লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব-১৫
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)
মিষ্টি এদিক ওদিকে তাকাচ্ছে রেস্টুরেন্ট এমন ফাকাঁ কেন ওর মাথায় আসছে না। একবার জিগ্গেস কলবে ভাবছে তো করছে না যদি সুজয় মাইন্ড করে কিন্তু থাকতে ও পারছে না। জিগ্গেস না করে এদিকে কোয়েল কে অবশেষে কোয়েল ফোন রিসিভ করে আর বলে ও আসতে পারবে না কি জন্য সেটা নাকি রাতে বলবে। বললাম এখন বল বলল, এখন সারপ্রাইজ রাতে বলার আগেই বুঝবি।
কিছু মাথায় এলো না কি বলে কি ও? আমি ওকে বকে দিলাম একা এসেছি কোথায় ভাবলাম তিন জন্য মজা করবো এখন একা। সুজয় কে এখন নিজের ব্রেস্টফ্রেন্ড ভাবি কিন্তু ও তো একটা ছেলে আর একটা ছেলের সাথে এভাবে একা থাকাটা কেমন জানি একটা অস্থিরতা ঘিরে ধরলো আমাকে। কিন্তু মুখে প্রকাশ করলাম না।
—সুজয় আজ চলো চলে যাই আমার ভালো লাগছে না কোয়েল টা ও আসলো না। একা ভালো লাগছে না আর আরেকটা কথা রেস্টুরেন্ট এমন ফাকাঁ কেন বলো তো এতো বড় রেস্টুরেন্টে ফাকাঁ….
— মিষ্টি তুমি কি বলো তো আমি আর তুমি দুজন একটু একা টাইম স্প্রে করবো তাই রেস্টুরেন্টে আমি বুক করে নিয়েছি। আর কোয়েল না এসেই ভালো করেছে।
—কী বললে একা টাইম স্প্রে মানে কি? তুমি জানোই আমার এসব পছন্দ না আমি শুধু কোয়েলের জন্য রাজি হয়েছি। রাজ কে ইগনোর করে তোমরা ফ্রেন্ড বলে তোমাদের প্রাইরটি দিয়েছি। এখন এভাবে একা আমি আসলাম আর ও আসলো না আবার বলছে সারপ্রাইজ কি এসব? চলো চলে যাই।
—আমি এতো কি এরেন্জমেন্ট করলাম এখন তুমি চলে যাওয়ার কথা বলছো মিষ্টি। আর কি বললে কোয়েলের জন্য এসেছো তারমানে আমাকে তুমি ফ্রেন্ড ভাব না!!
—তেমন না তোমাকে ফ্রেন্ড ভাবি কিন্তু এভাবে একা আমার ভালো লাগে না। আর তোমাকে কে বলেছে রেস্টুরেন্টে বুক করতে হবার মাঝেই তো ভালো লাগতো। এমন নিস্তব্ধ পরিবেশ ভালো লাগেনা আমার ভয় করে।
—আমি আছি তো তুমি কি আমাকে ভয় পাচ্ছো। এতো দিনে একটু ও আপন ভাবো নি তুমি আমাকে মিষ্টি।
—না তা না প্লিজ রাগ করো না।
—ওকে যাও রাগ করবো না। আজ তোমার কাছে আমি আমার মনে সব খুলে বলবো তাই এসব কোয়েলকে আমি ই আসতে মানা করেছি।
কথার মাঝে সুজয় বলে উঠলো আমি কথা শুনে বসা থেকে দাড়িয়ে চিৎকার করে উঠলাম,
— কি বললে তুমি আসতে মানা করেছো?
—হুম কিন্তু তুমি এমন রিয়েক্ট কেন করছো বসো আর চিৎকার করলে সবাইকি ভাববে ওই দেখো ওয়েটার রা কেমন করে তাকিয়ে আছে!!
বলেই সুজন আমার হাত ধরে আবার চেয়ার এ বসিয়ে দিলো। আমি ওয়েটার এর দিকে দেখি সত্যি কেমন অদ্ভুত দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে। আমি নিজের শান্ত করলাম তারপর ঝাটকা দিয়ে হাত ছারিয়ে নিলাম। রাগে শরীর কাপছে আমার,,,
কি বলল কোয়েল কে আসতে মানা করেছে কিন্তু কেন?
—সুজয় তুমি কোয়েল কে কেন আসতে মানা করেছো? আমি ওর রিকোয়েস্ট এই এসেছি আর তুমি ওকে এভাবে না করতে পারলে ও কি ভাববে আমাদের ছি ও আমাদের ফ্রেন্ড ওকে রেখে তুমি কিভাবে?
—আরে রিলাক্ম মিষ্টি এতো হাইপায় হচ্ছ কেন? ও আমাদের মাঝে আসতে চাইনি আমি বলেছি ও নিজে থেকেই পা আসার কথা বলেছে।
— কি বলেছো যে ও এমন কথা বলল,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
—আগে খাবার খেয়ে নাও তারপর জানতে পারবে কি?
—না আমি খাব না আগে বলো কি বলেছো?
—আমার খিদে পেয়েছে আমি তাহলে খেয়ে নেয়। আজ রেজাল্ট এর চিন্তায় সারাদিন কিছু খায় নি। প্লিজ খাও তুমি ও তো খাও নি!
মিষ্টি আর কিছু বলল না রেগে বসে আছে। কি এমন বলেছে যে কোয়েল আসলো না আর কি সারপ্রাইজ? সুজয় এর মতি গতি ও ভালো ঠেকছেনা কি বলবে যার জন্য রেস্টুরেন্টে বুক করে নিতে হলো…..
—খাচ্ছো না কেন খাও?
—তোমার খিদে পেয়েছে খাও আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
—এভাবে বলছো কেন? ওকে না খাইলে আমি খাই।
আর বলল না একাই খেয়ে চলল আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে নিজে ও খেতে লাগলাম। রাগ করে না খেলে আমার ই ক্ষতি সারা দিন খাই নি দুপুরে হালকা খেয়েছি এখন খাব না কেন আর খাবার নষ্ট করা টাও ঠিক না।
—তোমার না খিদে নেই এখন খাচ্ছ কেন?
কিছু বললাম না খেয়ে নিলাম কিছু।
—বলো কি কথা তারাতারি এখন ৫:৫০ বাজে আমি চলে যাবো।
— কেবল না আসলে এখন ই চলে যাবে।
—বলবে কিনা না নাকি না জেনেই চলে যাবো!
— ওকে বলছি
বলছি বলে আবার কোথায় চলে গেল কে জানে।
মিষ্টি কে বসিয়ে রেখে সুজয় কোথায় চলে গেল বেরিয়ে ছয় টা বেজে গেছে এবার যাওয়ার সময় হয়ে আসছে আসছে না। ছটফট করে চলেছে মিষ্টি মনটা খারাপ আজ রাজের সাথে বাজে বিহেভ করে খারাপ লাগছে রাজকে কষ্ট দিলে নিজের মনে ও কষ্ট অনুভব হয় কিন্তু কেন জানি। আজ তার সারে যাই নি বলে কষ্ট পেয়েছে আমি সিউর কিন্তু কি করতাম এখানে আসার কথাতৃ রাজি হয়েছিলাম তাই তো এলাম। আজ না এলেই ভালো হত সুজয় কে কেমন সুবিধা ঠেকছে না। এমন করছে কেন ওর মনে কি চলছে কে জানে ।
চিন্তা করছিলাম বসে হঠাৎ ধ্যান ভাঙলো সুজয় এর কণ্ঠে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে হাটু ভাজ করে বসে আছে হাতে ফুলের তোরা আমি তাকাতেই র্নাভাস পেস হয়ে গামতে লাগলো তবুও কাপাকাপা হাতে ফুলে আমার দিকে এগিয়ে দিলো। আমি যা ভয় করেছিলাম তাই হলো এই জন্য ছেলেদের আমি বিশ্বাস করিনা। রাগে উঠে দাড়ালাম সুজয় কে আগেই বলেছিলাম এইসব আমি লাইক করি না ও তাও এসব করছে।
❤
রাজ রেস্টুরেন্টে এর বাইরেই ছিলো কি হয় দেখার জন্য কিন্তু এতো ক্ষণ তেমন কিছু হয়নি তাই ও নিজেই নিজেকে বকছে একটু আগে সুজয় মিষ্টি কে রেখে কই জানি গেলে। কিছুক্ষণ ওয়েট করে ভাবলো মিষ্টি কে নিয়ে চলে যাই রে ভেতরে ঢুকতে যাবে হঠাৎ সুজয় দৌড়ে আসলো হাতে ফুল।
যা দেখে রাজের বুঝা হয়ে গেছে কি হয়েছে কি হবে তারমানে সত্যি আর আমি এতো দিন ভুল ভাবতাম। রাজ রাগে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে।
মিষ্টি সুজয় এর হাত থেকে টান মেরে ফল নিলো সুজয় র্নাভাস হয়ে কিছুই বলতে পারছে না। আর মিষ্টি ও কিছু বলতে দেবে না ফুল নিয়ে ফেলে বুঝাবে এসব শুনতে চায় না ও আজকেই ওর হাথে সমস্ত ফ্রেন্ড শীপ নষ্ট করে দেবে। কিন্তু কিছু বলতে পারলো না ফুল নিয়ে সুজয় কে কিছু বলতে যাবে তার আগেই কেউ ঝরের গতীতে ফুল ছিনিয়ে নিলো তাকিয়ে দেখে আর কেউ না রাজ। আচমকা রাজকে মিষ্টি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে এনি এখানে কি করছে। রাজ ফুল নিয়ে নিচে ফেলে পা দিয়ে দুমরে মুচরে ফেলল,
মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে রাজকে হিংস্র বাগের মতো লাগছে রাগে ওর চোখ লাল টকটকে হয়ে আছে এতো রেগে আছে আমি কিছু বলতে গিয়ে ও বলতে পারলাম না রাজ আমার ই সামনে সুজয় কে মারতে গেল। আমি অনেক কষ্ট ছারিয়ে নিলাম।
— মিষ্টি হাত ছারু ওকে আজ মেরে ফেলবো ওর সাহস কি করে হলো তোমাকে প্রপোজ করার।
— ছারুন বলছি। ছারুন ওকে সুজয় তুমি চলে যাও?
—কে ওনি মিষ্টি আমার সাথে এমন বিহেভ করলো আমি চলে কেন যাব? এই যে মিষ্টার কে আপনি আপনার সাহস কি করে হয় আমার গায়ে হাত তুলার।
— আমার সাহষের এখন ও কিছু দেখায় নি। মিষ্টি কি বলেছিলে ফ্রেন্ড জাস্ট ফ্রেন্ড তাহলে এসব কি? ছারু বলছি মিষ্টি না হলে ভালো হবে না কিন্তু?
— না ছারবো না আপনি এখানে কি করছেন?
— কেন আমি আসাতে প্রেমে ব্যাগাত ঘটলো নাকি আপনার।
— কি বলছেন?
— ঠিকই ই বলছি ছারু।
বলেই রাজ মিষ্টি কে ধাক্কায় দিলো জোরে যার ফলে মিষ্টি সিটকে পরে টেবিলের কোণায় মাথা লেগে ব্যাথা পেল।
আযানের শব্দে মিষ্টি কল্পনা থেকে বর্তমানে ফিরলো। সারা রাত যে এভাবে বসে ছিলো খেয়াল ই করে নি। এখনো সেই দিনের কথা ভাবলে গায়ে কাটা দেয় কি ভয়ংকর লাগছিলো আমার দেখা প্রথম ভয়ংকর রাজ তার আগে কখনো এতো রাগতে দেখি নি।
চলবে❤
[ বাদ দিয়ে দিলাম কল্পনা সবাই বিরক্ত হয়ে গেছেন কল্পনা র জন্য তাই আর কল্পনা দেবো না। এবার সবাই খুশি তো ]
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন