শ্রাবণের এক সন্ধ্যায় পর্ব-০৯

0
735

#শ্রাবণের_এক_সন্ধ্যায়
#লেখনীতে_জেনিফা_চৌধুরী
#পর্ব_নয়

-অবশেষে শেষ হলো সবার অপেক্ষার প্রহর। সবার প্রিয় সুপারস্টার তাহমিদ তাজওয়ার ও তাসনিম ফারহানা এবার শুধু পর্দায় নয়। রিয়েল লাইফেও জুটি বাঁধতে চলেছে এ দুজন অভিনেতা_অভিনেত্রী। হুট করে কেনো বিয়ের সিদ্ধান্ত এ দুজনের। নাকি এর পেছনে ছিলো প্রেমঘটিত কোনো কারন। তারা কি দুজনে আগে থেকেই সম্পর্কে ছিলো নাকি সব’টাই পারিবারিক ভাবে। চলুন তাদের মুখ থেকেই শুনে নেই আসল সত্যি…….

বলে সাংবাদিক সোনিয়া এগিয়ে গেলো তাজওয়ার ও তাসনিমের কাছে। ওরা দুজন পাশাপাশি বসে আছে। দুজন দুজনের হাত ধরে৷ সোনিয়া সোজাসুজি প্রশ্ন ছুড়ে মা’রলো তাজওয়ার’কে…..

–আপনারা কি আগের রিলেশনশিপে ছিলেন নাকি বিয়ে’টা পারিবারিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে?

প্রশ্ন’টা শুনে তাসনিম ঠোঁট চে’পে হাসলো। আর তাজওয়ার মুখ’টা বেশ হাসি খুশি রেখে শান্ত ভাবেই উওর দিলো……

–আপনারা এইসব কুয়েশ্চন বাদ দিয়ে আমাদের বিয়ে’তে ফোকাস করুন। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় আপনাদের জানা উচিত ইভেন সবার জানা উচিত। আমরা দুজন-দুজন’কে ভালোবাসি। আগামী কাল আমরা দুজন সারাজীবনের জন্য পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছি। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী ……

কথা’টা শুনে’ই তাসনিম শব্দ করে হেসে উঠলো। তা দেখে তাজওয়ার ওর দিকে চোখ গরম করে তাঁকালো। আর ওদের সামনে উপস্থিত সবাই হা হয়ে বসে আছে৷ ওদের মধ্যে ভালোবাসা ময় একটা সম্পর্ক আছে তা এতদিন কেউ বুঝতে পারে’নি। সবাই নিজেদের বিস্মিত ভাব কাটিয়ে একসাথে করোতালি দিয়ে উঠলো। এতক্ষন নিউজ’টা লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছিলো তারকা-ওয়ার্ল্ড চ্যানেলে। সকাল সকাল ওমরের ফোনে তারিন তাজওয়ারের বিয়ের নিউজ’টা শুনে আকাশ থেকে পড়েছিলো। বিশ্বাস করতে পারছিলো না কিছুতে’ই। তাই ওমর ও’কে টিভি’র লাইভ নিউজ’টা দেখতে বলেছিলো। এতক্ষন তারিন সোফায় বসে বেশ আরাম করে নিউজ’টা দেখছিলো। নিউজ’টা শেষ হতে’ই তারিনের চোখে মুখের রঙ পাল্টে গেলো। রাগে শরীরের সমস্ত অঙ্গ_প্রতঙ্গ শিরশির করে উঠলো। মাথা’টা ভীষন ভাবে ব্যাথা করছে। বুকের ভেতর দুমড়ে-মুষড়ে যাচ্ছে। ব্যাথা’র কারনে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তারিনের। এমন দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পড়বে তারিন কোনোদিন ভাবতে পারে’নি। এক হাতে বুকের বা-পাশ’টা কিছুক্ষন চে’পে ধরে চোখ বন্ধ করে সোফায় গা এলিয়ে বসে রইলো। চোখের দুই কোনা বেয়ে দুই ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো। তাজওয়ারের এই কয়েক’দিনের ব্যবহারে তারিন ভেবেছিলো তাজওয়ার তারিন’কে ভালোবাসে। তাজওয়ার তো নিজের মুখেই স্বীকার করেছিলো। তাহলে আজ কি করে সবার সামনে বলে দিলো ও তাসনিম’কে ভালোবাসে। রাগ, ক্ষোভ, কষ্ট সব মিলিয়ে যেই যন্ত্রনা হচ্ছে এই যন্ত্রনা’টা সহ্য করতে পারছে না তারিন। বুক ফেটে যাচ্ছে। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাও ফুঁপিয়ে কাদঁছে। তাজওয়ার ওর সাথে বিশ্বাসঘাতক’তা করতে পারলো নাকি সব’টা ছিলো অভিনয়। তারিন আর ভাবতে পারলো না। ড্রয়িং রুমের জিনিসপত্র গুলো এক এক করে ভাঙ্গতে লাগলো। হাতের সামনের সব জিনিসপত্র গুলো মাটি’তে ছুড়ে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে কান্না করে উঠলো। দুই হাতে নিজের চুল গুলো খামচে ধরে কাঁদতে কাঁদতে হাটু ভেঙে বসে পড়লো। জোরে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো…..

–তুমি আমার থেকে সব কেড়ে নিয়েছো। আমি তাও শুধু তোমাকে’ই ভালোবেসে গেছি। আর আজ তুমি দ্বিতীয় বারের মতো ঠকালে। কি করে পারছো আমাকে এত’টা কষ্ট দিতে। কি করে?

বলে মেঝের দিকে তাঁকিয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগলো। কিছুক্ষন নিরবে শব্দহীন কান্না করে। দুই হাতে পাগলের মতো চোখের পানি টুকু মুছে নিতে নিতে উঠে দাড়ালো। চোখ মুখ শক্ত করে বলে উঠলো……

— পাঁচ বছর আগে তারিন বোকা ছিলো। তাই তোমার জন্য দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো করে কেঁদেছিলো। তোমাকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলো। এমন’কি সুই’সাইড অব্দি করতে গিয়েছিলো। কিন্তু এখন আর তারিন বোকা,দূর্বল নয়। তারিনের সব হিসেব তারিন মিটিয়ে নিবে। আর
কালকে তোমার বিয়ের দিনেই হবে তোমার জীবনের শেষ দিন। আমাকে ঠকানোর শাস্তি তুমি খুব জঘন্যভাবে পাবে মিস্টার তাহমিদ তাজওয়ার……

বলে নিজের রুমে চলে গেলো। কালকে কি ঘটতে চলেছে তা তারিন নিজেও জানেনা।
____________________________________________
তাজওয়ার সারাদিনের ক্লান্তি শেষে বাসায় ঢুকতে’ই দেখলো বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। আজ সারাদিন তাজওয়ার বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলো। এত কম সময়ে যে তার মা এত আয়োজন করে ফেলবে তা তাজওয়ার ভাবতে পারে’নি। চারদিকে একবার নজর বুলিয়ে উপরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে’ই পেছন থেকে রাইমা বেগম ডেকে উঠলো। তাজওয়ার পেছনে ঘুরতেই সে হাসি মুখে তাজওয়ারের সামনে এসে দাড়িয়ে বলে উঠলো…..

–তাসনিম কোথায়? ও আসলো না….

–না ও আজ আসবে কেনো? আমি তো তোমাকে বলেছি মা। এতসব আয়োজন করার কোনো দরকার নেই। তাও করেছো যখন আমাকে এইসবের মধ্যে টানবে না…..

তাজওয়ার কথাগুলো বলে উপরে চলে গেলো। আর রাইমা বেগম একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পেছন ঘুরতেই দেখলো জহির সাহেব দাড়িয়ে আছে। জহির সাহেব’কে দেখে রাইমা বেগম ঠোঁটে চিলতে হাসি টানার চেষ্টা করলো। জহির সাহেব রাইমা বেগমের কাঁধে হাত রেখে শান্ত কন্ঠে বললো…..

–তোমার কি মনে হয় না তুমি একজন’কে ঠকাচ্ছো?

জহির সাহেবের কথা শুনে রাইমা বেগম রাগী দৃষ্টিতে তাঁকালো তার দিকে। চাপা স্বরে দাতে দাত চেপে বললো…..

–তোমার মনে হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়না যে আমি কাউকে ঠকাচ্ছি…..

কথা’টা বলে রাইমা বেগম হনহন করে চলে গেলো। কিচেনের দিকে। বাড়ি জুড়ে কয়েকজন মানুষের আনাগোনা। রাইমা বেগম চলে যেতে’ই জহির সাহেব নিজে নিজেই বললো…..

–সব সত্যি একদিন না একদিন ঠিক প্রমান হবে। আর সেদিন তুমি বড্ড আফসোস করবে রাইমা। বড্ড আফসোস দেখে নিও……

বুক ফাটা দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে এলো জহির সাহেবের ভেতর থেকে। নিঃশব্দে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো। উনাদের দুজনের আড়ালে আরো একজোড়া চোখ উনাদের প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে তাঁকিয়ে ছিলো তা তারা খেয়াল করে’নি। জহির সাহেব চলে যেতে’ই তাজওয়ার সিড়ির হাতল’টা শক্ত করে চেপে ধরলো। রাগে মুষড়ে পড়লো। রুমের মধ্যে’ই ধপাস করে দরজা আটকে হাতের সামনে’র কাচের টেবিল’টা লা’থি মে’রে ফেলে দিলো। কাচ গুলো চূর্ন-বিচূর্ন হয়ে পড়লো। মুহূতে’ই কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। দুই হাতে মুখ চেপে ধরে সোফার উপর ধপ করে বসে পড়লো। ওর নিশ্বাসের শব্দ সারা রুমে বাজচ্ছে। চারদিকের শুনশান নিরবরার মাঝে নিশ্বাসের শব্দ’টা ভয়ংকর শোনাচ্ছে। তাজওয়ার রাগে নিজের হাত ঝাড়ি মা’রতেই ভাঙা কাচের টেবিলের কোনায় লেগে অনেক খানি কেটে গেলো। তীব্র যন্ত্রনা তাজওয়ার দাত-মুখ খিচে সহ্য করে নিলো। হাত থেকে টপটপ করে রক্ত পড়তে লাগলো। এই যন্ত্রনার শেষ কবে হবে ওর জানা নেই। তাজওয়ার চেঁচিয়ে বলে উঠলো……

—আমি জানিনা আমার অজান্তে কি হয়েছিলো? আমার অতীত কি? আমি কিছু জানিনা। কেনো জানিনা আমি? কেনো? আমার অতীত কেনো আমার স্মৃতি’তে নেই? সব সময় তোমরা কেনো আমার থেকে এই প্রশ্ন গুলো এড়িয়ে যাও? সারাদিন হাসির আড়ালে থাকা আমার ভেতরের যন্ত্রনা’টা তোমরা কেউ দেখো না। কেউ না…..

তাজওয়ারের চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। গা এলিয়ে দিলো সোফায়। দুমড়ে যাওয়া বুকের উপর রক্তমাখা হাত’টা রাখলো। আস্তে করে চোখ বুঝে নিলো। কাল সকালে ওর জন্য কি অপেক্ষা করছে তা ও জানেনা। হয়তো নতুন শুরু নয়তো শেষ।
____________________________________________
আজ বেশ ধুমধাপ করে তাজওয়ার ও তাসনিমের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। কিছু প্রেস-মিডিয়ার লোক ছাড়া বাইরের কেউ নেই তাজওয়ারের বিয়েতে। এমন’কি তাসনিমের পরিবারের একটা মানুষ ও নেই। বিয়ের কনে সেজে বসে আছে তাসনিম। আর বর সেজে তাসনিমের পাশেই বসে আছে তাজওয়ার। ভয়ে তাসনিমের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাজওয়ার ও দুশ্চিন্তায় ঘামতে শুরু করেছে। তাজওয়ার জানে আজ এখানে অনেক বড় কিছু হবে। তাই বাইরের কাউকে বলে’নি৷ বিয়ের আয়োজন ধুমধাপ করে করা হলেও শুধু মাত্র পরিবারের কয়েকজনেই এখানে উপস্থিত। কাজি সাহেব’কে সাথে করে ভেতরে ঢুকলো জহির সাহেব। রাইমা বেগম খুশিতে সারা বাড়ি মাথায় করে রেখেছে। কাজি সাহেব’কে দেখেই তাসনিম ভয়ে তাজওয়ারের হাত চে’পে ধরলো। ভয়ার্ত স্বরে ফিসফিসিয়ে তাজওয়ারের কানে কানে বললো…..

–তাজ আমার খুব ভয় করছে। তুই তো জানিস আমি রাহুল’কে ভালোবাসি। রাহুলের সাথে আমার বিয়ের ডেট অব্দি ফিক্সড করা। আমি কি করে তোকে বিয়ে করব।

তাসনিমের কথা শুনে তাজওয়ার বেশ বিরক্ত নিয়ে চাপা স্বরে বললো….

–তোর মাথায় কি গোবর আছে। একটু অপেক্ষা করতে পারছিস না। যাই হয়ে যাক না কেনো তোকে কোনো বিপদে পড়তে হবে না। প্রমিস। আমার মন বলছে একটা বিরাট ঝড় আমাদের দিকে তেড়ে আসচ্ছে। হয়তো আমার লাইফের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এই ঝড়ে……

বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। তাসনিম তাও শান্ত হতে পারছে না। কাজি সাহেব এসে তাজওয়ারের পাশে বসতে’ই জহির আদেশের স্বরে বললো…..

–বিয়ে’টা শুরু করুন কাজি সাহেব। দেরি হয়ে যাচ্ছে তো…..

কাজি সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করতে’ই হঠাৎ করে প্রচন্ড শব্দে পুরো বাড়ি কেঁপে উঠলো। সবাই ভয়ে কেঁপে উঠলেও শান্ত দেখালো তাজওয়ার’কে। বেশ বুঝতে পারলো শব্দ’টা গু’লির শব্দ। এটা ভাবতে ভাবতেই দরজার বাইরের থেকে একটা বুলেট তীব্র স্পীডে এসে তাসনিমের পাশে থাকা বড় ফুলদানি’টায় লেগে ফুলদানি’টা চূর্ন-বিচূর্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। তাজওয়ার তাসনিম’কে ধাক্কা দিয়ে অন্য দিকে ফেলে দেওয়ায় তাসনিমের গায়ে কিছুর আঁচ লাগলো না। ভয়ে তাসনিমের চোখ থেকে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়তে লাগলো। তাজওয়ার এইবার দরজার দিকে তাঁকাতে’ই থমকে গেলো। ওর মনে হচ্ছে দরজার সামলে একটা জীবন্ত পুতুল দাড়িয়ে আছে। দরজার সামনে তারিন হাতের রিভ’ল’বার’টা তাজওয়ার’দের দিকে তাঁক করে দাড়িয়ে আছে৷ ওর গায়ে সাদা আর লালের কম্বিনেশনের একটা গর্জিয়াস লেহেঙ্গার সাথে ভারী গহনা। চুলগুলো অনেক’টা ফ্রান্স বেনী টাইপ করে বাঁধা। চুলের বেনীর ভাঁজে বেলি ফুলের মালা প্যাচানোর। ব্রাইডাল-ওড়না’টা মাথার শেষাংশের সাথে আটকানো। মুখে ভারী মেকাপ, ঠোঁটে লাল টকটকে লিপস্টিক, আর চোখে স্টাইলিশ ব্লাক-সানগ্লাস। সানগ্লাস’টার জন্য চেহারার সৌন্দর্য’টা বেশ ফুটে উঠেছে। পায়ে উঁচু হিল। তাজওয়ার সহ উপস্থিত সবাই হা হয়ে তাঁকিয়ে আছে। তারিন সবার দিকে একবার তাঁকিয়ে হাত দিয়ে পেছনে ইশারা করতে’ই কয়েক’টা লোক এসে উপস্থিত সবাই’কে গান পয়েন্টে দাড় করালো। সবার মাঝে দিয়ে তারিন খুব স্টাইল করে হেঁটে আসলো তাজওয়ারের দিকে। তাজওয়ার সহ উপস্থিত সবাই ছানাবড়া চোখ নিয়ে তাঁকিয়ে আছে। সবাই’কে কয়েকদফা অবাক করে তারিন রিভলবার’টা তাজওয়ারের বুকের বা-পাশে তাঁক করলো। এক হাত দিয়ে সানগ্লাস’টা নাকের ডগায় এনে তাজওয়ারের দিকে তাঁকিয়ে চোখ মা’রলো। তাজওয়ার বিস্ময়ে স্তব্দ হয়ে আছে। তারিন এইবার চেঁচিয়ে বলে উঠলো…..

—এখানে এখন যা যা ঘটবে সব’টা লাইভ টেলিকাস্ট হবে। আন্ডারস্ট্যান্ড…

তারিনের কথার সাথে সাথে সব মিডিয়ার লোকেরা মাথা নাড়ালো। তারিন এইবার তাজওয়ারের দিকে তাঁকাতে’ই তাজওয়ার ঘোর লাগা কন্ঠে বললো…..

–রিভল’বার দিয়ে মা’রার দরকার নেই। আমাকে মা’রার জন্য তোমার রুপে’ই যথেষ্ট মাই লেডি কি’লার…..

তাজওয়ারের কথা শুনে তারিন নিঃশব্দে হাসলো। মিনমিনিয়ে বলে উঠলো…

–আপনাকে ঘৃনা করতে যেয়েও তীব্র ভাবে ভালোবেসে ফেলি হিরো…..

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে