Shadow_in_love Part-6

0
1746

#Shadow_in_love

Part-6

#ফাবিহা_নওশীন

রাত ৩টা।
সাদা লম্বা পোশাক পরিহিত একটা ছায়ামূর্তি হেটে চলেছে।তার পোশাকের পেছনের অংশ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।খোলা চুলে হাতে একটা কাঠি নিয়ে হেটে চলেছে।।
আরহান পেছনে থেকে ডাক দিলো।
—–কে আপনি দাড়ান বলছি।

ছায়ামূর্তিটি থেমে গেলো।এর আগে এই ছায়া কখনো দাড়ায়নি।আজ দাড়িয়েছে।আরহান কৌতুহল বশত আরেকটু সামনে এগিয়ে গেলো।
তারপর বললো,
—–কে আপনি?

ছায়ামূর্তিটি মুগ্ধ করা হাসি নিয়ে পেছনে ঘুরলো।আরহান অবাক চোখে তাকে দেখছে।
দুধে আলতা গায়ের রংয়ের ডানাকাটা পরী ওর সামনে দাড়িয়ে আছে।পোশাক পরিচ্ছেদ সবকিছু আকর্ষণীয়।তবে আরহান মোহ নয় টান অনুভব করছে।কিন্তু কিসের টান?

সে বললো,
—–আমি শবনব!!

আরহান অবাক হয়ে বললো,
—–শবনব!!
আমার কাছে আপনি কি চান?

মোহনীয় সুরে বললো,
—-একজন মা তার সন্তানের কাছে যা চায়।

—–মা!!কার মা?কে সন্তান?আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।

ঠোঁটের হাসি আরো প্রসারিত করে বললো,
——তোমার মা।তোমার জন্মদাত্রী মা।

আরহান শবনমের কথা শুনে বিস্ময়ে কথা বলতে ভুলে গেলো।কি বলছে উনি?ওর মা?ওর মা তো সাদিয়া খানম?সবকিছি আরহানের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।

—–কি যা-তা বলছেন? আপনি আমার মা কেন হতে যাবেন?আমার মম সাদিয়া খানম।

শবনমের হাসিমুখ কালো হয়ে গেলো।কিছুটা রেগে গেছে।ফর্সা মুখ লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
—–সাদিয়া তোমার মা নয় আরহান।আমি তোমার মা।সাদিয়া তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে।

আরহান চিতকার করে বললো,
—–মিথ্যা,সব মিথ্যা।আমার মম সাদিয়া খানম।আপনি কেউ না আমার।আমার মমের নাম সাদিয়া।

শবনম মুচকি হেসে বললো,
—–তুমি তোমার সব প্রশ্নের উত্তর খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবে।

আরহান তখনও প্রলাপ বকে যাচ্ছে।
—–আমার মায়ের নাম সাদিয়া খানম।

আরহান বারবার বিরবির করে এক কথাই বলছে।আরহানের ঘুম ভেঙে গেলো।আরহান উঠে বসে বেডসাইড টেবিল থেকে পানি নিয়ে গলা ভিজিয়ে নিলো যা কিছুক্ষণ আগে মরুভূমির মতো প্রখর তাপে শুকিয়ে ছিলো।
আরহান দুহাত দিয়ে চোখ মুখ মুছে ভাবতে লাগলো কি হচ্ছে এসব?

সকালে নাস্তার টেবিলে অনেক আয়োজন করা হয়েছে।আরহানের দাদি গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন একমাত্র নাতীর জন্মদিন তাই।আজ আরহানের পছন্দসই সব খাবার তৈরি করা হয়েছে।
আরহানের মা পরম যত্নে ছেলেকে খাবার খাওয়াচ্ছে।আরহান বারবার নিজের মমের দিকে তাকাচ্ছে।কিছু বলতে চাইছে কিন্তু পারছেনা।নাহ আজকের দিনে এসব না জিজ্ঞেস করাই ভালো।

আরহান রুমে গিয়ে ফ্রেশ রেডি হয়ে এলো।আজকের দিনেও ওর অফিসে যেতে হবে।
নিচে যেতেই বাধ সাধলো আরহানের দাদি।
—–দাদুভাই আজকে অফিসে না গেলে হয়না?

—–মাই সুইটহার্ট।জন্মদিনই তো।একদিন অফিসে না গেলে কত ক্ষতি হবে জানো?

—–বাপ ব্যাটা দুটো আছে শুধু কাজ নিয়ে।বউমা আরহানকে এবার একটা বিয়ে দিয়ে দেও।

বিয়ের কথা শুনে আরহান বললো,
—–তুমি থাকতে বউয়ের কি দরকার?তুমি আমাকে অফিসে যেতে দিতে চাওনা।আরেকজন এলে আমার কি হাল হবে মাবুদই জানে।

——বুড়ো বউয়ের দাম নেই।সুন্দরী যুবতী বউ পেলে তখন আর বউয়ের বলতে হবেনা নিজেই অফিসে যাবেনা।

—–দাদি…!!
আমি যাচ্ছি।

আরহান অফিসে এসেছে ঠিকই কিন্তু কাজে মন দিতে পারছেনা।রাতের স্বপ্নের কথা বারবার মনে পড়ছে।আর তার বলা কথাগুলো।শবনম!!ওর মা!!
আরহান এসব মাথা থেকে ঝেড়ে কাজে মন দেওয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু সেটাও পারছেনা।
হটাৎ করে ওর শরীর খারাপ লাগছে।অস্থিরতায় ভুগছে,শরীর দরদর করে ঘামছে।এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দিলো।কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা।অদ্ভুত কিছু শব্দ ওর কানে আসছে।শরীর হটাৎ হটাৎ ঝাকিয়ে উঠছে।হাত-পা বারবার টানটান হয়ে যাচ্ছে।আরহানের বিষয়টি ভালো ঠেকছেনা।ওর বাড়িতে যাওয়া উচিত।

“আয়শু মা তোকে কিছু কথা বলতে চাই।ফ্রি আছিস?”
আয়েশা বইপত্র গুছিয়ে রাখছিলো তখন ওর বাবা ওর রুমে এসে কথাগুলো বললো।

আয়েশা ঘুরে বললো,
—–হ্যা বাবা বলো।

আয়েশার বাবা বিছানায় বসে পড়ল।
—–তুই তো জানিস মা আজকাল শরীর ভালো যাচ্ছেনা।আমি ছাড়া তোর কেউ নেই।তোকে উপযুক্ত পাত্রের হাতে দিতে পারলেই আমার শান্তি।ইফাত ছেলেটাকে তোর কেমন লাগে?

—–হটাৎ!! (অবাক হয়ে)

—–ছেলেটা খুব ভালো।কেউ নেই ওর।আমি চাইছিলাম ওর সাথে তোর বিয়ে দিতে।

—–বিয়ে!!বাবা কি বলছো তুমি?আমার পড়াশোনা এখনো শেষ হয়নি।

——জানি মা জানি।
দেখ ইফাতের কেউ নেই।মা-বাবার ভাই-বোন কেউ নেই।তাই তোর সাথে বিয়ে হলে ও আর তুই এ বাড়িতেই আমার সাথে থাকবি।বিয়ের পরে তোর লাইফের কিছুই চেঞ্জ হবেনা।সব আগের মতোই থাকবে।বিয়ের পর পড়াশোনা করবি।তারপর দুজন একসাথে কোম্পানির হাল ধরবি।আমি শুধু তোকে স্যাটেল দেখতে চাই।

—–ইফাত কি জানে এ বিষয়ে?

—–হ্যা জানে।সেদিন আমি তোদের দুজনের দেখা করানোর জন্যই ওকে আমার বাড়িতে ডেকেছিলাম।ওর কোনো আপত্তি নেই।ও রাজি।এখন শুধু তোর অপেক্ষা।

আয়েশার আরহানের কথা মনে উকি দিলো।
আয়েশা বুঝতে পারছেনা কি করবে?আরহান খুব অদ্ভুত একটা মানুষ।প্রথম থেকেই ওর গতিবিধি ওর সুবিধার লাগছেনা।খুব সাংঘাতিক একটা লোক।আরহানকে দেখলেই ওর ভয় লাগে।জেদি,রাগি যা বলে তাই করে।এমন মানুষ আয়েশার পছন্দ না।আর তাছাড়া ওর বাবাকে দেখার মতো কেউ নেই।কিন্তু আরহানের প্রতি একটা ফিলিং অনুভব করছে কিন্তু কি?সেই অনুভূতির কোনো নাম দিতে পারেনি।

—–বাবা আমি তোমাকে ভেবে জানাবো।

—–আচ্ছা ভাব,আমি তোকে প্রেশার দেবোনা।

আরহান মেইনডোরের সামনে এসে দাড়ালো।কিন্তু ওর শরীর চলছেনা।হাত-পা ভেঙে আসছে।মেইন ডোরের সামনে এসে হাটু গেড়ে বসে পড়লো।উঠে দাড়ানোর শক্তি পাচ্ছেনা।
ওর পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে দরজার দিকে চেয়ে আরহানের মম আর দাদি আরহান বলে চিতকার দেয়।
আরহান হাপাতে হাপাতে সেদিকে চোখ রেখে উঠার চেষ্টা করছে।হটাৎ করে ওর শরীরে অদ্ভুত শক্তি চলে এলো।আরহান দাড়িয়ে শরীর ঝাড়া দিলো।ওর চোখ লাল বর্ণ ধারণ করলো।চোখ জ্বলজ্বল করছে।হাত পায়ে বড়বড় নখ বেড়ুচ্ছে।আরহান অবাক হয়ে সেসব দেখছে।
আরহানের মম আর দাদি আরহানের কাছে আসতে গিয়ে থেমে গেলো।তারা এসব দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলো।
আরহান নিজের হাত পায়ের দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।তারপর হাত উচু করে দেখতে লাগলো।বিশ্রী লাগছে ওর কাছে। জোরে চিতকার করলো।চিতকারে লিভিং রুমের কিছু গ্লাস ভেঙে পড়ে গেলো।
আরহান জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।ওর সাথে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছেনা।

আরহানের মম আরহানের দাদিকে ধরে কেদেই যাচ্ছে।
—–মা কি হচ্ছে এসব?আমার আরহান।

—–এসব তো হওয়ারই ছিলো বউমা।

আরহান আশেপাশে যা দেখছে সব ছুড়ে মারছে।ও পুরোদমে ক্ষেপে গেছে।সব গুড়িয়ে দেবে।ও অদ্ভুত শব্দে চিতকার করছে আর সব ছুড়ে মারছে।
আরহান শান্ত হয়ে বসে পড়লো।

.
.

আরহান বসে আছে।আর পুরো ফ্যামিলি ওর সামনে।আরহান নীরবতা ভেঙে গম্ভীর গলায় বললো,
—–আমি জানতে চাই আমি কে?কি হচ্ছে এসব আমার সাথে?আশা করি কিছু লুকাবেনা।

আরহানের পাপা বললো,
—–আজ আমি কিছুই লুকাবোনা।সব জানার সময় তোমার হয়ে গেছে।

আরহানের মম কাদছে আর বারবার বাধা দিচ্ছে।
আরহানের পাপা বললো,
—–আজ আর বাধা দিওনা সাদিয়া।
আরহান তুমি মানুষের মতো দেখতে হলেও তুমি মানুষ নও।তুমি জ্বিন।তুমি জ্বিন কন্যা শবনমের ছেলে।শবনম জ্বিন কন্যা যাকে আমরা বলি পরী।

—–বাবা কি বলছো এসব?আমি মানুষ নই?আমি তোমাদের সন্তান নই।

—–হ্যা তুমি আমার সন্তান।আমার আর শবনমের ছেলে তুমি।আমি মানুষ হওয়ায় তুমি মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছো।কিন্তু ২৭বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে তুমি সম্পূর্ণ জ্বিনে পরিণত হয়েছো।

——তাহলে মম!!!না এসব মিথ্যা।
(অস্থির হয়ে)

—–শান্ত হও।সবকিছু তোমার সামনে।
শবনম আর আমার প্রেমের বিয়ে হয়েছিলো।ও পরী ছিলো সেটা আমি জানতে পারি তোমার জন্মের আগে।তোমার দিকে চেয়ে আর আমার ভালোবাসার কারণে আমি সব মেনে নিয়েছিলাম কিন্তু তোমার ৫মাস বছর বয়সের সময় ও তোমাকে আর আমাকে রেখে চলে যায়।আর বলে যায় তোমার ২৭বছর পূর্ণ হলে ও তোমাকে নিয়ে যাবে।কারণ তখন তুমি মানুষ থেকে জ্বিনে কনভার্ট হবে।দ্যাটস অল।

আরহান কিছুতেই এসব মেনে নিতে পারছেনা।আরহান মাথা চেপে ধরলো।চোখ মুখ মুছে বারবার কপাল ঘষছে যাতে টেনশন কমাতে পারে।সারাজীবন জ্বিন পরী সম্পর্কে বইতে পড়েছে,টিভিতে দেখেছে আর আজ ওর লাইফ সেখানে।

আরহানের মম ছুটে এসে আরহানের কাছে এসে কাদতে কাদতে বললো,
—–আরহান আমি তোর মম।আমি তোর মম।আর কেউনা।তুই আমার কলিজার টুকরো। তুই আমাকে ছেড়ে যাসনা আমি মরে যাবো।(অস্থিরতার সুরে)

—–হ্যা মম তুমিই আমার মম।আমার আর কাউকে চাইনা।আমি কোথাও যাবোনা।যে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে তার কাছে আমি কখনোই যাবোনা।

—–আমি তোকে ৫মাস বয়স থেকে নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি।আগলে রেখেছি।নিজে কোনো সন্তান নেইনি।যদি তোকে অবহেলা করি এটা ভেবে।
তুই আমাকে ছেড়ে যাবিনা কথা দে।

—–আই প্রমিস টু ইউ মম আমি কোথাও যাবোনা।

আরহানের মনের ভিতরে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।ও মানুষ নয়,ও জ্বিন।এই মানুষের ভীরে কেউ কি ওকে মেনে নিবে?আয়েশা?আয়েশা কি ওকে মেনে নিবে?

আরহানের চোখ বেয়ে এক ফোটা পানি বেয়ে পড়লো।

আয়েশা সন্ধ্যা বেলায় ছাদে দাড়িয়ে আছে।বাবার বলা কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে খেয়াল করেনি।এতক্ষণ ভেবেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।আরহানকে না পারছে ছাড়তে আর না কোনো অজানা কারণে ওর সংগ চাইতে পারছে।
আয়েশা ভাবছে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত।হটাৎ করে আয়েশা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেলো।ভয়ে ভয়ে ঘুরে আরহানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বুকে হাত দিয়ে জোরে একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললো,
—–ওহ আপনি!!

আরহান কোনো কথা বলছেনা।চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।চোখ মুখ শুকনো।আয়েশা আরহানকে দেখে বুঝতে পারছে কিছু হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বললো,
—–আপনি ছাদে কি করে এলেন?

—–ম্যাজিক করে।(আনমনে)

—–মানে??

—–আজকে আমার মন অনেক খারাপ।

—–মন খারাপ? কেন?আজকে আপনার বার্থডে।আজকের দিনে কে আপনার মন খারাপ করে দিলো?

আরহান রেলিঙের ধারে গিয়ে রেলিঙ ধরে নিচের দিকে তাকালো।তারপর আকাশের দিকে চুপ করে চেয়ে আছে।

—–কি হলো বলুন।

—–আয়শু আমি সিরিয়াসলি তোমাকে খুব ভালোবাসি।(শান্ত কন্ঠে)
কিন্তু আজ আমি আমার লাইফের নির্মম সত্যিটা জানতে পেরেছি।যে সত্য আমাকে প্রচন্ড যন্ত্রণা দিচ্ছে।সব এলোমেলো করে দিচ্ছে।
তুমি সত্যিটা জানতে হয়তো আমাকে আরো একসেপ্ট করতে চাইবেনা।আমার কাছ থেকে দূরে ভাগবে।আমাকে ভয় পাবে।

ভয় তো আমি আপনাকে এমনিতেও পাই।(মনে মনে)
——কোন সত্য??

আরহান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আয়েশার দিকে ঘুরে ওর বরাবর দাড়ায়।হাত বাড়িয়ে ওকে ছুতে চেয়েও হাত নামিয়ে নিলো। তারপর বললো,
—–আজকে আমি জানতে পারলাম আমি মানুষ নই।আমি একজন জ্বিন।

আয়েশা আরহানের কথা শুনে থমকে গেছে।ওর মুখ পুরো থমথমে হয়ে গেছে।আরহান অতি আগ্রহের সাথে আয়েশার মুখের দিকে চেয়ে আছে কখন ও মুখ খোলবে আর কিছু বলবে।
হটাৎ করে আয়েশা ফিক করে হেসে দিলো।উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো।ওর হাসির তীব্র শব্দে নীরবতা ভেঙে গেলো।আয়েশা বিদ্রুপের হাসি হাসছে।

হাসতে হাসতে ওর চোখে পানি চলে এসেছে।হাসি কিছুটা থামিয়ে বললো,
—–ইউ…!!
হাসির জন্য বলতে পারছেনা।
আরহানের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।রাগে চোখ মুখ শক্ত হয়ে আসছে।তবুও নিজেকে অনেক কষ্ট করে সামলে নিচ্ছে।হাতের মুঠো শক্ত করে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।

আয়েশা বললো,
—–আপনি জ্বিন?? হাও ফানি।আপনি ভালো জোক্স বলতে পারেন।আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এসব বলেছিলেন তাইনা?হাহাহা।

আরহান আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারলো না।দুহাতের ছড়িয়ে চিতকার করে বললো,
—–আমি জ্বিন না?আমি মজা করছি?
বলেই আরহান নিজের আসল রুপ ধারন করেছে।
আরহানের ভয়ংকর চোখ,বড়বড় হাত-পা,হাত-পায়ের ভয়ংকর ধারালো নখ দেখে আয়েশার বুলতি বন্ধ হয়ে গেলো।আয়েশা নির্বাক,কোনো রিয়েক্ট করতে পারছেনা।ব্রেইন বলছে চিতকার করতে কিন্তু মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না।

আয়েশা চোখ বন্ধ করে ঢলে পড়লো।আরহান ওকে কোলে তুলে বললো,
—–তুমিও আমাকে মেনে নিতে পারলেনা আয়শু বাট আই হেভ নো অপশন।আই ওয়ান্ট ইউ এট এনি কোস্ট।

আয়েশার জ্ঞান ফিরলো।আয়েশা নিজেকে নিজের রুমে আবিষ্কার করলো।পরক্ষণেই ওর আরহানের কথা মনে পড়লো। আয়েশা ভয়ে কুকড়ে যাচ্ছে।
“নাহ আমাকে ওর হাত থেকে পালাতে হবে।ও মানুষ নয়।ও একটা জ্বিন।আল্লাহ আমাকে ওর হাত থেকে রক্ষা করো।”

চলবে..

(সম্পূর্ণ কাল্পনিক।কেউ বাস্তবতা কিংবা লজিক দিয়ে বিচার করবেন না।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে