম,, এর মান রাখবি কিন্তু,
.
নিলা খুশিতে মাকে জড়িয়ে দরে কেদে দিলো, এত সহজে মেনে নিবে তা কখনো ভাবে নি,,
মা নিলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো, ছি এই খুশির দিনে কেউ কাদে, পাগলি একটা,

.
নাহ সাইদ কে তো একটা থ্যাংকস দেওয়া দরকার, ও আমার অনেক বড় উপকার করলো,,
.
আমি সেখান থেকে উঠে বাসার ভিতরে সাইদকে খুজতে লাগলাম,,
কোথায়ও খুজে না পেয়ে অবশেষে বারান্দায় গেলাম,,
.
সেখানে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখেতো আমি অবাক……..

…….চলবে….

আমার পাগলি প্রেমিকা ৯ম পার্ট

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ৯ম পার্ট

……#জেএইসজনি
.
.
.
আমিঃ আচ্ছা নিলা তোমার আম্মুকে ডাক দেও আমরা চোলে যাবো এখন,,
.
নিলা বুকের ভিতর থেকে মাথা বের করে বললো,
কি বলেন এসব, ছোট ভাইয়া আজ প্রথম এসেছে আমাদের বাসায়, না খাইয়ে যেতে দেবো নাকি,,
সাইদঃভাবি ছোট ভাইয়া ডাক এইটা আবার কি, নাম দরে তুমি বলে ডাকবা, না হয় ভাইয়ার মতো ছটু বলে ডাকবা,,
নিলঃ ঠিক আছে আমার ছোট লক্ষি ভাই,, তবে না খেয়ে কিন্তু যেতে পারবে না,,
সাইদঃনা, একদমই না,তোমার হাতে না খেয়ে কি যাবো,,
সাইদ আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ভাইয়া আমি কিন্তু না খেয়ে যাবো না,,
.
আমি আর কি বলবো, থাক তুই তোর ভাবির কাছে,, নিলা আমি গেলাম,, অফিসে কাজ আছে,,
নিলাঃ না আপনি কোথাও যাবেন না, এক সাথে খেয়ে তারপর যাবেন,,
আমিঃ পাগলি একটা, পাগলামি করো না, আর্জেন্ট কাজ আছে, যেতে হবে,,
নিলাঃযেতে পারবেন এক শর্ত,এখানে এসে খেতে হবে,,
আমিঃআচ্ছা,
নিলাঃ আমি কিন্তু না খেয়ে আপনার জন্য বসে থাকবো,,
আমিঃ আচ্ছা মহারানি যাই এখন,,
.
নিলা আমার সাথে সাথে বাহির পর্যন্ত আসলো,,
আমি বিদায় জানিয়ে চোলে আসলাম অফিসের কাজে.

নিলা এসে সাইদের সাথে কথা বলতে লাগলো,,
.
সাইদঃতা ভাবি তোমাদের শুরু হোয়েছিলো কিভাবে,
নিলাঃধ্যাত লজ্জা করে বলতে,, পরে বলবো।
সাইদঃএত লজ্জা পাও কেনো, আমিইতো, তোমার একমাএ দুষ্ট দেবর,,
নিলাঃওর নাকটা টেনে দিয়ে বললাম,, দুষ্টই তো, দুষ্ট না হলে বড় ভাইয়ের প্রেমের কথা জিগাসা করে,,, তা তোমার গালফ্রেন্ড কয়টা,,
সাইদঃ কপাল জোরা লাগলো নাগো ভাবি, একটাও জুটাতে পারলাম না,
নিলাঃ আচ্ছা আমি রান্ন ঘরে গেলাম
আমার দু্ষ্ট দেবর টাকে নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াবো, ,আমি মিরাকে পাঠাচ্ছি বোসে গল্প করো,,
সাইদঃ আচ্ছা,,
.
নিলা রান্না ঘরে চোলে গেলো,,
.
সাইদঃ ভাবি রান্না ঘরে চোলে গেলো তাই আমি উঠে আনিসা কে খুজতে লাগলাম,, মেয়েটা লজ্জায় কোন দিকে চোলে গেলো কে জানে,,
খুজতে খুজতে অবশেষে বারান্দায় পেলাম,
একা দারিয়ে আছে,,
.
ওর পাসে গিয়ে বললাম
একা একা কি করো,,
.
আনিসা হঠাৎ আমার কথা শুনে চমকে উঠলো পাসে ফিরে আমাকে দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে চোলে যেতে লাগলো,,তখনই ওর হাত খফ করে দরে বললাম, এত লজ্জা পেলে চলে,, এখানে আসলাম তোমার সাথে গল্প করবো বলে, আর তুমি চোলে যাচ্ছো,,

আনিসাঃ আমার সাথে কি গল্প করবেন,
সাইদঃঠিক আছে তা হলে মিরার সাথে গিয়ে গল্প করি,,
ওর হাত ছেরে দিয়ে যেই চোলে আসতে যাবো, তখনই আনিসা আমার হাত চেপে দরে বললো,, আমি না বলেছি নাকি,,
সাইদঃতাহলে গল্প করবে,
চলো ওখানে বোসে গল্প করি।
.
সাইদঃআমি আর আনিসা দুটো চেয়ার টেনে বারান্দায় বসলাম।
..
সাইদঃ আচ্ছা তুমি যেনো কিসে পড়ো,

আনিসা ঃবি. বিএ সেকেন্ড ইয়ার,

সাইদঃও,আচ্ছা তুমি মাথা নিচু করে রেখেছো কেনো,, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলো,,
আনিসা আরো লজ্জা পেয়ে বললো, আমি পারবো না,
সাইদঃ আরে তাকাও, কিছু হবে না,,
আনিসা ঃ পারবো না,
সাইদঃআমি ওর হাতটা আলতো করে চেপে দরে বললাম, এবার তাকাও
আনিসা একবার তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেললো,,
আমি হেসে দিলাম,,

সাইদঃআচ্ছা তোমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই,
আনিসা ঃজি না, নেই, আপনার আছে,,
সাইদঃহ্যা আছেতো একদম পরির মতো,
.
আনিসা আমার কথা সুনে অবাক হোয়ে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,, হাসিমাখা মুখটা মুহুর্তেই অন্ধকারে ছেয়ে গেলো,,
.
এতক্ষন লজ্জায় তাকাতে পারে নি, আর এখন ঠায় চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে আছে,, চোখে বিন্দু বিন্দু পানি জমতে শুরু করেছে,,
.
আনিসা উঠে দারালো,
সাইদঃ কি ব্যাপার কোথায় যাচ্ছো গল্প করবে না,,

আনিসা ঃ আমার কাজ আছে আমি যাচ্ছি,,
আনিসা হয়তো চোখের পানি লুকাতে চোলে যাচ্ছে,,
.
একটা জিনিস বুঝে গেছি, এই মেয়ে আমার মাঝে হাড়িয়ে গেছে,,,
..

নিলা ভাবি রান্না শেষ করে খাওয়ার জন্য ডাক দিলো,,
একা বসলাম খেতে,,
সাইদঃকি ব্যাপার ভাবি, তুমিও বসো,,
নিলাঃনা, তোমার ভাই আসুক ?
সাইদঃ বাব্বা, এত ভালোবাসা,, এত ভালোবাসা কেনো,,
নিলাঃতুমি যখন কাউকে ভালোবাসবে তখন বুঝবে, কেনো এত ভালোবাসা,
আমিঃতোমার কথা অনুযায়ী তো ভালোবেসে দেখতে হয়,,
তখনই আনিসার কথা মনে হলো,
আচ্ছা ভাবি আনিসা কোথায়,,
আনিসাঃ চোলে গেলোতো,
সাইদঃ মিছ মিরা আপনি বসেন না,,
নিলাঃ হ্যা সত্যিইতো, তুই দারিয়ে আছিস কেনো,, তোর সাহায্য করা লাগবে না, তুই সাইদের সাথে বস।,,
সাইদঃ আচ্ছা ভাবি মিছ আনিসা কেনো গেলো,,
নিলাঃ কে যানে ভাই,, কয়েক বার না করে ছি,আমার কোনো কথাই শুনলো না, মন খারাফ করে চোলে গেলো, কি হোয়েছে কে জানে,, মুখটা পুরো অন্ধকার করে ছিল,
সাইদঃ ও!
নিলাঃ আচ্ছা সাইদ তুমি খাও,আমি কল করে দেখি তোমার ভাই এখনো কেনো আসছে না, এই মিরা তুই ওকে একটু বেরে দিস।,,
,,
আমি গাড়িতে উঠেছি তখন নিলা ফোন দিয়েছে,,
আমিঃহ্যা নিলা বলো,
নিলাঃ কোথায় আপনি, আপনার জন্য বসে আছি, তারাতারি আসুন,,
আমিঃএইতো গাড়িতে বসেছি, এখনি চোলে আসবো,
নিলাঃ তারাতারি আসুন,আমি অপেক্ষা করছি,,
.
আসার পথে ওর জন্য কয়টা গোলাপ কিনে নিলাম,
.
কিছুক্ষন পর নিলার বাসায় গিয়ে পৌছালাম,,
নিলা বাসার গেইটে দারিয়ে আছে, অদির আগ্রহ নিয়ে,,
কাছে যেতেই নিলা বললো,, এত ক্ষন লাগে আসতে,,
.
আমি নিলার দিকে গোলাপ গুলো বাড়িয়ে দিলাম,,
নিলা গোলাপ গুলো দেখে খুব খুশি হলো,, আলতো করে আমাকে জড়িয়ে দরে বললো, কোথায় পেলেন এগুলো,,
আমিঃআমার পাগলিটার জন্য এনেছি,,
নিলা, আহ্লাদে শুরে বললো, হোয়েছে, খেতে আসুন,,
আমিঃসাইদ খেয়েছে,
নিলাঃ হ্যা,
ভিতরে গিয়ে দেখি সাইদ মিরার সাথে বসে কথা বলছে,,
.
সাইদ নিলার হাতে ফুল দেখে বললো,
একজন থেকে দেখি একজন কম না, একজন না খেয়ে অপেক্ষা করছে আরেকজন ফুল নিয়ে এসেছে,
ভাবি কে তো পার্মানেন্টলি ভাবি বানিয়ে নিয়ে যেতে হয়,,
আমিঃহোয়েছে আর পাকনামি করতে হবে না, খেয়েছিস,
সাইদঃহ্যা ভাইয়া আমরা খেয়েছি,,
শুধু তোমার পেয়ারি খায়নি,,
,,
খেতে বসলাম,, নিলা আমাকে খাবার বেরে দিতে লাগলো,, তাই ওকে টান দিয়ে পাসে বসিয়ে দিলাম,
নিলাঃ আহা কি করছেন,,
আমিঃকিছুনা, হা করো,,
নিলাঃ না আপনি খান, আপনার খাওয়ার দিষ্টাব হবে,,,
আমিঃ আমার হাতে খাবে বলেতো দারিয়ে আছো,,আমি বুঝি না,,
নিলা খেতে খেতে বললো, কচু বুঝেন
আমিঃও বুঝেছি, আমার হাতে খেতে ভালো লাগে না, তাইতো, আচ্ছা তোমার খাওয়া লাগবে না, আমিই খাচ্ছি,
আমি যেই খাবার আমার মুখে দিতে যাবো, তখনই নিলা আমার ভাত বর্তি হাত টেনে নিয়ে তার মুখে ভরে নিলো,, মুখে ভাত নিয়েই হাতে একটা কামর মেরে দিলো,,
আমি হালকা ব্যাথা পেয়ে ওহ করে উঠলাম,,
আমিঃকি করলে এইটা,?
নিলাঃ এইটা বেশি বুঝার শাস্থি,,,
আমি নিলাকে খাইয়ে দিতে দিতে বললাম, পাগলি একটা ,
নিলা মুখে ভাত নিয়ে বললো, হু আপনার পাগলি,,

.
নিলাকে খাইয়ে দিয়ে সুন্দর করে মুখটা মুছে দিলাম,,
আমিও খেয়ে উঠলাম,,
যাওয়ার সময় হোয়ে গেছে তাই নিলাকে বললাম,,
নিলা আচ্ছা আমরা চলি,,
নিলা ঃআরেকটু থেকে যাননা,,
আমিঃনা গো, আজ যেতে হবে,,
এই সাইদ চল,,
সাইদঃ দারাও ভাইয়া ভাবির সাথে একটু কথা আছে,
ভাবি একটু এদিকে আসো,,
.
নিলাঃকি হোয়েছে আমার ছোট ভাইটার,,

সাইদঃ ভাবি মানে হোয়েছে কি ওই একটু
নিলাঃকি হোয়েছে, নির্ভয়ে বলে ফেলো,,

সাইম ঃনা মানে ভাবি, তোমার বান্ধুবি আনিসার নাম্বার টা যদি দিতে,,
নিলা ঃ কাহীনি কি হ্যা,
সাইদঃ কিছু না,, দেওনা একটু,,
নিলাঃ কিছু চলছে নাকি,,
সাইদ কিছুটা লজ্জিত হোয়ে বললো, ধ্যাত কিযে বলো না তুমি ভাবি,
নিলাঃ তাইতো বলি মেয়েটা কেনো এমন করে চোলে গেলো,,
সাইদ ঃদেওনা একটু,,
নিলাঃ আচ্ছা নেও,018285956……
সাইদঃসুইট ভাবি আমার,,আসি,

নিলাঃদেখো ভাই আমার, আনিসা কিন্তু সেই রাগী,, পড়ে পুরে যেওনা,
.
সাইদ গিয়ে গাড়িতে বসলো,
আমি নিলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চোলে আসবো, তখন নিলা পিছন থেকে আমার হাত টেনে দরলো,,
আমিঃ কি হলো,,
নিলাঃ আমার আদরটা,,
আমিঃকাছে আসো,,
নিলা কাছে আসলে, ওর কপালে একটা চুমু দিলাম,
,,
তারপর আমি গাড়ি নিয়ে বাসায় এসে পরলাম।
.
.
সাইদঃ রাতে শুয়ে আছি, তখন আনিসার কথা মনে পরলো,,
তাই আনিসার নাম্বারে ফোন দিলাম,,
.
দুবার রিং হোওার পর রিসিব করলো,
আনিসা ঃহ্যালো,কে বলছেন,
ওর কন্ঠ শুনে বুঝলাম, কুচ গরবর হে,
কান্না করেছে মনে হয় অনেক,,
ভাঙ্গা কন্ঠে আবার বললো, কি হলো কথা বলছেন না কেনো, কে আপনি,,
আমিঃআমি সাইদ,,
আমার নামটা শুনে, আনিসা তেলেবেগুনে জলে উঠলো,,
আনিসা ঃআমার কাছে ফোন দিয়েছেন কেনো,,
সাইদঃ তো কার কাছে দিবো,,
আনিসা কিছুটা চাপা কান্না করে বললো,কেনো,আপনার পরি আছেনা, তার কাছে ফোন দিবেন,
সাইদঃ সেতো আমাকে ভুল বুঝেছে, শুধুমাএ একটা মিথ্যা কথা বলেছি বলে,,এখন আমাকে বকা দিচ্ছে,,

আনিসাঃ ডং করবেন না আমার সাথে,,
সাইদঃ আচ্ছা, তুমিকি বোকা, কিচ্ছু বোঝ না,,
আনিসা এবার কেদে দিয়ে বললো হ্যা
আমি বোকা হোয়েছে, ফোন রাখেন,,
,টুটটুটটুট….
.
আনিসা কল কেটে দিলো,
.
সাইদঃ যা বাবা, কেটে দিলো,, রেগে আছে খুব,,
ফোনটা পাসে রেখে শুয়ে পরলাম,,
.
কিছু সময় পর ফোনটা আবার বেঝে উঠলো,
হাতে নিয়ে দেখি আনিসা ফোন দিয়েছে,
আনমনে হেসে দিলাম আমি।
….
………চলবে….

আমার পাগলি প্রেমিকা ৮ম পার্ট 

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ৮ম পার্ট

…….#জেএইসজনি
.
.
.
.
আনিসা ঃআচ্ছা কোথায় যাবেন,
সাইদঃ চলুন কোনো পার্কে,
আনিসাঃআচ্ছা চলুন,
একটা রিক্সা নিয়ে যেতে লাগলো,
রিক্সায় বসে সাইদ বললো,
সাইদঃ রাতে কি আপনার ঘুম হোয়েছিলো,
আনিসাঃআপনার হোয়েছিলো,
সাইদ ঃআমি আগে পশ্ন করেছি তাই আপনি আগে বলবেন
আনিসাঃ না আপনি,
সাইদঃআচ্ছা বলছি,, রাতে এক ফোটাও ঘুম হয় নি আমার ,, আপনার হোয়েছে,
আনিসা সাইদের চোখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসিদিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো জানিনা,,
.
কিছুক্ষন নিরবতার পর আনিসা বললো, আপনার হাতের কিঅবস্থা দেখি,
সাইদঃ দুর থেকে কি দেখা যায় নাকি, হাত দরে দেখেন,
নিলা আমার কথায় হাতটা দরে দেখতে লাগলো,
আমি আনিসার হাতটা সেই হাত দিয়ে ই আলতো করে চেপে দরলাম।
আনিসা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আবার লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো,, তবে হাত ছারানো কোনো চেষ্টা করলো না,
এবার আমি আনিসার পাচ আঙুল আমার পাচ আঙুলের ভিতর নিয়ে আকরে দরলাম,
এবার আনিসা মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো,,
রিক্সা চলছে, আর আমরা দুজন দুজনের দিকে আর চোখে তাকাচ্ছি আর মুচকি মুচকি হাসছি,,
আনিসাও আমার হাতটা আলতো করে চেপে দরলো,,অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
এ যেনো এক অন্য রকম অনুভুতিতে সিহরিত হচ্ছি.
.
পার্কের সামনে এসে রিক্সা থামলো,
,,
আনিসা ঃকি ব্যাপার নামবেন না
সাইদঃহ্যা,
আনিসাঃতো হাতটা ছারুন,,
আমি হাতটা ছেরে দিলাম, আনিসা অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো,,
.
রিক্সা ভাড়া দিয়ে পার্কের ভিতর ঢুকলাম,,
আমি ঃ কি খাবেন,
আনিসা ঃবাদাম হলে ভালো হয়?
.
আমি কাছ থেকে বাদাম নিলাম,
দুজন একটা ব্যান্চে বসে বাদাম খাচ্ছি,,
কারো মুখেই কোনো কথা নেই, শুধুই নিরবতা,,
আমিঃআচ্ছা আপনি আপনি করে বলতে ভালো লাগছে না, তুমি করে বলি?
আনিসা ঃআপনার ইচ্ছা,,
আমিঃতোমাকেও বলতে হবে,,
আনিসা ঃ আমি বলতে পারবো না,
আমিঃ কেনো,
আনিসিঃ জানি না,,
আমি ঃআচ্ছা চলো, ওই দিকে হাটি,,
,,
আমি আর আনিসা হাটছি,, আনিসা খুব লজ্জা পাচ্ছে আমার সাথে হাটতে,,ওকে দেখেই তা বুঝা যাচ্ছে,
.
আনিসা হঠাৎ বললো, আপনার যে হবু ভাবি আছে যানেন,
আমিঃ বলো কি,, থাকে কোথায়, কি করে?
আনিসাঃ আমি বলতে পারবো না, আপনার ভাইকে জিগাসা করেন?
আমিঃ আজ গিয়েই জিগাসা করবো,
,
আনিসার সাথে আরো কিছুক্ষন ঘুরে চোলে আসলাম।
..
রাতে অফিস থেকে ফিরে, সাইদের সাথে খেতে বসলাম,
আমিঃ তো সাইদ, কি রকম দেখলি আসপাস,,
সাইদঃএক দিনে কি আর সব দেখা যায়,, তবে ভালোই লাগলো,, ঘুরতে,,
আমিঃভালো,,
সাইদঃআচ্ছা ভাইয়া এখানে নাকি আমার হবু ভাবি আছে,,,
,, কথাটা শুনে গলায় ভাত আটকিয়ে গেলো,,
আমিঃতোতোকে কে বললো,,
সাইদঃ আমার কাছে লুকোচুরি করে লাভ নেই,আমি ভাবি কে দেখবো।
আমিঃদেখার কি আছে,,
সাইদঃঅনেক কিছুই আছে,,আমি দেখবো ব্যাস,, তা কালই,
আমিঃআচ্ছা দেখিস,, কাল বিকালে নিয়ে যাবো,, এখন খা,,
..
রাতে নিলার কাছে ফোন দিলাম।
.
নিলাঃকি জনাব এখন মনে পরলো আমার কথা,,
আমিঃ মনে তো পরেই কি করবো,, ডিউটিতে থাকিতো,,
নিলাঃ রাতে খেয়েছেন,,
আমি ঃহ্যা এই মাএ খেলাম,,তুমি খাইছো,,
নিলাঃ না,খাবো,,
আমিঃ আচ্ছা শোনো মা তো আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে দিছে,,
.
আমি এ কথা বলতেই নিলা চুপ করে গেলো,
আমিঃ কি হলো নিলা,,
.
নিলা ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদতে কাদতে বললো, আমি জানতাম এরকম কিছু হবে, আপনি শুধু শুধু আমার মন নিয়ে খেলেছেন,,
আমিঃ আরে কি আবল তাবল বকছে, কান্না থামাও, আর আমার পুরো কথা সোনো
নিলাঃ কি শুনবো, কি শুনার আর বাকি রেখেছেন,, আপনি আর কথা বলবেন না আমার সাথে,,
আমি ঃ নিলা, হ্যালো হ্যালো,…. টুট টুট…
নিলা কলটা কেটে দিলো,,
পাগলিটা পুরো কথা না শুনে রেগে গেলো,,
.
পর দিন দুপুরে অফিসে বসে কাজ করছি,তখন নিলার আম্মুর মোবাইল থেকে কল আসলো,,
আমি কল দরে সালাম দিলাম,,
নিলার মাঃ হ্যালো, বাবা জনি, তোমার আর নিলার ভিতর কিছু কি হোয়েছে,,
.
আমিঃ কই নাতো, কেনো,,
নিলার মাঃ কাল রাত থেকে মেয়েটা কিছু খাচ্ছে না,, শুধু কেদেই যাচ্ছে,, জিগাস করছি কিছু বলছেও না,,
আমিঃআসলে হোয়েছে কি আম্মা,,(তার পর রাতে ঘটে যাওয়া সব বললাম)
নিলার মাঃ তোমাদের পাগলামি বুঝিনা বাপু,, তোমার পাগলি কে এসে তুমি থামিয়ে যাও,
আমিঃ আপনি চিন্তা করবেন না, আমি আসছি,,
.
নিজ বাসায় এসে সাইদ কে বললাম,
চল.
সাইদ ঃ কোথায়?
আমিঃতুইনা তোর ভাবি কে দেখবি বোলেছিলি,
সাইদঃহ্যা দেখবো, তুমি না বোলেছিলে বিকালে যাবে,,
আমিঃনা এখন যাবো,
সাইদ ঃআচ্ছা আমি একটু রেডি হোয়ে আসি,
আমি ঃ হোইছে এত সাজতে হবে না,, ওর ছোটবোন নেই,,
সাইদঃ তুমি ও না ভাইয়া,, চলো।
.

আমরা দুই ভাই নিলার বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম,,
.
কিছুক্ষন পর নিলার বাসায় পৌছে গেলাম।
বাসায় ঢুকতেই নিলার মা সামনে পরলো,,
নিলার মাঃ তুমি আসছো বাবা,,
আমিঃ হ্যা, নিলা কোথায়,,
নিলার মাঃতোমার পাগলি রুমে বসে কান্না করছে গিয়ে দেখো,, ( সাইদ কে দেখিয়ে)এইটা কে
আমিঃ আমার ছোট ভাই, সাইদ,
নিলার মা ঃআরে বাবা তুমি দারিয়ে কেনো বসো বসো।
সাইদ নিলার মায়ের সাথে বসে কথা বলতে লাগলো,, আমি নিলার রুমের দিকে আগাতে লাগলাম,,
.
রুমের ভিতর গিয়ে দেখি সত্যিই নিলা কান্না করছে, পাসে মিরা আর আনিসা বসে আছে,,
আমাকে দেখে তারা রুম থেকে বের হোয়ে যেতে যেতে বললো, আপনার মহারানি কে আপনি সামলান, আমরা বাহিরে গেলাম,,
নিলা মাথা উঠিয়ে বললো, আনিসা ওনাকে চোলে যেতে বল,আমার কাউকে দরকার নেই,,
.
আনিসা আর মিরা হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হোয়ে গেলো,,
.
আমি নিলার দিকে তাকিয়ে দেখি, কেদে কেদে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে,
আমি নিলার মুখে হাত দিতেই নিলা হাত সরিয়ে দিয়ে বললো,, যান যান
আমার কাছে আসছেন কেনো,, আপনার মার দেখা মেয়েদের কাছর যান,,
আমি ওর মুখ টা দুহাত দিয়ে দরে বললাম,আরে পাগলি, “মেয়ে দেখেছে বলেকি বিয়ে হোয়ে গেছে নাকি,,
নিলাঃবিয়ে হয়নি হোতে কতক্ষন
আমিঃকি পাগল পাগল কথা বলো যে তুমি,,
আমার ছোট ভাই সাইদ এসেছে তোমাকে দেখতে,,
নিলাঃআমাকে কি দেখবে,, ওনাকে ওনার নতুন ভাবি কে দেখিয়ে আনেন,
,
আমি নিলাকে আলতো করে জড়িয়ে দরে বললাম, কি যে বলো না তুমি,
.
নিলা এবার আমার বুকের ভিতর মুখ ঘুজে দিয়ে জোরে কেদে দিয়ে বললো,,
আপনাকে ছারা আমি থাকতে পারবো না. পারবো না, একদম মরে যাবো।
আমিঃ পাগলি একটা, আমি পারবো, আমিও তো পারবো না তোমায় ছারা থাকতে,,
.
কাল থেকে নাখেয়ে আছো এখন খেয়ে নেও,

মিরা কে বলে ভাত এনে নিলা কে খাইয়ে দিলাম,,,
.
এখন ফ্রেস হোয়ে নেও, তোমার দেবর
তোমার সাথে দেখা করবে,,
নিলা আমার কথায় হেসে দিয়ে ফ্রেস হোতে চোলে গেলো,,
অন্যদিকে নিলার মা নাস্তা রেডি করে মিরাকে বললো, এই নাস্তা গুলো ছেলেটাকে নিয়ে দে,,
আনিসাঃ এই একদম হাত দিবি না এগুলোতে,, আমার কাছে দে আমি নিয়ে যাচ্ছি,,
মিরাঃব্যাপার কি হ্যা, দে আমি নিয়ে যাই,,
আনিসা ঃ কোনো ব্যাপার নেই,, তোর নেওয়ার কোনো দরকার নেই, তুই আন্টির সাথে রান্না ঘরে কাজে সাহায্য কর,,
মিরা ঃআমি তোর সাথে আসি,,
আনিসা ঃ বললাম না আসার দরকার নেই তুই যা,,
.
আনিসা মিরাকে দাক্কা দিয়ে রান্না ঘরে পাঠিয়ে দিলো,
.
এবার আনিসা নিজের চুল গুলো ঠিক ঠাক করে নিজেকে সুন্দর করে ওন্না দিয়ে পেছিয়ে সাইদের সামনে নাস্তা নিয়ে গেলো,,
সাইদ তো অবাক আনিসা কে দেখে,
সাইদ দারিয়ে গিয়ে বললো, তুমি এখানে,
আনিসাঃপরে বলবো আগে নাস্তা করে নিন, নিজ হাতে নাস্তা বানিয়েছি।
সাইদ ঃতুমিও নেও,,

আনিসাঃনা আপনি খান,
সাইদঃআরে নেওতো,,
সাইদ জোর করে আনিসা কে খাইয়ে দিলো,,
তারপর তারা তাদের আলাপচারিতা করতে লাগলো,,
.
অন্যদিকে নিলা ফ্রেস হোয়ে আমার কাছা আসলো,, ওকে কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছে,
তাই জিগাসা করলাম,,কি ব্যাপার চিন্তিত মনে হচ্ছে তোমাকে,
.
নিলা আমার কাছে এসে আমার শার্টে তার আঙুল দিয়ে মোরাতে মোরাতে বললো, আমার না ভয় করে,
আমিঃকিসের ভয়,,
নিলাঃআপনার ভাই কি বলে না বলে,,
আমিঃ থুর পাগলি,
কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বললাম,, এবার ভয় কমেছে,
নিলা মাথা নারিয়ে হ্যা বললো,
.
নিলার মাথায় সুন্দর করে ওর্না পেচিয়ে দিয়ে বললাম, “এবার যাও,, আমি মোবাইলে কিছু কথা বলে আসছি,,
নিলা মিরাকে সাথে নিয়ে সাইদের কাছে গেলো,,
সাইদ দুজন দেখে বললো, কোনটা ভাবি,
আনিসাঃ বলুন তো কোনটা আপনার হবু ভাবি,,
সাইদ নিলার কাছে গিয়ে বললো, আমার যদি অনুমান ঠিক হয় তাহলে এই সুইট কিউট মেয়েটা আমার ভাবি,,
নিলা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো,,
.
সাইদঃএত লজ্জা পেলে চলবেনা ভাবি, তোমার এক মাএ দেবর আমি,

.
আমি কথা শেষ করে ওদের কাছে গেলাম,,
আমি ঃকিরে ছটু তোর ভাবিকে দেখেছিস,,
সাইদঃএমন কিউট ভাবি কোথায় পেলে তুমি ভাইয়া,,
.
আমি নিলার পাসে গিয়ে বসতেই নিলা লজ্জায় আমার বুকের ভিতর মুখ লুকালো,,
আমি সাইদ কে বললাম, এভাবে কেউ বলে,,
সাইদ ঃ সত্যি ভাইয়া একেবারে পরির মতো আমার ভাবি টা,, এরকম একটা পরি আমার জন্য এনে দিও,,
.
পাস থেকে মিরা বললো, আমাদের আনিসা কি কমনাকি,, একে চলবে না,,
.
আনিসা লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে উঠে চলে গেলো,,
আমিঃ আচ্ছা নিলা তোমার আম্মুকে ডাক দেও আমরা চোলে যাবো এখন,,
.
নিলা বুকের ভিতর থেকে মাথা বের করে বললো,
কি বলেন এসব, ছোট ভাইয়া আজ প্রথম এসেছে আমাদের বাসায়, না খাইয়ে যেতে দেবো নাকি,,

সাইদঃভাবি ছোট ভাইয়া ডাক এইটা আবার কি, নাম দরে তুমি বলে ডাকবা, না হয় ভাইয়ার মতো ছটু বলে ডাকবা,,
নিলঃ ঠিক আছে আমার ছোট লক্ষি ভাই,, তবে না খেয়ে কিন্তু যেতে পারবে না,,
সাইদঃনা, একদমই না,তোমার হাতে না খেয়ে কি যাবো,,
সাইদ আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ভাইয়া আমি কিন্তু না খেয়ে যাবো না,,

.
আমি আর কি বলবো, থাক তুই তোর ভাবির কাছে,, নিলা আমি গেলাম,, অফিসে কাজ আছে,,
নিলাঃ না আপনি কোথাও যাবেন না, এক সাথে খেয়ে তারপর যাবেন,,
আমিঃ পাগলি একটা, পাগলামি করো না, আর্জেন্ট কাজ আছে, যেতে হবে,,
নিলাঃযেতে পারবেন এক শর্ত,এখানে এসে খেতে হবে,,
আমিঃআচ্ছা,
নিলাঃ আমি কিন্তু না খেয়ে আপনার জন্য বসে থাকবো,,
আমিঃ আচ্ছা মহারানি যাই এখন,,
.
নিলা আমার সাথে সাথে বাহির পর্যন্ত আসলো,,
আমি বিদায় জানিয়ে চোলে আসলাম অফিসের কাজে,…..
.
…….চলবে…….
.
.
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।

আমার পাগলি প্রেমিকা ৭ম পার্ট

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ৭ম পার্ট

…….#জেএইসজনি….
.
.
.
নিলা কিছুটা মন খারাফ করে বললো,
মেনে নিবেন উনি,,
ওকে হাত দিয়ে কাছে টেনে এনে বললাম,,আমার উপর কেউ কথা বলে নাকি,,
নিলা আমার জামা এক হাত দিয়ে মোরাতে মোরতে বললো,, আমার খুব ভয় করে,, যদি না মানে তা হলে তো আমি মরে যাবো,,
.
আমি যেই ওকে একটু চেপে দরেছি, ,ঠিক তখনই পাস থেকে মিরা বললো,, আমরা আছি কিন্তু,,
আনিসা ঃআপনারা যখন তখন এত রুমান্টিক হন কিভাবে,,
.
নিলা আমার বুকের ভিতর মুখ গুজে দিয়ে বললো,, আমার মতো যখন তোর একটা জুটবে, তখন বুঝবি রুমান্টিকতা কোথাথেকে আসে,, ,
.
মিরাঃতোরা তোদের রুমান্টিকতা নিয়ে থাক,, আমরা গেলাম.
.

নিলা বুকের ভিতর থেকে বললো,, এটা রুমান্টিকতা নাকি ভালোবাসা,?
আমি ঃ দুটোই।
..
নিলা ঃএখন চলেন রেষ্ট নিবেন,
আমিঃ না একদমই না,, রুমে গেলেই তুমি আবার দুষ্টামি করবে,
নিলাঃধ্যাত আপনিও না, আপনার সাথে করবো না তো কার সাথে করবো,, চলেন তো, আপনার বুকে একটু ঘুমাবো,,
আমিঃ এ্যা!
নিলাঃ এ্যা না হ্যা, চলেন, ,
আমি ঃ হাহাহাহা চলো পাগলি একটা. ..
.
আমি সোয়ার পর নিলা আমার বুকের ভিকত মুখ গুজে সুয়ে পরলো,,
আমি ওকে জড়িয়ে দরে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম,
তখন নিলা মুখটা উচু করে আমার মুখের কাছে এনে বললো,, যানেন আমি আপনার সাথে যতটা ফ্রি হোয়ে কথা বলতে পারি যতটা মিসতে পারি ততটা অন্যকেউর সাথে পারি না,, এমন কি আমার বান্ধুবিদের সাথেও পারি না,,
.
আমি নিলার কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম, ,”খুব ভালোবাসো যে তাই এতটা কাছে আসতে পারো, তবে কাউকে এতটা ভালোবাসা ঠিক না,, যদি পরে আমার কিছু হোয়ে যায় তখন কি করবে,,,
.
নিলা আামর কথাটা শুনেই আমার মুখ চেপে দরলো,, তার পর কেদে দিয়ে বললো, ,এরকম কথা আর বলবেন না,, আপনার কিছু হলে আমি মরে যাবো,, বাচবো না,, এই কথা ভাবলেই এখনই আমার নিঃশ্বাষ বন্ধ হোয়ে আসে,, আর বলবেনন না এসব কথা,।
আমিঃ থুর পাগলি,, এর জন্য কাদা লাগে,, আমিতো কথার কথা বোলেছি।
আমি নিলার চোখের পানি মুছে দিয়ে বুকের সাথে মাথাটা চেপে দরে বললাম এবার ঘুমাও।।
দুজন ঘুমিয়ে গেলাম,,
.
বিকালে ঘুম ভাঙ্গতেই চোখ মেলে দেখি নিলা বুকের ভিতর গ্যান্জিটাকে দুহাত দিয়ে খামছি মেরে দরে বাচ্চা মেয়েদের মতো গুটুসুটি মেরে বুকের ভিতর মুখ গুজে সুয়ে আছে,,
মেয়েদের ঘুমন্ত অবস্থায় মনে হয় সবথেকে বেসি সুন্দর লাগে,, যার প্রমান আমার রুপবতী নিলা নিজেই।
.
কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম জানি না,
নিলার কথায় হুশ এলো,,
নিলা ঃ কি দেখেন অমন করে,,
আমি ঃ কিছুনা,, ঘুম হলো তোমার,?
নিলা ঃ আমার লাইফে সবচেয়ে বেস্ট ঘুম এটা, ইচ্ছাতো করছে আবারো ঘুমিয়ে যাই এই বুকে, এই বুকটা আমার জন্য পারমানেন্ট করবেন কবে।
আমি ঃআর কিছুদিন তার পর তোমার নামে করে দেবো,,
নিলাঃতাই যেনো হয়, এখন উঠে ফ্রেস হোন, আমি চা নিয়ে আসি
.
আমি ফ্রেস হোতে চোলে গেলাম, আর নিলা চা আনতে চোলে গেলো,,
.
আমি ফ্রেস হোয়ে বেরিয়ে দেখি নিলা চা হাতে দারিয়ে,
আমি ঃকি ব্যাপার তুমি খাবে না এক কাপ এনেছো যে.
নিলা ঃদুজন এক কাপ থেকে খেলে কোনো সমস্যা?
আমিঃতা হবে কেনো, চায়ে তোমার ঠোটের ছোয়া পেলে তো চা আরো মধুময় হবে,
নিলাঃ তাই
আমি ঃ হিম তাই
নিলাঃআমার ঠোটের ছোয়া চা তে না দিয়ে আপনার ঠোটে দিলে কেমন হবে।
আমিঃহইছে এখন আর রুমান্টিক হতে হবে না, চা ঠান্ড হোয়ে যাচ্ছে।
নিলাঃধ্যাত আমি যখন রুমান্টিক হই ওনি তখন তাতে পানি ডেলে দেয়।
আমি ঃ হইছে হইছে এবার তো খাও।
.
বিকালেই ওদের বাসা থেকে চোলে আসলাম।
.
পড় দিন ছোট ভাই সাইদ আসবে

তাই বাসস্টেন্ডে ও র জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দিলাম।
আমার কাজ থাকায় আমি যেতে পারিনি,,
.
সাইদ আমার পাঠানো গাড়িতে না উঠে চার পাস গুরে দেখার জন্য একা একা বের হোয়ে গেলো বাসস্টেন্ড থেকে।
চার পাস ঘুরছে।
.
মেইন রাস্তার পাস দিয়ে হাটছে হঠাৎ দেখলো ছিন্তাই কারি একটা মেয়ের হাত থেকে তার ব্যাগ টান মেরে নিয়ে দৌর,,
মেয়েটা ছিনতাই কারি ছিনতাই কারি বলে পিছন পিছন দৌরাচ্ছে,, কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলো না,
তাই সাইদ ছিনতাইকারির পিছন পিছন সুটতে লাগলো,,
এক পর্যায় ছিনতাই টাকে দরলো, তার কাছ থেকে এক হাতদিয়ে ব্যাগ নিলো অন্য হাত দিয়ে ওর হাত টা দরে রেখেছিলো,
হঠাৎ ই ছিনতাইকারিটা সাইদের হাতে চাকু মেরে ছুটে চোলে যায়,
.
সাইদ ব্যাগ নিয়ে মেয়েটার কাছে চোলে আসে।
.

সাইদঃএই নিন আপনার ব্যাগ?
মেয়েটা ব্যাগ নিতে নিতে বলল ধন্যবাদ আপনাকে,,
হঠাই মেয়েটার চোখ যায় সাইদের হাতের দিকে,
মেয়ে ঃআরে আপনার হাত থেকে তো রক্ত জরছে, কি করে হলো
সাইদঃ ব্যাগ নিতেগিয়ে ছিনতাই কারি মেরে দিয়েছে,,
মেয়েঃআরে রক্ত জরছে তো চলেন ডাক্তারের কাছে, ,
সাইদঃএ তেমন কিছু না, কিছু হবে না।
মেয়েটা কিছু রেগে গিয়ে বললো, ,বেশি কথা বলবেন না, হাত টা এদিকে দেন,
সাইদ হাত বারিয়ে দিলে মেয়েটা তার ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে হাতটা শক্ত করে বেধে দিলো,
আর সাইদ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলো,,
যেনো মেয়েটা তার কতদিনের চেনা,,
এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মেয়েটা কিছুটা লজ্জা পেয়ে বলল, কি হলো ডাক্তারের কাছে চলেন,
.
মেয়েটা একটা রিক্সা ডেকে সাইদ কে হাত দরে কাছের একটা পার্মেসিতে নিয়ে গেলো।
সাইদ মনে মনে ভাবছে, মেয়েটার গায়ের সুভাসটাতো পাগল করা,,

.
ডাক্তারে কাছে এসে পরলাম আরেক বিপদে, এখন নাকি কাটা যায়গায় ছিলাই করা লাগবে,,
ডাক্তার ছিলাই করছে আর আমি ভয়ে মেয়েটার হাত শক্ত করে চেপে দরেছি,,
যখন চোখখুললাম দেখলাম মেয়েটা আমার দিকে মুগ্ধ হোয়ে তাকিয়ে আছে,
দুজনের চোখে চোখ পরতেই দুজন লজ্জায় দুদিকে তাকিয়ে থাকলাম,,
.
সেখান থেকে বাহিরে আসলাম,,
তো মেয়েটা বললো,নাম কি আপনার,
সাইদঃ সাইদ, আপনার?
মেয়ে ঃ আনিসা,, বাসা কোথায়?
সাইদঃভোলা তে,,
সাইদঃ আপনার
আনিসা ঃ এখানেই,, তা এখানে কি নতুন নাকি,,
সাইদঃ জি, আজই আসলাম, আর পথেই আপনার সাথে দেখা,
আনিসা ঃতা উঠেছেন কোথায়,
সাইদঃএইতো কাছেই ভাইর বাসায়. …. যায়গায়,,
আনিসাঃ আপনার ভাই কি করে,,
সাইদঃএখানকার পুলিশের বড় অফিসার।
আনসাঃকি নাম?
সাইদ ঃ#জাহিদহাসানজনি. .
.
আনিসা কিছুটা অবাক হোয়ে বললো,
কি নাম বললেন #জনি.
সাইদ ঃ কেনো চিনেন নাকি,,?

আনিসা ঃ না নাম সুনেছি,,
সাইদ ঃ ও
আনিসা ঃচিনে যেতে পারবেন, না এগিয়ে দিবো,,
সাইদঃ আপনি হলে তো ভালোই হয়,,

.
দুজন এক রিক্সা নিয়ে যেতে লাগলো,,
.
রিক্সায় দুজন কোনো কথা বলছে না,,
একজন আরেক জনের দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে,,
যখন দুজনের একসাথে চোখাচুখি হয় তখন দুজন দু দিকে তাকিয়ে একা একা হাসতে থাকে,
বাসার সামনে এসে নামলো দুজন,
.
আনিসা ঃএটাই আপনার ভাইর বাসা, আমি যাই তাহলে,,
সাইদঃএখনই চোলে যাবেন,,
আনিসা ঃহ্যা কাজ আছে, যাই,
সাইমঃআপনার রুমাল।
আনিসা ঃও দেন,
সাইদঃ না, দেবো না, এটা রেখে দিলাম আমার কাছে,,

আনিসা ঃকেনো,?
সাইদঃএই রুমালের কথা ভেবে আমাকে মনে পরবে তাই।
.

নিলা মু্চকি একটা হাসি দিলো,
কিছুক্ষন দুজন চুপ করে থাকলো,,
তারপর আনিসা আবার বললোঃআমি যাই
সাইদঃআচ্ছা কাল কি আমাদের দেখা হবে।
নিলা একটা হাসি দিয়ে বললো জানিনা,, এই বলে আনিসা সেখান থেকে দৌরে চোলে গেলো,
সাইদ তার চোলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো,
তার পর বাসার ভিতরে চোলে গেলো,
আমাকে দেখেই ভাইয়া বলে জরিয়ে দরলো, ,
আমি ঃকিরে ছটু তোর জন্য না গাড়ি পাঠালাম, একা একা কোথায় গিয়েছিলি,,
তোর হাতে ব্যান্ডিজ করা কেনো, কি হোয়েছে,,
সাইদঃআরে ভাইয়া উওেজিত হোয়ো না ,,আমার কিছু হয় নি,, সব বলবো,, আগে ফ্রেস হোয়ে আসি,
আমিঃ আচ্ছা যা, ফ্রেস হোয়ে খেতে আয়, আমি খাবার রেডি করছি।
সাইদ ফ্রেস হোতে চোলে গেলো,,

.
কিছুক্ষন পর খেতে আসলো,
আমিঃ তা বাসায় মা বাবা সবাই ঠিকঠাক আছেতো,
সাইদ ঃ হ্যা সবাই ঠিক ঠাক আছে,
আমি ঃ তা পরাশুনা তো শেষ, কি করবি, আমার পুলিশে ঢুকবি নাকি?
সাইদঃ না, এসবে কাজ করার ইচ্ছা নেই আমার,,ভালো কথা মা তোমার জন্য মেয়ে দেখছে,,
একথা শুনে গলায় ভাত আটকিয়ে গেলো,, কাশতে কাশতে যেনো জীবন বেরিয়ে যাচ্ছে,,
সাইদঃকি হলো, পানি খাও
সাইদ পানি এগিয়ে দিলো, আমি পানি খেয়ে বললাম,,বলিস কি,,
সাইদ ঃহ্যা,,
তারপর খাওয়া শেষ করে সাইদকে রুম দেখিয়ে দিলাম,
.
রাতে সাইদের চোখে ঘুম আসে না,বারবার আনিসার কথা মনে পরে, বিশেষ করে যখন ও হাত চেপে দরে রুমাল বেধে দিয়েছিলো,, তখন অন্যরকম একটা অনুভুতি তৈরি হোয়েছিলো মনের কোনে,, আর যখন আমার দিকে মুগ্ধ হোয়ে চেয়েছিল তখন ওর চোখেই যেনো হাড়িয়ে গিয়েছি,
অপর প্রান্তে আনিসার ও একই অবস্থা,, সেও ভাবছে ইস ছলেটা কি বোকা,, কিভাবে আমার হাত ভয়ে চেপে দরেছিলো,, এসব ভাবছে আর একা একা হাসছে,,
তারা দুজন সেরাতে আর ঘুমাতে পারলো না,
এপাস ওপাস করে করে কাটিয়ে দিলো রাতটা,,
.
অন্যদিকে মিরা রাহাতের দেওয়া নাম্বারে কল দিলো,
রাহাত ঃহ্যালো কে?
মিরাঃ আমি মিরা,
রাহাত ঃ ও তুমি,
মিরাঃ কি করেন?
রাহাত ঃ কারো ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম ।
মিরা ঃ তাই,,
রাহাতঃ রাতে খাইছো,
মিরা ঃ হ্যা খেয়েছি, আপনি,
রাহাতঃখেয়েছি,
মিরাঃআচ্ছা কাল দেখা করতে পারবেন?

রাহাতঃহ্যা পারবো, কোথায় দেখা করতে হবে,
মিরাঃ…. পার্কে ঠিক তিনটায়,
রাহাতঃ ঠিক আছে,
.
তারা তাদের প্রেম আলাপ করে তাদের অর্ধ রাত পার করে ফেললো,
.
পর দিন সাইদ ঘুম থেকে দেরি করে উঠে,
আমিঃকি রে ঘুম হলো তোর,
সাইদঃহ্যা,
আমি ঃআচ্ছা আয় নাস্তা করবি,,
একসাথে নাস্তা করার পর,
আমিঃআচ্ছা শোন আমি অফিসে গেলাম,, বাসায় থাকিস,, দুপুরে আসবো, তুইতো এখান কার কিছুই চিনিস না,, দুজন কে খবর দিচ্ছি তারা তোকে ঘুরে দেখাবে,
সাইদঃঠিক আছে ভাইয়া,
..
আমি অফিসে চোলে গোলাম।
মিরা আর আনিসা কে ফোন দিয়ে আমার বাসায় আসতে বললাম,,
.
দুপুরে বাসায় আসলাম,
বিকালের আগ মুহুর্তে মিরা আর আনিসা এসে হাজির,,
.
আনিসা ঃ কি ব্যাপার ভাইয়া হঠাৎ খবর দিলেন,
আমিঃ আচ্ছা যে কারনে তোমাদের ডেকেছি,, এ হলো আমার ছোট ভাই সাইদ, কাল ই আসলো,,সাইদ পরিচিত হোয়ে নে,, এহলো মিরা আর এহলো আনিসা,,
সাইদ আনিসা কে দেখে অবাক হোয়ে গেলো,, আনিসা সাইদের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো
আমি ঃআচ্ছো সোনো, সাইদ এখানকার কোনো কিছুই চিনে না তাই বলছিলাম তোমরা একটু ওকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে যদি,,
আনিসা ঃছি ছি ভাইয়া এ ভাবে বলছেন কেনো ,,কোনো চিন্তা করবেন না, ঘুরিয়ে আনবো।
.
আমিঃ আচ্ছা ছটু যা এদের সাথে তাহলে,, সাথে দুজন পুলিশ দিয়ে দিচ্ছি,
সাইদঃআরে পুলিশ লাগবে না, চলেন আপনারা,
ওরা বাহিরে বের হোয়ে গেলো,,
কিছুদুর যেতেই মিরা আনিসার হাত চেপে দরলো,,
আনিসাঃতোর আবার কি হলো,
মিরাঃ দোছ আমি যেতে পারবোনারে, তুই একটু ঘুরিয়ে আন নারে,
আনিসা বিরবির করে বললো, তাহলেতো ভালোই হলো,
মিরা ঃকি রে কি বলিস,,
আনিসা ঃকিছু না, তুই যেতে পারবি না কেনো?
মিরা ঃএকটু কাজ আছে রে, একজনের সাথে দেখা করতে যেতে হবে,
আনিসাঃহাহাহা বুঝি বুঝি, আচ্ছা যা,
মিরা ঃথ্যাংকিউ দোছ,,

.
মিরা চোলে গেলো,,
আনিসা ঃআচ্ছা কোথায় যাবেন,
সাইদঃ চলুন কোনো পার্কে,
আনিসাঃআচ্ছা চলুন,
একটা রিক্সা নিয়ে যেতে লাগলো,
রিক্সায় বসে সাইদ বললো,
সাইদঃ রাতে কি আপনার ঘুম হোয়েছিলো,
আনিসাঃআপনার হোয়েছিলো,
সাইদ ঃআমি আগে পশ্ন করেছি তাই আপনি আগে বলবেন
আনিসাঃ না আপনি,
সাইদঃআচ্ছা বলছি,, রাতে এক ফোটাও ঘুম হয় নি আমার ,, আপনার হোয়েছে,
আনিসা সাইদের চোখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসিদিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে বললো জানিনা,,
.
কিছুক্ষন নিরবতার পর আনিসা বললো, আপনার হাতের কিঅবস্থা দেখি,
সাইদঃ দুর থেকে কি দেখা যায় নাকি, হাত দরে দেখেন,
নিলা আমার কথায় হাতটা দরে দেখতে লাগলো,
আমি আনিসার হাতটা সেই হাত দিয়ে ই আলতো করে চেপে দরলাম।
আনিসা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আবার লজ্জায় অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো,, তবে হাত ছারানো কোনো চেষ্টা করলো না,
এবার আমি আনিসার পাচ আঙুল আমার পাচ আঙুলের ভিতর নিয়ে আকরে দরলাম,
এবার আনিসা মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো,,
রিক্সা চলছে, আর আমরা দুজন দুজনের দিকে আর চোখে তাকাচ্ছি আর মুচকি মুচকি হাসছি,,
আনিসাও আমার হাতটা আলতো করে চেপে দরলো,,অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
এ যেনো এক অন্য রকম অনুভুতিতে সিহরিত হচ্ছি……
……..চলবে….
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আমার পাগলি প্রেমিকা ৬ষ্ঠ পার্ট 

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ৬ষ্ঠ পার্ট

……#জেএইসজনি….
.
.
..
নিলাঃভাইয়া তোর কলম পরে গেছে,,
রাহাতঃকই ও হ্যা কলম আমার কলম,,আচ্ছা আমি ভিতরে গেলাম,,
আনিসাঃকাহীনি কি মিরা,,
মিরাঃক কই কি কাহীনি ,, এদিকে আসছিলাম তখন ই তোর ভাইর সাথে দেখা, এই আর কি।
নিলাঃতাই নাকি, নাকি অন্য কিছু,,
মিরাঃতোরাও না, ধ্যাত,সর
এই বলে মিরা আগে চোলে গেল,,
আর পিছন থেকে নিলা আর আনিসা
হাসতে লাগলো,,
.
কিছুক্ষন পর নিলা ,,আনিসা, মিরা আসলো,,
আমিঃকি ব্যাপার তোমাদের আসতে এত দেরি হলো,,
আনিসা ঃআমাদের মিরা হাড়িয়ে গিয়ে ছিল,,তাকে খুজতেই সময় হলো,
আমিঃআচ্ছা শুরু করো,,
.
নিলা আমার কাছে এসে বললো,
নিলাঃআপনি হা করেন আমি খাইয়ে দিচ্ছি,,ওই তোরা নিচে তাকা,,
নিলা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে,।
.
আসলেই মেয়েটা ভালোবাসতে জানে।
.
আমিঃকি ব্যাপার তুমি খাচ্ছো না কেন?
নিলাঃ আমি কি নিজ হাতে খাবো না কি?
আমি ঃ ওরা সামনে না,, একটু পরে খাও,,
নিলাঃ ওরা তো কি হোয়েছে,, ওরা দেখুক আপনি আমায় কতটুকু ভালোবাসেন,,, নিন আমি হা করছি খাইয়ে দিন,,, হা…..
.
নিলা হা কোরে আছে, এই মূহুর্তে ওকে দেখে হাসি পাচ্ছে,,
ওকে খাইয়ে দিতে গিয়ে একটু মাংশের জোল ওর নাকে লেগে গেলো,
এবার আর না হেসে পারলাম না,, হোহো করে হেসে দিলাম।
হাহাহা,,
নিলা রেগে গিয়ে বললো,,
লাগবে না আপনার খাওয়ানো,,
নিলা রাগ করে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলো,,,
.
আমি আমার দিকে নিলার মুখ ফিরিয়ে আনলাম,,
কি হোয়েছে রাগ করেছো,,
নিলা আমার হাত ছারিয়ে আবার মুখ
ঘুরিয়ে নিলো,,,
.
আমিঃআমার দিকে আবার ঘুরিয়ে এনে বললাম,, হোয়েছ আর রাগ করতে হবে না,,আমি আর হাসবো না,, হা করো,, পরে পুসিয়ে দেবো,,,
,,
নিলা খেতে খেতে বললো,,আমার টা আমি পুসিয়ে নেবো,, তখন কোনো না না শুনবো না,,,
.
মিরা আর আনিসা নিচের দিকে তাকিয়ে হাসছে,,
নিলা ওদের দিকে তাকিয়ে বললো,, তোরা হাসছিস কেনো,,
.
আনিসা ঃতোদের কথা শুনে,,
নিলাঃঅন্যর পার্সোনাল এসব কথা শুনতে লজ্জা লাগে না তোদের,, ডাইনি কোথাকার,
মিরা ঃআচ্ছা তুই তোরটা পুসিয়ে নে, আমরা বাহিরে যাচ্ছি,,
এই কথা বলে ওরা বাহিরে চোলে গেলো,,
নিলাঃদেখেছেন লজ্জা বলতে কিছু নেই ওদের,,
আমিঃতুমি বলার সময় লাগাম দিয়ে বলোনা,, ওরা বললেই সমস্যা,,
,,
নিলা হঠাৎ গম্ভির হোয়ে আমার মুখের দিকে একটু একটু আগাচ্ছে আর বলছে,, হ্যা সমস্যা,, আমার জিনিস আমি যা মনচায় তা বলবো আপনার কোনো পবলেম,,আমি আমার টা পুসিয়ে নিবো,,
আমিঃএই কি করছো,,
.
নিলা খুব কাছাকাছি চোলে এসেছে,নিলার গম্ভির চেহারা, গম্ভির কথা,, শ্বাষপ্রশ্বাস ও যেনো গম্ভির হোয়ে আসছে,,,,
হঠাৎ কারো আসার আওয়াজ পেলাম।
তাকিয়ে দেখি নিলার মা হাতে পিঠা নিয়ে রুমে ডুকলো,,
.
নিলা কাছ থেকে সরে গেলো,,
,,
নিলার মাঃ কি বাবা কি করছো,,
নাস্তা কোরেছো,,
আমিঃজি কোরেছি,,,
নিলার মাঃএই গড়ম গড়ম পিঠা গুলো খাও,,
আমিঃআপনি আবার কষ্ট করতে গেলেন,, এত খাবার কি ভাবে খাবো,,
নিলার মা ঃআরে খাও খাও, এখনই তো খা্ওয়ার সময়,,আজ কিন্তু না খেয়ে যেতে পারবে না,,
আমিঃকি যে বলেন,,,থানায় যেতে হবে,, কাজ আছে,,
নিলাঃ না খাইয়ে যেতে দিলেতো,, আজ কোনো কাজ নেই,, কলদিয়ে বোলে দেন আজ যেতে, পারবেন না,,
.
আমিঃ আরে কি যে বলো,,,
নিলার মা ঃতোমার আর কোনো কথা শুনছি না,, এই নিলা আয়,, একটু কাজে সাহায্য কর, জনি রেষ্ট নিক, তোর জন্য রাতে ঘুমাতে পারেনি,,,
নিলার মা চোলে যেতে লাগলো,, নিলা আমার মুখের কাছে এসে ফিসফিস করে বললো,, মার জন্য বেচে গেলেন, আজ নাহয় ঠোট ছিরে ফেলতাম,,
আমি মুচকি হাসলাম,,,,
নিলা আবার বললো,, হেসে লাভনেই, ঠোট ছিরবোই আসতেছি,,
নিলা তার মার পিছন পিছন চোলে গেলো,,
.
রান্না ঘরে তারা সবাই কথা বলছে,,
রাহাতঃ মা নিলাকে তো এবার বিয়ে দেওয়া দরকার,,ছেলেটেলে তো খোজা দরকার,
পাস থেকে আনিসা বললো,,, দুলাভাই
তো আমাদের খোজা আছেই রুমে বোসে আছে,,
রাহাত ঃ তাই নাকি মা। কে মা
মাঃহিম, জনি,, তোর চাকরি যে দিয়েছে,,
রাহাত ঃবলো কি,, ওনি রাজি,,
মিরা ঃএকশতে একশ রাজি,, নিলা আর ওনার মধ্যে তো চলছে,,
রাহাতঃতাই নাকি নিলা?
নিলা লজ্জা পেয়ে তার মার আচল দিয়ে মুখ ডেকে বললো,, মা…..
তখন তার মা বললো,,
এই তোরা কি শুরু করেছিস,, দেখছিস যে ও লজ্জা পাচ্ছে,,
আনিসাঃআন্টি তার আগে কিন্তু ভাইয়াকে বিয়ে করানো উচিত,, মেয়ে কিন্তু আমদের পছন্দ করা আছে,,
.
রাহাত ঃকিককি বলো,, কোন মেয়ে পছন্দ করেছো,,,
.
মিরা একটু রেগে বললো, এই তুই কি বলছিস আনিসা,, ওনার কি বিয়ের বয়স হোয়েছে নাকি,, আর ওনি যাকে তাকে বিয়ে করবে নাকি,,
নিলা মুখ থেকে আচল সরিয়ে বললো,, কিরে মিরা তুই রেগে যাচ্ছিস কেনো,, তোর কি কিছু পুরছে নাকি, দেখতো আনিসা কিছু পোরার গন্ধ পাচ্ছিস নাকি।
এই বলে ওরা হাসতে লাগলো, রাহাত
আর থাকতে পেরে বললো,, মা আমি ওনার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি,,
মিরা মাথা নিচু করে বোসে আছে,,,
..
নিলা মিরার কাছে গিয়ে কানে কানে বললো,, ভাবি হিসেবে তুই হলে খারাফ হবে না,,
মিরা কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললো,, ধ্যাত তুইও না,,
মিরাও সেখান থেকে উঠে চোলে গেলো,,,
.
আনিসা একটু উদাস হোয়ে বললো,, আমার জনকে যে কবে খুজে পাবো।
নিলাঃপাবি পাবি, খুব শ্রীঘই তোর জীবনে কেউ আসবে,,
আনিসা ঃ তাই যেনো হয়,,, তোদের এগুলো দেখে আমার আর একা থাকতে ইচ্ছে করে না,,
নিলার মা পাস থেকে বললো,,এই তোদের পাকনা পাকনা কথা শেষ হলে,, একটু কাজে সাহায্য কর,, খাওয়ার সময় হোয়ে এসেছে,।
,
তারা কাজে সাহায্য করতে লাগলো,
,
রাহাত হঠাৎ আমার রুমে আসলো,
,
রাহাতঃকেমন আছেন স্যার?
আমিঃআরে রাহাত তুমি,, কবে আসলে,,
রাহাতঃজি স্যার এইতো,, সাকালে আসলাম,,
আমিঃআচ্ছা রাহাত এখন বাসায় আছি so ভাইয়া বলবে,, যখন অফিসে থাকবো তখন স্যার বললেই হবে,,
রাহাত ঃজি স্যার,ও সরি ভাইয়া,
আমিঃযয়েন করেছো কবে,
রাহাতঃকাল থেকে এই থানায় যয়েন করবো, তাই বাসায় আসা,,
আমিঃও ভালো,, তাহলে তো দেখা হচ্ছে,,
,,
ওর সাথে আরো কিছু কথা বলার পর খাওয়ার জন্য ডাক পরলো,,
.
নিলাঃ জনাব খাবেন, উঠেন,,
আমিঃতুমি খেয়েছো,,
নিলাঃআমিতো অন্যকিছু খাবো,, এসব খাবারে আমার মন ভরবে না,,
আমিঃকি খাবে,,
নিলা আমার হাত টানতে টানতে বললো,, যখন খাবো তখন আপনি ও দেখবেন,, এটা একলা খাওয়া যায় না,, চলেন,,
.
অবশেষে খেতে বসলাম,
বাব্বা, এত খাবার আমার জন্য,,
আমি ঃনিলা আমিতো এত খাবার খেতে পারবোনা
.
নিলা খাবার বারতে বারতে বললো,, আপনি বলেছেন আর আমি শুনছি, সব খাবেন,,ওখানে কি খান না খান,
.
আমি ঃআরে এত দিচ্ছো কেনো,,আর দিও না,,
,,
খেতে খেতে শেষ,, এত খাওয়া যায় নাকি,,
নিলার মা ঃ কি হলো বাবা খাচ্ছো না কেনো,
নিলা তার মার দিকে তাকিয়ে বললো,,..
নিলাঃমা তুমি একটু রান্না ঘরে যাওতো,
নিঃমাঃকেনো?
নিলাঃযাওতো কাজ আছে,,
নিলার মা ঃআচ্ছা, ঠিক মতো বেরে দিস,
.
নিলার মা যেতেই নিলা আমার সামনে থেকে প্লেট টা নিয়ে নিজ হাতে খাবার নিয়ে বললো হা করুন,,
আমিঃ আমি আর পারবো না,,
নিলাঃনিন, হা করুন বলছি,,
আমিঃআচ্ছা তুমি এমন করছো কেনো,, ভুমি করে দেবো,,
নিলা কিছুটা রেগে বললো, হা করুন,,
ওর জোরাজুরিতে খেতে হলো, পেট নিয়ে কোনোরকম রুমে গেলাম,
,
কিছুক্ষন রেষ্ট নেওয়ার পর কারো দরজা বিরানোর শব্দ পেলাম,,,
তাকিয়ে দেখি নিলা,,,
,
আমি কোনোরকম বসার চেষ্টা করে বললাম,কি করছো কি,, দরজা বিরিয়েছো কেনো,,
নিলা একটু দুষ্ট হাসি দিয়ে বললো,,, বলেছিলাম না ঠোট ছিরবো,,,
আমিঃপাগলামি করো না, ,তোমার বান্ধুবিরা চোলে আসবে,,
নিলা কিছুটা মুখ বেকিয়ে বললো,, আজকে চুলও ছিরতে পারি ওদের,
ওদের জন্য আপনার কাছেই আসতে পারিনা,,
.
আমি ঃ দেখো কেউ এসে পরবে,
নিলাঃহাহাহা, বোলেছিনা কোনো না শুনবো না,,,
নিলা আমাকে আর কিছু বলতে দিলো না,, মুখটা কাছে টেনে ঠোটে ঠোট চেপে দরলো,
এক চুমুকে কতক্ষণ ছিলো যানিনা,, যখন ছারলো তখন আমি প্রায় যাই যাই অবস্থা,,,
নিলার লক্ষন বেশি ভালো না,আমার ঠোট আজ ছিরবেই মনে হয়,
আমার ঠোটের দিকে মাতাল ভাবে তাকিয়ে আছে,
,আবার যেই আমার দিকে আসবে ঠিক তখনই বললাম,এই কে যেনো আসছে,,
নিলা পাসে তাকাতেই আমি উঠে দৌর,, পিছন তাকাতেই দেখি নিলা আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে,,
,,
আমি দৌরে মিরা আর আনিসার কাছে গেলাম,,
আমিঃকি ব্যাপার তোমরা কি করছো,,

.

ওরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,
আমিঃকি ব্যাপার কি হোয়েছে,,
আনিসা ঃকি ব্যাপার ভাইয়া,, আপনার ঠোট গুলো এমন লাল হলো কিভাবে.
.
আমিঃমরিচ খেয়েছি তো তাই এমন মনে হয়।
মিরাঃএটাতো মরিচের লাল না,,
,,
ঠিক তখন নিলা হাতে আমার ফোন নিয়ে আসলো,,
আনিসা ঃকিরে নিলা,, ভাইয়ার ঠোট এমন লাল হলো কি করে,,,
নিলা আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বিরবির করে বললো,, আজতো ছিরেই ফেলতামম,,,
মিরা ঃকি রে কি বলস,
নিলা আমার হাতে ফোন দিতে দিতে বললো কিছুনা,
আমার দিকে তাকিয়ে বললো,, আপনার কে যেনো ফোন দিয়েছে,, কি নাম যেনো, ও, সাইদ,,
আমিঃসাইদ, ,
নিলাঃকে উনি,, ভাই দিয়ে ছেব করা,,
আমি ঃআমার ছোট ভাই,,
নিলাঃদেন দেন মোবাইলটা দেন,, ছোট ভাইয়ার সাথে কথা বলবো,,
আমিঃআরে দারাও আমি আগে কথা বলে নেই,,
,,,
আমি ফোন দিলামঃ
,
সাইদঃহ্যালো ভাইয়া কেমন আছো.
আমি ঃভালো,, মা সবাই ভালো আছে,
সাইদঃভালো, আমি কাল তোমার ওখানে আসছি,,কিছুদিন তোমার ওখানে বেরাবো,
আমিঃআচ্ছা আয়,, আমি গাড়ি পাঠিয়ে দেবো।
সাইদঃআচ্ছা তাহলে রাখি,,,
আমিঃআচ্ছা আয়,,,
.
আমি ফোন রাখতেই নিলা বললো,,
নিলাঃকি বলল ওনি,,
.
আমিঃকাল এখানে আসছে,.
নিলাঃআমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন না,
আমিঃআরে আসুক না,,
নিলা ঃ কি বলে পরিচয় করিয়ে দিবেন,
আমিঃ কেনো, #আমারপাগলিপ্রেমিকা.. বলে।
নিলাঃধ্যাত.. ওনার সামনে এইভাবে বলবেন।
আমিঃথুর পাগলি, আমার হবু বৌউ বলে পরিচয় করিয়ে দেবো,,
.
নিলা কিছুটা মন খারাফ করে বললো,
মেনে নিবেন উনি,,
ওকে হাত দিয়ে কাছে টেনে এনে বললাম,,আমার উপর কেউ কথা বলে নাকি,,
নিলা আমার জামা এক হাত দিয়ে মোরাতে মোরতে বললো,, আমার খুব ভয় করে,, যদি না মানে তা হলে তো আমি মরে যাবো,,
.
আমি যেই ওকে একটু চেপে দরেছি, ,ঠিক তখনই পাস থেকে মিরা বললো,, আমরা আছি কিন্তু,,
আনিসা ঃআপনারা যখন তখন এত রুমান্টিক হন কিভাবে,,
.
নিলা আমার বুকের ভিতর মুখ গুজে দিয়ে বললো,, আমার মতো যখন তোর একটা জুটবে, তখন বুঝবি রুমান্টিকতা কোথাথেকে আসে,, ,
.
মিরাঃতোরা তোদের রুমান্টিকতা নিয়ে থাক,, আমরা গেলাম…..
.
……চলবে. ..

আমারপাগলিপ্রেমিকা ৫ম পার্ট

0

আমারপাগলিপ্রেমিকা ৫ম পার্ট

……#জেএইসজনি….
.
.
….
আমি ঃ কি হোয়েছে,
নিলা আছতে আছতে বললো,, আর একটু থেকে যাননা,,
আমিঃ পাগলি একটা, অন ডিউটিতে আছি তো,,
নিলা আমার হাত ছারলো না,,
তাই ওর পাসে বসে ওর মাথায় হাত
বুলাতে লাগলাম,,
ওর শরিল কিরকম গড়ম হোয়ে আসছে, ,তাই ডাক্তার কল করে আনালাম,,
কিছু মেডিসিন দিয়ে গেলো,,
,,
কিছুক্ষন পর ওকে বললাম,, এবার তো ছারো,,
নিলা ঃ আজ না গেলে হয় না,,
.
আমিঃ পাগলি একটা,,কি অবুঝ অবুঝ কথা বলো যে,, আমি তো আবার এসে দেখে যাবো,, এখন যাই..
.
উঠে যেই চোলে যাবো,, আবার হাত টান দিয়ে দরলো,,
.
আমিঃআবার কি হলো,,
নিলাঃ আমার আদর
আমিঃ পাগলি একটা ভুলে গিয়েছিলাম,,
নিলার কপালে একটা চুমু দিলাম,,
নিলা হাত দিয়ে তার ঠোট ইসারা করে আছতে বললো,, ওখানে না এখানে,,
আমিঃ তোমার জ্বর আসতেছে,,পড়ে দেবো,, এখন যাই,,
নিলাঃ এটা না দিলে এ জ্বর ভালো হবে না,,,
আমি আলতো করে ওর ঠোটে একটা চুমুক দিলাম,,
নিলা এ চুমুক আরো দীর্ঘ করতে চেয়েছিল,, ওর শরিল ভালোনা বলে ছেরে দিলাম,,
আমি ঃ এবার হোয়েছে,,
নিলা মাথা নারালো,,
.
আমি নিলার গায়ে একটা কাতা টেনে দিলাম,,এবার ভালো মেয়ের মতো একটা ঘুম দেও,,
কোনো সমস্যা হলে জানাবে,, ওর কপালে আলতো করে আর একটা চুমু দিয়ে চোলে আসলাম,,
.
এখন যাচ্ছি একশন নিতে,,
যারা আমার নিলার গায়ে হাত দিয়েছে তাদের উপর কড়া একশন নিতে হবে,,
গিয়ে দেখি জেলখানার ভিতর একএকটা চামচিকার মতো গুঝা দিয়ে বোসে আছে,,,
,,
একটার চুল দরে বললাম,, খুব সেয়ানা হোয়ে গেছিস না,,
এই ডানডাটা দেতো,,
ডানডাটা দিয়েই তাদের ভিতর লিডার যে তার পাছাতে কয়েকটা বারি দিলাম,,,
লিডার চিৎকার দিয়ে বললো, ও বাবাগো ,, স্যার স্যার আর জীবনেও করবো না,, স্যার ছেরে দিন, স্যার আ,আয়,,
সে চিৎকার করছে আর পাছা ডলছে,
তোদের পরে দেখছি,, এখন মুড ভালো নেই,,
,,
আমি অফিস থেকে বাসায় চোলে আসলাম,,
এর ভিতর একবার নিলার মার কাছে ফোন করে নিলাকে মেডিস খাইয়ে দিতে বোলেছি,,
,,
রাতে সুয়েছি, ,একটু চোখটা লেগে এসেছে, রাত তখন দুটো বাঝে,, হঠাৎ ফোনটা বেঝে উঠলো,,
,,
তাকিয়ে দেখি নিলার মার ফোন,,
আমি অজানা ভয়ে সোয়া থেকো উঠে
বসলাম,,,
ফোনটা রিসিব করে কানে দরতেই নিলার মা বললো,,
বাবা নিলার প্রচন্ড জ্বর উঠেছে,, জ্বরের গোরে আবিজাবি বলছে,,
আর বারবার তোমার নাম দরে ডাকছে,, তোমাকে খুজছে,, আমার খুব ভয় করছে,, এই কথা বলে উনি কেদে দিলেন,,,
.
আমিঃআপনি চিন্তা করবেন না, আমি এখনই আসছি,,,
.
নিলার মাঃ হ্যা বাবা তারাতারি আসো, ও কেমন যেন করছে,,
আমিঃআমি এখন ই আসছি,,,
,,
আমি তারাতারি ডাক্তারকে ফোন দিয়ে সেখানে চোলে যেতে বললাম,,,
আর আমি গাড়ি নিয়ে আমার গার্ড ছারাই চোলে গেলাম নিলাদের বাসায়,,,
.
বাসার ভিতরে যেতেই দেখি নিলা জ্বরে কাপছে আর আমার নাম নিয়ে ডাকছে,,
,,
আমি কাছে চোলে গেলাম,,
নিলাঃ জনি আপনি কোথায়,, আমার ভালো লাগছে না কেন,,
আমি নিলাক জড়িয়ে দরে বললাম এইতো আমি,,
নিলা আমাকে আসটে পিসটে জড়িয়ে দরলো,,নিলাকে আবার বললাম,
খুব খারাফ লাগছে তোমার,।
.
আমি জড়িয়ে দরার পরেও দেখি নিলা শীতে কাপছে,,
তাই একটা কম্বল দিয়ে বুকের মাঝে জড়িয়ে দরলাম,, এবার আমি সহ কাপছি,
অবস্থি বেশি বেগতিক দেখে ডাক্তার কে আবার কল দিলাম,
.
কোথায় আপনি,,
ডাক্তার ঃ এইতো স্যার চোলে এসেছি
আমিঃ তারাতারি আসুন,,
,,,
কিছুক্ষন পর ডাক্তার এলো,,
,
ডাক্তার নিলাকে কিছু এন্টিবায়টিক ঔষধ আর ইন্জেকশন দিলো,,
,,
ডাক্তার ঃ ভয়ের কিছু নেই, কিছুক্ষনের ভিতর কাপাকাপি কমে জাবে,, ঘুমের ইন্জেকশন দিয়ে দিয়েছি, ঠিক হোয়ে যাবে,,
,,
ডাক্তার কে বিদায় করে,, আমি নিলাকে বুকের মাঝে নিয়ে আদ সোয়া হোয়ে আছি,,
নিলা আমার বুকের মাঝে ঘুমাচ্ছে,,
,
নিলাকে বুকের মাঝে নিয়েই আছি,,
আমি ঘুমানোর সাহস পেলাম না,, কখন না আবার নিলা যেগে যায়,, কি না কি হয়,, তাই চোখে ঘুম থাকতেও ওকে বুকের মাঝে নিয়ে যেগে থাকলাম,,
.
সকালের দিকে চোখটা বন্ধ করে একটু ঝিমুচ্ছি,, তখন হঠাৎ দেখি নিঃশ্বাষ নিতে পারছি না,,
চোখ খুলে দেখি,, নিলা আমার বুকের উপর থুতনি দিয়ে আমার নাক চেপে দরে হাসছে,,,,
,,
এই মেয়েকে এখন কেউ দেখলে বলবে রাতে ওর উপর দিয়ে কি গিয়েছিলো,
.
সকালের রোদ্রে মেয়েটার হাসি যেন এক উপমা ছরাচ্ছে,,
আমি নিলাকে একটু শক্ত করে
বুকের সাথে চেপে দরলাম,,
নিলা আমার চোখ দেখে বিসম খেলো,,
নিলা ঃ কি ব্যাপার আপনার চোখ জোরা এমন লাল কেন,, রাতে ঘুমান নি,,
আপনি না কাল চোলে গেলেন, তাহলে আপনার বুকের মাঝে আসলাম কি করে,,
আমিঃ তুমি যানো, রাতে তোমার কি হোয়েছিল,,
নিলাঃ নাতো,আপনি আমায় আদর দিয়ে চোলে গেলেন,,, তার পর আমি ঘুমিয়ে গেলাম, আর ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি আপনার বুকে,,
আমি ঃ তোমার রাতে বিষন জ্বর উঠেছিল,,যানো কত ভয় পেয়েছিলাম,, আর যেই ভাবে কাপছিলে তুমি,, ডাক্তার এসে তোমাকে এন্টিবায়টিক আর ইন্জেকশন দিয়ে গিয়েছিল,,
এত কিছুর পর আর ঘুমানোর সাহস পাইনি,,
নিলাঃ আর তাই আপনি আমাকে বুকের মাঝে রেখে রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছিলেন। এত কিছু হোয়ে গেল আর আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না,,
আমিঃ এখন সরো অফিসে যেতে হবে,,
নিলা আমাকে আরএকটু শক্ত করে চেপে দরে বললো “কোথাও যাওয়া লাগবে না আপনার,, এখন আপনি ঘুমাবেন আর আমি আপনার বুকে
ঘুমাবো,, রাতে আমি আপনার বুকে ঘুমিয়েছিলাম,,, অথছ আমি বুঝতে পারিনি,, তাই এখন ঘুমিয়ে তার শোদ তুলবো,,,
আমিঃআরে পাগলি আগে
আমাদের বিয়ে হোক তার পর বুকে ঘুমিও,,
নিলাঃনিলা আমার বুকের ভিতর মুখটা গুঝিয়ে দিয়ে মাথার উপর কম্বলটা দিতে দিতে বললো,, আমি তো এ কথা শুনছি না,, আমি এখন ঘুমাবো কোনো কথা হবে না,,
.
আমিঃআরে বুঝতেছো না কেন,, যে কোনো সময় যে কেউ চোলে আসবে, আর আমাদের এভাবে দেখলে লোকে
খারাফ বলবে,,
নিলা বুক থেকে মাথাটা তুলে আমার মুখের কাছে মুখ এনে বললো,,”তাহলে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে আসি,,
এই বলে যেই উঠতে যাবে,, আমি চেপে দরে বললাম,, এই না না এই কাজ ভুলেও করো না,, তাহলে সর্বনাশ আরো হবে, তাছারা তোমার মা দেখলে খারাফ ভাববে, ,
নিলা আবার মাথাটা বুকের ভিতর গুঝে দিতে দিতে বললো,, মা কিছুই বলবে না,,আর কোনো কথা না,, ঘুমাবো, ঘুমান,,
আমিঃতোমাকে পাগলি কি সাধে বলি,,,আজ সর্বনাশ করেই ছারবে,,
নিলাঃ নো টক,,
,,
আমি যেই কিছু বলতে যাবো,, তখন হঠাৎ করে আনিসা আর মিরা কোথা থেকে যেনো রুমের ভিতর চোলে আসলো,,
.
রুমে ঢুকেই দুজন আমাদের এভাবে দেখে,, চোখ ঢেকে বললো,, ভাইয়া সরি সরি ভুল সময় চোলে এসেছি,, চোলে যাই,
নিলা আর থাকতে না পেরে বুকের উপর থেকে উঠতে উঠতে বললো,, তোদের জন্য না কোথায়ও একটু সান্তি নেই,, থাক যাওয়া লাগবে না,, এত সকাল সকাল কি জন্য এসেছিস,,?
আনিসাঃ আন্টি বললো তোর নাকি ভিসন জ্বর উঠেছিল,, তাই সকাল সকাল তোকে দেখতে চোলে এসেছিস,,
.
আমি হাসছি আর মনেমনে বলছি,, যা এদের জন্য হলেও পাগলিটা সরলো,,
.
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,, এত হাসা লাগবে না,,এখন একটু ঘুমান,, আমি নাস্তা নিয়ে আসছি,,
চল তোরা,।
.
নিলা ওদের নিয়ে রুম থেকে বের হোয়ে গেলো,,
এইফাকে আমি একটু ঘুমিয়ে নেই,,

,,
কিছুক্ষন ঘুমানোর পর,
নিল আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আমাকে ডাকতে লাগলো, ,
.
নিলাঃ এই এবার উঠেন,, নাস্তাটা করে নেন,, কি হোলো উঠেন না,,
উঠবেন না, দারান দেখাচ্ছি,,
এই বলে নিলা আমার ঠোটে কামুর দিয়ে দরলো,,
আমিঃআউউ….. কি করছো,, ব্যাথা পেয়েছি তো,,
নিলাঃ না উঠলে এবার অন্য কিছু করবো,, উঠেন,, নাস্তা করবেন,,

আমিঃকটা বাঝে,,
নিলাঃ দশ টা,,

আমি লাফ দিয়ে উঠলাম,,
কি বলো,, আমার ফোন কই,, কল দেয়নি কেউ,,
নিলাঃ না, কারন আমি ফোন বন্ধ করে রেখেছি,, তাই কেউ কল দেয়নি,,
আমিঃআহা করেছোটা কি,, ফোনটা দেও,
নিলাঃ এই নিন,।
.
আমি ফোনটা অন করে, অফিসে কল
দিলাম,, তাদের সাথে কথা বলে বিছানায় বসলাম,,
,,

তখন নিলা বললো যান আমার বাথরুম থেকে ওয়াস হোয়ে আসেন,,
আমিঃআচ্ছা,,
নিলাঃ আমি আসি
আমিঃ লাগবেনা, ফাজিল একটা,,
,,
আমি ওয়াস হোয়ে বের হোতেই দেখি নিলা তাওয়েল নিয়ে দারিয়ে আছে,,
.
নিলাঃএদিকে আসুন, আমি মুছে দেই,,
নিলা আমার হাত মুখ সুন্দর করে মুছে দিল,, আমি নিলার দিকে তাকিয়ে আছি,,
নিলাঃ কি দেখেন,,
আমিঃআচ্ছা নিলা এই ভালোবাসা সারাজীবন থাকবে আমার জন্য?
নিলা আমাকে আলতো করে জড়িয়ে দরে বললো,, সারাজীবন কেনো, পরজীবনও থাকবে,, ভয় তো করে আপনাকে নিয়ে,, পরে যদি আমাকে ভুলে যান বা এই রকম করে ভালো না বাসেন,, তাহলে তো আমি মরে যাবো,, বাচতে পারবো না,,
আমিঃ চুপ পাগলি এসব কেউ বলে,,
.
নিলা আমার দিকে আমি নিলার দিকে তাকিয়ে আছি,,
নিলা তার মুখটা আছতে আছতে আমার মুখের কাছে নিয়ে আসলো,,
যেই আমার ঠোটের সাথে নিলা ঠোট বাজাতে যাবে,,ঠিক তখনি আনিসা নাস্তা হাতে রুমে ডুকলো,,
.
আনিসাঃনিলা ওফ সিট,,রং টাইম।
.
নিলা এবার কিছুটা রেগে বললো,,
তোকে আমিই….
আনিসা ঃসরিরে দোছ,আন্টি নাস্তা পাঠালো,,তাইতো,
নিলাঃরাখ এখানে,, তুই খেয়েছিস,,মিরা কোথায়,,
আনিসাঃনা খাইনি,, মিরাকে তো বেশ কিছুক্ষন দেখছি না,,
আমি হাসছি,,
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,
নিলাঃ হাসবেন না, আমার লজ্জা লাগে,,
আমিঃআচ্ছা তোমরাও বসো, এক সাথে নাস্তা করি,,
আনিসাঃনা ভাইয়া আপনারা করেন,
নিলাঃএকটা ঘুশি দেবো,, আয়, আজ একসাথে নাস্তা করবো,, আগে চল,, মিরা কে নিয়ে আসি,,
নিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,,
আপনি আবার আমাদের রেখে খেয়ে নিয়েন না।এই আনিসা চল,, মুটকিটা কোথায় ওকে খুজে নিয়ে আসি,,
,,
নিলা আর আনিসা মিরাকে আনতে গেলো,, বাসার ভিতর পেলো না,, তাই বাসার বাহিরে খুঝতে গিয়ে
নিলা আর আনিসা বিসম খেলো,,
.
.
.
ওরা সারা বাসা খুজে হয়রান আর মিরা বাহিরে গাছের নিচে দারিয়ে নিলার ভাই রাহাতের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,,
.
নিলাঃআনিসা ভাইয়া আসলো কখন,
আনিসাঃআমিতো জানি না,,
নিলাঃভাইয়ার সাথে মিরার এত কি কথা,, আচ্ছা চল আড়াল থেকে শুনি,
আনিসা ঃচল,
.
ওরা আড়ালে গিয়ে দারালো, মিরা আর রাহাতে কথা শুনার জন্য,,

মিরা আর রাহাতের কথা…..

মিরাঃআপনি পুলিশের চাকরি পেয়েছেন অথচ আমাদের বললেন না।
রাহাত ঃআমাদের বলতে,,
মিরাঃআমাদের বলতে, আমাকে,,
রাহাতঃতোমাকে কিভাবে বলবো, তুমিতো আমাদের বাসায়ই আসো না,,
মিরা ঃআমিতো প্রাই আসি, ,আপনি তো তাকান না,,
রাহাতঃএইযে এখন তাকালাম,,
মিরাঃএই ভাবে বলবেন না,লজ্জা লাগে।
মিরাঃআমাকে ট্রিট দেবেন না,,
রাহাতঃকি ট্রিট চাও,,বলো,,
মিরাঃপরে বলবো,,
রাহাতঃপরে কিভাবে বলবে,
মিরাঃ তাইতো, আচ্ছা আপনার নাম্বার টা দেন,,
রাহাতঃআচ্ছা তোমার হাতটা দেও,,
মিরাঃকেনো,
রাহাতঃনাম্বার দেবো।
মিরাঃও আচ্ছা দেন,,
.
মিরার হাতে রাহাত নাম্বার লিখে দিলো,
একজনের দিকে আর একজন তাকিয়ে থাকলো,, যেন বাংলা সিনেমার কাহিনি,,
.
নিলা আর আনিসা থাকতে না পেরে ওদের সামনে চোলে গেলো।
.
.নিলাঃকিরে ভাইয়া তুই কখন আসলি
,,
নিলার কথায় রাহাত আর মিরা চমকে উঠলো,,রাহাতের হাত থেকে কলম পরে গেলো,,
রাহাতঃক কই এখন আসলাম,
আনিসাঃমিরা তোর হাতে কি।
মিরা হাত গুজিয়ে বললো ক কই কোথায়,, নাইতো কিছু নাই,,
.
নিলাঃভাইয়া তোর কলম পরে গেছে,,
রাহাতঃকই ও হ্যা কলম আমার কলম,,আচ্ছা আমি ভিতরে গেলাম,,
আনিসাঃকাহীনি কি মিরা,,
মিরাঃক কই কি কাহীনি ,, এদিকে আসছিলাম তখন ই তোর ভাইর সাথে দেখা, এই আর কি।
নিলাঃতাই নাকি, নাকি অন্য কিছু,,
মিরাঃতোরাও না, ধ্যাত,সর
এই বলে মিরা আগে চোলে গেল,,
আর পিছন থেকে নিলা আর আনিসা
হাসতে লাগলো,,
.
কিছুক্ষন পর নিলা ,,আনিসা, মিরা আসলো,,
আমিঃকি ব্যাপার তোমাদের আসতে এত দেরি হলো,,
আনিসা ঃআমাদের মিরা হাড়িয়ে গিয়ে ছিল,,তাকে খুজতেই সময় হলো,
আমিঃআচ্ছা শুরু করো,,
.
নিলা আমার কাছে এসে বললো,
নিলাঃআপনি হা করেন আমি খাইয়ে দিচ্ছি,,ওই তোরা নিচে তাকা,,
নিলা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে,।
.
আসলেই মেয়েটা ভালোবাসতে জানে…
…..
চলবে

আমার পাগলি প্রেমিকা ৪র্থ পার্ট

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ৪র্থ পার্ট
.
….#জেএইসজনি…
.
.
.
আমিঃ এদিকে আসো,
নিলা ঃ আবার কি হলো,
আমিঃআসোতো,,
নিলাঃ এইতো আসলাম,,
আমি নিলার কপালে আলতো করে একটা চুমু দিলাম,,
এবার যাও,,
নিলাঃআপনি না আসলেই একটা পাগল,,আচ্ছা আসি ভালো থাকবেন,,
আমিঃসাবধানে যেও,, বাহিরে গাড়ি আছে, বোলে দিচ্ছি, এগিয়ে দেবে,,
,,
পাগলি একটা.
.
পর দিন গেলাম, নিলাদের কলেজে,,
আমি যে পুলিশ অফিসার এইটা নিলার বান্ধুবিরা কেউই জানে না,,
জানলে হয়তো আমার সাথে ইজি ভাবে কথা বলতে পারতো না,,
,
যাক সেসব কথা,, বর্তমানে আসি,,
,
নিলাদের কলেজে গিয়ে দেখি ওরা গোল করে কলেজের এক কোনে ঘাসের উপর বসে আছে,
আমি কাছে গিয়ে নিলার পাসে বসলাম,,
আমি ঃ হ্যালো গাইজ কেমন আছো,,
সবাই একসাথে ঃজি দুলাভাই ভালো,,
আমিঃ তোমাদের সুর আজ এমন বদলালো কেনো,,
মিরা ঃআমাদের জন্য আনলিমিটেড ফুসকার দোকান ফ্রি করে দিয়েছেন,, এটুকুতো বলতেই পারি,,
আমি ঃ ও তাই বলো,তাইতো বলি ভাইর সাথে দুলা যোগ হলো কি করে,,
আনিসাঃভাইয়া নিলা রেগে যাচ্ছে,, ওকে একটু আদর দিয়ে ঠান্ডা করুন,, বেচারি আপনার জন্য অপেক্ষা করতে করতে শেষ,,,হাহাহা
,
আমি নিলার দিকে তাকিয়ে দেখি সত্যি সত্যি নিলা রেগে যাচ্ছে,
নিলা আমার পাস থেকে উঠে অন্য পাসে চোলে গেল,,
আমি নিলার পাসে গিয়ে দারালাম,,
নিলা রেগে বললো,, এখানে আসছেন কেন,, ওদের কাছে জান,,
আমিঃ তুমি রেগে যাচ্ছো কেন,,
নিলাঃ তো কি করবো,, আপনি আমার জন্য আসছেন না ওদের জন্য আসছেন,,
আমিঃ তোমার জন্য,
নিলাঃ তা হলে আমাকে রেখে ওদের সাথে কিসের কথা,,,
আমিঃহাহাহা, পাগলি এই জন্যই তোমাকে এত ভালোবাসি,,
নিলাঃকচু বাসেন,,
আমি ঃ হাহাহা,,চলোতো, আর রাগ করতে হবে না,,
ওদের কাছে চোলে গেলাম,,
মিরা ঃ কি আপনার মহারানির রাগ কোমেছে,,
আমিঃ হ্যা,, একটু আদটু আদর পাওয়া জন্য এরকম করে,,
নিলা আমার দিকে রাগী চোখে তাকালো,,
আনিসা ঃ কবে যে আমার এমন একজন আসবে, যে আমার রাগ বাঙ্গাবে, আদর করবে,,আহ ভাবতেই কেমন লাগছে,,
আমিঃ খুজে দেবো নাকি,,
আনিসা ঃ দিলেতো ভালোই হয়,,কতযে আশা, বাদবো বাসা,,,
মিরাঃ রাখ তোর ডং,, চলেন ভাইয়া, আজ আমরা একসাথে কফি খাবো,, আমাদের কেন্টিনে, আর তার বিল দেবে আমাদের আনিসা,,ওরফে মুটকি,,
আনিসাঃকি আমি দেবো,, তুই দিবি মুটকি,
মিরাঃ আমি মুটকি, তুই মুটকি,,
আনিসাঃতুই তুই তুই,,
মিরাঃ তুই তুই তুই,,
আমিঃএবার থামো, বিল আমি দেবো,, আর সত্যি কথা বলতে তোমরা দুজনই মুটকি,,হাহাহা,
নিলা ও আমার সাথে হাসতে লাগলো,,
মিরা আনিসা এক সাথে কিছুটা কান্না কান্না ভাবকরে বললো,, ভাইয়া এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না,,
আমিঃ আচ্ছা হোয়েছে চলো এবার,,
.
কেন্টিনে গিয়ে বসলাম,,
কফির অর্ডার করলাম,,
পাসে তাকিয়ে দেখি কয়েকটা ছেলে
কিছু মেয়েকে দৃষ্টাব করছে,, তার ভিতর একজন তো একটা মেয়ের গায়ে হাত দিচ্ছে,,
আমি উঠতে যাবো,, তখন নিলা আমার হাত চেপে দরলো,,
চোখ দিয়ে ইশারা করে যেতে না বললো,,
আমি নিলাকে বললাম,,ছারো, ওরা কি করছে দেখছোনা,,
নিলা ঃ করুক,, ওরা অনেক খারাফ আপনার কিছু করে বসবে,, আমি সয্য করতে পারবো না,,
নিলা আমার মুখটা ওই দিক থেকে সরিয়ে বললো, ওই দিকে তাকাবেন না,আমার হাত শক্ত করে চেপে দরে রাখলো,,
আমি ঃ আচ্ছা হাতটা ছারো কফি খাবোতো,,
নিলাঃ এখানে না অন্যকোথাও খাবো।,,ওই তোরা চল,,
নিলা আমার হাত টেনে বাহিরে নিয়ে গেলো,,
.
মিরাঃ ভাইয়া ওরা এরকমই, সব জায়গায় এমন বদমাসি করে,,কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না, আমাদের কলেজের ভিপির ছোট ভাই বলে,,
নিলাঃ এসব কথা রাখ, চলেন ওই দিকে যাই,,
,
সেই দিন ওদের সাথে গোরাফিরা করে. চোলে আসলাম,,
,,
এই ভাবেই দিন গুলো যেতে লাগলো,,
নিলার সাথে খুনশুটি আর ভালোবাসায়,,
.
এর ভিতর একদিন অফিসে বসে কাজ করছি,,
ঠিক বারটা হবে তখন।
আমার ফোনে
আনিসা কল দিল,,
আমি কল দরে বললাম, হ্যা আনিসা,, বলো,,।
অন্যপাস থেকে আনিসা কেদে কেদে বললো, ভাইয়া নিলা কে আমাদের কলেজের কিছু বখাটেরা আটকিয়ে রেখেছে,, নিলার সাথে খুব অসভ্যতামি করছে,
আমি ভয়ে আতকে উঠলাম,,
আমিঃ হ্যালো আনিসা তোমরা এখন কোথায়,
আনিসা ঃভাইয়া কলেজের হলরুমে,,
আমিঃ তোমরা চিন্তা করো না আমি আসছি,,
আনিসা ঃ ভাইয়া নিলা কে ও….
আর বলতে পারলো না ঠাস করে একটা আওয়া হলো,,,
…আমিঃ হ্যালো আনিসা,, হ্যালো হ্যালো,
.
.
.
আমার ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গেল,,আল্লা নিলা কে হেফাজত করো,,
আমি উঠেই দৌর দিলাম,,
আমাকে এভাবে দৌরাতে দেখে,,
আমার নির্মকর্মকর্তা সবাই আমার পিছন পিছন দৌরাতে লাগলো,,
আমি গাড়ি নিয়ে নিজে ড্রাইভ করে যেতে লাগলাম,, পিছন পিছন ওরাও গাড়ি নিয়ে আসতে লাগলো,,
,, কিছুক্ষনের ভিতর কলেজে পৌছে গেলাম,,
আমি নেমে দৌরাতে লাগলাম,, না যানি ওরা আমার নিলার সাথে কি করছে.
পিছন পিছন আমার ফোর্স দৌরাতে লাগলো,,
আমাদের এভাবে দৌরাতে দেখে কলেজের সবাই বসা থেকে দাড়িয়ে গেলো,,
বিস্মিত হোয়ে চেয়ে রইলো,,
.
আমি সোজা ওদের হলরুমে চোলে গেলাম,,
গিয়ে দেখি, আনিসা মিরা ওদেরকে ওই বখাটের সঙ্গি রা আটকিয়ে রেখেছে,,
আর বকাটে গুন্ডাটা আমার নিলার ওরনা হাতে টেনে নিয়ে নিলার দিকে এগুচ্ছে, নিলা ভয়ে কাদছে আর পিচাচ্ছে,,
এটা দেখে মাথা আমার আরো গড়ম হোয়ে গেলো,,
দৌরে একটা লাথি মারলাম ছেলেটাকে, লাথি খেয়ে ছিটকে দেয়ালের সাথে লেগে নাক দিয়ে রক্ত জড়তে লাগলো,,
নিলা আমাকে দেখে দৌরে আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়লো,,
.
আনিসা আর মিরা কে যারা আটকিয়ে ছিল, তারা ওদের ছেরে দিল,,
এত ক্ষনে আমার ফোর্স যারা আমার পিছন পিঁছন আসছিল, তারাও এসে পৌছেছে,,
বাহিরে কলেজের ছাএ ছাএীদের একটা ভীর জমে গেছে,, সবাই ভাবছে ভিতরে কি হচ্ছে,,,
.
আনিসা আর মিরা দুজনের তো বিস্ময়ের শেষ নেই,
আমার গায়ে পুলিশের পোশাক দেখে,
,,
নিলার বুক খুব দুক দুক করছে,,
নিলাকে বুকের মাঝে আরো শক্ত করে চেপে দরলাম,, নিলাও আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে দরে ভয়ে কাপছে,,
গুন্ডাটা দারাতেই নিলাকে বুকের মাঝে রেখেই ওকে আরো দুটো লাথি মারলাম,,
পাস থেকে এসআই বললো,, স্যার আপনি ম্যাডামকে দেখুন আমরা এদের দেখছি,,
,
আমি নিলার দিকে তাকাতেই দেখলাম নিলা আমার বুকের মাঝে অগ্গ্যান হোয়ে গেছে,,
আমি ণিলাকে কোলে করে তারাতারি রেষ্ট রুমে নিয়ে গেলাম, পিছন পিছন মিরা আর আনিসা আসলো,,
.
আমি নিলা কে আমার কোলে সুইয়ে দিলাম,,
আনিসার দিকে তাকিয়ে বললাম,, পানি নিয়ে আসো,,
আনিসা দেখলাম আমার দিকে তাকাতেও ভয় পাচ্ছে,,
কি হলো যাও,,
আনিসা ঃ জি স্যার যাচ্ছি,,
আনিসা আমাকে ভয়ে স্যার বলছে,,
এতকিছু ভাববার সময় এখন নেই,,
,
আনিসা আমার হাতে পানি এনে দিল,,
আমি কিছুটা পানি নিলার চোখে ছিটিয়ে দিলাম,,
কিছুক্ষন পর নিলা চোখ খুললো,,
.
খুলেই আমকে জড়িয়ে দরে কেদে কেদে বললো আপনি ঠিক আছেন তো, কিছু হয়নি তো আপনার,, কথা বলেন না কেন, ,ওই বখাটেরা আমা..
.
আমি
নিলাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে, বুকের মাঝে চেপে দরে বললাম, আমার কিছু হয়নি,,তুমি শান্ত হও,,
.
নিলা আমার বুকের মাঝে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদতে লাগলো,,
আমিঃ পাগলি কাদে না,, আমি ঠিক আছি,, সব ঠিক আছে,,
.
নিলা একটু স্বাভাবিক হলো,
.
বেস কিছুক্ষন পর নিলাকে বুকের মাঝে নিয়ে প্রফেসর এর রুমে গেলাম,, পিছন পিছন আমার ফোর্সরাও আসতে লাগলো,,তাদের পিছনে কলেজের সকল ছাএ ছাএী,,
,,
আমাকে দেখে প্রফেসর দাড়িয়ে গেল,,
প্রফেসর ঃ স্যার আপনি, কিছু হোয়েছে,,
আমি নিলাকে নিয়ে বসতে বসতে বললাম,,
কি হওয়ার বাকি আছে,, আপনারা কি করছেন,, কলেজে বখাটেরা মেয়েদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করছে আর আপনারা তা বসে বসে দেখছেন,,
প্রফেসরঃ কোথায় স্যার আমরা তো কিছুই জানি না,,
.
আমি মিরা, আনিসা আর আমার বুকে থাকা নিলাকে দেখিয়ে বললাম,
এদের কে আজ আপনার কলেজের কিছু বখাটে ইজ্জত হরন করতে চেয়েছিল,
আনিসা যদি ঠিক সময় কল না দিতো, তাহলে আজ কি হতো চিন্তা করতে পারছেন,, আপনাদের সবাইকে তো ফাসি তে জুলাতাম।
প্রফেসর ঃস্যার শান্ত হন,, কারা এই কাজ করেছে,, আমি এখনই ওদের বিরুদ্ধে একশন নিচ্ছি,,
আমিঃ থাক আপনার আর কিছু করতে হবে না, ,যা করার আমি করবো,,পরের বার চোখ কান খোলা রাখবেন,,
প্রফেসর আমার বুকে নিলাকে দেখে বলে, স্যার নিলা আপনার কি হয়, ,
আমি নিলার দিকে তাকিয়ে দেখলাম বাচ্চাদের মতো গুটিসুটি মেরে আমার বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে আছে,,যেনো এটাই তার একমাএ নিরাপদ জায়গা,
.
এবর আমি প্রফেসরের দিকে তাকিয়ে বললাম, আমার ওয়াইফ,,
,,
প্রফেসর সহ বাকি সবাই যারা ছিল সবাই অবাক হোয়ে গেছে,,
প্রফেসরঃ বলেন কি স্যার ও আপনার ওয়াইফ,,।আগে তো জানতাম না,,আপনার ওয়াইফ আমাদের কলেজে পরে,,
আমি ঃ জানলে কি করতেন,
প্রফেসর ঃ গার্ড দেওয়ার ব্যাবস্থা করতাম।,,
আমি ঃ বাকিরা কি দোষ করে ছে,, সবাই কে এক নজরে দেখার চেষ্টা করবেন,, পরের বার যেন আমি এসব কিছু না সুনি,, আজ উঠি,,
প্রফেসর ঃ স্যার এক কাপ কফি খেয়ে যান,,
আমি ঃনা,, দেখছেন ও ভয়ে কি হোয়ে আছে,,
প্রফেসর ঃ সরি স্যার,, পরবর্তিতে আর এমন হবে না,,
,
আমি নিলা আনিসা, আর মিরা কে নিয়ে আমার গাড়িতে বসলাম,, ওরা এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি, তাই ওদেরকে স্বাভাবিক করার জন্য রেষ্টুরেন্টে যাচ্ছি।
পিছন পিছন আমাকে গার্ড দেওয়ার জন্য আছে কিছু পুলিশ,,
,
কিছুক্ষন পর একটা রেষ্টুরেন্টের সামনে এসে নামলাম,,
ওদের নিয়ে ভিতরে গিয়ে বসলাম,,
,,
ওয়েটারকে বললাম কোল্ড কফি দিতে,,
.
আমি আনিসার দিকে তাকিয়ে বললাম,
আমিঃ তোমাকে ধন্যবাদ আনিসা,, তুমি যদি সময় মতো কল না দিতে, তা হলে যে কি হতো,,, আচ্ছা কোল্ড কফি
খাওতো তোমরা,,
মিরা, আনিসা একসাথে ঃ জি স্যার,,
,,
বুঝতে পারলাম ওরা আমাকে এভাবে দেখে ভয় পাচ্ছে,,
আমি ঃতোমরা কি ভয় পাচ্ছো,,
ওরা মাথা নারিয়ে হ্যা বললো,,
আমিঃ ভয় পাওয়ার কিছুনেই,, আমি পুলিশ অফিসার হোয়েছি তাতে কি হোয়েছে,, আমাকে আগের মতো ভাইয়া বলে ডাকবে,,
আচ্ছা কফি খাও,,
এবার নিলার দিকে তাকালাম,, পাগলিটাযে একবার জড়িয়ে দরেছে এখনো সেই দরাতেই আছে,,
আমার বুক থেকে মাথা তুলে বললাম
একটু কোল্ড কফি খাও তাতে কিছুটা স্বাভাবিক হবে,,
আচ্ছা হা করো আমি খাইয়ে দিচ্ছি,,
মিরাঃ আমরা কি ওই সাইডে যাব স্যার,,
আমিঃ আবার স্যার,,
মিরাঃ সরি ভাইয়া,,
আমিঃ এখানেই বসো যাওয়া লাগবে না,,
আমি নিলাকে খাওয়াতে ব্যাস্ত হোয়ে গেলাম,
তারপর আনিসা আর মিরা কে অন্যগাড়ি দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম,,
আমি আর নিলা যাচ্ছি এক গাড়িতে,,
নিলাকে নিয়ে নিলাদের বাসাতে যাচ্ছি,,
ওদের বাসার সামনে এসে নিলাকে গাড়ি থেকে বাহিরে দার করালাম,,
দেখলাম হেলে দুলে পরে যাচ্ছে, ,
তাই কোলে করে ওকে ওর রুমে নিয়ে সোয়ালাম,,
.
ওর মা দেখে বললো,, কি হোয়েছে আমার মেয়ের, কি হোয়েছে,,
.
আমিঃউওেজিত হবেন না,, একটু মাথা ঘুরিয়ে পরে গিয়ে ছিল,ঠিক হোয়ে যাবে,
,,
কিছুক্ষন পর যেই নিলার পাস থেকে উঠতে যাবো তখনই নিলা আমার হাত টান দিয়ে দরলো,,
আমি ঃ কি হোয়েছে,
নিলা আছতে আছতে বললো,, আর একটু থেকে যাননা,,
আমিঃ পাগলি একটা অন ডিউটিতে আছি তো,,
নিলা আমার হাত ছারলো না,,
তাই ওর পাসে বসে ওর মাথায় হাত
বুলাতে লাগলাম,,
ওর শরিল কিরকম গড়ম হোয়ে আসছে, ,তাই ডাক্তার কল করে আনালাম,,
কিছু মেডিসিন দিয়ে গেলো,,
,,
কিছুক্ষন পর ওকে বললাম,, এবার তো ছারো,,
নিলা ঃ আজ না গেলে হয় না,,
.
আমিঃ পাগলি একটা,,কি অবুঝ অবুঝ কথা বলো যে,, আমি তো আবার এসে দেখে যাবো,, এখন যাই..
.

উঠে যেই চোলে যাবো,, আবার হাত টান দিয়ে দরলো,,
.
আমিঃআবার কি হলো,,
নিলাঃ আমার আদর
আমিঃ পাগলি একটা ভুলে গিয়েছিলাম,,
নিলার কপালে একটা চুমু দিলাম,,
নিলা হাত দিয়ে তার ঠোট ইসারা করে আছতে বললো,, ওখানে না এখানে,,
আমিঃ তোমার জ্বর আসতেছে,,পড়ে দেবো,, এখন যাই,,
নিলাঃ এটা না দিলে এ জ্বর ভালো হবে না,,,
আমি আলতো করে ওর ঠোটে একটা চুমুক দিলাম,,
নিলা এ চুমুক আরো দীর্ঘ করতে চেয়েছিল,, ওর শরিল ভালোনা বলে ছেরে দিলাম,,
আমি ঃ এবার হোয়েছে,,
নিলা মাথা নারালো,,
.
আমি নিলার গায়ে একটা কাতা টেনে দিলাম,,এবার ভালো মেয়ের মতো একটা ঘুম দেও,,
কোনো সমস্যা হলে জানাবে,, ওর কপালে আলতো করে আর একটা চুমু দিয়ে চোলে আসলাম,,….
…….চলবে…..

আমার পাগলি প্রেমিকা ৩য় পার্ট  

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ৩য় পার্ট
.
….#জেএইসজনি
.
.
আমিঃ আচ্ছা রাগ করতে হবে না,, তোমরা যখন ইচ্ছে তখন এখান থেকে ফুচকা খাবে,, আমি মামাকে বলে দেবো
মিরা বসা থেকে উঠে এসে আলতো করে জড়িয়ে দরে বললো,, ইউ আর গ্রেড ভাইয়া,,
,
নিলা এইটা দেখে রেগে গিয়ে ইরাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললো , এই তুই কি করছিস,
মিরাঃ সরি দোছ,, খুশি তে নিজেকে দরে রাখতে পারিনি,,
আমিঃএত খুশি হোয়ে লাভ নেই,, এক শর্তে খাওয়াবো,,
সবাই এক সাথে ঃ কি?
আমিঃ শর্ত হলো আমার মহারাণি কে দেখে রাখতে হবে,,
আনিসা ঃ এইটা আর কি শর্ত আমরা রাজি,,
আচ্ছা তা হলে তোমরা খেতে থাকো।,,
মামা আমাদের টা দেন,,
.
আমিঃনিলা হা করো,,
নিলা অভিমান করে মুখ সরিয়ে নিল,,
আমিঃ পাগলি একটা হা করো,, নিলা কে খাইয়ে দিলাম,,
নিলাঃ হা করুন,,
আমিঃ আচ্ছা দেও
,,
খাওয়া শেষ করে বললাম, তা হলে আজ আমি উঠি।,,
তোমাদর কাছে তো আমার নাম্বার আছেই,, কোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন দেবে,,
ওরা ফুচকা খেতে খেতে বললো, আপনি যান, আছে, সমস্যা নেই,,
আমিঃ তোমার আবার কি হলো,,
নিলাঃ আপনি এখনি চোলে যাবেন,,
আমিঃ পাগলি একটা এর জন্য হোপ করে থাকতে হয়,, এদিকে আসো, এই তোমরা ওই দিক তাকাও,,
আমি নিলার কাপালে একটা চুমু দিয়ে সেখান থেকে চোলে আসি,,
নিলা এক ধ্যানে আমার চোলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
..
আমি আমার কাজে চোলে গেলাম,,
.
এর দু দিন পর আমার অফিসে রাহাত এসে হাজির,
হাতে মিষ্টির পেকেট।
,
রাহাত সোজা এসে আমার পা দরে সালাম করতে লাগলো,,
আমিঃআহা কি করছো উঠো,
,
রাহাত ঃ স্যার আমার চাকরি হোয়েগেছে,,
আমিঃ ভালো,,
,
রাহাতঃস্যার মিষ্টি খান,,
.
আমিঃ আমার জন্য দু পিজ রেখে বাকি গুলো বাহিরে যারা গার্ড দিচ্ছে তাদের কে খাইয়ে আসো,,
,,
রাহাত আমার কথা মতো আমার জন্য দু পিজ রেখে,, বাকিগুলো ওদের কে খাইয়ে আসলো,,
রাহাত ওদের খাইয়ে আমার কাছে আসলো,,
আমিঃ তা যয়েন কবে থেকে করছো,,,
,
রাহাত ঃ এক সপ্তাহ পড় স্যার!
আমিঃ ভালো,
রাহাত ঃ স্যার, মা আপনাকে একবার যেতে বোলছিল!
আমিঃ আচ্ছা আমি যাবো, কাল যেতে পারি,,
রাহাত ঃ আচ্ছা স্যার, তাহলে আমি আসি,,
আমিঃ ঠিক আছে যাও
,
পর দিন দুপুরে গেলাম নিলাদের বাসায়,,
,,
নিলার মাকে সালাম দিলাম,,
নিলার মা ঃ বাবা কি করে যে তোমার ঋৃন শোধ করবো, তুমি যে কত বড় উপকার করলে,,
.
আমিঃ কি যে বলেন না আপনি,, মা যেহেতু বোলেছি, সে হিসেবে এটুকুতো করতেই পারি,, আচ্ছা আপনার সাস্থ এখন কেমন,,
,
নিলার মাঃ মোটামুটি ভালই,, আজ কিন্তু দুপুরে খেয়ে যেতে হবে,, কোনো না করতে পারবে না,,
আমি ঃআচ্ছা ঠিক আছে,,,
নিলার মাঃএই নিলা ছেলেটাকে মিষ্টি দে আমি রান্না ঘরে গেলাম,,
,
কিছুক্ষন পর নিলা মিষ্টি নিয়ে এলো,,
,,
নিলাঃএই নিন মিষ্টি খান,
একটা মিষ্টি মুখে দিতেই, নিলা বললো,
নিলাঃ আচ্ছা আপনি কি আমাদের উপর করুনা করছেন, আমাদের দুরঅবস্থা দেখে,,
,,
নিলার কথা শুনে মুখ থেকে মিষ্টি টা,পরে গেল,,
আমি নিলার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি, ও এভাবে আঘাত করে কথাটা
বলতে পারলো,,
নিলাঃ কি হলো খাচ্ছেনা কেন,,
আমিঃ তোমার আম্মুকে ডাকো,,
নিলা নিলার আম্মুকে ডাকলো,,
নিলার মাঃকি হোয়েছে বাবা,
আমি ঃ আমি চোলে যাচ্ছি,, ভালো থাকবেন,,
নিলার মা ঃ সেকি বাবা, তোমার জন্য রান্না করলাম, না খেয়েই চোলে যাবে,,
আমিঃ অফিস থেকে কল এসেছে, যেতে হবে,,
নিলার মাঃ মিষ্টিতো খেয়ে যাও,,
আমিঃ পরে এক সময় খাবো,,
আসি,,
,,
নিলা হতবাক হোয়ে চেয়ে আছে,, ভাবছে, মুখ ফসকে কি বোলে ফেললাম
আমি যখন গাড়িতে উঠতে যাব, তখন নিলা আমার হাত দরে ফেললো,,
নিলা ঃ কি হোয়েছে আপনার,, রাগ করলেন নাকি, আসলে মুখ ফসকে কথাটা বেরিয়ে গেছে ,
আমি কিছু না বলে নিলার কাছ থেকে হাতটা ছারিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম,,
তখন নিলার মুখ টা দেখার মতো ছিল,,
সেখান থেকে আমি চোলে আসলাম,,
,,
এত ভালোবাসি ওকে, আর সে কিনা তা করুনা মনে করে,,
,,
অন্যদিকে নিলাও কেদে কেদে একাকার,,
নিলা মনে মনে ভাবছে, কি বোলেফেললাম আমি,, ওনি কি রাগ করলো,,এখন আমি কি করবো,, ওনি যদি রাগ করে আর কথা না বলে, তা হলে তো আমি মরেই যাবো,, আমার সাথে কথা না বোলে থাকতে পারবে নাকি,,
এসব ভাবছে আর কাদছে,,,
,,
অন্য দিকে আমার ভিষন অভিমান হলো নিলার উপর, একথা কিভাবে বলতে পারলো,,
,,,
পর পর দুদিন আর নিলার সাথে কোনো যোগাযোগ করিনি,,
,
তার পরের দিন, আনিসা কল দিল,,
আমিঃ হ্যালো,
আনিসাঃ কি হোয়েছে ভাইয়া আপনাদের মধ্যে,, নিলা তো কেদে কেদে শেষ,, এই কথা বলেন,,
নিলার কাছে ফোনটা দিল,,
আমি কিছু বলছি না,,
অপর পাস থেকে নিলা হাউমাউ করে কাদতে লাগলো,,
নিলাঃ আমি সরি, আমি বুঝতে পারিনি, কি হলো কথা বলছেন না কেন,,, আমি কিন্তু ভিষন কান্না করছি,, কি হলো,
,,
আমি কলটা কেটে দিলাম,,
নিলা কান্না বন্ধ করে দিল,,
ওর বান্ধুবিরা বললো কিরে কি হোয়েছে,,
নিলাঃ কল কেটে দিয়ে ছে,,
মিরাঃ তুইও না, কেনো বলতে গেলি এ কথা, এখন বোঝ কেমন লাগে,,
নিলাঃবোঝবেতো উনি,,
আনিসা ঃ কি করবি তুই,
নিলা ঃ ওনার অফিসে যাবো, বুঝাবো এই নিলা কি জিনিস,,
,,
নিলা সেখান থেকে সোজা আমার অফিসে চোলে গেল,,
আমি তখন একটা ফাইল দেখছি,
,,
হঠাৎ দেখি নিলা অগ্নি মুর্তি ধারন করে আমার দিকে তেরে আসছে,,
,
সবাই যেহেতু নিলাকে চিনে, তাই ভিতরে আসতে কেউ বাধা দিল না,,
,,
নিলা আমার সামনে এসে অগ্নি চোখে তাকিয়ে থাকলো,
আমি কাজে মন দিলাম,
এমন একটা ভাব নিলাম যেন কিছুই হয়নি,
হঠাৎ নিলা আমার কলার চেপে দরলো,
আমিঃ কি করছো কি, ,ছারো, কেউ দেখে ফেলবে,,
নিলাঃ দেখুক,, সবাই দেখুক আপনি আমাকে কত কষ্ট দিচ্ছেন, কি বোলেছি আমি,, হ্যা কি বোলেছি, মুখ ফসকে না হয় একটা ভুল কথা বের হোয়ে গেছে,
তাই বলে আপনি আমার সাথে কথা বলবেন না,,(কেদে কেদে বললো নিলা) দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি রহমত মুখচেপে হাসছে,, চোখ দিয়ে ইশারা করতেই চোলে গেল,,
এবার আমি কলার থেকে হাত ছারিয়ে নিলাকে বললাম
,

আমিঃআমি কথা বললেই কি না বললেই কি,, আমার ভালোবাসা তো করুনা, আমিতো ভালোবাসতে যানিনা,, সবাইকে করুনা করতে যানি,, আমার করুনা দিয়ে তুমি কি করবে তার চেয়ে বরং তুমি চোলে যাও,, যে তোমাকে ভালোবাসতে যানে তার কাছে যাও,,আমার কাছে আসছো কেন,,
নিলা এবার আমার মুখটা তার দিকে ফিরিয়ে বললো,,কি বললেন আপনি, কথা বলবেন না আপনি,,
আমি ঃ না, যে তোমাকে ভালোবাসতে যানে তার কাছে যাও,
,
দেখলাম নিলার চোখ ক্রোমশ লাল হচ্ছে,,
হঠাৎ ই নিলা আমার চুল গুলো খামছি মেরে দরে তার দিকে টেনে এনে, ঠোটের সাথে ঠোট মিলিয়ে দিলো,, কিছুক্ষন পর ছেরে দিল,,
,,
আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে চোল যেতে লাগলো,,
আমি জানি ওর অভিমান পাহাড় পরিমান জমে গেছে,,
আমি পিছন থেকে নিলার হাত টেনে দরলাম।
নিলা এক ঝটকায় আমার হাত ছারিয়ে চোলে যেতে লাগলো,,
এবার দু হাত দিয়ে টেনে দরলাম,
নিলা এবার শব্দ করে কেদে দিল,,আর বললো ছারুন, আমাকে ছারুন, লাগবেনা আমকে আপনার,,

আমি চোলে যাবো, বহুদুরে চোলে যাবো,,, ছারুন আপনি,,
এবার একটান দিয়ে নিলাকে বুকের মাঝে চেপে দরলাম,,
এবার আর না পেরে শান্ত হোয়ে গেল,,
আমি ঃ এই কি বলছিলা তুমি, বহুদুরে কোথায় যাবে,,
নিলা হাতের মুঠো থেকে একটা কৌটা বের করে বললো,, এটা খেয়েই বহুদুরে চোলে যেতাম,,
,,
আমি চেয়ে দেখলাম,, এইটা একটা বিশের বোতল,,
আমি ঃকি পাগল পাগল কথা বলছো,, একটা মাইর দিবো, ফালাও এইটা,
নিলাঃ আজ সত্যি সত্যি এইটা খেয়ে নিতাম,, এইটার চেয়ে আপন মানুষের দেয়া কষ্ট যে আরো বেশি, আপনি যানেন,,
আমিঃ এইটা তো তোমার বুঝা উচিত,,
তোমাকে কত ভালোবাসি আর তুমি সেই ভালোবাসাকে করুনা হিসেবে দেখছো,,, আর একবার যদি এরকম কিছু বলো,, দেখবে সেইদিন আর আমাকে পাবেনা,,, তোমাদের এখান থেকেই চোলে যাবো,,
,
নিলা বোতলটা দেখিয়ে বলল,, সেই দিন এইটাও খেতে পারি,, এইটা খেয়েই সেই দিন শেষ হোয়ে যাবো দেখবেন,,
.
আমি নিলার হাত থেকে বিশের বতলটা নিয়ে জানালা দিয়ে বাহিরে ফেলে দিলাম,,আর ওকে বুকের মাঝে শক্ত করে চেপে দরে কেদে দিলাম,,

আমিঃ পাগলি এমন কথা কেউ বলে, ভুলেও আর এসব ছুবে না,,তুমি তো জানোই তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি,
নিলা আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,, এখনতো দেখছি আপনি একটা পাগল,,এই ভাবে কেউ কাদে,, আমিও কিন্তু কেদে দেবো বোলে দিলাম,,আমিতো আপনার ছোট, ,আমি তো ভুল করতেই পারি,,তাই বলে আপনি এমন করবেন,,
আমি ঃ পাগলি তোমার এই ভুল যে আমাকে ভিষন আঘাত দেয়,,,
নিলাঃ আচ্ছা এখন চলেন,, ওই দিন তো মিষ্টি না খেয়েই চোলে এলেন,, এখন আমি নিজ হাতে আপনাকে মিষ্টি খাইয়ে দেব,,
আমি নিলা কে একটু কাছে এনে বললাম,, তোমার ওই ঠোটের চেয়ে বড় মিষ্টি আর আছে নাকি,,, এখন ওটা খাওয়ালে হবে,,
,,
নিলা লজ্জা পেয়ে আমার বুকের ভিতর মুখ লুকিয়ে বললো,, যান আমার বুঝি লজ্জা করে না,,
আমি ঃ ওরে আমার লজ্জাবতী রে, তখন বুঝি লজ্জা করেনি,,
নিলাঃতখন তো রাগের বসে দিয়েছি,,
আমি ঃ এখন ভালোবেসে দেও,,
নিলাঃ যান, আপনি না আসলেই একটা পাগল,,
নিলা আমাকে আরএকটু শক্তকরে
জড়িয়ে দরে বললো,, এই মিষ্টি আপনাকে সারাজিবন খাওয়াবো,,তবে কথা দিতে হবে,আমাকে অনেক ভালোবাসতে হবে,, কখনো ছেরে যেতে পারবেন না,,
আমিঃ আচ্ছা মহারানী ,,

নিলাঃ এবার চোখ বন্ধ করেন,
আমিঃ কেন,, মিষ্টি খেতে চোখ বন্ধ করতে হয়,,

নিলাঃ আমার লজ্জা লাগে,,
আমিঃ আচ্ছা করছি,,
,,
নিলার নরম ঠোট গুলো আমার ঠোটের সাথে লাগতেই, নিলা আমাকে
খামছি মেরে দরলো,, দুজন দুজনাতে হাড়াতে লাগলাম,,
কিছুক্ষন পর নিলা হঠাৎ আমার ঠোটে একটা কামর দিয়ে দিল,,
আমি, আউ করে শব্দ করে উঠলাম,,
নিলা পাসে দারিয়ে মিটিমিটি হাসছে,,,
,,
আমি ঃ কি করলে এটা,,
নিলাঃ এটা আপনার শাস্থি, আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য,,,
আমি ঃ পরের বার আমিও দেখে নিবো,,

নিলাঃ আচ্ছা,, সারা জীবন দেইখেন,,

আমি এখন যাই,,
আমি ঃ আরএকটু থেকে যাও না,,

নিলাঃ না,, আম্মু টেনশন করবে,, কালকে কিন্তু কলেজে আসবেন,,
এখন যাই,,
আমিঃ এদিকে আসো,
নিলা ঃ আবার কি হলো,

আমিঃআসোতো,,
নিলাঃ এইতো আসলাম,,
আমি নিলার কপালে আলতো করে একটা চুমু দিলাম,,

এবার যাও,,
নিলাঃআপনি না আসলেই একটা পাগল,,আচ্ছা আসি ভালো থাকবেন,,

আমিঃসাবধানে যেও,, বাহিরে গাড়ি আছে, বোলে দিচ্ছি, এগিয়ে দেবে,,
,,
পাগলি একটা……..
……চলবে. ……..
.
,,
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন

আমার পাগলি প্রেমিকা ২য় পার্ট 

0

আমার পাগলি প্রেমিকা ২য় পার্ট

…..#জেএইসজনি…
.
.
.
আমি ঃ তোমার চেহারা এত শুকালো কি ভাবে, ,খাওনা কত দিন,,
নিলা ঃ আপনি যেদিন আমার কথা না শুনে এরিয়ে গেলেন সেদিন থেকে যানেন সেদিন আমি কত কষ্ট পেয়ে ছি,, আবার যদি এমন কষ্ট দেন
তা হলে দেখবেন আমি কি যিনিস,,
আমি ঃ আচ্ছা আর কষ্ট দেবনা আমার লক্ষিটি, হোয়েছে,, এবার যাও
ওয়াস রুম থেকে ফেরেস হোয়ে আসো,,
নিলা ফ্রেস হোত চোলে গেল,,
এই ফাকে আমি কিছু খাবার আন্তে
পাঠালাম,
ও ফ্রেস হোয় বের হলো, ,আমি তাওয়েল টা এগিয়ে দিলাম,,
আমি ঃ এবার এখানে বসো, ,
কিছুক্ষণ পর খাবার চোলে আসলো,,
ওর সামনে সবগুলো সাজিয়ে দিলাম,,
নাও এগুলো খাও,,
নিলা ঃআমি এগুলো সব খেতে পারবো না,,
আমিঃ হা করো আগে ঠান্ডা জুসটা খাও,,হ্যা এবার এই চিকেন টা খাও
নিলা ঃ আমি আর পারবো না,,
আমিঃ আর একটু এই সুপটা খেয়ে নাও,, হ্যা এইতো হোয়েছে, ,,
নিলা ঃ আপনি খাননা কেন, হা করুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি,,
নিলা আমাকে এক এক করে সব খাইয়ে দিল,,
,
মেয়েটা আসলেই জাদু যানে,, আমি হা করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি,,
নিলা ঃ কি দেখেন ওমন করে
আমি ঃ তোমাকে, তুমি এত সুন্দর কেন,
নিলা ঃযান আমার লজ্জা করেনা,, এই কথা বলে নিলা আমার বুকের ভিতর মুখটা লুকিয়ে ফেললো,,
হাহাহ,লজ্জাবতী একটা,
,,
আমি ঃ আচ্ছা নিলা তুমি ওখানে কি করতে গিয়েছো,,
নিলাঃ আম্মুর ঔষদ আনতে যাচ্ছিলাম দোকানে, পথে ওই বখাটেরা দরলো,,
আমিঃতোমার বাবাকে বললেই তো পারতে,,
নিলা আমর বুক থেকে মাথা তুলে, মাথাটা নিচু করে বললো,, বাবা নেই,,
আমিঃ ও সরি,,
নিলাঃ এই জন্যই তো আমি আপনার ভালোবাসায় সারা দেই নি,, আমিও আপনাকে প্রথম দেখায় পছন্দ করে ফেলেছি,, ভালো লেগে গিয়েছিল,, কিন্তু আমার মতো এতিম মেয়েকে কে ভালো বাসবে,, আমার মতো এতিম মেয়ে ভালোবাসা ঠিক না, এই ভেবে আপনার কাছ থেকে দুরে থাকতে চেয়েছি,, পারলাম কই, তবে এটা সত্য আমার মতো এতিম মেয়েকে ভালোবেসে কিছুই পাবেন না,তার চেয়ে বরং ভুলে যান আপনি,,
,,
নিলা এই কথা গুলো নিচে তাকিয়ে কাদতে কাদতে বললো।
আমি নিলাকে খুব শক্ত করে বুকের মাঝে জড়িয়ে দরে বললাম,
আর একবার যদি এতিম বলছোনা, তাহলে থাপ্পর দিয়ে দাত ফেলে দিব,,,,
আচ্ছা আমি তোমাকে ভুলে গেলে তুমি পারবে সুখে থাকতে,, পারবে আমাকে ভুলে যেতে,,,
,,
নিলা আমার শার্ট দুহাত দিয়ে আরো জোরে খামছে দরে কান্না করতে করতে বুকের ভিতর মাথা নারিয়ে ইশারায় না বললো,,,
তার পর নিলা বুকের ভিতর থেকে বললো,,
নিলা ঃ একদম মরে যাবো,,, এ কদিনই বেচে থেকে মরে গিয়েছি,, আর পারবো না,,
,,
এবার আমি নিলাকে বুক থেকে তুলে সামনে বসালাম,,
আমি ঃ বাসায় কেকে আছে,,
নিলা ঃ মা আর বড় ভাই,,
আমি ঃ ভাই কি করে,,
নিলাঃ অনার্স শেষ করে, ঘুরাফিরা করে, আড্ডা দিয়ে বেরায়, ,।
আমিঃ তা চাকরি করে না কেন,,,
নিলাঃ চাকরি কি আর হাতে জিনিস চাইলো আর পেয়ে গেলো,,
অনেক চেষ্টা করেছে লাভ হয়নি,,,
আমি ঃ ও,তা তোমাদের পরিবার চলে কিভাবে,,
নিলাঃবাবার ফ্যানশনের টাকায়,,,
আমিঃআচ্ছা মন খারাফ করো না,, এখন থেকে আমি আছিতো,,
আচ্ছা চলোতো তোমার আম্মুকে দেখতে যাবো,
নিলাঃআগে আম্মুর ঔষদ নিয়ে নেই,, তার পর,,
আমি ঃ আমি ডক্তর খবর দিচ্ছি,, বাসায় এসে তোমার আম্মুকে দেখে যাবে আর ঔষদ ও দিয়ে যাবে,,চলো,,
নিলাঃ চলেন,,
,,
আমি ডক্তরকে ফোন করে নিলার বাসার ঠিকানা অনুযায়ি আসতে বোলেছি,,
আমিও চলছি নিলার সাথে নিলাদের বাসার উদ্দ্যেশে,,
কিছুক্ষন গাড়ি চলার পর নিলার কথা অনুযায়ি গাড়ি থামালাম,,
,
আমিঃকি হলো,
নিলাঃএটাই আমাদের বাসা
বিতরে চলুন,,,
আমি নিলার পিছন পিছন গেলাম,,
,
ভিতরে যেতেই দেখি একজন বিদ্ধ মহিলা আদ শোয়া হোয়ে আছে,,,
দেখেই মনে হচ্ছে কিছুটা অসুখে ভুগছে,,
আমাকে দেখে উঠে বসার চেষ্টা করলো,,
তখন আমি কাছে গিয়ে বললাম,,
আমিঃ আহা কি করছেন কি,, সুয়ে থাকুন,, উঠা লাগবে না,,
আমার কথায় ওনি শুয়ে থাকলেন,,
নিলার দিকে তাকিয়ে জিগাসা করলেন,, নিলা ওনি কে,,
নিলাঃ ইয়ে মা ওনি মস্ত বড় পুলিশ অফিসার,,
নিলার মা ঃ তা ওনি তোর সাথে কেন,,আর তুই ওনাকে চিনলি কি করে,,,
নিলাঃ আসলে মা ইয়ে মানে উনি আমি,
,
নিলার বেগতিক দেখে
নিলার মা আমাকে বললো,,
কে বাবা আপনি, ওর সাথে আপনার কি,,
আমি ঃ আপনি আপনি করে লজ্জা দিবেন না,,, আমি আপনার ছেলের মতো, so তুই করে অথবা তুমি করে বলবেন, আপনি যেহেতু আমার মায়ের মতোই তাহলে আপনাকে মা বলেই ডাকি,, আসলে হোয়েছে কি আমি আর নিলা মানে একেঅপরকে ভালোবাসি,,
নিলার মাঃ কি বলো বাবা এসব, আমাদের নুন আনতে পান্থা ফুরায়,,আর তুমি আসছো আমার মেয়েকে ভালোবাসতে,,
আমিঃ কি বাঝে বকছেন যে আপনি,,
আচ্ছা এসব কথা পরে বলা যাবে,,,
নিলার মা ঃ তুই দারিয়ে আছিস কেন, যা মেহমান আসছে, একটু শরবত করে দে,,
নিলাঃ যাচ্ছি,,,
আমিঃ তা আপনার শরিল এখন কেমন,,
মাঃ আজকাল তেমন একটা ভালো যাচ্ছে না,, মেয়েটাকে নিয়ে খুব চিন্তা হয়,, আমার কিছু হোয়ে গেলে মেয়েটাকে কে দেখবে,মেয়েটা এমনেই দুখিনি,,
আমিঃ চিন্তা করবেন না,,আপনি এমনেই অসুস্থ এসব চিন্তা করে আরো অসুস্থ হোয়ে যাবেন,,,
,,
কিছুক্ষন পর ডাক্তার আসলো,,ওনাকে দেখে কিছু ঔষদ দিয়ে গেলো,,
,
আমিঃ আচ্ছা আমি চলি,,
নিলার মাঃ কি বলো, রাতে খেয়ে যেও,,
আমিঃ না ডিউটি রেখে এসেছি, যেতে হবে,
নিলার মাঃ নিলা নিলা, ওকে একটু এগিয়ে দিয়ে আয়,,
নিলা উঠন পর্যন্ত আসতেই আমি বললাম,
থাক আর আসতে হবে না,
আচ্ছা শোনো তোমার ভাই আসলে বলবে তার সার্টিফিকেট গুলো নিয়ে আমার সাথে যেন দেখা করে, কালই।
নিলাঃ ঠিক আছে,,
,
আমি ঃ আর তোমার বান্ধুবিদের বলবে না আমি যে পুলিশ,, আচ্ছা আমি এখন যাই,,
আমি সামনে ঘুরে যাওয়া দরলেই নিলা আমার হাত দরে ফেলে,,
আমি পিছন ঘুরে দেখি নিলা আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কিছু বলবে হয়তো,,

আমিঃ কি হলো,
নিলাঃ আর একটু থেকে যাননা,,
আমি নিলাকে কাছে টেনে বললাম,,

অল্পদিনে এত ভালোবাসতে নেই,, পাগলি একটা,
নিলা কিছু বলছে না, ,একফোটা পানি পরলো আমার হাতে,, পাগলি টা কাদছে,, মাথাটা উপুরে তুললাম,,
আমিঃ কি হোয়েছে কাদছো কেন, চোখের পানি টুকু মুছে দিলাম,,
কপালে একটু চুমু দিলাম, আর বললাম এটা আজ কের জন্য, আরেকটা চুমু দিলাম, তার পর বললাম এটা কালকের জন্য,,থাকতে পারবে না তুমি, পরসু দিন তোমার কলেজে আসবো তোমাকে দেখতে,, কাল আসতে পারবো না,, হোয়েছে এবার,, আমার নাম্বার তো তোমার কাছে আছেই, কোনো সমস্যা হলে যানাবে,,এবার আসি,, পাগলি একটা,,

,,
এই বলে সেখান থেকে চোলে আসলাম,,
,
পর দিন সকাল সকাল একটা ছেলে আসলো আমার অফিসে,,
কেবিনের সামনে আসতেই কনেষ্টেবল বাধা দিল,,
কি চাই,,
ছেলেঃ স্যার আসতে বোলেছে,,

ওরা ছেলেটাকে ছেরে দিল,,
আমি আগেই ওদের বোলে রেখেছি যে একটা ছেলে আসবে,,,
ছেলেটি আমার কেবিনের সামনে এসে
বললো, ভিতরে আসতে পারি স্যার,
আমিঃ আসো,
এখানে বসো,,
আমি ঃ কি চাই,,?
ছেলে ঃ স্যার নিলা পাঠালো, আপনি
নাকি দেখা করতে বোলেছেন,,
আমিঃ ও তুমি নিলার ভাই, তা কি নাম তোমার,,
ছেলে ঃ স্যার রাহাত,,
আমিঃভালো,,আচ্ছা যে জন্য তোমাকে দেখা করতে বোলেছি,, তোমার ফেমিলি সম্পর্কে আমি সবই জানি,, তোমার ছোট একটা বোন আছে, তুমি ঘরের বড় ছেলে সে হিসেবে তোমার উচিত ঘরের হাল দরা,, তুমি কি করছো,, চার দিকে আড্ডা দিয়ে বেরাচ্ছো,,
রাহাত ঃ কি করবো স্যার চাকরি বাকরি পাইনা,, টাকা ছারা কেউ চাকরি দেয় না,, একেতে বাবা নেই,, কি করবো বলেন,,
আমিঃআচ্ছা আমি যা বলছি মন দিয়ে শোনো,, তোমাকে তোমার ঘরের হাল দরতে হবে, তার জন্য চাকরি করতে হবে,,, তোমাকে আমি পুলিশের চাকরি দেব,, কি করবে না,,
,
রাহত কেদে কেদে বললো, জি স্যার করবো স্যার করবো,,
আমিঃ সার্টিফিকেট এনেছো,,
রাহাত ঃ জি স্যার,,
আমিঃ তোমার সার্টিফিকেট আর এই চিঠিটা নিয়ে……. যায়গায় যাবে,, আর এ চিঠিটা তার হাতে দিবে,,
রাহাতঃ জি স্যার
আমিঃ কনফরম হলে আমাকে যানাবে,,, এখন যাও,,
রাহাত ঃ আপনাকে কি বলেযে দন্যবাধ দেবো,,
আমিঃ কিছু দিতে হবে না,,যাও।

,,

রাহাত চোলে গেল,,
বাকি দিনটা কাজে কাজে গেল,
রাতে নিলাকে খুব মিস করতে থাকি ,
পাগলিটা অল্প কদিনেই মনের ভিতর যায়গা করে নিয়েছে,,,
পর দিন চোলে গেলাম,,
নিলাদের কলেজে,
,
গিয়ে দেখি নিলা তার বান্ধুবি আনিসা,, মিরা,,পায়েল এর সাথে বোসে আছে,,
নিলা আমাকে দেখেই উঠে দৌরে এসে আমার বুকে ঝাপিয়ে পরলো,,
ওর বান্ধুবিরা তো অবাক,,
,,
নিলাকে খুব গভীর ভাবে জড়িয়ে দরলাম,,
পাস থেকে,,ওর বান্ধুবিরা বললো,, ইহিম ইহিম,, আমারা কিন্ত পাসে,, কি হলো,, দেখ নিলা ওনার বুকের ভিতরে চোলে যাচ্ছে,,
নিলা কিছুটা লজ্জা পেয়ে হালকা ভাবে ছেরে দিয়ে বললো,,তোরা না,,ফাজিল একেকটা,,,
বান্ধুবিরা হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে
নিলা লজ্জায় আমার বুকের ভিতর মুখ লুকালো,,
মিরাঃ দেখ দেখ কি লজ্জা পাচ্ছে,,
আমিঃ থাক আর দেখতে হবে না, তোমরা করবে এর থোকে বেশি,,
নিলাকে বুকের মাঝে রেখেই ওদের সাথে কথা বলতে লাগলাম,,
আমিঃ তা তোমাদের খবর কি, আছো ভালো,,
মিরাঃ আমাদের আর ভালো থাকা,, আপনাদের ভালোবাসা দেখে আমাদের বালো থাকা উবে গেছে,,
আমিঃ তোমাদের হিংসে হচ্ছে নাকি,,
মিরাঃ হবে না,, আপনাদের এরকম ভাবে দেখলে যেকেউই হিংসে হবে,,
আনিসাঃ ভাইয়া আজ কিন্তু আপনাকে ছারছি না, আজ ইচ্ছা মতো, ফুচকা খাবো, না বলতে পারবেন না,,
আমিঃ আচ্ছা,, চলো,,
মিরাঃ কি মহারাণি ভাইয়ার বুকের ভিতর থেকে এবার বের হও,,
আমিঃ আচ্ছা তোমরা সামনে আগাও, আমি আমার মহারাণিকে নিয়ে আসছি,,
পায়েল ঃ আচ্ছা, ,চল তোরা,,
,,,

ওরা সামনে আগাচ্ছে,,
আমি ঃ এই নিলা এবার বুকের ভিতর থেকে বের হও,, এভাবে হাটবো কিভাবে,,
নিলা বুকের ভিতর থেকে ছোট ছোট করে বলতে লাগলো,,
নিলাঃ ওরা লজ্জা দেয় কেন,,
আমিঃ এত লজ্জা পেতে হবে না, ওরা চোলে গেছে,,
মেয়েটা এবার হালকা করে মাথা টা উঠালো,,
লজ্জায় মেয়েটার মুখ লাল হোয়ে গেছে,,
এবার চলো,,
হাটতে হাটতে ওদের কাছে গেলাম
,,
আনিসা ঃ এতক্ষন লাগলো আপনাদের আসতে,,
মিরাঃ দেখ দেখ ভাইয়াকে পেয়ে নিলা আমাদের ভুলে গেছে,,
আমিঃআচ্ছা হোয়েছে,, মামা ওরা যত প্লেট খেতেচায় তত প্লেট ফুচকা দেন,,, আর আমাদের কে এক প্লেট দেন ,,,
নিলাঃ মামা ওদের কে এক প্লেটের বেশি দিবেন না,,ওই তোরা তোদের বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে খাবি,আমার জনের কাছ থেকে খেতে পারবি না,।
মিরাঃ তোরা দেখ দেখ, এইটা কি আমাদের নিলা,,তুই এই কথা বলতে পারলি,,যা খাবো না,,
আমিঃ আচ্ছা রাগ করতে হবে না,, তোমরা যখন ইচ্ছে তখন এখান থেকে ফুচকা খাবে,, আমি মামাকে বলে দেবো
মিরা বসা থেকে উঠে এসে আলতো করে জড়িয়ে দরে বললো,, ইউ আর গ্রেড ভাইয়া,,
নিলা এইটা দেখে রেগে গিয়ে ইরাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললো , এই তুই কি করছিস,
মিরাঃ সরি দোছ,, খুশি তে নিজেকে দরে রাখতে পারিনি,,
আমিঃএত খুশি হোয়ে লাভ নেই,, এক শর্তে খাওয়াবো,,
সবাই এক সাথে ঃ কি?
আমিঃ শর্ত হলো আমার মহারাণি কে দেখে রাখতে হবে,,
আনিসা ঃ এইটা আর কি শর্ত আমরা রাজি,,
আচ্ছা তা হলে তোমরা খেতে থাকো।,,
মামা আমাদের টা দেন,,
আমিঃনিলা হা করো,,
নিলা অভিমান করে মুখ সরিয়ে নিল,,
আমিঃ পাগলি একটা হা করো,, নিলা কে খাইয়ে দিলাম,,
নিলাঃ হা করুন,,
আমিঃ আচ্ছা দেও
,,
খাওয়া শেষ করে বললাম, তা হলে আজ আমি উঠি।,,
তোমাদর কাছে তো আমার নাম্বার আছেই,, কোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন দেবে,,
ওরা ফুচকা খেতে খেতে বললো, আপনি যান, আছে, সমস্যা নেই,,
আমিঃ তোমার আবার কি হলো,,
নিলাঃ আপনি এখনি চোলে যাবেন,,
আমিঃ পাগলি একটা এর জন্য হোপ করে থাকতে হয়,, এদিকে আসো, এই তোমরা ওই দিক তাকাও,,
আমি নিলার কাপালে একটা চুমু দিয়ে সেখান থেকে চোলে আসি,,
নিলা এক ধ্যানে আমার চোলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো……
……..চলবে…..

আমার পাগলি প্রেমিকা  ১ম পার্ট

0

আমার পাগলি প্রেমিকা  ১ম পার্ট

…..#জেএইসজনি…
.
.
.
আজ চোলে আসলাম নিজের জেলা ছেরে,,
,
আমি #জাহিদহাসানজনি
,,,
পুলিশের এসিপি অফিসার , অল্প দিনেই নাম ডাক কামিয়ে ফেলেছি,,
,,
তাই আমাকে বদলি করে ফিরোজ পুর পাঠানো হোয়েছে,,,
আজ ই আসলাম,,
আমার থাকার জন্য বাসা দেওয়া হলো, সেখানেই উঠেছি,
,,
যেহেতু আসতে রাত হোয়ে গেছে তাই রাতে গুমিয়ে,, সকালে শহরটা ঘুরে দেখতে বের হলাম, ,সাথে একজন
কনেস্টেবল নিয়ে নিলাম,,,
সাধারন পোশাক পরে বের হয়েছি,,
,,,
আসপাস সুন্দরই আছে,,
,,,
কিছুক্ষন যেতেই পাস থেকে উচ্চ স্বরের হাসির শব্দ শুনতে পেলাম,,
আমি ফিরে তাকাতেই দেখি চারটা মেয়ে,
তাদের ভিতর একজন হাসছে, ,
,,
মুক্তা ঝরানো হাসি,,,
আমি এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকলাম,,,
,,,
আমার তাকানো দেখে মেয়েটি চুপ হোয়ে গেল,,, মাথাটা নিচু করে ফেলল,,,
,,
যেন লাজুকতায় আকরে দরেছে,,
এরকম লজ্জাবতি মেয়েকেই তো খুজছি,,,
ওরা পাশ কাটিয়ে চোলে গেলো,,,
আমিও সামনে এগুতে লাগলাম,,
,,
কিছু সামনে যেতেই বিশাল এক কলেজ দেখতে পেলাম,,,
তার মানে মেয়েটি এই কলেজে পরে,,
,,
যাক মাঝেমাঝে আস্তে হবে,,।
,,
ঘুরেফিরে,, বাসায় চোলে আসলাম,,
তারপরের দিন কাজে যয়েন করলাম, ,,
এক সপ্তাহ আর কাজের চাপে ওই মেয়ের খোজ নিতে পারলাম না, ,,
,,,
এক সপ্তাহ পর আবার বের হলাম
সাধারন পোশাকে,,,
সাথে কনেষ্টেবল রহমত কে নিয়ে নিয়েছি,,,
কলেজের আসপাস ঘুরছি,,, কোথায় মেয়ে তুমি কোথায়, কোথায়,,
এইতো পেয়েগেছি,,
,,
মাঠের একপাশে বোসে হাসছে ,,
ওর হাসি দেখলে সব ভুলে যাই,,,
,,,
আজো আমাকে দেখে হাসি থামি য়ে
দিল,,,
কিছুক্ষন পর ও বাদে বাকি বান্ধুবি গুলি আমার দিকে আসছে,,,
আমার সামনে এসে দারালো
,
বান্ধুবিগুলো ঃ কি সমস্যা কি পিছু নিয়েছেন কেন,,,
,,
রহমত ঃওই আপনারা কার সাথে ক…., ,,,
আমি রহমত কে থামিয়ে দিলাম,, চুপ
থাকতে বললাম।
,
আমি ঃ কোনো সমস্যা নেই,, আচ্চা আপনারা কোন ইয়ারে পরেন,,,
বান্ধুবি গুলো ঃ কেন,
আমিঃ না এমনেই যান্তে মন চাইলো, ,,
বান্ধুবিগুলো ঃ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে,,,আচ্ছা আপনার মতলব টা কি,,ওই দিনও দেখলাম আমার বান্ধুবির দিকে হা করে তাকিয়ে আছেন,,আবার আজকেও তাকিয়ে আছেন,, ব্যাপারটা কি,, পুলিস ডাকবো নাকি??
,,
আমি ঃ না মানে ওনি দেখতে সুন্দর তো তাই,, তা ওনার নাম কি,
,,
বান্ধুবি গুলোঃ আপাকে ক্যানো বলবো,?
আমিঃ সবাইকে ফুচকা খাওয়াব কিন্তু,,
,,
সবাই যেন কি মোসাবেতা করলো,, তার পর,, একসাথে,,
,
আমাদের দুই প্লেট করে খাওয়াতে হবে,,
আমিঃ আচ্ছা খাওয়াব, ,নাম বলো,,
বান্ধুবি ঃওর নাম নিলা,, অরফানা
তাহাসিন নিলা, ,আমাদের সাথে পরে,,খুব রাগি,,
,,
আমিঃও।চলবে,,,।
বান্ধুবি ঃ(চোখ বড় বড় করে) কি চলবে,,
আমিঃকিছুনা,, চলো ফুচকা খাবে না
,,,
বান্ধুবি গুলো ঃসেটাকি মিছ করা যায়,,
,,
ওদের নিয়ে ফুচকা খাওয়ালাম, ,,
তার পরের দিন আবার কলেজে গেলাম,,,
নিলা আজো বোসে আছে,, তবে একলা, ,হাতে বই নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে পরছে,
,,
রহমতকে দোকানে চা খেতে পাঠালাম, ,
আস্তে গিয়ে ওর পাসে বসলাম, , নিলা
মাথাটা বই থেকে তুলে আমাকে দেখে
যেন শক খেলো,, মাথাটা আবার নিচে নামিয়ে ফেললো,,
গাল মুখ কান কেমন লাল হোয়ে গেছে, লজ্জায়,,।
,
নিলা আছতে করে বলা শুরু করলো,
নিলাঃ আপনি আমার বান্ধুবিদের কাছ থেকে আমার নাম জিগাসা করেছেন কেন,,,?
আমিঃ এমনেই?
,,
নিলাঃ এমনেই হোতে পারে না,কোনো কারন তো আছেই।আমি বেস কিছু
দিন লক্ষ করে ছি আপনি আমাকে ফলো করছেন,,,
আমি ঃ আসলে তা না, আপনার হাসিটা সুন্দর সাথে আপনিও তাই দেখতে আসি,,
কথাটা বলার সাথে সাথে আমার চোখের দিকে তাকালো, ,,তার পর নিচের দিকে তাকি বললো,
পরবর্তিতে আর ফলো করবেন না,,, এখন যান,,,
আমি ঃ তা যাবো,, চলুন না ফুসকা খেয়ে আসি,,,
নিলাঃ আপনার সাথে কেন যাব, ,
আমিঃ ও না এমনেই,, আচ্ছা ঠিক আছে পড়ুন,,।
,,
আমি চোলে আসলাম,,
নাহ এই মেয়েকে এত সহজে কাছে আনা যাবেনা, ,
আমি সরে যেতেই ওর বান্ধুবিরা ওর কাছে আসলো, তখন তাদের ভিতর কথাবার্তা,
,,
নিলা ঃ এই তোরা এসেছিস, ওই লোকটা না এসেছিল,,
বান্ধুবি ঃ কোন লোক,,
নিলা ঃ আরে যে আমাকে ফলো করে,,,
বান্ধুবি ঃআরে ওনি,, যাই বলিস লোকটা কিন্তু ভারি হ্যানসাম দেখতে,,
,,
নিলা ঃ রাখ তোর হ্যানসাম,!”
বান্ধুবি ঃ যানিস কালকে তোর কথা বলে
আমরা দুই প্লেট করে ফুসকা খেয়েছি,,
নিলা ঃ তোরাতো আসলেই পেটুক,, তোরা আগে বললি না কেন,, তা হলেতো একসাথে দরা যেত,,বেটা বধ লোক একটা,।
বান্ধুবি ঃ যাই বল লোকটাকে আমার কাছে সেই লাগে
নিলা ঃতাহলে তুই প্রেম কর,,
বান্ধুবিঃ কিভাবে করবো লোকটা তো তোকে পছন্দ করে,
নিলাঃ তোকে না মারবো একটা,,
বান্ধুবি ঃ লোকটা লোকটা করছিস ওনার নামটাই জিগাসা করলি না,,
নিলা ঃ তা করবি কেন, ,সারাদিন চিন্তা করিস কার পকেট কিভাবে যারবি,, পেটুক কোথাকার,
বান্ধুবি ঃ আবার আসলে যিগাসা করবো,,
নিলা ঃ ওনি আসবেন না, আসতে না করে দিয়েছি,
বান্ধুবি ঃ ওনি দেখবি আবার আসবে,
তোকে ভালোবাসে বলে কথা,,, হাহাহা
নিলা ঃ রাখ তোদের ফাজলামো,, আবার আসলে ঠাটিয়ে দু চর মারবো, আমাকে চিনে না তো।
,,
নিলাও আমাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে,,
,,,
আগে আসতাম সপ্তায় দু একদিন, আর এখন প্রতি দিন ই আসি, ,
এর ভিতর একদিন আমার নাম ও যেনে নিল ওরা,,
রোজ জাই আর ওরা আমার পকেট খালি করে, ,অবশ্য নিলা খায় না, ওর বান্ধুবিরাই খায়, ,ওর এক বান্ধুবির নাম্বার ও নিয়েছি ওর মাধ্যমেই যেনে নেই, ,
ও কোথায় কি করছে,
,
আজ একটু দেরি করে আসলাম ওদের কলেজে,,
,,
ও বাহিরে ঘাসের উপর বসে আছে,,
আমি কাছে যেতেই ও বলল,,
নিলাঃ আবার আপনি, ,?
,,
আমিঃহিম আমি,,।
নিলা ঃ আপনাকে না আসতে বারন করেছি তার পরেও আসেন কেন, ,সত্যি করে বলনন তো কি চান আপনি,,?
,,,
আমিঃ সত্যি বলবো?
নিলাঃ হ্যা,
আমি ঃ তাহলে সোনো আমি তোমাকে চাই,,, তোমার মুখের ওই হাসি দেখে তোমার প্রেমে পোরেছি,, তোমার ওই লাজুকতা দেখে তোমায়
ভালোবেসে ফেলেছি, ,I Love You Nela,,
নিলা কিছুক্ষন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো,,
তার পর ওরনা দিয়ে মুখটা ঢেকে বললো,
নিলা ঃ আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না,,
আমিঃ কেন?
নিলা ঃজানি না,,
আমি ঃ নিলা আমার চোখের দিকে
তাকিয়ে বলো,,,, এদিকে তাকাও,,
নিলা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে,,
নিলাঃ আমি তাকাতে পারবো না যানতো আপনি,,, এই বলে নিলা সেখান থেকে দৌরে পালালো, ,
,,
আমি যানি নিলাও আমাকে ভালোবাসে,,
সুন্দরি মেয়েদের একটু ভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক
আমিও এত সহজে পিছন ছারছি না,,
আমিও চোলে আসলাম সেখান থেকে,,
,,,
তার পরেও প্রতিদিন যেতাম ওকে দেখার জন্য,,
আমার কাজ আর ওকে দেখা এভাবেই দিন গুলা চলছিল,,,,
,,
হঠাৎ একদিন ওকে দেখতে গিয়ে দেখি মাঠের এক কোনে জরো সরো হোয়ে বোসে আছে ওর বান্ধুবি রা আমাকে দেখে সরে গেল,,
ওর পাসে গিয়ে বসলাম।তাও ওর কোনো কর্ণপাত দেখলাম না,,
ওর এক হাত ধরলাম, ওর মুখটা যেই
দরে উপুরে তুলতে যাব তখনই হাতটা জটকা দিয়ে ছারিয়ে ঠাস ঠাসস করে দুটো থাপ্পর বসিয়ে দিল আমার গালে,,,
,,
আমি হা হোয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি,
নিলা রেগে বললো,,
নিলাঃ কত দিন বোলে ছি তোকে আসতে না তার পরেও কেন আসিস,
কি মজা পাস আমাকে ডিস্টার্ব করে
,,, এই কথা বলেই নিল তার ব্যাগ নিয়ে চোলে গেল, ,
আসলাম কি জন্য হিতে বিপরীদ হোয়ে গেল,,,
,,,
তবে কষ্ট লাগলো ওকে ডিস্টার্ব করি
শুনে, ,,।
,,
চোলে আসলা আমি,,
মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যাহ আর যাবো না,,,একটু অভিমান হলো আরকি,,,
,,,
রাতে সুয়ে আছি তখন ওর বান্ধুবি
আনিসা কল দিল,,
আনিসা ঃ ভাইয়া ওর হোয়ে আমি
সরি,,, আসলে কিছু ছেলে আপনার আসা নিয়ে ওকে বাঝে কথা বলেছে
তাইতো ও রেগে ছিল, আর সব রাগ
আপনার উপর দিয়ে জারলো,, আবারো সরি ভাইয়া,,
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,।
,,
পরের দুদিন আর গেলাম না ,,
,,
অন্য দিকে নিলা থাপ্পর দিয়েও পাগল হোয়ে গেল,, শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো,, কি করলো সে, পরে সরি
বোলে নিবে ভেবেছে,
,,
কিন্তু দুদিন আশায় থেকেও কোনো সন্ধান পেলো না, তার মনটা হুহু করে কেদে উঠলো তবে কি ওনি আসবে না,,আমি তো ওনাকে ভালোবেসে ফেলেছি,,
,,
তার পরের দিন তাদের বান্ধুবিদের ভিতর কথা হচ্ছে,, ,
,,
বান্ধুবি ঃ কিরে নিলা তুই এমন মনমরা দিয়ে আছিস কেন,,
তুই ওই দিন ভাইয়াকে না মারলেও পারতি,,,
নিলাঃ কি করবো ওই দিন মাথা গড়ম
ছিল,, আচ্ছা ওনি কি আর আসবে না,,
বান্ধুবি ঃ ভাইয়া আসলেই কি আর
না আসলেই কি তুইতো আর ভাইয়াকে ভালোবাসিস না,,
নিলা আর থাকতে না পেরে বললো,
আমি ওনাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি,, এই বলে নিলা শব্দ করে
কেদে উঠলো,,
বান্ধুবিঃতুই কাদছিস কেন,,,
নিলাঃ আমি আর থাকতে পারছি না,,খুব ভালোবেসে ফেলেছি ওনাকে,, তোরা ওানাকে এনে দে, আমি ক্ষমা চাইবো,,,(এই কথা গুলো নিলা কেদেকেদে বললো)
,
আনিসাঃ আচ্ছা তুই থাম কাদিস না,,
আমি দেখছি ওনাকে আনতে পারি কি না,,
,,
রাতে আনিসা আমার কাছে কল দিল,,
আমিঃহ্যালো।
আনিসা ঃ ভাইয়া কেমন আছেন,
আমিঃ এইতো ভালো, তুমি?
,,
আনিসা ঃ ভাইয়া আপনি আর আসেন না কেন,,
আমিঃ আর আসবো না,,
আনিসা ঃ এই ভাবে বলবেন না,,,
কাল একটু আসেন না ভাইয়া, ,
আমি ঃ না কাল আসতে পারবো না, ,
আনিসা ঃ প্লিজ ভাইয়া আসেন না,
আমার জন্য হোলেও আসেন, প্লিজ
প্লিজ,,,
আমি ঃআচ্ছা আসবো তবে কাল না পরশু আসবো,,,
আনিসা ঃ আচ্ছা ভাইয়া ধন্যবাদ,,আসবেন কিন্তু,,
,,,
পরশুদিন গেলাম ওদের কলেজে,,,
হ্যা যেটা ভেবেছি সেটাই নিলা শুকিয়ে আছে আগের চেয়ে অনেকটা, ,,
ওরা বান্ধুবিরা মিলে বোসে আছে, ,
নিলা, আমার দিকে অদির আগ্রহে
তাকিয়ে আছে,, আমাকে দেখে ওর মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠেছে,,,
, ওদের কাছে গেলাম,
,,
আনিসাঃ ভাইয়া আপনি এসেছেন,,
আমি ঃ হ্যা! তোমরা সবাই কেমন আছো,,
বান্ধুবিরাঃ আমরা সবাই ভালো আছি
শুধু নিলা ছারা,,
আমি একনজর নিলার দিকে তাকালাম তারপর চোখ ফিরিয়ে নিলাম,,,হঠাৎ নিলা বললো,
নিলাঃ সরি সেই দিনের ব্যাবহারে জন্য,
নিচু স্বরে কথাটা বললো নিলা
,,
আমিঃইট,স ওকে,,
ওর দিকথেকে চোখ সরিয়ে ওর বান্ধুবিদের উদ্দেশ্যে বললাম, এই তোমরা চল,, তোমরা তো আবার ফুসকা পাগলি,, চল,,
বান্ধুবি ঃ ভাইয়া পরে খাবো, নিলা আরো কিছু
ইমপর্টেন্ট কথা বলবে আপনাকে,, আমরা ওই সাইডে যাই,,,।
আমিঃ কোথায়ও যাওয়া লাগবে না তোমাদের, আমার এখন ইমপর্টেন্ড কথা শুনার মুড নেই,, চল ফুসকা খাবো
তোমাদের সাথে, ( নিলাকে উদ্দ্যেশে বললাম,) ওনি যাবে কিনা জিগাসা করো,,
,,
আমার কথায় কারেন্টের মতো শক খেল নিলা,, চোখের কোনে বিন্দু বিন্দু পানি জমা হোয়েছে,, এখনই পরবে বলে,,
আমি ঃ কি ব্যাপার চলো,,
ওরা চলল আমার সাথে, নিলাও আছে সাথে,, সে অবশ্য যেতে চায় নি,,
,,
যেতে যেতে দেখলাম নিলা হাত দিয়ে কয়েক বার চোখ মুছলো,,,
ওদের সাথে ফুচকা খাচ্ছি নিলা তার কান্না চুল দিয়ে ডাকছে,, মুখটাকে চুল
দিয়ে আরাল করেছে,, আমি যানি ও
কান্না করছে,,,
আমি খেয়ে বিল দিলাম আর বোলে
দিলাম আরো এক প্লেট করে দিতে,,,
আমি ঃ তা হলে আমি গেলাম তোমরা ভালো থেকো,,
আনিসা ঃভাইয়া,নিলা আপ…
আর কিছু বলতে না দিয়ে,আমি বললাম,,
,,
আমি ঃ আবার দেখা হবে,
,
নিলা আমার যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে চোখ মুছতে লাগলো,,,
,,,
,,,ওদের ওখান থেকে চোলে আসলাম
অফিসে, ,
বিকালে অফিসে কাজ করছি তখন
আনিসা কল দিল,,
আমি ঃ হ্যা বলো,,
আনিসাঃ কি করলেন আপনি এটা, ,যানেন আপনি যাওয়ার
পর মেয়েটা আপনার জন্য কি পরিমানে কান্না করেছে,,কেন করলেন
এইটা আপনি যানেন আপনাকে কি
পরিমানে ভালোবাসে, আর আপনি,,
আমি ঃভালোতো আমিও কম বাসি
না,,,
আনিসা ঃ তা হলে এমন করলেন কেন,,
আমিঃআমাকে কষ্ট দিয়েছে আমি একটু দিব না, ,,
আনিসা ঃ আর কত কষ্ট দিবেন,, ওতো শেষ হোয়ে যাবে,,,
আমিঃ এইতো আর এক সপ্তাহ, ওকে কষ্ট দিব,, তার পর বুকে টেনে নিব,, এই সব কিন্তু ওকে বলবা না,,,
আনিসা ঃ ঠিক আছে ভাইয়া,,
,,
তার পরের দিন বান্ধুবিরা কলেজে, ,
আনিসাঃ কিরে তোর চেহারার কি করেছিস,, রাতে গুমিয়েছিস তো,,
নিলা ঃওনি আমার সাথে এমন করলো কেন,, ওনিকি আমাকে আর ভালোবাসে না,, ওনাকেকি আমি
হাড়িয়ে ফেলবো,, এই কথা গুলো বলেই কান্নায় বেঙ্গে পরলো,,
আনিসা ঃআরে দোস কাদিস কেন, ,ওনি যদি ভালোই না বাসতো তবে আসতো না,,, বুঝিস ওনিও তোকে ভালোবাসে,,
নিলা ঃ তাই যেন হয়,,
আনিসা ঃ কিরে তুই এভাবে হাটছিস কেন,, রাতে খাসনি তাই না,, চল কেন্টিনে যাই,,
নিলা ঃ আমার কিছু খেতে ভালো লাগেন,, আমি ক্লাশে যাব তোরা আয়,,
,,
এই ভাবে আরো দু দিন চোলে গেল,,
নিলা এই দুদিনে আরো বেঙ্গে পোরেছে,,
,
আমি মনে মনে,
না আর কষ্ট দেওয়া যাবে না, কাল নিলাকে বুকে টেনে নিব।
,,
বিকালে অফিস থেকে সিভিল পোশাকে বের হোয়েছি বাইক নিয়ে, সাথে রহমত আছে,,
,
,নিলাদের এলাকার মোর দিয়ে বাজারের পাসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম মোরে আসতেই দেখি আবছা আলোয় কয়েকটা ছেলে একটা মেয়েকে হাত দোরে টানাটানি করছে,, কাছে যেতেই
বুকের পানি শুকিয়ে গেল,,
এ আর কেউ নয় আমার নিলা,,,
বাইক থেকে নেমেই ফোর্স খবর দিলাম,, তার পর হাতের কাছে বাশ
ছিল,,, ওটা দিয়ে শুরু করলাম।
বারি দুটো দিতেই ওরা ছিটকে পরলো দু হাত দুরে,,
নিলা আমাকে দেখে দৌরে বুকে যাপিয়ে পরলো,, ওর হৃদপৃন্ডের প্রতি টা শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি, আমি যত শক্তি ছিল, সব দিয়ে নিলাকে জড়িয়ে দরলাম,,,
নিলা অনেক ভয় পেয়েছে,,ওর হৃদপিন্ড যেন হাতুরি পেটা করছে,,,ভয়ে কাপছে,,,
,,
ছেলে গুল উঠে দারালো, ,হাতে চাকু নিল,, ওদের পিটানোর জন্য রহমতের হাতে বাশটা দিলাম,,
রহমত একা কুলিয়ে উঠতে পারছে না
রহমত ঃআহ,,
চাকু দিয়ে রহমত কে পোছ দিয়েছে,,
আমি নিলাকে ছারিয়ে আরেকটা বাশ দিয়ে পিটানো শুরু করলাম।
পুলিশ ও চোলে আসছে,,
আমার কাছে এসে,
পুলিশঃ স্যার,,
,,
আমি ঃওদের জেলে নিয়ে যাও,,
এসআইঃইয়েস সার, ,
আমিঃ রহমতকে হাসপাতালে নিয়ে যাও,,
এসআইঃ স্যার আপনার জন্য কি গাড়ি রেখে যাব,,
আমিঃ হ্যা রেখে যাও,, আর বাইকটা নিয়ে যাও,,
,,
আমি পিছন ঘুরতেই নিলা আবার দৌরে এসে বুককে জাপিয়ে পরলো,,
খুব ভয় পেয়েছে পাগলিটা,,
,,
নিলা ঃ আপনি আমার সাথে আর রাগ করে থাকবেন না,, আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি,,, আপনার এরিয়ে চলা আমি সয্য করতে পারি না,, আমি সত্যিই সরি,,
আপনা যত ইচ্ছা আমাকে থাপ্পর দিন,,আপনার এরিয়ে চলা আমি সয্য
করতে পারি না,, খুব কষ্ট হয়,,,। (কাদতে কাদতে বললো নিলা)
আমি ওর মুখটা বুক থেকে তুলে কপালে একটা চুমু দিলাম,, সাথে সাথে
আগের চাইতে আরো শক্ত করে জরিয়ে দরলো, ,
ওকে নিয়ে গাড়িতে বসালাম,
,,
গাড়ি আমার অফিসের দিকে চললো,,
পাগলিটা এখনো আমার বুকে মুখ লুকিয়ে শক্ত করে জরিয়ে দোরে আছে,,,
আমি ঃ এই নিলা আমার দিকে তাকাও ,,আহা পাগলিটা কাদে কেন, ,
মুখটা উপুরে তুললাম,, হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে আবারো কপারে একটা চুমু দিলাম,,
ও এবার কথা বলতে শুরু করলো, ,
,,
নিলা ঃ আমাকে ভালোবাসবেন তো,,
আমি ঃ খুব ভালো বাসবো পাগলি একটা, ,আবার জরিয়ে দরলাম,
ও আমার বুকের ভিতর মুখ লুকালো,,
,,
কিছুক্ষণ পর,,
নিলা বুকের ভিতর থেকে জিগাসা করলো, আচ্ছা পুলিশেরা আপনাকে স্যার স্যার বললো কেন,,
,
আমিঃ কারন,, আমি পুলিশের ডি,আই,জি অফিসার,, এ কথা বলতেই নিলা আমার বুক থেকে মাথাটা তুলে আমার দিকে বিস্মিত চোখে তাকালো
,
আমিঃ ভয় পেয়োছ,,
ও মাথা নারালো,,
আমি ঃ পাগলি একটা, কিসের ভয়,,
এই বলে নিলাকে আগের চেয়ে শক্ত করে জরিয়ে দরলাম,,নিলাও ভয়
কাটিয়ে শক্ত করে জরিয়ে দরে বুকের ভিতর মুক লুকালো,,,
কিছুক্ষণ পর অফিসে চোলে আসলাম,,
নিলাকে গাড়িথেকে নামালাম,, মেয়েটা যেনো কেমন মরে মরে গেছে,,
বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি মেয়েটাকে,,
ওকে নিয়ে আমার কেবিনে প্রবেশ করলাম,, কনেস্টেবল থেকে শুরু করে সবাই সেলুট দেওয়া শুরু করলো,, তা দেখে নিলা চোক বড় বড়
করে তাকালো,, কেবিনে ডুকে ওকে আমার চেয়ারে বসিয়ে দিলাম,,,,
আমিঃ এটা হলো আমার কেবিন,,,
নিলা ঃ খুব সুন্দর তো,,
আমি ঃ তোমার চেহারা এত শুকালো কি ভাবে, ,খাওনা কত দিন,,
নিলা ঃ আপনি যেদিন আমার কথা না শুনে এরিয়ে গেলেন সেদিন থেকে।যানেন সেদিন আমি কত কষ্ট পেয়ে ছি,, আবার যদি এমন কষ্ট দেন
তা হলে দেখবেন আমি কি যিনিস,,
আমি ঃ আচ্ছা আর কষ্ট দেবনা আমার লক্ষিটি, হোয়েছে,, এবার যাও
ওয়াস রুম থেকে ফেরেস হোয়ে আসো,,
ও ওয়াস হোতে চোলে গেল,,
এই ফাকে আমি কিছু খাবার আন্তে
পাঠালাম,
ও ওয়াস হোয়ে বের হলো, ,আমি তাওয়েল টা এগিয়ে দিলাম,,
আমি ঃ এবার এখানে বসো, ,
কিছুক্ষণ পর খাবার চোলে আসলো,,
ওর সামনে সবগুলো সাজিয়ে দিলাম,,
নাও এগুলো খাও,,
নিলা ঃআমি এগুলো সব খেতে পারবো না,,
আমিঃ হা করো আগে ঠান্ডা জুসটা খাও,,হ্যা এবার এই চিকেন টা খাও
নিলা ঃ আমি আর পারবো না,,
আমিঃ আর একটু এই সুপটা খেয়ে নাও,, হ্যা এইতো হোয়েছে, ,,
নিলা ঃ আপনি খাননা কেন, হা করুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি,,
নিলা আমাকে এক এক করে সব খাইয়ে দিল,,
,
মেয়েটা আসলেই জাদু যানে,, আমি হা করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি,,
নিলা ঃ কি দেখেন ওমন করে
আমি ঃ তোমাকে, তুমি এত সুন্দর কেন,
নিলা ঃযান আমার লজ্জা করেনা,, এই কথা বলে নিলা আমার বুকের ভিতর মুখটা লুকিয়ে ফেললো,,
হাহাহ,লজ্জাবতী একটা,,,,
,,
,,,,,,চলবে।।

স্বামীর ভালোবাসা অন্তিম পর্ব

0

স্বামীর ভালোবাসা অন্তিম পর্ব

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
পাপাই তোমার পেটে হাত দিয়েছে,
…..
হা হা হা,
….
বাবা তুমি কি চোখে বেশি দেখ হুম?
.। .
না আমি ঠিক দেখি,
পাপাই তুমি মাম্মামের পেটে হাত দিয়েছ,

কোই নাতো নাতো?
.
দেখো পাপাই মিথ্যে বলা মহাপাপ,
তুমি মিথ্যে বলো কেন?
….
মাম্মাম দেখো পাপাই মিথ্যা বলে,
.. ।
এই যে তুমি বাসায় কি জায়গা কম পরেছে?
যে শপিং মলে বসে শরু হয়ে গেছ?
….
ভালোবাসা কোনো জায়গা মানে না,
সে শুধু ভালোবাসতে জানে,

ওমা তাই?
এতো জানতে হবে না আমাদের শপিং হয়ে গেছে,
….
এবার দয়া করে নিজের টা করতে চলুন,
..
তারপর আমরা ওনার জন্যে ট্রাউজার, ট্রাক সুট এবং টি শার্ট কিনে বাসায় ফিরে যাই,
….
দেখতে দেখতে কেটে যায় একটি বছর,
..
এই এক বছরে উনি আমার ওপরে,

কোনো স্বামী অধিকার ফলাতে আসেননি,
….
কোনো প্রকার জোরাজুরি করেননি,
..
আমার স্বাধীনতায় কোনো হস্ত্যক্ষেপ করেননি,
….
একটু ও বদলে জাননি,
আমাদের ফিরে পাওয়ার খুশি তে আবারো ফ্যামিলি সহ হজ করতে যায়,

তবে এই একবছরে আমি ওনার প্রতি দূরবল হয়ে পরেছি,
….
উনি ওনার সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম অনেক টা রিকোভার করেছেন,

তবু ও উনি রাতে মাঝেমধ্যেই আমাকে জড়িয়ে কান্নাকাটি করেন,
….
আমি জানি উনি এখনো আমার ভালোবাসা পাওয়ার লোভে,

বুকভরা আশা নিয়ে বেঁচে আছেন,

তার ওপরে আজ আমাদের সপ্তম বিবাহবার্ষিকী,
….
আর ওনার কোম্পানিরো সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী,
…..
তাই আজকে বাসায় গ্রান্ড পার্টির আয়োজন করা হয়েছে,

কাল রাতে আমার হাতে একটা লাল বেনারসি দিয়ে বলেন,
….
তোমাকে এই সাড়ি টায় খুব মানাবে,
কালকে তুমি এটা পরলে আমি অনেক খুশি হবো,
…..
তারপর উনি গোল্ডেন কালারের কমপ্লিট সুট পরে নিচে চলে যায়,

তখন আমি ওনার দেওয়া লাল বেনারসি পরে,……
……
হালকা সাজুগুজু করে, খয়েরি কালারের লিপস্টিক, ভারী ঝুমকো ও খোপায় বেলিফুলের মালা পরে পার্টি তে চলে যাই,
……
পার্টি তে যেতেই সবাই আমাকে ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে,

তখন উনি এসে আমার হাত ধরে বলে,

আজকে তোমাকে নতুন বৌয়ের মতো লাগছে,
….
সাথে সাথে আমার মিহাদ মিশান এসে বলে,

মাম্মাম পাপাই তোমাদের অনেক অনেক সুন্দর লাগছে,
..
তোমাদের ও অনেক সুন্দর লাগছে টুনটুনিরা,
…..
হঠাৎ আমার টুনটুনি দুটো ছুটে গিয়ে,
রুহানের থেকে মাইক্রোফোন টা কেরে নিয়ে বলে,
…..
লিসেন লিসেন পাপাই এবার মাম্মাম কে কিস্ছি দিবে,
..
ওদের কথা শেষ হতে না হতেই,
….
উনি আমার কাছে এগিয়ে এসে,
আমার গাল দুটো চেপে ধরে,
.. ..
আমার ঠোঁটের পাশে আলতো করে চুমু একে দেয়,
….
সাথে সাথে হাত তালি ও হাসির রোল পরে যায়,
…..
আর আমি লজ্জায় লাল হয়ে ওনা কে ছেড়ে রুমে চলে যাই,
..
হঠাৎ উনি আমার গলায় আলতো করে চুমু একে দেয়,
……
আমি তখন ওনার কাছ থেকে সরে আসার চেষ্টা করতেই উনি,

ওনার চোখেরজল মুছতে মুছতে বলেন,
….
আগে ভাবতাম আমি বেলি ফুলের গন্ধে পাগল,

এখন দেখি আমি ভু্ল,
কারন শুধু মাএ তোমার গন্ধ আমাকে পাগল করে তোলে,
….
আমি নিজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি সে অনেক আগেই,

এখন তোমার লোভ আমাকে লোভী করে তুলেছে,

কিছু তেই কিছু হচ্ছে না,
নিজেকে সামলাতে পারছিনা,

তুমি কি আমাকে তোমার করে নেবে?
….
ভালোবাসবে আমাকে?
. …..
যেখানে থাকবেনা কোনো সন্দেহের প্রতারণা ও তৃতীয় ব্যক্তির বিচরণ,
….
সেখানে থাকবে শুধু আমাদের বিশ্বাস, ভরসা ও ভালোবাসা,
থাকবো শুধু তুমি আর আমি,

আপনি পারবেন?
আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিতে?
…..
শুধু আমার হয়ে থাকতে?
……
পারবো খুব পারবো তোমার আর কোনো কষ্ট হবে না আমি তোমাকে ছুয়েঁ বলছি.
….
তারপর আমরা একে অপর কে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে মন খুলে কাঁদতে থাকি,
….
কারন এতো দুঃখের নয় সুখের কান্না,

যেটা আমরা একে অপর কে জড়িয়ে কাঁদছি,
….
তারপর হঠাৎ করে লাইট অফ হয়ে যায়,
……………
আর আমরা একে অপরের হয়ে যাই ,
……..সমাপ্ত……..

স্বামীর ভালোবাসা part : 40

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 40

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
আমি আবারো তোমার বিশ্বাস, ভরসা, ভালোবাসা অর্জন করে দেখাবো,
….
তখন তুমি আমাকে তোমার সব টা দিয়ে ভালোবাসবে,
…..
এতো টা ভালোবাসবে,
যে আমি তোমার ভালোবাসার লোভে পরে যাবো,
…..
ঠিক যেমন বিয়ের পরে পরেছিলাম,
…..
তাই হয় তো তোমার জায়গায় কাও কে বসাতে পারিনি,
….
বসালে ও তাকে মেনে নিতে পারিনি,
…..
আর এই কারনে আমি তোমাকে কারো সাথে মেনে নিতে পারিনি,
তা সে রুহান হোক বা অন্য কেউ,

কি হলো?
খাচ্ছেন না কেন?
….
খাচ্ছি খাচ্ছি,
…..
একটা কথা বলি,

কি?

তোমাকে না এই তাঁতের সাড়ি টায় বেশ মানিয়েছে,
..
ওওওও থ্যাংকস,

আশ্চর্য তুমি আমাকে থ্যাংকস বলছ কেন?
….
আমি কি তোমার জন্যে পছন্দ করে কিছু কিনতে পারি না নাকি?

হ্যা পারেন,
আপনার সেই অধিকার আছে,
….
আফটার অল আপনি আমার বিয়ে করা স্বামী,
আর আমি আপনার বিয়ে করা বৌ,
…..
আচ্ছা কেনোকিছু কিনে দেওয়া ছাড়া,
……..
আর কি কি অধিকার আছে আমার তোমার ওপর?
….
জানিনা,
….
ভালোবাসার অধিকার আছে আমার তোমার ওপর?
….
হ্য অবশ্যই,
আপনি আমার স্বামী আপনি তো ভালোবাসবেন,

কথা টা তুমি তোমার মন থেকে বলছ?

শুনুন মন থেকে বলার টাইম নেই আমার,

ঘুম পেয়েছে আমার,
আমি গেলাম,
আপনি বসে বসে খান কেমন?

খাওয়া হয়ে গেছে আমার,

তাহলে দয়া করে শুতে আসুন প্লিজ,
…..
এমনি তেও কাল সকালে আমাদের বাসায় ফিরতে হবে,
…..
তাই প্লিজ জলদি শুয়ে পরুন,
…….
ওক্কে,
…..
তারপর উনি লাইট অফ করে আমাকে জড়িয়ে শুয়ে পরে,

পরেরদিন সকালে আমরা বাসায় ফিরে যাই,,
….
তারপরের দিন ভোররাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যেতে চেয়ে দেখি,
….
যে উনি আমার ওপরে ওনার শরীরের সমস্ত ভার ঢেলে দিয়ে,
আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছেন,
….
হায় আল্লাহ এখন কি হবে?
এই হাতি টাকে আমি আমার ওপর থেকে সরাবো কি করে?

এসব ভাবতে ভাবতে
উনি একটু নড়েচড়ে ওঠেন,
…..
এই সুযোগে আমি তাকে ঠেলে পাশে শুইয়ে দেই,
..
আর উঠে গিয়ে ফ্রেস হয়ে,
নামাজ পরে কিচেনে গিয়ে ব্রেকফাস্ট তৈরি করতে থাকি,
..
হঠাৎ কিছুক্ষণ পরে চারটে ছোটো ছোটো হাত আমার পেট ছুয়ে দেয়,
….
সাথে সাথে পেছনে ফিরে দেখি,
….
আমার পরাণ দুটো শাওয়ার নিয়ে এসে,
…..
আমার সাড়ির আচল দিয়ে তাদের মাথা মুছচ্ছে ও মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে,

আমার মন টা রাঙিয়ে ফেলছে,

তাই ওদের কোলে নিয়ে আদর করে ব্রেকফাস্ট করিয়ে রুমে নিয়ে যাই,
….
আর সেখানে গিয়ে দেখি,
…..
উনি এখনো পরে পরে ঘুমচ্ছেন,
…..
যাক বাবা ঘুমচ্ছে ঘুমোক,
….
উনি অফিসে যাওয়ার আগে,
..
আমি ওনার ব্রেকফাস্ট টাও তাড়াতাড়ি তৈরি করে ফেলবো,

মা বাবাই তোমরা খেল আমি পাপাই এর জন্যে ব্রেকফাস্ট বানাই ঠিক আছে?
….
ঠিক আছে মাম্মাম,
….
তারপর আমি কিচেনে গিয়ে ওনার জন্যে,
…..
ভেজিটেবেল স্যান্ডুইচ বানাই,,
….
স্যান্ডুইচ বানানো শেষ হতে না হতেই উনি আমাকে পেছন থেকে চেপে ধরে,
….
আমার মুখ টা ডানদিকে ঘুরিয়ে আমার ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়,
….
তারপর আমাকে ছেড়ে স্যান্ডুইচের প্লেট টা নিয়ে,
…..
এক দৌড়ে নিচে চলে যায়,
….
তখনি নিজের সাড়ি চুড়ি ঠিক করতে করতে গাড়ির হর্নের আওয়াজ পাই,

আওয়াজ শুনে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখি,

উনি গাড়ির ওপরে বসে ছেলেমেয়ে দুটো কে নিয়ে স্যান্ডুইচ খাচ্ছেন ,
….
হঠাৎ করে আমাদের চোখাচোখি হতেই,
….
ওরা সবাই আমাকে ফ্লাইং কিসস ছুড়ে মারে,
….
আর আমি লজ্জা পেয়ে ওখান থেকে ওনাদের কাছে চলে নিচে যাই,
….
তখন ছেলেমেয়ে আমার হাত ধরে গাড়িতে ওদের পাপাইের কাছে বসিয়ে দেয়,
আর হাসতে হাসতে বলে,

পাপাই অফিসে যাবেনা আমরা শপিং করতে যাবো,

আচ্ছা মা ঠিক আছে,
….
শপিং মলে যেতেই তিনজনে মিলে তিনটে তিন কালারের সাড়ি আমার গায়ে ধরে দেখতে থাকে,
….
তখন খেয়াল করে দেখি,
….
মলের স্টাফরা ওদের কান্ড দেখে হাসাহাসি করছে,
….
আর এ সুযোগে উনি ও আমার গায়ে সাড়ি ধরে দেখার নাম করে,
আমার পেটে নিজের হাত ছুঁইয়ে দিচ্ছেন,
….
ইসসসস উনি করো ছ্যাঁচড়া,
….
নিজের বৌয়ের সাথে এভাবে ছ্যাঁচড়ামো করার মানে কি?
…..
ফাজিল যেন কোথাকার?
….
হা হা হা,

কি হয়েছে বাবা হাসো কেন?
…..
পাপাই তোমার পেটে হাত দিয়েছে,
..
হা হা হা
চলবে

স্বামীর ভালোবাসা part : 39

0

স্বামীর ভালোবাসা part : 39

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
আমার রাগ ভাঙাতে ঘুস হিসেবে চুমু প্রদান করছে,
…..
হা হা হা,
….
মিশ এই মিশ কথা শোনো না প্লিজ
….
না শুনবো না আমার ঘুম আসছে খুব,

আমার কথা টা শুনে ঘুমা ও প্লিজ,
….
সরি,
গুড নাইট,
….
এই শোনো তুমি আমাকে ফেলে আবারো চলে যাবে নাতো?

হ্যা যাচ্ছি তুমি কি দেখতে পাচ্ছনা নাকি?
….
আসলে?

কি আসলে.
আমাকে ঘুমোতে দাও প্লিজ,
…..
নইলে তোমার মুখে টেপ মেরে পালিয়ে যাবো হুমম,

আচ্ছা পাখি ঠিক আছে,

কি?
ঠিক আর আছে কোথায় বলো?
..
সেই কখন থেকে বকবক করে আমার কানের মাথা খেয়ে যাচ্ছো,
এটা কি ঠিক বলো?
..
ইয়ে মানে?
….
তুমি মানে মানে করো আমি ঘুমোই কেমন?

আচ্ছা পাখি গুড নাইট,
…..
পাখি উড়ে যায় আর তুমি পাখি কে গুড নাইট বলো,
….
আমার ঘাট হয়েছে আমি সরি সোনা,
..
ফালতু যতসব,
…..
তারপর আমি আমার ঘুমের দুনিয়ায় চলে যাই,
…..
পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি,

আমার ছেলেমেয়ে তাদের গালে হাত দিয়ে,
আমাকে বেশ যত্ন করে খুতিয়ে খাতিয়ে দেখছে,
….
কি দেখছ বাবারা?

দেখছি,
আমাদের মাম্মামের চোখ, নাক, ঠোঁট কত সুন্দর,
….
পাপাইের নাক বোচা,
ঠোঁট টা গোলাপি কিন্তু মাম্মা অনেক সুন্দর,
……
ঠিক বলেছ তোমার মাম্মাম অনেক সুন্দর,
….
হ্যা এতই সুন্দর যে আমি আমার স্বামী কে সামলে রাখতে পারিনি,

কিছু কি বললে তুমি?
!
নাহহ কি বলবো?
আমার কোনো কিছু বলার রাইট আছে?

তুমি তো বলবে আর আমি সব শুনবো,
….
তাহলে শুনুন আপনি আপনার মতে থাকবেন,
আর আমি আমার মতো ওকে,
….
তোমরা ঝগড়া করো কেন মাম্মাম আর পাপাই?
….
কোই ঝগড়া করি নাতো?
বাবা,
এমনি বলছি আরকি,

যাই আমি গিয়ে শাওয়ার নিয়ে আসি,

শাওয়ার নিয়ে এসে দেখি,
…….
বিছানার ওপরে একটা হলুদ সাড়ি লাল পাইরের তাঁতের সাড়ি রাখা,
…..
আমি তাড়াতাড়ি ওই সাড়ি টা পরে নেই,
….
পরে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে খোপা করে রিয়ার কাছে কিচেনে চলে যায়,
….
আমাকে দেখে রিয়া মুচকি হাসি দিয়ে বলে,
….. ।।।…..
নাইট সো কেমন ছিল সোনা?
….
শোন তোদের মতো দুধের শিশু কে রুমের বাহিরে সোফায় শুইয়ে রেখে,
.।।…..
নাইট সো করার শখ নেই আমার,
…..
তুই জানলি কি করে?
আমরা কালকে নাইট সো করেছি?
..
রাতে পানি নিতে ডায়নিং এ এসে দেখি,
….
বাচ্চা টা সোফায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মশার কামড় খাচ্ছে,
….
তোদের যখন এতই আমাকে বললে পারতিস?
আমি ওকে আমার কাছে আদর করে ঘুম পারিয়ে রাখতাম .
….
ভুল হয়ে গেছেরে,
আমি না ছেলেটার মুখ এখনো দেখিনি,
..
দেখবি কি করে?
তুই তো চোখ থাকতেও অন্ধ,
….
দেখনা আমার গলা ধরে ঘুমচ্ছে,
….
আমি তো ভেবেছি তোর কোলে মিশান,

কি করতে যে তুই মা হইছ আল্লাহ মালুম?
..
সরি রে,
….
যা ভাগ,
আমি ওকে খাইয়ে দাইয়ে যত্ন করতে পারবো,
….
এমনি তেও রাইয়ান আমাকে মা বলে ডাকে,
..
তাই তুই সর আমার ছেলে কে আমি দুধ গরম করে খাইয়ে দিতে পারবো,
!
মিশের মেজাজ গরম কেন?
. …
কোই কিছুনা তো এমনি ভাইয়া,
…..
সত্যি করে বল তো কি হয়েছে?
রাইয়ান কাল কে শোফায় ঘুমিয়েছিল কেন?
….
ভাইয়া রুহান ও আমার ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে রাইয়ান সোফায় এসে ঘুমিয়েছে,

গাধী যেন কোথাকার?
আমাদের কাছে দিয়ে গেলে তো পারতিস?
….
সরি ভাইয়া বুঝতে পারিনি,
..
কি ভাইয়া কি সরি?
ছেলে টা রাতে ঘুমতে পারেনি,

মিশ পানি নিতে কিচেনে এসেছিল তখন ওকে নিয়ে ঘুম পারিয়েছে,

ছেলে টাকে মশা কামড়ে লাল করে দিয়েছে,
..
বুঝতে পারিনি ভাইয়া,
….
বুঝতে পারোনি,
তাহলে বাবা মা হয়েছিস কি করতে??
..
রুহান রিয়া দুজন দু দিকে ফিরে চুপ করে আছে,
…..
আর মিশশশ ঘুমন্ত রাইয়ান কে কোলের মধ্যে নিয়ে আদর করে ডেকে তুলে শাওয়ার করিয়ে,
….
চামচ দিয়ে ডিম দুধ খাইয়ে দিচ্ছে,
….
মাম্মাম রাইয়ানের কি হয়েছে?
ওর নাক মুখ হাত পা লাল হয়ে গেছে কেন?
..
মশা কামড়ে দিছে বাবারা,

ওওওওও,
….
তারপর ইমান ও রুহান কনফারেন্সের জন্যে অফিসে চলে যায়,
..
মিশশশ রিয়া সারাদিন বাচ্চাদের সাথে কাটিয়ে দেয়,
….
রাতে ওদের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে.
রিয়া ডিনার করে অনেক কষ্টে রাইয়ান কে বুঝিয়ে নিজের কাছে নিয়ে ঘুমোয়,
….
আর মিশকা ওর বাবুদের খাইয়ে আদর করে ঘুম পারিয়ে,
ইমানের ফেরার অপেক্ষায় বসে থাকে,
….
এভাবে কিছুক্ষণ বসে বসে কাটানোর পর,
………
হঠাৎ কেউ এসে মিশশশ কে কোলে তুলে নেয়,
..
আর মিশকা ও ভয় পেয়ে যায়,

কিন্তু,
সাথে সাথে লাইট জ্বলে ওঠায় ইমান কে দেখে স্বস্তি ফিরে পায়,

তারপর ইমান ওকে বিছানায় শুইয়ে শাওয়ার নিতে যায়,

ইমান আসতেই ওকে সাথে নিয়ে খেতে বসে মিশশশ,
. ..
তুমি ডিনার করনি তাই না?
….
হ্যা করিনি কেন?

বিয়ের পরে ও তুমি আমার জন্যে এভাবে না খেয়ে বসে থাকতে,

সে অতীতের কথা মনে করে লাভ নেই,
চুপচাপ খেতে বসেছেন,
খেয়ে শুতে চলুন,
….
দেখি তো হা করো আমি তোমাকে খাইয়ে দেই,
….
না থাক আমি খেতে পারবো,

তুমি এমন করো কেন?
একটু খাও না আমার হাতে খেলে কি হবে?

আচ্ছা খাচ্ছি,
!
আমি কি জানিনা তুমি আমার কাছে ইনসিকিওর ফিল করো,
..
তবু ও তো আমার যত্ন করো,
..
তবে এটা আর ফিল করবেনা,

আস্তে আস্তে সবকিছু আবারো আগের মতো নরমাল হয়ে যাবে,
আমার বিশ্বাস,
….
আমি আবারো তোমার বিশ্বাস ভরসা ভালোবাসা অর্জন করে দেখাবো,

চলবে