ডিভোর্সের পরে পর্ব-১৬+১৭

0
774

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১৬
#লেখকঃরিয়াজ

আসলে আয়ান সত্যি সত্যি মিম কে সেই শুরু থেকেই ফলো করতো। আসলে আর যাই হোক তাদের বিয়ের আগে তো তারা ৫ টি বছর খুব সুন্দর ভাবেই কাঁটিয়েছে।একে অপরের সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না।দুজনে দুজনকে বিশ্বাস ও করতো অনেক।কেউ কারো সাথে দেখা না করে কথা না বলে থাকতো পারতো না।

কিন্তু বিয়ের পর তাদের দুজনেরই দোষ ছিলো।শুধু মাত্র আয়ানের একার দোষে যে মিমের সাথে আয়ানের ডিভোর্স হয়েছে সেটা কিন্তু নয়।দুজনেরই দোষ ছিলো।আর এক হাতে কখনো তালি বাজে না।তালি বাজাতে হলে অবশ্যই দুই হাত ব্যাবহার করতে হবে।

যাই হোক আয়ানো কিন্তু সত্যি সত্যি এখনো মিমের জন্য অপেক্ষা করছে।অন্যদিকে মিম ডিভোর্সের পর তার সাথে যা যা হয়েছে সেই স্মৃতি গুলো কোনো ভাবেই ভুলতে পারছে না।একটি ডিভোর্সি মেয়ের জীবনে যে কতো ঝড় ঝাপ্টা আসে সেটা মিম হারে হারে বুঝেছে।

এভাবে কয়েকদিন যায়।মিমের রেস্টুরেন্ট ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো একটি রেস্টুরেন্ট করেছে মিম।তবে প্রথম প্রথম মিমের রেস্টুরেন্টে তেমন কোনো কাস্টমার নেই।মানুষ জন জানেও না যে এখানে কোনো রেস্টুরেন্ট তৈরী হয়েছে।

এখন কাস্টমার যদি না আসে তাহলে মিম কি করে ব্যাংক লোন পরিশোধ করবে কি করে সবার ধারের টাকা পরিশোধ করবে?এই সব ভাবছিলো।ভাবতে ভাবতে মিমের মনে পড়লো যে তার সব সময়ের বিপদের বিন্ধু নীলয় কে এখন তার প্রয়োজন।

তাই মিম নীলয় কে কল দিয়ে রেস্টুরেন্টে ডাকলো।নীলয় কিছুক্ষণ পরেই রেস্টুরেন্টে চলে আসে।নীলয় সেখানে আসার পর মিম নীলয় কে বসতে দেয়।মিম নীলয়ের জন্য নিজের হাতে এক বাঁটি স্যুপ বানিয়ে আনে।স্যুপ খেয়ে নীলয় স্যুপের দারুণ প্রশংসা করলো।

আর বল্লো এই স্যুপ যদি মানুষ একবার খায় তাহলে বার বার খেতে চাইবে।এরপর নীলয় মিম কে বলে আচ্ছা বলো এখন কেনো ডেকেছো আমায়?
মিম বলে তুমি তো জানো আমি যখন বিপদে পড়ি তখনই তোমাকে স্মরণ করি।আসলে রেস্টুরেন্ট তো দিলাম।কিন্তু কাস্টমার হচ্ছে না।

যদি দোকানে কাস্টমার না হয় তাহলে আমি কি করে ব্যাংক লোন পরিশোধ করবো?কি করে সবার পাওনা টাকা পরিশোধ করবো বলো?নীলয় বল্লো আরেএ এতো টেনশন করো কেনো?দাঁড়াও আমি ভেবে দেখি কি করা যায়।এরপর নীলয় বল্লো আচ্ছা শুনো যেহেতু অনেক মানুষ এখনো জানেনা এখানে রেস্টুরেন্ট আছে।

তাই তোমাকে আগে রেস্টুরেন্টের প্রচার করতে হবে।এখানে যে একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে সেটা সব মানুষ কে জানাতে হবে?আর এর জন্য কি করতে হবে জানো?মিম বল্লো বলো কি করতে হবে?নীলয় বল্লো শুনো তাহলে তুমি একটি ভিডিও বানাবা যেখানে রেস্টুরেন্টের ফুল ভিউস থাকবে।আশেপাশের অবস্থা থাকবে।আর ভিডিওর নিচে ডেস্ক্রিশন বক্সে রেস্টুরেন্টের ঠিকানা দিয়ে দিবে।এভাবে সব জায়গায় ভিডিও ছাড়বে।

তাছাড়া এই ভিডিও ছাড়ার পর তুমি রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন খাবার রান্না করা এসবের ভিডিও ছাড়বে। এরপর যেটা করবে খুব ভালো আর একটি কাজ করতে পারো সেটা হলো তোমার রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর প্রত্যেক কাস্টমার কে বলে দিবা খাবারের পর তারা যদি ফেসবুক পেইজে রিভিউ দেয় খারাপ ভালো যেটাই দিক তাদের জন্য ১০% ডিসকাউন্ট।

মিম এই কথা শুনে অবাক হয়ে নীলয়ের দিকে তাকিয়ে তাকে বল্লো তুমি এতো ভালো ভালো বুদ্ধি কই পাও বলো তো?তোমাকে এসব বুদ্ধি কে দেয়?আমাকে আবার বুদ্ধি কে দিবে।আমি বুদ্ধি পয়দা করি।মিম বল্লো ওহহ আচ্ছা ভালোই তো তাহলে।এরপর আবার নীলয় বল্লো তুমি এই আ্শেপাশের মানুষের কাছে প্রচার করার জন্য আশেপাশে বিভিন্ন দেয়ালে পিলারে রেস্টুরেন্টের ব্যানার লাগাতে হবে।

সবা জায়গায় রেস্টুরেন্টের পোস্টার লাগিয়ে দিবে।এতে করে ধুরের মানুষ ও জানবে রেস্টুরেন্টের কথা আর এখানে আশেপাশের মানুষ ও জানবো।এখানে আমি আগে চাচ্ছি তোমার রেস্টুরেন্টের প্রচার টা যাতে আগে সুন্দর ভাবে হয়।যদি সুন্দর ভাবে তোমার রেস্টুরেন্টের পাবলিসিটি করতে পারো তাহলেই মানুষ জানবে যে আসলেই একটি রেস্টুরেন্ট আছে।

মিম বল্লো বাহ বাজ এটাও তো একটি দারুণ কথা বলেছে।আমার মাঁথায় তো এসব কিছু ছিলোই না।তোমাকে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ। নীলয় তুমি যদি আমার পাশে না থাকতে আমি এতোধুর কখনোই আসতে পারতাম না।নীলয় আরেএ ধুর আমি তো কিছু করিনি।আমি শুধু উছিলা মাত্র।আর কিছুই না।যা করার সব তো তুমি ই করেছে।আচ্ছা তুমি ই বলো না আমি তো শুধু তোমাকে বুদ্ধি দিয়েছি তার বাহিরে আর কিছু করেছি?

মিম বল্লো তুমি এভাবে বলছো কেনো?তুমি আমার সাথে না থাকলে এর কিছুই আমি করতে পারতাম না।তুমি ছিলে বলেই আজ আমি এতধুর আসতে পেরেছি।এরপর নীলয় বল্লো আচ্ছা এইবার থামো আমি যা কর‍তে সে সব করতে থাকো।এরপর মিম সাথে সাথে নীলয়ের বলা কথা মতো কাজ করতে লাগলো।

প্রথমে মিম তার পুরো রেস্টুরেন্ট নিয়ে একটি ভিডিও বানালো।এরপর ভিডিওটি মিমের পেইজ, ইউটিউবে ছাড়ার সাথে সাথেই অসংখ্য মানুষ সেই রেস্টুরেন্টের লোকেশন জানতে চাইলো।যদিও ভিডিওর নিচে লোকেশন দেয়া ছিলো তারপরেও সব মানুষ লোকেশন জানতে চাইছিল।

যাই হোক মিমে যতোগুলো পেরেছে কমেন্ট এর রিপ্লাই দিয়েছে।আর ওইদিন অনেক ধুর দূরান্ত থেকে মিমের রেস্টুরেন্টে লোক আসতে থাকলো।এই দৃশ্য আবার এলাকার মানুষ জন দেখলো।এলাকার মানুষ ভাবছে কি রে এতো মানুষ আজকে হঠাৎ আমাদের এলাকায় তারা সবাই কই যাচ্ছে?

অনেকেই এলাকায় নতুন লোকদের ফলো করে মিমের রেস্টুরেন্টে আসতে শুরু করলো।ওই প্রথম দিনোই মিমের রেস্টুরেন্টে এতো কাস্টমারের চাপ।মিম তার স্টাফ দের কে দিয়ে মানুষ কে খাবার দিয়ে কুল পাচ্ছে না।সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মিমের রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য।

১ ঘন্টার মধ্যে মিমের রেস্টুরেন্টের সব খাবার শেষ।মিম আর কোনো উপায় না পেয়ে মিম সাথে সাথে ইউটিউব আর ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দিয়ে দিলো।আজকে তার রেস্টুরেন্টে যতো খাবার ছিলো সব শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই দয়া করে আজ আর কেউ আসবেন না।

আগামীকাল ইনশাআল্লাহ খাবার আরও বাড়িয়ে তৈরী করবো।পরদিন মিম তার রেস্টুরেন্টে ১০ জন নতুন স্টাফ আনে।আর মেক্সিমাম স্টাফ কিন্তু নীলয় ই ঠিক করে দিয়েছে মিম কে।বেশ ভালো ভাবেই জমে উঠেছে মিমের রেস্টুরেন্ট।অন্যদিকে আয়ান ও সেই রেস্টুরেন্টের রেগুলার কাস্টমার হতে শুরু করে।

বলতে গেলে সে প্রতিদিনই রেস্টুরেন্টে আসে।এসে খাবার খেয়ে মিমের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবার চলে যায়।আর এতে করে মিম ও মাঝে মাঝে আয়ানের দিকে তাকায়। মানে বুঝাই যাচ্ছে ধীরে ধীরে মিমের মন গলতে শুরু করেছে।

চলবে??

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১৭
#লেখকঃরিয়াজ

আয়ানের প্রতি মিম কিছুটা দূর্বল হলেও পরক্ষণেই মিমের মনে পড়লো ইসলামে এক নারী কে ডিভোর্স দেয়ার পর যেই ব্যাক্তি ডিভোর্স দিয়েছে সেই ব্যাক্তি পুনরায় সেই নারীকে বিয়ে করতে পারে না।এটা সম্পূর্ন হারাম।তাই মিম সিধান্ত নিয়েছে আজ সে আয়ান কে সবটা খুলে বলবে।আজকে আয়ান যখন রেস্টুরেন্টে আসে তখন মিমের তার বিলের সাথে একটি চিরকুট লিখে দেয়।

সেখানে লিখা ছিলো এখান থেকে বেরিয়ে আপনি সোঁজা আমরা কলেজ ফাঁকি দিয়ে যেই পার্কে যেয়ে বসতাম সেই পার্কের ঠিক সেই ব্যাঞ্চ টায় যেয়ে বসবেন আমি হাতের কাজ গুলো শেষ করে কিছুক্ষণ পর আসছি।চিঠিটা পেয়ে আয়ান অনেক খুশি হয়ে যায়।মনে মনে সে ভাবে এতোদিন পর হয়তো মিম আয়ান কে আবার নতুন করে মেনে নিবে।তাই সে খুশিতে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়।

রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সময় সিঁড়িতে আয়ানের সাথে নীলয়ের বোন নাইমের ধাক্কা লাগে।আয়ান কোনো রোকমে তাকে সরি বলে সেখান থেকে চলে আসে।কিন্তু এদিকে সেই এক ধাক্কায় নাইমা আয়ানের প্রতি একেবারে ফিদা হয়ে যায়।

বলতে গেলে নাইমা প্রথম দেখাতেই আয়ানের প্রেমে পড়ে যায়।যাই হোক আয়ান দ্রুত সেই পার্কে যেয়ে মিমের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।প্রায় ১ ঘন্টা ত্রিশ মিনিট পর মিম সেখানে যায়।যেয়ে আয়ান থেকে ১ হাত দূরত্ব বজায় রেখে তার পাশে বসে।

মিম আয়ান কে জিজ্ঞাসা করে কেমন আছেন?আয়ান উত্তর তোমাকে ছাড়া আমি কবে ভালো ছিলাম?বিশ্বাস করো তোমাকে ছাড়া আমি একদিন ও ভালো থাকতে পারি না।মিম বল্লো এসব আবেগি কথা বাদ দেন।আমি যা বলতে আপনাকে এখানে ডেকেছি সেটা শুনুন।আয়ান বল্লো হ্যাঁ বলো কি বলবে তুমি?মিম বল্লো আমাদের ডিভোর্স হয়েছে কতোদিন?

আয়ান বল্লো ৩ বছরের বেশি হবে।
মিম বল্লো এই তিন বছর আপনার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।কিন্তু ইদানীং আপনি আমার পিছু ছাঁড়ছেন না।এইটার কারণ কি আমাকে বলবেন?

আয়ানঃএতোদিন আমার মনে যেই রাগ অভিমান ছিলো তার জন্য আমি তোমার সামনে আসিনি।কিন্তু একটা সময় মনে পড়লো আমি তোমাকে ছাড়া কোনো ভাবেই ভালো নেই।আর তোমাকে ছাড়া আমি ভালো থাকতেও পারবো না।তুমি আমার জন্য এক পিছ।

তুমি আমার মাষ্টার পিছ।তোমার জায়গায় আমি অন্য কাউকে বসাতে পারবো না।মিম বল্লো থামেন।আপনাকে বলেছি না এসব আবেগি কথা এখন আমাকে শুনাতে আসবেন।তারপরেও কেনো এসব বলছেন?আমি আপনাকে যা জিজ্ঞাসা করবো শুধু মাত্র সেসব কথার উত্তর দিবেন।বাড়তি কোনো কথা আপনার বলার দরকার নেই।আয়ান বল্লো আচ্ছা ঠিক আছে।আর কিছু বলছি না।বলো কি বলবে।

তারপর মিম বল্লো আপনি কি জানেন ইসলামে কোনো পুরুষ কোনো মহিলা কে যদি একবার তিন তালাক দিয়ে দেয় তাহলে সেই মেয়েকে সে দ্বিতীয় বার আর বিয়ে করতে পারে না।এটা সম্পূর্ন হারাম।আয়ান বল্লো আমি তো এটা জানিনা।মিম বল্লো যদি না জানেন তাহলে আজকে বাসায় যেয়ে আপনার মা বাবার কাছ থেকে জেনে নিবেন।

আমি যেই কথা বলেছি তারা যদি আমার মতো সেম কথা বলে তাহলে দয়া করে আপনি দ্বিতীয় বার আর কখনো আমার সামনে আসবেন না।প্লিজ আপনার কাছে হাত জোর করছি আর কখনো আমার সামনে আসবেন না।বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন।

আর সেই বন্ধন কে অপবিত্র করেছি আমরা। তাই এর শাস্থি আমাদেরকেই পেতে হবে।আমাদের আর কখনো এক হওয়া সম্ভব নয়।হারাম কোনো সম্পর্কে থেকে বাকি জীবন আমরা পার করতে পারবো না।আর আপনাকে আমি একটি ভালো পরামর্শ দেয় আপনি দেখতে এখনো অনেক ইয়াং চাইলেই আপনি খুব সুন্দর অবিবাহিত একটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারবেন।

তাই আমি আপনাকে বলছি আপনি আমার জন্য আর অপেক্ষা না করে অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলেন।এটা আপনার এবং আমার উভয়ের জন্যেই ভালো হবে।এরপর মিম আর একটি কথাও না বলে সেখান থেকে চলে আসলো।আর আয়ান সেখানে নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলো।মূহর্তেই যেনো তার সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো।

আয়ান নিশ্চুপ হয়ে সেখানে বসে রইলো।সে এখন তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আসলে মানুষ এমনই ভুল করার সে অনুশোচনা করে।ভুল করার পরেই তার ভাবে।প্রতিটি মানুষ যদি জীবনের কিছু ইম্পোটেন্ট সিধান্ত নেয়ার সময় ভেবে চিনতে নিতো তাহলে অনেক মানুষ কেই হয়তো আয়ান মিমের মতো বিপদে পড়তে হতো না।

এরপর আয়ান সেখান থেকে বাসায় চলে যায়।বাসায় যেয়ে তার মাকে বলে মা আজকে অনেক দিন পর মিমের সাথে আমার কথা হয়েছে। আর মিম আজকে আমাকে একটি কথা বলেছে।ইসলামে কি এমন কোনো কথা আছে নাকি সেটা আমি জানিনা।তুমি কি আমাক একটু বলবে?আয়ানের মা বল্লো হ্যাঁ বল মিম তোকে কি বলেছে?

আয়ান তার মাকে বল্লো মা মিম বলেছে কোনো একজন নারীকে তালাক দেয়ার পর সেই নারীর সাথে পরবর্তীতে আর কখনো সংসার করতে পারবে না।তার আর কখনো এক হতে পারবে না। এটা নাকি ইসলামে হারাম?কথাটা কি সত্য নাকি মা?আয়ানের মা বল্লো হ্যাঁ রে বাবা। সেজন্যই তো আমি মিম কে কখনো কল দেয়নি।

শুধু একবারই দিয়েছিলাম কল।পরবর্তীতে যখন আমার মনে পড়লো এটা হারাম এর
পর আর কখনো আমি মিম কে কোনো কল দেইনি। তোর কষ্ট দেখেও আমি নিশ্চুপ ছিলাম।কারণ আমি নিরুপায় আমার কিছুই করার নেই।

বাবা আয়ান অনেক তো হয়েছে এখন সময় এসেছে তুই মিম কে ভুলে অন্য কাউকে বিয়ে কর।অন্য কারো সাথে সংসার কর।আমাদের বাড়িটা অনেক দিন ধরে কেমন জানি ফাঁকা লাগছে।

এই ফাঁকা বাড়িতে আমার আর থাকতে ভালো লাগছে না।আমি মা হয়ে তোর কাছে অনুরোধ করেছি তুই পুরনো সকল স্মৃতি ভুল নতুন কাউকে নিয়ে সংসার কর।নতুন কাউকে বিয়ে কর।এটাই তোর ভালো হবে।আয়ান বল্লো আচ্ছা মা আমি ভেবে দেখি কি করা যায়।

আজকে মিমের ও অনেক মন খারাপ কারণ এরপর থেকে হয়তো আয়ানের সাথে মিমের আর কখনো দেখা হবে না।ভিষন্ন মনে মিম সেদিন আর রেস্টুরেন্টে না যেয়ে বাসায় যেয়ে দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ করেই মিমের ঘরের দরজায় কেউ নক করছিলো।

মিম মিম বলে ডাকছিলো।মিম ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে দরজা খুলতেও দেখে বাহিরে নীলয় দাঁড়িয়ে আছে।মিম অবাক হয়ে তুমি এখন আমাদের বাসায়?নীলয় অবাক হয়ে বলছে আমি এখন তোমাদের বাসায় মানে?

এখন সকাল ৯ টা বাজে।কাল রাত থেকে আমি তোমাকে কল দিয়ে যাচ্ছি কল রিসিভ হচ্ছিলো না।সকাল হওয়ার পরেও যখন দেখলাম তোমার কোনো খবর নেই।তখন অনেক টেনশন হচ্ছিলো তাই সোঁজা চলে আসলাম তোমাদের বাসায়।

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে