এক মুঠো প্রণয় পর্ব-০৪

0
441

#এক_মুঠো_প্রণয়
#পর্ব_০৪
লেখনীতেঃএকান্তিকা নাথ

মেহেরাজ ভাইয়ের মুখ টানটান।চুলগুলো উষ্কুখুস্কু।এমন কি চেহারাও শুকনো দেখাল।আমি দূর হতে একপলক তাকিয়েই নজর সরালাম দ্রুত।কিয়ৎক্ষন পর উনি এগিয়ে এলেন এদিকে।দরজার দ্বারে পড়ে থাকা ব্যাগটা হাতে নিয়ে আমার সামনে দাঁড়ালেন।তারপরই গমগমে স্বরে বললেন,

” জ্যোতি শোন, বিয়েটা আকস্মিক ভাবে হয়েছে। বিয়েটা হোক যেমনটা তুই চাসনি, তেমনই আমিও চাইনি।জোর করছি না তোকে, তোর কি ওখানে যাওয়াতে মত আছে?পড়ালেখায় অসু্বিধা হবে তোর?”

মেহেরাজ ভাইয়ের গম্ভীর কন্ঠে কাঠিন্য। তবুও কেন জানি না উনার এই মতামত চাওয়ার বিষয়টা আমার ভালো লাগল। মানুষটার সাথে আমার কোন রক্তের সম্পর্ক নেই,নেই কোন আত্মিক সম্পর্কও। আবার এমনও নয় যে তার সাথে আমার বহুদিনের একসঙ্গে বাস। তবুও উনি আমি নামক নগন্য মানুষটার মতামত জানতে চেয়েছেন। এইটুকুই যথেষ্ট! উল্টোদিকে আমার আব্বা আর দাদী? যাদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক আছে, তারাই একবারও তো জিজ্ঞেস করলেন না আমার মনে কি চলছে।একবারও জানতে চাইলেন না আমি ভালো থাকব কিনা।আমি হতবিহ্বল নয়নে একবার মেহেরাজ ভাইয়ের দিকে তাকালাম।জিহ্বা দিয়ে ঠোঁটজোড়া ভিজিয়ে কিছু বলব তার আগেই আরমান ভাই বউ সহ বাড়িতে ডুকলেন।সঙ্গে নিয়ে আসলেন আত্মীয়স্বজনের ভীড়।ব্যস!মেহেরাজ ভাইকে আর বলা হলো না কিছু।সেই ভীড়ের মাঝেই উনি পা বাড়িয়ে বের হলেন দ্রুত।আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলাম।কানাঘেষায় শুনতে পেলাম আমারই চরিত্রের প্রশ্ন।স্বজন অর্থ নিজের জন!অথচ সেই স্বজনরাই আমায় নিয়ে কথা চালিয়ে যাচ্ছে।কথাগুলো খুব বেশি শোভনীয় নয়।তবুও আমায় শুনতে হচ্ছে।পরপরই এক দূর সম্পর্কের ফুফু এসে সামনে দাঁড়ালেন।বিচক্ষন মানুষের মতো বলে বসলেন,

” কি রে, জ্যোতি? তোর নামে যে এসব শুনছি।সত্যি নাকি?তুই কিনা শেষে এমনটা করলি?আমি কিন্তু তোকে অনেক ভালোবাসতাম জ্যোতি।তোর মা করলে করেছে এসব তাই বলে তুইও করবি?বিশ্বাস হচ্ছে না রে।”

ফুফু আমায় ভালোবাসতেন কি বাসতেন না তা বুঝে উঠলাম না।তবে এইটুকু বুঝলাম যে, কথাগুলো উনি আমাকে আঘাত করার উদ্দেশ্যেই বললেন।আমি তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখালাম না।স্থির নয়নে তাকিয়ে শুধালাম,

” কি শুনেছেন ফুফু?”

ফুফু তরতর করে বলে উঠল,

” সে কি!তুই জানিস না নাকি?ও বাড়ির মেহেরাজ নাকি কি নাম ছেলেটার?ছেলেটার সাথে নাকি তোর প্রেমের সম্পর্ক?প্রেম করবি ভালো কথা, বিয়ে বাড়িতে নিজেদের চরিত্রের এভাবে জানান দেওয়ার কি আছেরে?”

আমি তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসলাম।বললাম,

” আপনি বোধহয় পুরো ঘটনাটা শোনেননি ফুফু।সেদিন রাতের ঘটনা এটা।আজ সকালে এই ঘটনার যাচাই বাছাই হলো তো।তা বুঝি আপনাদের কানে পৌঁছায়নি?”

আমার কথায় ফুফুর মুখ কালো হলো।বোধহয় বিশেষ খুশি হলেন না কথাগুলো শুনে।ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,

” মুখে মুখে কথা বলাও জানিস দেখছি।দাদীর সামনে দেখি ভিজেবেড়াল সেঁজে থাকিস। অবশ্য তোর আর দোষ দিই কি করে বল?মায়ের রক্ত মিশে আছে না শরীরে?অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে যাওয়া মায়ের মেয়ে আর কেমনই বা হবে?”

এই কথাটাতে এসেই আমি আটকে গেলাম।মুহুর্তেই কষ্ট অনুভব হলো।দমবন্ধকর সেই পরিস্থিতিতেও হৃদয়ে একটা শব্দেরই উপস্থিতি জানান দিল, ” মা “।এভাবে পরপুরুষের সাথে চলে গিয়ে আমাদের ছেড়ে যাওয়ার কি বিশেষ প্রয়োজন ছিল মায়ের? আমি আর কোন উত্তর দিতে পারলাম না।দ্রুত পা বাড়িয়ে সরে এলাম সেখান থেকে।মুহুর্তেই দাদীকে দেখতে পেলাম। আধ পাঁকা কোকড়া চুল, কুচকানো মলিন চামড়া আর নির্বিকার চাহনী।একপলক আমার দিকে চেয়েই আমার হাতটা হাত দিয়ে চেপে ধরলেন।নিজের ঠোঁটজোড়া আমার হাতে ছুঁয়ে দিয়েই একটা বাটন ফোন ধরিয়ে দিলেন। স্পষ্ট গলায় বললেন,

” বাজার থেইকা একটা বাটন ফোন আনাইছি।ঐহানে গেলে রোজ মিনারের নাম্বারে সন্ধ্যার পর একটা কল দিস। নাইলে যে কইলজাটা বড্ড আনচান করব জ্যোতি।”

মুুহুর্তেই আমার কান্না পেল। ইচ্ছে হলো দাদীকে ঝাঁপিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিই।কিন্তু হলো না কান্না করা। একরাশ অভিমান আর অভিযোগ নিয়ে আমি জড়িয়ে ধরতে পারলাম না দাদীকে। শুধু সালাম করলাম।ঠোঁট কাঁমড়ে কান্না আটকিয়ে বললাম,

” কে এনে দিল ফোনটা?”

” মিনাররে দিয়া আনাইছি।”

উত্তর শুনে মিনার ভাইয়ের কথা মনে পড়ল।উনি আমার ফুফাত ভাই।ফুফুর ছোট ছেলে।কাল থেকে চোখেই পড়েনি মিনার ভাইকে।এই মানুষটার থেকেও বিদায় নেওয়া দরকার।বাড়ির এতগুলো মানুষের মধ্যে কেবল দাদী আর এই মানুষটাই আমাকে বুঝত।আজ এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি বলে ভুলে যেতে পারি না তার অবদান।অস্ফুট স্বরে জানতে চাইলাম,

” মিনার ভাই কোথায় দাদী?একবার দেখা করে যেতাম।”

দাদী এদিক ওদিক চাইলেন। বোধহয় খুঁজে পেলেন না মিনার ভাইকে।বললেন,

” ছিল তো এইহানে মাত্র।কই জানি চইলা গেছে।কইতাছিল বাজারে আড্ডা দিব।মনে হয় বাজারেই চইলা গেছে।”

আমি মনে মনে কষ্ট পেলাম।আমি চলে যাচ্ছি অথচ মিনার ভাই একবারও আমার সামনে এল না?একবার বিদায় জানাল না?বাজারে আড্ডা দেওয়ায় বুঝি বেশি হয়ে গেল? মিহি গলায় বললাম,

” ওহ।”

দাদী পুনরায় বলল,

” রাজরা মনে হয় এহনই চইলা যাইব।তোরে নিতে আইছিল কেউ? ”

” মেহেরাজ ভাই মাত্র ব্যাগ নিয়ে গেল।”

” ঐহানে ঠিকঠাক মতন খানা খাইবি।এইহানে আমি চিল্লাইয়া খাওয়াইতাম।ঐহানে কে খাওয়াইব শুনি? আর, পড়ালেহা করবি মন দিয়া। কাজকাম সাবধানে করবি কিন্তু।মনে থাকব?”

মাথা নাড়িয়ে বললাম,

” থাকবে দাদী।”

দাদী চুপ থাকলেন কিয়ৎক্ষন।তারপর আবারও বললেন,

” পরীক্ষার কয় মাস আছে আর তোগো?”

আমি হাসলাম।এটা যে শুধু একটা প্রশ্ন তেমন নয়। এটা আস্ত এক ভালোবাসা। আস্ত এক অস্থিরতা।কাছের মানুষকে পুণরায় দেখার আকাঙ্ক্ষা। মানুষটা আমার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে না তবুও আমি কি সুন্দর বুঝে যাই তার ভালোবাসা।এই যেমন এখন, পরীক্ষার কয়মাস আছে জানতে চেয়ে আসলে কয়মাস পর তার সাথে আমার আবার দেখা হবে তাই জানতে চাইল তা বুঝতে আমার এক সেকেন্ডও সময় লাগল না।আমি তাচ্ছিল্য করে বললাম,

” পরীক্ষা না দিলেই বা কি হয়?তোমাদের কাছে একটা বিয়েই সবকিছুর সমাধান দাদী।সে বিয়েটা তো দিয়েই দিলে।”

দাদী রেগে গেলেন।নিজের সে রাগরাগ ভাব বর্তমান রেখে তেজ নিয়ে বললেন,

” পরীক্ষা না দিলে এত বছর পড়াইলাম ক্যান তোরে?মাইর চিনস?ভালা কইরা পইড়বি ঐহানে। যদি কেউ নাও চায়,দরকার হইলে পরীক্ষার সময় আমি গিয়া নিয়া আমু তোরে । পরীক্ষা দিতই হইব।মাথায় থাকব?”

দাদীর কথায় হাসলাম।দাদী আর যায় হোক পড়ালেখার ব্যাপারে কখনো ছাড় দেয়নি।আমি মৃদু হেসে জড়িয়ে ধরলাম দাদীকে।ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠে জড়ানো গলায় বললাম,

” আমার যে বড্ড কষ্ট হইব দাদী।তোমারে ছাইড়া যে কোনদিন থাকিনি।কেমনে চলবে তোমারে ছাইড়া দাদী?”

দাদী কঠিন গলায় বললেন,

” আমারে মনে পরলেই মিনারের মোবাইলে ফোন দিবি।দাদী নাতনী মিইলা অনেক কথা কমু তহন। এহন আর মন খারাপ করিস না।”

আমি বিনিময়ে কিছু বললাম না। দাদীকে সেভাবেই জড়িয়ে রইলাম অনেকক্ষন।এত ভালোবাসা, এত যত্ন, এত শাসন! তবে কি এইবার ফুরিয়ে এল সব?দাদী কি আমাকে আগের মতোই ভালোবাসবে?ভুলে যাবে না তো?

.

আমরা যখন পৌছালাম তখন রাত।তবুও শহরের রাস্তায় আলোর অভাব নেই।সামনেই চোখে পড়ল তিনতালা বিল্ডিং।মেহু আপুর ভাষ্যমতে এটাই তাদের আবাসস্থল।নিচতলায় সামান্তা আপুদের পরিবার, দ্বিতীয় তলায় মেহেরাজ ভাইরা আর তার উপরে মেহেরাজ ভাইয়ের মেঝ চাচারা থাকেন।আমি একপলক চাইলাম তিনতালা বিল্ডিংটায়।তার পরপরই মেহু আপু আর মেহেরাজ ভাইয়ের পিছু পিছু সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম দোতালায়।দুইপাশে দুটো ফ্ল্যাট। মেহু আপুর কথানুযায়ী ডান পাশের ফ্ল্যাটটা ভাড়া দেওয়া।আমি বাম পাশেই তাকালাম তাই।দরজায় তালা ঝুলানো।মেহেরাজ ভাই পকেট হাতিয়ে চাবি নিয়ে তালা খুলতেই পাশের ফ্ল্যাট থেকে এক মহিলা এগিয়ে এলেন।মুখে হাসি হাসি ভাব বজায় রেখেই বলে উঠলেন,

” এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলে মেহেরাজ?বিয়ের দাওয়াত শেষ নাকি?অবশ্য ভালোই হলো ফিরে এলে।পুরো বিল্ডিং নিস্তব্ধ হয়ে ছিল।”

মেহেরাজ ভাই একনজর চাইলেন ভদ্রমহিলার দিকে।ঠান্ডা গলায় বললেন,

” তেমন কিছু নয় আন্টি, পরশু চাকরির ইন্টাভিউ আছে তো। তাই।”

ভদ্রমহিলা মাথা নাড়ালেন।হেসে চলে যাবেন ঠিক সেই মুহুর্তেই আমার দিকে তাকালেন। পা থেকে মাথা অব্দি কিয়ৎক্ষন পর্যবেক্ষন করে নিয়েই জিজ্ঞেস করলেন,

” ওমাহ!অতিথি নাকি?তোমাদের কাজিন হয় বুঝি?”

আমি ইতস্থত বোধ করলাম। অস্বস্তিতে এপাশ ওপাশ চাইলাম৷ সেই মুহুর্তেই মেহেরাজ ভাই গমগমে স্বরে বলল,

” ওর নাম জ্যোতি।”

” তো বেড়াতে এল নাকি?আমাদের বাসায়ও নিয়ে এসো মেহেরিন। ”

মেহু আপু হাসলেন৷ জবাবে বলে উঠলেন,

” নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক সময় আছে আন্টি।ও এবার থেকে এখানেই থাকবে৷ ভাইয়ার সাথে ওর বিয়ে হয়েছে আজই।”

হঠাৎ এমন পরিচয়ে আমি স্বস্তি বোধ করলাম না।মেহেরাজ ভাই ব্যাগপত্র দরজার ভেতর ডুকাতে ব্যস্ত হলো মুহুর্তেই। ভদ্রমহিলা অবাক হলো।হতবিহ্বল চাহনি নিয়ে আবারও প্রশ্ন ছুড়ল,

” সে কি মেহেরাজ!না বলেই বিয়ে সেরে নিলে?বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েই নিজেই বিয়ে করে চলে আসলে?”

বিনিময়ে উত্তর আসল না অপরপাশ থেকে।মেহু আপুও আর দাঁড়ালেন না।তোড়জোড় করে আমায় বাসায় ডুকিয়ে ভদ্রমহিলাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বিদায় দিলেন।আমি নিশ্চুপ থেকে শুধু সব শুনছিলাম। কি অদ্ভুত সবকিছু!মেহু আপু হাসলেন। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে বললেন,

” ইনি হলেন ফাতেমা আন্টি। আমাদের একমাত্র খবর নেওয়ার লোক।সারাদিন আর কেউ খবর নিক বা না নিক ইনি অবশ্যই খবর নিবে বুঝলি।মানুষ হিসেবে বড়ই ভালো উনি তবে একটাই সমস্যা!এত বেশি কৌতুহল উনার, এত বেশি প্রশ্ন!আমিই মাঝেমাঝে ক্লান্ত হয়ে যাই।”

আমি বিনিময়ে হাসলাম শুধু।অপরিচিত জায়গায় এসে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরখ করছিলাম সবটা।সাদামাটা ঘর।চোখে পড়ল তিনটে ঘর সহ প্রসস্থ বসার ঘর।মেহু আপু হাত চেপে এগিয়ে নিয়ে গেল এক ঘরে। তোড়জোড় করে ফ্লোরে আমার ব্যাগটা দেখিয়ে বলল,

” গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় জ্যোতি।জামা চেঞ্জ করে নিস।অনেকটা পথ,অনেকটা জার্নি।রেস্ট নিয়ে নে কিছুক্ষন।আমার তো এখনই হাত পা ভেঙ্গে আসছে।কি ক্লান্তি!”

আমি ছোট ছোট চোখে চাইলাম।আসলেই ক্লান্ত লাগছে।চোখ মুখ জ্বলছে গরমে।এতক্ষনের ভ্রমনে ঘামে চুপসে আছে শরীরও।মাথাটাও ঝিম ধরে আছে কেমন।তাই আর দেরি করলাম না।দ্রুত মেহু আপুর দেখিয়ে দেওয়া ওয়াশরুমটায় ডুকেই চোখে মুখে পানি দিলাম বেশকিছুক্ষন।ওড়নার একাংশে মুখটা মুঁছে নিয়েই দরজা খুলে রুমে আসতেই চোখে পড়ল মেহেরাজ ভাইকে।গম্ভীর, টানটান চেহারা।দরজার আওয়াজ শুনেই বোধহয় এদিকে চাইলেন।সঙ্গে সঙ্গে চোখাচোখি হলো দুইজনের দৃষ্টির। আর সে দৃষ্টিতেই কেন জানি না আমার ভেতরে জ্বলন্ত ঘৃণা জ্বলে উঠল।আত্নসম্মানের বিশাল দেওয়াল আরো মজবুত হলো।আমি দ্রুত নজর সরিয়ে এড়িয়ে গেলাম আস্ত মানুষটাকে।তৎক্ষনাৎ পা ফেলে বেরিয়ে এলাম ঘর ছেড়ে।মেহু আপু কি তবে মেহেরাজ ভাইয়ের ঘরেই রেখে গেল আমায়?এটা কি মেহেরাজ ভাইয়ের রুম ছিল?

#চলবে…

[ ভুলত্রুটি ক্ষমাস্বরূপ দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে