ডাকপিয়নের ছুটি নেই পর্ব-৪২

0
337

#ডাকপিয়নের_ছুটি_নেই ♥️
#লেখিকা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#পর্ব______৪২

বেলা ফুরালো। সাঁঝবেলার সন্ধিক্ষণে উত্তরের দিশা থেকে ভেসে এলো আজানের প্রগাঢ় ধ্বনি। ইশা হাতের উল্টো পিঠে চোখের কোনে জমে থাকা জলটুকু মুছে নিয়ে গায়ে জড়ানো চাদর থেকে উন্মুক্ত কপাল মুড়িয়ে নিলো। আজানের কলরবের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষণকালের জন্য হলেও শীতল হলো দু’জনের চঞ্চল হৃদয়খানা। শ্রাবণ প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছেড়ে, ঘাড় বাঁকিয়ে আধাআধি তাকালো। আদেশ দেওয়া গলায় বলল,

“ভেতরে যাও।;

“তুমি আসবেনা?; শ্রাবণের কথার পৃষ্ঠে গলা শোনালো ইশার।

শ্রাবণ পুনরায় গম্ভীর রূপ ধারণ করলো। অন্য ভাবনায় ততক্ষণে ডুবে গেলো তার বিবশ মনন।

শ্রাবণকে অন্যমনস্ক হয়ে পড়তে দেখে আর কিছু বলতে যেয়েও পারলোনা ইশা। এক সমুদ্র মন খারাপ নিয়ে নিঃশব্দে প্রস্থান করলো।

ইশা নামাজ পড়লো। নামাজের পর প্রায় অনেকটা সময় জায়নামাজে পড়ে রইলো। কতক্ষণ কান্না করলো, আবার কতক্ষণ আল্লাহ পাকের নিকট আশ্রয় চাইলো। বড্ড অসহায় লাগছে নিজেকে। শ্রাবণকে না জানিয়ে কাজটা করে ও ভুল করেছে। সেটা এখন হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে। কি এমন হতো? শ্রাবণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতো? তাতে কি? ও কি পারতোনা মানুষটা বোঝাতে? তবে সময় এখনও ওর অনুকূলেই আছে। এখনও ততটা দেরী হয়ে যায়নি।

দরজায় করাঘাত পড়লো। ইশা মোনাজাত শেষ করে জায়নামাজ গুছিয়ে ওঠা কালীন বাইরে থেকে দরজায় করাঘাতের শব্দ পেয়ে ও সেদিকে তাকায়। দরজা ভেজানোই আছে। ইশা দোয়া শেষ করে গলা ঝাড়লো,

“কে, ভেতরে এসো?;

অনুমতি পেয়ে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে এলো নামিরা, তুতুন আর তানি। ওদের তিনজনকে দেখে ঠোঁটের কোনো লম্বা একটুকরো হাসির রেখা ফুটে উঠলো ওর।

“কি ব্যাপার, সবার একসাথে আসা হলো যে?;

ইশা আগ্রহী জানতে। প্রশ্নটা করে বিছানায় বসতে বসতে তিনজনকে বসতে ইশারা করলো। নামিরা ওকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বলে উঠলো,

“কি হয়েছে তোর, আবার কেঁদেছিস নাকি?;

নামিরার গলায় বিস্ময়। ওর চিন্তান্বিত কন্ঠে এবার তানিও সিরিয়াস ভঙ্গিতে দেখলো ইশাকে। ইশা নিজের দুঃখ লুকাতে চাইলো। তাই সহাস্যে নামিরার কথাটাকে মজা বানিয়ে বলল,

“কাঁদবো কি রে, এখন যে আমার সুখের দিন শুরু।;

নামিরার উদ্বেগ কমে এলো ইশার প্রতিত্তোরে। হ্যাঁ ঠিকই তো। এখন আর দুঃখ কিসের ওর? নতুন অতিথি আসছে খান বাড়িতে। এই খুশির আবেশ চলতে থাকবে বহুদিন। টান টান উত্তেজনায় কাটবে গোটা সাতটা মাস। নামিরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে বলল,

“তা যা বলেছিস। জানিস, আমার ভাবতেই কি ভীষণ ভালো লাগে। মনে হচ্ছে আমি নিজেই মা হতে চলেছি।;

নামিরার বোকার মতো ভাব প্রকাশে হেসে ফেললো তানি। নিঃসংকোচে বলে ফেললো,

“ওওো, দ্যেন ইউ অলসো গেট প্রেগন্যান্ট ভাবি। হোপ সো, ভাইয়া ডোন্ট স্যে ‘নো।;

কথাটা বলতে দেরী হলেও শব্দ করে হেসে ফেলতে দেরী করলো না ইশার। সঙ্গে জুটলো তানি আর ওর ডেভিল মার্কা হাসি। তুতুন অবুঝ বাচ্চা, বোনদের সাথে তাল মিলিয়ে সেও হাসতে লাগলো। বিপাকে পড়ে গেলো বেচারা নামিরা। তার রায়বাঘিনী ননদীনি যে এরূপ ঠাট্টা করে বসবে, তা যে কস্মিনকালেও ভাবেনি সে।

“কথাটা ও মন্দ বলেনি মাই ডিয়ার ভাবি। কিউ না আপ ভি…;

ইশার পুরো কথাটা শেষ করতে দিলোনা। তার পূর্বেই নামিরা তেড়ে গিয়ে ইশার মুখ চেপে ধরলো। কুটিল চাহনিতে বলে উঠলো,

“নো প্লিজ।;

“কেন হ্যাঁ, তুই তো বলতি সবসময়, আমরা দু’জন বেস্ট ফ্রেন্ড একই সাথে একই সময়ে বিয়ে করবো। আর আমাদের বেবিও হবে একসাথে। বিয়েটা তো হলোনা, এটলিস্ট বেবিটা তো নিতেই পারি।;

থামাতে পারলোনা ইশাকে। এমনকি তানিও থেমে রইলোনা। দু’বোন মিলে ইচ্ছে মতো লজ্জায় ফেললো নামিরাকে। নামিরা পারলে সেন্সলেস হয়ে যেতো ওখানে। বড্ড পাজি এই তানিটা। আর তার সাথে যুক্ত হলো ইশাটাও।

সন্ধ্যার একটা জমজমাট নাস্তা হলো ইশার ঘরে। বাকিরাও পেয়েছে, তবে ওদের তিনজনের আড্ডাটা নিরলস ভঙ্গিতে অব্যাহত রয়েছে ইশার ঘরে। তানির সব দম ফাটা হাসির গল্প, এবং তুতুনের কিছু না বোঝার মুখস্থ চর্চা চর্চিত হয়ে গেলো। কিন্তু এতো সময়ের মাঝেও একবারও শ্রাবণের মুখ দর্শন হয়নি ইশার। শ্রাবণ আসেনি ঘরে, মনে পড়তেই লুকানো ক্লেশ গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো ইশার মনে। যার দরুণ হাসি মজায় মেতে থাকা ওর উৎসুক মুখের ভঙ্গিমা ক্ষণকালেই বিলুপ্ত হয়ে গেলো। ব্যাপারটা দৃষ্টিগোচর হয়নি নামিরার। তাই সে সবার অলক্ষ্যে মৃদু স্বরে প্রশ্ন করেই ফেললো,

“তুই ঠিকাছিস ইশা? তোর চোখমুখ কিন্তু অন্য কথা বলছে! কি হয়েছে তোর সোনা? মুখটা ওমন হয়ে আছে কেন! কি নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা তোর?

কতটুকু দুশ্চিন্তার কথা আর খোলাসা করবে নামিরার কাছে। ইশার বুকটা ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে নীরব যন্ত্রণায়। কোথায় শ্রাবণ, কোথায় সে?

অনেক্ষণ যাবত ছেলেকে লক্ষ করছেন আফিয়া বেগম। কিভাবে কথা শুরু করবেন ভাবতে ভাবতে এক কাপ কফি নিয়ে গেলো ছেলের কাছে। না হয় কফির বাহানাতেই ছেলের সাথে কথা জুড়বেন। তিনি মা হয়ে বোঝেন ছেলের মনের অশান্তি। কিন্তু সন্তানদের সব অশান্তিতে মায়েদের নাক না গলানোটাই উত্তম। তবে, এই মুহুর্তের অশান্তিতে মা হয়ে ছেলের সাথে তার কথা বলা আবশ্যক।

“এতো অস্থির হয়ে আছিস কেন? বাবা হওয়ার বিষয়টা হজম হচ্ছেনা?;

খানিক ঠাট্টা করার ভঙ্গিমায় কথা পাড়লেন আফিয়া বেগম। শ্রাবণ মাথা নীচু রেখেই কফিটা নিলো মায়ের থেকে। সমস্ত ক্লান্তি, দুশ্চিন্তার অবসান এক কাপ কফি। একটা চুমুক দিয়ে কথা পাল্টানোর প্রসঙ্গে বলল,

“কফিটা ভালো হয়েছে মা।;

আফিয়া বেগম ভ্রু কুঞ্চিত করলেন। পন্ডিতি একটা ভাব নিয়ে বললেন,

“কথা ঘোরাচ্ছিস কেন বলতো? সব ঠিকঠাক আছে তো বাবা?;

কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিলে ভ*য়ানক জ্ব*লে। ঠিক তেমন ভাবেই জ্ব*লছে শ্রাবণের বুকের ভেতরটা। মাকে সবটা বলবে কিনা ভাবছে সে। কিন্তু বললে কি হবে? এখন আর কোনোকিছুই ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সে পারবেনা একটা নিষ্পাপ প্রাণকে নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিতে। যেটা ইসলামও সম্পূর্ণ হা*রাম বলে ঘোষণা দিয়েছে।

“এতো কি ভাবছিস? এই শ্রাবণ..;

“হ্যাঁ?;

“কি ভাবছিস? কি হয়েছে তোর! সকাল থেকে দেখছি অন্য চিন্তায় বারবার মসগুল হয়ে পড়ছিস?;

“কি হবে মা। কিছুইনা।;

বলতে বলতে ক্লেশ ছেড়ে পুনরায় কফির কাপে চুমুক দেয়। আফিয়া বেগম হাল ছাড়লেন না। সরাসরি প্রশ্ন করে বসলেন,

“তুই কি এই সুসংবাদে অখুশি? ইশার প্রেগন্যান্সি তোকে চিন্তার অতল গহ্বরে ফেলে দিলো যেন!;

বুকটা পুনরায় জ্বলে যায় শ্রাবণের। কফিটা পুনঃবার খেতে নিয়েও রেখে দেয়। আফিয়া বেগম ছেলের পরিবর্তন লক্ষ করে হেসেই ফেললেন। মমতাময়ীর মায়াবী হাসি। ঠোঁটের কোনে হাসি বজায় রেখে বললেন,

“প্রথম প্রথম প্রেগন্যান্সিতে মেয়েদের কত রকম পাগল পাগল চিন্তা থাকে জানিস? এক মাস, দু’মাস পেরোতেই ওরা সারাক্ষণ এই ভাবনায় মসগুল হয়ে যায় বাচ্চা কেমন হবে, কার মতো হবে, ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে? একশ রকম চিন্তা। ঠিক বাচ্চাদের মতো। আবার যখন, ছ’মাস পেরিয়ে যায়, তখন তো তাদের মহা দুশ্চিন্তা গুলো আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। বাচ্চার জন্য ড্রেস কেনা থেকে শুরু করে তার জন্য একটা আলাদা ঘর বানিয়ে ফেলে। আর সেই ঘরটা রোজ তার একেকটা স্বপ্ন ভেঙে সাজিয়ে তোলে নির্নিমেষ। আবার যখন ন’মাসে পা দেয়, তখন সারাক্ষণ একটা মেয়ের দুশ্চিন্তা থাকে আর যাই হোক তার সন্তানটা যেন সুস্থ, স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীর আলো দেখতে পারে। সে চলে যাক, কিন্তু তার বাচ্চাটা রয়ে যাক। একজন মেয়ে, একজন মা কতটা স্যাক্রিফাইস করে ফেলে তার সন্তানকে দুনিয়াতে আনার জন্য! ভাবতেও পারবিনা বাবা।;

শ্রাবণের বুকটা চৌচির হয়ে ধরা দেয় মায়ের নিকট। শ্রাবণ নেমে পড়ে মায়ের পায়ের কাছে। পায়ের পা জোড়া আগলে ধরে মাথা রাখে মায়ের কোলে। তার কষ্ট হচ্ছে। ভবিষ্যত ভেবে তার বুকটা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে যে।

আফিয়া বেগম শ্রাবণের মাথায় হাত রাখলেন। হাত বুলাতে বুলাতে বললেন,

” জানিস, একজন মেয়ের, একজন মায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি কি? তার জীবনসঙ্গী। এই একটা মানুষকে সে চোখ বন্ধ করে ভরসা করে যায়। আর প্রেগন্যান্সির সময় একজন স্বামীর ভূমিকা থাকে অতুলনীয়। স্বামীর ভরসাতে, স্বামীর দেওয়া মনোবলেই মেয়েরা ম*র*ণের চেয়েও কঠিন য*ন্ত্র*ণা পার করে আসতে পারে। প্রসব বেদনা তখন আর ঘায়েল করতে পারেনা একজন নারীকে।;

“মা আমি কি করবো? আমার যে সবটা বড্ড এলোমেলো লাগছে। আমার নিজেকে এলোমেলো লাগছেনা মা। আমি বুঝি নিজেকে হারিয়ে ফেলছি!;

“না রে বোকা। তোর মতো এই অনুভূতি প্রত্যেকটা ছেলেরই হয়। তারা বুঝে উঠতে পারেনা এই সময়টা তাদের ঠিক কতটা স্থীর ও শক্ত থাকতে হয়। তারা যদি একটাবার ভাবে, তাদের মুখের এক চিলতে হাসিই তাদের স্ত্রীদের মনোবল, তাদের স্থীর ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে, কোনো ভাবেই তাদের মাঝে ভেঙে পড়ার ন্যায় তিক্ত অনুভূতি আসতে দেয়না, তখন তারা নিশ্চয়ই নিজেদেরকে সামলে রাখতো। তোর বাবাও ঠিক তোরই মতো, তোর আসার সংবাদে কথার খেই হারিয়ে ফেলেছিলো। তখন বাবা ছিলেন সবার মাথার উপরের একমাত্র পরিচালক। আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক। তিনি তোর বাবাকে ঠিক এভাবেই বুঝিয়ে ছিলেন, ‘ওর হাতটা শক্ত করে ধরো, ভালোমন্দের বিচার করবেন আল্লাহপাক, আমাদের এতো দুশ্চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই’ এই কথা শুনে মানুষটা এক নিমিষে বদলে গেলো। কি ভয় কি ডর, সব ভুলে সে আমার হাতটা এমন ভাবে আঁকড়ে ধরলো যে আমিও সমস্ত ভ*য়কে জয় করে তোকে সুস্থ ভাবে দুনিয়ার আলো দেখাতে সক্ষম হলাম। বাবারে, ইশাকে এই মুহুর্তে একা ছাড়িস না। ওর পাশে থাক। ওকে আগলে রাখ। না জানি, মেয়েটার মনেও কতটা ভয় জমে আছে। এগুলো আর কেউ নয়, একমাত্র তুই পারবি দূর করতে।;

“মা, আমি যদি ইশাকে হারিয়ে ফেলি? আ্ আমার ইশা যদি আমার থেকে চিরতরে হারিয়ে যায়!;

শঙ্কায় বুক কাঁপছে শ্রাবণের। ছেলের মনের অবস্থা পুণরায় অনুধাবন করতে আফিয়া বেগমের বিন্দুমাত্র সময় অপচয় হলোনা। তিনি মৃদু হাসলেন। শ্রাবণের মাথায় হাত বুলিয়েই যাচ্ছেন। খানিক সময় বয়ে গেলো। হয়তো তিনি ছেলেকে পুনরায় বোঝাতে যেয়ে কিছুটা সময় নিলেন। অতঃপর পুনরায় বললেন,

“মানুষ মনের অসুখে ম/রে বেশি! মানুষ যখন সুখে থাকে তখন উপরওয়ালা তার আয়ুতে আরও দুটো দিন যুক্ত করেন। তাই তো বলছি, ইশাকে সুখে রাখার জন্য সব কর। যতদূর যেতে হয় যাবি। ওর সুখের জন্য তোর মনের ঘরে কোনো না’ এর জায়গা যেন না হয়।;

“আমি বোধহয় ইশাকে অসুখের বেড়াজালে বাঁধবে নিয়েছিলাম মা।;

“কেন? কি এমন করেছে আমার মেয়েটা?;

“ও কিছু করেনি, সবটাই আমার না’ এর জন্য। আমি ওকে না’ করেছিলাম মা।;

“ইশাকে কখনোও ভুল বুঝিসনা বাবা। ইশা এমন একটা মেয়ে যে কিনা সবার সুখের কথা চিন্তা করে নিজে বি*ষপান করে নিতে পারে। দেখ, ওর জীবনে যে কয়টা ভুল সবই ছিলো আমাদের বোকামির ফল। ও কোনোদিন মুখ ফুটে নিজের চাহিদা, নিজের ভালো লাগার কথা ব্যক্ত করেনি। সব সময় আমরা কি চেয়েছি, আমাদের কিসে ভালো লাগবে সেই ভেবেই ও সবকিছু করে গেছে।;

শ্রাবণের অক্ষিকোন থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লে আফিয়া বেগম শ্রাবণকে তুলে বসালেন। পরম যত্নে ছেলের অশ্রুসিক্ত নয়ন জোড়া দু’হাতে মুছিয়ে দিয়ে বললেন,

“ইশাকে কষ্ট দিয়েছিস, তাই না?;

শ্রাবণ মাথা নীচু করে ফেলে। পরক্ষণে মাথা নেড়ে জানান দেয়, ‘হ্যাঁ’

আফিয়া বেগম শ্রাবণের গালে একটা মা/র দিয়ে শাসনি গলাতে বলে উঠলেন,

“খুব বাড় বেড়েছিস তুই! আমার মেয়েকে কষ্ট দেওয়া বের করবো তোর। এখন যা। রুমে গিয়ে হাত জোড় করে মাফ চাইবি। বলবি, তুই ভুল করেছিস। যা!;

“মা..(কাঁদো কাঁদো মুখে)

আফিয়া বেগম আবারও হাত তুললেন, তবে এবার মারলেন না। গরম চাহনি দিয়ে রুমের পানে নির্দেশ করে বললেন,

“এক্ষনি যা।;

শ্রাবণ কথা শোনা বাধ্য ছেলেটির ন্যায় উঠে গেলো। আফিয়া বেগম প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছেড়ে ছেলের যাওয়ার পানে একবার দেখলেন। ভাবলেন, আরও কতটা বোঝালে তার ছেলেটা ভালো থাকতে পারবে। ইশাকে ভালো রাখতে পারবে।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে