#pyar_tho_hona_hi_tha❤
লেখা- পূজা
পর্ব-৯
।
।
৩দিন পর,,
এই ৩দিন খুব ভালোভাবেই কেটেছে নিলয় আর আরশির। আরশি নিলয়ের সাথে ভালো ব্যবহার করেছে। রাতে মাঝখানে বালিশ দিয়ে ঘুমিয়েছে। কখনো বালিশ পাস করেনি আরশি বা নিলয়। আরশির একা বাসায় ভালো লাগতো না। তাই এই কিছুদিন নিলয় অফিসে যাওয়ার সময় আরশিকে ওর কাকুর বাসায় দিয়ে চলে যেতো অফিসে। আর বিকেলে ফিরার সময় নিয়ে বাসায় যেতো। নিলি ভার্সিটি থেকে ১টায় বাসায় ফিরতো আর আরশির সাথে সারা বিকেল গল্প করে কাটিয়ে দিতো।
আজ নিলি পিকনিকে চলে যাবে ১সপ্তাহের জন্য। তাই আরশি আর ঐ বাসায় যাবে না। নিলি না থাকলে একা বোর হবে।
নিলি মিষ্টি আর গোল্ডেন কালার কম্বিনেশনের ড্রেস পরে। কপালে চোখ একটা কালো টিপ চোখে হালকা কাজল আর ঠোটে হালকা লিপষ্টিক আর চুল ছেড়ে দিয়ে রেডি হয়ে সকাল ৯টায় চলে যায় ভার্সিটিতে। গেইটের কাছে আসতেই দেখতে পেলো তৃনা আর রাহুল দারিয়ে আছে। নিলি গাড়ি থেকে নেমে ওদের সামনে গিয়ে দারালো। রাহুল আর তৃনা হা করে নিলির দিকে তাকিয়ে আছে। নিলি ওর ব্যাগটা রাহুলের হাতে দিলো।
নিলিঃউয়াট হ্যাপেন্ড গাইজ? তরা এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?
তৃনাঃদোস্ত তকে যা লাগছে না। আমি তো বড়সরো একটা ক্রাস খেয়েছি। কেনো যে ছেলে হলাম না।
নিলিঃ😐পাম দেওয়া শেষ হলে এবার চল।
রাহুলঃসিরিয়াসলি নিলি। ইউ লুকিং সো প্রিটি।
নিলিঃথ্যাংকস। এবার চল।
ওরা ৩জন ভেতরে গিয়ে ডুকলো। তীব্র খুব বিজি আছে। নিলিকে দেখার এখন ওর টাইম নেই। সবাই আস্তে আস্তে গাড়িতে উঠে বসছে। নিলিদের গাড়িতে তানভীর আর তীব্র থাকবে। তানভীর লিস্ট এর সাথে মিলিয়ে সবাইকে গাড়িতে তুলছে। তৃনা আর নিলি ও গাড়িতে উঠলো। তৃনা সামনে আর নিলি আরো ২/3 সিট পেছনে।
তৃনাঃধুর এটা কি হলো। তুই আর আমি আলাদা।
নিলিঃ😐ভালো হয়েছে?
নিলি গিয়ে ওর সিটে বসে পরলো। জানালার কাছেই ওর সিট। তৃনা ও মুখ গোমরা করে বসলো। কিছুক্ষণ পর তানভীর আর তীব্রও গাড়িতে উঠলো। তানভীর তৃনার পাশে। আর তীব্র গেলো নিলির কাছে। নিলি জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে। তখনি এসে তীব্র ওর পাশে ধপ করে বসে পরলো।
নিলির রাগ উঠে গেলো। একটু আস্তে বসলে কি হতো। তাই রেগে বললো,”কোন আটার বস্তা রে।”
সাইডে তাকিয়ে দেখে তীব্র। অবাক হয়ে বললো,”আপনি!”
তীব্রঃকেনো অন্য কাউকে এক্সপেক্ট করেছিলে।
নিলিঃ😐না।
তীব্রঃতাহলে আবার প্রশ্ন করছো কেনো? এটাই আমার সিট।
নিলিঃ🤠
তীব্র এবার নিলিকে ভালো করে দেখছে। টিপ কাজল হালকা লিপস্টিক আর খোলা চুলে দারুন লাগছে। তীব্র নিলিকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখছে।
নিলি উরনা ভালোভাবে গায়ে জরিয়ে দিয়ে বললো,”😡লুচু ছেলে।”
তীব্র হাসি চাপিয়ে রেখে বললো,”আমি ওইভাবে দেখি নি। বাট ইউ লুকিং সো হট।”
নিলি চোখ বড় বড় করে তীব্রর দিকে তাকালো।”অসভ্য”
তীব্র নিলির কানে ফিসফিসিয়ে বললো,”অসভ্যতামি তো কিছুই করলাম না। আর অসভ্য বলছো। করবো নাকি? করেই না হয় অসভ্য হই।”
নিলিঃআপানাকে আমি……
তীব্রঃআদর করবে😜
নিলিঃ😡আমি বাসায় যাবো।
তীব্রঃযাও। আমি কি ধরে রেখেছি😉।
নিলিঃ😡আপনি একদম আমার সাথে কথা বলবেন না।
তীব্রঃকেনো?
নিলিঃআমি না বলেছি তাই। নয়ত আমি সিট চেন্জ করবো।
তীব্রঃপারবে না। সব সিটে নাম লিখে রাখছি। যে সিট এক্সচেন্জ করবে তাকে গাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হবে।
নিলিঃ😐
গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। নিলি কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখে যাতে তীব্রর বকবক নিলির কান পর্যন্ত পৌছতে না পারে। নিলি চোখ বন্ধ করে আছে আর তীব্র নিলির দিকে তাকিয়ে আছে। গাড়িতে গান বাজছে। ছেলেরা উরাধুরা ডান্স করছে গান গাইছে। হঠাৎ মাউস নিয়ে তানভীর বললো,”এখন আমাদের গান গেয়ে শুনাবেন আমাদের সবার প্রিয় এন্ড মাই বেস্ট ফ্রেন্ড তীব্র।”
তানভীর সিটে হেলান দিয়ে দারিয়ে বললো। তৃনার বেশ অস্বস্থি হচ্ছে এভাবে তানভীরের দারানোতে। তীব্র রাগি চোখে তানভীরের দিকে তাকালো। সবাই একসাথে চিল্লিয়ে বললো,”তীব্রভাইয়া গান গাইতে পারে।”
তানভীরঃপারে মানে। তীব্রর ড্রিম ও সিংগার হবে। আর কন্ঠ ও দারুন। ঢাকার বাইরে অনেক কন্সার্টও করেছে।
আবার সবাই একসাথে বললো,”আমরা এতদিনে ও এটা জানতে পারলাম না। ভাইয়া এবার আমাদের গান গেয়ে শুনাও।”
তীব্রঃএখন না প্লিজ। সিলেট গিয়ে শুনাবো।
সবাইঃনা না এখন। সিলেট গিয়ে তো শুনাবেই। এখন ও শুনাতে হবে।
তীব্রঃগিটার তো বাসের ছাদে।
তানভীরঃআমি ছাদ থেকে এনেছি।
তানভীর বাসের উপরে জিনিস রাখার তাক থেকে গিটারটা বের করলো।
তানভীরঃএই নে।
তানভীর গিটারটা তীব্রর হাতে হ্যান্ডওবার করে দিলো। তীব্র তাকিয়ে দেখে নিলি হা করে তীব্রর দিকে তাকিয়ে আছে। তীব্রর তাকানো দেখে নিলি ওর চোখ সরিয়ে নিলো। নিলি জানতো না তীব্র গান পারে। তীব্র মুচকি হেসে গিটার বাজানো শুরু করলো।
🎶
“চলদিয়া,,
দিল তেরে পিছে পিছে,,
দেখতে,, মে রে গেয়া,,
কুচ তো হেহ,,
তেরে মেরে দারমিয়া।”
🎵
“জো আনকাহা সা,, রে গেয়া,,
মে জো কাবি কেহ না চাখা,,
আজ কে তা হু পেহলি দাপা।”
🎵
“দিল মে হো তুম,,আকমে তুম,,
পেহলি নজর সে হি য়ারা।”(২)
🎵
“হে ইস্ক কি হে সাজিসে,,
লো আআ মিলে হাম দুবারা।”
🎵
“দিল মে হো তুম,,আকমে তুম,,
পেহলি নজর সে হি য়ারা।(২)”
🎵
“সারপিরা সে মে মুসাফির,,
পাও কেহিন টেয়রে না মেরে,,
পির মেরি আওয়ারগি কোওও,,
আনে লাগা কাব তেরা।”(২)
🎵
“হেহ পিয়ার বি কেহা কেদ হে,,
কই হোনা না ছাকে রিহা,,
দিল মে হো তুম আকমে……হাম দুবারা।
দিল মে হো তুম……য়ারা”
🎵
“তেরে বিন জিয়া সারে মোসম,,
বেরং থে বে মোজা থে,,
শামিল নাহি থি তু জিনমে,,
হেও সারি পাল বেবাজা থি,,
হেও জিনদেগি হে হি নেহি,,
যো মে তেরে বিনা জিলিয়া।”
🎵
“দিল মে হো তুম,, আকমে তুম…..
ওও হে ইস্ক কি হে সাজিসে…..
দিল মে হো তুম,, আকমে তুম…..।”
🎶
তীব্র চোখ বন্ধ করে গানটা গেয়ে শেষ করলো। নিলি হা করে তীব্রর দিকে তাকিয়ে ছিলো। তীব্র এত সুন্দর গান গাইতে পারে এটা নিলি ভাবে ও নি। তীব্র গান শেষ করে চোখ খুলে তাকালো। সবাই একটা জোরে হাতে তালি দিলো।
সবাইঃওয়াও ভাইয়া তোমার কন্ঠ এতো মিষ্টি জানতামই না। তা গানটা কি কাউকে ডেডিকেট করে গেয়েছো😜।
সবার কথা শুনে তীব্র নিলির দিকে তাকালো নিলি চোখ সরিয়ে নিলি। তীব্র সবার দিকে তাকিয়ে শুধু একটা মিষ্টি হাসি দিলো। আর নিলির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,”অনলি ফর ইউ।”
নিলি চমকে তীব্রর দিকে তাকালো তীব্র একটা চোখ টিপ দিলো। তারপর তীব্র গিটারটা উপরে রাখলো। আর নিলিকে বললো,”গানটা কেমন হলো তুমি বললে না তো।”
নিলিঃভালো।
তীব্রঃশুধু ভালো।
নিলি কিছু বললো না। তীব্রর থেকে চোখ সরিয়ে নিলো।
তীব্রঃএকটা কথা বলবো।
নিলিঃবলুন।
তীব্রঃমা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
নিলি আবার চমকে উঠে তীব্রর দিকে তাকালো। তীব্র অসহায় ভাবে নিলির দিকে তাকিয়ে আছে।
নিলিঃমানে?
তীব্রঃবাবার ফ্রেন্ড এর মেয়ে আমাকে খুব ভালোবাসে। ওর বাবা ইউএস চলে যাবেন। উনি চেয়েছিলেন নেহা মানে উনার মেয়েকে সাথে নিয়ে যেথে। বাট নেহা বলেছে আমাকে ছেড়ে যাবে না। তাই উনারা চাচ্ছেন নেহার বিয়ে আমার সাথে দিয়ে নেহার বাবা ইউএস যেথে। মেয়েকে একা রেখে উনি কিভাবে এখান থেকে যাবেন। আর উনি কবে ফিরবেন ঠিক নেই। তাই……
তীব্রর এই কথা শুনে কেনো জানি নিলির খুব কষ্ট হচ্ছে খারাপ লাগছে। কেনো বুঝতে পারছে না। চোখে পানি চলে এসেছে। তীব্রর দেখার আগেই নিলি ওর চোখের পানি মুছে ফেললো।
নিলিঃওহ। ভালো তাহলে বিয়ে করে নিন।
তীব্রঃআমি তোমায় ভালোবাসি নিলি। কেনো এরকম করছো? তোমাকে প্রথম যেদিন দেখি সেদিনই ভালো লেগে যায়। বাট তখন এতটা ইমপর্টেন্স দেই না। কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝতে পারি ভালোবেসে ফেলেছি। তারপর তোমাকে ডিরেক্ট প্রোপোজ করে দেই। বাট তুমি কিছু না বলেই চলে যাও। তখন তোমার ভাই নির……
নিলিঃআমি এই সব লাইক করি না। তাই প্লিজ…….আর আমি আপনাকে ভালো ও বাসি না।
তীব্রঃনিলি আমি তোমার সাথে মজা করার জন্য প্রোপোজ করি নি। তোমার যদি এসব ভালো না লাগে আমাকে ডিরেক্ট বলতে পারতে। প্রয়োজনে আমি তোমার জন্য ওয়েট করবো। আমি তোমাকে বিয়ে করে সারাজীবন আমার কাছে রাখতে চাই। প্রেম করতে চাই নি। তোমার ভাই মা বাবার কাছে তোমার হাত চাইবো।
শুধু এটা কখনো বলো না তুমি ভালো বাসো না। আই নোউ ইউ লাভস মি!
নিলি কিছু বললো না। মাথা নিচু করে ফেললো। তীব্র আবার বললো,”আমার দিকে তাকাও নিলি।”
নিলি তাকালো না। তীব্র নিলির গালে হাত রেখে মুখ উপরে তুললো। তীব্রর হাতের স্পর্শে হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে নিলির।
তীব্রঃকখনো কোনো মেয়েকে তোমার মতো ভালো লাগেনি। জানি না তোমার মধ্যে কি আছে যা আমাকে এতটা টানে। তোমাকে দেখলে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে।
নিলি কাপা কাপা গলায় বললো,”প্লিজ আপনার হাতটা সরান।”
তীব্র হাত সরিয়ে দিলো। নিলি জানালার দিকে মুখ করে বসে পরলো। ওর অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে আজ। ভালো আর খারাপের মিশ্রন। বুঝতে পারছে না এটা কি?
এদিকে,,
তানভীর সিট থেকে উঠে গান চেন্জ করতে গিয়েছিলো। তারপর সিটে হাত রেখে দারিয়ে শিহাব এর সাথে কথা বলছে। ভুল করে তানভীরের একটা ফিঙ্গার তৃনার গাল স্পর্শ করে ফেলে। তৃনা ৪৪০বোল্ট এর একটা ঝটকা খায়। তৃনার লাফিয়ে উঠা দেখে তানভীর ভয় পেয়ে যায়। তানভীর সিটে বসে তৃনাকে বললো,”কি হয়েছে?”
তৃনা যেখানে তানভীরের ফিঙ্গার স্পর্শ করেছিলো সেখান ধরে বসে আছে চোখ বড় বড় করে। তানভীর বুঝতে পারছে না কি হয়েছে ওর।
তানভীরঃআরে বলবে তো কি হয়েছে?
তৃনাঃকিছু না। পাপাপানি।
তানভীরঃপানি খাবে?
তৃনাঃহুম।
তানভীর ব্যাগ থেকে বোতল বের করে তৃনার হাতে দিলো। তৃনা ডকডক করে পানি খেয়ে ফেললো। ঘামছে ও।
তানভীরঃগরম লাগছে।
তৃনাঃহু।
তানভীর তৃনাকে পাস করে জানালা খুলে দিলো। তৃনা সিটে হেলান দিয়ে দিলো। জানালা দিয়ে বাতাস আসছে। আর তৃনার কিছু ছোট ছোট চুল উরছে। এই মোমেন্টটা তানভীরের কাছে খুব ভালোলাগছে। অজান্তেই তানভীরের হাত চলে গেলো তৃনার উড়ে যাওয়া চুলে। এবার তানভীরের হাত তৃনার কান স্পর্শ করেছে। তৃনা তো বরফ হয়ে গেছে। ও চোখ বন্ধ করে বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে। শিহাবের ডাকে তানভীরের হুশ এলো। ও হাত সরিয়ে নিলো।
তানভীরঃসরি!
তৃনা কিছু বললো না। তানভীরের থেকে একটু সরে জানালার পাশে ঘেসে বসলো।
আরশির একা একা বাসায় ভালো লাগছে না। ওর বেস্ট ফ্রেন্ড সিথির কথা খুব মনে পরছে। সিথি তো এখন বর নিয়ে হানিমুন এ গেছে। আরশি সময় কাটানোর জন্য রুম ঘুছানোর কথা ভাবলো।
সারা রুম গুছিয়ে এবার ঘড় ঝাড়ু দেবে। ঝাড়ু নিয়ে এসে ঝাড়ু দেওয়া শুরু করলো। বিছানার নিচ ঝাড়ু দেওয়ার সাথে সাথ বিছানার নিচ থেকে একটা খাম বেরিয়ে আসলো।
আরশিঃএটা তো সেই খাম। ভেতরে কি আছে দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম।
আরশি খামটা বিছানায় রেখে রুমটা ঝাড়ু দিয়ে হাত ধুয়ে আসলো। তারপর খামটা হাতে তুললো। খামটা চিরতে যাবে তখনি নিলয় এর ফোন আসে। আরশি খাম হাতে নিয়েই কল রিসিভ করলো।
আরশিঃহ্যালো।
নিলয়ঃএখনো ব্রেকফাস্ট করো নি কেনো? আমি যাওয়ার সময় বলেছিলে কিছুক্ষণ পর খেয়ে নেবে। তাহলে এখনো…….
আরশিঃআপনি কি করে জানলেন খাই নি?
নিলয়ঃচাচা ফোন দিয়ে বলেছেন। জলদি খেয়ে নাও।
আরশিঃওকে।
নিলয়ঃবাই।
আরশি ফোন কেটে খাম আর ফোনটা বিছানায় রেখে নিচে গেলো। গিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলো। দুপুর ১২টায় ব্রেকফাস্ট। তারপর রুমে এসে শাওয়ার নিয়ে নিলো। নিয়ে ছাদে গেলো।
নিলির একটাই প্রবলেম গাড়িতে উঠলেই ঘুম চলে আসে। রাত হোক বা দিন। জানালায় মাথা রেখেই ও ঘুমিয়ে পরে। তীব্র নিলির মাথাটা নিজের কাধে রাখে। পাশ থেকে অনিক বলে উঠলো,”চালিয়ে যা দোস্ত😜।”
তীব্রঃএদিকে নজর না দিয়ে তুই তর কাজ কর।
অনিকঃসেটাই করছি।
নিলি ঘুমের মধ্যেই তীব্রর বুকে মাথা রেখে তীব্রকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরে। তীব্রর মনে হচ্ছে ও আকাশে উড়ছে। মেঘ না চাইতেই জল। তীব্র নিলির কপালে আলতো করে ওর ঠোট ছোয়ালো।
তীব্রঃআই প্রমিস নিলি ২দিনের ভেতরই তুমি বলবে তুমি ও আমায় ভালোবাসি। বলাতে না পারলে আমার এই ফেইস তোমাকে দেখাবো না।
।
।
চলবে?🙄