Shadow_in_love Part-4

0
1835

#Shadow_in_love

Part-4

#ফাবিহা_নওশীন

??
আরহান আয়েশার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে।কিন্তু কিভাবে ভিতরে যাবে?
আরহান মনে মনে বলছে,
——যেভাবেই হোক আজ আমি যাবোই।আমার ফোন রিসিভ না করা।আমাকে এভয়েড করা।

আরহান দেয়াল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেলো।তারপর বিল্ডিংয়ের পাইপ বেয়ে উপরে উঠছে।আশ্চর্যের বিষয় আরহানের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।তরতর করে উঠে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে এ যেনো বছরের পর বছরের অভ্যাস।এ কাজে সে অভস্ত্য।

আরহান আয়েশার রুমের বারান্দায় উঠে গেলো।কিন্তু দরজা লক করা।আরহান দরজায় নক করলো।কিন্তু দরজা খোলছে না আয়েশা।কিভাবে দরজা খোলবে সে তো টিভিতে মগ্ন।টিভির ভিতরে ঢুকে গেছে দুনিয়াদারির খবর নেই।
আরহান স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে রুমের ভিতরে টিভি চলছে।আরহান হাত দিয়ে লক ভেঙে ফেললো।তারপর রুমের ভিতরে ঢুকে গেলো।
দরজা খোলার শব্দে আয়েশা চমকে যায়।তারপর ঘাড় ঘুড়িয়ে আরহানকে দেখে ভয় পেয়ে যায়।
আরহানের চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।ভয়ংকর দৃষ্টি দিচ্ছে আয়েশার দিকে।ভয়ে আয়েশার কলিজা কেপে উঠছে।আয়েশা ভয় পেয়ে চিতকার করছে।
—–বাবা!!! বাবা বাচাও,,বাবা!!

আরহান এসে আয়েশার মুখ চেপে ধরে।আয়েশার বাবা রুম থেকে বলছে,
—–আয়শু হরর মুভি দেখা বন্ধ করো।আমি বই পড়ছি চিতকার চেচামেচি করে বিরক্ত করোনা।

তারপর তিনি বিরবির করে বললো,
—–এ মেয়েকে নিয়ে আর পারিনা।টিভি দেখেও চিতকার করতে থাকে।শান্তিতে বই পড়তে পারিনা।রুমটা সাউন্ড প্রুফ করার ব্যবস্থা করতে হবে।

আরহান আয়েশার মুখ চেপে ধরে বলছে,
—–চুপ চিতকার করেও লাভ নেই।তোমার বাবা আসবেনা আয়শু।

তারপর ওর মুখ থেকে হাত সরিয়ে দেয়।
আয়েশা বললো,
—–আপনি আমাকে আয়শু বলছেন কেন?
এটা শুধু আমার বাবা আর বন্ধুদের জন্য।

—–এখন থেকে আমার জন্যও।

আয়েশা ঝাড়ি মেরে বললো,
—–আপনি এতো রাতে এখানে কেন?আপনি আমার রুমের দরজার লক ভেঙে ফেললেন।বাবা!!
(কাদো কাদো হয়ে)

——তুমি আমার ফোন তুলোনি কেন?এর পর থেকে ফোন রিসিভ না করলে লক ভাংবোনা, তোমার বাড়ি উড়িয়ে দেবো।

আয়েশা চোখ বড়বড় করে চেয়ে রইলো।
তারপর ফোন খোজতে লাগলো।বেডের কোনায় ফোন পড়ে আছে।আয়েশা ফোন নিয়ে দেখলো একটা নাম্বার থেকে অনেক বার ফোন এসেছে।

আয়েশা বললো,
—–আসলে আমি ইচ্ছে করে করিনি।টিভির শব্দে শুনতে পাইনি।

আরহান টিভির দিকে তাকালো তাতে ওর মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো।আয়েশা হরর মুভি দেখছে।
—–এই মেয়ে ভীতুর ডিম।তুমি না ভূতে ভয় পাও?তাহলে ভূতের মুভি দেখছো কেন?হুহ?

আয়েশা আমতা আমতা করে বললো,
—–ইয়ে মানে আসলে ভূতের মুভি দেখি যাতে আমি ভূত সম্পর্কে সব জানতে পারি তাই।মানে ভূতেরা কেমন হয়,তাদের ন্যাচার,কিভাবে ওদের চেনা যায় কিভাবে পরিহিত করা যায় সেটা শিখি।তাহলে বিপদে পড়লে…

—–ডিসগাস্টিং!!
চুপ,,আরেকবার ভূত ভূত বললে তোমাকে ভূতের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবো।তারপর সে তোমার ঘাড় মটকে খাবে।

আয়েশা ভীতু গলায় বললো,
—–নাহহ !!

আরহান হেসে ফেললো।মনে মনে বলছে তোমাকে ভূতের কাছে আমার কাছে খুব শীঘ্রই নিয়ে যাবো।

—–লক ঠিক করে নিও।আর হ্যা ফোন রিসিভ করবে নয়তো…(বাকা হেসে)

—–আচ্ছা।(ঢুক গিলে)

.
.

আয়েশা ভার্সিটিতে দাড়িয়ে সিনিয়রের সাথে কথা বলছে।তখনই ওর গালে হাত পড়লো কেননা কিছুক্ষণ আগে ওর গালে চটাপ করে একটা থাপ্পড় পড়েছে।আয়েশা গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে।আর থাপ্পড় দেওয়া ব্যক্তিটিকে দেখে ওর চোখ কপালে।বিস্ময় নিয়ে আরহানের দিকে চেয়ে আছে।
আরহান সানগ্লাস খোলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আয়েশার দিকে চেয়ে আছে।যেনো চোখ দিয়ে জ্বালিয়ে দেবে।আয়েশার চোখ সরছেনা আরহানের দিক থেকে।আরহানকে দেখে আয়েশা রিয়েক্ট করতে ভুলে গেছে।
আরহান কেন ওকে থাপ্পড় মারলো?কি এমন করেছো ও?কিছু করলেও বা থাপ্পড় মারতে হবে?আর আরহান ওর ভার্সিটিতে কেন এসেছে?কিছুই মাথায় ঢুকছেনা।

আরহান আয়েশার হাত ধরে টেনে গাড়িতে উঠালো।আয়েশার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।আয়েশা কোনো কথা বলছেনা।
আরহান গাড়ি থামিয়ে আয়েশাকে গাড়ি থেকে নামালো।গাড়ি আয়েশার বাড়ির গেইট থেকে কিছুটা দূরে।আয়েশা সোজা হয়ে দাড়িয়ে আছে।

আরহান দাতে দাত চেপে বললো,
—–এই মেয়ে ওই ছেলে তোমার ক্লাসম্যাট বা ফ্রেন্ড?

আয়েশা উত্তর দিলো,
—–না সিনিয়র।

—–আই নো দিস।সিনিয়রদের সাথে কি?এরপর যদি দেখি সিনিয়রদের সাথে এভাবে গল্প করেছো তাহলে ভালো হবেনা।একদম সিনিয়রদের সাথে কথা বলতে যাবে না।মাইন্ড ইট।
যাও বাড়িতে যাও।

আয়েশা বাধ্য মেয়ের মতো বাড়িতে চলে গেলো।আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালো।ওর চোখ দিয়ে যেনো আগুন বেরুচ্ছে।ওর গায়ে হাত তোলা?এত সাহস?অধিকার দেখাচ্ছে?কিসের অধিকার?

আরহান বাসায় ফিরে ছটফট করছে।রাগের মাথায় আয়েশার গায়ে হাত তুলে ফেলেছে।
——নাহ,,আমি কাজটা ঠিক করিনি।আমি আয়শুর গায়ে হাত তুললাম।যাকে ভালোবাসি হ্যা ভালোবাসি।আমি আয়শুকে ভালোবাসি।আমি কি করে ওকে মারতে পারলাম? ও খুব কষ্ট পেয়েছে।

আরহান ফোন বের করে আয়েশাকে ফোন দিলো।দুবার রিং হওয়ার পর রিসিভ হলো।
আয়েশা ফোন রিসিভ করেই শক্ত কন্ঠে বললো,
—–আমাকে ফোন দিবেন না।আমি আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নই।রাখছি।

আয়েশা ফোন কেটে দিলো।তারপর বিরবির করে বলছে,
—-ফাজিল লোক মেরেছে এখন আবার ফোন দিচ্ছে।

আরহান আবার ট্রাই করলো কিন্তু ফোন রিসিভ হচ্ছে না।বারবার ফোন করছে তাই আয়েশা ফোন অফ করে রেখে দিলো।

আরহান বারবার ফোন করেও আয়েশাকে পাচ্ছেনা।আরহান ঘরজুড়ে পাইচারি করছে।তারপর আয়েশার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গেলো।আজো পাইপ বেয়ে উপরে উঠে গেলো।
বারান্দা দিয়ে আয়েশার রুমে ঢুকলো।আয়েশা শুয়ে ছিলো।দরজা খোলার খট শব্দে মাথা তুলে আরহানকে দেখে রেগে গেলো।
বিছানা ছেড়ে উঠে আরহানের সামনে গিয়ে দাড়ালো।
—–আপনি আবার আমার রুমে এসেছেন?আপনার সাহস তো কম না?আপনি কেন আমার পিছে পড়েছেন?
ফোন না তুললে বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন,,রাতের বেলায় একটা মেয়ের রুমে বারান্দা দিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন।তার ভার্সিটিতে গিয়ে সবার সামনে থাপ্পড় মারছেন।আপনার মতো অদ্ভুত লোক আমি জীবনে একটাও দেখিনি।

——সরি।(অপরাধী ভংগীতে)

আয়েশা থমকে যায়।তারপর বললো,
——সরি ফর হোয়াট?

—–আয়শু তুমি জানো কেন সরি বলছি।আ’ম রিয়েলি সরি।আমি রাগের মাথায় তোমাকে মেরেছি।এর জন্য আমি অনুতপ্ত আর লজ্জিত।প্লিজ আয়শু।

আয়েশার চোখে পানি ছলছল করছে।
—–আমার বাবা আজ পর্যন্ত আমাকে থাপ্পড় মারেনি আর আপনি? আমার মা মারা যাওয়ার পর আমার বাবা আমাকে অনেক আদর দিয়ে বড় করেছে।কেউ আমার গায়ে হাত তুলেনি।আর আপনি এতোগুলা মানুষের সামনে আমাকে থাপ্পড় মারলেন?আমি মেজর কোনো অপরাধ করেছি?কি করেছি আমি কেন মারলেন?

—–আয়শু তুমি ওই ছেলেটার সাথে ওভাবে কথা বলছিলে তাই আমার রাগ উঠে যায়।যে জিনিসের দিকে আমার চোখ পড়ে সেটায় শুধু আমার অধিকার আর কারো নয়।

——মানে কি? আমি কি আপনার সম্পত্তি?

আরহান চুপ করে আছে।

—-চুপ করে আছেন কেন?কথা বলুন।কেন আমার পেছনে পড়ে আছেন? কেন এই অদ্ভুত আচরণ করছেন?
দয়া করে আমার থেকে দূরে থাকুন।

আরহান রাগে কাপছে।
——আমি তোমার থেকে দূরে থাকতে পারবোনা আর না তোমাকে দূরে থাকতে দেবো।
আরহান আয়েশার দিকে এগিয়ে গেলো।আয়েশার থাপ্পড় দেওয়া গালে হাত বুলিয়ে বললো,
——বিকজ আই লাভ ইউ।এন্ড ইউ আর মাইন।

আরহানের কথা শুনে আয়েশার চোখ বড়বড় হয়ে গেলো।
আয়েশা কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলো।আয়েশা আরহানের হাত সরিয়ে দিলো।
—–বাট আই ডোন্ট লাভ ইউ।

আরহান বাকা হেসে বললো,
—–হু কেয়ারস ইউ লাভ মি অর নট?আই লাভ ইউ।আই ওয়ান্ট ইউ দ্যাটস এনাফ ফর মি।এন্ড ভেরি সুন ইউ উইল বি মাইন।

আয়েশা আরহানের কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলো।
ভীতু গলায় বললো,
—–আপনি আমার জীবন থেকে সরে যান প্লিজ।

—–সরে সেদিনই যাবো যেদিন মরে যাবো।আমার হৃদয় তোমার নামে লিখে দিয়েছি।এখন থেকে এই আরহানকে নিজের মনে করো।যত তাড়াতাড়ি আমাকে একসেপ্ট করতে পারবে তোমার জন্য ততই ভালো।

——আপনার মতো রুড মানুষকে আমি কখনোই ভালো বাসবোনা।চলে যান নয়তো বাবাকে ডাকবো।

—–ডাকো,আজই বলে যাই শ্বশুর মশাইকে আমাদের কথা।

—–দেখুন বাবা জানতে পারলে আপনাকে ছেড়ে দেবেনা।

—–ছাড়তে কে বলেছে।আমি তো চাই তিনি আমাকে ধরে রাখুক।জামাই বলে কথা।

আয়েশার রাগে এখন কান্না পাচ্ছে।নিজের মাথার চুল নিজেরি ছিড়তে ইচ্ছে করছে।
—–আপনি রুডই না আপনি খুব বিরক্তিকর একটা লোক।

—–এই বিরক্তিকর লোকের সাথেই আজীবন থাকতে হবে তাই অভ্যাস করে নেও।আর নয়তো তেতোকে মিষ্টি বানিয়ে নেও।(বাকা হেসে)

আয়েশা মনে মনে বলছে,
—–আমি আর কথাই বলবো না। নয়তো এই লোক থামবে না।

আরহান বুঝতে পারলো আয়েশা আর কথাই বলবেনা।আরহান মুচকি হেসে আয়েশার গালে কিস করে বললো,
—–গুড নাইট আয়শু।

আয়েশা হা করে দাঁড়িয়ে আছে।আরহান আয়েশার দিকে চেয়ে আরেকবার মুচকি হেসে বারান্দা দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
আয়েশা বুঝেনা আরহানের স্পর্শে কি আছে।খুব অদ্ভুত লাগে ওর স্পর্শ।

আরহান বাড়ির সামনে গাড়ি থামিয়ে বাড়িতে না ঢুকে এঞ্জেলকে দেখতে গেলো।
এঞ্জেল এখনো জেগে আছে।রাতে ওর চোখগুলো অদ্ভুৎ লাগে।
আরহান এঞ্জেলের কাছে গিয়ে নানান কথা বলছে।এঞ্জেল এখন ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু যার কাছে ও সবকিছু শেয়ার করে।
এঞ্জেলকে মাথায় বুলিয়ে আদর করছে আর বলছে,
—–জানিস এঞ্জেল আজ তোর মালকিনকে প্রপোজ করেছি।কিন্তু সে প্রচুর ক্ষেপে গেছে।
রাগলে যা লাগেনা।ওকে দেখলেই আমার অদ্ভুৎ অনুভূতি হয়।অদ্ভুৎ ভালোলাগা কাজ করে।ওর মুখ দেখলে আমি সব ভুলে যাই।কি আছে ওর মাঝে?
তবে কি জানিস ও খুব ভীতু।ভূতে প্রচুর ভয় পায়।আমি ওকে বিয়ে করে প্রতিদিন ভূতের ভয় দেখাবো।কেমন হবে বলতো?ভালো হবে তাইনা?

এঞ্জেল আরহানের দিকে চেয়ে আছে।অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
এঞ্জেলের সাথে কথা বলতে বলতে কখন এতো রাত হয়ে গেছে খেয়ালই নেই।

আরহান ঘড়ি দেখে বলল,
—–এরে…১২টা বেজে গেছে।মম নিশ্চয়ই চিন্তা করছে আমার জন্য।এঞ্জেল তুই ঘুমা আমি যাই।গুড নাইট।

আরহান তাড়াতাড়ি দৌড়ে বাড়ির ভিতরে গেলো।ওর মম ডাইনিং টেবিলের উপর মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে।

আরহান মুচকি হেসে বললো,
—–মম ঘুমিয়ে গেছে।নিশ্চয়ই আমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে গেছে।সরি মম।

আরহান ওর মমের দিকে এগুতেই হটাৎ করে ঝন করে শব্দ হলো।ডাইনিং টেবিলের উপরের ঝাড়বাতি নড়ছে।আরহানের চোখ সেখানে আটকে গেছে।
ঝাড়বাতি নড়তে নড়তে পড়ে যাচ্ছে।আরহানের কলিজা কেপে উঠলো।ওর মম ঝাড়বাতির নিচে।

আরহান আতংকিত হয়ে বললো,
—–নো…
বলেই নিজের অজান্তেই ঝাড়বাতির দিকে হাত বাড়ালো।ওর হাত থেকে কিছু একটা নির্গত হলো যার ফলে ওর শরীর কাপছে।
ঝাড়বাতি জায়গায় গিয়ে সেট হয়ে গেলো।আরহান অবাক হয়ে দেখছে।কিভাবে কি হলো?ঝাড়বাতি পড়লো না কেন?ও কিভাবে আটকে দিলো?
ওর সারা শরীর রীতিমতো কাপছে।মাথা ফাকা ফাঁকা লাগছে।কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছেনা।
প্রথমত ওর মম একটা দূর্ঘটনার মধ্যে পড়ছিলো অন্যদিকে ম্যাজিক।ও ম্যাজিক করেছে।
আরহান জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।ঘেমে গেছে।মুখের ঘাম মুছে ভাবছে,
—–কি হচ্ছে আমি কি ম্যাজিক জানি?কিসের শক্তি এগুলো? আর মমের সাথে কি হচ্ছিলো?এটা কি এক্সিডেন্ট না অন্যকিছু?

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে