শুধু তুই ৩ পর্ব-৩২+৩৩

0
1312

#শুধু তুই ৩
#পর্বঃ৩২
#Tanisha Sultana

কালো একটা থ্রি পিছ পড়ে নেয় নিধি। আদি নিধির সাথে মেচিং করে কালো শার্ট পড়ে। আয়নায় চুল ঠিক করার সময় নজর পড়ে পাম পাশে কয়েকটা চুল সাদা হয়ে গেছে। আবারও আদির মনে পড়ে যায় ওর আর নিধির মধ্যে পার্থক্যের কথা। মন খারাপ হয়ে যায়। তাচ্ছিল্য হাসে আদি। সাদা চুল গুলো লুকোনোর চেষ্টা করে। যদিও এখন আদির চুল সাদা হওয়ার কথা না তাও হয়েছে। হয়ত অতিরিক্ত টেনশনে জন্য।

ক্লাস টেন থেকে আদি জুঁই নামের একটা মেয়েকে ভালোবেসে এসেছে। চার ইয়ারের জুনিয়র ছিলো জুঁই। আদির ছাব্বিশ বছর বয়সে যখন জুঁইকে বিয়ে করার কথা বাড়িতে বলে তখন সবাই রাজি হয়ে যায়। জুঁইকে দেখতে যায়। তখন গিয়ে দেখে জুঁই অনেক আগেই বিয়ে করে নিয়েছে আর জুঁই প্রেগন্যান্ট। ভীষণ ভেঙে পড়ে আদি। কেনোনা বিবাহিত হওয়ার পরেও আদির সাথে কন্টিনিউস রিলেশন চালিয়ে গেছে। এতো এতো গিফট দিয়েছে আদি। কতো টাকা খরচ করেছে জুঁইয়ের পিছে তার হিসেব নেই।
সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় জীবনে কোনো দিন দ্বিতীয় কোনো নারীতে আসক্ত হবে না।

কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে নিধির সাথে বিয়েটা হয়ে যায়। পাগলী মেয়ে অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে আদির মনে। আদি নিজে সেটা বুঝতে পারে কিন্তু স্বীকার করতে নারাজ। কেনো না আদি মনে করে নিধি মেচুয়েট হয়ে উঠলে আদিকে মেনে নিতে পারবে না। কোনো মেয়েই চাইবে না একটা বুড়োর সাথে সংসার করতে।

এসব ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আদি। নিজের মুখটা খুঁটিতে খুঁটিয়ে দেখছে। গোলগাল মুখটা। চাপ দাঁড়ি জোড়ভ্রুর নিচে হালকা বাদামী রংয়ের দুইটা মনি ওয়ালা চোখ। সরু নাক। নজর কাড়া সুন্দর যুবকদের দেখে কোনো অংশে কম না।

“আপনার হলো?
নিধি ওড়নায় সেফটিপিন লাগাতে লাগাতে বলে।
” হুমম ডান
ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে আসে আদি। নিজেকে দেখা বাদ দেয়। চিরুনি নামিয়ে রেখে বলে আদি।
“দেখুন তো আমাকে কেমন লাগছে?
আদির সামনে দাঁড়িয়ে বলে।
” খারাপ না
এক পলক তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে আদি।
“নিরামিষ
নিধি বিরক্ত হয়। খারাপ না” এটা কি ধরনের শব্দ? নিধি বিরবির করে বলে।
” কিছু বললে?
আদি কান খাড়া করে পাল্টা প্রশ্ন করে।
“না না গাঁধাকে কি কিছু বলতে হয় না কি?
হেসে বলে নিধি।
” কি বলল
আদি আঙুল তুলে বলতে যায় তার আগেই নিধি বলে
“দেরি হয়ে যাচ্ছে চলুন
বলেই নিধি এক দৌড়ে বেড়িয়ে যায়।
দৌড়ে একদম নানুর সামনে গিয়ে পড়ে।
” যাহহহহ বাবা যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধে হয়।
বিরবির করে বলে নিধি।
“তুমি আমাকে গালি দিলে? তোমার এতো বড় সাহস?
নানু চিৎকার করে দাঁত কটমট করে বলে।
নিধি বেকুবের মতো তাকিয়ে থাকে। ও কখন বকা দিলো?
” আসমা দেখে যা
তোর ছেলের বউ আমার সাথে কেমন বিহেব করলো?
জোরে জোরে ডাকতে ডাকতে বলে।
তোহা আসে। তোহা মিটমিট করে হাসছে।
“নানু আপনাকে তো আমি বকা দেয় নি। ভালোবাসি বলেছি। আপনার মনে হয় ভালোবাসা কথাটাকে বকা মনে হয়? ঠিক আছে কোনো বেপার না নেক্সট টাইম থেকে আর ভালোবাসি বলবো না।
নিধি এক গাল হেসে নানুর গালে হাত দিয়ে বলে।
তোহা আর নানু এবার বেকুব হয়ে যায়।
আদি ওদের পেছনে দাঁড়িয়ে দেখছে সবটা।
” তুমি
তোহা বলতে বলতে এগিয়ে আসে।
“আমি ভালো মেয়ে। দেখতে সুন্দরী। স্মার্ট
আরও কিছু বলবে?
ভাব নিয়ে বলে নিধি।
তোহা কটমট করতে করতে চলে যায়।
তোহা যেতেই নিধি নানুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে
” শাশুড়ী একটু বেরিয়েছে। বাসায় আসলে বইলেন। কেমন
বলেই নিধি চলে যায়।

গাড়িতে বসে বসে নিধি আদির জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু আদির আসার কোনো নামই নেই। কোথায় গেলো? যখনই ভেবে নিলো এবার নেমে যাবে তখনই আদি চলে আসে।
“নামো
নিধির পাশের দরজা খুলে দিয়ে বলে।
” কেনো?
নিধি বুঝতে না পেরে বলে।
“এতো কথা বলো কেনো তুমি? ইডিয়েট একটা

” ধুর
বিরক্তি নিয়ে বের হয় নিধি।
আদি নিধির হাত ধরে বলে
“চলো
নিধি মুখটা গোমড়া করে হাঁটতে থাকে।
পিচঢালা রাস্তায় হাত ধরে হাঁটছে আদি আর নিধি। বেশ লাগছে নিধির। ইসসস এবার যদি বৃষ্টি পড়তো ঝমঝম করে কতো ভালো হতো। দুজন মিলে ভিজতে পারতো। নিধি তো লাফিয়ে লাফিয়ে ভিজতো।
ভেবেই নিধি লাফিয়ে ওঠে। আদি চমকে নিধির দিকে তাকায়।
” কি হলো?
“বলবো?
নিধি খুশি খুশি বলে।
” হুমমম
“এই যে আমি আর আপনি হাঁটছি। পিচ ঢালা রাস্তা দুই পাশে গাছ মাঝে মধ্যে দুই একটা গাড়ি শো শো করে যাচ্ছে। এবার যদি ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়তো। আপনি আর আমি ভিজে একাকার হয়ে যেতাম। বৃষ্টির পানি আমার মুখে ফোঁটা ফোঁটা জমে থাকতো। খুব মায়াবী লাগতো আমাকে। ঠিক হিরোইনদের মতো। আপনি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন আমার দিকে। আমি লাফিয়ে লাফিয়ে ভিজতে থাকতাম। আপনি এসে আমার হাত ধরে দাঁড় করাতেন। তারপর আমার গালের দুই পাশে হাত দিতেন।
আমি আপনাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আবার দৌড়ে চলে যাবো।
” আবার যদি বৃষ্টি আমি আমি তোমার প্রথম হবো
লেপ্টে যাওয়া শাড়ির মতো তোমার অঙ্গে জড়িয়ে রবো”
গানটা গাইবো আর নাচবো।
মুহুর্তেটা উপলব্ধি করেই আমার লজ্জা লজ্জা লাগছে।
দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বলে নিধি।
আদি বুকে হাত গুঁজে নিধির কথা শুনছিলো।
“আপনি একটু কল্পনা করেন না প্লিজ?
আদির হাত ঝাঁকিয়ে বলে নিধি।
” এতোখন কল্পনা করলাম তো।
আদি নিধির দিকে তাকিয়ে বলে।
“সত্যি?
কেমন ফিল হলো?
এখন কি করতে ইচ্ছে করছে?
খুশিতে আত্ম হারা হয়ে নিধি এক সাথে এতোগুলো প্রশ্ন করে বসে।
” কল্পনায় নিশ্চয় আমি সাদা শাড়ি পড়েছিলাম। একদম পাতলা। ভিজে হিন্দি সিনেমার হিরোইন দের মতো শাড়িটা লেপ্টে ছিলো। তারপর আপনি আমাকে
ইসসসসসসসস
লজ্জায় লাল নীল হয়ে মুখ ঢেকে বলে নিধি।
“অল্প বয়সে পাকলে যা হয় আর কি?
আদি মুখ বাঁকিয়ে বলে।
নিধির রাগ হয়। কতো সুন্দর রোমান্টিক একটা মোমেন্ট নিয়ে কথা বলছে আর ইনি?
” সিগারেট আর ছ্যাকা খাইতে খাইতে ভেতরটা যখন জ্বলে পুরে যায় তখন
থাক আর কইলাম না🥱
আদি রেগে তাকায় নিধির দিকে।
“শুনেন মিস্টার নিরামিষ
নাহহ এভাবে বলা যাবে না
নিচু হন
আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলে।
আদি একটু নিচু হয়। নিধি শার্টের কলার ধরে টেনে আরও একটু নিচু করে। আদি ভেবাচেকা খেয়ে যায়। কিন্তু কিছু বলে না।
” শুনেন আমার যা যা স্বপ্ন আছে সব আপনাকে পূরণ করতে হবে। নাহলে আপনার নামে আমি বউ ইভটিজিং এর মামলা করবো বলে দিলাম।
বলেই আদির কলার ছেড়ে দেয়।
তারপর রাগে গজগজ করতে করতে হাঁটতে থাকে।
“এই মেয়েটা কি মানুষ?

চলবে

#শুধু তুই ৩
#পর্বঃ৩৩
#Tanisha Sultana

আদি আর নিধি রিকশা করে ইভাদের বাসায় পৌঁছে যায়। ভালোই লেগেছে নিধির। প্রিয় মানুষটার সাথে রিকশা করে কোথাও যাওয়ার মজাই আলাদা। বেশ উপভোগ করেছে নিধি।
ইভা, সৌরভ ইভার দুই জন কাজিন আর ইফাদ বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়েছিলো নিধি আর আদির জন্য। ওরা আসতেই বেড়িয়ে পড়ে।
সৌরভ সুযোগ পেলেই নিধির সাথে গল্প জুড়ে দেয়। আদি একটু দুরে দুরে থাকছে নিধির থেকে। শুধু নিধি না সবার থেকেই। আসলে ওরা এটা ওটা কিনছে দেখছে দামাদামি করছে এগুলো ভালো লাগছে না আদির। মেয়েদের কোনা কাটা করার বিষয়টা বিরক্ত লাগে আদি।
নিধি ইভার জন্য শাড়ি চুজি করে দিচ্ছে। নিজের জন্য কিছু কেনার ইচ্ছে নেই। অনেক আছে ওর।

আদি অনেকখন যাবত একটা শাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে। কেনার সাহস পাচ্ছে না। কিনলে কিভাবে নিধিকে দেবে? কি বলবে? বা কি করে দামাদামি করতে হয়? কি করে দোকানদার কে বলছে ভাই এই শাড়িটা আমি নেবো।
ইভা নোটিশ করেছে। আদিকে খেয়াল করে বুঝতে পারে আদি শাড়িটা দেখছে।
নিধি নিজের জন্য কিচ্ছু কিনছে না শুধু ইভাকেই চয়েস করে দিচ্ছে।

“কি রে?
ইভা পেছন থেকে আদির কাঁধে হাত দিয়ে বলে।
আদি কিছুটা চমকে ওঠে।
” হুমম বল
এদিক সেদিক তাকিয়ে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে আদি।
“শাড়িটা পছন্দ হয়েছে? কিনে নে না?
শাড়ি টার দিকে ইশারা করে বলে।
” আরে না শাড়ি পছন্দ কেনো হবে? আমি কি শাড়ি পড়ি না কি?
একটু ফাঁকা হেসে বলে আদি।
“আদি আমি তোর বেস্ট ফ্রেন্ড। মন পড়তে পারি তোর। অনেকগুলো বছর এক সাথে কাটিয়েছি। আমার থেকে কেনো লুকোনোর চেষ্টা করিস? কেনো? আমি তো তোর থেকে কিছুই লুকোই না?
ইভা মন খারাপ করে বলে।
” সেরকমটা না। তেমন কিছু হলে অবশ্যই বলতাম।
আদি মুখ লুকিয়ে বলে।
“আদি
ইভা কপালে ভাজ ফেলে বলে।
” আসলে কি বলতো।
আমি না কনফিউজড। কি করবো বুঝতে পারছি না৷ এভাবে আর কতোদিন? কিছু একটা সিদ্ধান্তে পৌছানো দরকার। আমি আর ওই মেয়েটার সম্পর্ক এগোচ্ছে না আবার নেমেও নেই। কি করবো বুঝতে পারছি না রে?
“তোর মন কি বলছে?
” মন তো বলছো
থাক বাদ দে
“কেনো বাদ দেবো?
তুই আমার কথা শোন৷ শাড়িটা কিনে নে। মেয়েটা না খুব ভালো। তোকে খুব ভালোবাসে। তুই নিশ্চয় কখনো ওকে কিছুই দিস নি? এবার শাড়িটা দিবি। আর মনে যা চলছে বলে দিবি।
ইভা খুশি মনে বলে।
” কিন্তু ইভা তুই বুঝতে পারছিস না? ও আমার থেকে ছোট?
“তো? বর তো বউয়ের থেকে ছোটই হয়৷ আমার থেকে ইফাদ বড়। মায়ের থেকে বাবা বড়। এটাই তো হয়ে আসছে।
আদি ইভার দিকে কটমট চোখে তাকায়।
” শোন আদি তোকে দুইদিন সময় দিলাম। এই দুই দিনের মধ্যে তুই নিধিকে প্রপোজ করবি। নাহলে আমি তোদের ডিভোর্স করিয়ে দেবো বলে দিলাম।
দাঁতে দাঁত চেপে বলে ইভা।
আদি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইভা চলে যায়।
আদি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে।

শাড়িটা কিনে নেয় আদি। সাথে শাড়ির সাথে মেচিং করে কানের দুল ও কিনে নেয়। এবার দেবে কি করে নিধিকে?

নিধি ক্লান্ত হয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আদিকে খুঁজছে কিন্তু লাটসাহেবের দেখা নেই। কোথায় আবার কোন মেয়ের সাথে ফ্লাট করতো গেছে কে জানে?
নিধি কিছুটা রেগে যায়।
আদি দোকান থেকে বের হতেই চোখ পড়ে নিধির দিকে। আঙুলে ওড়না পেঁচিয়ে দাঁতে দাঁত ফেলে কটমট করছে।
আদি এগিয়ে যায়।
“কি হলো? তোমার কেনা কাটা শেষ?
আদি নিধির সামনে দাঁড়িয়ে বলে।
নিধি চোখ বড়বড় করে তাকায় আদির দিকে।
” কোথায় ছিলেন?
“ওই দোকানটায় গেছিলাম একটু। বাসায় যাবো। তোমার হয়েছে?
” হুমমমম
“চলো
আদি আগে আগে হাঁটছে আর নিধি পেছনে পেছনে। আদির হাতে থাকা শপিং ব্যাগের দিকে তাকিয়ে হাঁটছে নিধি৷ এটার মধ্যে কি আছে তাই জানার আগ্রহ। নিধির জন্য তো কিছু কিনবে না তাহলে কার জন্য কিনেছে?
প্রশ্নে প্রশ্নে ভেতরটা গিজগিজ করছে নিধির। কিন্তু কোনো প্রশ্ন করতে পারছে না।

শপিংএর মলের বাইরে এসে দাঁড়িয়ে যায় নিধি। আদি খানিকটা হেঁটে পেছনে ফিরে দেখে নিধি অনেক দুরেই দাঁড়িয়ে পড়েছে। আদি আবার পেছনে যায়।
” কি হলো দাঁড়িয়ে গেলে যে?
“আপনার আজ এতো তাড়া কেনো? কি খিচুড়ি পাকাচ্ছেন?
নিধি ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে।
” খিচুড়ি পড়ে খেয়ো। আপাতত বাসায় গিয়ে তোমাকে পড়তে বসতে হবে।
নিধি কোমরে হাত দেয়।
“মানুষ হবেন না
বিরবির করে বলে।
” মনে মনে না বকে জোরে বলো। কি সাহস নেই?
“বলেছি হনুমান
বলেই জোরে হেসে ওঠে নিধি।
আদি কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। হাসিটা মাথা মুখটা দেখে বকা দিতে ভুলে যায় আদি।

সৌরভ নিধির জন্য জুতো কিনেছে কিন্তু দেবে কি করে? নিধিকে তো খুঁজেই পাচ্ছে না। ইভাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো নিধি আদির সাথে চলে গেছে। সৌরভের মনটা খারাপ হয়ে যায়।

বিকেলে বাড়ি ফিরে আদি নিধিকে পড়তে বসতে বলে কোথাও বেড়িয়ে গেছে। এখন সন্ধা হয়ে গেছে কিন্তু ফেরার নামই নেই। কোথাও গেলো কে জানে? কতোদিন হলো বাবা মাকে দেখা হয় না। ভেবেছে কাল যাবে দেখতে। জিসানও কথা বলছে না নিধির সাথে। এরা করছে কি বুঝতেই পারছে না নিধি।
নিধির বাবাকে আদি খুব ভালো একটা চাকরি দিয়েছে।
এবার নিধির মাথায় আসে সেই শপিং ব্যাগের কথা।
পুরো রুম তন্নতন্ন করে খুঁজে কিন্তু পায় না। মন খারাপ করে বসে পড়ে।
” কি ছিলো ওই ব্যাগে? আর কার জন্যই বা কিনে ছিলো?
প্রশ্ন জাগে নিধির মনে। বুকের বা পাশটায় চিনচিন ব্যাথা করে। আদি কি অন্য কারো প্রেমে পড়ে গেছে? অন্য কারো জন্য গিফট কিনেছে?
ভাবতেই কান্না চলে আসে নিধির। চোখ ভরে জানি চলে আসে। দু হাতে মুখ ঢেকে হু হু করে কেঁদে ফেলে।

ছাঁদে বসে সিগারেটে খাচ্ছে আর ভাবছে
নিধিকে দেখলেই কেমন কেমন লাগে। না দেখলে বুকের বা পাশে চিনচিন করে। সারাক্ষণ মেয়েটার সাথে থাকতে ইচ্ছে হয়। ওর দুষ্টুমী গুলো খুব এনজয় করে আদি। এই মেয়েটার থেকে দুরে সরে থাকতে পারবেই না আদি। আবার কাছে টেনেও নিতে পারছে না। কোথাও একটা বাঁধা পাচ্ছে। খুব করে ইচ্ছে করছে আগে পিছে না ভেবে মেয়েটার পাগলামিতে তাল মেলাতে।

মাথায় দুই হাত চেপে ধরে বসে আদি। সিগারেট ফেলে দেয়৷ বিষাক্ত লাগছে সিগারেটের ধোঁয়া। নিধি নামক পাগলের নেশার কাছে সিগারেট কিছুই না।
উঠে দাঁড়ায় আদি।
জিসান বলেছে আজ নিধির জন্মদিন। খুব ভালো একটা সারপ্রাইজে দেবে জিসান ওকে। আদি কেও সাথে থাকতে বলেছে। আদি ভেবে নেয় আজকে জন্মদিনে আদি নিধিকে জীবনের শ্রেষ্ঠ গিফটটা দেবে। চমকে যাবে নিধি। আর ভাববে না আদি। এতো ভেবে চিন্তে কিছু হয় না।
মেয়েটাকে হাসলে খুব সুন্দর লাগে। এই হাসিটা নিধি সারাজীবন দেখতে চায় আদি।

চলবে
বানান ভুল হয়েছে হয়ত। খুব তারাহুরো করে লিখেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে