কাছের মানুষ দূরে থুইয়া পর্ব-০৮

0
158

#কাছের_মানুষ_দূরে_থুইয়া
#পর্ব৮
#Raiha_Zubair_Ripti

রাস্তার পাশ ঘেঁষে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পাশাপাশি হেঁটে চলছে তটিনী আর তাসফি। উদ্দেশ্য ভার্সিটি। তাসফি আজ দিয়ে আসবে ভার্সিটি, এরপর থেকে তটিনী একাই যাবে। আকাশ টা আজ মেঘলাময়। হয়তো আজ কোনো একসময় আকাশ চিঁড়ে এই ধরণীতে আগমন ঘটবে ঝোড়ো বৃষ্টির।

হাঁটতে হাঁটতে ক্যাম্পাসের মোড়ে আসতেই তাসফি তটিনী কে ডেকে উঠে। তটিনী দাঁড়িয়ে যায়। ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে কি?
তাসফি হাত ঘড়ি টার দিকে একবার তাকায়। -“ আমার অফিস যদি চারটার আগে ছুটি হয়ে যায় তাহলে আমি তোমাকে নিতে আসবো। অপেক্ষা করো?
তটিনী মাথা নাড়ায়। -“ ফোন করে জানিয়ে দিয়েন।
-“ অবশ্যই। আসি এখন। লেট হবে দেরি করলে।
তটিনী সামনে ঘুরে ভার্সিটিতে ঢুকে পড়ে।
ক্লাস রুমে আসতেই তটিনীর দেখা মেলে হলরুমে একসঙ্গে থাকা মায়রা নামের মেয়েটার সাথে।
মেয়েটা ভীষণ কিউট,নাদুস-নুদুস গাল। ইচ্ছে করে তটিনীর টিপে দিতে। তটিনী কে দেখামাত্রই মেয়েটা দৌড়ে কাছে আসে। তটিনী কাঁধের ব্যাগ টা বেঞ্চে রেখে বলে- আস্তে আয়। হারিয়ে বা পালিয়ে যাচ্ছি না আমি।
মায়রা তটিনী কে জাপ্টে জড়িয়ে ধরে বলে- “ খুব মিস করছি তোকে। হলে গিয়েছিলি?
তটিনী মায়রার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বলে- না হলে যাই নি। আমি আর হলে থাকবো না।
-“ কেনো? মায়রা অবাক হয়ে বলে।
-“ আমি হাসবেন্ড নিয়ে এসেছি।
-“ কিহ! বিস্ময়ের সাথে বলে কথাটা মায়রা। ‘ তুই কি বিয়ে করছিস? কাকে করছিস? আদিল ভাই তো বিয়ে করে ফেলছে।
-“ তোর কাছে একটা ফোন থাকলে এতোটা অবাক হতিস না। আগেই জানাতে পারতাম আমার বিয়ের খবর টা। সে যাই হোক ঐ আদিল ফাদিলের নাম আর আমার সামনে নিবি না। আমার আপুর দেবরের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। নাম তাসফি।
-“ ওহ্ পিক দেখা দুলাভাইয়ের।

উৎফুল্ল নিয়ে চায় তটিনীর দিকে। তটিনী ফোন বের করে তার আর তাসফির বিয়ের পিক দেখায়। মায়রা পিক গুলো দেখে বলে- ‘দুলাভাই তো দেখতে সেই জোশ। আদিল ভাইয়ের থেকে কম না..ওপ্স সরি.. কথাটা বলে জিহ্বায় কামড় দেয় মায়রা।

তটিনী ফোন টা নিয়ে ব্যাগে ঢুকায়। ক্লাসে টিচার আসতেই তারা ক্লাসে মনোযোগ দেয়।

ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসে গাছের তলায় থাকা ছাউনিতে বসে আছে তটিনী আর মায়রা। তাসফি ফোন করে জানিয়েছে তার ছুটি হয় নি। তটিনী যেনো সাবধানে বাসায় ফিরে। তটিনী তাকিয়ে আছে আকাশের কালো মেঘগুলোর দিকে। আর মায়রা তটিনীর মুখের দিকে। বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তটিনী বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে বলে-
-“ আজ আসি রে,দেরি করলে বৃষ্টির কবলে পড়তে হবে।
-“ আচ্ছা যা। মায়রাও হলের দিকে অগ্রসর হতে হতে বলে।
তটিনী ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়ে। রিকশাওয়ালা কে গন্তব্যের ঠিকানা বলে আশেপাশে তাকাতে থাকে। রাজশাহীর শহর সন্ধ্যার পর এক আস্ত অনুভূতিতে পরিপূর্ণ হয়ে আসে। চোখ জুড়িয়ে যায় আশেপাশে তাকালে৷ সেই অনুভূতি টা এই বিকেল বেলায় হচ্ছে না তটিনীর কাছে।
তটিনী তপ্ত শ্বাস ফেলে চোখ ফিরাতে নিলেই সামনে রাস্তার ওপর পাশে আদিল কে দেখতে পায়। আদিল তার হবু বউ আইরিন শপিং মল থেকে বের হচ্ছে। মুহূর্তে মুখে কালো আধার নেমে এলো। প্রথম দিনেই দেখা হতে হলো? মন টা বিষিয়ে গেলো। চলতি রিকশা থাকায় বেশিক্ষণ চেয়ে থাকতে পারলো না তটিনী। শো শো করে রিকশা চলে গেলো। তটিনী ভুলক্রমে ও পিছু ফিরে তাকায় নি। পেছু ফিরে তাকানোর অভ্যাস তটিনীর নেই।
বাসার কাছে এসে রিকশাওয়ালা কে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে লিফট বেয়ে উপরে উঠে। অলস শরীর নিয়ে রুমের দরজা টা কোনো রকমে খুলে ওমনি বিছানায় শুয়ে পড়ে।

সেই শোয়া থেকে উঠতে উঠতে তটিনী মাগরিবের আজানের আগ দিয়ে উঠে। আজান কানে আসতেই ওজু করে আসরের ক্বাযা নামাজ সহ মাগরিবের নামাজ পড়ে নেয়। তারপর রান্না ঘরে গিয়ে রুটি আলু ভাজি আর ডিম ভাজি করে। এর চাইতে বেশি কিছু এই মুহূর্তে করা পসিবল না তটিনীর পক্ষে। ফ্রিজে থাকা ভাত আর মাংসের তরকারি টুকু গরম করে টেবিলে সাজিয়ে রাখে।

তারপর পড়ার টেবিলে গিয়ে এক্সামের পড়ার প্রিপারেশন নেয়।

রাত নয়টার দিকে দরজায় কলিং বেল বাজার শব্দ কানে আসলে তটিনী বুঝে ফেলে কে এসেছে। ওড়না টা বিছানা থেকে নিয়ে মাথায় দিয়ে দরজা খুলে দেয়। তাসফি আরেকবার কলিং বেল বাজাতে যাচ্ছিল, এরমধ্যে তটিনী কে দরজা খুলতে দেখে হাত গুটিয়ে নেয়। তটিনী দরজা থেকে সরে দাঁড়াতেই তাসফি ভেতরে ঢুকে। তটিনী দরজা আটকে দেয়।
তাসফি সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে আগে ফ্রেশ হয়ে আসে। বাহিরের তীব্র বাতাসে ধুলোবালি সব উড়ে শরীরে এসেছে।

তাসফি ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হতে হতে কারেন্ট চলে যায়। তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে আগে ভাগেই কারেন্ট চলে গেলো। তটিনী ফোনের টর্চ অন করলো। আইপিএস টাও জ্বলছে না। তটিনী ফোনের টর্চ টা টেবিলে রেখে চটপট করে সব জানালা বন্ধ করে দেয়।
এখন বাহিরে বাতাসের সাথে জোরে জোরে বিদ্যুৎ ও চমকাচ্ছে।
সেই সকালে নামার বৃষ্টি ঝড় এই শেষ বেলায় এসে নামলো।
-“ খাবার বেড়েছি আসুন।
তটিনী রুম থেকে বের হতে হতে বলে যায়। তাসফি তটিনীর পেছন পেছন ডাইনিং টেবিলের কাছে যায়। তটিনী দু প্লেটে রুটি আর ভাত এগিয়ে দেয়। তাসফি রুটির দিকে তাকিয়ে বলে- ভাত খাবো না। দুটো রুটি দাও।
তটিনী তাই দিলো। দুজনে চুপচাপ খেয়ে দেয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়লো।

————————–
পরের দিন,,

ভার্সিটি তে আজ একাউন্টিং এক্সাম থাকায় তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে তটিনী। তাসফি পৌঁছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তটিনী মানা করে দিছে। তাসফিও আর জোর করে নি। একটা রিকশা ডেকে তটিনী কে উঠিয়ে দিয়ে সেও অফিসের জন্য বেরিয়ে যায়।

তটিনী ভার্সিটি এসে একাউন্ট সাবজেক্টের একটা অঙ্ক নিয়ে মায়রার সাথে ডিসকাশন করে। অঙ্ক টা কোনোমতেই মিলছিলো না। মায়রা আর তটিনী অনেক সাধনার পর মিলাতে পারলো। ঘন্টার বেল বাজার শব্দ কানে আসতেই দু’জনে চলে যায় পরীক্ষার হলে।

প্রায় আড়াই ঘন্টায় পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে তটিনী আর মায়রা। ভার্সিটির পাশে থাকা ভেলপুরির দোকান থেকে দু’জনে দু প্লেট ভেলপুরি খায়। তারপর যে যার বাসার দিকে হাঁটা ধরে।

তটিনী আজ আর ফেরার পথে রিকশা নেয় নি। রাস্তার পাশ ঘেঁষে হাঁটছে।

হাঁটতে হাঁটতে কখন যে আদিল দের বাড়ি ক্রস করে ফেলছে আজ আর খেয়াল করতে পারে নি। আদিল দের বাড়ির মোড় শেষ করতেই পেছন থেকে চিরচেনা কন্ঠ শুনে পেছন ফিরে তাকায়। আদিল দৌড়ে আসছে তার দিকে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলে- “ কখন থেকে ডেকে চলছি ডাক শুনো নি কেনো?
তটিনী আশেপাশে তাকালো। তারপর পাশ ঘেঁষে চলে যেতে নিলে আদিল রাস্তা আঁটকায়।

-“ এড়িয়ে চলছো কেনো?
-“ আপনি কি কোনো মহামূল্যবান ব্যাক্তি যে আপনাকে এড়িয়ে চলা যাবে না? শক্ত মুখে কথাটা বলল তটিনী। আদিল স্মিত হেঁসে বলল-
-“ কবে আসলে রাজশাহী?
-“ তার কৈফিয়ত আপনাকে দেওয়া লাগবে?
-“ না তা না দিলেও চলবে। হাসবেন্ড কোথায় সাথে?
-“ আপনার বউ কোথায় সাথে?
-“ বাসায়।
-“ অফিসে। আসি।
-“ আরে যাচ্ছ কেনো? কথা আছে তোমার সাথে।
তটিনী চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলে আদিল আবার রাস্তা আঁটকায়।
-“ তুমি কি এখনও আমার উপর রেগে আছো?
-“ কিসের জন্য আপনার উপর রেগে থাকবো?
ভ্রু কুঁচকে বলে তটিনী।
-“ আমি বিয়ে করে ফেলছি সেটা নিয়ে।
-“ এই বিষয় নিয়ে আমি আপনার সাথে কোনো কথা বলতে ইন্টারেস্ট নই।
-“ বাট আ’ম ইন্টারেস্ট।
-“ হোয়াই?
-“ তুমি কি জানো? তাসফি ভাই তোমায় আগে থেকে পছন্দ করতো?

তটিনী বিরক্তি নিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল। আদিলের কথা শুনে বিরক্তি ভাব টা মুখ থেকে সরে গিয়ে অবাকের ন্যায় হয়।
-“ মাথা খারপ নাকি আপনার?
-“ না আমার মাথা ঠিকই আছে। আমি ট্রাস্ট মি তোমাকে সেভাবে ভালোইবাসি নি। ভালোবাসলে কখনই তাসফি ভাইয়ের সামান্য থ্রেটে তোমায় ছাড়তাম না।
-“ মানে!
-“ তাসফি ভাই আমার আগে থেকেই তোমাকে ভালোবাসতো। তোমার সাথে রিলেশনে যাওয়াতে সে ভীষণ রেগে ছিলো। তাই তো তোমার আমার রিলেশনের তিম মাসের মাথায় তাসফি ভাই রাজশাহী এসেছিল আমাকে থ্রেট দিতে।
-“ কি নিয়ে থ্রেট দিছে?
-“ সেদিন তুমি বাড়ি গিয়েছিল। তাসফি ভাই কি করে যেনো আমার ঠিকানা পেয়েছিল সাথে ফোন নম্বর। আমাকে ক্যাম্পাসে আসতে বলল। আমি চিনতাম না তাকে। তখন তিনি পরিচয় দিলো উনি তোমার বোনের দেবর। তোমাকে নিয়ে কিছু কথা বলতে চায়৷ তো আমিও চলে যাই ক্যাম্পাসে। পরে গিয়ে দেখি তাসফি ভাই টঙের দোকানে বসে আছে। আমি চিনি নাই,উনিই আমাকে দেখে আমার দিকে এগিয়ে এসেছি। কোনোরকম কুশলাদি না করেই বলে উঠে-“ ভালোবাসো তটিনী কে?
আমি ভরকে গিয়েছিলাম। এমন ভাবে জিজ্ঞেস করেছিল মনে হচ্ছিল না সে হ্যাঁ তে খুশি হবে নাকি না তে খুশি হবে।
আমাকে চুপ থাকতে দেখে সে ফের জিজ্ঞেস করলো- ভালোবাসো তটিনী কে?
আমি আমতা আমতা করে জবাব দিয়েছিলাম- হ্যাঁ বাসি।
উনি মনে হয় আমার উত্তরে খুশি হন নি। চুল গুলো টেনে রাগ সংবরণ করার চেষ্টা করছিল। তারপর সোজা কথায় আসে।
-“ ভালোবাসা অপরাধ নয়। তুমি ভালোবেসেছো তটিনী কে, ওকে ফাইন। আজকের পর থেকে তটিনী কে আর ভালোবাসবে না।
-“ মানে?
-“ মানে সিম্পল। তটিনী কে তোমার আগে থেকে ভালোবাসি আমি। আর আমি চাই না আমার ভালোবাসায় কেউ ভাগ বসাক। তোমায় ভালোভাবে বলছি তটিনী কে ভুলে যাবা। আর শীগ্রই বিয়ে করবা। বিয়ের বয়স হয়েছে তোমার।
-“ মগের মুল্লুক নাকি? আপনি বললেই আমার বিয়ে করতে হবে? আর আপনি বললেই আমায় তটিনী কে ছাড়তে হবে?
-“ জানের মায়া আছে? খু’ন হতে চাও আমার হাতে?বলছি না তটিনী আমার? ওর উপর অধিকার কেবল আমারই।
-“ ভয় দেখাচ্ছেন?
-“ ধরে নাও সেটাই। আর তাছাড়া তোমার তো গার্লফ্রেন্ডের অভাব নেই। তোমার মতো চিট কে তটিনী পাত্তা দিলো কি করে?

-“ আমার সাথে রিলেশন চলা কালিন আপনার গার্লফ্রেন্ড ছিলো আমি বাদেও?
তটিনী সন্দেহান নিয়ে জিজ্ঞেস করলো আদিল কে। আদিল এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল-
-“ আইরিনের সাথে আগে থেকেই আমার রিলেশন ছিল। ওর সাথে ব্রেকআপ হওয়ার পরই ওকে জেলাস করানোর জন্য তোমার সাথে রিলেশন শুরু করি।

তটিনী কাঁধের ব্যাগ টা হাতে নিয়ে সোজা আদিলের বাহুতে বারি মেরে রাগান্বিত হয়ে বলে-
-“ এই তুই আমার চোখের সামনে থেকে যা। তোর আমাকে ফেলনা মনে হয়? তর গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেকআপ হলো বলে আমার সাথে রিলেশনে গেলি। আবার তোর গফের সাথে সব ঠিকঠাক হয়ে গেলো বলে আমায় ছেড়ে বিয়ে করে নিলি?

-“ তাসফি ভাই ই তো ঠিকঠাক করে দিলো আমার আর আইরিনের মধ্যকার দূরত্ব।

তটিনী কটমট চাহনি নিয়ে তাকালো আদিলের দিকে।
-“ উনি সব ঠিকঠাক করে দিছে তোর…সরি আপনার বিয়ের?
-“ হুমম।
-“ আমাকে আগে বলিস কেনো?
তটিনী আশেপাশে তাকিয়ে রাগ থামানোর চেষ্টা করে বলে।
-“ তাসফি ভাই নিজেই তো তোমায় বলবে জানিয়েছিল।
-“ আপনি জানাতে পারলেন না? যে যার মতো করে ইউজ করলেন আমায়!
-“ সরি।
-“ সরি বললেই সব সমাধান হয়ে যাবে?
-“ সেটা হবে না। কিন্তু আমরা তো কেউ অখুশি নেই তাই না? আমিও বিয়ে করে হ্যাপি,তুমিও বিয়ে করে হ্যাপি। তাসফি ভাই তো খারাপ না।
-“ আমার অনুভূতি গুলো ফাস্টে কাকে ঘিরে ছিলো? আপনি না উনি? আর উনি ও চিট করেছে আমার সাথে। ঠকিয়েছে আমায়। আমি এতোদিন ভেবেছি আমিই অন্যায় করেছি। এখন দেখছি আপনারা তো আমার থেকেও বেশি। দু’জন পুরুষ মিলে একটা মেয়ে কে জাস্ট ইউজ করলেন নিজেদের মতো করে ছিঃ।
-“ ভুল বুঝছো।
তটিনী আর কথা বাড়ালো না। তার রাগে শরীর কাঁপছে। রাগের জন্য ঠোঁট অনবরত কাঁপছে চোখে পানিও টলমল করছে। পাশ থেকে খালি রিকশা ডেকে সেটায় উঠে পড়লো।

#চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে