বেলা শেষে পর্ব-২৮

0
1227

#বেলা_শেষে। [২৮]

আরাভ ভূমিকে তার পায়ের উপর দাঁড় করিয়ে নেয়। তারপর তার দুটি হাত গুজে দেয় ভূমির কোমড়ে। ভূমি দু হাত দিয়ে আরাভের গলা জড়িয়ে ধরে। এমতাবস্থায় আরাভ হেটে হেটে বারান্দায় চলে যায়। বারান্দায় এসে এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে দুজনে কিছুক্ষণ। কেও কোন কথা বলে না। শুধু দুজন দুজনকে অনুভব করছে। আর এরে অপরের হৃদস্পন্দন শুনছে।

-ভূমি,,,। আরাভের কোমল কন্ঠে শুনে ভূমির মনে ভিতরে হীম শীতল হাওয়া বয়ে যায়। অদ্ভুত এক শিহরণ বয়ে যার মনের ভিতরে। তবে এই অনুভূতির সাথে ভূমি আগে থেকেই পরিচিত। ভূমি কাপাকাপা গলায় বলল,

-অভি এসে পরবে, ছাড়ো আমাকে?? ভূমির জড়ানো কন্ঠ শুনে মৃূদু হাসলো আরাভ। তারপর ভূমিকে উল্টোদিকে ঘুড়িয়ে নিলো। পিছন থেকে ভূমিকে জড়িয়ে ধরে ওর কাদে থুতনি রাখলো আরাভ। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলো,

-কেও আসবে না জান। দেখো গিয়ে অভি হয়তো ওর দাদুর কোলে শুয়ে শুয়ে গল্প শুনছে। জান, এই জানপাখি এখনো এত লজ্জা কেন পাচ্ছো হুম। ও আচ্ছা অনেক দিন ওর তোমার কাছে এসেছি এর জন্যে। কিন্তু তুমি তো লজ্জা পাওয়ার মতো মেয়ে নও। নিজের অধীকার কি ভাবে আদায় করতে হয় সেটা তোমার থেকে ভালো আর কে জানে বলো। ভূমির কানের লতিতে আলতো করে চুমু খেলো আরাভ। আর কিছু বলতে পারলো না আরাভ। তার আগেই ভূমি আরাভকে ধাক্কাদিয়ে দূরে সড়িয়ে দেয়। ঘটনাক্রমে কিছুটা দূরে সরে যায় আরাভ। নিজের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পেরেছিল বিধায় নিচে পরে যায়নি সে। অন্যথায় নিচে পরে যেত। ভূমি কোমড়ে হাত গুজে রণচণ্ডী রুম নেয়। তারপর তর্জনী তুলে বলে,

-এবার বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে বললাম। আর যদি একটা কথাও বলেছো তাহলে তোমাকে,,

-আবারও চুমু খাবে। আমার কোন প্রবলেম নেই। একটা কেন হাজারটা চুমু খেতে পারো তুমি, অধার্ঙ্গিনী বলে কথা। ভূবন ভুলানো হাসি দিয়ে বলল আরাভ। আরাভ ভুমির দিকে ঝুকে ফিসফিস করে বলল, তুমি চাইলে এখনি চুমু খেতে পারো। আমি মাইন্ড করবো না। আরাভের কথা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে যায় ভূমির মুখ। সে আরাভকে আবারও ধাক্কা দেওয়ার জন্যে হাত উঠাতেই আরাভ ওর হাত ধরে ফেলে নিজের কাছে টেনে নেয়ব। আর ভূমির অধরোষ্ঠে আরাভ তার অধর বসিয়ে দেয়। আরাভের এমন কান্ডে চোখ রসগোল্লার মত হয়ে যায় ভূমির। সে বড় বড় চোখ করে অতীতে ডুব দেয়।

খন্দকার আজহার ভূমির বাবা মাকে শহরে নিয়ে আসে। তার ঠিক এক সপ্তাহ পর আরাভ ভূমির বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভূৃমি প্রথমে আপত্তি করলেও পরে সে সহজেই বিয়েটা মেনে নেয়। কারন আর যাই হোক আরাভের মতো মানুষ কাওকে ঠকাবে না। সোহাগ রাতে মাথায় লম্বা ঘোমটা টেনে ফুলের সাজানো বিছানায় বসে আছে ভূমি। স্বাভাবিক ভাবেই আজও ভূমির মনে রয়েছে এই রাত নিয়ে হাজারো কল্পনা কল্পনা। আরাভ রুমে আসবে, ভূমির ঘোমটা তুলে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবে ভূমির দিকে।আর ভূমি লজ্জায় মুখ লুকাতে ব্যস্ত হয়ে পরবে। আরাভ ভূমির লজ্জামাখা মুখখানি উপভোগ করবে। তারপর সে ভূমির হাতের উল্টোদিকে গভীর ভাবে চুমু খাবে। আরো নানান কল্পনায় ব্যস্ত ভূমি।এমনি সময় দরজা খোলার শব্দ কানে আসলো ভূমির। আরাভ রুমে এসেছে। ভূমি তার হাত পা গুটিয়ে বসলো। ঘোমটার আড়ালে থেকে ঠোঁট কামড়াচ্ছে আর বড় বড় করে শ্বাস নিচ্ছে ভূমি। আরাভ রুমে এসে তার বর টুপি টেবিলের উপর রাখলো। তারপর তার দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো বিছানায়। লম্বা ঘোমটার আড়ালে থাকা তার বউয়ের দিকে। ভূমি আরাভের বিয়ে করা বউ। ভাবতেই কেমন খুশি খুশি ফিল হচ্ছে আরাভের। স্মিত হাসলো আরাভ। তারপর ধীর পায়ে বিছানায় গিয়ে বসলো সে। আলতো হাতে ভূমির ঘোমটা তুলে দিলো। লজ্জায় ভূমি তার চোখ বন্ধকরে নিলো। আরাভ মুগ্ধ চোখে ভূমির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। ইচ্ছে করছে ভূমিকে একটু ছুইয়ে দিয়ে। তার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিতে। ভূমিকে ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু এখন আরাভ সেটা কিছুতেই করবে পারবে না। সে যে ভূমিকা কথা দিয়েছে। ভূমি যতদিন না আরাভকে মন থেকে মেনে না নিবে ততদিন আরাভ ভুমিকে স্পর্শও করবে না। খুব কষ্টে নিজের পুরুষত্ব দমিয়ে নিলো আরাভ। বিছানা ছেড়ে উঠে ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে বলল,

-অনেক রাত হয়েছে ফ্রেশ হয়ে নাও।

চট করে চোখ খুলে ভূমি। চোখের সামনে আরাভকে দেখতে না পেয়ে পাশে তাকালো।ওহ,ওনি ওখানে। ধুর, কি সব ভাবছি আমি। ভূমি তোর আবার হলোটা কি, কি সব ভাবছিস ওনাকে নিয়ে। নিজেই নিজের মাথায় চাপট মারলো ভূমি। তারপর ওয়াশরুমে চলে যায়। ভূমির চলে যাওয়ার পর বড় করে শ্বাস ত্যাগ করে আরাভ। ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠে প্রাপ্তির হাসি। ফাইনালি ভূমিকে আপন করে পেলো সে। তারপর শেরওয়ানী খুলে টাওজার আর টি-শার্ট পরে নেয় আরাভ। তারপর বালিশ আর একটা চাদর নিয়ে সুফায় শুয়ে পরে।

ভূমি ফ্রেশ হয়ে এসে যখন দেখে আরাভ সুফায় শুয়ে আছে তখনি তার মনটা খারাপ হয়ে যায়। এখন তো ওদের বিয়ে হয়েছে তাহলে আলাদা কেন থাকবে। সাধারণ ভাবেই কি জিবন যাপন করতে পারে না। কেন তাদের জিবনটা এত জটিল। আচ্ছা তার সাথে কি আরাভের সম্পর্কটা এমনি সব স্বামি স্ত্রীর মতো হতে পারে না। যারা সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে থাকে। হ্যা হতেই পারে। আরাভ তাতে কিছুতেই কষ্ট পেতে দিবে না এটা জানে ভূমি। টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে মুছতে সুফার পাশে এসে দাঁড়ালো। আরাভ কপালে হাত দিয়ে দু-চোখ বন্ধকরে রেখেছিল এতক্ষণ। ভূমি এখানে এসে দাঁড়াতেই আরাভ তার উপস্থিতি বুঝতে পারলো। সে কপাল থেকে হাত নামিয়ে ভ্রু কুচকিয়ে তাকালো ভূমির দিকে। ভূমিকে ভাবনার জগতে ঘুরপাক খেতে দেখে আরাভ বলে উঠলো,

-আমাকে খুন করার প্ল্যান করছো নাকি?? আরাভের কথায় ভূমির ধ্যান ভাঙে। সে সামনে তাকিয়ে স্মিত হেসে বলে,

-আপনার এমনটা কেন মনে হলো??

-তাহলে কি ভাবছিলে??

-ক-কই কিছু ভাবছিলাম না তো। বলছি আপনি কি এখানেই ঘুমাবেন না কি??

-কি আর করবো। তোমার পাশে তো ঘুমাতে দিবে না। ভূমির বলতে ইচ্ছে করছে, আমি কি আপনাকে মানা করছি না। আপনি আসুন না আমরা এক সাথেই ঘুমাই। প্রবলেম কোথায় আমরা তো স্বামি স্ত্রী তাই না। কথাগুলো মনে মনে বললেও মুখে প্রকাশ করলো না ভূমি। কি জানি আরাভ আবার ওকে কি ভাববে। ভূমি নিঃশব্দে সেখান থেকে চলে আসলো। তারপর বিছানায় গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়লো। আরাভ মাথা উচু করে ভুমির দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ তারপর মৃদু হেসে সেও পাড়ি জমালো ঘুমের রাজ্যে।

এভাবেই কেটে যায় সপ্তাহ খানেন। আরাভ তখনো আলাদাই ঘুমাতো। এতে ভূমির অনেক খারাপ লাগতো। সে আরাভ কে বারবার বলতে চাইতো একসাথে থাকার কথা। কিন্তু বলতে গিয়েও প্রতিবার না বলে ফিরে আসতো। আরাভ যে বুঝে নি সেটা নয়।আরাভ ও বুঝতে পারছে। কিন্ত প্রবলেম হলো ভূমি যতক্ষণ মুখে না বলবে সে ভূমির কাছে আসবে না। বিয়ের নয় দিনের দিন রাতে। আরাভ বালিশ নিয়ে মাত্রই সুফায় বসেছে এমনি সময় ভূমি এসে আরাভের হাতের বালিশ ধরে বলল,

-আপনি আর এখানে ঘুমাবে না। ভূমির কথায় ভ্রু কুচকিয়ে তাকালো আরাভ।অতঃপর সে বলে উঠল,

-বিছানায় ঘুমাতে পারবো না। সুফায় ঘুমাতে পারবো। তাহলে কি? এখন এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাই।

-সেটা কখনো বললাম। আরাভের হাত থেকে বালিশ নিয়ে সেটা বিছানায় রেখে বলল ভূমি। আপনি আমার সাথে এক বিছানাতেই ঘুমাবেন।

-ভেবে বলছো। ভ্রু নাচিয়ে বলল আরাভ।

-হ্যাঁ, ভেবেই বলছি।

-কিন্তু আমি তোমার সাথে এক বিছানায় কেন ঘুমাবো। হোয়ায়? আবারও ও বালিশ হাতে নেয় আরাভ। ভূমি আরাভের হাত ধরে বলে,

-বালিশ কেন নিচ্ছেন আপনি??

-তোমার আজাইরা বকবক শুনার সময় নাই এখন। আমি ঘুমাবো কাল সকালে একটা ইম্পরট্যান্ট মিটিং আছে। হাত ছাড়ো আমার।

-আমি আজাইরা বকবক করি?? কোমড়ে হাত রেখে একটু রাগ দেখিয়ে বলল ভূমি।

-ইয়াহ। হাত ছাড়ো।

-নাহ ছাড়বো না। কি – কি করবেন আপনি?? আরাভ বালিশ ছেড়ে দিয়ে ভূমির দিকে দুকদম এগিয়ে যায়। তাতে ভূমিও দু পা পিছিয়ে যায়। আরাভ ভ্রু কুচকিয়ে কপালে কয়েকটা ভাজ ফেলে বলে,

-তোমার মতলবটা কি বলতো??

-ম -মতলব। কিসের মতলব??

-আমাকে এত আটকাচ্ছো কেন হুম।

-আপনি সুফায় শুতে পারবেন না। তাই আটকাচ্ছি।

-আমি সুফাতেই ঘুমাবো। এভাবে তুমি আমাকে আটকাতে পারবে না। ভূমির সামনে থেকে সরে এসে আবারও বালিশ হাতে নেয় আরাভ।তখন ভূমির খুব রাগ লাগে। বেটা এনাকোন্ডা, এভাবে আমাকে আটকাতে পারবে না। আপনাকে যে ভাবে আটকাতে পারবো আমি সেই ভাবেই আটকাবো। ভূমি দ্রুতগতিতে আরাভের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। আরাভ ভ্রু কুচকিয়ে জিগ্যেসু দৃষ্টিতে তাকায় ভূমির দিকে। ভূমি কোন জবাব না দিয়ে আরাভের টি শার্টের কলার ধরে অধরে চুমু খেয়ে বসে। ততক্ষণাৎ আরাভের হাত থেকে বালিশ পরে যায়। ঘটনাটা বুঝতে আরাভের সাময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। আরাভ যখন বুঝতে পারে সেও তার এক হাতে ভূমির কোমড় জড়িয়ে ধরে অন্যহাত ভূমির চুলে ডুবিয়ে দেয়।

জানালার পর্দা বেদ করে সূর্যের রশ্নি এসে মুখে পরতেও মোচড় কটে ভূমি। আরাভ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অফিসে যাওয়ার জন্যে রেডি হচ্ছিল। ভূমিকে মোচড় কাটতে দেখে জানালার পর্দা সরিয়ে থাই গ্লাস টেনে তার উপর পর্দা টেনে দেয়। রেডি হয়ে নিচে যায় আরাভ। তারপর ভূমির পছন্দের চা করে নিজে হাতে। কত দিন পর তার প্রিয়সীর জন্যে নিজে হাতে চা করছে সে। ভূমির পছন্দের চা করে এনে টেবিলের উপর রাখে। তারপর সে ভূমির পাশে গিয়ে বসে। কিছুক্ষণ প্রিয়সীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে আরাভ। তারপর ভূমির কপালে ভালোবাসার পরশ একেদিয়ে, মৃদু সুরে বলে,

-গুড মর্নিং জান। চট করে চোখ খুলে আরাভ। আরাভকে দেখে বড়সড় শখ খায় ভূমি। কালকের আরাভ আর আজকের আরাভের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। আরাভ চুল গোঁফ দাঁড়ি কাটলো কখন। তবে যখনই কাটুকনা কেন? ভালো হয়েছে। কলতো ওকে পাগলের মতো দেখতে লাগছে। আর এখন তো সেই পুরনো আরাভ হয়ে গেছে সে। সেই চোখ, সেই নাক, সেই খোচা খোচা দাড়ি। ঠোটের কোনে লেপ্টে থাকা সেই হাসিটা। ভূমি আবারও নতুন করে আরাভের প্রেমে পড়লো। সে আনমনেই আরাভের গালে হাত রাখলো। তারপর সে আরাভের দাঁড়িতে হাত বুলাতে লাগলো। আরাভ স্মিত হেসে ভূমির হাত ধরে হাতের উল্টোদিকে চুমু খেলো। তারপর বলল,

-এভাবে কি দেখছো?? উঠো, চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ভূমি মৃদু হাসলো এই ভেবে, এতদিন পরেও সে ভূমির পছন্দের চা করেছে।

পাপা পাপা আমি রেডি, কোথায় তুমি। রুমে প্রবেশ করতে করতে বলল অভি। অভি রুমে ডুকতেই ভূমি আরাভের থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে বসে। আরাভ উঠে অভির কাছে গিয়ে ওকে কোলে তুলে নেয়। অভি তার আরাভের গলা জড়িয়ে ধরে কপালে গালে চুমু খায়। তারপর বলে,

-আজ তুমি আমার স্কুলে যাবে??

কোথায় যাবে তোমরা?? বিছানায় বসে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ভূমি। আরাভ ভূমির দিকে ঘুরে জবাব দেয়,

-অভিকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আমি অফিসে যাব।

-ওহ। একটু ওয়েট করবে? আমিও যাব তোমাদের সাথে।

-তুমি কোথায় যাবে অফিসে নাকি কলেজে??

-নয়না আপুর বাসায়। আসলে মিষ্টিকে দেখতে যাব। কি কিউট বাচ্চা।

-রোজ রোজ মিষ্টিকে দেখতে যাওয়ার কি প্রয়োজন। আমাকে বললেই পারো। মিষ্টির মতো একটা কিউট সুইট বেবী গিফ্ট করে দেই । ঠোটের কোনে দুষ্ট হাসির রেখা টেনে বলে আরাভ। আরাভের কথা শুনে ভূমি বালিশ ছুড়ে মারে ওর দিকে। দুর্ভাগ্যবশত আরাভ বালিশটা ধরে ফেলে। অভি ততক্ষণে আরাভের কোল থেকে নেমে যায়। আরাভ বালিশে আড়ালে মুখ লুকিয়ে ভূমিকে ফ্লায়িং কিছ ছুড়ে মারে। তারপর বালিশটা বিছানায় রেখে দেয়। অভিকে কাছে টেনি নিয়ে অভির মাথায় হাত বুলায় আরাভ তারপর জিগ্যে করে,

-তোমার ছোট্ট বোন চাই তাই না বাবা।

চলবে,,,,,

#লেখিকা- মাহফুজা আফরিন শিখা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে