Your Lover পার্ট- ১৫+১৬

0
1943

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১৫+১৬

-তিয়াশ ভাইয়া চলো, তোমাকে উপরে নিয়ে যাই ওখানে আমার ভাই বোনেরা আছে এক সাথে আড্ডা দেওয়া যাবে। (সানভি)
-আচ্ছা চলো। (তিয়াশ)
সানভি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে যাবে তখন পিছন থেকে আয়ান ডাক দিলো,
-সানভি
-হুম আজকে তো তুমি আসবেই, আমি আসতে বললে তখন কতো বাহানা।
-আচ্ছা তাহলে আমি চলে যাচ্ছি
-আরে না দোস্ত মজা করছি, তুই এসে ভালো করেছিস আড্ডা ভালো জমবে ।
-কিন্তু উনি কে?
-পরিচয় করিয়ে দেই উনি তিয়াশ আহাম্মেদ। আর এই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড আয়ান চৌধুরী
দুজনে কুশল বিনিময় শেষে করে সানভির রুমে গেলো, গিয়ে দেখলো তুলি,রাইসা,ইভা লুডু খেলছে।

-আরে আপনি এখানে (তিয়াশ)
-আমারও তো এক প্রশ্ন আপনি এখানে কি ভাবে? (তুলি)
-তোরা দুজন দুজনকে চিনতিস?( সানভি)
-হ্যাঁ আমাদের দুবার দেখা হয়েছে। একবার শপিং মলে ওনার ব্যাগ থেকে টাকা পরে গেছে সেটা উনি খেয়াল করে নি তারপর আমি টাকাগুলো ওনাকে দিয়েছিলাম আবার দেখা হয় উনি কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়েছিলো আর আমি অফিসের কাজে গেছি তখন আমার বাইকটা খারাপ হয়ে যাওয়া ওনাদের পিকনিক বাসে উঠছিলাম অবশ্য উনার সাহায্যের জন্য আমি সেদিন বাসে উঠতে পেরেছি। (তিয়াশ)
-ওহ আচ্ছা, এই ব্যাপারটা তুই আমাকে আগে বলিস নি তো (ইভা)
-না মানে আর কি(তুলি)
-আপনাকে কলেজে গিয়েও খুঁজেছি কিন্তু পাই নি (তিয়াশ)
-আর খুঁজে হবে না, এখন থেকে যখন ইচ্ছা তখনই দেখতে পাবেন (আয়ান)
-সর তো তোদের খালি বাজে কথা (তুলি)
-কোথাও যাওয়া হবে না, এখানে বস (ইভা)
-রাইসা তুই গিয়ে সবার জন্য কফি আর ফ্রেন্স ফ্রাই নিয়ে আয়(সানভি)
-উফফ্ ভাল্লাগে না, সব সময় আমাকে খাটাও (রাইসা)
-পুচকে বেশি কথা না বলে যা (সানভি)
-আহারে আমার এক মাএ শালিকার কি কষ্ট (আয়ান)
-হুহহহ্ (রাইসা মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে চলে গেলো)
-তিয়াশ ভাইয়া আপনি কেনো তুলিকে কলেজে খুঁজে গেয়েছিলেন? (আয়ান)
-সেদিন উনার জন্য আমার অনেক বড় উপকার হয়েছে কিন্তু ধন্যবাদ দিতে পারি নি তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চেয়েছি (তিয়াশ)
-ওহ্ আচ্ছা,( হেসে বললো আয়ান)
-কিরে আপু তুই কিছু বল (ইভা)
-আমি আর কি বা বলবো (তুলি)
-আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো যদি কিছু মনে না করেন? (তিয়াশ)
-একটা কেনো একশো কথা জিজ্ঞেস করতে পারেন (সানভি)
-আপনার বাসায় নিচের তলায় একটা ওয়ালমার্টে দেখছি ওটা কোথা থেকে কিনেছেন? আমার খুব পছন্দ হয়েছে তাই বললাম (তিয়াশ)
-ওটা কিনে আনতে হয় নি, বাসায় বানিয়েছে মিস.তুলি (ইভা)
-ওয়াও আপনার হাতের কাজ অনেক সুন্দর। আমি আপনাদের বাসায় ঢুকে ওটা দেখা অবাক হয়ে গেছি এতো সুন্দর তারমধ্য উনার সাথে ধাক্কা লেগেছে (তিয়াশ)
-আসলে ফ্লোরে পানি ছিলো আমি দেখি নি তাই পরতে পরতে আপনার সাথে ধাক্কা লেগেছে (ইভা)
-তুই তো পানি না থাকলেও পরে যাস (সানভি)
-একদম ঠিক, কোন দিন না জানি কোমর ভেঙ্গে পরে থেকে আমাকে,,,,,,,,, (আয়ান)
-চুপ থাকো (ইভা)
রাইসা সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আাসলো, খেয়ে গল্প করে আয়ান, তিয়াশরা চলে গেলো।

ওহ্ হ্যাঁ তার মধ্যে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ইভা, আয়ান দুজনে আলাদা কথা বলেছে চলুন কি বলেছে তা শুনে নেয়,
-তুমি তিয়াশের গায়ের উপর পরেছো সেটা আমি দেখেছি তাই সত্যি বলো ও তোমাকে বাজে ভাবে স্পর্শ করে নি তো?
-আরে না।
-সত্যি বলছো তো?
-হ্যাঁ সত্যি
-আর যদি কোনো দিন দেখে ঠিক করে হাটতে পারো না অন্যের গায়ে পরো তাহলে আমি নিজে তোমার পা ভেঙ্গে ঘরে রেখে দিবো
-তুমি এতো শয়তান!! তোমার কষ্ট লাগবে না আমার জন্য?
-অসুস্থ হয়ে থাকলে কষ্ট লাগবে না কারন আমি সেবা করবো কিন্তু অন্য ছেলের সাথে দেখলে খুব কষ্ট হবে। আর আমি কোনো কষ্ট পেতে চাই না বুঝেছো।
-হুম বুঝলাম
-তিয়াশের সাথে তুলি দেখা করতে গেলে তুমিও তো যাবে তা জানা আছে তাই বলছি একটুও সাজগোজ করবে না
-একটু সাজলে হয় কি?
-আমার মাথা খারাপ হয় এখন আসি
-হুহহ্ কোনো রোমান্টিক নেই আছে শুধু ঝাঁঝালো কণ্ঠ

আয়ান পিছন থেকে এসে আবার ইভার কপালে চুমু এঁকে দিয়ে চলে গেলো। ইভা চোখ বড় বড় তাকিয়ে আছে কি হলো । তুলি ইভাকে ধাক্কা দিয়ে বললো,হা করে তাকিয়ে না থেকে খেতে চল।

ডাইনিং টেবিলের সবাই খেতে বসেছে তখন সানভির বাবা বললো,
-তুলি তোকে পরশু দিন তিয়াশের ফ্যামিলি দেখতে আসবে
-এর মধ্যে ওর বিয়ে দিবে? গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করুন তারপর বিয়ে দিলে ভালো হয় (সানভি)
-তিয়াশ ছেলেটা খুব ভালো ওর ফ্যামিলি লোকজন ও অনেক ভালো বিয়ের পর পড়ালেখা করতে কোনো প্রবলেম হবে না (ইভার বাবা)
-হ্যাঁ আমার সবকিছু বুঝেশুনে তোর বিয়ের কথা ভেবেছি (সানভির বাবা)
-তোমরা যদি সব কিছু ঠিক করে থাকো তাহলে আমার মতামতের তো কোনো দরকার নেই (তুলি খাওয়া ছেড়ে উঠে চলে গেলো).
-ওর মতামতে আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ, ও যদি আগে কথা বলে বুঝে যে ওর জন্য পারফেক্ট তারপর না হয় আমরা বড়রা বিয়ের ব্যাবস্থা করবো (ইভার বাবা)
-হ্যাঁ ভাই তুলিকে একটু সময় দেওয়া দরকার, ভাবি তুলির জন্য খাবার বেড়ে দেও আমি খাইয়ে দিয়ে আসি (ইভার মা)
-আচ্ছা (সানভির মা)
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ডিসিশন নিলো কালকে বিকেলে রেস্টুরেন্টে তিয়াশের সাথে তুলি দেখা করতে যাবে সাথে ইভা,আয়ান, সানভি ওরাও যাবে।

পরের দিন বিকেলে সবাই রেস্টুরেন্টে গেলো। তিয়াশ আগেই উপস্থিত ছিলো।
-আসসালামু আলাইকুম (সানভি)
-ওয়ালাইকুম সালাম। সবাই কেমন আছো?(তিয়াশ)
-ভালো, আপনি?(সানভি)
-ভালো। (সানভি)
-আপনার কথা বলুন আমরা একটু এই দিক থেকে আসছি (আয়ান)
তুলি, তিয়াশকে রেখে ইভা, আয়ান, সানভি রেস্টুরেন্টে থেকে বের হলো। সানভি ফোনে কথা বলছে আর আয়ান পাশে একটা ফুলের দোকান থেকে ফুল কিনে দেখে ইভা পাশে নেই ।
“”উফফরে্ এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারি না। কখন কোথায় যায়, কি করে না করে বুঝি না। একটা মিনিট আমাকে শান্তি দিবে না। “”
-এই সানভি তোর বোন কোথায় গিয়েছে?
-তোর সাথে তো ছিলো
-হ্যাঁ ছিলো কিন্তু আমি ফুল কিনে দেখি মহারানী উধাও হয়েছে।
-আজকে বাসায় নিয়ে ওটাকে গনধোলাই দিবো
আয়ান আর সানভি ইভাকে খুঁজতে শুরু করলো।

চলবে,,,,,,

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১৬

একটু দূরে দেখা যাচ্ছে ইভা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুসকা খাচ্ছে। আয়ান ইভার কাছে গিয়ে দেখে ফুসকার ঝালের জন্য চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে তাও খাওয়া থামছে না।
-কাউকে কিছু না বলে এখানে আসা কি ঠিক হয়েছে বলো?
-আমি কি বাচ্চা নাকি যে হারিয়ে যাবো?
-বাচ্চা হলেও ভালো হতো, কোলে নিয়ে ঘুরতাম
-তাহলে তো আমাকে বিয়ে করার সময় তুমি বুড়ো থাকতে।
-বুড়ো থাকলে কি বিয়ে করতে না?
-নাহ্
-আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে সংসার তো দূরের কথা প্রেম করারও চিন্তা করো না তাহলে আমাকে তো চিনো কি কি করতে পারি।
-হয়ছে থামো, ফুসকা খাও?
-না তুমি অনেক ঝাল দিয়ে খাও যা আমি খেতে পারি না।
-আচ্ছা কম ঝালেরটা খাও।
আয়ান দুটা ফুসকা খেয়ে আর খেতে পারলো না ঝাল বেশি দেওয়া ছিলো৷
-এতো ঝাল খাওয়া ঠিক না, এখন চলো।
-আমার অনেক ভালো লাগে।
-বেশি ভালো লাগা ভালো না, চলো তো।
-বিল দেও।
-বারে তুমি ফুসকা খেয়েছো তার বিল আমি কেনো দিবো?
-আমি কোনো টাকা নিয়ে আসি নি
-তুমি কখনো টাকা নিয়ে আসবেও না।
-কিহ্ এতো বড় অপমান আমাকে, দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।

ইভা সানভির কাছে গিয়ে বললো,
-আমাকে দশহাজার টাকা দে।
-এতো টাকা,দিয়ে তুই কি করবি?
-আমার লাগবে, তোকে বাসায় গিয়ে ফেরত দিয়ে দিবো
-কিসের জন্য লাগবে তা বল?
-আগে টাকা দে পরে বলছি

সানভি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে দিলো। এদিকে ফুসকার বিল না দিয়ে ইভা চলে এসেছে আয়ানের কাছে টাকা খুচরো করা ছিলো না তাই টাকা খুরচো করতে লেট হয়ে যায়। এসে দেখে ইভা টাকা হাতে নিয়ে রেস্টুরেন্টের বাহিরে দাড়িয়ে আছে।

-তুমি এতোগুলা টাকা এর মধ্যে কোথায় পেয়েছো।
-বাটি নিয়ে বসেছিলাম তাই পেয়েছি
-আহ্ রেগে যাচ্ছো কেনো?আমি তো মজা করে বলেছি
-তোর মজার গুষ্টিকিলাই চল আমার সাথে।
-পাবলিক প্লেসে হাত ধরে টানতে নেই সবাই দেখছে
-পাবলিক প্লেসে গালে থাপ্পড় দেওয়া যায় তাই না
-আচ্ছা মাথা ঠান্ডা করো। আমি তোমাকে অপমান করার জন্য কিছু বলি নি। জাস্ট মজা করে বলেছি
-না আমি কিছু শুনতে চাই না আমার সাথে এখনই যেতে হবে।
সানভি ইভার রাগ দেখে ওদের মধ্যে নাক গলালো না। শুধু আয়ানকে বললো “” ও যেখানে নিয়ে যাচ্ছে সেখানে যা নয়তো রাগ কমবে না “”
আয়ান ইভার কথায় সম্মতি জানিয়ে রিকশায় দুজনে উঠলো । ইভা চুপচাপ বসে আছে। আয়ান আলতোভাবে ইভার হাতটা ধরলো কিন্তু ইভা সরিয়ে দিলো। আয়ানের আর দুঃসাহস দেখিয়ে হাত ধরলো না। সামান্য একটা কথার জন্য ইভা এতো রেগে যাবে আয়ান বুঝতে পারে নি।
শপিং মলের কাছে রিকশা থামলো। এবারের ভাড়া ইভা দিলো।
ইভার পিছু পিছু আয়ান হাটছে। সব দোকান ঘুরে দুটো টি-শার্ট আর সানগ্লাস কিনলো।এবং নিজের জন্য একটা ড্রেস নিলো। তারপর রেস্টুরেন্টে গিয়ে বার্গার, ফ্রেন্স ফ্রাই আর কোক খেলো, বিল ইভা দিয়েছে ।
আয়ান ইভার এরকম কান্ড চুপচাপ দেখলো। আয়ানের নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে ওই কথাটা না বললে ইভা এতো রাগতো না।
সানভিদের বাসার সামনে রিকশা থামলো। ইভা আয়ানের হাতে টি-শার্টের প্যাকেট দিয়ে চলে যাচ্ছে। আয়ান বললো,
-ইভা দাঁড়াও, প্লিজ কথা শুনো।

-তুমি না দাঁড়ালে আমি এখান থেকে যাবো না
-কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো, কেউ দেখে ফেলবে।
আয়ান ইভার হাত দুটো ধরে,
-সরি ইভা, আমি তোমাকে কথাটা ওই ভাবে বলতে চাই নি।
-আর কিছু?
-সরি সোনা পাখিটা সরি সরি।রাগ করো না প্লিজ
-হাহাহাহা, আমি এতোক্ষণ রাগ করি নি। তুমি সবসময় টাকা দেও যা আমার ভালো লাগে না। আমারও তো ইচ্ছে হয় বিল দিতে, তোমাকে কিছু কিনে দিতে কিন্তু যতো বার শপিং করতে গিয়েছি তুমি টাকা দিছো আমাকে দিতে দেও নি তাই আজকে সুযোগ বুঝে একটু রাগ দেখিয়ে নিজের ইচ্ছে টা পূরন করেছি। তবে হ্যাঁ এখন থেকে মাঝে মাঝে আমিও তোমাকে কিছু কিনে দিবো, রেস্টুরেন্টের বিল দিবো।
-মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি ছাড়া কিছু নেই।
-এটা ভালোবাসা বুঝছো।
-হুহ, আমার যে খারাপ লেগেছে তা একটুও ভাবলে না
-কিছু খারাপ লাগার মাঝে ভালো লাগা ও থাকে তা খুঁজে নিতে হয়।
-পাগলী
-বাসায় যাও, আমি গেলাম
-ভালোবাসি
-আমিও।

বাসায় গিয়ে বাবার থেকে টাকা এনে সানভিকে টাকা ফেরত দিলো। দুদিন সানভিদের বাসায় বেড়ানো পর বাসায় ফিরে গেলো। ভালো ভাবে পড়াশোনা শুরু করেছে। তিনমাস কেটে যায় আর তুলির বিয়ে ঠিক হয় তিয়াশের সাথে।
রোজ কলেজ ও কোচিং নিয়ে ইভা ব্যাস্ত হয়ে যায়, রাতে সময় করে আয়ানের সাথে কথা বলে ঘুমায় এবং মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে দুজনে মিট করে। সব মিলিয়ে অনেক ভালো আছে।
আজ তুলির গায়ে হলুদ ইভা হলুদ রংয়ের শাড়ি পরেছে। ইভার মন পরে আছে আয়ানের কাছে কারন সকাল থেকে আয়ানের কোনো খবর নেই, সানভির সাথে একবার কথা হয়েছে তখন বললো সময় মতো হলুদের অনুষ্ঠানে পৌঁছে যাবে।
সবাই রেডি হয়ে হলুদের অনুষ্ঠানে গেলো। ইভা তুলির পাশে কিছুক্ষণ বসে উঠে চলে গেছে আয়ানকে কল করতে। রিং হয়ে যাচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না। অনেক ব্যাস্তার মধ্যে সানভির দেখে পাওয়া গেলো,
-ভাইয়া, আয়ান কি আসবে না?
-সকালে একবার কথা হয়েছে তখন বললো, সময় মতো চলে আসবে।
-এখনও তো এলো না তার মানে ও আজকে আর আসবে না?
-ও আজকে না আসলে ওর সাথে কোনো কথা বলবো না তুই ওকে জানিয়ে দিস
-আমার সাথে কোনো কথা হয় নি সকাল থেকে।
-ওই তো আয়ান চলে এসেছে
-বলেছিলাম সময় মতো চলে আসবো। তুই রাগ করিস না একটা কাজে আটকে গিয়েছিলাম।

আয়ান সানভির সাথে চলো গেলো ইভাকে না দেখার ভান করলো। ইভা যতো বার আয়ানের কাছে গিয়ে কথা বলতে চেয়েছে ততই আয়ান দূরে সরে গেছে।

চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে