অনুভবে (২য় খন্ড)
পর্ব ৬
নিলুফার ইয়াসমিন ঊষা
গতকাল রাতে দেরি করে বাসায় পৌঁছানোর কারণে সকাল সকালই ইনারাকে কল দেয় সুরভি। ইনারা তাকে বেশি কিছু জানায় না। কেবল তার ভার্সিটির সামনে থেকে একটি গাড়িতে উঠতে বলে। সে তেমনি করে। সে দেখে শহরের শেষ দিকে গাড়িটি এসে থামে। আশেপাশে বাড়ি খুব কম। কিন্তু প্রাকৃতিক দিক থেকে জায়গাটা খুব সুন্দর। গাড়ি থামে একটি বিশাল প্রবেশদ্বারের সামনে। ভেতরে ঢুকে আবিষ্কার করে আরও বেশি সুন্দর একটি পরিবেশ। ড্রাইভার তাকে ভেতরের রাস্তা দেখায়। সে সবকিছু দেখতে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে ইনারাকে কল দেবার কথা তার মাথাতেই নেই।
ঘরে ঢুকতে একটি মধ্য বয়স্ক মহিলাকে সে দেখতে পায়। সে ঘর পরিস্কার করছিল। তাকে দেখে সুরভি ইনারার কথা জিজ্ঞেস করে।
মহিলাটির চোখ এবং কথার ধরণ দুটিই কঠিন। সে জিজ্ঞেস করে, “আপনার ইনারা ম্যামকে কেন লাগবে? ”
“আমি ওর বান্ধবী।”
মহিলাটি কিছু না বলেই ভেতরে চলে গেলেন। সুরভি হতভম্ব। এভাবে কেউ কিছু না বলে চলে যায়? এ বাসা তার জন্য অচেনা। সে ভেতরে যেয়ে তো আর ইনারাকে খুঁজতে পারে না। সে নিজের ফোন বের করল, কল করবার জন্য। তখনই একটি মেয়ে দৌড়ে এলো ভেতর থেকে। তার শাড়ির আঁচল মাথায় টেনে বলল, “আপনি ইনারা আপার বান্ধবী?”
সুরভী মাথা নাড়ায়।
“আপাকে তো ছোট স্যারের রুমে যেতে দেখছিলাম। সকাল থেকে আপনার অপেক্ষা করছিলো।”
“ছোট স্যার কে?” বিস্মিত কন্ঠ জিজ্ঞেস করল সুরভী।
“আরে ছোট স্যার মানে সভ্য স্যার।”
“এটা সভ্যের বাড়ি?” এবার বিস্ময়ের চরম সীমানায় সুরভি।
“হো, কেন আপা? আপনি তাদের বিয়েতে আসেন নি?”
সুরভির বিয়ের কথাটা হজম করতে সময় লাগলো। তার গলা দিয়ে কোনো কথাই বের হচ্ছিল না। সে আমতা-আমতা করে বলল, “বিয়ে মানে? কার বিয়ে?”
“ইনারা আপা আর সভ্য স্যারের।”
সুরভির চোখ দুটো যেন কোটর থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে। ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইল হাসনার দিকে। তার এ মুহূর্তে নিজের কানকে বিশ্বাস হচ্ছে না। এ খবর শুনে সে কি বলবে তাও বুঝতে পারছে না। তার মাথায় কথা যেন গুলিয়ে গেল। সে নিজেকে যথাসম্ভব সামলে হাসনাকে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা ইনারা কোন রুমে তা একটু বলতে পারবেন?”
হাসনা তাকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়।
“এই চলে তোমার মনে? বাহিরে আমাকে দূরে সরিয়ে দেবার নাটক করলেও ইচ্ছে করে ঠিকই কাছে টেনে নিচ্ছো। আমাকে কাছে পাওয়ার এত ইচ্ছা হলে সোজা বললেও পারো। আমি কিছু মনে করব না সুইটহার্ট।” সভ্যের কথা শুনে রাগে গা জ্বলে উঠলো ইনারার। সে তার গালে থাকা হাতটা এক ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলল, “জ্বি না, এখনও আমার টেস্ট এত খারাপ হয় নি। আর কে সুইটহার্ট, কীসের সুইটহার্ট! আপনার দাদাজান আমাকে সাহায্য করেছিল বলে আপনি বেঁচে গেছেন, নাহলে এতদিন আপনার একটা হাড্ডিগুড্ডি একত্রে থাকতো না।”
“জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছিল, মেয়েরা যার উপর বেশি আকর্ষণ অনুভব করে তার উপরই এমন রাগ দেখায়। নিজের অনুভূতি লুকানোর জন্য।”
“আর সেখানে ব্যক্তির নাম কি?”
“সাফওয়াত ইসমাত সভ্য।”
ইনারা আরও বিরক্ত বোধ করলো। সে হাত দিয়ে ঠেলে সভ্যকে সরানোর চেষ্টা করে বলল, “সরুন তো। সুরভি এসে পড়বে।”
“আর সরলে কী দিবে তুমি? আমি আবার বিনিময়ে কিছু না পেলে কোনো কাজ করি না।”
সুরভি সভ্যের রুমের ভেতর ঢুকেই এমন এক দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে গেল। সাথে সাথে সে দুইচোখে হাত রেখে বলল, “আমি কিছু দেখি নি।”
সুরভির কণ্ঠ শুনে সভ্য ও ইনারা দুইজনই চমকে উঠে।সাথে সাথে সভ্য ও ইনারা একে অপর থেকে দূরে সরে যায়। সকলে পরে যায় লজ্জাজনক অবস্থায়। সভ্য গলা পরিষ্কার করে বলে, “তোমরা দুইজন কথা বলো, আমি আসছি। ”
“প্রয়োজন নেই। আমি সুরভিকে নিয়ে অন্য রুমে যাচ্ছি।”
ইনারা এগিয়ে যেয়এ সুরভীর হাত ধরতে নেয় আর সে সরে যায়, “খবরদার আমাকে ধরবি না।”
“কেন?” অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে ইনারা।
“কেন মানে! এতবছর পর দেশে আসলি কিন্তু আমাকে জানানোর প্রয়োজনবোধ করলি না।”
“আমি তোকে জানাতাম। তুই অনুষ্ঠানে যাবি বলে…”
সুরভি কথা কেটে বলে, “আর বিয়ে করে ফেলেছিস আমাকে জানাস নাই এটার কীভাবে বুঝাবি?”
“তুই একথা কিভাবে জানলি? আচ্ছা শুন, ব্যাপারটা সিরিয়াস না। আসলে হয়েছে কি….”
“তোর কোনো কথাই শুনব না আমি।” সুরভী মুখ ফুলিয়ে সভ্যের পাশে যেয়ে দাঁড়ায়, “তাও কার সাথে বিয়ে হয়েছে? সভ্যের সাথে। দ্যা গ্রেট সভ্য। যার জন্য সবাই পাগল। আমার তো এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না সভ্য আমার দুলাভাই। আমি কি করব? লাফাবো না নাচবো। সভ্য দুলাভাই জানেন আপনাকে এ তিনবছর আমরা সবাই কত মিস করেছি। আপনি কোথায় চলে গিয়েছিলেন।”
ইনারা হা হয়ে গেল এ দৃশ্য দেখে। সে সুরভিকে বলল, “তুই আমার সাথে তিন বছর পর দেখা করছিস আমাকে জড়িয়ে ধরবি তা না। এই ব্যাঙের ছাতাকে জানাচ্ছিস তাকে কত মিস করেছিস?”
“এই খবরদার আমার দুলাভাইয়ের নামে কিছু বললে ভালো হবে না কিন্তু। তোকে তো প্রতিদিনই ভিডিও কলে দেখতাম। কিন্তু সভ্যের সাথে দেখা হবার সুযোগ কি বারবার পাওয়া যায়? দুলাভাই ওর কথায় পাত্তা দিয়েন না। মাঝেমধ্যে হুদাই বকবক করতে থাকে।”
সভ্য মিটিমিটি হাস্তে শুরু করে।
ইনারা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। সে সুরভির হাত ধরে বলে, “এক আমাদের বিয়ে সিরিয়াস না। তাই দুলাভাই এর গান গাওয়া বন্ধ কর। দুই তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড হয়ে উনার পক্ষে কীভাবে কথা বলতে পারিস?”
“আমাকে ছাড়া বিয়ে করে বসে আছে। আর এখন আসছে ব্রেস্টফ্রেন্ডের কথা বলতে।”
“তুই আমার কোনো কথা শুনিস?”
“ব্রো তুই কীভাবে দ্যা গ্রেট সভ্যকে বিয়ের জন্য পটালি? এতজন সভ্যকে একবার দেখার জন্য পাগল আর তুই একবারে তাকে বিয়ে করে নিলি? সভ্য আমার দুলাভাই হলো।” সুরভি লাফাতে লাফাতে বলল। আবার সভ্যকে জিজ্ঞেস করল, “এর মানে আপনার সাথে আমি ছবি তুলতে পারব, অটোগ্রাফ নিতে পারব?”
“অফকোর্স শালীসাহেবা। কেবল কাওকে দেখাতে পারবেন না।”
“চলবে।”
“এক কাজ কর তুই উনার সাথেই কথা বল। আমি গেলাম।” ইনারা রাগে কটমট করতে করতে যেতে নিলেই সুরভী দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে নিলো। ভারী কন্ঠে বলল, “আমি তোকে অনেক মিস করেছি।”
“কেন? এখন কেন? যা ওই অসভ্যের কাছে যেয়ে ছবি তুল আর অটোগ্রাফ নে।”
“তোকে জ্বালাচ্ছিলাম। তবে আসলে বল তো সকল মেয়ের স্বপ্নের রাজকুমারকে পটিয়ে বিয়ে করলি কীভাবে?”
ইনারা তাকে সরিয়ে রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকায়। তাকানোর মুহূর্তখানিক পরই তার চোখে পানি ভরে গেল। সে হঠাৎ করেই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে, “তোকে আর প্রিয়কে কতবছর এভাবে জড়িয়ে ধরি না। ও’ই দেশে থাকতে বারবার মন চাইতো তোদের কাছে ছুটে আসি। তোদের ছাড়া আমার ভাল্লাগে না কিছু। তোদের সাথে প্রতিটা মুহূর্ত মনে করেই বেঁচে আছি।”
সুরভীর বুক চিরে কাঁপা কাঁপা নিশ্বাস বেরিয়ে আসে। সে তার হাতের ফোনের স্ক্রিনটা অন করে তার, ইনারার ও প্রিয়র ছবিটা দেখল। সে হাজার চেষ্টা করেও তার চোখ ভেজানো থেকে আটকাতে পারলো না। সে কাঁপানো গলায় বলল, “কিন্তু আগের মতো আর কিছুই হবে না।”
সভ্য নীরব দর্শকের মতো দৃশ্যটা দেখছিলো। তার চোখদুটোয় উদাসীনতা দেখা গেল। দৃশ্যটা দেখে সে চোখ নামিয়ে নিতেই তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে পঞ্চসুরের এক মিষ্টি মুহূর্ত। তার বুক কেঁপে উঠে। সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারও খুশি মনে তাকায় সামনের দিকে। এমন সাধারণ দৃশ্যটা তার কাছে অপূর্ব দেখায়। বন্ধুত্ব এমন এক সম্পর্ক যেখানে রক্তের সম্পর্ক থাকে না, কিন্তু আত্নার গভীর সম্পর্ক থাকে।
.
.
“মানে তোর আর দুলাভাইয়ের বিয়েটা দুই বছরের? ফাজলামো করোস?” সুরভি বলল। সে এবং ইনারা দাঁড়িয়ে আছে বাগানে। দুপুরের খাবার শেষে তাকে বাগান দেখাতে নিয়ে এলো ইনারা। আসার কিছুক্ষণ পরই এই সংবাদ জানাল তাকে। সুরভি আবারও রাগান্বিত সুরে বলে, “বিয়ে কোনো খেলা না যে যখন ইচ্ছা করবি আর যখন ইচ্ছা ভেঙে ফেলবি।”
“এখন আমার জীবনটাই একটা খেলা হয়ে গেছে। আমার জীবনের একটিই উদ্দেশ্য। প্রিয় এবং আমার মা’য়ের জন্য প্রতিশোধ নেওয়া। যার জন্য এই বিয়েটা করা প্রয়োজন ছিলো। আমি যত আবেগী কথা বলি না কেন অর্থ ও ক্ষমতা ছাড়া তাদের সাথে কিছুই করতে পারব না আমি। তাদের ধ্বংস করার জন্য আমার এ দুটো প্রয়োজন।”
“আচ্ছা তোর হয়তো এই বিয়েতে লাভ আছে কিন্তু সভ্যের কি? হতে পারে সভ্য আসলে তোকে ভালোবাসতো। তাই ফিরে এসে তোকে বিয়ে করেছে।”
“দিনে স্বপ্ন দেখা বন্ধ কর। উনিও নিজের স্বার্থের জন্যই বিয়ে করেছে। উনার দাদাজান উনাকে শর্ত দিয়েছিল আমাকে বিয়ে না করলে তাকে কোম্পানির মালিক করবে না।”
“আর সভ্যের দাদাজান কেন চাইবে তোদের বিয়ে হোক।”
প্রশ্নটা শুনে আসলেই ইনারা চিন্তায় পড়ে গেল। সুরভি তখন নাটকীয় ভাবে ইনারাকে বুঝাল বলল, “ভাব হয়তো সভ্যের অনেক বড় একটা রোগ দেখা গিয়েছিল। তার সব ছেড়ে যেতে হয়েছিলো। কিন্তু সভ্যের দাদা জেনে গিয়েছে যে সভ্য তোকে ভালোবাসে। আর তার নাতির খুশির জন্য বিয়েটা করিয়েছে। ভাব একবার, ইমেজিন।”
ইনারা গভীর চিন্তায় পড়ে গেল। সাথে সভ্যের ব্যাপারে এমন কথা শুনে তার ভয় লাগতে শুরু করে। সে নম্র দৃষ্টিতে তাকায় সুরভীর দিকে, “তুই মজা করছিস তাই না?”
“উই নেভার নো, কখন কার সাথে কি হয়ে যায়।”
ইনারা স্তব্ধ হয়ে যায়। চিন্তায় তার জান আসে যায় প্রায়।
অন্যদিকে সুরভি মিটিমিটি হাসে। ইনারাকে চিন্তায় ফেলায় তার খারাপ লাগলেও তার এটাই ঠিক মনে হলো। ইনারার মনে এখনো সভ্যের জন্য ভালোবাসা আছে তা থেকে সে অজানা নয়। আর সভ্যও তো হঠাৎ একদিন এভাবেই হারিয়ে যাবে না, কাওকে না বলে। সবকিছু ছেড়ে দিয়ে। আর এভাবে ইনারাকে বিয়েও করবে না। কিন্তু ইনারার সভ্যের প্রতি ব্যবহার দেখে মনে হয় না দুইজনের মাঝে সুন্দরভাবে কোনো কথোপকথন হবার সুযোগ আছে। তাই একটা কথা বানিয়ে বলে ফেলে সে।
সে ইনারার মন গলানোর জন্য আরও বলে, “চিন্তা কর ভাইয়ার সাথে আসলে এমন হলে তুই যদি তার সাথে এমন ব্যবহার করিস তাহলে তার কত কষ্ট লাগবে।”
“তুই তো ভুল বলিস নি। আমার ব্যাপারটা যাচাই করে দেখতে হবে। তুই থাক, আমি এখনই তার সাথে কথা বলে আসি।”
ইনারা দৌড়ে সেখান থেকে যেতে নিলেই সুরভী উঁচু স্বরে বলে, “আরে তার সাথে পরে কথা বলিস। আগে আমাকে তো সময় দে।”
কিন্তু ইনারা থামল না। সে এক দৌড়ে যেয়ে থাকে সভ্যের দরজার সামনে। দরজা বন্ধ ছিলো। সে না জিজ্ঞেস করেই ঢুকে পড়ে রুমে। আশেপাশে কোথাও পায় না সে সভ্যকে। সুরভীর কথা শোনার পর থেকে তার কেমন অস্থির অস্থির লাগছে। সে বারান্দায় যেয়ে সভ্যকে দেখতে শুরু করে। পায় না। বারান্দা থেকে বের হতেই তার সামনের ওয়াশরুমের দরজা খুলে বেরিয়ে আসে সভ্য। তার চুল দিয়ে টুপ টুপ করে পানি পরছে। যা সে তোয়ালে দিয়ে মুছতে মুছতে বের হচ্ছে।
ইনারা দৌড়ে যেয়ে তার সামনে দাঁড়ায়। তার গালে ও কপালে হাত রেখে অস্থির হয়ে বলে, “”আপনি ঠিক আছেন তো? সুস্থ আছেন? আপনার কিছু হয় নি তো?”
“আমি তো ঠিক আছি তোমাকে অসুস্থ দেখাচ্ছে। তুমি আমার সাথে এত সুন্দর করে কথা বলছ? অবিশ্বাস্য।”
“ফাজলামো করবেন না। সোজাসাপটা উত্তর দিন আপনি কি অসুস্থ?”
“হ্যাঁ, তোমার ভালোবাসায়।” মনে মনে উওর দেয় সভ্য। কিন্তু মুখে বলে না। সে তার তোয়ালে কাঁধে রেখে ইনারার দিকে এক’পা এগিয়ে আসে, “কেন অসুস্থ হলে কী তোমার স্বামীর সেবা করবে? তুমি আমার সব কথা বাধ্য মেয়ের মতো মানতে রাজি হলে আমি অসুস্থ হতেও রাজি।”
ইনারা এক’পা পিছয়ে যায়। কিন্তু বেশি পিছাতে পারে না। পিছনের দেয়ালে পিঠ ঠেকে আটকে যায় সে। পাশ দিয়ে বের হতে নিলে সভ্য তার কাঁধের দুইপাশে হাত রেখে রাস্তা আটকে দেয়।
চলবে….
[দয়া করে ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।]