#Shadow_in_love
Part-5
#ফাবিহা_নওশীন
??
“আরহান বাবা তো কি হয়েছে? এভাবে ঘামছিস কেন?”
আরহানের মম আরহানের কপালের ঘাম ওড়না দিয়ে মুছতে মুছতে বললো।তার চেহেরায় ভয় আতংক স্পষ্ট।
আরহান না চাইতেই ওর শরীর কাপছে আর দরদর করে ঘামছে।
আরহান ওর মমকে আস্বস্ত করতে বললো,
—–বাইরে থেকে এসেছি তো তাই ঘামছি।এঞ্জেলের সাথে ছিলাম।ওকে খাওয়াচ্ছিলাম।
আরহানের মম আরহানের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালো।তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে আরহানের কথা বিশ্বাস করে নি।আরহান ঘটনার মোড় ঘুরানোর জন্য বললো,
—–মম খুব ক্ষুধা পেয়েছে।খেতে দেও।
ওর মম খাবার সার্ভ করে দিলো।আরহানের মমের মনে ভয় দানা বেধেছে।কদিন যাবত ছেলেকে অন্যমনস্ক দেখছে।কিছু একটা হয়েছে আর আরহান সেটা লুকানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু কি?
আরহান ডিনার শেষ করে রুমে গিয়ে দরজা লক করে ভাবছে নিচের ঘটনা।ও কি করে ঝাড়বাতি থামিয়ে দিলো?
আরহানের মাথায় বুদ্ধি এলো।আরহান বেড থেকে একটা কুশন তুলে শুন্যে ছুড়ে মারে তারপর হাত বাড়িয়ে বলে স্টপ।কুশল শূন্যে ভাসছে।নিচেও নামছেনা উপরেও উঠছেনা।আরহানের মুখে হাসি ফুটলো।
আরহান ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ছুড়ে মারছে শূন্যে।ও যা বলছে তাই হচ্ছে জিনিসপত্রগুলোর সাথে।পুরো ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো করে ফেলেছে।
বাচ্চাদের মতো জিনিসপত্র ছুড়াছুড়ি খেলা করছে।
“ওহ মাই গড!!হাও দিস পসিবল!!আই নো ম্যাজিক?”
আরহান ম্যাজিক করে পুরো ঘর আবার আগের মতো করে দিলো।
~সকাল~
আরহানের মম সকাল সকাল আরহানের রুমে এলো।আরহান সবেমাত্র ফ্রেশ হয়ে বেরিয়েছে।অফিসের জন্য রেডি হবে।
আরহানের মম বললো,
—–আরহান হাত উচু করো।
—–কেন মম?
—–যা বলছি তাই করো।হাতটা দেখি।
বলেই একটা তাবিজ আরহানের ডান বাহুতে বেধে দিলো।
আরহান বিরক্ত হয়ে বললো,
—–মম আবারো?ডোন্ট ইউ নো হাও ইরিটেটিং দিস ফর মি?
—–একদম খোলবেনা।এটা পড়ে থাকবে যতই ইরিটেট হোক।
আরহান বাধ্য হয়েই তাবিজটা পড়ে নিলো।মমের কথায় খোলতে পারলোনা।
.
.
আয়েশা ভার্সিটির জন্য রেডি হয়ে নিচে নামতেই একজনকে লিভিং রুমে বসে থাকতে দেখলো।
একটা ছেলে।ছেলেটা আয়েশাকে দেখেই উঠে দাড়ালো।আয়েশা ছেলেটাকে ভালো করে দেখে বললো,
—–কে আপনি? আপনাকে তো চিনলাম না?
ছেলেটা আমতা আমতা করে বললো,
—–জ্বি আমি ইফাত।আপনার বাবার কোম্পানির নিউ ম্যানেজার।আপনার বাবা আমার উপর কোম্পানির সব দায়িত্ব দিয়েছেন।উনি আমাকে আসতে বলেছেন।
—–ওহহ আচ্ছা।আপনি বসুন বাবা এখুনি এসে পড়বে।
আয়েশা কিচেনে গেলো চা-নাস্তা আনতে।
আয়েশার বাবা আয়েশাকে ইফাতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
—–আয়শু এ হচ্ছে ইফাত।খুব ভালো ছেলে।ওর বাবা-মা কেউ নেই।ও আমার খুব বিশ্বস্ত।ওকে আমি সব দায়িত্ব দিয়েছি কোম্পানির।ও আমাকে অনেক সম্মান করে।আজকাল ওর মতো ছেলে দেখায় যায়না।খুব ভদ্র একটা ছেলে।যতই বলি কম হয়ে যাবে।
ইফাত মাঝে মাঝে মুচকি হাসছে আর অস্বস্তিতে পড়ছে।
আয়েশার ঘাপলা লাগছে হটাৎ তার বাবা আয়োজন করে একটা ছেলের এতো প্রসংশা কেন করবে?মনে হচ্ছে ছেলের বাপ ছেলেকে নিয়ে মেয়ে দেখতে এসেছে আর ছেলের গুন কীর্তন করছে।
অপরদিকে আয়েশার বাবা আয়েশাকে ইফাতের সাথে বিয়ে দেওয়ার তাল করছে।একমাত্র মেয়ে যদি বিয়ে দিয়ে নিজের কাছেই রাখতে পারেন সে আশায়।
—–ওহ আচ্ছা।
ওকে বাবা আমি এখন যাই আমার ভার্সিটিতে যেতে হবে।মি.ইফাত আই হেভ টু গু সো বায়।আবার আসবেন।(মুচকি হেসে)
——জ্বি অবশ্যই।ধন্যবাদ।(ভদ্রতাসূচক ভংগীতে)
আরহান অফিসে নিজের ডেক্সে কাজ করছে।হটাৎ করে ঘড়ির কাটা শব্দ করে বাজতে লাগলো।টিকটিক শব্দটা প্রবল থেকে প্রবল হচ্ছে।আরহান এমন শব্দ নিতে পারছেনা।দুহাতে কান চেপে ধরে। তারপর চোখ মেলে ওর চোখ দুটি অসম্ভব লাল হয়ে আছে।চোখ মুখ শক্ত করে ঘড়ির কাটার দিকে হাত উচু করে বাড়ালো।
ঘড়িটা দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফ্লোরে পড়ে গেলো।
——যেসব জিনিস আমাকে ইরিটেট করে সেগুলোর অস্তিত্ব আমি রাখিনা।
আরহান হটাৎ হটাৎ ভয়ংকর হয়ে উঠে।প্রচন্ড ভয়ংকর।ঘোর কেটে যাওয়ার পর ও নিজেই অবাক হয়ে যায়।
আগামীকাল ওর জন্মদিন।২৭বছর পূর্ণ হবে।ঘড়ি ওকে সেটাই জানান দিচ্ছে।
২৭বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে ওর জীবনের অনেক বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে।যা ওকে এতোদিন ধরে ইংগিত দিয়ে এসেছে।
আরহান বাড়িতে গিয়ে এঞ্জেলের কাছে গিয়ে বললো,
—–এঞ্জেল জানিস আগামীকাল আমার জন্মদিন।আমাকে উইশ করবিনা?
এন্ড ইউ নো হোয়াট আই নো ম্যাজিক,এঞ্জেল।আমি যে কতটা ডেঞ্জারাস আমি নিজেও জানিনা।
তারপর এঞ্জেলকে নিজের ম্যাজিক দেখাতে লাগলো।
আরহান এঞ্জেলকে ম্যাজিক করে খাবার দিচ্ছে এঞ্জেল খেতে নিলেই আরহান সরিয়ে দিয়ে হাসতে লাগলো।
এঞ্জেল আরহানের দিকে চেয়ে আছে।
আরহান চলে যেতেই এঞ্জেল সেই খাবার শূন্যে ভাসিয়ে মুখে নিলো।এঞ্জেল ম্যাজিক দ্বারা তৈরি কোনো সাধারণ ঘোড়া নয়।ম্যাজিক্যাল ঘোড়া।
আরহান চাইছে এই জন্মদিনের প্রথম প্রহর আয়েশার সাথে কাটাবে।
রাত ১২টার পর বাবা-মায়ের থেকে বার্থডে উইশ পাওয়ার পর আয়েশার বাড়ির দিকে পা বাড়ালো।
আরহান আজ ম্যাজিক করে আয়েশার বারান্দায় উঠে গেলো।দরজা লক করা ছিলো।আরহান ম্যাজিক করে সেটা খোলে আয়েশার রুমে ঢুকে যায়।আয়েশা ফ্রেশ হয়ে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে রুমে আসছে।বিছানার পাশে যেতেই চিতকার করে উঠলো।কেননা বিছানায় আরহান শুয়ে আছে।
—–আপনি?
আরহান উঠে বসে বললো,
—–কেন বেবি?অন্য কাউকে আশা করছিলে?
—–আপনি তো ভারি অসভ্য লোক।যখন তখন একটা মেয়ের রুমে ঢুকে যাচ্ছেন।
—–আমি আমার হবু বউয়ের রুমে ঢুকেছি তাতে কার কি?
—–উফফফ,,আপনি আমাকে জ্বালিয়ে মারছেন।যখন তখন ভূতের মতো উপস্থিত হয়ে যাচ্ছেন।
ভূতের কথা শুনে আরহানের মাথার মধ্যে শয়তানি বুদ্ধি এলো।
আরহান আয়েশার অগোচরে ম্যাজিক করে বড় একটা মাকড়সা আয়েশার শরীরে দিয়ে দিলো।
আরহান আয়েশার বকবক না শুনে আয়েশার শরীরের মাকড়সা দেখছে।
আয়েশা বললো,
—-হ্যালো….
—–আয়শু তোমার শরীরে…
—–আমার শরীরে…(বিস্ময় নিয়ে প্রশ্ন করলো)
আরহান বাকা হেসে বললো,
—–মাকড়সা।
আয়েশা ভয়ে ভয়ে নিজের জামার দিকে চেয়ে ইয়া বড় একটা মাকড়সা দেখতে পেলো।মাকড়সা দেখে চিতকার শুরু করলো।চোখ বন্ধ করে দুহাত ছড়িয়ে লাফাচ্ছে আর চিতকার করছে।
আরহান মজা দেখছে।মাকড়সা ওর ডানবাহুতে হাটছে।
আয়েশা আর কোনো উপায় না দেখে দৌড়ে আরহানকে জড়িয়ে ধরে বললো,
——প্লিজ প্লিজ এটা সরান।এতো বড় মাকড়সার আমি কখনো দেখিনি।ভয় লাগছে,গা ঘিনঘিন করছে।
আয়েশা ভয়ে মেঝেতে পা রাখতে পারছেনা।আয়েশা আরহানের পায়ের পাতার উপর নিজের পায়ের পাতা রাখলো।
আরহান আয়েশার পিঠে দুহাত রেখে রহস্যময় হাসি দিলো।
“” যেচে যখন আসবেনা তাহলে এভাবেই ঠিক আছে।”
আরহান আয়েশাকে সরানোর চেষ্টা করলো অনেকটা ইচ্ছে করেই।কিন্তু আয়েশা ভয়ে আরো জোরে চেপে ধরলো।
আরহান মজা করে বললো,
—–তুমি কি আমার কোলে উঠে যাবে?
—–মাকড়সাটা সরান আমার ভয় লাগছে।
(কাদো কাদো হয়ে)
আরহান ম্যাজিক করে মাকড়সা সরিয়ে দিয়ে বললো,
—–চলে গেছে।
আয়েশা আস্তে আস্তে চোখ খোলে দেখলো কিছুই নেই।তারপর সামনে তাকাতেই শকড।ও আরহানকে এভাবে জড়িয়ে আছে।আরহানের এতো কাছে।
এক ঝাটকায় নিজেকে সরিয়ে নিলো।
আরহান সেটা দেখে বললো,
—–এতোক্ষন তো মাকড়সার ভয়ে ঝাপটে ধরে ছিলে আর এখন ধাক্কা মারছো।
—-কারণ আপনি এই মাকড়সার চেয়ে বড় মাকড়সা।
—–শেষে আমাকে মাকড়সা উপাধি দিলে?যাইহোক আমি মাকড়সা হলে তুমি মাকড়সানী।
—–ফালতু পেচাল না পেরে এখানে থেকে যান।
—–যাবো তবে তোমাকে নিয়ে যাবো।
—–মানে?(অবাক হয়ে)
—–রাতের শহরে তোমাকে নিয়ে ঘুরবো।রাতের এই স্নিগ্ধ পরিবেশে দুজনে মিলে হাটবো।আর উপভোগ করবো।চাদনী রাত তোমার খুব পছন্দ তাইনা?
—–হ্যা পছন্দ কিন্তু আমি আপনার সাথে যাবোনা।
—–তুমি যাবে।অবশ্যই যাবে।
আরহান আয়েশার হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে গেলো।
আয়েশা ভয়ে ভয়ে বললো,
—–আপনি আমাকে এভাবে নিয়ে যাবেন?এই বারান্দা বেয়ে?আমি যাবোনা।আমাকে ছাড়ুন।আমি পড়ে যাবো।বাবা জানতে পারলে খারাপ হয়ে যাবে।
—–হুসসস।কেউ জানবেনা।আর হ্যা ভয় পেওনা।আমি আছি।
—–আপনি আছেন বলেই তো ভয়।অদ্ভুত আপনি অদ্ভুত আপনার কাজ।আমি যাবোনা।
—–চুপ,আরেকটা কথা বললে এখান থেকে ফেলে দেবো।ভয় লাগলে চোখ বন্ধ করো।আমাকে শক্ত করে ধরো।
আয়েশা চোখ বন্ধ করে নিলো।আরহান ম্যাজিক করে মই ফেললো।আরহান চাইলে অন্যভাবেও যেতে পারতো কিন্তু আয়েশা সন্দেহ করবে তাই মই ফেলেছে।আরহান আয়েশাকে শক্ত করে ধরে মই বেয়ে নেমে গেলো।এতোক্ষণ ভয়ের চুটে আয়েশার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো।নামার সাথে সাথে চোখ খোলে বড় করে শ্বাস নিলো।
—–আপনি অদ্ভুত লোক তো।যা বলেছেন করেই নিলেন।
—–ইয়া বেব!আরহান যা বলে করে নেয়।(চোখ মেরে)
—–দেখুন বাবা..
—–জানবেনা।নিশ্চিত থাকো।
আরহান আয়েশার হাত ধরে নির্জন রাস্তায় হাটছে।গভীর রাত হওয়ায় রাস্তা পুরো ফাকা।চাদের আলোয় পিচঢালা রাস্তা চকচক করছে।চারপাশ মোহনীয় লাগছে।আয়েশা দুহাত মেলে চাদের আলো গায়ে মাখায় ব্যস্ত আর আরহান আয়েশাকে দেখায় ব্যস্ত।আয়েশার ইচ্ছে করছে ফাকা রাস্তায় ছুটে বেড়াতে।কিন্তু ভয়ের জন্য পারছেনা।
আয়েশা আরহানকে বললো,
—–এবার চলুন যাওয়া যাক।আমি এতরাতে বাইরে এসেছি বাবা জানতে পারলে রাগ করবে।
—-জানবে না।
—-আপনি এতোটা শিওর কিভাবে?
—-ম্যাজিক।
—-ম্যাজিক!!হুহ!!
আপনাকে তো আমার রীতিমতো সন্দেহ হচ্ছে।আপনি অদ্ভুত একটা লোক।
বারান্দা বেয়ে যখন তখন রুমে চলে আসছেন।আবার চলে যাচ্ছেন।এখন তো লক না ভেংগেই রুমে ঢুকে যাচ্ছেন।ব্যাপার কি বলুন তো?
—–উমমম…তুমিই বলো কি ব্যাপার?
—–আপনার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এটাই বুঝতে পারছি কুচ গড়বড় হে।আমি ভূতের মুভিতে দেখেছি,,
আরহান বিরবির করে বললো,
—–আবার ভূতের মুভি!!
—-আরে শুনুন না।ভূতেরা যেখানে সেখানে চলে যেতে পারে।
ওরা দেয়াল ভেদ করে চলাচল করতে পারে।বন্ধ দরজা খোলতে পারে,বন্ধ করতে পারে।ওরা বিভিন্ন রুপ নিতে পারে।ওদের চোখ অন্যরকম থাকে।
—–হয়েছে??(বিরক্ত হয়ে)
—–জ্বি না।ওরা অনেক বছর বাচে।ওরা কি খায় জানেন?রক্ত ওদের প্রিয় খাবার।মানুষের রক্ত খাওয়ার জন্য গলায় দাত বসায়,,,
—–চুপ (ধমকের সুরে)
সারাক্ষণ শুধু ভূত আর ভূত!!
ভূত নিয়ে তিনি পিএইচডি করে ফেলেছে।আচ্ছা এতোকিছু যখন জানো বলোতো ভূতেরা কিভাবে রোমান্স করে?
আরহানের এই প্রশ্নে অপ্রস্তুত হয়ে বললো,
—–এগুলো কি ধরনের প্রশ্ন?ছিহ আপনি খুব বাজে।
আরহান শব্দ করে হেসে দিলো।আয়েশা একবার আরহানের দিকে চেয়ে চোখ নামিয়ে নিলো।
——চলো তোমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসি।
.
আয়েশা মইয়ের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।কেননা আরহান বলেছে একা একা উঠে যেতে।আয়েশা একবার আরহানের দিকে আরেকবার মইয়ের দিকে তাকাচ্ছে।নিজের বাড়িতে নিজেই ঢুকতে পারছেনা।ভিতরে থেকে লক।বাইরে থেকে নকও করা যাবেনা।কি মসিবত!!আরহান ওকে ভালো বিপদে ফেলেছে।
আরহান দুহাত ভাজ করে মুচকি মুচকি হাসছে আর মজা দেখছে।
—–আপনি আমার সাথে এটা করতে পারেন না।প্লিজ আমাকে দিয়ে আসুন।
—–অবশ্যই দিয়ে আসবো তবে এর জন্য একটা শর্ত দিয়েছি।
আয়েশা চট করে বললো,
—–অসম্ভব!!আমি কিছুতেই আপনাকে…
আয়েশা মাথা চুলকাতে লাগলো।
—–ওকে আমি তাহলে বাসায় চলে যাই।গুড নাইট।অনেক রাত হয়েছে আমি যাওয়ার পর তোমার ভূত বন্ধুরা তোমাকে হায় হ্যালো দিতে আসবে।
ভয়ে আয়েশার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে।আরহান যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।আয়েশা চেচিয়ে বললো,
—–আমি রাজি!!
আরহান বাকা হেসে ঘুরে দাড়ালো।
আয়েশা বললো,
—–তবে এখন নয়,আমাকে বারান্দায় দিয়ে আসবেন তারপর…
আরহান ভ্রু কুচকে বললো,
—-যদি চিট করো?
—–প্রমিস!!
—–ওকে ডান।
আরহান আয়েশাকে নিয়ে মইয়ে উঠে গেলো।
আরহান দুহাত ভাজ করে দাড়িয়ে আছে।আয়েশা হাত কচলাচ্ছে।
—–ইয়ে মানে আমি…
—–তুমি কি?
—–আমি আসলে…
—–তুমি প্রমিস করেছো ভুলে যেওনা?
—–আর আপনি সুযোগ নিচ্ছেন।
—–সুযোগ!! তোমার যদি তাই মনে হয় তবে ইটস ওকে।নো নিড।আজকে আমার বার্থডে তাই তোমার কাছ থেকে এই গিফট চেয়েছিলাম আর তুমি সেটাকে সুযোগ বলছো।
তুমি রুমে যাও।দরজা ভালোভাবে লক করে নিও।শুভ রাত্রি।
আরহান বারান্দার রেলিঙ ধরে নামতে গেলে আয়েশা বলে দাড়ান।
আরহান থেমে যায়।
আয়েশা নিচুস্বরে বললো,
—–চোখ বন্ধ করুন।
আরহান চোখ বন্ধ করে নিলো।
আয়েশা আলতো করে আরহানের গালে ঠোঁট ছুইয়ে দিলো।আরহানের ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটলো।আরহান চোখ খোলতেই আয়েশা চোখ নামিয়ে নিয়ে বললো,
—–জাস্ট বার্থডে ছিলো তাই…
আয়েশা দৌড়ে রুমে চলে গেলো।আরহান গালে হাত দিয়ে মুচকি হাসছে।
চলবে…..