অবুঝ ছাত্রী পর্ব-১৪+১৫

0
1968

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_14_15

সাথে সাথে দরজা খুলে দিয়েছে রাফিজা তার স‍্যারকে জেলে দেওয়ার কথা শুনে।দরজা খুলে দেখে দরজার সামনে ওর মা বাবা দারিয়ে আছে দুইজনে।

তারাতারি ফ্রেস হয়ে আসো এক সাথে খাবো।

ঠিক আছে বাবা (মাথা নিচ করে বলতেছে )

ফ্রেস হয়ে দেখি বাবা খাবার টেবিলের বসে আছে,আমার জন‍্য অপেক্ষা করতেছে।আর মা পেলেটে খাবার তুলে দিচ্ছে।

রাফিজা এখানে বস।

জ্বি বাবা।

আচ্ছা আমি এগুলো কি শুনতেছি তুমি নাকি স‍্যারকে ভালোবাসো।আচ্ছা বলো তো আমাদের কি কোন কিছুর অভাবে আছে।আর ওই ছেলেটার কি আছে যে ওকে ভালোবাসো।ও তো একটা গরীব ঘরের ছেলে ওর সাথে তোমার বিয়ে হলে কখনো তোমাকে সুখ দিতে পারবে না।ও তোমার চাহিদায় পূরন করতে পারবে না।

আমী এগুলো কিছু শুনবো না।বিয়ে করলে আমি ঈমান স‍্যারকেই করবো।

দেখো দেখো তোমার মেয়ে কেমন বেয়াদব হয়ে গেছে।এই দিনটাই দেখার বাকি ছিলো।মুখে মুখে তর্ক করতেছে।

আরে তুমি চুপো তো খাইতে বশে এতো কথা বলো কেনো ওকে আমি পরে বুঝায় বলবো নি।মেয়েটা সারাদিন কিছু খায় নাই।

ঠিক আছে যদি না বুঝে তাহলে ওকে বিয়ে দিয়ে দিবো।ওর কথা কোন শুনবো না আর।

(আমি কিছু বলতেছি না কারন আমি শুধূ স‍্যার এর কথা ভাবতেছিস )

কি ভাবতেছিস খেতে বসে।

মা আমার খাইতে ইচ্ছা করতেছে না।

কিছু তো খাইলি না।একটু খা মা,না হলে শরীল খারাপ করবে।

খাওয়ার ইচ্ছা করতেছে না তাও মার জোড় করার কারনে একটু খেয়ে আবার রূমে চলে আসলাম।আবার দেখি ফোন দিয়ে এবার ফোন ধরে নাকি।কিন্তু না আবার একেই কথা বলতেছে “আপনার কাংক্ষিত নাম্বারে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ” এই কথা শুনে মনে হচ্ছে ফোন টা এক আচার মেরে ভেঙ্গে ফেলি।

তোমার মেয়ে কিন্তু বেশি বেয়াদব হয়ে গেছে।ওকে বুঝাও ভালো করে।না হলে পড়াশুনা সব বাদ দিয়ে বিয়ে দিয়ে দিবো আমার বন্ধুর ছেলের সাথে।ছেলে ভালো সরকারী চাকরী করে।

শুধু বিয়ের কথা বললেই হবে।মেয়ে তো বড়োই হয় নাই।

তোমার মেয়ে বড় না হলে প্রেম করে বেড়াতো না ওকে।আমি ও তো কিছু বুঝি না কালকে ওকে দেখতে আসবে। মেয়েকে বলিও এই কথাটা।বিয়ে এখন না হলেও শুধু এংগেস্টমেন টা করে রাখতে চাই।

তুমি খালি বেশি বুঝো।

বেশি বুঝি ভালো, কালকে ওকে দেখতে আসবে এটাই বেচ।

ঠিক আছে কি করবা করো।শুধু তো তোমার মেয়ে আমার না।তাই তুমি যেটা করবে সেটাই হবে।

হুম।

বাবার কথা শুনে মাও রাগ করে রুমে চলে আসে।

বাবা ওখানে খেয়ে তার অফিসে চলে যায়।

দেখি আমার মেয়েটা একা একা কি করতেছে। রাফিজার রূমে গিয়ে দেখি মেয়ে আমার উপুর হয়ে বিছানায় মন মরা হয়ে শুয়ে আছে।(রহিমা বেগম )

তোর বাবা কি বললো শুনিস নাই।তোর এই সমস‍্যার জন‍্যে আমাকে তোর বাবা বকা দিলো।আর একটা কথা কালকে তোকে ছেলে দেখতে আসবে।তোর বাবার বন্ধুর ছেলে।ছেলে নাকি সরকারী চাকরী করে।যদি কালকে তোকে তাদের পছন্দ হয় তাহলে একবারে তোকে আংটি পড়িয়ে যাবে।

আমি এই বিয়ে করবো না মা।আমি শুধু স‍্যারকে চাই।আমি স‍্যারকে ভালোবাশি ওকেই বিয়ে করতে চাই।কেনো তোমরা বুঝতেছো না আমার কথা।

এটা বললে কি আর হয় মা।মানুষ যেটা চায় সেটা সব সময় পায় না।মানুষ পরিস্থিতি শিকার হয়ে সব কিছু হারাতে হয়।তাই মনকে শক্ত কর।কালকে তোকে দেখতে আসবে।

মা তুমি একটা কথা শুনো তোমরা যদি আমাকে জোড় করে বিয়ে দিতে চাও তাহলে সুসাইট করবো।

রাফিজা এটা কেমন কথা।আমরা সব সময় তোর ভালোর জন‍্য করি।তুই ওখানে ভালো থাকবি।কালকে তোকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে এটায় বেচ।

এই কথা গুলো বলে মা রূম থেকে চলে গেলো।এখন কি করবো আমি।আমি যে স‍্যারকে ছাড়া বাচতে পারবো না।জীবনে প্রথম ভালোবাসা এটা আমার কিভাবে ভূলবো।মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে সুসাইট করি।মাবাবার কথা ভেবে এটাও করতে পারতেছি না।আমি সুসাইট করলে ওরা বাচবে কিভাবে।তাদের একমাত্র সন্তান শুধু আমি।কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।এগুলো ভেবে টেনশনে মাথা আমার বেথাতে ফেটে যাচ্ছে।তাই ঘুমানোর চেষ্ট করতেছি।কখন যে ঘুমাই গেছি নিজেই জানি না।

(তো গল্পর নাইকা একটু রেস্ট করুক।তো এবার নায়কের কথা বলি )

মার ডাকে ঘুম ঘাঙ্গলো ঠিক 4:30 মিনিটে।আজকে এতো ক্লান্ত লেগেছিলো যে তারাতারি ঘুম থেকে উঠতেই পারি নাই।

বাবা ঘুম ভাঙ্গলে গোসল করে খেতে আয়।(মা)

মার গোসল করার কথা শুনে মনে পড়লো আমি তো গোসল না করে ঘুমাই গেছিলাম।তাই গোসল করতে গেলাম।গোসল করে এসে মাকে বলতেছি
মা খাবার দাও।
ঠিক আছে বাবা তুই বস আমি খাবার দিতেছি।

মা রান্না ঘর থেকে বলতেছে।

তারপর মা রান্না ঘর থেকে এসে আমাকে খাবার দিতেছে আর আমি খাইতেছি।মা তুমিও বসো এক সাথে ভাই।

ঠিক আছে বাবা।

মা আর আমি এক সাথে ভাত খাইতেছি হঠাৎ মা বলতেছে
বাবা একটা কথা বলি
হে মা বলো।
আমাদের পাশের বাসার রফিক আংকেল আছে না।
হে কি হয়েছে মা কিছু বলেছে কি?

হে বাড়িতে এসেছিলো 3;00 টার দিকে তোর কথা জিগ্যেসা করতেছিলো।তখন তো তুই ঘুমাইতেছিলি।

ও কি বলেছে মা।

তোকে ওনার সাথে বিকালে দেখা করতে বলেছে।কি যেনো কাজ আছে।

ওকে মা দেখা করবো বিকালে।তারপর খাবার খেয়ে আমি রূমে আসলাম।কিন্তু রফিক আংকেল আমাকে কেনো ডেকেছে।কেনো ডেকেছে সেটা পরে দেখা যাবে।এখন একটু রেস্ট নেই।আমি আবার বেশি ঘুম পাড়লে আমার মাথা ব‍েথা করে।তাই আর রেস্ট না নিয়ে রফিক আংকেলের সাথে দেখা করতে বাসা থেকে বাহির হলাম।আংকেলের বাসার গেটের সামনে গিয়ে দুইবার কলিংবেল দিতেই দরজা খুলে দিলো ওনার ছেলে ইমরান।বয়স প্রায় 10 হবে ওনা আর একটা মেয়ে আছে ক্লাস 8 পড়ে।

আরে ঈমান ভাইয়া যে।তুমি তো আর আমাদের বাসায় আসোই না।
আরে ভাইয়া আমি একটু বেস্হ আছি তো তাই আসা হয় না।তো কেমন আছো তুমি আর তোমার বাবা কি বাসায় আছে।
আমি ভালো আছি।আর বাবা বাসায় আছে।

ইমরান কার সাথে কথা বলো কে এসেছে।(ঘর থেকে বলতেছে আংকেল)

বাবা ঈমান ভাইয়া এসেছে।তোমার সাথে দেখা করতে।

ও তাহলে তোমার ঈমান ভাইয়াকে ঘরের ভিতরে আনো।
ওকে বাবা।ভাইয়া আসো ভিতরে।

আমি ভিতরে গেলাম।আংকেল দেখতেছি সোফাই বসে চা খাচ্ছে।
বসো বাবা এখানে।
আমি আংকেলের পাশে সোফায় বসলাম।আংকেল আপনি নাকি আমাকে ডেকেছেন।
হুম তোমার সাথে একটা জরলী কথা আছে।তার আগে বলো চা খাও তুমি।
হে মাঝে মাঝে খাই।
ঠিক আছে।ইমরানের মা ঈমানকে চা দাওতো।
ঠিক আছে দিচ্ছি।(আন্টি রান্না ঘর থেকে বলতেছে )

তারপর আন্টি আমাকে এক কাপ চা দিলেন।তো আংকেল এবার বলে কি জন‍্য ডেকেছেন।

হুম শুনো তাহলে,,,,,,,,,,,,,,,,?

আমি তো আংকেলের কথা শুনে অবাক কারন

#চলবে,,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে