ডিভোর্সের পরে পর্ব-১০+১১

0
871

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১০
#লেখকঃরিয়াজ

মানুষ সেই খাবার খেয়ে এতো এতো রিভিউ দিতে লাগলো যা আমার কল্পনার বাহিরে ছিলো আমি ভাবতেও পারিনি এই খাবারটি মানুষ এতোটা পছন্দ করবে।আমি মানুষের এতো অর্ডার পড়ছিলো যে আমি অর্ডার নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে নাস্তাও বানাতে পারছি না।

এখন আমি যদি নাস্তা বানাই তাহলে নাস্তা অর্ডার নেয়ার জন্য আরেকজন লোক লাগবে।কিন্তু এখন কাকে বলবো আমি।তাছাড়া এতো নাস্তার অর্ডার আমার পক্ষে এতো নাস্তা নাস্তা একা একা বানানো কোনো ভাবেই সম্ভব নাই।তাই আমি বাধ্য হয়ে সব সময়ের মতো সেই নীলয়কে স্মরণ করলাম।নীলয় কে ফোন দিয়ে সেই বাসায় আসতে বল্লাম। যেখানে আমি নাস্তা গুলো বানায়।

নীলয় কিছুক্ষণ পরেই সেখানে চলে আসলো।আমি ওকে ভিতরে ডেকে সব কথা বললাম।নীলয় এবারো আমার কথা শুনে হাসিমুখে আমাকে সাহায্য করতে চাইলো।সে বল্লো এসব কোনো সমস্যা না।যেহেতু তোমার একটি নাস্তার চাহিদা বেড়েছে নাস্তা খাওয়ার জন্য মানুষের ডল পড়ে যাচ্ছে এখন কি করবো আচ্ছা শুনো আমার মাঁথায় একটা আইডিয়া আছে।

এখন থেকে আমি সারাদিন শুধু তোমার সাথেই টাইম দিবো।মানে আমি এখন থেকে যতো অর্ডার আসবে সব আমি নিবো।তুমি শুধু নাস্তা বানাবে।তোমার আইডির পাসওয়ার্ড আমাকে দিলো আমি তোমার আইডি ব্যাবহার করে আমি বসে বসে তোমার সব নাস্তার অর্ডার নিতে পারি।

মিম বল্লো হ্যাঁ সমস্যা নেই।তুমি তাহলে এটা করো অন্তত একদিক থেকে হলেও আমি মুক্তি পাই।এরপর নীলয় বল্লো দাঁড়াও শুধু একদিক না আমি তোমার কাজ আরও সহজ করে দিচ্ছি আমি বাসায় যেয়ে আজকে আমার ছোট বোন কে বলবো ও যাতে কাল থেকে তোমাকে সাহায্য করতে আসে।

ওর এখন কোনো কাজ নেই শুধু শুধু বাসায় বসে বসে মোবাইল চাপে।ওকে আমি বলে দিবো ও কাল এসে তোমার সাথে তোমার কাজে সাহায্য করবে।মিম বল্লো না না তার প্রয়োজন নেই।নাস্তা বানানো আমি একাই করতে পারবো।
নীলয়ঃআমি জানতাম তুমি এটা বলবেই।কিন্তু এইবারো আমি তোমার কথা রাখতে পারছি না। এইবারো তোমাকে আমার কথা শুনতে হবে।

মিম আর কিছু না বলে চুপ করে রইলো।সেদিন রাতে বাসায় বসে আব্বু আম্মু সবার সাথে খাচ্ছিলাম।এমন সময় লিজা মানে আমার ভাইয়ের বউ বলে উঠলো আপা আপনার বিজনেস তো শুরু করলেন অনেক দিন হলো কিন্তু এখনো তো কোনো লাভ দেখাতে পারলেন না?

আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম।এরপর সে আবার বল্লো কি ব্যাপার আপা কিছু বলছেন না কেনো?ব্যাবসায় লস খেয়ে কি সব টাকা শেষ করে ফেলেছেন নাকি।এরপর আমি আর চুপ করে বসে না থেকে বল্লাম লিজা বিজনেসটা আমি সবে শুরু করলাম।আর মানুষ এক লাফে কখনো গাছে উঠতে পারে না।

একটি গাছের মগ ডালে উঠতে হলে গাছের গোড়া থেকে ধীরে ধীরে মগডালে যেতে হবে।এ কথা শুনে সে চুপ করে রইলো।এরপর আমার আম্মু বল্লো মিম খাওয়ার সময় কথা বলতে নেই তুই চুপ করে খাবার খা তো।ব্যাবসায় কি হয়েছে না হয়েছে এইসব পড়ে জানা যাবে।এরপর আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ খাবার খেতে লাগলাম।

সেও আর কিছু বল্লো না।এরপর দিন নীলয় এর কথা মতো কাজ শুরু করে দিলাম।বাসার সব কাজ শেষ ওখানে যেয়ে যতটুকু সময় পাই সে সময়ে আমি ওখানে যেয়ে আমার কাজ গুলো কর‍তাম।যদিও আমি খুব কম সময় পাচ্ছিলাম।কিন্তু নীলয়ের বোন আমাকে হেল্প করায় কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছিলো না।

খাবারের যত অর্ডার আসুক সব অর্ডারই আমরা নিচ্ছিলাম।এভাবে ১ সপ্তাহ কেঁটে গেলো।১ সপ্তাহ পর যখন লাভ লসের হিসাব করতে গেলাম তখন দেখলাম ১ সপ্তাহে আমাদের প্রোফিট হয়েছে ২০ হাজার টাকা।যেটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।

নীলয় বল্লো কি বলো তাহলে তো ভালোই প্রফিট হয়েছে। মিম তুমি চালিয়ে যাও আমি তোমার পাশে আছি।তুমি সব সময় আমাকে তোমার পাশে পাবে।মিম বল্লো নীলয় এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে একমাত্র তোমার জন্য। তুমি না থাকলে এর কিছুই হয়তো আজ হতো না।নীলয় বল্লো থাক এতো বাড়িয়ে বলতে হবে না তোমার।

আমি শুধু তোমার পাশে ছিলাম।এর বেশি কিছুই না।আচ্ছা মিম তুমি একটা কাজ করো যেহেতু তোমার বিজনেস বেড়েছে আর দিন দিন অর্ডার বাড়ছে তুমি এখানের আশেপাশের ২ জন মহিলা তোমার সাথে কাজ করার জন্য নিয়ে নাও।

তাদেরকে মাসিক একটা বেতন দিয়ে দিবে।এতে তুমি আগের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারবে না।অনেক বেশি সেল দিতে পারবে।এর পাশাপাশি তুমি নাস্তার আরও আইটেম বাড়িয়ে দিবে।যাতে করে মানুষ তাদের খাবারের সমস্ত নাস্তা তোমার কাছ থেকেই নেয়।

মিম বল্লো হ্যাঁ তাই করতে হবে।এর কয়েকদিন পর মিম তার আরও দুই জন মহিলা নিয়ে পুরো দিমে তার কাজ কর‍তে লাগলে।এখানে মিম নাস্তা বাবদ একটা টাকা পাচ্ছে তার পাশাপাশি সে ইউটিউব ফেসবুক থেকেই টাকা পেতে শুরু করলো।এভাবে যখন ১ মাস হয়ে যায়।

১ মাসের মাঁথায় মিমের প্রফিট দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।নীলয় মিম সবাই অনেক খুশি হয়।মিম সেদিন রাতে বাসার সবার সাথে বসে খাবার খাচ্ছিলো।খাওয়া শেষ করে মিম তার ভাই মিরাজ কে বল্লো ভাই একটা খুশির খবর আছে।মিমের ভাই বল্লো কি আবার কিসের সুখবর আছে?
মিম তার ভাইকে বল্লো ভাই আমি যেই বিজনেস টা শুরু করেছি প্রথম কয়েকদিন তেমন ভালো কোনো সুফল আমি পাইনি।

তবে লাস্ট এক মাসে আমার ব্যাবসায় প্রফিট হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।মিমের ভাই বল্লো কি বলিস আপু?এতো টাকা?এটাতো আমার ৬ মাসের বেতন।আমার ৬ মাসের বেতনের টাকা তুই ১ মাসে আয় করলি?মিম বল্লো হ্যাঁ ভাই।তবে তোদেরকে একটা কথা বলা হয় নি।

আমার বিজনেসে আমাকে সাহায্য করেছে আমার স্কুলের এক ফ্রেন্ড। যার সাথে গত ২’৩ মাসে আগে আমার দেখা হয়।তাও প্রায় ৯ বছর পর।মিমের ভাই বল্লো এটাতো আরও অবাক করা বিষয়। তুই সেই ভাইয়াকে আমাদের বাসায় একদিন নিয়ে আসিস।যে তোকে এতো সাহায্য করলো তাকে বাসায় এনে যদি একটু আপ্যায়ন না করি তাহলে তো হয় না।মিম বল্লো আচ্ছা নিয়ে আসবো একদিন।

এরপর মিম তার বাবাকে বল্লো বাবা আমি ১ লক্ষ টাকা তোমার কাছে দিবো তুমি যেয়ে টাকাটা তোমার একাউন্টে রেখে আসিও কাল।আর ৭০ হাজার টাকা আমার লাগবে।ব্যাবসা আরও বড় করতে চাই।

আর মিরাজ তুই আমাকে ব্যাবসা শুরু করার আগে যেই টাকাটা দিয়েছিলো সেই টাকাটা কিন্তু এখন আমি তোকে দিবো না।ওটা আমির লক্ষি আসল টাকা।একদিন সময় আসলে আমি তোকে টাকা বদলে অন্য কিছু দিয়ে দিবো।মিমের ভাই বল্লো সমস্যা নেই।তুই দিলে দিবি না দিলে না।

পরদিন মিম নীলয়ের সাথে দেখা করলো।মিম সব কথা নীলয়কে খুলে বল্লো বাসায় যাওয়ার কথাও বল্লো নীলয় সমস্যা নেই যেকোনো একদিম যাবো।তারপর এখন তুমি বলো নেক্সট কি করবে?মিম বল্লো সব কিছু যেহেতু তুমিই করেছো এইবারো তুমিই বলো নীলয় তাকে বল্লো হ্যাঁ এইবারও আমি তোমার জন্য একটি প্ল্যান রেডি করে রেখেছি।মিম বল্লো কি প্ল্যান?

চলবে??

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১১
#লেখকঃরিয়াজ

নীলয় মিমকে বল্লো তুমি একটা কাজ করবে।এখন যেহেতু বিজনেস টা ভালোই চলছে সেহেতু তুমি তোমার ব্যাবসাটা আরও বড় আকারে করো।এরজন্য তোমার সবচেয়ে ভালো হবে যদি তুমি একটি রেস্টুরেন্টে নিতে পারো।এতে করে তুমি আরও বেশি সাফল্য পাবে।

আরও দ্রুত তোমার স্বপ্ন সত্যি করতে পারবে।মিম বল্লো বরাবরের মতো তুমি এইবারো আমাকে ভালো একটি পরামর্শ দিয়েছো।আচ্ছা তুমি এই বুদ্ধি গুলো কই পাও আমাকে একটু বলো তো?

নীলয়ঃএসব টপ সিক্রেট কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না।ঠিক তুমি আপাতত যেভাবে ব্যাবসা চালাচ্ছো সেভাবে চালাতে থাকো এরপর টাকা পয়সা কিছু হলে আমরা রেস্টুরেন্টের কাজে হাত দিবো।

মিমঃআচ্ছা ঠিকআছে।

এরপর মিম তার কাজে চলে গেলো।এভাবেই চলছিলো কিছুদিন। এরভিতর মিমের ফ্যামিলির সবাই বসে একদিন খাবার খাচ্ছিলো তখন মিমের ভাই মিম কে বল্লো আপু তোকে একটা কথা বলার ছিলো।মিম বল্লো হ্যাঁ বল কি বলবি?

মিমের তার আব্বু আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বল্লো আব্বু আম্মু তোমরাও শুনো আমি আপুকে কি বলি।আসলে আমার অফিসের এক কলিক অনেক দিন ধরে তার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো।লোকটাও ভালো মানুষ। উনি আমাদের ফ্যামিলির ব্যাপারে সবকিছুই জানে।উনি আপুর কথাও জানে।বছর খানেক আগে ওনার স্ত্রী মারা যায়।

উনি এতোদিন সাহস করে আমাকে কিছু বলেনি।তবে গতকাল উনি একটা প্রস্তাব দিয়েছে আমাকে।আব্বু বল্লো কি প্রস্তাব?মিরাজ মানে মিমের ভাই বল্লো আসলে উনি আপুকে বিয়ে করতে চায়।আর উনি সবটা জেনেই আপুকে বিয়ে করতে চায়।আব্বু বল্লো ভালো খবর।

তুই যেহেতু লোকটাকে চিনিস অনেক দিন ধরে তাহলে তোর জানার কথা লোকটা কেমন।মিরাজ বল্লো হ্যাঁ লোকটা ভালোই।তবে আমি তাকে এখনো কিছু বলিনি।যদি তোমরা অনুমতি দাও আর আপু রাজি থাকে তাহলে আমি ওনাকে বাসায় আসতস বলি।আপু তুমি কি বলো?

মিমঃআসলে ভাই তুই জানিস আমি এখন একটা বিজনেস শুরু করেছি।আমি এসব বিয়ে সাদিতে না যেয়ে আমি আমার ক্যারিয়ারের দিকে ফোকাস করছি।যেহেতু এর আগের বিয়েটা আমি নিজের ইচ্ছায় করেছি।তাই এটা তোদের ব্যাপার তোরা যদি আমাকে বিয়ে করতে বলিস আমি না করতে পারবো না।

মিমের বাবা তখন মিম কে বল্লো আয়ানের সাথে তোর ডিভোর্স হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেলো কিন্তু। এলাকার মানুষ ও এখন অনেক কিছু বলে।কিন্তু আমরা কাউকে কিছু বলতে পারি না।যদি তুই বিয়েটা করিস তাহলে তোর এবং আমাদের সবার জন্যেই ভালো হয়।

মিক তখন বল্লো ঠিক আছে বাবা তোমরা যদি রাজি থাকো তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।কারণ টা আমি শুরুতেই বলে দিয়েছি।যেহেতু এর আগের বিয়েটা আমি আমার নিজের ইচ্ছায় করেছি তাই তোমরা আমাকে বিয়ে দিতে চাইলে অবশ্যই সেই বিয়েতে আমাকে রাজি হতে হবে।

মিমের বাবা বল্লো মা তবুও তোর জীবন তুই ভালো জানিস।যদি তোর ভালো মনে হয় তাহলে বিয়ে করবি নাহলে নাই।মিম বল্লো আচ্ছা বাবা সেটা দেখা যাবে।তার আগে আমি সেই লোকের সাথে দেখা করি কথা বলি তাকে জানি শুনি তারপর নাহয় বিয়েতে যাবো।

মিমের ভাই মিরাজ বল্লো আচ্ছা আমি তাহলে কাল ওনাকে বাসায় আসতে বলি।মিম বল্লো হ্যা সমস্যা নেই আসতে বল।সবাই এতে সম্মত হলো।ওইদিন রাতে মিম এখন তার সবচেয়ে কাছের মানুষ নীলয় কে সবটা বল্লো।নীলয় মিম কে বল্লো আচ্ছা তুমি আগে লোকটাকে দেখো কথা বলো।

দেখলেই তো আর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না।যদি তোমার তাকে ভালো মনে হয় বিয়ে করবে ভালো মনে না হলে করবে না।এখানে আমারও কিছু বলার নেই।তোমার জীবন তুমি কীভাবে পরিচালনা করবে সেটা একমাত্র তোমার ব্যাপার। এখানে তোমার বাবা মা ভাই আমি কেউ কিছুই বলতে পারবো না।তবে আজ নীলয়ের কথার মধ্যে কেমন জানি একটা রাগ রাগ ভাব আছে।যাইহোক মিম এসব গায়ে না লাগিয়ে আরও কিছুক্ষণ নীলয়ের সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে গেলো।

পরদিন মিম বাসার কাজ শেষ করে সে তার সেই বাসায় গেলো নাস্তা যেখানে বানায় যেখানে থেকে তার বিজনেস করে সেখানে।বিকালে তার ভাই তাকে ফোন দিয়ে জানায় আপু আমি ওনাকে নিয়ে আসছি তুই চলে আয় বাসায়।মিম বল্লো আচ্ছা ঠিক আছে আমি আসছি।

মিম দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে গেলো।মিম বাসায় এসে রেডি হয়ে সেই লোকের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।সন্ধ্যার কিছু আগে সেই লোক মিম দের বাসায় আসে।এরপর মিম কে তার সামনে ডাকা হয়।মিম সেই লোককে প্রথম দেখে অবাক হয়ে যায়।লোকটার বয়স প্রায় ৪০+ অনেক বড় একটা ভুড়ি আছে।আর চুল দাঁড়ি সব পাক ধরেছে।মিম মনে মনে ভাবছে আমার ভাই এমন একটি লোককে বিয়ে করার কথা আমাকে কি করে বলতে পারে?

আমি তার আপন বোন আর সে এও বয়স্ক বৃদ্ধর হাতে আমাকে তুলে দিতে চাচ্ছে?

মিম সামনাসামনি আর কিছু বল্লো না।সেখানে সে চুপ করে বসে রইলো।এরপর বাসার সেই লোকের সাথে কথা বল্লো।সেই লোকের কথাবাত্রা শুনে বুঝা গেলো যে সে মিম কে দেখে পছন্দ করেছে।এরপর লোকটা মিম কে বলে তোমার নাম্বার টি কি আমাকে দেয়া যাবে।

মিম উত্তর দেয় বিয়ের পর তো সারাদিন রাত আমার সাথেই থাকবেন এখন আর নাম্বার নিয়ে কি করবেন?বিয়ের পরেই কথা বইলেন আমার সাথে?সে বল্লো না বিয়ের আগে একটা ফ্রি হওয়ার ব্যাপার আছে।

আমি যদি তোমার সাথে আগে ফ্রিই না হতে পারি তাহলে কি বিয়ে করবো তোমাকে বলো?এরপর মিমের বাবা বল্লো নাম্বার টা যেহেতু চাইছে দিয়ে দে।সমস্যা নেই।সে তো তোর সাথে বিয়ের আগেই ফ্রি হতে চাচ্ছে যাতে বিয়ের পর তোর সাথে ওর একটা ভালো সম্পর্ক থাকে।মিম আর কিছু না বলে তার নাম্বার দিয়ে দেয় তার কাছে।তারপর কথাবাত্রা বলে সেই বাসা থেকে চলে চায়।বাসা থেকে যাওয়ার পর রাতে সেই লোক আবার মিমকে কল দেয়।

মিম কল রিসিভ করে সালাম দেয়।তখন লোকটি মিমকে বলে আমাকে চিমতে পেরেছো আজকে তোমাদের বাসায় গিয়েছিলাম?আমি আনিস।মিম বল্লো ওহহ আপনি জ্বি বলুন।

সে বল্লো আমি আপনার সাথে ফ্রি হওয়ার জন্য আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছা এসব জানার জন্য কাল আপনার সাথে দেখা করতে চাই।আপনি কাল আমাকে সময় দিতে পারবেন?মিম কিছুক্ষণ ভেবে বল্লো হ্যাঁ দিতে পারবো তবে বিকেলের আগে না।

চলবে??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে