গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_২ পর্ব:-(০১)

0
1757

গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_২ পর্ব:-(০১)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
ঠাসসসস, ঠাসস, তোমার সাহোস হয় কি করে আমার পার্সনাল জিনিসে হাত দেবার?
এই জন্য আপনি আমাকে থাপ্পড় মারবেন আমি তো ভালো করে দেখিওনি মোবাইলটা কে!
হ্যা মারবো তোমাকে কত বার বলছি আমার জিনিস পত্রে হাত না দিতে। সবগুলো আমার কাজের জিনিস তাও তুমি হাত দাও কেনো? আর মোবাইলে ভুলেও হাত দিবেনা বলে দিলাম।

আমি আপনার জিনিসে হাত দিলে থাপ্পড় মারবেন?
হ্যা মারবো আজকে তো শুধু থাপ্পড় দিয়ে ক্ষমা করে দিলাম। আর কোনদিন যদি আমার জিনিসে হাত দাও তাহলে এই বাড়ীথেকে বের করে দেবো।

বললেই হলো বাড়ীথেকে বের করে দিবেন আমি নিজে থেকে আসিনি আমাকে আপনি নিয়ে আসছেন আপনার বউ করে,,
এই তোমাকে কত বার বলছি বউ কথাটা উচ্চারন না করতে আর আমি তোমাকে এই বাড়ীতে আনিনি। তোমাকে আনছে আমার আব্বু শুধু ওনার কথা তোমাকে বিয়ে করে আজ আমি কারো সাথে মাথা উচু করে কথা বলতে পারিনা!

কেনো আমি কি বলছি নাকি মাথা নিচু করে কথা বলতে নাকি আমি আপনার মাথা নিচু করে ধরে রাখি যখন আপনি কথা বলেন।

দেখো এবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে এখন তুমি এখান থেকে যাও বলছি তানা হলে কিন্তু?
কিন্তু কি? আরো দুইটা থাপ্পড় মারবেন মারুন নেনে গালটা পেতে দিলাম তবে আস্তেতে মারবেন কারন আমি অনেক সুন্দর তো গালে আঙ্গোলের ছাপ পরলে খারাব দেখাবে!

তোমার আর কোনো কাজ নাই সারাক্ষন আমাকে বিরক্ত করতে চলে আসো এখন আর আমার মাথাটা আর খেয়োনা প্লিজ যাও এখান থেকে আজ আমার অফিসে অনেক কাজ আছে!

ওমা আমি আবার কখন আপনার মাথা খেলাম তবে আপনার মাথাটা খেতে পারলে আমি অনেক খুশি হতাম!
তুমি যাবে নাকি ঘার ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেবো?

আপনি পারবেন আমাকে রুমথেকে বের করে দিতে?
তোমাকে এই রুম থেকে নয় এই বাড়ী থেকে বের করে দিতাম কবেই। শুধু আব্বুর জন্য আব্বু তোমাকে আদর দিয়ে মাথায় তুলে ফেলছে। সরো এখান থেকে বলে শাওয়ার নিতে উয়াশরুমে ঢুকে গেলাম। আধা ঘন্টা পর বের হলাম ফ্রেশহয়ে দেখি ফাজিল স্ত্রী আমার রুমে নেই। যাক একটু শান্তিতে থাকা যাবে রেডি হয়ে বের হবো। তখনি ফাজিলটা রুমে আস্তেছিল আর আমি বের হতে ছিলাম তখনি,,,

ওমাগো আমি মরে গেলাম গো
তারাতারি ওর মুখ চেপে ধরলাম কি হচ্ছেটা কি চেচাচ্ছো কেনো?
ওম ওম
কি ওম ওম করছো? তখনি আমির হাতটা সরিয়ে বলে
আমাকে এত জুড়ে ধাক্কা দিলেন কেনো আমি ব্যথা পাইছি এখন চিল্লাবো না কি হাসবো?

বাড়ীর সবাই কি বলবে যদি এমন করে চেচাও?
ঠিক আছে আর চেচাবো না এবার আমার মাথায় একটা গুতো দেন!
গুতো দেবো কেনো কি হয়ছে?
আমার শিং নিয়ে গুরার শখ নাই!
মানে কি যা বলবে সুজা সুজি বলবে সরো এখান থেকে আমার দেরিহয়ে যাচ্ছে!

আগে মাথায় গুতো দেন তারপর যেতে দিবো তানা হলে যেতে দিবোনা!
গুতো দেবোনা আর তুমি এখানে দাড়িয়ে থাকো বলে আমি ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে চলে আসলাম। আর আমার পিছু পিছু আসছে আর বলছে,,,
কাজটা কিন্তু ঠিক করলেন না বলে দিলাম,,
ওর কোনো কথা না শুনে আমি নিছে চলে আসলাম।
খাবার টেবিলে ও আমার পিছু পিছু অাসছে এসে আমার পাশের চেয়ারটা বসেছে,,

আব্বু:- শুন সৌরভ তোর আজ থেকে আর দুপুরবেলা বাড়ীতে এসে লাঞ্চ করতে হবেনা। অফিসে এখন অনেক কাজের চাপ বারছে তাই এখন থেকে বউমা তোর খাবারটা নিয়ে যাবে অফিসে!

আমি:- না ওর যেতে হবেনা আমি বাহির থেকে মতি মিয়াকে দিয়ে কিছু আনিয়ে খেয়ে নেবো

আব্বু:- কেনো তোর সমস্যাকি তসিবা খাবার নিয়ে গেলে আর বাহিরের খাবার খেলে তোর শরীর খারাপ করে এইটা কি তোর মনে নেই নাকি?
আমি:- মনে আছে কিন্তু
আব্বু:- কোনো কিন্তু নয় বউমা তোর খাবার নিয়ে যাবে রোজ দুপুরে অফিসে কথাটা মনে থাকে যেনো। আর সবাইকে একটা কথা বলে দেয় আমার বউমার সাথে এই বাড়ীতে কেও কোনো খারাপ ব্যবহার করবেনা। এই কথা গুলো আব্বু বলছে বিশেষ করে আম্মুকে কারন আম্মু রাজি ছিলনা এই বিয়েতে আর আমি তো একদমি রাজি ছিলামনা!

আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি অফিসে যায় বলে খাবার টেবিল থেকে উঠে বের হচ্ছি তখনি পেছন থেকে তসিবা ঢেকে বলে,,,
তসিবা:- আরে আপনার মোবাইল রেখে যাচ্ছেন!
(আমি ইচ্ছে করে মোবাইলটা ফেলে আসলাম যাতে তসিবা নিয়ে আসে)
আমি:- হ্যা নিয়ে আসো
তসিবা:- নেন আপনার মোবাইল।
আমি:- হ্যা দাও আর তসিবা শুনো একটু তখনি অনেক আগ্রহো নিয়ে কাছে এসে বলে,,

তসিবা:- কিছু বলবেন বলেন শুনছি!

আমি:- তুমি অফিসে দুপুরে খারার নিয়ে যাবেনা। আর যদি যাও তাহলে তোমার খবর করে ছেরে দেবো বলে দিলাম। আর আমি যে না করছি এই কথাটা আব্বুকে বলবেনা ভুলেও কথাটা মনে থাকে যেনো বলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসলাম অফিসের উদ্দেশ্যে। এতপর অফিসে এসে কাজ করতেছি দুপুরের দিকে তাকিয়ে দেখি তসিবা অফিসে আসছে। এই মেয়েটা কে কত করে না করলাম খাবার নিয়ে না আসতে। কিন্তু কি হলো ঠিকই চলে অাসছে আমি গ্লাস করা দরজা দিয়ে দেখছি। ওর কি কোনো মান সম্মান নেই নাকি? কত অপমান করতেছি এই একমাস ধরে তাও আমার সাথে কথা বলতে চাই। কিন্তু আমি চায়না তসিবা আসার লাইফে থাকুক। তখনি মহারানি দরজা নক না করেই আমার রুমে এসে আমার লেপটব অফ করে দিলো,,

তসিবা:- নেন খাবারটা খেয়ে নেন আপনার অনেক খিদে পাইছে তাইনা? সরি আমার আজ একটু দেরি হয়ে গেছে আপনি উয়াশ রুম থেকে ফ্রেশহয়ে আসুন। আমি খাবারটা বেরে দিচ্ছি তার আগে আব্বুর খাবারটা দিয়ে আসি। বলে আব্বুর রুমে চলে গেছে আমি উয়াশ রুমে গিয়ে হাত মুখ দুয়ে আসলাম দেখি তসিবা এসে বসে আছে,,

আমি:- তোমাকে না বলছি আমার খাবার নিয়ে না আসতে তাও আসছো কেনো আমাকে বিরক্ত করতে তোমার খুব ভালো লাগে তাইনা?
তসিবা:- ওমা কি বলেন অাপনি আমি কেনো আপনাকে বিরক্ত করবো আমি তো শুধু খাবার নিয়ে আসছি এখন কথা কম বলে খাবার খেয়ে নেন তানা হলে খিদের যন্ত্রনা ওল্টা পাল্টা বলবেন।

আমি:- তুমি কি একটু ভালো করে কথা বার্ত্রা বলতে পারোনা নাকি?
তসিবা:- না আমি পারিনা কারন আমি অশিক্ষিত গ্রামের মেয়ে পড়ালেখা করিনি। তাহলে কথা গুচিয়ে বলবো কিভাবে আর আপনিত আমাকে ভালো করে শিখিয়ে দিতে পারেন।

আমি:- তোমাকে কথা শিখাবো আমি আমার কি কোন কাজ নাই নাকি? এখন কথা কম বলে খাবারটা রেখে যাও অফিস থেকে!
তসিবা:- টিফিন বাটিটা নিয়ে যেতে হবে আপনার খানা শেষ হলে তারপর যাবো।
আমি:- না তুমি এখন যাও আমার খানা খেতে দেরি হবে।

তসিবা:- এখুনি খাবেন বলে আমার কাছে এসে তসিবা আমাকে চেয়ারে বসিয়ে দিলো আর নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিতে লাগলো।
আমি:- আরে কি করছো বলে তসিবার হাত ধরে ফেলি তখনি দেখি আব্বু বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে আমি তসিবার হাতের খাবারটা আমার মুখে নিয়ে নিলাম। আব্বু আরাল থেকে দাড়িয়ে দেখছে আমি এখন তসিবার সাথে হেসে কথা বলছি। আর তসিবা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে ভালোই লাগছে স্ত্রীর হাতে খাবার খেতে। তসিবা খুব যত্ন করে আমাকে খাইয়ে দিয়েছে।

তসিবা:- এখন হাতটা দুয়ার দরকার দুইবো কোথায় বলেন!
আমি:- আমার সাথে আসো বলে তসিবাকে উয়াশ রুমে নিয়ে গেলাম হাত দুইয়ে আসছে। এখন আর আব্বুকে দেখা যাচ্ছে না তসিবা টিফিন বাটিটা নিয়ে চলে যেতে ছিলো তখনি,,

তসিবা:- আচ্ছা আমি যে আপনাকে এত যত্ন করে খাইয়ে দিলাম বিনিময়ে আমাকে কিছু দিবেন না?
আমি:- হ্যা দিবো নাও ধরো!
তসিবা:- কি এইটা?
আমি:- টিপস মানে বকশিস আমাকে খাইয়ে দেবার জন্য তোমাকে এক হাজার টাকা বকশিস দিলাম।

তসিবা:- আপনার টিপস আপনি রেখে দিন আমাকে দিতে হবেনা বলে অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো তবে হাসি মাখা চেহেরাটা অন্ধকার করে ফেলছে!

আমি:- যাক বাবা বাচা গেল এখন থেকে এভাবে অপমান করবো তাহলে তারাতারি চলে যাবে। ধ্যাত হাতের কাজগুলো কখন করবো ভালো লাগছেনা। এত কাজ করতে সব দোষ এই অশিক্ষিত গ্রামের মেয়েটার ওকে কত করে বললাম না আসতে তাও আসছে তখনি একজন বলে,,

আসবো স্যার,,
আসুন বলেন মিস্টার নাজিম মাল ডেলীবারি হয়ছে,,
না স্যার এখনো হয়নি!
কিন্ত কেনো ওরাত সব প্রেমেন্ট নগদ করে দিছে তাহলে ডেলীবারি দেননি কেনো?
স্যার ওনারা বলসে আগামিকাল নিবে!
কেনো আজকের মাল ওনারা আগামিকাল নিবে কেনো একদিন দেরি করে নিলে আমাদের গোডাউন ভাড়া কেটে রাখবেন একদিনে যত টাকা ভাড়া আসে। আর মাল যে আগামিকাল নিবে চ্যায়ারমেন সাহেব জানে?
জ্বিনা স্যার আপনার আব্বু জানেনা।
মিস্টার নাজিম সাহেব আমি আপনাকে লাস্ট বারের মত বলে দিলাম। অফিসে বাপ ছেলে বলে কিছু নেই এইটা কাজের যায়গা। ওনি আমার আব্বু এইটা অফিসের বাহিরে বলবেন আর কোনদিন অফিসে বলবেন না যান গিয়ে বসকে খবরটা দেন!
ঠিক আছে স্যার।

হাতের সবগুলো কাজ করলাম রাত ৮টা বেজে গেছে বাসায় যেতে একদমি মন চাইনা। এই ফাজিল মেয়েটা আমাকে সারাক্ষন বিরক্ত করে থাকে। আমি এই বিয়েটা করতে চাইনি করছি শুধু আব্বুর কথা রাখতে গিয়ে বিয়েটা করতে হয়ছে। আব্বু গ্রামের বাড়ীতে গেছিল কুমিল্লাতে সেখানে গাড়ী এক্সসিডেন্ট করে আব্বু। তখন তসিবা নাকি আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে যায় আর অনেক সেবা করে। তারপর আমি আম্মু আপু আর আপুর হাজবেন্ট সহ আমরা সবাই যাই। তখনি আব্বু বলে তসিবাকে বিয়ে করতে আমি রাজি ছিলামনা। কিন্তু আব্বু এক প্রকার জোর করে তসিবার সাথে আমাকে বিয়ে দেয়

আরে আমি তো আমার পরিচয়টা দিলাম না। আমি আল মোহাম্মদ সৌরভ আমার একটা বড় আপু আছে তার হাজবেন্ট সহ আমাদের সাথে থাকে আম্মু কিছু করেনা বাড়ীতে থাকে আর আব্বু বিজনেস দেখা শুনা করে আমাদের সাথে তবে এখন সব কাজ আমি আর দুলাভাই মিলে করি আব্বু শুধু পরিচালনা করেন,, আজ সারাদিনে একবারও ফেসবুকে ঢুকিনি একটু ঢুকে দেখি কি অবস্তা। মোবাইলটা বের করে নেট অন করতে শুধু মেসেজ আসতে শুরু করলো কি ব্যপার এত মেসেজ আসছে কেনো? দেখি তো আরে এই ছবিগুলো ফেসবুকে ছারলোটা কে? মনে পরেছে এই কাজটা তসিবা করছে সকালে যখন ওর হাতে আজ আমার মোবাইলটা দেখি ছিলাম তখনি আমার বুঝার উচিত ছিলো কিছু একটা করবে! কি সব বাজে কমেন্ট আসছে এখন কি করি দুর আগে তারাতারি করে ছবিগুলো ডিলেট করি। তারপর আজ বাসায় যায় ওর একদিন কি আমার একদিন বলে অফিস থেকে বের হলাম। ওর এত বড় সাহোস হয় কি করে? আজকে ওকে বাড়ী থেকে বের করে দিবো। কিছুক্ষন পর বাড়ীতে গেলাম অনেক রেগে গিয়ে দেখি তসিবা নিছে বসে সবার সাথে গল্প করছে।

আম্মু: কিরে সৌরভ আজ এত তারাতারি আসলি যে?
আমি: তেমন কাজ নাই তাই চলে আসছি (কিন্ত কেনো অাসছি শুধু আমি যানি আর কেও যানেনা মনে মনে কথা গুলো বলছি)তসিবা তুমি একটু রুমে আসো আমার দরকার আছে,,
আপু: কিরে এখুনি অফিস থেকে আসলি একটু ফ্রেশহয়ে আয় তারপর বউয়ের সাথে কথা বলিস নাকি সহ্য হচ্ছে না বলে হি হি হি।

আমি: তসিবা তুমি শুনতে পাওনি আমি কি বললাম!
তসিবা: হ্যা আসছি!
আমি: আসো বলে আমি রুমে যাচ্ছি আর আমার পিছু পিছু তসিবা আসছে রুমে ঢুকলাম দুজনে তারপর আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম,,
তসিবা: দরজা লাগালেন কেনো?
আমি: তোমার মোবাইলটা কই দেখি?
তসিবা: আমার মোবাইল দিয়ে আপনি কি করবেন?
আমি: কথা কম বলতে বলছিনা আমার সাথে এত কথা বলো কেনো?
তসিবা: এই নিন?
আমি: দাও মোবাইলটা হাতে নিয়ে দিলাম একটা আঁছার একে বারে গুড়া গুড়া হয়েগেছে!
তসিবা: আমার মোবাইলটা ভাংছেন কেনো?
আমি: ভাংছি বেশ করেছি!

তসিবা: কিন্ত আমার অপরাধ কি বলবেন তো?
আমি: তোমার অপরাধ বলছি তুমি তোমার মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে বিয়ের ছবি গুলি ট্রান্সফার করে আমার ফেসবুকে বিয়ের ছবি গুলো ছারলে কেনো?

তসিবা:- ও এই কথা আমি ইচ্ছে করে ছারছি যাতে করে আপনার সব বান্ধবীরা জানতে পারে আপনি বিবাহিত আর কোনো মেয়ে আমার স্বামীর দিকে কুনজর দিতে না পারে তাই!
আমি:- তার মানে তুমি ইচ্ছে করে এমনটা করছো আর তোমার মত সস্থা মেয়ের ছবি আমার মোবাইলে দিয়েছো কেনো?
তসিবা:- কি বললেন আপনি আমি সস্থা আমার ছবি আপনার মোবালে থাকলে সমস্যা? ঠিক আছে দেন আমি ছবি গুলো ডিলেট করে দেয়!

আমি: তোমার অপেক্ষা করছিনা আমি তার আগে ডিলেট করে দিয়েছি আর শুনো তুমি কাল থেকে আমার অফিসে খাবার নিয়ে যাবেনা!

তসিবা: আব্বু যদি না করে তাহলে যাবোনা। আর যদি বলে যেতে যাবো যদি কারো খারাপ লাগে লাগুক তাতে আমার কি?
আমি: ভালো হবে না কিন্ত বলে দিলাম?
তসিবা: কি করবেন শুধু থাপ্পড় দিতে পারবেন এর বেশি কিছু করতে পারবেন না!

আমি: তোমাকে কত বার বলছি আমার সাথে তর্ক করবেনা!
তসিবা: আমি কি ইচ্ছে করে করছি নাকি আপনি নিজে তো আমার সাথে ঝগড়া করছেন!

আমি: এবার কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে দিলাম এখন তুমি যাও এখান থেকে আমি ফ্রেশ হবো!
তসিবা: যান আমি কি আপনাকে ধরে রাখছি নাকি যে আপনি যেতে পারবেন না!

আমি: আচ্ছা তোমার কি একটু আত্ম স্বম্মান বোদ বলতে কিছু নেই নাকি? কত অপমান করছি এই দুই মাস ধরে তাও যাচ্ছোনা শুধু পরে আছো কিভাবে আমাকে বিরক্ত করা যায় সেই প্লান করতে আছো। এই শুনো লাষ্ট বারের মত বলে দিলাম ফের যদি আমার পার্সনাল কোনো জিনিসে ভুল করে হাত দাওনা। তাহলে এবার আর থাপ্পড় দেবো না সুজা বাড়ী থেকে বের করে দেবো। কথাটা যত বেশি মাথায় রাখবে তত বেশি ভালো হবে বুঝলে!

তসিবা:- বুঝলাম তবে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে?
আমি: তোমার কাজ আমি করে দেবো মাথা ঠিক আছে নাকি সবটা গেছে?
তসিবা: এত সহজে যাবে না আগে আপনারটা খারাব করবো তারপর আমারটা। যাক এখন কাজটা হলো আমার মাথায় একটা গুতো দিতে হবে!
আমি: কি দিতে হবে?
তসিবা: গুতো দিতে হবে আপনার মাথা দিয়ে আমার মাথায় এখনি তানা হলে শিং গজাবে রাতে আমার মাথায়?

আমি: তোমার মাথায় শিং গজালে ভালোই লাগবে তোমার সাথে একদম মিল আছে। এসব আজ গুজবি কথা কোথায় পাইছো তুমি? যাও এখান থেকে বলে আমি খাঠের উপর বসে পা থেকে মুজা খুলছি। তখনি আমার মাথার একটা গুতো দিয়ে সুজা দৌরে দরজার বাহিরে দাড়িয়ে বলছে,,

তসিবা: আমার মাথায় শিং নিয়ে ঘুরার কোনো সখ নাই আপনার যদি সখ থাকে তাহলে লাল চুলের মেয়েটার সাথে গিয়ে একটা গুতো দিয়ে আসবেন বলে হাসি হি হি হি,,
আমি: আগামীকাল বিকালে প্রিয়াকে নিয়ে ঘুরতে যাবো দেখবো কিভাবে ফিরিয়ে রাখো। আর যে গুতোটা দিয়েছো না তার জন্য রুমে ঘুমাতে আসবে না তখন বুঝাবো কত দিনে বছর যায়?
তসিবা: বাজি ধরবেন তাহলে আপনি কালকে আমার সাথে সারাদিন থাকবেন।

আমি: তোমার সাথে থাকবো আর তাও আবার বাজি ধরবো হা হা হা বাজি হয় সমানে সমানে তোমার সাথে কি বাজি ধরবো তুমি যাও আমি ফ্রেশহতে যাই?

তসিবা: ওকে আমি যদি আগামীকাল আপনার আর প্রিয়ার ডেটিং মিস করতে পারি তাহলে আপনি কি দিবেন আমায়?
আমি: যা চাইবে তাই তবে স্ত্রীর অধিকার ছারা!
তসিবা: ঠিক আছে মনে থাকে যেনো
আমি: ঠিক আছে মনে থাকবে,,তসিবা চলে গেলো,,
ফ্রেশহয়ে ২০ মিনিট পর নিছে নামলাম। তখন দেখি তসিবা কান্নাকাটি করে আব্বুকে কি যেনো বলছে হায় হায় কি বলছে মেয়েটা তখনি আব্বুর ডাক সারছে আজ আমার বারোটা বাজাবে আমি ভয়ে ভয়ে কাছে যেতেছি আর ঠিক তখনি,,, To be continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে