Your Lover পার্ট- ১৩+১৪

0
2076

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১৩+১৪

আয়ান মাহিরের ফোনটা নিয়ে ভিডিও অন করলো। ইভাকে আটকে রেখে আয়ানকে ব্ল্যাকমেইল করেছে তা সব ভিডিও করেছে৷
ভিডিওটা দেখা মাত্র তৃষা ফোনটা ছুঁড়ে মারলো। ফোনটা ভেঙ্গে গেছে।

-আয়ান দেখো তোমার ভিডিও নষ্ট হয়ে গেছে এখন কি প্রুভড আছে আমি এসব করেছি?
-হাহাহা তুই গুটি চালতে ভুল করেছিস। তুই যে এগ্রিমেন্ট পেপারে সিগনেচার করেছিস সেটা কি ভুলে গেছিস?
-এগ্রিমেন্ট পেপারটা তো ছয় মাসের জন্য বিয়ে ছিলো?
-নাহ্ ওটা ছিলো তুই আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছিস তা তুই নিজে শিকার করে সিগনেচার করছো। আমি সানভিকে কল করে বলেছিলাম আমার পরিচিত এডভোকেট আংকেল আছে তার কাছ থেকে পেপারটা নিয়ে আসতে। আর সানভিও জানতো না ওটা রেজেস্ট্রি পেপার না৷ এখন ভাবছিস কখন পেপারটা রেডি করতে বলছি তাই না? সানভিকে কল করার পরই এডভোকেট আংকেলকে কল করেছি কিন্তু তুই বুঝিস নি আমি কার সাথে কথা বলেছি।
-তার মানে তুমি আমাকে ঠকিয়েছো? তুমি মিথ্যা কথা বলে আমাকে এগ্রিমেন্ট পেপারে সিগনেচার করিয়েছো?
-এগ্রিমেন্ট পেপার তুই পড়ে নিস নি তার দায় ভার আমি কেন নিবো?
-আয়ান ভালো হবে না ওটা ছিঁড়ে ফেলো।
-ওটা ছিঁড়ে ফেললেই বা কি ভিডিও টা আমার ফোনে শেয়ার করে নিয়েছি। যখন মাহিরের থেকে ফোনটা নিয়েছি তখনই ভিডিওটা আমার ফোনে শেয়ার করে এনেছি কারন আমি জানতাম তুই এমন কিছু করবি।
-তোদের সব কয়টাকে মেরে ফেলবো
-তোকে কে বাঁচায় আগে সেটা চিন্তা কর বলে,

ইভা তৃষার গালে কয়টা ঠাসসসস্ ঠাসসস্ থাপ্পড় দিলো,

-তুই আমাকে সকাল থেকে আটকে রেখে যে কষ্ট দিয়েছিস সেগুলো এই থাপ্পড়ে কম হয়ে যায়।(ইভা)
-তোর ভিডিও আর ওই পেপার আমাদের মাননীয় প্রন্সিপালকে দেখাবো তাও কলেজে সবার সামনে। (সানভি)
-হ্যাঁ তুই একদম ঠিক বলেছিস ভাইয়া। তুই আমাকে বলেছিলি আমি আজ একজনের সাথে থাকি কাল আরেক জনের সাথে থাকি আর এখন তুই কি করেছিস সব দেখানোর সময় হয়েছে (ইভা)
-আয়ান আমি সব কিছু করেছি তোমাকে পাওয়ার জন্য। তুমি ওদের বারন করো যেনো এসব কিছু না করে, (তৃষা)
-আমি কেনো বারন করতে যাবো, আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তোর কৃর্তী ফাঁস করবো (আয়ান)

তৃষা নিজের ফাঁদে নিজে আটকে গেছে৷ এখন বাঁচার কোনো উপায় না পেয়ে আয়ানের পা জড়িয়ে ধরে বলে,

-আমার বাবার সম্মান থাকবে না, উনি এসব দেখলে মরে যাবে। প্লিজ আমাকে মাফ করে দেও (তৃষা)
-তোকে আমরা সবাই মাফ করবো একটা শর্ত আছে, তিন দিনের মধ্যে বিদেশ চলে যাবি (ইভা)
-হ্যাঁ হ্যাঁ। আমি দু দিনের মধ্যে সুইজারল্যান্ড চলে যাবো (তৃষা)
-না ইভা ওকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না, ও অনেক ভয়ংকর কাল সাপ (সানভি)
-আমি সত্যি তোমাদের কোনো ক্ষতি করবো না আমাকে মাফ করে দেও (তৃষা)
-না তোকে মাফ করতে পারবো না। তুই মেয়ে বলে এখন পর্যন্ত ঠিক আছিস নয়তো দেখতি তোকে এতোক্ষণে জমের বাড়ি পাঠিয়ে দিতাম। এবার আমার পা ছাড়(আয়ান).
-তুই ক্ষমার অযোগ্য (সানভি)
-প্রতিটি মানুষকে একবার হলেও সুযোগ দিতে হয় তাই ওকে এবারের মতো ক্ষমা করে দিলাম (ইভা)
-ইভা তুমি ভুল করবে কিন্তু (আয়ান)
-না একবারের জন্য ক্ষমা করে দেই, তোমরা বাধা দিও না (ইভা)
-আমি আর কোনো দিন কারো ক্ষতি করবো না কথা দিচ্ছি (তৃষা).

কাওসার ও মাহিরকে পরশু দিন আয়ান দেখা করতে বলে। দুজনে কাজ দিবে তার জন্য আর ওরা ও ওদের ভুল শিকার করে, কখনও এমন খারাপ কাজ করবে না।

তৃষা গাড়ি নিয়ে একা চলে যায়৷
সানভি, আয়ান,ইভা একটা গাড়িতে আছে। সানভি ড্রাইভ করছে, আয়ান-ইভা পিছনে বসে আছে৷ তিন জন চুপচাপ আছে। ইভা বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে,ওর মনটা আজ বড্ড বিষন্ন আছে।
আয়ান কয়েক বার ইভাকে ডেকেছে তবে কোনো সাড়াশব্দ পায় নি। কিছু দূর যাওয়ার পর সানভি বললো,
-তোরা বাইরে গিয়ে একটু ঘুরে আয়, ততোক্ষণে আমি একটু ঘুমিয়ে নেই।
-তুই ও বাইরে চল, একা থাকতে হবে না।
-কাবাবের হাড্ডি হওয়ার শখ নাই, যা।
-না ভাইয়া আমি বাসায় যাবো, (ইভা)

আয়ান গাড়ি থেকে নেমে ইভাকে কোলে তুলে নিলো।কারন আয়ান জানে এখন ইভার সাথে কথা বললে কোনো কাজ হতো না উল্টো ঘাড়ত্যাড়ামি করে যেতো তাই কেলো নিয়েছে আর এই সুযোগে সানভি ফটোশুট করলো।
ইভা আয়ানকে কিল-ঘুষি মেরে বলতে আছে,
-আমাকে ছাড়ো, ভাইয়া দেখতে আছে।
-ওটা আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ও দেখলে আমার কেনো প্রোবলেম নেই।
-ও আমার ভাই, আমার লজ্জা লাগে।
-তোমার ভাইয়া তোমার লজ্জা লাগে তাতে আমার কিছু করার নেই।
-তোরা ওই দূরের গাছের ওখানে গিয়ে বস যা (সানভি)

ইভাকে কোলে নিয়ে আয়ান হাঁটছে। বেচারা দুপুরে রোদের মধ্যে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।
-আটা, গম, সুজির বস্তায় এতো ওজন নেই যতোটা তোমার গায়ে আছে।
-কিহ্ আমি বেশি মোটা? আমাকে নামিয়ে দেও, কোলে নিতে হবে না।
-মনে মনে চাইছিলে আমি কোলে নেই তাই না???
-মোটেও না। আমার আগে অন্য জনকে পছন্দ করে বসে আছে এখন আসছো আদিকখেতা দেখাতে।
-বাজে কথা বললে একদম ফালিয়ে দিবো, সোজা হসপিটাল চলে যাবে।
-হসপিটালে না গিয়ে মরে গেলোও তো তোমার কিছু না।
-আবাররররর্
-আচ্ছা আর বললো না এখন নামাও।
-গাছের কাছে এসেছি এখন তো নামবেই।
-ওই আমি এর আগে থেকে নামতে চেয়েছি
-হ্যাঁ এখন তো বলবেই
-আমার ঝগড়া করার মুড নেই, ঝগড়া করতে আসবে না।
-না না আদর দিবো
আয়ান ইভাকে নামিয়ে দিয়ে, দুজনে গাছের ছায়ার বসলো।

চলবে,,,,

#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১৪

-আমি যা কিছু করেছি তা সব তোমাকে বাঁচানোর জন্য করেছি, আমাকে ভুল বুঝো না!
– যদি আজকে ওই দুটো ছেলে তোমার পরিচিত না হতো তখন কি করতে?
-যদির কথা নদীতে ফেললাম, যা হয় নি তা নিয়ে কথা শুনতে চাই না।
-হ্যাঁ এখন আমার কথা শুনবে কেনো? তোমার জন্য মেয়ের অভাব হবে না তাই আমার কথার কোনো দাম নেই?
-আচ্ছা তোমার কথার দাম কতো টাকা বলো আমি দিয়ে দিচ্ছি ? ১পয়সা, ২পয়সা নাকি ১টাকা?
-একদম ফাজলামি করবে না
-ফাজলামি কই করেছি, তুমি তো বললা তোমার কথার দাম দেই না তাই তো টাকা দিতে চেয়েছি
-ধুর,
ইভা বসা ছেড়ে উঠে হাটা দিলে, পিছন থেকে আয়ান ইভার ওড়না টেনে ধরলো।
-ওড়না ছাড়ো
-ছাড়বো না।
-ভাইয়াকে ডাক দিবো কিন্তু
-তোমার ভাইয়া কে? ওই সান্নুকে আমি ভয় করি না
-তুমি ভয় পাও কাকে?
-আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করি না, এখন বসো তো।
-আমার ক্ষুধা লাগছে, বাসায় যাবো
-তোমার একা বুঝি ক্ষুধা লাগছে,আর কি আমি খেয়ে বসে আছি? সকাল থেকে কিছু খাই নাই
-চেহারা দেখে তো মনে হয় না যে ক্ষুধা লাগছে?
-আজ পর্যন্ত আমার চেহারা দেখে তো কিছু বুঝতে পারো নি। না পারছো ভালোবাসা বুঝতে না পারছো মনের কথা বুঝতে হুহ
-সব বুঝতে পারি
-কি বুঝো যে তা নিজেও জানো না।
-চলো এখন যাই
-হুম যাবো, তবে তোমাকে এতো বড় লম্বা থ্যাংকু
-কেনো?
-এই যে তোমার মাথার ঘিলু-টিলু এতোদিন পর জেগে উঠছে
-ঘিলু-টিলু কি এতো দিন ঘুমের দেশে ছিলো নাকি
-মনে তো হয় তাই
-দেখো তুমি আমাকে ইনসাল্ট করছো
-তোমার প্রশংসা করেছি তো, যে তুমি বুদ্ধিমতির মতো আমার হাত থেকে পেপারটা নিয়ে তৃষাকে থাপ্পড় দিছো ।আমি চেয়েছিলাম তুমি নিজে তৃষাকে শাস্তি দেও।
-পেপার টা তোমার হাত থেকে না নিলে কি সিগনেচার করে দিতে?
-না ছিড়ে ফেলতাম
-জানো আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম, মনে হচ্ছিল এই বুঝি তোমাকে হারিয়ে ফেলি।
-কখনও আমার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে উল্টো পাল্টা কাজ করবে না কথাটা মনে থাকে জেনো।
-হুম
-কেঁদে কেঁদে চেহারার কি অবস্থা করেছো
-তোমার জন্যই তো হয়েছে
-কারো ভালো করলেও দোষ হয়
-হুম
-তোমাকে তৃষা কিভাবে নিয়ে এসেছে?
-কলেজে ঢুকেছি তখন তৃষা আমাকে বলেছে তুমি ওকে ভালোবাসো কিন্তু আমি ওর কথা বিশ্বাস করি নি তারপর ও বার বার জোড় করেছে ওর সাথে গেলে দেখতে পাবো তুমি ওর জন্য ওয়েট করতে আছে ওকে নাকি সারপ্রাইজ দিবা
-হাহাহাহা ও বোকা বানালো আর তুমি বিশ্বাস করছো, এই তুমি আমাকে ভালোবাসো? এতোটুকু বিশ্বাস করলে না, আমাকে একবার কল দিতে তো পারতে?
-তখন সব কিছু গুলিয়ে ফেলছি
-সব সময় এমন করবে তোমার দারা কোনো কাজ হয় না
-রাগ করো না, আমি বুঝতে পারি নি সরি
-হুহহ্
-প্লিজ রাগ করো না
-আচ্ছা রাগ করবো না তবে একটা শর্ত আছে?
-কি?
আয়ান গালে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললো,
-এখানে একটু আদর দেও
-নাহ্
-না দিলে আমি রাগ করবো
ইভা আয়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে দু গাল টেনে দিয়ে বলে,
-বিয়ে পর সব আদর পুষিয়ে দিবো।
-সব সময় ফাঁকি বাজি
-হুহ্

ওরা দুজনে গাড়ির কাছে এসে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

সানভি ওদের দুজনের সামনে হাত নেড়ে একটু ধাক্কা দিয়ে বলে,
-কিরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?
-লামিসা এখানে কি ভাবে এলো (আয়ান)
-গাড়িতে করে এসেছি (লামিসা)
-কখন আর তোকে খবর দিলো কে? (ইভা)
-বারে আমার একটা বয়ফ্রেন্ড আছে সে কি ভুলে গেলি, সে আমাকে খবর দিছে (লামিসা)
-শালা এই কাজটা কখন করলি (আয়ান)
-তোমরা প্রেম করবা আর আমি বসে বসে দেখবো নাকি, তাই ওখান থেকে রওনা দিছি তখন লামিসাকে মেসেজ দিয়ে আসতে বলেছি আর অনেক ক্ষুধাও লেগেছে খাবারটাও নিয়ে আসতে বলেছি (সানভি)
-এর জন্যই তোকে আমি এতো ভালোবাসি। আমার পেটের খবরও তুই বুঝতে পারো (আয়ান)
-বুঝতে তো হবেই, চল এখন খেয়ে নেই (সানভি)
-কি খাবার এনেছিস (ইভা)
– তোর ফেভারিট বিরিয়ানি এনেছি, তোর উপর আজকে অনেক ধকল গেছে তাই ভাবলাম বেষ্টনীকে একটু ভালো করে খাওয়াই (লামিসা)
-অনেক কথা হয়েছে, চলো সবাই খেয়ে নেই (আয়ান)

ওরা বিরিয়ানি খাওয়া শেষে করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিছে তার মধ্যে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলো। সকালটা খারাপ গেলেও দুপুর বেলাটা খুব ভালো করে কেটেছে। খারাপের পর ভালো দিন ঠিক আসবে, শুধু আমাদের ধৈর্য্য রাখতে হবে।

ইভা বাসায় এসে ঘুমিয়ে গেলো। সন্ধ্যা বেলা ঘুম থেকে উঠে বই পড়লো। রাতে ডাইনিং টেবিলে সবাই এক সাথে খেতে বসেছে। সাইফুল চৌধুরী মানে ইভার বাবা বললো,
-কালকে সন্ধ্যার দিকে সবাই রেডি থেকো, দু দিনের জন্য তোমাদের নানু বাড়ি যাবো।
-হঠাৎ তুমি বেড়াতে যেতে চাচ্ছো? ( ইভার মা)
-সানভির বাবার সাথে বিজনেস নিয়ে আলোচনা করতে হবে আর অনেক দিন হলো ওদের কারো সাথে দেখা হয় না তাই ভাবলাম তোমাদের নিয়ে যাই
-আচ্ছা আব্বু নানি বাড়ি যাওয়ার পর যদি সবাই মিলে একটু দূরে পিকনিকে যাই তাহলে অনেক ভালো হবে (রাইসা)
-তুই একদম ঠিক বলেছিস, হ্যাঁ আব্বু তুমি রাজি হয়ে যাও (ইভা)
-তোমার চাইলে তাই হোক

পরের দিন ইভা কলেজে গিয়ে ক্লাস করে বাড়ি এসে গোঁজ গাঁজ করে নেয়। আয়ান কলেজে যায় নি তার বাবার বিজনেসের কাজে জন্য একটা জায়গায় যেতে হয়েছে তাবে রাতে কোনো এক বাহানা নিয়ে সানভিদের বাসায় ঠিক চলে যাবে।
সন্ধ্যার দিকে সানভিদের বাসায় ইভার ফ্যামিলি প্যাক গেলো। সবাই এতো দিন পরে একসাথে হয়ে আড্ডায় বেশ জমে গেলো।
রাত৪টা সময় কলিং বেলের আওয়াজ। দরজা খুলে দেখলো সানভির বাবার পরিচিত একজন লোক তার সাথে ইয়াং হ্যান্ডসাম ছেলেও আছে।
তাদের ভিতরে ঢুকতে দেখে ইভা তুলির রুমে যাওয়া শুরু করলো এর মধ্যে ফ্লোরে পানি পরে থাকায় পা পিছলে ইভা ছেলেটা গেয়ে গিয়ে পরলো। (দুজনে ফ্লোরের উপর পরে নি কিন্তু)
অপলক দৃষ্টিতে ছেলেটা ইভার দিকে তাকিয়ে আছে। সবার সামনে এরকম ঘটনা দেখে সানভি ওদের কাছে গিয়ে বললো,
-উহুম উহুম, এবার ছাড়ুন
-ওহ হ্যাঁ, আসলে উনি হয়তো দেখতে পাননি তাই পরে গেছে ( যে ছেলেটা এসেছে তার নাম তিয়াশ)
-দেখতে পেলে তো আপনার গায়ে পরতাম না আর ধন্যবাদ (ইভা এই কথাটা বলে তুলির রুমে চলে গেলো)

সবাই একসাথে বসে থাকলেও তিয়াশের চোখ ইভাকে খুঁজে বেড়ায় ।

চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে