প্রণয়ে প্রলয়ের সুর পর্ব-০২

0
608

#প্রণয়ে_প্রলয়ের_সুর (১৮+ এলার্ট)
.
পর্ব- ২
.
কেয়ার পিঠ থেকে শাড়ির আঁচল খসে পড়ে গেল। উজ্জ্বল মসৃণ পিঠ নগ্ন হয়ে আছে। ব্লাউজের লাল ফিতে টানটান। তন্ময় সেদিকে তাকিয়ে থেকে বললো, ‘আমি কিছু আবদার করলেই দোষ। কিন্তু তোমার এই উসকে দেওয়া রূপ বড়ো নিষ্পাপ, তাই না?’

কেয়া তার বুকে এখনও মাথা রেখে আছে। মাথা না তুলেই বললো, ‘তুমি এত অসভ্য কবে থেকে হয়েছো বলো তো তন্ময়? একেকটা কথা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাও! পারও বটে।’

তন্ময় সে কথার কোনো জবাব দেয় না। সে আলগোছে কেয়ার ব্লাউজের ফিতের গিঁট খুলে ফেলে। বুকেই খানিকটা কেঁপে উঠে কেয়া, কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করে না।

ক্রমশই দু’জন একটি আদিম খেলার দিকে ধাবিত হয়। যে খেলা ক্ষেত্রবিশেষ খুবই ঘৃণ্য, নিন্দনীয়। কেয়া কি সেটা জানে না? সে জানে, তবুও তন্ময়কে উপেক্ষা করতে পারে না। ওর সবকিছুতেই কেমন মায়া, টান। ওর প্রতিটা কথা ভীষণ আলোড়ন তুলে তার মনে। ওর দুষ্ট-মিষ্টি কথাতে কখনও কখনও খিলখিল করে হেসে উঠে। তন্ময়ের স্পর্শে এতক্ষণে জেগে উঠেছে কেয়া। এক বেসামাল উন্মাদনায় কেয়া নিজেই তন্ময়ের গেঞ্জি টেনে খুলে নিল। মুগ্ধতা নিয়ে বিচরণ করতে শুরু করলো ওর শরীরে। চুম্বনে চুম্বনে ভরিয়ে দিতে লাগলো ওর দেহ। খানিক পর কেয়া তন্ময়ের গালে গাল চেপে ধরে গাঢ় গলায় বললো, ‘একটা বিষয় কি জানো?’

– ‘কি?’

– ‘আমি না আগে বুঝতাম না মানুষ স্লিম বডি নিয়ে এত সিরিয়াস কেন। একটু পেট হলে কমানোর জন্য এত ব্যস্ত হয়ে যায় কেন।’

– ‘এটা তো সবাই জানে, সুস্থতার জন্য।’

– ‘সেটা ঠিক আছে, এছাড়াও এটার সৌন্দর্য নিয়ে আমি অবগত ছিলাম না। একটু পেট থাকলে তো পোশাকের উপর দিয়ে খুব একটা খারাপ লাগে না। ছোটবেলা থেকে স্বাভাবিকই মনে হতো।’

– ‘তারপর?’

– ‘এখন বুঝি বিষয়টা। একজন ভুড়িওয়ালা নগ্ন মানুষ খুবই বিশ্রী লাগে দেখতে। অথচ তোমার গেঞ্জি খোলার পর ছিপছিপে পেটানো শরীর দেখে আমি মোহগ্রস্ত হয়ে যাই।’

তন্ময় মুচকি হেসে বললো, ‘বুড়োর কথা বলছো তাই না?’

কেয়া সাবধান হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে বললো, ‘থাক, এসব তোমার জেনে লাভ নেই।’

তন্ময়ও এই একান্ত মুহূর্তকে অপ্রাসঙ্গিক আলাপ করে অপচয় করতে চায় না। আলিঙ্গন করে আদরে আদরে পূর্ণ করে দিতে লাগলো কেয়ার সকল অপূর্ণতা। সুখের গোঙানিতে ভরে উঠলো কামরা।
সব সময়ের মতোই কেয়াকে এক অচেনা স্বর্গসুখে ভাসিয়ে দিল তন্ময়। পড়ন্ত মুহূর্তে ভ্যানিটিব্যাগে চিৎকার শুরু করলো মোবাইল। কেউই সেদিকে গুরুত্ব দিল না। কেবল মনে মনে গালি দিল বেরসিক কল দাতাকে। একসময় অনাবৃত দু’জন আবৃত হয়ে বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় এসে বসে। কেয়া ভ্যানিটিব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখে তরুর কল। ব্যাক করে সে। ওরা বাসায় চলে গেছে। সেও ফিরবে এক্ষুনি জানিয়ে কল রেখে দেয়। তন্ময় পাশে বসে আছে। কেয়া ওর গালে পরম মমতায় হাত রেখে চোখের দিকে তাকায়। বলতে ইচ্ছা করে, ‘তুমি তৃপ্তিতে ভরিয়ে দিয়েছো আমার শূণ্য হৃদয়’ কিন্তু সেটা বলতে পারে না। গাঢ় আবেগ নিয়ে বললো, ‘এখন আমার যেতে হবে তন্ময়।’

হাতের ওপর হাত রেখে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জবাব দেয়, ‘হ্যাঁ, তা তো যেতে দিতেই হবে।’

কেয়া ভ্যানিটিব্যাগ থেকে কিছু টাকা মুঠোয় নিয়ে বললো, ‘এগুলো রাখো।’

তন্ময় বরাবরের মতোই চেহারা প্রচণ্ড কালো করে বললো, ‘এই কাজটা তুমি করো না। আমাকে এভাবে অপমান করো তুমি।’

কেয়া কাতর গলায় বললো, ‘প্লিজ নাও, আর তুমি পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি না করালেই পারো।’

– ‘আমার এসব নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না।’

কেয়া ওর গালে হাত রেখে বললো, ‘আচ্ছা কাউকে তুমি প্রচণ্ড ভালোবাসলে তার কষ্ট সহ্য করতে পারবে? ইচ্ছা করবে না যতটুকু পারা যায় তাকে ভালো রাখতে? আমিও তো ভালোবাসি তোমাকে। স্টুডেন্ট লাইফ, টাকার টানাটানি তো অবশ্যই আছে তাই না? জব-টব কিছু করলে আমি উলটো বলবো গিফট দাও আমাকে। এখন আমার টাকা আছে তাই দিচ্ছি। প্লিজ এই বিষয়টা নিয়ে কখনও ঝামেলা করবে না। উলটো আমি খুশি হব তোমার যখন যা দরকার হয় আমার কাছে চাইলে।’

তন্ময় উশখুশ করতে শুরু করে। কেয়া বারবার কাতর গলায় বললো, ‘প্লিজ নাও।’

তন্ময় মুঠোয় নিল। কেয়া আরেকবার আরও কিছু টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বললো, ‘এখানের ভাড়াটাও নাও।’

তন্ময় দাঁত কটমট করে তাকায়। কেয়া ওর হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে পুনরায় বললো, ‘প্লিজ, এগুলো একটু নরমালভাবে মেনে নিলেই পারো, এবার চলো যাই।’

হোটেল থেকে বের হয়ে কেয়া তন্ময়ের থেকে বিদায় নিয়ে রিকশায় উঠলো। বৃষ্টি থেমে গেছে, মেঘলা আকাশ। রিকশা চলছে। পিছু ফিরে আরেকটিবার তাকায় কেয়া। তন্ময় ফুটপাতের দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে। কি শৈল্পিক দৃশ্য। মোবাইল তাড়াতাড়ি বের করে কেয়া। রিকশা থেকে কাঁপা কাঁপা হাতে ছবি তুলে নেয় ওর। মুচকি হেসে ফোনটা রেখে দেয় ব্যাগে। তখনই আবার বেজে উঠে মোবাইল। নিশ্চয় তরু, একটু আগেও বলেছে আসছি। তবুও এত কল দেওয়ার কি আছে? বিরক্তি নিয়ে ভ্যানিটিব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখে ইশহাকের কল। রিসিভ করে সে। ওপাশ থেকে রাশভারী গলাকে যথাসম্ভব কোমল করে বললো, ‘আমার কেয়াবিবি কি করছে?’

কেয়ার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সে রূঢ় গলায় বললো, ‘তোমাকে না একদিন বলেছি কেয়াবিবি ডাকবে না। “বিবি” আবার কেমন ডাক? আর এমন বিশ্রী করে ‘আমার কেয়াবিবি কি করছে’ বলছো কেন? আমি কি তোমার মেয়ে হই?’

ইশহাক আরও কোমল গলায় বললো, ‘আচ্ছা স্যরি কেয়া, আসলে অফিসের ব্যস্ততার মাঝে হঠাৎ মনে হলো কি করছো তুমি খবর নিই। মন-মেজাজ ভালো না মনে হচ্ছে। এখন রাখি তাহলে। আর তোমার জন্য কি অফিস থেকে ফেরার পথে কিছু নিয়ে আসবো?’

‘যা ইচ্ছা আনো তুমি, রাখছি’ বলে ফোন রেখে দেয় কেয়া। ক্ষীণ সময় রিকশায় থমথমে মুখে বসে থাকার পর আচমকা মনে হয় সে কি ইশহাকের প্রতি অকারণ রাগারাগি করছে? মানুষটা তাকে খুশি করতেই এরকম কথা বলে। কিন্তু একজন বয়স্ক মানুষের মুখে এগুলো শুনতে বিশ্রী লাগে কেয়ার। তাই হয়তো সে অকারণ রেগে যায় প্রতিবার। দিন দিন কেন যেন বিরক্তি বাড়ছে। অথচ ইশহাক একজন প্রচণ্ড ভালো মানুষ। তাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, তবুও কেন সে মানিয়ে নিতে পারছে না? কেন সে বারবার তন্ময়ের ডাকে ছুটে যায়? কেয়া অস্বস্তি লাগতে শুরু করে। নিজেকে নোংরা মনে হচ্ছে এখন। কি করছে সে এগুলো? তন্ময়ের সঙ্গে আর এভাবে দেখা করা যাবে না। রিকশা নিয়ে এসে বাসার সামনে থামে। গেইট খুলে ভেতরে গিয়ে দেখে তরু সিটিং রুমে বসে আছে। তাকে দেখে হাসিমুখে উঠে আসতে আসতে বললো, ‘কোথায় গিয়েছিলে ফুপু?’

কেয়ার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সে ক্ষীণ সময় তাকিয়ে থেকে বললো, ‘জড়াজড়ি না করে দাঁড়াও, তরু একটা কথা মনে রাখবে, আমি কোথায় যাই, কি করছি এসব প্রশ্ন করবে না। জনে জনে জবাব দেয়ার মেয়ে আমি নই।’

তরু অবাক হয়ে বললো, ‘কি হলো! এত রেগে যাচ্ছ কেন?’

কেয়া গলা ছেড়ে ডাক দিল, ‘নির্জন, এই নির্জন।’

‘আসছি আম্মু’ বলে নির্জন তাড়াতাড়ি নিচে নেমে আসে। কেয়া রূঢ় গলায় বললো, ‘ওকে এখানেই বসিয়ে রেখেছো তুমি? একটা রুমে তো বসতে দিতে পারতে।’

– ‘আমি তোমার অপেক্ষা করছিলাম।’

– ‘আমার অপেক্ষা কেন করতে হবে।’

– ‘আচ্ছা আম্মু আমি উনাকে একটা রুম দেখিয়ে দিচ্ছি। তুমি গিয়ে রেস্ট নাও।’

কেয়া চলে গেল উপরে। ফুপুর ব্যবহার দেখে তরু বিস্মিত হয়ে গেল। নির্জন চৌধুরীর সঙ্গেও বা কেন এরকম কথা বলছে? আর এই ছেলেটি তার সঙ্গে রেগে রেগে কথা বলেছিল। এখন এত মোলায়েম গলায় কথা বেরুল কেন? আশ্চর্য ঠেকছে তরুর কাছে। ছেলেটি ফুপুর বয়সে বড়োই হবে। তবুও ‘আম্মু’ ডেকে এত মান্য করে কেন? একেবারে অনুগত সন্তান হয়ে গেল? নির্জন ওর ব্যাগটা হাতে নিল। তরু বাঁধা দিয়ে বললো, ‘আমার কাছেই দিন প্লিজ। আপনার নেয়া লাগবে না।’

নির্জন এবার স্বাভাবিক গলায় বললো, ‘আসলে আমাদের একজন কাজের ছেলে এবং মেয়ে ছিল। দু’জনই চলে গেছে। তাই আপাতত আমাকেই সবকিছু দেখতে হচ্ছে। আসুন আপনি, এত অস্বস্তির কিছু নেই।’

কেয়া পিছু পিছু যাচ্ছে। নির্জন সাহেব হয়তো বৃষ্টিতে ভেজায় এসে গোসল করে নিয়েছেন। কাপড় পালটে এখন একটা থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট আর গেঞ্জি গায়ে। বেশ লম্বা, চেহারায় আভিজাত্য একটা ভাব। এমন ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা সংকোচ এবং কিছুটা ভয়ও লাগে। অথচ তার ফুপু এত রূঢ়ভাবে কথা বলে?
সিঁড়ি দিয়ে উপরে এলো তারা। একটা রুম খুলে দিল নির্জন। সুন্দর ছিমছাম কামরা। ড্রেসিং টেবিল, ওয়ারড্রব সবই আছে।

নির্জন ভেতরে এসে বললো, ‘আপনি এই রুমেই থাকবেন। যেকোনো প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন। যেহেতু এটা আপনার ফুপুর বাসা। তাই নিজেরই মনে কর‍তে পারেন।’

– ‘জি আচ্ছা।’

নির্জন ইতস্তত করে বললো, ‘আরেকটা কথা।’

– ‘কি?’

– ‘আপনাকে আমি কালই ভার্সিটির কোচিং এ ভর্তি করাতে নিয়ে যাব। এগুলো কোনো সমস্যা না। কিন্তু এরপরও আব্বু আপনাকে এনেছে আম্মুর জন্য।’

– ‘বুঝিনি।’

– ‘মানে এই বাসায় তো কোনো মেয়ে মানুষ নেই। আম্মুর সমবয়সি শুধু আমি। তাকে যথেষ্ট সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করি। তবুও আব্বুর ধারণা মেয়ে হলে ভালো হয়। আপনি একটু দিনের বেলায় অবসরে তার কাছে বসবেন, গল্প করবেন। মন ভালো থাকবে তার।’

– ‘ফুপুর মন খারাপ থাকে না-কি?’

– ‘একা বাসায় সারাদিন, তাই হয়তো ভালো লাগে না।’

তরু জবাব না দিয়ে বিছানায় বসে নির্জনের দিকে তাকিয়ে রইল। কি অদ্ভুত! সৎ মায়ের মন ভালো রাখার জন্য ছেলেটা তো অস্থির মনে হচ্ছে।

– ‘আমি তাহলে এখন যাচ্ছি, আপনি রেস্ট নিন।’

– ‘শুনুন।’

নির্জন দরজার কাছ থেকে গিয়ে পিছু ফিরে তাকিয়ে বললো, ‘কি?’

– ‘আচ্ছা, আপনাদের সঙ্গে আপনার একজন ফুপু থাকতেন বলে শুনেছিলাম, উনি কোথায়?’

নির্জন ইতস্তত করে বললো, ‘উনি মাস দুয়েক আগেই চলে গেছেন এখন থেকে। গতকাল এসেছিলেন বেড়াতে, কিন্তু আজ দুপুরেই আম্মুর সাথে একটু ঝগড়াঝাটি হওয়ায় আবার চলে গেছেন।’

– ‘সেকি! ঝগড়াঝাটি কেন? ফুপুও না কি শুরু করছে।’

– ‘মিস তরু, আশাকরি আপনি এগুলো বাড়িতে বলতে যাবেন না।’

– ‘বলবো না কেন? আমরা সত্যিই কিছু জানি না। সে কি খুব বেশি রাগারাগি করে? আমি না হয় বাড়িতে বললে বোঝাবে ওরা।’

নির্জন দাঁত কটমট করে তাকিয়ে বললো, ‘আপনাকে মাতব্বরি করতে হবে না। আপনি জাস্ট এখানকার কোনোকিছু বাড়িতে বলবেন না৷ যাইই ঘটুক। আপনি পড়ালেখা করতে আসছেন, তাই করুন।’

– ‘আশ্চর্য! আপনি আমার সঙ্গে এত রুড বিহেভ করছেন কেন?’

– ‘দেখুন সকাল থেকে অনেক ঝামেলার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি, সহ্যের একটা সীমা থাকে। দয়া করে আপনি মেহমান, মেহমানের মতো থাকবেন।’

তরু মেজাজ আর ধরে রাখতে পারলো না। সে রেগে গিয়ে বললো, ‘আমি কি সকাল থেকে আপনার সঙ্গে ঝামেলা করেছি? আপনি তো দেখছি খুবই অভদ্র একটা লোক।’

নির্জন এগিয়ে এসে চিবিয়ে-চিবিয়ে বললো, ‘আপনি কেমন মেয়ে আমি তা ভালো করে জানি।’

তরু বিছানা থেকে দাঁড়িয়ে বললো, ‘আমি কেমন ভালো করে জানেন মানে? স্টেশন থেকে কি যা-তা বলে যাচ্ছেন। আপনার সকাল থেকে কার উপর মেজাজ খারাপ? ফুপুর উপর? আপনার ফুপুর সঙ্গে ঝগড়া করেছে বলে? তা সেই রাগ আমাকে দেখাচ্ছেন কেন? যার উপর রাগ তাকে দেখান, একটু আগে তো দেখলাম আম্মু আম্মু করলেন।’

– ‘করেছি কারণ আমি ভালো ছেলে। তোমাদের মতো না। আমি চাই আমার বাবা ভালো থাকুক। কিন্তু সীমা ছাড়িয়ে গেলে ভালো হবে না।’

– ‘কে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে? আমি তো সবেমাত্র এলাম এ বাড়িতে।’

– ‘আপনার এত জানা লাগবে না।’

– ‘আপনি একটা বোকা ছেলে। আমি ভালো করেই বুঝেছি আপনি ফুপুর উপর রেগে আছেন। কিন্তু উনার সামনে ভেজা বিড়ালের মতো মেউমেউ করে আম্মু ডাকলেন। এখন আমি গিয়ে ফুপুকে যদি সব বলে দেই কি হবে? যদি বলি আপনি না-কি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন৷ বেচারা ভালো মানুষ আপনার সঙ্গে না পেরে যার-তার সঙ্গে রাগ মেটাচ্ছে।’

নির্জন ভ্রু-কুঁচকে তাকিয়ে বললো, ‘হ্যাঁ গিয়ে বলবেনই তো, জাতটা তো জানি। গিয়ে তালকে তিল করুন।’

– ‘জাত জানেন মানে? এখনও আপনি ফুপুকে ঈঙ্গিত করেছেন। আপনার এত সাহস। জাত নিয়ে কথা বলেন।’

– ‘নির্জন চৌধুরী কাউকে ভয় পায় না।’

– ‘একটু আগেই দেখেছি, ফুপুকে ভয় পান।’

নির্জন তাচ্ছিল্যের হাসি দিল।

___চলবে……
লেখা: জবরুল ইসলাম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে