অনুভবে (২য় খন্ড)
পর্ব ৮
নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা
সুরভির গাঢ় হাসি আঁকে ঠোঁটের কোণে, “হ্যাঁ, ইনারার সাথে দেখা করে এসেছি।”
শূন্য দৃষ্টিতে সুরভির দিকে তাকিয়ে রইল সাইদ। সুরভির এত সহজে এই উওর দেওয়াটা অবাক করল তাকে। তবুও সে নিজেকে সামলে নেয়। শান্ত গলায় বলে, “ওর সাথে তোর যোগাযোগ আছে।”
“থাকবে না? আমার বেস্টফ্রেন্ড ও।”
তার মা দ্রুত এসে দুইহাত ধরে সুরভিকে ধমকের সুরে বলে, “ওই মেয়ের জন্য একবার প্রিয়’র সাথে কি হয়েছে তাও মনে নেই তোর? তোর কী আমাদের খেয়াল নেই? কীভাবে তুই ওর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারিস?”
“যেভাবে তোমার ছেলে তাদের সাথে কাজ করতে পারে।” এই একটা বাক্যতেই মা’য়ের অগ্নি দৃষ্টি নম্র হয়ে আসে। সে আস্তে করে সুরভির হাত ছেড়ে দেয়। সুরভি আবারও বলে, “তুমি আমাকে ইনারার সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য ধমক দিতে পারছ কিন্তু ভাইয়া যে সে খুনিদের জন্য কাজ করে তাকে তো কিছু বললে না?”
“সুরভি!” হাত তুলে নেয় সাইদ। কিন্তু সুরভি চোখ নামায় না, একটুও নড়ে না সেখান থেকে। সাইদের চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করে, “কেন তুমি জানো না তুমি যাদের জন্য কাজ করে তারা প্রিয়’র হত্যা।”
“ও আত্নহত্যা করেছে।”
“ওকে আত্নহত্যা করার জন্য জোর করা হয়েছিল। তোমার প্রেমিকা করিয়েছে।”
“সুরভি নিজের মুখে লাগাম দে। এরপর আমি আর নিজেকে সামলাতে পারব না।”
“আমি আমার চোখের সামনে ওর লাশ….” এতটুকু বলেই সুরভি চোখ বন্ধ করে নেয়। কাঁপা-কাঁপা নিশ্বাস ফেলে সে। আবারও বলে, “ওর আর ইনারার জীবন শেষ করে দিয়েছে তারা। তবুও তুমি তাদের জন্য কাজ করছ! প্রিয় না তোমার ভাইয়ের মতো ছিলো ইনারা না তোমার বোনের মতো? মানে আমার সাথে এমন কিছু হলেও তোনার কিছু আসতো যেত না? আইজাই তোমার জন্য সব তাই না। জানো এই তিনবছরে তোমাকে আমি কেন ভাই ডাকি না? কারণ আমার ভাইও আমার জন্য মরে গেছে।”
কথাটা শেষ হবার পূর্বেই সুরভির গালে জোরে এক চড় পরে।
সুরভির বাবা উঁচু স্বরে বলে, “সাইদ! আমাদের ঘরে মেয়েদের উপর হাত তুলে না। এই শিক্ষা দেই নি তোকে?”
সুরভি বল, “আমাদের তো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার শিক্ষাও দিয়েছিলে। কিন্তু সময় আসার পর তো নিজেরাই বেঁধে নিলে।”
“এত মুখে মুখে কথা বলা কবের থেকে শিখেছিস তুই?” সুরভির মা তার উপর আবার হাত তুলতে নিলেই তার বাবা থামায়। সুরভিকে নিয়ে সোফায় বসে তার মাথায় হাত রেখে বলে, “দেখ মা, আমরা তোকে শিক্ষা দিয়েছি। আর সে শিক্ষার মান না রেখে ভুলও করেছি। কিন্তু আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের। এত ক্ষমতাশীল লোকদের সাথে প্রতিবাদ করার মতো শক্তি আমাদের নেই। তারা মুহূর্তে আমাদের পরিবার শেষ করে দিবে। আর সবচেয়ে বেশি চিন্তা তোকে নিয়েই তো। তারা যদি ইনারার মতো তোর সাথেও কিছু… না না ভাবতেই আমার বুক কেঁপে উঠলো। তুই বুঝার চেষ্টা কর মা, এই সমাজ এত সোজা না। চাইলেই সব হয় না।”
“ওকে বুঝিয়ে লাভ নেই। মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ওর।” সাইদ ধমক দিয়ে বলল। সে আরও জানাল, “ওর বিয়ের ব্যবস্থা করো। আহনাফ ভালো ছেলে। পড়াশোনা ভালো, বিদেশ থেকে পড়ে এসেছে। বাড়ি আছে, জায়গা জমি সব আছে। ভালো চাকরিও করে। আর আমি খোঁজ নিয়েছি। ছেলের ব্যবহারও ভালো।”
সুরভি সাথ সাথে উঠে দাঁড়ায়, “আমি জানিয়েছিলাম আমি সে লোকের সাথে বিয়ে করব না। লোকটা এখনো তার প্রাক্তনের ছবি ফোনে নিয়ে ঘুরে।”
“সবার অতীত থাকে। এটা কোনো কারণ না এত ভালো ছেলে হাতছাড়া করার।”
“অতীত ভুলে যাওয়া এত সহজ হল তুমি আইজাকে ভুলছ না কেন?”
সাইদ রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকায় সুরভীর দিকে, “ওর সাথে বিয়ে করার পর তুই যা ইচ্ছা তাই করিস। আর না হলে এবার ফোর্থ ইয়ারের এক্সাম দেবার কথা ভুলে যা। এ বাসা থেকে একবারে তখন বের হবি যখন তোর বিয়ে হবে।”
বলেই সে ভেতরে চলে যায়।
সুরভির রাগে কটমট করতে করতে বলে, “ফাজলামো চলছে আমার জীবন নিয়ে? যে কারও সাথে বিয়ে করায় দিবে, বললেই হলো?”
সুরভির মা তাকে আবার সোফায় বসিয়ে বল, “আরে শান্ত হো, দেখ আমিও শুনেছি আহনাফ অনেক ভালো ছেলে। আর ওর পরিবারের প্রশংসা সবার মুখে শুনেছি। মানুষের অতীত তো থাকেই। তোরও হয়তো আগে কেউ পছন্দ ছিলো তাই না?”
“জ্বি না।” রাগে ফোঁপাতে ফোপাঁতে বলে সুরভি।
“আচ্ছা ঠিকাছে ছিলো না। কিন্তু সবার যে থাকবে না এমনও তো না। বিয়ে হলে আগের সব ভুল যাবে। এছাড়া তোকে কি এখন ধরে বেঁধে বিয়ে করাচ্ছি না’কি? তুই আগে ওর সাথে কথা বল, যদি তোর পছন্দ হয় তাহলেই বিয়েটা আগাবো। আর না হলে বিয়ে হবে না। কিন্তু তুই আগে আমার কসম খা ওকে একদম সঠিক সুযোগ দিবি।”
সুরভি উঠে দাঁড়ায় আবারও, “উফফ মা তোমরা যেখানে পারো কসম তুলে আনো। কতবার বলেছি এই কসম জিনিস ভালো না। তাও এতে কসম ওতে কসম, কসমের দোকান বসো একটা। বিরক্তিকর!” বলে সে হনহনিয়ে তার রুমে চলে গেল।
তার মা বসলেন বাবার পাশে। আফসোসের সুরে বলল, “কি শুরু করল এই দুইজন? আমি তো পাগল হয়ে যাব।”
“সুরভি কিন্তু সাইদের কথাটা ভুল বলে নি।” বাবা বললেন গম্ভীর গলায়।
“তা আমিও জানি। কিন্তু কি করব? সাইদ তো আমার কথা শুনতেও রাজি না। এছাড়া ও এখনো সেখানে কাজ করছে বলেই সুরভি সুরক্ষিত আছে। আমার মনে হয় ওর সেখানে কাজ করার কারণ এটাও।”
সুরভি রুমে এসে তার হাতের ব্যাগটা ছুঁড়ে ফেলে বিছানায়। রাগে তার মাথায় রক্ত উঠে গেছে। এই মুহূর্তে তার ভাইয়ের আগে ওই আহনাফকে তার খুন করতে মন চাচ্ছে। অন্যকাওকে ভালোবাসলে তার দরকার ছিলো বিয়ের জন্য হ্যাঁ করে সুরভিকে ভেজালে ফেলার?
তার বাসায় এসে সবার আগে ইনারাকে কল দেবার কথা ছিলো। কিন্তু এত মাথা গরম মেয়ে তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা হলো না। মেজাজ খারাপ করে কথা বললে ইনারাও চিন্তায় পড়ে যাবে। এমনিতেই কম চিন্তা নয় তার। এর মধ্যে আরেকটা যুক্ত করার মানে হয় না। এর কারণেই সে আহনাফের ব্যাপারটাও জানায় নি ইনারাকে।
সবার আগে সুরভি লম্বা সময় ধরে গোসল করে তার মাথা ঠান্ডা করার জন্য। রুমে এসে বসতেই দেখে তার ফোনে তিনটা মিসকল। নাম্বারটা তার চেনা নয়। সে কল ব্যাক করে। ফোনের ওপাশ থেকে একটি ভারী কণ্ঠ ভেসে আসে, “আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুম আসসালাম। জ্বী কে বলছেন?”
“আমি আহনাফ।”
নামটা শুনে অনেকটা বিরক্ত লাগছিল তার। সে কাঠখোট্টা গলায় জিজ্ঞেস করে, “কী চাই বলুন?”
“আমার কিছু চাইনা। আপনার ভাইয়া কল করে বলেছিল আপনি বিয়েতে রাজি। তাই আরুহি আমাকে জ্বালাতন করছিল আপনাকে কল দেবার জন্য।”
সুরভির এত কষ্টে ঠান্ডা করা মাথাটা আবারও গুরম।হয়ে গেল। সে বিরক্তি নিয়ে বলল, “আমি বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলি নি। কথা বলতে রাজি হয়েছি। মা বলেছে কয়েকদিন কথা বলে দেখতে রাজি না হলে বিয়ে হবে না।”
“ওকে।”
“আপনার এতে কোনো সমস্যা নেই?”
“না।”
“কোনো সমস্যাই নেই? আমি আপনার সাথে এত রুক্ষ ব্যবহার করছি তাও না?”
“দেখুন, আমার বিয়ে হবার কারণ আমার বাবা ও বোন। তাদের জন্য আমি বিয়ে করছি। তাই তাদের যাকে পছন্দ তাকেই করব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। তাদের দুজনের আপনাকে অনেক পছন্দ হয়েছে।”
“আর আপনার পছন্দের?”
খানিক্ষন সময় নিলো আহনাফ। তারপর বলল, “আপনি আমার সাথে একজনের ছবি দেখছিলেন। আপনি তা না দেখলেও আমি আপনাকে ওর কথা জানাতাম। আমি একটা জিনিস পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি যে মেয়েটাকে সে ভালোবাসি। আমার পক্ষে অন্য কাওকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।”
“তাহলে বিয়ে করছেন কেন?”
“বিয়েতে ভালোবাসা লাগে না’কি? বিয়েতে দায়িত্ববান হওয়া প্রয়োজন। আমি ভালোই দায়িত্ববান। কেবল ভালোবাসতে অক্ষম।”
সুরভি যায় ব্যালকনিতে। রেলিং এ হেলান দিয়ে দাঁড়ায়। বলে, “নিজের প্রশংসা ও বদনাম একসাথে? ইন্টারেস্টিং। তবে একটা জিনিস ভুল বললেন।”
“কী?”
“বিয়েতে দায়িত্ব পালনের ও ভালোবাসার ক্ষমতা দুটোই প্রয়োজন। আর আমি ভালোবাসা ছাড়া কাওকে বিয়ে করতে পারব না। এই জীবনে কেবল একজনকে ভালোবাসবো বলে বেশিরভাগ ছেলেদের থেকে দূরে দূরে থাকতাম। হাজারো স্বপ্ন সাজিয়েছি সে মানুষটার জন্য। এভাবে সে স্বপ্ন আমি ভাংতে পারি না।”
আহনাফ এবার শব্দ করে হেসে উঠে।
“আমি কি রসিকতা করেছি? হাসছেন কেন?”
“আপনার আর আমার কোনো একদিক থেকে মিল পেলাম বুঝলেন। এই ভাবনাটা আমিও ভেবেছিলাম। যাকে নিয়ে ভেবেছিলাম তাকে পেলাম না। কিন্তু তাকে ভালোবেসেই যাচ্ছি। এমন ভালোবাসাটাই যত কষ্টের গোড়া। তবে আশা করি আপনার ইচ্ছাটা পূরণ হোক। আপনি চাইলেই বিয়ের জন্য না করতে পারে।”
“এখন সম্ভব নয়। ঘরে ঝামেলা হবে। ইমোশনাল ব্লাকমেইল করা হবে। একমাস দেখি, আপনার মত না পাল্টালে মানা করে দিব।”
“আপনি আমার মত পাল্টাতে চাইছেন? আমাকে কি আপনার এতটাই ভাল লেগেছে?”
প্রশ্নটায় হতভম্ব হয়ে গেল সুরভি। খানিকটা অস্বস্তি দেখাল তার মাঝে। সে আমতা-আমতা করে বলল, “এমন কিছু না। যাস্ট কথার কথা বললাম। আচ্ছা ফোনটা রাখি।”
সে আহনাফের উওর পাবার আগেই কল কেটে দিকে য়। বুকে হাত রেখে গভীর নিশ্বাস ফেলে সে। একটু আগেও মনে হয়েছিল তার নিশ্বাস আটকে আছে।
ফোনটা হাতে দেখে তার ইনারাকে কল দেবার কথা মনে পড়ল। কিন্তু সে কল দিলো না। মেসেজ দিলো, “তোর কথানুযায়ী ভাইয়াকে জানিয়েছি যে তোর সাথে আমার দেখা হয়েছে।”
.
.
সভ্য প্রায়ই রাতে বাগানে ঘুরতে বের হয়। হাঁটাহাঁটি করে। আজও এসেছে। এসে দেখে ইনারা সে কৃষ্ণচূড়া গাছটির নিচে বসে কেকের সাথে আইস্ক্রিম খাচ্ছে। সে-ও সুযোগ পেয়ে তার সামনে যেয়ে দাঁড়ায়, “লজ্জা করো। আমি এত কষ্ট করে বানিয়েছি আমাকে একবারও সাধলে না।”
কথাটায় ইনারা বিশেষ ধ্যান বলে মনে হলো না। বেখেয়ালি মনে বলল, “আপনার বাড়ি, আপনি রান্না করলেন তাও আপনাকে সাধতে হবে।”
“ভুল বলো নি তো।” বলে সভ্য ইনারার পাশে বসে গেল। তার হাতের থেকে প্লেট নিয়ে নেয়।
ইনারা হতবাক। সে কপাল কুঁচকে তাকায় সভ্যের দিকে, “এটা কোন ধরনের বেয়াদবি?”
“কিসের বেয়াদবি? বাড়ি আমার, বানানো কেক আমার, বউ আমার। নিজের জিনিস নেওয়াতে বেয়াদবি কীভাবে?”
“বলেছি না আমার সামনে এমন বউ বউ করবেন না। বিরক্তি লাগে।”
“আজকাল তো তোমার কথায় কথায় বিরক্ত লাগে। কত বদলে গেছ তুমি।”
“এ বদলানো রূপের আপনিও একটা কারণ।” কথাটা বলতে চেয়েও বলল না ইনারা। চুপচাপ বসে রইলো। তাকাল সে তারা খেলা করা আসমানের দিকে।
আর সভ্য তাকিয়ে রইলো তার দিকে। তারা ভরা আকাশের নিচে বসে আছে দুইজন। চারদিকে ফুলের ঘ্রাণ ম ম করছে। বাতাসে দুলছে ইনারার কেশ। সে কেশগুলো বারবার তাকে বিরক্ত করছে। তার মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে এবং বিরক্ত করছে। সভ্যের ইচ্ছা হলো সে চুলগুলো তার মুখ থেকে সরিয়ে দিক। পরে সে থামলো। তার ভালো লাগছে এই দৃশ্য দেখতে। মাতোয়ারা লাগছে এই বাতাস যা ইনারার চুলগুলো নিয়ে খেলা করছে। তার মনে হলো মুহূর্তটা এখানে থেমে গেলে খুব ভালো হতো। কিন্তু মুহূর্তটা থামে না।
হঠাৎ ফোনে শব্দ হতেই তার ধ্যান ভাঙে। সে দেখে ইনারা ফোনটা তুলে কিছু একটা পড়লো। মুহূর্তেই তার ঠোঁটের কোণে গাঢ় হাসি এসে উপস্থিত হয়।
তার মনে কৌতুহল জাগে। সে ইনারাকে জিজ্ঞেস করে, “কী দেখে এমন হাসছো?”
“সুরভি সাইদ ভাইয়াকে জানিয়েছে যে ওর সাথে আমার দেখা হয়েছে।”
সভ্য অবাক হয়, “এতে তুমি খুশি?”
“আমিই ওকে বলেছিলাম এমনটা করতে।”
“আর আমি জানি তুমি যে করেই হোক সুরভিকে প্রটেক্ট করতে চাও তাহলে ওকে কেন বলতে বললে?”
“সাইদ ভাইয়া কখনোই সুরভির নাম এসবে আনবে না। আমি জানি।”
“আর তোমার কথা জানানোর কারণটা জানতে পারি?”
ইনারা বাঁকা হাসে, “তাদের আমাকে খুঁজতে হবে না? কাল আমার দেখা পাবে তারা। তবে এতটা সহজে আমি ধরা দিব না। যখন তারা আমাকে পাগলের মতো খুঁজে হয়রান হয়ে যাবে তখন তাদের সামনে যেয়ে হাজির হবো। তারা ভাববে এটা তাদের নিয়তি। কিন্তু তারা এটা জানে না এখন থেকে তাদের নিয়তি ইনারার হাতের মুঠোয় আছে।”
চলবে…
[দয়া করে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।]