দখিনের জানলা পর্ব-১১

0
510

#দখিনের_জানলা (পর্ব-১১)
লেখনীতে– ইনশিয়াহ্ ইসলাম।

২২.
সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা আরেকবার দেখে নিয়ে তারপর ফাতেমা বেগম লিভিং এ এলেন। চমচম আর চিনি দু’জনের কপালেই চুমু খেয়ে গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,

-‘রান্নাবান্না করে রেখেছি। কালকে দুপুর পর্যন্ত চলে যাবে। রান্নাঘরে গিয়ে ভুলেও চু’লো জ্বা’লাবে না। কিছু গরম করার হলে ওভেনেই করো। আর চা, কফি ইলেকট্রিক কেটলিতেই করো। আবার দেখো! সেখানেও কোনো গড়বড় করো না যেন! চমচম, তোমাকে বলে রাখছি বিশেষ করে। কোনো এক্সপেরিমেন্ট করতে যাবে না। খ’ব’রদার!’

চমচম ঘুম ঘুম চোখেই ঘাড় কাত করল। কিন্তু হ্যাঁ বা না কিছু বলল না। আরাফাত হোসেন মেয়েদের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,

-‘সাবধানে থেকো। ভ’য় পেলে তোমার নিগার আন্টিকে বলো নাহয় রাতে এসে থাকতে। ভ’য়ের কিন্তু কিছুই নেই। এখানে তো বাহিরের কেউ নেই। সবাই আপনজন। বি স্ট্রং! ঠিক আছে!’

আরাফাত হোসেন ব্যাগ নিয়ে বের হতেই ফাতেমা বেগম আরেকবার চমচমকে বলল,

-‘ভালো মেয়ে হয়ে থেকো। চিনিকে একটুও বি’র’ক্ত করবে না। ও পড়তে বসলে আশেপাশে ঘুরঘুর করবে না। এই সেই হাবিজাবি কথা বলবে না। পারলে ঘর টর পরিষ্কার করে রেখো। নয়তো মন দিয়ে পড়ালেখা করবে। ঠিক আছে! পরীক্ষার তো বেশি দেরি নাই। এখন পড়ালেখাতে আরো সিরিয়াস হতে হবে।’

চিনি হেসে মা’কে বলল,

-‘মা তুমিও না! ও কি সবসময় আমাকে বি’র’ক্ত করে?

-‘সবসময় করে দেখেই তো বলছি।’

চমচম বলল,

-‘হাহ! আমার আর কাজ নেই। ও নিজেই তো ডাকে এই চমচম একটা কথা শুন তো! এই চমচম একটু চা দিয়ে যা তো! আমি নিজে থেকে যাই নাকি?’

-‘হ্যাঁ ও যেটার জন্য ডাকে সেটা করে পরে চলে না এসে বকরবকর তো তুমিই শুরু করো।’

-‘এখন তুমি যাবে নাকি আমাকে নিয়ে ফডরফডর করবে?’

ফাতেমা বেগম একটু রে’গে গিয়ে বললেন,

-‘দেখলি চিনি! মেয়েটা কত অ’ভ’দ্র হচ্ছে দিন দিন। তর্ক করা শিখছে!’

চিনিও বি’র’ক্ত হয়ে বলল,

-‘মা থাক না। তোমার তো দেরি হচ্ছে, বাবা সেই কখন নিচে নামলো এখন তুমি কি তাকে বসিয়ে রাখবে? তাড়াতাড়ি যাও এখন। ফ্লাইট মিস হবে। এখনই তো দেরি করছ পরে জ্যামে পড়লে আরো দেরি হবে।’

মেয়ের কথা শুনে টনক নড়ে ফাতেমা বেগমের। আবার দুই মেয়েকে এক হাতে আলতো জড়িয়ে গালে চুমু খেয়ে বের হয়ে পড়েন। চিনি মায়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলে,

-‘ফি আমানিল্লাহ্!’

আর চমচম ঠুস করে সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে বলে,

-‘বাঁচ গায়ে! বহুত মাজা করেঙ্গে আব!’

চিনি চমচমের কথা শুনে ফিঁক করে হেসে দেয়। বলে,

-‘এখন কি করবি?’

-‘প্রথমে ফ্রেশ হবো। তারপর খাবো। আমার ক্ষুধা পেয়েছে।’

চমচম উঠে চলে গেল ফ্রেশ হতে। চিনি খাবার টেবিলে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। মা পরোটা, ডিম ভেজে রেখেছেন। সাথে চমচমের প্রিয় দুধ চা ফ্লাক্সে ভরে রেখেছেন। আগেরদিন করা মুরগির ভূনাও রেখে দিয়েছেন বাটিতে করে। চিনি আর চমচম দুজনেই পরোটার সাথে ঝাল ঝাল ঝোল জাতীয় আইটেম খেতে পছন্দ করে। মুরগীর ভূনাটা ওদের দুজনেরই প্রিয়। চমচম ফ্রেশ হয়ে এলে দুই বোন গল্প করতে করতে ব্রেকফাস্ট শেষ করে।

চমচমের বড় ফুফু, যিনি সিলেটে থাকেন তিনি একটু অসুস্থ। গতরাতে তাদের ফোনকল পাওয়াতে আজ সকাল সকাল তাদের বাবা-মা দুজন বেরিয়ে পড়লেন তাকে দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। চিনি আর চমচমকেও নিতো কিন্তু চিনির ভার্সিটিতে গুরুত্বপূর্ণ সিটি আছে। তাই সে যেতে পারবে না। চমচমও বোন না গেলে যাবে না। তাছাড়া ওদের অভ্যাস নেই দূরে কোথাও গিয়ে থাকা। তারা ছোট থেকেই হোমসিক। ঘরের বাহিরে থাকতে পছন্দ করে না। দেখা গেল এত লোকের মধ্যে কেউই টিকতে পারবে না। বিশেষ করে চমচম পারবে না। তাই তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই গেলেন। পরদিন আবার চলে আসবে। বড় ফুফুর অবস্থা বেশি খা’রা’প নয়। অপারেশন হয়েছে এখন অনেকটা সুস্থ আছে। কিন্তু একটু না গিয়ে দেখলে ব্যাপারটা বা’জে দেখায়। অতি আদরের দুই কন্যাকে একা রেখে যেতে চাইছিল না ফাতেমা বেগম। কিন্তু এদিকে ননদের অসুস্থতার কথা শুনেও না যাওয়া অ’মা’ন’বিক হবে ভেবে রাজি হলেন।

দুপুরে চিনি আর চমচম নিজ দায়িত্বে ঘর গুছিয়ে রাখল। চিনি গোসল সেরে পড়তে বসলে চমচমও আর কাজ না পেয়ে বই নিয়ে বসে। তারপর সেও গোসল করে নেয়। ততক্ষণে আযানও দিয়ে দেয়। নামায পড়ে দুইবোন খাবার খেয়ে নেয়। চমচম ভেবেছিল মা-বাবা না থাকাতে মজা হবে। কিন্তু দিনটা কেমন পানসে লাগছিল তার কাছে। তাই সে কখনো যে কাজটা করতে পছন্দ করে না সেটাই করল। সে দুপুর বেলায় একটু ভাতঘুম দিয়ে দিল। চিনিও খুব অবাক হলো। ফাতেমা বেগম কল দিয়ে অবস্থা জিজ্ঞেস করতেই চিনি জানালো চমচম ঘুমিয়ে আছে। শুনে তো তিনিও অবাক। কিন্তু মনে মনে খুশিও হলো। চিনিকে সাবধানে থাকতে বলে কল রাখল।

২৩.
চমচমকে বিকেলে ঘুম থেকে ডেকে তোলে চিনি। চমচম উঠতেই বলে,

-‘কত ঘুমাবি? যা নামায পড়! সময় চলে যায়।’

চমচম উঠে ঢুলতে ঢুলতে বাথরুমে ঢুকে পড়ে। চিনি চমচমের দখিনের জানলা বন্ধ দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেলে। এই জানলা চমচম খোলা রাখতেই পছন্দ করে না। পারে না রাতেও খুলা রাখতে। কিন্তু হুট করে কিছু কিছু দিন এটা দিনেও বন্ধ করে রাখে। চিনি ব্যাপারটা বুঝতে পারে না। সে জানলা খুলে দিতেই ফুরফুর করে সুন্দর বাতাস এসে লাগে তার গায়ে। জানালার উপর চমচমের ঝুলানো ঝুনঝুনি গুলো ঝনঝন করে ওঠে। চিনি সামনে তাকাতেই দেখল আব্রাহামকে বারান্দায় বসে থাকতে। ঝুনঝুনির শব্দ শুনে আব্রাহামও চোখ তুলে তাকায়। চিনিকে জানালারা ধারে দেখে মৃদু হেসে বলে,

-‘কি খবর চিনি?’

-‘এই তো ভালো। তোমার?’

-‘ভালোই।’

দুজনেই সৌজন্যমূলক হাসে। আব্রাহাম কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,

-‘ওটা কই?’

-‘কোনটা?’

-‘তোমার বোন। চমচম।’

চিনি বলতেই যাবে চমচম ওয়াশরুমে তার আগেই চমচম বাথরুম এর দরজা খুলে চিনিকে ডাক দিয়ে বলে,

-‘আপু তুমি এই জানলা খুললে কেন? জলদি লাগাও!’

চিনি থতমত খেয়ে বলে,

-‘ওমা! কেন কি হয়েছে? বাতাস আসছে কত ভালোই তো লাগছে। খোলা থাকুক।’

-‘এখন বন্ধ করো।’

আব্রাহাম সব কথা শুনল আর দেখলও। তার বারান্দা থেকে চমচমের রুমের এক অংশ পরিষ্কার দেখা যায়। বিছানার সামনে থেকে বাথরুমের অংশটা। সে ভ্রু কুঁচকে চমচমের দিকে তাকিয়ে রইল। বে’য়া’দ’বটা জানলা বন্ধ করতে বলছে কেন?

চমচম নিজেই এগিয়ে এসে শব্দ করে জানলা বন্ধ করে দেয়। তাড়াহুড়োতে আব্রাহামের দিকে তাকায়নি পর্যন্ত। এদিকে মুখের উপর এমন ঠুস করে জানলা বন্ধ করে দেওয়াতে আব্রাহাম প্রচন্ড চটে গেল। চমচমটা দিন দিন চূড়ান্ত রকমের বে’য়া’দ’ব হচ্ছে। ধরে শা’য়ে’স্তা করতে না পারলে শান্তি হবে না আব্রাহামের। তার মুখের উপর জানলা বন্ধ করে দেয়। কত সা’হ’স!

চমচম চিনিকে বলল,
-‘এই জানলা হুটহাট খুলবে না।’

চিনি হেসে বলল,

-‘কেন?’

-‘এমনি। এখন কয়েকদিন খোলার দরকার নেই।’

-‘আমি কিন্তু বুঝে গিয়েছি চমচম। তোর দখিনের জানলা বন্ধ রাখার কারণটা কী।’

চমচম আমতা আমতা করে বলল,

-‘কী কারণ থাকবে আবার! এমনিতেই খোলার দরকার নেই।’

-‘আব্রাহাম ভাইয়া আছে বলে জানলা খুলিস না তাই না?’

চমচম বি’র’ক্তির সাথে বলল,

-‘তো আর কি করব? জানো ওর বারান্দা থেকে এই যে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি এটা পর্যন্ত স্পষ্ট দেয়া যায়। আমি বাথরুমে যেতে হলেও ও দেখতে পাবে আসতে হলেও ও দেখতে পাবে। ব্যাপারটা আমার কাছে আনকমফোর্টেবল লাগে।’

-‘ও আচ্ছা। বুঝেছি। জানতাম না তো এখান থেকে যে সব দেখা যায়।’

-‘আমিও আগে জানতাম না। একদিন ওই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই খেয়াল করেছি।’

-‘ওহ।’

-‘তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে কি করছিলে এতক্ষণ?’

-‘আব্রাহাম ভাইকে বারান্দায় দেখলাম। টুকটাক কথা বললাম।’

-‘কি! ওই হামের বাচ্চা এখানে ছিল?’

-‘তুই দেখিস নি?’

-‘আরে আমি দেখব কি করে! খেয়ালই করিনি। জানলা টেনে লাগিয়েছি কোনো মতে।’

চমচমের মুখটা ভারী অপ্রস্তুত দেখালো। ওহহো! আব্রাহাম নিশ্চয়ই তাকে বাথরুম থেকে বের হতে দেখেছে। ধ্যাত! চিনি চমচমের অ’স্ব’স্তি ধরতে পেরে বলল,

-‘আরে যা! এত বেশি ভাবিস কেন? সে খেয়াল করেছে নাকি! কথাই তো বলছিল।’

চমচম মাথায় হিজাব জড়াতে জড়াতে বলল,

-‘চেনো না তো তাই বলছ। ওটাকে আমার থেকে ভালো আর কেউ চিনেনা।’

-‘কেন? তুই কি ওর খুব কাছের কেউ নাকি?’

চমচম রে’গে বলল,

-‘চেনার জন্য কাছের কেউ হতে হয় না। আমি মানুষের হাব ভাবেই মানুষ বুঝে যাই।’

-‘কচু বুঝিস! জলদি নামায পড়। সময় যাচ্ছে কিন্তু।’

চিনি বের হতেই চমচম নিজে নিজে বলে,
-‘আরে ও যে কেমন সেটা আমার থেকে ভালো কে জানবে? আমার সাথেই তো সব কিছু করে বেড়ায়। অন্যদের সামনে সাধু সেজে থাকে। বলি না তো কাউরে! শা’লা লু’ই’চ্চা।’

শেষ কথাটা মুখ দিয়ে বের হতেই চমচম তওবা করে। ওজুটা না ভেঙে যায় আবার!

সন্ধ্যায় চমচমের পাস্তা খেতে ইচ্ছে করে। চমচম চিনির রুমের সামনে গিয়ে বলে,

-‘কিছু খাবি না আপু?’

-‘কি খাবি? আগের চা আছে তো। ওভেনে গরম করে নে কাপে নিয়ে। তারপর পাউরুটি, বিস্কিট আছে। যা দিয়ে খাওয়ার খা।’

-‘পাস্তা খাইতে ইচ্ছে করে।’

-‘এখন কি পাস্তা রাঁধবি তুই?’

-‘হু।’

-‘চমচম আম্মু মানা করছে কিন্তু তোরে রান্নাঘরে ঢুকে এসব না করতে।’

-‘না আমি করব। মানুষের মা রা খুশি হয় নিজের ছেলে-মেয়েরা রান্না করলে। আমার মা শুধু আমার রান্না করাতে বাঁধা দেয়। আচ্ছা আমি কি বা’জে রান্না করি?’

চিনি মাথে নাড়ে। চমচম বরাবরই রান্নাটা ভালো করে। ভাত তরকারি অর্থাৎ বাঙালি খাবার না রাঁধতে পারলেও চাইনিজ, ইটালিয়ান, ফ্রেঞ্চ সহ আরো নানান খাবার চমচম ভালো রাঁধে। আর এসব বিদেশি রান্নার ভূ’ত চমচমের মাথায় চড়িয়েছে চমচমের ছোট মামা। একবার একদেশে যায় সেখানকার একেক খাবার খুব পছন্দ। রেসিপি জেনে আসে নিজেও রাঁধে চমচমকেও শিখায়। রান্নার বইও চমচমকে এনে দিয়েছেন। চমচমের অনেক শখের মধ্যে একটা রান্না করাও। কিন্তু তার মা দেয় না। আসলে ফাতেমা বেগম মেয়ে হাত না পুঁ’ড়িয়ে ফেলে, চু’লো জ্বা’লিয়ে কোনো বি’প’ত্তি না ঘটিয়ে ফেলে এই ভ’য়েই মেয়েকে রান্নাঘরে ঢুকতে দেয় না। ছোট বেলায় চমচম আ’গু’ন নিয়ে খেলতো। একবার দুষ্টুমি করে নিজের জামার এক কোণায় আ’গু’ন জ্বলিয়ে দেয়। তার দাদু দেখে ফেলে সাথে সাথে আ’গু’ন নিভিয়ে দেয়। সেই থেকেই চমচমকে নিয়ে ফাতেমা বেগমের নানান ভ’য়ের মধ্যে আ’গু’ন ভ’য়ও যোগ হয়। ছোট ভাইকে তিনি খুব বকেন। কেন এসব শেখাচ্ছে! চমচমের ছোট মামা বোনকে পাত্তাও দেয় না। মামা ভাগ্নির গলায় গলায় ভাব। তারা কেউ একে অপরের নামে ব’দ’নাম, অ’ভি’যো’গ নিতে পারে না। চমচমের মামা এবার আমেরিকাতে গেছেন। ঠিক করেছেন আসার সময় একটা ভালো ব্যান্ডের ইন্ডাকশন কুকার নিয়ে আসবে চমচমের জন্য। চমচমও সে আশায় দিন গুণে। মামা কখন আসবে!

চিনি চমচম দুজনে একসাথে রান্নাঘরে ঢোকে। চমচম অভিজ্ঞ হাতে ক্রিম পাস্তা বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। চিনি তাকিয়ে খেয়াল করে বারবার চু’লোর দিকে, ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিয়ে পুনরায় চমচমের রান্নার দিকে নজর দেয়। এভাবে চলতেই থাকে। সে টেনশনে আছে। মা জানলে বকাঝকা করবে খুব। কিন্তু সত্যি বলতে ছোট বোনটার মুখের উপর বারণও করতে পারে না। তারউপর ক্রিমি পাস্তা তার খুব পছন্দের। বিশেষ করে চমচম যেটা বানায় সেটা তার সবচেয়ে ভালো লাগে। তাই কিছুটা লো’ভ থেকেও সে সায় দিয়েছে।

সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করে টেবিলে পাস্তা সাজাতেই কলিংবেল বাজল। চমচম আর চিনি দুজনেই মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকে। কে আসবে এই সময়? নিগার আন্টি নাকি! চমচম গিয়ে দরজা খুলতেই অনামিকার হাসি মুখটা দেখল। অনামিকা চমচমের গাল টেনে ভেতরে ঢুকে গেলে চমচম দরজা বন্ধ করতে নিলেই আব্রাহাম দরজায় হাত ঠেকিয়ে আ’ট’কায় তাকে। চমচম আব্রাহামকে দেখে চমকে যায়। আব্রাহাম বলে,

-‘বে’য়া’দ’ব! মুখের উপর দরজা, জানলা বন্ধ করার রো’গ উঠছে তোর?’

#চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে