চন্দ্র’মল্লিকা পর্ব-১০

0
175

চন্দ্র’মল্লিকা ১০
লেখা : Azyah_সূচনা

কতই তো হৃদয় ভাঙ্গে প্রতিদিন।আবার ভেঙে যাওয়া টুকরোগেলো তুলে জোড়াতালি দেয়। বিচ্ছেদের বেদনায় ভুগেছে অনেকে যুগ যুগ ধরে।আবার উঠে দাঁড়িয়েছে ঢলমলে পা নিয়ে।সবই দ্বিপাক্ষিক।কেউ দুঃখ দিয়ে সুখ পায়।কেউ নিজের সুখটা উজাড় করেও দুঃখী।সম্মুখে নিরপরাধ মানুষকে আগুনে পুড়তে দেখে প্রেমিক হৃদয় সস্তি পায় কখনো?মিষ্টির মুখে তার মায়ের দুর্দশার গল্প শুনে হাহাকার করছে ভেতরটা।এবারও তার করার মতন কিছুই নেই।কোনো অধিকার নেই।যখন ছিলো সুযোগ তখনও ঠিকঠাক সদ্ব্যবহার করতে জানেনি মাহরুর।

“চন্দ্র এসেছিল মাহি ভাই?”

শিরীনের প্রশ্নের জবাবে মাহরুর ছোট্ট করে উত্তর দেয়, “হু”

“কেমন আছে ও?”

ছোট্ট আয়নায় চেয়ে শেভ করতে করতে হাতটা থেমে যায়।কেমন আছে এর উত্তরটা শিরীনের কাছেও ভালো লাগবে না। হায় হুতাশ করবে। মাহরুরের হৃদয়ের বেদনা বাড়বে।কি দরকার?বাদ দিলো মাহরুর।

পূনরায় হাত চালাতে চালাতে বললো, “আছে ভালোই”

চট করে শিরীন বলে উঠে, “আমার মনে হয়না মাহি ভাই ভালো আছে।স্বামী মরা মেয়ের শশুরবাড়িতে ভালো থাকাটা অসত্য।”

“হুঁম।”

ভাইয়ের ছোট্ট ছোট্ট উত্তর বড় গল্প বলছে।সেটা ভালোভাবেই বুঝেছে শিরীন।একই সাথেতো বেড়ে উঠা। চাল চলন সবটাই মুখস্ত।যেমন শিরীন কিছু মুখ ফুটে বলার আগে মাহরুর বুঝে ফেলতো।ঠিক একইভাবে ভাইয়ের গোমড়া মুখের আড়ালে কি সেটা শিরীনের বোধগম্য।

“মাহি ভাই?”

“বল শুনছি”

গলা ভেজায় শিরীন।লম্বা একটা শ্বাস টেনে বললো, “চন্দ্রকে নিয়ে…আবার ভাববে?”

ব্লেডটা গালে গেঁথে গটগট করে রক্তপাত শুরু হয়।সাদা ফেনার মাঝে লাল টকটকে রক্ত!চমকায় মাহরুর।কথার ঝাঁপটায় হাত ফস্কে গেছে। ভড়কেছে শিরীনও।তাকে সুযোগ না দিয়েই তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে লাগে মাহরুর।

খানিক উচু গলায় বলে, “আজেবাজে বকবি না শিরীন।”

“তুমি আগে কাঁটা জায়গায় মলম লাগাও”

এন্টিসেপটিক ক্রিম গালে লাগিয়ে দেয়।ভীষণ রকমের বিরক্ত সে।ভীষণ!শিরীনের এমন কথা নগদ তার মনে অসাধু ইচ্ছের জাগরণ করছে সেটা জানে? লাগাম শক্ত করে টানতে হবে।

শিরীন বললো, “কি আজেবাজে বললাম?চন্দ্র সেখানে ভালো নেই।আর এখানে তুমি।দুজন মিলে যাও।এতেই তোমাদের দুজনের সুখ”

শব্দ করে দুহাত মিলিত করে শিরীনের সামনে মাহরুর।হাত জোড় করার ভঙ্গিতে।শক্ত মুখ আর করুন গলা নিয়ে বললো, “আর এই বিষয়টা কোনোদিন তুলবি না।হাত জোড় করে বলছি।বাড়ি যা”

শিরীন একটি জেদী। চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলা তার আগের স্বভাব।তবে ভালো কাজেই ধারালো মুখ ব্যবহার করে। সরাসরি ভালোবাসা প্রকাশের ঘাটতি আছে তার মধ্যে।সেও রাগী সুরে বলল,

“হ্যা বলবো না!আমার কি?চন্দ্র আর ওর নিস্পাপ বাচ্চাটাকে জাহান্নামে পড়ে থাক। তুমি মানসিক কষ্টে আছো।আর চন্দ্র পুরো মেয়েটাই আস্ত একটা কষ্ট।…..কি ভেবেছো ওর পিঠের দাগ আমি দেখিনি?শাড়িতে লুকিয়ে রাখলেই দৃষ্টির আড়াল হয়? আজকালতো আপনজন থেকেও বেচারি নিজেকে আড়াল করে বেড়ায়।ধ্বংস হতে থাকুক তারা।তুমি এবারও হাতে হাত রেখে তামাশা দেখো!”

আকাশ ছোঁয়া ভাবনা। চন্দ্র কি সাধারণ?সে আকাশের চাঁদ।হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়না।যত কাছে মনে হবে?সেই চিন্তা থেকেও দূরে তার অবস্থান।ধরতে গেলে আরো দূরে সরবে।যেমন বলেছিলো চন্দ্রকে।বয়সে আমাকে ধরতে পারবি না।যত কাছে আসবি আমি লাফিয়ে আরো দূরে চলে যাবো। ইতিহাস পুনঃপ্রচার হয়। চন্দ্র থেকে পালিয়ে বেড়ানো মাহরুর এর কাছে সেই চন্দ্রই অধরা।

__

“মা!মা চোখ খুলো?কি হয়েছে মা?”

ক্ষুদ্র দুটো হাত মায়ের গাল চাপ্রাচ্ছে।দাদী ধাক্কা দেওয়ায় মাথায় আঘাত পেয়েছে চন্দ্র। অর্ধজ্ঞান অবস্থা! পরিশ্রান্ত দেহ।মেয়ের কথা কান অব্দি পৌঁছালেও কোনো প্রতিক্রীয়া দিতে লাগলো না।
বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে মুখে পানি ছিটায় মিষ্টি।মায়ের কাছ থেকেই শিখেছে এটাও।দাদী অজ্ঞান হওয়ায় তার মাও এই পন্থা অবলম্বন করেছিলো।কাজ হলো না। দিশেহারা মিষ্টি দাদীকে ডাকে।সেও গুরুত্বহীন।

বলে, “মরবে তোর মা।এরপর তোকে দেখাবো”

“দাদী আমার মা মরবে না।মাকে একটু ডাকো দাদী!”

“যা এদিক থেকে।”

নিজের ভার নিজেরই বহন করতে হবে চন্দ্রের।মেয়ের জন্য হলেও বেচে থাকা আবশ্যক।তাকে হারালে মেয়েটার কত অধঃপতন আসবে?কল্পনার বাহিরে।বারংবার নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাড়ায় কোনোমত। ইতিমধ্যে মাকে উঠতে দেখে মিষ্টি এসে হাজির। দুর্বল হাতে মেয়ের হাত ধরে বেরিয়ে আসে বাড়ির বাহিরে। বেশিদূর এগোতে পারলো না।দরজার সামনে আসতেই টলমল করে পা।পড়ে যেতে নিয়েও নিজেকে সামলায়।

আকস্মিক মিষ্টি চেচিয়ে উঠলো।ডাকলো, “মামা! মামা!”

রেদোয়ান ও মাহরুর উভয়ই দ্রুত গতিতে মাথা ঘোরায়। অবাধ্য মনটা বুঝি এই ডাক শোনার জন্যই মিছে বাহানা দিয়ে নিয়ে এসেছিল চন্দ্রদের বাড়ির সামনের চায়ের দোকানে। আড্ডাতো তার স্বভাবে নেই।তবে?রাস্তার অপরপাশে মিষ্টি আর চন্দ্রকে দেখে বুকটা ধ্বক করে উঠে। কাচ নির্মিত চায়ের কাপটা জমিনে পড়েছে। রেদোয়ানকে ফেলেই এগিয়ে গেছে।

গেট ধরে দাড়িয়ে থাকা চন্দ্রের দিকে চেয়ে নেয় একবার।এখানে নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা আছে।তবে প্রশ্ন করলো মিষ্টিকে।ওই যথাযথ উত্তর দেবে,

“কি হয়েছে মিষ্টি?”

“মামা … মা অসুস্থ।দাদী বলেছে মরে যাবে।তুমি কিছু করো মামা!”

ভয় হুড়মুড় করে বেড়ে উঠলো।এসব ফালতু কথা শুনেও গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। রেদোয়ান কিছু বলতে চাচ্ছিল।তার আগেই মাহরুর বলে,

“রেদোয়ান একটা গাড়ি ডাকো জলদি!আর মিষ্টিকে কোলে নাও।”

মাহরুরকে দেখে চন্দ্রের অবস্থা উন্নতির বদলে অবনতির দিকে গেলো।শরীর প্রায় নিষ্প্রাণ! এর মাঝে অতীত বর্তমানের সকল স্মৃতি মাথায় চড়ছে।

মাহরুর হাত এগিয়ে বললো, “রাগ দেখাবি না।এখন তোর সুস্থতা তোর অভিমানের চেয়ে বেশি জরুরি।আয় আমার সাথে।”

চন্দ্র চোখ বুজে। মাথা দোলায় দুপাশে।সে যেতে ইচ্ছুক নয়।বিনা আওয়াজে না বোধক উত্তর দিলো। মাহরুরকে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলে শরীর আর সাথ দিলো না।মাথা ঘুরে উঠেছে তীব্রভাবে।সামলে নেওয়ার জন্য শক্তপোক্ত হাত জোড়া আছে।এক ঝটকায় কোলে তুলে নিলো। রেদোয়ান গাড়ি ডেকেছে। চন্দ্রকে নিয়ে উঠে গেলো দ্রুত।বুকে মাথা পেতেছে?তাও ইচ্ছেকৃত না।অজ্ঞান অবস্থায় বুকে লেপ্টে আছে চন্দ্র।এই মুহূর্তে যে অনুভূতিটা হচ্ছে সেটা ভাষায় বোঝানো অসম্ভব।মাথা থেকে পা অব্দি সম্পূর্ন শূন্য মাহরুর। চন্দ্রের শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হতে দেখা গেলো।ঘনঘন নিঃশ্বাস টানছে।জ্ঞানহীন চন্দ্রকে ক্ষণিকের জন্য নিজের ভেবে চেপে ধরলো নিজের সাথে। মরুর বুকে এক ফোঁটা পানির সন্ধান।মনের মধ্যে পুষে রাখা চন্দ্রকে কাছে পেয়ে বেহায়াপনা করলো।ছলেবলে হাহাকারটা থামুক।ভাবতে লাগলো এভাবেই মৃত্যু হলে জীবন নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকতো না মাহরুরের।

“চন্দ্র!আমার চন্দ্র।এত কষ্ট কেনো করছিস?তুই শুদ্ধ,পবিত্র।তোর ভাগ্যে রাজ্যের সমস্ত সুখ থাকার কথা।”

পাশে বসা মিষ্টি মাহরুরের হাত টেনে ধরলো।বললো, “মামা।মার কি হয়েছে?”

“কিছু হয়নি মিষ্টি।মা একদম ঠিক আছে”

“তাহলে মার চোখ বন্ধ কেনো?”

“তোর মা ক্লান্ত।তাই একটু ঘুমাচ্ছে। দেখবি একটু পরই জেগে উঠবে”

___

“রক্ত শূন্যতা,শরীর অনেক দুর্বল।”

চন্দ্রের চেকআপ শেষে এটাই জানালেন ডাক্তার। সেলাইন লাগিয়ে রেখেছেন।বহুদিনের এই দুর্বলতা।ডাক্তার আরো জানান অন্তত দুইদিন ভর্তি রাখতে হবে।আরো অনেক চেকআপ বাকি।তবে এখন সুস্থ আছে এটাই সস্তিদায়ক বাক্য।

একজন নার্স এসে জানতে চাইলেন, “আপনি পেশেন্টের কি হন?”

এখানে থমকে দাড়ায় মাহরুর।কি সম্পর্ক তাদের?কিছু বলে পরিচয় দেওয়ার মতোন কেউই না সে। নার্স অপেক্ষা করছে। রেদোয়ান শিরীনকে কল করে মাত্রই ফিরলো। মাহরুরকে নিরুত্তর দেখে রেদোয়ান বললো,

“নার্স আমি পেশেন্টের ভাই।বলুন কি সমস্যা?”

রেদোয়ান এর গায়ে পুলিশি পোশাক দেখে নার্স বললো, “পেশেন্টের গায়ে আঘাতের চিহ্ন।আমরা সন্দেহ করছি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স।আপনিতো পুলিশ?”

“জ্বি”

“আসুন আমার সাথে।ডাক্তারের সাথে কথা বলবেন।”

মাহরুর এগিয়ে আসতে চাইলে তাকে থামিয়ে দিল নার্স।বললো, “আপনি এখানেই থাকুন”

মিষ্টি কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েছে।এই ছোট্ট মনে মায়ের জন্য কি অগাধ ভালোবাসা।এখনও এই পৃথিবীকে চেনেছি ঠিকভাবে।শুধু একটাই অনুভূতি আছে।ভালোবাসা।বড় হলে আরো অনুভূতিরা যোগ দিবে।ঘৃনা,রাগ আরো কত কি? মাহরুর নিদ্রায় নিম্মজিত মিষ্টির পানে চেয়ে ভালো বয়েসটা তারও এখানে এসে থেমে যেতো?পৃথিবীর মায়াজালে জড়াতে হতো না তাহলে। কঠিনতার পরিবর্তে সরল জীবন যাপন করতো।

“রেদোয়ান একটা সাহায্য চাইবো”

মিনমিনে গলায় বললো মাহরুর।তারই প্রেক্ষিতে জানতে চাইলো রেদোয়ান।কি রকমের সাহায্য?বললো,

“বলো কি সাহায্য।আমার সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্যই করবো।”

“চন্দ্রকে ওয়ার্ড থেকে একটা ক্যাবিনে শিফট করতে চাইছি।কিন্তু হাতে অত টাকা নেই।আমাকে কিছু টাকা উধার দিতে পারবে?”

ছোটবোনের স্বামীর কাছে খুবই লজ্জিত হয়ে টাকা চাচ্ছে মাহরুর।দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে এই দিনটা আসতো না।যে টাকা আছে সেটা দিয়ে আগামী দুদিনের ক্যাবিন ভাড়া হবে না। তাছাড়াও আরো অনেক খরচ আছে।

আরো একটু সবিনয়ে মাহরুর বললো, “আজ ব্যাংক বন্ধ। রবিবার ব্যাংক খুললে আমি নাহয় টাকাটা ফেরত….”

“চুপ থাকো মাহরুর।আমি আগেই সব টাকা পরিশোধ করে এসেছি রিসিপশনে।আর ক্যাবিনে শিফট করার কথা?এটা আমার মাথায় আছে।রাত নয়টায় একটা ক্যাবিন খালি হবে সেখানে চন্দ্রকে শিফট করে দিবো।”

“অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ধন্যবাদ ভাই”

“কেমন যেনো তুমি মাহি।আপনকে আপন ভাবতে পারো না।”

রেদোয়ানের অভিযোগ আজকের নয়।পুরোনো দিনের।যেদিন থেকে বোন জামাই না একজন শুভাকাঙ্ক্ষী একজন বন্ধু হিসেবে জেনেছে সেদিন থেকেই।তার ভাষ্যমতে মাহরুর নিজের বোনকে অব্দি পর করে দিয়েছে।

___

“চন্দ্র”

পরিশ্রান্ত চোখ তুলে দেখলো।ডাকটা এসেছে সদর দরজা থেকে।জ্ঞান ফিরেছে। মেয়েটাকে চোখ খুলেই নিজের পাশে পেয়েছে।এইতো সস্তি। সস্তির মাঝে ঝড় তুলে দেওয়ার মতন আওয়াজের আগমনে বোবা হয়ে রইলো চন্দ্র।

“এখন কেমন লাগছে?”

ভাঙ্গা গলায় জবাব দিলো, “ভালো”

চন্দ্রমল্লিকাকে চমকে দিয়ে মাহরুর বলে উঠে, “মন আর দেহ উভয়ের ক্ষত সারতে সময় লাগে।তুই বলছিস ভালো আছিস তুই?”

কেনো দরকারি মুহূর্তে কারো আগমন হতে হবে?চাচ্ছিলো একটু কথা বলতে?দুয়েক বাক্য ছাড়িয়ে গল্প টেনে আনতে।হলো না।নার্স এসেছেন।চারুকে ঘুমের ইনজেকশন দেবেন।তার ঘুম দরকার।লম্বা একটা বিশ্রাম দরকার।তাই। চন্দ্রমল্লিকারও এতে সায় আছে।ঘুমিয়ে পড়লে আর মাহরুরের অস্তিত্ব অনুভব করবে না।পুড়তে হবে না।

ঘুমিয়ে পড়ার আগে একটা প্রশ্ন নিজ থেকেই করলো, “মিষ্টি দুপুর থেকে না খাওয়া।ওকে যদি একটু কষ্ট করে খাইয়ে দিতেন উপকার হতো আমার”

মাহরুর ঠান্ডা স্বরে উত্তর দেয়, “খাইয়েছি”

রাত বাড়ছে।নির্ঘুম দুটো চোখ কতক্ষন?কতঘন্টা একদিকে চেয়ে?সেটা বোধয় কেউ জানে না। ক্যাবিনের দরজা খোলাই রেখেছে মাহরুর।রেদোয়ান বাহিরে।চলে যেতে বললে সে উত্তরে বলেছিলো নাইট ডিউটি করার অভ্যাস আছে।সে পারবে বিনা ক্লান্তিতে রাত জগতে।বুকে হাত বেঁধে চন্দ্রের দিকে চেয়ে থাকা মাহরুরের মন বলে উঠলো,

“বেহায়া তুই!অন্যের স্ত্রী আর অন্যের মায়ের দিকে চেয়ে আছিস।বুকে জরিয়েছিলি।”

নিজের কঠিন ভাব ভঙ্গি বজায় রেখে নিজেকেই নিজে উত্তর দিলো, “বেশ করেছি!”

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে