এক আকাশ দূরত্ব পর্ব-০৫

0
297

#এক_আকাশ_দূরত্ব (৫)
#তানজিলা_খাতুন_তানু

আবির রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে দেখল নাজিয়া রান্নার মাঝে একহাত দিয়ে চোখ মুছে চলেছে, তারমানে মেয়েটা সব শুনে নিয়েছে।

– ‘নাজু বোন আমার।’

আবিরের গলা পেয়ে নাজিয়া তাড়াহুড়ো করে চোখটা মুছে নিল। আবির মেকি হেসে বলল,
– ‘আমি তোর চোখে পানি দেখেছি, লুকিয়ে লাভ নেই। সরি রে..
– ‘আবির’দা তুমি সরি বলছ কেন? তোমার তো কোনো দোষ নেই আসলে দোষটা আমার ঘুমিয়ে না পড়লে এতকিছু হতো না।’
– ‘ঘুমিয়ে না পড়লে মানে কি? সারারাত জেগে একটুখানি ঘুমিয়েছিস আর এখন বলছিস ওইটা না ঘুমালে ভালো হতো পাগল হয়েছিস! এইরকম করলে অসুস্থ হয়ে পড়বি তো।’
– ‘কিছু হবে না। তুমি অফিস যাবে তো দেখি হয়ে আসো আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি। আর হ্যাঁ দিদিকে কিছু বলো না প্লিজ।’

আবির নাজিয়ার মুখের দিকে তাকাল, মেয়েটা কি দিয়ে তৈরি যে দেখে তত মুগ্ধ হয়। সত্যি নাজিয়ার মতো বোন কজনের ভাগ্যে থাকে!

আবরারের মা ক্রমাগত কেঁদে চলেছে, একটা বাইরের মেয়ের জন্য আবার ওনার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে এটা মেনে নিতে পারছেন না। নাজিয়ার উপর রাগ বাড়ছে, মেয়েটাই সবকিছুর মূলে।

স্ত্রীর ব্যবহারে আবরারের বাবার মাথা লজ্জায় নত হয়ে পড়েছে, যে মেয়েটা ওনাদের ভালোর জন্য এই বাড়িতে পড়ে আছে আজকে তাকেই এতগুলো কথা শুনতে হচ্ছে!

আবরারের মা মনে মনে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন, কিন্তু মুখে কিছুই বললেন না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে লাগলেন।

মায়ের চেঁচামেচি, নাজিয়ার কান্না সবটা সম্পর্কে আবরার অবগত তবে সেও কিছু বলল না। শ্রেয়াকে নিয়ে চুপচাপ বেরিয়ে গেল, এতকিছুর পর গলা দিয়ে খাবার নামবে বলে মনে হয় না।

ছেলেকে না খেয়ে বেরিয়ে যেতে দেখে আবরারের মা নাজিয়ার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন, জানা নেই এর পরিনাম কি হতে চলেছে!

সেই দিনটা মোটামুটি ভালো ভাবে চলে গেলেও ২দিন পরের ঘটনাটা নাজিয়ার জীবনে অভিশপ্ত হয়ে উঠল। সকাল বেলাতে আবরার ব্যাগ-পত্র নিয়ে হাজির।

– ‘কিরে আবরার বাবা তোর হাতে লাগেজ কেন? কোথায় যাবি!’
– ‘মা আমার জরুরি কাজ পড়ে গেছে, তাই যেতে হবে।’

আবরারের মা ছেলের কথার বিপরীতে কোনো কথা বললেন না, চুপ করে রইলেন। ছেলে বাড়ির বাইরে যাবার পরপরই শুরু হলো তান্ডব…

– ‘আবির, বউমাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি নীচে নাম।’

মায়ের ডাকাডাকি শুনে আবির, নিসা আর ওদের বাবা বসার ঘরে উপস্থিত হন। নাজিয়া রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসে কিন্তু ওনাকে কিছু জিজ্ঞাসা করার সাহস হয় না।

– ‘কি হলো মা! এত চেঁচামেচি করছ কেন?’
– তোদেরকে একটা সিদ্ধান্ত জানানোর আছে।’
– ‘কি সিদ্ধান্ত!’ (আবরারের বাবা)
– ‘আবির তোর শালিকা যদি এই বাড়িতে থাকে তাহলে আমি এই বাড়ি ত্যাগ করব।’

উপস্থিত সকলে চমকে উঠল। ওনার মুখে এই কথাটা আশা করেননি কেউ। আবরারের বাবা বিরক্ত হয়ে বললেন,

– ‘দ্যাখো আবিরের মা রোজকার ঝামেলা আমার ভালো লাগছে না। আমি বুঝি না এই বাচ্চা মেয়েটার প্রতি তোমার এত রাগ কেন?’
– ‘তোমার চোখে তো কিছুই পরেনা। ওই মেয়ে একটা অ’লক্ষী যে দিন থেকে আমার বাড়িতে এসেছে সব সুখ শান্তি কেড়ে নিয়েছে।’

নাজিয়া এক পা পিছিয়ে গেল, যার জন্য এত বড়ো একটা কথা শুনতে হলো!

– ‘মা তুমি এইসব কি বলছো!’
– ‘ ঠিক বলছি। আমি আমার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি এখন তোমরা ঠিক করো কি করবে।’

নিসা নিরবে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলে চলেছে, শুধুমাত্র ওর কারনে মেয়েটা কারনে অকারণে এতগুলো কথা শুনে চলেছে। আর নাজিয়া! সে তো নিরব হয়ে গেছে, আবিরের মায়ের রাগের কারনটা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না।

আবির মাকে নানান ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু উনি তো নাছোড় বান্দা যেটা বলেছেন সেটাই করবেন। আবিরের মা নিসা, নাজিয়া এবং নিজের স্ত্রীর দিকে একপলক তাকিয়ে বললেন,

– ‘আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
– ‘কি সিদ্ধান্ত বাবা!’ (আবির)
– ‘তোর মায়ের যখন নাজিয়াকে নিয়ে এতটাই প্রবলেম তাহলে নাজিয়া এই বাড়িতে থাকবে না।’

আবিরের মায়ের মুখে হাসি ফুটে উঠল। অবশেষে মেয়েটা বিদায় হচ্ছে।

– ‘নাজিয়ার সাথে সাথে নিসাও এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে।’

আবিরের মাথাতে আকাশ ভেঙে পড়ল। আবিরের মাও অবাক হয়েছে, নিসাকে প্রথম প্রথম অপছন্দ করলেও এখন ভালোবেসে ফেলেছেন। মেয়েটাকে এই প্রেগন্যান্সির সময়েও বাবার বাড়ি যেতে দেননি সেখানে ওনার স্বামী মেয়েটাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছেন কেন?

– ‘বাবা তুমি এইসব কি বলছ?’
– ‘ঠিক বলছি। আবির তুমি নিসা ও নাজিয়াকে ওদের বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসবে। তুমি ওই বাড়িতে যখন ইচ্ছা যেতে পারো, বউমার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই কিন্তু তোমাদের মা নিসার সাথে কোনোরকমের যোগাযোগ রাখতে পারবে না এটাই আমার শেষ কথা। আমার কথার বিপরীতে গেলে ফলাফল ভালো হবে না।’

সবাই নিরবে শুনে যায়, আবিরের বাবা চুপচাপ স্বভাবের মানুষ তবে রেগে গেলে ভয়ানক হয়ে উঠেন। নাজিয়া ওর বোনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়, ওর কারনেই ওর বোনকে ঘর ছাড়তে হচ্ছে। আবির বাবার সিদ্ধান্ত শুনে রাগে গজগজ করতে করতে নিজের রুমে চলে যান। আর আবিরের মা! নাজিয়া বাড়ি ছাড়বে শুনে মহাখুশি আবার বউমা চলে যাবে শুনে কষ্ট লাগছে। অনেক ভেবে ঠিক করলেন, স্বামীর মাথা ঠান্ডা হলে ওনাকে বোঝাবেন যাতে নিসা এই বাড়িতেই থাকে।

আবির আবরারের নম্বরে ডায়াল করতেই আবরার ফোনটা রিসিভ করে বলল,

– ‘হ্যাঁ দাদা বল।’
– ‘তুই এইবার খুশি তো!’
– ‘মানে? আমি আবার খুশি হবো কেন?’
– ‘নাজিয়া বাড়ি থেকে চলে যাবে আর বাবা বলেছে নিসাও যাবে ওর সাথে তুই এইবার খুশি তো!!’
– ‘হোয়াট! এইসব কখন হলো, মা নিশ্চয় কিছু করেছে তাই না।’

আবির কিছু বলল না। আবরারের বুঝতে অসুবিধা হলো না বিষয়টা কি। ওহ শান্ত স্বরে বলল,

– ‘দাদা যা হচ্ছে হতে দে। হয়তো মা নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে।’
– ‘সব বুঝতে পারছি কিন্তু নিসার এই অবস্থাতে ওকে একা’কে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না।’
– ‘নাজিয়া আছে তো ঠিক সামলে নেবে চিন্তা করিস না।’
– ‘হুমম।’

আবরার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল, মাথাতে অনেক কিছুই ঘুরে চলছে। দেখা যাক ভাগ্য কোথায় দাঁড় করায়।

নিসার একদিকে মনখারাপ আবার ভালোও লাগছে। প্রতিটা মেয়েই প্রেগন্যান্সির সময়ে মায়ের আদর -যত্ন ভালোবাসা আশা করে। আবিরের জেদের কারনে নিসা বাপের বাড়িতে যেতে পারেনি নাজিয়াকে এইখানে নিয়ে রেখেছে। এতদিন আবির ও ওর মা যথেষ্ট কেয়ার করেছে,তবুও মা তো মা হয় তার জায়গাটা কেউ কখনোই নিতে পারে না। মায়ের কাছে যাবে শুনে নিসার মনটা ভালো হলেও এই বাড়িতে নাজিয়াকে নিয়ে ঝামেলা তার উপর আবিরের কথা ভেবে মনটা বিষন্ন হয়ে আছে। আবির ওকে খুব ভালোবাসে, ভালোবেসে বিয়ে করেছিল আবার তার মান রেখেছে কখনোই কষ্ট দেয়নি। এমনটি প্রেগন্যান্ট না হবার কারনেও কখনোই কথা শোনায় না।, নিজেদের ভাগ্যের উপর বিশ্বাস রেখে নিসাকে বিশ্বাস জুগিয়েছে এইরকম স্বামী কতজনের ভাগ্যে থাকে!

– ‘কিরে দিদি মনখারাপ!’

নাজিয়ার ডাকে নিসা ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে আসে, মেকি হেসে বলল,
– ‘একটু মনখারাপ তো লাগছে, তোর জিজু’কে ছেড়ে থাকতে পারিনা।’
– ‘আহা গো কত ভালোবাসা। দোয়া করি তোমাদের ভালোবাসাই নজর না লাগে।’

নিসা নাজিয়ার কথা বলার ধরন দেখে হেসে দিল, মনের মাঝে আর একটা প্রশ্ন উঁকি দিলো.. সত্যি কি ওর আর আবিরের ভালোবাসা এইরকম আজীবন থাকবে!

– ‘এই দিদি কোথায় হারিয়ে যাচ্ছিস?’
– ‘এই তো। বলছি বোন পড়াশোনা শেষ করতে আর কতদিন লাগবে!’
– ‘হঠ্যাৎ এই প্রশ্ন?’
– ‘না তোর বিয়ের বয়স হচ্ছে। একটা সংসার করে নিজেকে গুছিয়ে নে না।’
– ‘বিয়ের সময় হলে ঠিকই বিয়ে হবে ,তোমাকে এতটা চিন্তা করতে হবে না।’

নিসা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল, চিন্তা কি আর এমনি এমনি হয়। ছোট বোনটাকে ভালো পাত্রস্থ করতে পারলে তবেই শান্তি।

আবির মনখারাপ করে নিসা ও নাজিয়াকে ওদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসল। নাজিয়া বারবার বাড়ির ভেতরে যেতে বললেও আবার যায়নি, প্রিয়তমাকে এই অবস্থাতে একা রেখে যেতে মন মানছে না। নিসা বিষয়টা বুঝল তাই নাজিয়াকে জোরাজুরি করতে বারন করল।

– ‘দিদি শোন না, মা বাবাকে ওই বাড়িতে ঝামেলার কথাগুলো বলিস না ওনারা কষ্ট পাবেন।’

নিসা বোনের মুখের দিকে তাকাল, ওই বাড়িতে এতটা লাঞ্ছিত হবার পরেও বাবা মাকে বিষয়টি জানাতে বারন করছে, মেয়েটা এতটা ভালো কেন!

দিন চলতে লাগল, নিসার ডেলিভারির ডেট আগিয়ে আসছে, তার সাথে আবিরের দুশ্চিন্তাও। নিসা সামনে থাকলে একটু শান্তি পেত কিন্তু এখন তো সেটাও নেই আর রোজ রোজ শশুড় বাড়িতে গেলে বিষয়টা খারাপ দেখায়। প্রতিদিন নিসার সাথে ভিডিও কলে কথা হয়, নাজিয়াকে ফোন করে খোঁজ খবর নেই কিন্তু শান্তি পাই না। মনে হয় এখুনি নিসাকে নিজের কাছে নিয়ে চলে আসতে।

ওই বাড়িতে একটা কাজের লোক রাখা হয়েছে, যার রান্নার হাত ভালোই কিন্তু খাবার খেয়ে কোনো তৃপ্তি পাওয়া যায় না।।

আবিরের মা খাবারের থালায় আঁকিবুঁকি করে চলেছে, অনেকক্ষণ থেকে একটা প্রশ্ন করবে করবে করে করা হয়ে উঠছে না। আবিরের বাবা বিষয়টা আন্দাজ করতে পেরে আবিরকে বলল,

– ‘কিরে আবির নিসা মায়ের ডেলিভারির ডেট কবে দিয়েছে ডক্টর?’
– ‘সামনের মাসের ২০ তারিখ।’
– ‘ওহ। ডক্টর বলেছে সব কিছু ঠিক আছে তো!’
– ‘হুমম।’

আবির নিজের খাওয়া শেষ করে উঠে চলে গেল, মায়ের সাথে একবারও কথা বলল না। বিষয়টিতে আবিরের মায়ের মনখারাপ হয়, নিসার বাড়ি থেকে চলে যাওয়াতে ওনার মনখারাপ হয়েছে ঠিকই কিন্তু নাজিয়ার উপরে তার থেকে বেশি রাগ জমা হয়েছে। মনে মনে হয়েছে, নাজিয়ার জন্যই নিসা এই বাড়ি থেকে চলে গেছে।

আবির নিজের রুমে গিয়ে নিসাকে ভিডিও কল করে দুইবার বাজার পর কলটা রিসিভ হয়,

– ‘আসসালামু আলাইকুম আবির’দা।’
– ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম। তুই ফোনটা রিসিভ করলি! নিসা কোথায়?’
– ‘দিদি ঘুমিয়ে পড়েছে, তাই আমি কলটা রিসিভ করলাম।’
– ‘নিসার শরীর ঠিক আছে তো!’
– ‘হুমম ঠিক আছে তুমি চিন্তা করো না। আর একটা কথা।’
– ‘কি?’
– ‘আমাকে কয়েকদিনের জন্য হোস্টেলে যেতে হবে। বাড়িতে মা বাবা থাকবে তবুও তুমি পারলে মাঝে মধ্যে এখানে এসে থেকো।’
– ‘হোস্টেলে কেন? খুব বেশি দরকার কি!’
– ‘হ্যাঁ। পরের মাস করে এক্সাম শুরু হবে, তাই কিছু কাজ করার ছিল।’
– ‘আচ্ছা যা সাবধানে থাকিস কেমন।’
– ‘তুমিও।’

আবিরের সাথে কথা বলার দুদিন পরেই নাজিয়া হোস্টেলে চলে গেছে। সামনেই ইয়ার ফাইনাল এক্সাম, মাঝে কয়েকমাস নিসার অসুস্থতার জন্য ক্লাস করতে পারেনি এখন কলেজ না গেলে শিওর ডাব্বা মারবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও হোস্টেলে ফিরতে হয়েছে, কিন্তু মন নিসার কাছেই আটকে আছে। নাজিয়া হোস্টেলে যাবার পর থেকে ক্লাস নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল, এইটাই শেষ এক্সাম তারপরেই গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবে।

নাজিয়া কলেজে আসতেই প্রথমেই দেখা হয়ে যায় হিরকের সাথে। হিরকের বলা সেই কথাটার পর থেকে নাজিয়া ওকে ইগনোর করে চলেছে, তবে কলেজে আসার পর থেকে না চাইতেও ওর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রতিদিনের মতো হিরক ওর কাছে এসে বলল,

– ‘কিরে নাজিয়া তুই কি আমাকে ইগনোর করছিস?’
– ‘প্রতিদিন এক কথা বলতে তোর বিরক্ত লাগে না! দেখা হলেই আমাকে ইগনোর করছিস বলে বলে মাথা খারাপ করিস কেন?ষ

প্রতিদিনের এক কথায় নাজিয়া বিরক্ত হয়ে উঠেছে, এতদিনের রাগটা শেষমেশ ঝেড়েই দিলো।
– ‘আরে কুলল। এত রেগে যাচ্ছিস কেনো? আমি তো মজা করছিলাম।’
– ‘তাই বলে প্রতিদিন এক মজা! আর আমি যদি ইগনোর করা তো তুই কি করবি!’

হিরক দাঁত বের করে বলল,
– ‘তোকে কিডন্যাপ করে বিয়ে করে নেব।’

নাজিয়া রাগী চোখে তাকাতেই হিরক নিজের হাসি থামিয়ে দিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই নাজিয়ার ফোনে কল আসে…

#চলবে…

ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে