‘মডেল মিফতা’পর্ব- ৫

0
1933
‘মডেল মিফতা’পর্ব- ৫ গল্পবিলাসী – Nishe আহহহহহহহহহ!!!! কে আপনি? আর আমাকেই বা কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? আপনি কিছু বলছেন না কেনো? আপনি কি বোবা? আপপপ আর কিছুই বলতে পারলোনা বেচারী মিফতা তার আগেই মুখ চেপে ধরেছে কেউ। চোখ মুখ সম্পূর্ণ বাধা অবস্থায় কেউ একজন তাকে পাজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কোনো কথাই বলছেনা। মিফতা হাতপা ছুড়ে চলছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছেনা। মিফতার ভয়ে কাঁচুমাচু হওয়া মুখটা দেখে খুব আনন্দ পাচ্ছে কেউ একজন।হঠাৎ করেই কোমড় সমান পানিতে নামিয়ে দিয়ে মুখের বাঁধনটা খুলে দিলো। ” পাপপপানিইইই!!!! কেককে আপপপনি??? কিককি চ্চচাই? একঝুড়ি প্রশ্ন ছুড়েই মিফতা এমন ভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরলো যেনো ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবো আমি -“প্লিজ আপনি যা বলবেন আমি শুনবো কিন্তু আমাকে মেরে ফেলবেন না প্লিজ দোহাই লাগে আপনার। আমি জানি আপপনিই শাওন ভাইয়াকে কিডন্যাপ করেছেন এখন আমাকেও । কিককি করেছি আমরা? হঠাৎ করেই আমার জড়িয়ে রাখা হাতটা ছেড়ে লোকটার বুকের সাথে আমার পিঠ লাগিয়ে চোখের বাঁধনটা খুলে দিলো চোখ খুলে যা দেখলাম ভয়ে আমার সারাশরীর কাপঁতে লাগলো। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি আর পানি এতো বড় বড় ঢেউ ভয়ে দমটা বন্ধ হয়ে আসছে। পিছন ফিরতে যেনো পৃথিবীর সেরা শকটা খাইলাম নিরব!!!!! ফ্লাশব্যাক সেদিন রাতে বের হয়েই কক্সবাজার চলে এলো নিরব।কক্সবাজার শুটিং স্পটগুলো খুব ভালোভাবেই চিনে নিরব। কারন স্টুডেন্ট লাইফে ফ্রেন্ডদের সাথে বেশ কয়েকবারই আসা হয়েছিলো। খোজঁ করে জানতে পারলো আগামীকাল কখন কোথায় শুটিং শুরু হবে। সেখাবে অনেক লোকও ছিলো হয়তো প্রিপারেশন নিচ্ছিলো আগামীকালকের জন্য। কিন্তু আমার তখন কিছু ইনফর্ম দরকার যা মিফতার কাছের কেউ ছাড়া দেয়া ইম্পসিবল। কোনো উপায় পাচ্ছিলাম না। মা আমার সাথে কথা বলেনা কারন তার পুত্রবধূকে আমি মেনে নেইনি এখন যদি আমি চিল্লিয়েও বলি মানতে চাই কিন্তু সবাই বিশ্বাস করলেও আমার মা নয়।মা ফার্স্টেই আউট অফ পয়েন্ট।ফাহিমা? ইয়েস ফাহিমা। আমার টার্গেট পর্যন্ত পৌঁছাতে ফাহিমাকে আমার প্রয়োজন। -” কেনো কল দিচ্ছিস এইভাবে? ” -” কথা শেষ না করা পর্যন্ত কল কাটবিনা। ” -” কি কথা বলবি তুই? কোনো প্রয়োজন আছে কথা বলার? ” -” ফাহিম তুই আমার কথা আগে শুন দেন যা রিয়েক্ট করার করিস আমি কিছুই বলবোনা। মিফতা তোর সাথে? ” -” নাহ। তোর কল দেখেই বেড়িয়ে করিডোরে চলে এসেছি।ও রুমে রেস্ট নিচ্ছে। কাল ওর শুটিং আছে। ” -“গুড। ” -” ভাই তুই যে ঠিক কি পরিমান ভাগ্যবান ছিলি সেটা এখন বুঝতে পারবিনা সময় হারিয়ে বুঝতে পারবি। এভাবে পায়ে ঠেলে দিসনা। এখনো সময় আছে।” ফাহিমার কথা গুলো শুনে খুব বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে -” জানি আমি। ” -” জানিস! সিরিয়াসলি তুই জানিস? তুই মোটেও কিছুই জানিস না। যদি জানতি সেদিন মেয়েটাকে কি করে এই অবস্থায় ফেলে চলে গেলি তুই? একটু বিবেকে বাঁধেনি? ” -“যাওয়াটা দরকার ছিলো ফাহিম। ” -” তোর লাইফে ফেমিলি ছাড়া সব কিছুই দরকার। মা, বাবা অবশ্য তুই তো বাবাকে বাবা বলে স্বীকারও করিস না, তার কথা নাহয় বাদই দিলাম আমি? আমারও দরকার নেই তোর লাইফে সেটা বুঝিয়ে দিলিতো। ” -” ফাহিম তুই যা ভাবছিস ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। ” -” ব্যাপারটা ঠিক কি সেটা তুইও জানিস কিন্তু তুই যেটা জানিস সেটা সম্পূর্ণ ভূল। তার জন্য তোকে কতোটা পশ্চাতে হবে তুই ভাবতেও পারবিনা ভাই। চোখে পর্দা পরে আছে তোর। বাইদা ওয়ে তোকে এই কথাগুলো হাজার বার বলেছি কোনো লাভ হয়নি আজও হবেনা আমি নিশ্চিত। কেনো কল দিয়েছিস? ” -” হেল্প লাগবে তোর। ” -” আমার হেল্প? ” -” হুম তোর। মিফতার শুটিং পার্টনার কে? তার ডিটেইলস আমার চাই রাইট নাও। ” -” কেনো হিংসে হচ্ছে? মেয়েটার সাফল্যতার পথটা গুঁড়িয়ে দিতে চাইছিস কেনো?” -” তোকে যা বলছি তা কর ইমিডিয়েটলি ইনফর্ম দে ” -” একদম রাগ দেখাবিনা ” -” তাহলে বল। ” -” বলবো আগে তোর প্ল্যানটা ঠিক কি সেটা কজ মিফতা এখন কোনো সিম্পল পার্সন না। তার নিজের একটা পরিচয় আছে সম্মান আছে সেটাকে নিশ্চয়ই আমি গুঁড়িয়ে যেতে দেবোনা। আগে বল দেন ভেবে দেখবো। ” -” মিফতা কোনো শুটিং করবেনা। ” -” কেনো করবেনা? তুই ওকে বলার কে? ” -” আমি কে মানে? আমি ওর হাজব্যান্ড। ” -” ওহ রিয়েলি! বলেই হেসে উঠলো ফাহিমা। হাজব্যান্ড? তুই মিফতার হাজব্যান্ড? কি মনে করিস নিজেকে? হিরু? সুপারম্যান? যে নিজে যা চাইবি তাই হবে? ” -” ফাহিম প্লিজ আমি কিন্তু সিরিয়াস।” -“হোয়াট সিরিয়াস? কিসের সিরিয়াস দেখাতে এসেছিস আমাকে? এতোদিন কোথায় ছিলো তোর হাজব্যান্ডগীরি? তখন তো দিব্যি বাবার উপর রাগ দেখিয়ে মেয়েটাকে শাস্তি দিলি তাহলে? দুইটা বছর পেরিয়ে গেছে একটা খবর নিসনি তুই? আর এখন বলছিস তুই হাজব্যান্ড তুই মিফতার হাজব্যান্ড শুধু কাগজ কলমে। হাজব্যান্ড শুধু আমাদের সমাজের। কিন্তু মিফতার দেহের মধ্যে যে একটা মন আছে সেখানে নেই আমি জানি সেখানে সে হাজব্যান্ড নামর শব্দটাকেও মুছে ফেলেছে। ” – “প্লিজ এখন এইসব শুনিতে চাইছিনা আমি ফাহিম। ” -” কেনো কষ্ট হয়? ইগোতে লাগে? নাকি সিমপ্যাথি জাগে? তোর নিজের কষ্ট হবে তুই কাকে অবহেলা করেছিস সেটা ভেবে। ভাই জানিস? যখন আমরা ফার্স্ট কোচিংয়ের ক্লাসে যাওয়ার পথে অনিকের সাথে আমার দেখা। তখনি পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের ভালোবাসার গল্পটা শেয়ার করেছিলাম মিফতাকে। আমি জানতে চেয়েছিলাম কাউকে ভালোবাসতো কি না। কিন্তু জবাবে কি বলেছিলো জানিস? বিয়ের আগে ভালোবাসা আমাদের শোভা পায়না ফাহিম। আমাদের লেভেলটাই ওইরকম। আমারো স্বপ্নছিলো বিয়ে হবে ভালোবাসাময় সংসার হবে যেখানে থাকবে শুধু ভালোবাসার খেলা। প্রতিদিন হাজারো খুনসুটি, রাগ অভিমান এইগুলো নিয়েই সংসার সাজাবো। হয়তো স্বপ্নটা খুব বিশাল ছিলো তাইতো পবিত্র সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েও আজ ভালোবাসাহীন আমি। আমার সংসারে নেই ভালোবাসার প্রহরী। মিফতার মুখে তখন হাসি থাকলেও বুকের ভিতরের চাপা কষ্টটা আমি দেখতে পেয়েছিলাম। জানিস যখন কোচিং কিংবা ক্লাসে যাই রাস্তায় যখন কোনো কাপল মিফতার চোখে পরে তখন তাদের দেখে মন থেকে খুব বড় একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে দিয়ে মুখে হাসি রেখেও বুকের ভিতর অজস্র কষ্টকে দূর করে। যখন রাতে ঘুমাতে যাই অনেক বকবক করি কিন্তু কোনো রেসপন্স না পেলে তাকিয়ে প্রায় সময় দেখি মিফতা একমনে কিছু একটা ভেবে চলেছে এক ধ্যানে কোনো পানে চেয়ে আছে। যখন জানতে চাই কি ভাবছে মুখে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে কিছুনা বলেই উড়িয়ে দেয়। আমার আড়ালে গিয়ে নিজের কষ্টটা কমানোর জন্য বুক চিড়ে একটা বড় নিঃশ্বাস ছেড়ে দেয়। জানিস কষ্ট গুলো কিসের? একটু ভালোবাসার অভাব। একটা হাতের অভাব। আমাদের যেমন ইচ্ছে করে কারো হাত ধরে সমুদ্রের কিনারায় একসাথে পা ভিজাতে তখন মিফতারও ইচ্ছে করে কারো হাত ধরে মেঠো পথে হেটে যেতে। আমাদের যখন ইচ্ছে করে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে একটা একটা শীতল বুক তেমনি মিফতারও ইচ্ছে হয় কিন্তু মেয়েটা সত্যিই অভাবী। সব আছে মিফতার নেই ভালোবাসার মানুষটা। যার জন্য প্রতিটা রাতে চোখের মুক্তজল ফেলে। ” দুইটা বছর পেরিয়ে গেছে একসাথে আছি। শুধু তোদের বিয়ের দিন ছাড়া বাকি দিনগুলো এক বিছানায় কাটিয়েছি। নিজের চোখে মেয়েটাকে জ্বলে পুড়তে দেখছি। যেটা সবাই দেখেনা আমি দেখতে পাই।আজ সহ্য হয়না দেখতে। খুব কষ্ট হয়। বাইদ্যা ওয়ে তুই কথাগুলো উঠিয়েছিস তাই বললাম। ভাললাগছেনা গুড নাইট। ” সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে আজ। খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে মিফতাকে। খুব আদর করতে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছে করছে বুকের মধ্যে পিশে নিতে। ” ফাহিম প্লিজ আমি জানি মিফতার কোনো দোষ নেই সব দোষ আমার। নিজের জন্য ওকে এতোটা কষ্ট দিয়েছি এখন চাই আমি। ওকে আমার করে পেতে চাই তুই ছাড়া আমায় কে হেল্প করবে প্লিজ ফাহিম । ” -“তুই শিউর চাইছিস? ” -” হ্যা তাই প্ল্যান করে নিয়েছি তোর হেল্প হলেই এনাফ। ” -” ওকে বল কি হেল্প? ” -” মিফতার পার্টনার কে হবে? ” -“শাওন ভাই। আজ আটটায় হোটেল বে বিচ রুম নাম্বার ২৪৪ এ উঠেছে। ” -“মিফতার পাসপোর্ট? ” -” সাথেই আছে। ” -” থ্যাংকস। ওকে কাল দেখা হবে আল্লাহ হাফেজ” বলেই কেটে হোটেল বে বিচ থেকে শাওনকে হোটেলের কিছু ওয়ার্কার দিয়ে কিডন্যাপ করিয়েছিলাম। তার কারন ছিলো একটা মিফতার উপর যেনো কোনো দোষ না আসে সব দোষ তার উপরই যায়।হঠাৎ করে শাওন নিখোঁজ হওয়ায় পুরো শুটিং কেন্সেল। রুমে আসতেই আমার প্ল্যান অনু্যায়ী মিফতাকে পানির সাথে স্লিপিং পিল খাইয়ে দিয়েছিলো ফাহিম।সেই পানি খেয়ে পুরো এগারো ঘন্টা ঘুমিয়েছিলো মিফতা। অনলাইনেই এয়ার টিকেট এবং ইন্ডিয়ার সাউথ গোয়াতে হোটেল বুক করে নিয়েছিলাম। ঘুমের মধ্যেই এখানে নিয়ে এসেছিলাম। বর্তমান এসব ভেবেই খানিকটা হাসলো নিরব। ওনি কি আমাকে মেরে ফেলার জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন? ঠোঁটে তৃপ্তিময় একটা হাসি। মনেহয় যেনো সাফল্যের শীর্ষে এসে পৌঁছে গেছেন। খুব কান্না পাচ্ছে। আজকেই বুঝি আমার শেষ দিন। চারোদিকে তাকিয়ে গোটা কয়েক কাপল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা। সবাই কতো খুনসুটিতে মেতে আছে আর আমি? দাঁড়িয়ে মিফতাকে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছি। একচুয়ালি কি ভাবছে সেটাই বুঝার চেষ্টা করছি। -” আমি আপনার বাড়ি থেকে চলে যাবো। আপনি চাইলে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিন কিন্তু আমাকে মেরে ফেলবেন না প্লিজ ” বলেই মিফতা কাদঁতে লাগলো। -” আপনি যা বলবেন আমি সব শুনবো আপনি যেভাবে চাইবেন আমি সব করবো প্লিজ আমাকে মারবেন না। ” -“ভেবে বলছো তো? আমি যা চাইবো তাই করবে? ” -” হুম। আপনি যা চাইবেন আমি সব শুনবো প্লিজ আমাকে মেরে ফেলবেন না।” মিফতার চোখে বেচে থাকার পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা দেখতে পাচ্ছি আমি। তখনি খুব বড় একটা ঢেউ এসে দুজনকে পুরো ভিজিয়ে দিয়ে গেলো। মিফতা অনেক ভয় পেয়েছে জোড়ে কান্না করে উঠলো।মিফতা উঠে যেতে চাইলে নিরব আরো জোড়ে চেপে ধরে। খুব বড় বড় ঢেউ এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। -” প্লিজ দোহাই লাগে আপনার, আমাকে ছেড়ে দিন আমার ভয় লাগছে। ” বলেই খুব জোড়ে কান্না করে উঠলো মিফতা।খামচি কেটে ধরে আছে আমাকে। আমি গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে হঠাৎ করে মিফতার শরীরের উপর চোখ পড়লো। সাদাটে একটা কামিজ। বড় বড় ঢেউয়ের কারনে প্রায় পুরো শরীরটাই ভিজে গেছে আমাদের। ভিজে যাওয়ার কারনে অর্ন্তবাস ভেসে উঠেছে। আশেপাশে খুব বেশি জনমানব না থাকলেও কেমন যেনো লাগলো। আমার গায়ের টিশার্ট টা খুলে মিফতার গায়ে জড়িয়ে দিয়ে গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে -” বিয়ের আনন্দটাই তো উপভোগ করা হলোনা সুইটি এতো তাড়াতাড়ি মরে যাওয়ার কথা কেনো ভাবছো? ” হঠাৎ করে কিছু হিন্দি কথা আমার কানে ভেসে এলো। এরা কি পর্যটক? আউট কান্ট্রি থেকে বাংলাদেশে এসেছে? কিন্তু আমরা বিচের কোনোদিকে আছি এখন? আমিতো শুয়িংয়ের আগের দিন প্রায় সবটা ঘুরে বেড়িয়েছি কিন্তু এমন জায়গা তো চোখে পরেনি।নিরবের কথার সুর মিফতার কান অবধি তখনো পৌঁছাতে পেরেছে বলে মনে হয়না নিরবের। মিফতার দিকে তাকিয়ে দেখি কি যেনো গভীর ভাবে চিন্তা করছে। হালকা ধাক্কা দিয়ে সামনে ফেলে দিতে গেলেই “মা!! কোথায় তুমি? “বলেই খুব জোড়ে কেঁদে দিলো মিফতা।মিফতার অসহায় মুখটা দেখে খুব মায়া হলো নিরবের। কোলে তুলে নিয়ে তীরের দিকে হাটতে হাটতে এগিয়ে যেতে লাগলো। তখনো মিফতা হাত দুটি নিজের বুকেই গুছিয়ে নিয়েছে সেটা দেখে মুচকি হাসলো নিরব। -” আহ ” সাথে সাথে মিফতা নিরবের গলা পেঁচিয়ে ধরলো। এই মানুষটা এমন কেনো? আশেপাশের অনেকেই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। নিরব পুরো খালি গায়ে। ফর্সা পশমি বুক। ছোট থেকে মানুষের চোখের প্রতি আমার দূর্বলতা ছিলো কিন্তু এখন এমন লাগছে কেনো? তাড়াতাড়ি দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলাম। তীরে এসে মিফতাকে নামিয়ে দিয়ে -” সাদা ড্রেসের সাথে কালো নয় সাদাই মানায় ” কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কথাটা বলে উঠলো নিরব। কথাটা শুনে চোখ দুটো যেনো বেরিয়ে আসতে চাইছিলো।শরীরের দিকে তাকিয়ে খুব দ্রুত চুলের কাঠিটা খুলে ফেললো মিফতা। লজ্জায় নেতিয়ে পরেছে একদম। মিফতার চুলগুলো কিছুটা ঘন আর দীর্ঘ হওয়ার কারনে পুরো পিঠটাই ঢেকে গেলো। চলবে,,,,,,,,,


( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???
https://www.facebook.com/nishe.ratri.9809

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে