অন্ধকারে এক চিলতে আলো পর্ব-০৬

0
1502

#অন্ধকারে_এক_চিলতে_আলো
#লেখিকা- শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব- ৬

দুজনের মাথায় যেন বাজ পড়ল। আর ধরা পড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা অনুভব করল। ঠিক এ মুহূর্তে তানভীর চট করে চপল গলায় বলে উঠল

– ও তো মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে পড়ে। এবার দশম শ্রেণীতে।

তানভীরের কথায় সুর মিলিয়ে আলো বলে উঠল

– জি আন্টি ভাইয়া ঠিক বলেছেন।

জাহানারা সুফিয়া কোনো উত্তর না দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ রইল৷ তারপর হালকা গলায় বলল

– আলো নিজের যত্ন নিও। আর নাস্তা দিলে খেয়ে নিও। খারাপ লাগলে আমাকে কল করো। ওহ! তোমার মোবাইল নম্বর তো আমার কাছে নেই। মোবাইল নম্বরটা দাও।

আলো যতই জাহানারা সুফিয়ার সাথে কথা বলছিল ততই কথার জটিলতায় জড়িয়ে যাচ্ছিল। আলো বুঝতে পারছিল না কী বলবে। কারণ তার কোনো মোবাইল নেই। তবুও কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে ভয় ভয় গলায় বলল

– আমার তো কোনো মোবাইল নেই।

জাহানারা সুফিয়া কিছুটা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল

– মোবাইল নেই তাহলে বাড়িতে যোগাযোগ করো কী দিয়ে। তুমি তো আর পরিবারের সাথে থাকো না।

এবারও আলো উনার কথা শুনে ভয়ে চুপসে গেল। যে কথারেই জবাব দিচ্ছে সে কাথারেই কোনো না কোনো কিন্তু রয়ে যাচ্ছে। এখন বুঝতে পারছে সে তানভীর কেন তার মাকে এত ভয় পায়। আলো একদম চুপচাপ। আলোর নীরবতা দেখে জাহানারা সুফিয়া আলোকে ডেকে বলল

– কী ব্যপার চুপচাপ কেন? বেশি খারাপ লাগছে নাকি?

আলো মাথাটা নাড়িয়ে বলল

– নাহ! তেমন খারাপ লাগছে না। আমি তো আমার ভাইয়ের সাথে থাকি। ভাইয়ার ফোন দিয়েই মা,বাবার সাথে কথা বলতাম। তাই আমার কোনো মোবাইল নেই।

-ওহ আচ্ছা। তোমার ভাইয়ের নাম যেন কী?

আলো চট করে বলে উঠল

– ছোটন।

আলোর জবাবে তানভীর হতবাক। সে জিহ্বায় নিজের দাঁত দিয়ে কামড় দিয়ে মাথায় হাত দিল। আলো তানভীরের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল তানভীর তার মাকে অন্য নাম বলেছে। আলো ও এবার ভয় পেতে লাগল। জাহানারা সুফিয়াকে যতটা নীরব এবং সরল বাইরে থেকে বুঝা যাচ্ছিল তিনি তার ঠিক বিপরীত। প্রতিটা কথা তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন বিচক্ষণ ভাবে। আর সে জন্যই তিনি মেয়ে হয়েও একজন সফল ব্যবসায়ী। এর মধ্যেই উনি বলে উঠলেন

– তাহলে শায়ান কে?

তারপর তানভীরের দিকে তাকিয়ে বললেন

– তুমি তো বলেছিলে ও শায়ানের বোন। তাহলে ছোটন কে? তানভীর তোমার কথার সাথে আলোর কথায় বেশ অসামান্জস্য রয়েছে। কী হয়েছে আমাকে সঠিক করে বলো তো।

তানভীর তার মায়ের কথার জবাব কী দিবে বুঝতে পারছিল না। সবকিছুই যেন তালগোল পাকাতে লাগল। মাথাটাও তার এত কথার প্যাঁচে ঘুরাতে লাগল। ধরা পড়ে যাওয়ার একটা ভয় কাজ করছে। আর ধরা পড়লে কী হবে সেটা ভেবেও তার মাথা ব্যথা করতে লাগল। এদিকে আলো জাহানারা সুফিয়ার কথা শুনে পাশ থেকে মৃদু কন্ঠে বলে উঠল

– আমরা সবাই শায়ান ভাইকে ছোটন বলে ডাকি। তানভীর ভাইয়া ভুল কিছু বলেনি আন্টি।

জাহানারা সুফিয়া এবার সন্দেহদৃষ্টি ত্যাগ করে তানভীরের দিক থেকে চোখ সরিয়ে আলোর দিকে তাকিয়ে বলল

– যাক ভালো। সত্যি বলতে তানভীর বেশ অগোছাল।ওর কথায় আর কাজে কোনো মিল নেই। তুমি আবার আমার কথায় মনে কিছু নিও না। এর আগে ও এমন কতগুলো কাজ করেছে যেটাতে আমি বিরক্ত। আর বিরক্তের বশবর্তী এবং তার বোকামির শিকার বেশ কয়েকবার হয়েছি বলেই ওকে এত প্রশ্ন করা।

কথাগুলো বলে উনি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল

– অলরেডি আটটা বেজে গেছে। এখন অফিস যেতে হবে। বাকি কথা সন্ধ্যার পর হবে। কোনো অসুবিধা হলে বাসার ফোন দিয়ে আমাকে কল দিও অথবা তানভীরকে বলো। আমি গেলাম।

আলো লাজুক একটা হাসি দিয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে বলল

– আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি। আপনি চিন্তা করবেন না। আমি ঠিক আছি।

জাহানারা সুফিয়া আর দাঁড়াল না সোজা ঘর থেকে বের হয়ে গেল।

আর আলো ভাবতে লাগল এর আগে কী তানভীর কোনো মেয়েকে এনে এ বাসায় ঝামেলা করেছে? যদি ঝামেলায় না করত তাহলে তো উনি এভাবে বলত না কথা গুলো। তানভীরের কাছে সে নিরাপদ তো? ভাবনাটা মনে আসতেই তার ভেতরটা অজানা বিপদের আশঙ্কায় কেঁপে উঠল। তার জীবনে এত নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে যে ইতিবাচক কোনো ঘটনা ঘটবে সেটা যেন সে ভাবতেই পারছে না। কিছুটা ভয়,কিছুটা অনিশ্চয়তা আর কিছুটা শঙ্কা নিয়ে তানভীরের দিকে তাকাল। তানভীরের চোখের দিকে তাকাতেই যেন তার চোখে আলোর চোখ দুটো গেথে গেল। অদ্ভুত এক নেশা কাজ করছে আলোর মধ্যে সে নেশাটা হচ্ছে ভালোলাগার নেশা,তাকিয়ে থাকার নেশা।

“পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নেশা হলো ভালো লাগার নেশা। এ নেশা থেকেই মানুষে জীবনে ঘটে যায় যতসব কাঙ্ক্ষিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।”

আর আলো যেন সে নেশা কাটিয়ে উঠতেই পারছে না। সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকার একটা প্রবণতা কাজ করছে। একটা ছেলের চোখ এত নিষ্পাপ হয় কী করে। তার চোখে তাকিয়ে যেন সব ভুলে থাকা যায়। আর আলো ইতোমধ্যে ভুলে গেছে তানভীরকে সে কী বলতে নিয়েছিল। আলোর এমন অদ্ভুত তাকানোতে তানভীর কিছুটা বিভ্রতবোধ করল। কিছু একটা বলতে চেয়েও যেন আটকে গেল। ভাবতে লাগল এ মেয়েটা অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে কী দেখছে। নিজের দিকে সে কয়েকবার নজর দিল। তারপর আলোকে বলল

– কী হয়েছে?

এর মধ্যেই আলোর চোখ থেকে তানভীরের চোখটা সরে গেল। আলো যেন সম্বিত ফিরে পেল। দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস টেনে হালকা করে সেটা ছেড়ে বলল

– এমনি চিন্তা করছিলাম।

– কী চিন্তা করছিলেন?

– এই যে আন্টি বলল আপনার কথায় আর কাজে কোনো মিল নেই। এর আগে কী এমন করেছেন যে আন্টি আপনাকে এত সন্দেহ করছে।বারবার কটু দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। নিশ্চয় মেয়েগঠিত কোনো সমস্যা আছে আপনার।

কথাটা শুনে তানভীর আলোর কাছে এসে আলোর হাতটা ধরে বলল

– হ্যাঁ আছেই তো মেয়েগঠিত সমস্যা। এই যে আপনার হাত ধরলাম এখন দেখবেন আপনাকে কী করি। আর মা এজন্যই আমাকে বিশ্বাস করছিল না।

কথাটা বলেই তানভীর হালকা সামনের দিকে এগুলো। তানভীরের এমন আচরণে আলোর দম যেন বন্ধ হয়ে যেতে লাগল।ভাবতে লাগল এতক্ষণ একটা হায়েনাকে সে মানুষ ভেবেছিল। এ হায়েনার থেকে নিজেকে বাঁচাবে কী করে। এসব ভাবতেই তানভীরের দিকে তাকাতেই তানভীর ফিক করে একটা হাসি দিয়ে আলোর হাতটা ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে গিয়ে বসে বলল

– এত ভয় পেয়ে গেলেন কেন? কী মনে হয় আপনাকে এভাবে একা পেয়ে নিজের পুরুষত্ব দেখাব। পাগল আপনি? আর কী মনে করেন আমাকে? এতটাও কাপুরুষ নয় যে একা একটা মেয়েকে পেয়ে যা’তা করে বসব। আমার মা এ কথাটা বলেছে অন্য কারণে। মেয়ে নিয়েই ঝামেলা হয়েছে সেটা ঠিক তবে চারিত্রিক সমস্যা নিয়ে হয়নি।

আলো অবাক চোখে তাকিয়ে বলল

– আপনার কথার মানে বুঝছি না। একটু বুঝিয়ে বলুন।

– আপনাকে এত বুঝতেও হবে না। অনেক বুঝেছেন। এখন চুপচাপ বসুন।

– মেয়ে নিয়ে কী ঝামেলা হয়েছে বললে আমি সতর্ক থাকতে পারব।

– আপনাকে এ বিষয়ে বলার কোনো প্রয়োজন মনে করছি না। কারণ এটা জেনে সতর্ক হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই। আপনি এখানে বসুন।

আলোও নাছোরবান্দার মতো তানভীরের কথার ভ্রুক্ষেপ না করে পুনরায় বলে উঠল

– আরে এমন করছেন কেন? বলুন না কী হয়েছে।

আলোর কথা শুনে তানভীর কিছুটা বিরক্ত হয়ে চেঁচিয়ে আলোর মুখ বরারবর নিজের মুখ বাড়িয়ে বলল

– একদম চুপ। সাহায্য করতেছি বলে মাথা কিনে নেন নি যে আপনার সব কথার জবাব আমাকে দিতে হবে।এত ঘ্যানঘ্যান করবেন না। বেশ বিরক্ত লাগছে।দয়াকরে রাগ তুলবেন না। বসতে বলেছি বসুন। এমনিতেই মথা গরম তার উপর আপনার আজে বাজে প্রশ্নে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। চুপ থাকুন একদম।

বলেই তানভীর বসা থেকে উঠে দাঁড়াল। এদিকে আলো তার এমন ব্যবহারে কিছুটা ভয় পেয়ে গেল। আলোর হাত পা কাঁপতে লাগল। সামান্য এ কথায় যে সে রেগে যাবে সেটা আলো বুঝতে পারেনি। আলোর ভেতরে ধুকধুক করতে লাগল। আলো একদম নীচের দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে তানভীরের দিকে তাকালে তানভীর আলোর চোখ থেকে চোখ সরিয়ে আর কোনো কথা না বলে রুম ত্যাগ করল।আলো বুঝতে পারছে না তানভীরের এমন ব্যবহারের কারণ সে জানে না কেন এমন হলো।তবে কোনো কিন্তু তো রয়েছেই। তবে সে ব্যপারে আলোর এখন না ভাবলেও চলবে।এ বাসায় থাকার ব্যবস্থাটা এখনও কনফার্ম হয়নি তার। আদৌ থাকতে পারবে কী না তাও জানে না। জাহানারা সুফিয়া বেশ জটিল মানুষ হলেও তার মন সরল মনে হয়েছে আলোর কাছে।আর তানভীরকে এতক্ষণ মজার মানুষ মনে হলেও এখন বেশ রাগী লেগেছে। মানুষের ভেতর আর বাহিরে পরখ করা বেশ কঠিন। কখন কী হয় সেটা জানা অসম্ভব। আলো অনিশ্চয়তা নিয়ে বসে আছে। জানে কী আছে তার কপালে। বারবার একটা ভয় তার ভেতর ঝেঁকে আসছে।সবসময় তার সাথে খারাপ হচ্ছে এখন কী ভালো হবে। এসব ভাবতে লাগল। এর মধ্যেই একজন মেয়েলি কন্ঠ বাইরে থেকে আওয়াজ দিয়ে বলল

– আপা ঘরে আসব কী?

আলো জানে না কে। আধুআধু গলায় বলল

– আসেন।

মহিলাটা ঘরে প্রবেশ করল। মধ্য বয়স্ক একটা মহিলা। মহিলার হাতে একটা খাবারের প্লেট। আলো বুঝতে পারলো উনি এ বাসায় কাজ করে।আলোর দিকে মহিলটা খবার বাড়িয়ে দিয়ে বলল

– আপা আপনার খবার।

আলো খাবার টা হাতে নিয়ে বলল

– আপনি খেয়েছেন?

– হ আপা খাইছি।

– আচ্ছা আপনাকে কী বলে ডাকব?

মহিলাটা হালকা হেসে বলল

– খালা বলে ডাইকেন।

আলো উনার কথা শুনে এক গাল হেসে বলল

– সম্পর্কের গরমিল করে ফেললেন। আপনি আমায় আপা ডাকছেন আর আমাকে বলছেন খালা ডাকতে বিষয়টা কেমন না?

উনি জিহ্বায় কামড় দিয়ে বলল

– হ আফায় বিষয়টা ঠিক বলছেন। সুফিয়া খালাও আমারে খালা বলে ডাকে। আপনি সুফিয়া খালার কী হন?

– উনি আমার আন্টি হয়। তাহলে সম্পর্কের হিসাব করলে আপনি আমার আপা হন। তবে আপনার আর আমার বয়সের পার্থক্য অনেক। আপনাকে আপা ডাকলে আমার নিজেকে বুড়ি মনে হবে। আচ্ছা আপনার নাম কী?

মহিলাটা মুচকি হেসে বলল

– রাবু।

– তাহলে আপনাকে রাবু নানু বলে ডাকব। ঠিক আছে?

– আপনার ইচ্ছা।

– আপনার বাড়িতে কে কে আছে?

– শুধু একটা মেয়ে আছে আপা। মেয়েটারে তার মামার কাছে রেখে আসছি। আর আমি কাম কইরা মেয়েটার পড়ার খরচ চালাই।

আলো কিছুটা বিস্মিত হয়ে বলল

– নানা কোথায়?

কথাটা জিজ্ঞেস করতেই রাবু হালকা চোখের পানি জড়িয়ে বলল

– আমারে ছাইড়া আরেকটা বিয়া কইরা ঐ বউ লইয়ায় আছে। আর এর লাইগায় মাইনসের বাসায় কাম করি। আর মেয়েডারে তার মামা মামীর কাছে রাইখা আসছি। তারায় দেখাশোনা করে।

– আপনার মেয়ের কোনো অসুবিধা হয় না মামা মামীর কাছে থাকতে?

– নাহ তো আপা সে ভালোই আছে। আমার ভাই,ভাবী ভালোই যতন করে।

আলো নিশ্চুপ। রাবুর মেয়ে মামার কাছে থাকে শুনে নীলার কথা আলোর মনে পড়ে গেল। আলোর ভাবনার আকাশ জুড়ে এখন নীলা নামটার বিচরণ করছে। ভাবছে নীলা কী পেরেছে নিজের গন্তব্যে পৌঁছাতে। সাথে সাথে সেটাও ভাবছে নীলা মেয়েটা মামার কাছে ধর্ষণ হয়েছে আর এদিকে রাবু নানুর মেয়েটা তার মামার কাছে নিরাপদ আছে। কত অদ্ভুত এ দুনিয়া একই সম্পর্ক তবে তার নিয়তির লিখন দু ধরণের। আলোর নীরবতা দেখে রাবু আলোকে ডেকে বলল

– আপা কী ভাবতেছেন?

আলো ভাবনা থেকে বের হয়ে বলল

– তেমন কিছু না। আচ্ছা তানভীর ভাই কোথায়? উনি আসলো না কেন?

– ভাইজানের মেজাজ মনে হয় গরম।আমারে বলল আপনারে নাস্তা দিতে তারপর নিজের রুমে গিয়ে ঘাপটি মেরে আছে। আপনার কিছু লাগলে আমাকে বলেন।

আলো মৃদু হেসে বলল

– কিছু লাগবে না নানু আপনি যান।

– আচ্ছা গেলাম আফা।

বলতে বলতেই রাবু রুম থেকে বের হলো। আলো নাস্তাটা হাতে নিয়ে পরোটাটা ছিড়ে ছিড়ে খেতে লাগল আর ভাবতে লাগল তানভীরের কী এমন হয়েছে যে আলোর কথায় এতটা রিয়েক্ট করল। এসব ভাবতে লাগল আর খেতে লাগল।খাওয়াটা শেষ করার পর তার মনে হলে সে তানভীরকে রাগিয়েছে সুতরাং তার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাই কিছুটা ভয় ভয় নিয়ে রুম থেকে বের হলো। রুম থেকে বের হয়ে লক্ষ্য করল এ বাসাটা অনেক বড় আর অনেকগুলো রুম। কোন রুমে তানভীর সেটা সে জানে না। সে কিছুটা অনিশ্চয়তা নিয়ে তার পাশের রুমটায় দরজা খোলা পেয়ে হালকা উঁকি দিয়ে কিছুটা বিস্মিত হলো।কারণ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে