ডায়পিয়নের ছুটি নেই পর্ব-০৩

0
358

#ডায়পিয়নের_ছুটি_নেই 🌼
#লেখিকা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্ব______০৩

ইশার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো শ্রাবণ। ভ/য়ে গলা শুঁকিয়ে কাঠে পরিণত হলো ইশার। চাইলো কি, ঘটলো কি, আর হলো কি! শ্রাবণ ওর হাতটা ধরেই হেঁচকা টানতে টানতে নিয়ে গেলো দোতলায়। পেছন থেকে ভ/য়াতুর নয়নে তাদের দেখে দৌড়ে পালালো তানি। শ্রাবণ ইশাকে নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকলো। হাতটা ধরে রেখেই এক লাথি দিয়ে দরজাটা সজোরে আঁটকালো। শব্দটা এতোটাই জোরে হলো যে আরেকদফা নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করতে হলো ইশাকে।

ইশাকে নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে রা/গে ফুঁসছে শ্রাবণ। ভ/য়ে নেত্রদ্বয় মাটিতেই বিঁধে রইলো ইশার। ভেতরে ভেতরে কাঁপছে ও। শ্রাবণ এবার নির্ঘাত চড় বসাবে ওর গালে! হলুদ পড়লো তো পড়লো, কার উপর? তা না এই ব/দমেজাজী লোকটার উপরই পড়তে হলো।

“বিয়ে বাড়িটাকে নিজের বেডরুম ভাবলে তো চলবেনা! যেখানে হাজার জন বাইরের মানুষ থাকে, সেখানে ধিঙ্গি মেয়ে হয়ে এভাবে হলুদ নিয়ে ছোটাছুটি করছিস?;

দাঁতে দাঁত চেপে কথাটা বলেই ক্ষান্ত হলোনা শ্রাবণ। কথাটা বলতে বলতে বলিষ্ঠ হাতে চেপে ধরলো ইশার বাহুদ্বয়। চোখ থেকে উপচে পড়ছে রা*গ। যেন গোটা খান বাড়িটাকে ভ/স্ম করবে, এই আ*গুন লাল চোখ দিয়েই।

শ্রাবণের রা*গি চোখ জোড়া বরাবরই মৃ*ত্যু ভ*য় দেয় ইশাকে। আজও তাই। ভ*য়ে তো আগে থেকেই যায় যায় প্রাণ। এখন যেন, দিশেহারা মনে হলো নিজেকে। কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,

“ত্ তানি আর আমি…”

“জাস্ট শাটআপ!;

ধমকের তোড়ে চুপসে গেলো ইশা। মাথা নীচু করে কাঁদতে লাগলো এবার! মানুষটা এমন কেন? অবশ্য এর জবাব ইশা ছাড়া আর কারোর কাছে মিলবেও না!

“আমার সামনে একদম এসব ন্যাকামি করবিনা! যত ন্যাকামি করার ইচ্ছা তোর প্রিয় হবু বরের সামনে গিয়ে করবি! আমার সামনে নয়। এখন যেভাবে পারবি এই পাঞ্জাবি ক্লিন করে দিবি।;

বলেই ইশাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো নিজের কাছ থেকে। ধাক্কা খেয়ে নিজেকে সামলাতে বেশ বেগ পেতে হলো ইশার। অতিকষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে অসহায় চোখে তাকালো শ্রাবণের পানে। শ্রাবণ গটগট পায়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো। ইশা এখনও দাঁড়িয়ে আছে খাম্বা হয়ে। শ্রাবণ চলে গিয়ে আবারও ফেরত আসলো। পূণরায় ইশার হাত ধরে ওকে নিজের রুম থেকে বের করে দিয়ে ঠাস করে ওর মুখের সামনে দরজা লাগিয়ে দিলো। ইশা হতভম্ব হয়ে কতক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও পারলোনা। শ্রাবণ বলল ওর পাঞ্জাবিটা ক্লিন করে দিতে। এই মুহুর্তে সেটা না করলেও আরেক বি*পদ। তাই স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো শ্রাবণের রুমের বাইরে। শ্রাবণ হয়তো আশা করেনি, ইশা তার পাঞ্জাবি নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে। দরজা খুলতেই ইশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবারও চলে গেলো। ইশা তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিছানার উপর পড়ে থাকা পাঞ্জাবিটা নিয়ে চলে গেলো নিজের রুমে।

তুর্জ এসেছে ঘন্টা খানিক হলো। তবে ইশার দেখা নেই। তানি এসে বলল, ইশা নাকি নিজের ঘরেই আছে। কাজ করছে। কিন্তু কি এমন কাজ আছে, যে একঘন্টা ধরেও শেষ হচ্ছে না।

“ছোট মামি, আসবো?;

“আরে তুর্জ বাবা যে। এসো এসো।;

নুপুর বেগম রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। তুর্জ রান্না ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তুর্জকে দেখতে হাতের কাজ রেখে এগিয়ে এলেন তিনি। ভেতরে আসতে বলে জায়গা করে দিতে তুর্জ বাঁধ সাধলো। হাত কচলে কাচুমাচু করা গলায় বলল,

“না ভেতরে আসবোনা। ইশাকে দেখতে পাচ্ছি না অনেক্ষণ। তানি বলল রুমে আছে নাকি!;

“সেকি! ইশা এখনও নামেনি নীচে? এই মেয়েটারও বলি হারি যাই! এই তুতুন, তুতুন?;

“মামি কাউকে ডাকতে হবেনা। আপনি যদি অনুমতি দেন, তবে আমি গিয়ে ডেকে আনি ওকে?;

“ওমা অনুমতি দেওয়ার কি আছে বাবা? যাও তুমি। গিয়ে দেখো কি এমন রাজকার্য উদ্ধার করছে তোমার বউ!;

লজ্জা মিশ্রিত হাসলো তুর্জ। শার্টের কলার একপাশ থেকে টেনেটুনে ঠিক করতে করতে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো। নুপুর বেগম সিঁড়ি অব্দি এগিয়ে দিলো তুর্জকে। তুর্জ মৃদু হেসে চলে গেলো উপরে। তুর্জ যেতেই নুপুর বেগমের সামনে এসে হাজির হয় শ্রাবণ। তুর্জকে উপরে যেতে দেখে শ্রাবণ চিন্তান্বিত স্বরে জিজ্ঞেস করে নুপুর বেগমকে,

“তু্র্জ কোথায় যাচ্ছে?;

“ইশার ঘরে।;

সাবলীল গলায় জবাব দিয়ে নিজের কাজে চলে গেলেন নুপুর বেগম। তবে এই সাবলীল জবাবটাই কাটার মতো বিঁধে গেলো শ্রাবণের গলায়। উপরে কেউ নেই, একমাত্র ইশা ছাড়া! কথাটা ভাবালো তাকে। তু্র্জর উপরে যাওয়ার প্রয়োজনটা কি? অবশ্য, প্রয়োজনের কাজ ক’টাই বা করে তুর্জ!

দরজায় দু’বার টোকা পড়লো ইশার। তবে ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া গেলোনা। তুর্জ আশেপাশে একবার তাকালো। পুরো দোতলা খালি। তাই আর আগেপাছে কিছু না ভেবে দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে। অবশ্য ভেতরেও ফাঁকা। ইশাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। পুরো ঘর ছানমান করতেই ওয়াশরুমের দরজা খোলার শব্দ হলো। শব্দের উৎস ধরে পেছন মুড়ে তাকাতেই থমকে গেলো তুর্জ। আধভেজা শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমের দরজা খুলে বের হলো ইশা। হাতে ধরে রাখা সাদা একটা পাঞ্জাবি। মূলত সেদিকে তার ভ্রূক্ষেপ নেই বললেই চলে। তার ভ্রুক্ষেপ কেবল এই তীব্র বাসনার মেয়েটিকে নিয়ে। ভেজা শাড়ি খানিকটা শরীরের সাথে লেপ্টে গেছে ইশার। চোখের ক্ষুধা মিটিয়ে দেখছে তু্র্জ। এদিকে ইশার মাথাতেও আসেনি, তার ঘরে অনাকাঙ্ক্ষিত কারোর আগমন ঘটেছে।

ব্যালকনিতে শ্রাবণের পাঞ্জাবিটা শুকাতে দিয়ে নিজের ভাবনাতেই আবার ফিরে এলো ঘরে। ভেজা শাড়িটার পানি ঝাড়তে ঝাড়তে ওয়ারড্রবের কাছে এগিয়ে আসতেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো ইশা। আঁতকে উঠে দু’পা পিছিয়ে পড়ে বির*ক্ত গলায় শুধালো,

“আ্ আপনি! আপনি এখানে কেন? কি করছেন?;

ইশার গলায় ধ্যান ভাঙে তুর্জর। ফট করে নিজের চোখ নামিয়ে নেয় ইশার থেকে। নীচের দিকে তাকিয়ে মাথা চুলকে বলে,

“আমি অনেক্ষণ যাবত তোমার অপেক্ষা করছিলাম। তুমি নামছো না ভেবে চলে এলাম খোঁজ করতে।;

ইশা ভেতরে ভেতরে রা/গে ফেটে পড়লো। দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো দরজাটা খোলা। দরজা তো সে লক করে দিয়েছিলো! খুললো কেমন করে? মনেমনে রা/গান্বিত হয়ে সন্দিহান গলায় প্রশ্ন করলো তুর্জকে,

“আপনি ভেতরে এলেন কি করে? দরজা তো লক করা ছিলো!;

ইশার প্রশ্নে পেছন মুড়ে দরজার দিকে একবার তাকালো তুর্জ। নিজেকে নির্দোষ প্রমানে বলল,

“নো নো নো, দরজা লক ছিলোনা ট্রাস্ট মি! লক থাকলে আমি কেমন করে আসবো?;

গাল ফুলিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়লো ইশা। বলল,

“ঠিকাছে, আপনি নীচে যান। আমি চ্ চেঞ্জ করে আসছি।;

কথাটা বলতেও মুখে বাঁধলো ইশার। তাকে এই অবস্থায় দেখেও লোকটা দাঁড়িয়ে ছিলো এতক্ষণ। কমন সেন্সও নেই নাকি!

তু্র্জ মুচকি হেসে মাথা দুলিয়ে প্রস্থান করলো। তুর্জ যেতেই বড় করে নিঃশ্বাস ছাড়লো ইশা। কেমন লোকরে বাবা। সামান্য কমন সেন্স বলতে কিছু নেই।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো সবে। হলুদের সরঞ্জাম লোক দিয়ে সরিয়ে কালকের বিয়ের আয়োজন শুরু হলো পূণরায়। সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা অব্দি সবার সাথে আড্ডা দিয়ে ফিরে গেছে তুর্জ। যাওয়ার আগে জানিয়ে গিয়েছে কাল সকাল সকাল চলে আসবে বাবা-মাকে সাথে নিয়ে। যাওয়ার আগে ইশাকে এক মুহুর্তের জন্য একা চাইলেও, সম্ভব হলোনা। তাই মনে একরাশ আক্ষেপ নিয়েই যেতে হলো তাকে। তবে মনেমনে আজকের ঘটনাটি এখনও খোদাই হয়ে আছে যেন। ইশার আকর্ষণীয়ে দেহটি সে কোনো ভাবেই ভুলতে পারছেনা। কবে, এই মেয়েটাকে নিজের বউ করে পাবে! কি করে নিজেকে সামলে রাখবে একটা বছর!

রাত ১১টা। ছাদে উঠলো এক গাদা মানুষ। সঙ্গে উঠেছে বিয়ের কনে, ইশা, তুতুন, তানি, আরব এবং শ্রাবণ। এখন জমিয়ে কফির আড্ডা হবে। যে যার জীবনের এক একটা স্মরণীয় হাসির গল্প বলে শোনাবে। যদি সেই হাসির গল্পে একাধিক লোক হাসে, তবে তার জন্য গিফ্ট থাকবে। খেলাটি ভীষণ মজার। কিন্তু ইশার অংশগ্রহণ করা হলোনা। সবার জন্য কফি বানানো, নিয়ে আসা, সার্ভ করা সবটাই তার ঘাড়ে এসে পড়লো। আড্ডায় যোগ হলো তিতিরের মামাতো এবং খালাতো ভাই বোনরা। শ্রাবণের বন্ধুরা। আরবেরও গুটি কয়েক বন্ধু এলো আজ। এখন তারাও আছে এই আড্ডায়। আরও আছে তুতুনের দু’জন বান্ধবী, তানির তিনজন বান্ধবী। তবে একলা বাদ পড়লো ইশার একমাত্র বান্ধবী নামিরা। নামিরার না আসার কারনটা একটু ব্যক্তিগত। যা তার বেস্ট ফ্রেন্ডকেও সে জানায়নি।

ট্রেতে প্রায় ৭টা কফির কাপ নিয়ে সিঁড়ি গুনে গুনে উঠছে ইশা। পেছনে আছে লতিফা, ওর হাতেও আরেকটা ট্রে যেটাতে বিস্কুট, চানাচুর,আর মুড়ি রাখা। দু’জনেই ধীরেধীরে উঠছে উপরে। নীচে আরও কয়েকটা কাপ সাজিয়ে রেখে এসেছে। একটা দিয়ে আবার যাবে আরেকটা আনতে। দু’জনেই আতংকে কাঁপছে যদি কোনো ভাবে পড়ে যায়, সেই ভ*য়ে! এক সিঁড়ি উঠছে তো এক সিঁড়ি থামছে।

“ইয়েস বস। ইয়া ইয়া, আজ রাতেই সাবমিট করে দিচ্ছি। ইয়াহ্।;

গলার স্বরটা ভীষণ কাছ থেকেই ভেসে আসছিলো। হঠাৎ বাতাসের গতীতে ইশাকে পাশ কাটিয়ে গেলো কেউ। তবে মানুষটা এতোটাই দ্রুত নেমে গেলো যে, থরথর করে কাঁপতে থাকা কফির কাপ গুলো মুহুর্তেই উল্টোপাল্টে গেলো। কিন্তু গেলোনা, একজোড়া হাত এসে শক্ত করে ধরে ফেললো ট্রেটা। ইশা আতংকে বিমুঢ় হয়ে গেলো ক্ষণেই। চোখ জোড়া বড়বড় করে ট্রেটার দিকে তাকাতেই দেখলো কাপ গুলো হেলতে দুলতে আবার স্থীর হয়ে গেলো। ইশা দম আঁটকে সম্মুখে তাকাতেই দেখলো রা*গি চোখে তাকিয়ে আছে শ্রাবণ। পাশ থেকে লতিফা খানিক ফ্যাকাসে গলায় বলে উঠলো,

“ভাইজান আপনের মুবাই!;

শ্রাবণ লতিফার কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপ করলোনা। তার রা*গি চোখ এখনও ইশার উপরই এঁটে আছে। ইশা পাশ ফিরে লতিফার দৃষ্টি অনুসরণ করে নীচে তাকাতেই আরেকদফা আঁতকে উঠলো। ফের পূনরায় ভ*য়াতুর নয়নে শ্রাবণের পানে তাকাতেই শ্রাবণ ধমকে বলে উঠলো,

“তোর কি কোনোদিন আক্কেল হবেনা? এতো বড় মেয়ে, হাঁটুতে বুদ্ধি নিয়ে ঘুরিস!;

ধমক খেয়ে আঁতকে উঠলো ইশা। খিঁচে চোখ জোড়া বন্ধ করে কুঁজো হয়ে পড়লো কিঞ্চিৎ। রা*গে শ্রাবণের মাথা ফেটে যাচ্ছে। ইচ্ছে করছে ঠাটিয়ে একটা চড় বসাতে, এই বোকা মেয়েটাকে।

ইশা কান্না জড়ানো কম্পিত স্বরে বলল,

“আ্ আমি কি করেছি! আমাকে কেন বকছো?;

“তোকে কফি আনতে কে বলেছে?;

“ছাদে স্ সবাই কফি খাবে বলল!;

“তো, তাই বলে সব গুরু দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিবি? মা, ছোট মা নেই? তোর মতো বলদকে দিয়ে কেন এসব কাজ করাতে যায়?;

“আমি.. আমি বলদ! তুমি কিন্তু..;

“আর একটা কথা বললে থাপড়ায় দাঁত ফেলে দিবো।;

চুপসে গেলো ইশা! ওর মুখে আর কথা আসলোনা। শ্রাবণ পূণরায় দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

“এতো গুলো মানুষ কফি খাবে আর উনি নাচতে নাচতে কাপে করে কফি নিয়ে চললেন! ইচ্ছে করছে মাথায় তুলে আছাড় মা*রি! বাসায় ফ্লাক্সের অভাব? ফ্লাক্সে করে নিয়ে গিয়ে সবাইকে দিতে পারলিনা! এই তোর ঘটে কি আসলেই বুদ্ধি নেই? এতো হাঁদা তুই?;

ইশার মনেমনে অনেক কথা জমলো! কিন্তু এই মানুষটাকে কিছু বলার বোকামি সে করবেনা। তাই কোনো কথা না বলে চলে যেতে নিলেই খেতে হলো আরেক ধমক!

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে