Love Marriage
মুমতাহিনা জান্নাত মৌ
পর্ব ০৮
দিশা ছিলো খুব চঞ্চল,রাগী এবং অভিমানী মেয়ে।
তবে ইশান কে অনেক ভালোবাসতো।
আর অন্যদিকে ইশান হলো দিশার রাগ ভাঙ্গানোর কারিগর।
কারন দিশা জানে ইশান তার মন ভালো করার জন্য যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।
এইজন্য একটুতেই অভিমান করতো।
আবার ইশানের সামান্য বকাতেই কেঁদে ফেলতো সে।
একবার দিশা ইশানের সাথেও ফাজলামি করেছিলো।
সে কলেজের একটা মেয়েকে বলেছিলো যে ইশান তাকে ভালোবাসে।
আর সে যেনো ইশানের আগেই তাকে প্রপোজ করে।
এ ব্যাপারে সে নিজে সাহায্য করবে।
মেয়েটি সেই কথা শুনে সবার সামনে ইশান কে প্রপোজ করেছিলো।
মেয়েটা আবার কলেজের প্রফেসরের মেয়ে ছিলো।
ইশান যখন তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো মেয়েটা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইশান কে মার খেয়ে নেয়।
তখন ইশান দিশা কে ইচ্ছামতো বকেছিলো।
দিশা সেইজন্য তার ফোন ভেঙে ফেলে।
আর ইশানের সাথে যোগাযোগ অফ করে দিয়েছিলো।
সেবার অনেক কাহিনি করে দিশার রাগ ভাঙ্গিয়েছে সে।
আবার একবার দিশা ইশানের সাথে রাগ করে এক ছেলের সাথে মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করেছিলো।
যাতে ইশান জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কিন্তু শেষে ছেলেটি সত্যি সত্যি তাকে ভালোবেসে ফেলে।
দিশা কে পাওয়ার জন্য সে পাগল হয়ে যায়।
শেষে গুন্ডা লাগিয়ে দেয় দিশাকে উঠে আনার জন্য।
তখন সবাই ভয়ের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলো।
শেষে দিশার সাথে দুইজন পুলিশ ছদ্মবেশে পাহারায় রাখা হয়েছিলো।
এইভাবে যেই তারা দিশাকে তুলে নিয়ে যেতে ধরে তখন পুলিশ তাদের ধরে ফেলে।
তখন ইশান দিশা কে কয়েক টা চড় মেরেছিলো।
আর যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিয়েছিলো।
কিন্তু দিশা ইশান কে পাগলের মতো ভালোবাসতো।
এদিকে ইশান ও তার কোন খোঁজখবর নিচ্ছিলো না।
সেই দুঃখে সে আত্নহত্যা করতে ধরে।
কারন দিশা খুবই ইমোশনাল একটা মেয়ে।
সে যখন ভালো তখন খুব ভালো।
কিন্তু রেগে গেলে আর রেহাই নেই।
এইরকম আরো অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে দিশা।
যার জ্বলন্ত প্রমান ইশান নিজেই।
ইশান আর রাগ করে থাকতে পারলো না।
সে দিশাকে ফোন দিলো।
কিন্তু দিশার ফোন অফ ছিলো।
ইশান এবার তার শশুড় কে ফোন দিলো।
তিনি জানালেন বাহিরে আছেন।
ইশান এবার তার শাশুড়ী কে ফোন দিলেন।
তার শাশুড়ী জানালো দিশা কাল থেকে কিছু খাচ্ছে না।
ওর নাকি শরীর খারাপ।
আমি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চাইলাম তখন বললো ডাক্তারের কাছে যাওয়ার মতো অসুখ নয়।
কিন্তু আজ সকাল থেকে একবার ও বাহিরে বের হয় নি।
ইশানঃকি বলছেন মা?
ওকে ডাকেন নি?
–ডেকেছি অনেকবার।
কিন্তু খুলছে না।
ইশান আর এক মুহুর্ত ও দেরী করলো না।
সে সকাল বেলায় দিশার বাড়ির দিকে রওনা দিলো।
টেনশনে তার কিছু ভালোও লাগছে না।
এদিকে তাদের বাড়িও বের হচ্ছে না।
ইশানের মনে হচ্ছে গাড়ি টা খুব ধীরে ধীরে যাচ্ছে।
সেজন্য সে ড্রাইভার কে বললো ভাই একটু দ্রুত চালান না?
ড্রাইভার বললো দ্রুতই তো চলছে।
ইশানের অস্থিরতা বেড়ে গেলো।
এই মেয়েটা সারাজীবন তাকে এইরকম টেনশনের মধ্যেই রাখে।
তাকে একটু ও শাসন করা যায় না।
যদি শাসন করা হয় তাহলে তো তার রাগ ভাঙ্গাতে জীবন টাই শেষ।
অনেক অপেক্ষার পর ইশান দিশার বাড়ি পৌঁছলো।
ইশান কে দেখে দিশার মা এগিয়ে এলো।
বাবা তুমি?
তখন তো বললে না আসবে?
ইশান তার শাশুড়ীর প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করলো দিশা কই?
তার শাশুড়ী বললো এতোক্ষনে দরজা খুললো।
মনে হয় ফ্রেশ হচ্ছে।।
তুমি ঘরে গিয়ে বসো।
ইশান দিশার রুমে গিয়ে বসলো।
কিন্তু দিশা এখনো আসতেছে না কেনো?
তাকে একটিবার দেখার জন্য সে পাগল হয়ে আছে।
ইশান রুমের মধ্যে পায়চারি করতে লাগলো।
হঠাৎ দিশা বাথরুম থেকে বের হলো।
কিন্তু দিশা ইশান কে দেখেই দিলো এক দৌঁড়।
ইশান চিল্লাতে লাগলো কই যাচ্ছো?
এই শোনো?
দিশা প্লিজ এরকম করো না?
দিশা?????
দিশা তার মায়ের কাছে গেলো।
তার মা বললো তুই এখানে কেনো?
জামাই এসেছে দেখিস নি?
দিশা বললো এসেছে তো কি হইছে?
দিশার মা দিশার উপর খুব রাগ হলো।
আর বললো জামাই এর কাছে যা।
দিশা রাগ করে অন্য রুমে চলে গেলো।
ইশান তার শাশুড়ী কে জিজ্ঞেস করলো দিশা কই গেলো মা?
তার শাশুড়ী বললো এখানেই তো ছিলো।
ইশানের খুব রাগ হতে লাগলো।
সে শুধু ভাবতেছে একবার শুধু দেখা পাই।
ফাজলামি শিখে দেবো।
ইশানের শাশুড়ী জামাই কে খেতে দিলো।
ইশান বললো মা এখন আমি কিছুই খাবো না।
আর দিশা কে একটু ডাকুন।
বেশি দেরী করবো না আমি।
ওকে নিতে এসেছি।
দিশার মা খুবই রেগে গেলো।
দিশা এরকম ব্যবহার কেনো করছে?
তিনি দিশাকে ডাকতে লাগলেন।
আর বললেন তাড়াতাড়ি বের হ।
ইশান নিতে এসেছে তোকে।
দিশা ঘরের ভিতর থেকে উত্তর দিলো সে যাবে না।
দিশার মা বললো তুই যদি এখন দরজা না খুলছিস তাহলে কিন্তু দরজা একেবারে ভেঙ্গে ফেলবো।
আর তোর বেয়াদবি শিখে দেবো।
খোল বলছি।
দিশা বললো আগে ওকে চলে যেতে বলো।
ও চলে না গেলে আমি কিছুতেই বের হবো না।
কারন আমি ওর সাথে কোন কথা বলতে চাই না।
ওর মুখ ও দেখতে চাই না।
আমি আর যাবো না ও বাড়িতে।
দিশার মা ইশান কে বললো বাবা দেখো তো দরজা টা ভাঙ্গা যায় কিনা?
আজকে ওর একদিন কি আমার একদিন।
বেশি আদর করে করে মাথায় উঠে গেছে।
ইশান বললো মা ওকে আর কিছু বলেন না।
আমি চলে যাচ্ছি।
ও না যেতে চাইলে আর কি করার আছে?
আমার খুব ভয় হচ্ছিলো।
তাই ছুটে এলাম।
দিশার মা এবার ভালো করে বললো দিশা বের হয়ে আয় বলছি।
কিছুই বলবো না।
এরকম করতিছিস কেনো?
দিশা বললো আমি কিন্তু ওর সাথে যাবো না।
দিশার মা বললো ঠিক আছে।
দিশা দরজা খুলে দিলো।
কিন্তু দরজা খোলার সাথে সাথেই দিশার মা দিশার দুই গালে ইচ্ছামতো চড় মারতে লাগলো।
ফাজলামি করিস?
এতো বেয়াদব তুই কেমনে হইলি?
ইশান তার শাশুড়ী কে আটকালো।
মা কি করছেন?
ব্যাথা পাচ্ছে তো।
দিশার মা ইশান কে বললো বাবা তুমি আজ একটা কথাও বলো না।
তোমার জন্য সে আজ এমন হয়েছে।
প্রথম থেকে যদি ওকে শাসনে রাখতে সে কিছুতেই এমন করতে পারতো না।
এই বলে আবার চড় দিলো।
ইশান তার শাশুড়ী কে থামালো।
কিন্তু আজ দিশার মায়ের অনেক বেশি রাগ হচ্ছিলো।
মেয়ে মানুষের এতো জিদ হবে কেনো?
এই বলে দিশার চুলের মুটি ধরলো।
ইশান দিশাকে এক ঝটকায় তার মায়ের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিলো।
আর শক্ত করে বুকে জড়িয়ে ধরলো।
মা আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন?
খবরদার ওর গায়ে আর হাত দিবেন না।
অন্তত আমার চোখের সামনে না।
আমার চোখের আড়ালে আপনার মেয়ের সাথে যা ইচ্ছা করতে পারেন।
আমার চোখের সামনে কেউ ওকে মারবে এটা আমি কিছুতেই সহ্য করবো না।
তারপর ইশান তার চুল গুলো ঠিক করে দিলো।
তার গাল বোলাতে লাগলো।
তার শাশুড়ী না থাকলে হয় তো গাল দুটোই একটু আদর করে দিতো।
দিশা ইশান কে ঝাটকা দিয়ে ফেলে দিলো।
তুমি ধরছো কেনো আমাকে?
আজাইরা দরদ দেখাতে আসছে।
আমাকে মারুক,কাটুক তোমার কি তাতে?
তুমি কি জন্য এসেছো এখানে?
চলে যাও।
আজ তোমার জন্য মা আমাকে মারলো।
এই বলে আবার জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো।
তারপর তার রুমে চলে গেলো।
ইশান দিশার পিছু পিছু গেলো।
দিশা বিছানায় শুয়ে কাঁদতেই আছে কাঁদতেই আছে।
ইশান গিয়ে দিশা কে জড়িয়ে ধরলো।
দিশা কাঁদতে কাঁদতে বললো কেনো এমন করতেছো তুমি?
আমাকে কেনো এতো কষ্ট দিচ্ছো?
আমি বললাম তো আমাকে ভালো লাগছে না তবুও বার বার কেনো যেতে বলছো?
ইশান বললো আমি কষ্ট দিচ্ছি?
না তুমি আমার উপর মানসিক আঘাত করছো?
তুমি তো জানো আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্ত ও থাকতে পারি না।
তবুও বার বার কেনো দূরে ঠেলে দিচ্ছো?
দিশা কোন উত্তর দিলো না।
ইশান দিশাকে তার পাশ করলো।
কিন্তু দিশা আবার অন্যপাশ হলো।
তাই আর তাকে বিরক্ত করলো না।
দিশাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকলো।
ইশান দিশা কে বললো যাবে না আমার সাথে?
দিশাঃনা।
ইশানঃকেনো?
দিশাঃএমনি।
ইশানঃতাহলে কবে যাবে সেটা বলো।
আমি সেই দিন তাহলে নিতে আসবো।
দিশাঃআমি কোন দিনই আর যাবো না।
আমি আজ থেকে তোমার সাথে ব্রেকাপ করলাম।
এই বলে সে ইশান কে সরিয়ে দিলো।
ইশান হাসতে লাগলো।
আমরা কি এখনো বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড আছি?
তাই ব্রেকাপ করে দিচ্ছো?
দিশা বললো তাহলে যেটা করলে তোমার মুখ আর দেখতে হবে না।
তোমার বাড়ি আর যেতে হবে না।
আর তুমি জোর করে আমাকে ধরতে পারবে না সেটা করবো।
ইশান দিশার মুখে হাত দিলো কি বলছো এসব?
এসব কথা বলা ঠিক না?
ঠিক আছে তুমি যদি আমাকে ছাড়া ভালো থাকো তাহলে আর আসবো না তোমার কাছে।
তবে এসব আজেবাজে কথা কখনোই বলবে না।
কারন আমাদের মাঝে ঝগড়া হবে,
রাগ থাকবে,
অভিমান থাকবে,
দূরত্বও থাকবে,
কিন্তু কেউ কাউকে ছেড়ে যাওয়ার কথা জীবনেও ভাববো না।
আমাকে যখন একটুও সহ্য হচ্ছে না তাহলে আমি আর আসবো না।
তোমার যেদিন ইচ্ছা করবে সেইদিন যেও।
–কোনদিনও আর ইচ্ছে করবে না।
ইশান আর কোন কথা বললো না।
সে দিশাকে জোর করেই জড়িয়ে ধরলো।
আর বললো এতো রাগ কই থেকে আসে?
রাগ টা একটু কম করা যায় না?
–ছাড়ো আমাকে।
আর আমার রাগ কখনোই কমবে না।
–তাই?
চ্যালেঞ্জ করছো?
–কিসের আবার চ্যালেঞ্জ?
ইশান দিশাকে বললো আমার চোখের দিকে তাকাও।
আর বলো আমি চলে গেলে তুমি খুব খুশি হবে।
তাহলে সত্যি বলছি আর আসবো না কখনো?
–বলবো না?
–আজ বলতেই হবে তোমাকে।
দিশা উঠে যেতে ধরলো।
ইশান তাকে আবার টেনে আনলো কাছে।
–আবার ধরছো কেনো?
তুমি আর আমাকে ধরতে পারবে না।
আমি তোমাকে আর ধরতে দেবো না।
ইশান ছেড়ে দিলো দিশাকে।
ঠিক আছে।
No ধরাধরি।
No ছাড়াছাড়ি।
Only going বাড়ি।
এখন একটু রেডি হও দেখি।
তাড়াতাড়ি চড়তে হবে গাড়ি।
বউ যাবে তার শশুড় বাড়ি।
So no কান্দাকান্দি।
Only ভালোবাসাবাসি।
আর,,,,,,,
বাকি টা গিয়ে বলবো বাড়ি।
এখন রেডি হও তাড়াতাড়ি।
করো না আর আড়ি।
আমি যে তোমায় বড্ড ভালোবাসি।
তোমার মা যে তোমাকে মারলো তার জন্য very very sorry.
Love you আমার জান পাখি।
এখন কি তোমাকে একটু ধরতে পারি?
দিশা সেই কথা শুনে হাসতে লাগলো।
এসব কি বলছো তুমি?
পাগল হয়েছো নাকি?
–আরো বলবো?
–না।
দরকার নাই।
আমি এখন রেডি হতে যাচ্ছি।
–এতো তাড়াতাড়ি রাগ কমে গেলো?
–একটুও কমে নি।
আর আমি রাগ করেই তোমাদের বাড়ি যাচ্ছি।
কারন মা আমাকে কেনো এতো গুলো কেনো মারলো?
কি কারনে মারলো?
তাই আমি ঠিক করেছি আর এ বাড়িতে আসবো না।
ইশান দিশাকে আবার জড়িয়ে ধরলো আর বললো মা কে যেনো এসব কথা বলো না।
অনেক কষ্ট পাবে।
তাছাড়া তুমি যা শুরু করেছিলে আমার ই তো চড় দিতে ইচ্ছে করছিলো।
–মারো।
এখন মারো।
এই বলে ইশানের হাত দুটি ধরে তার গালে চড় দিতে লাগলো।
–কি করছো?
আমার বউ কি পিটন খাওয়ার জন্য নাকি?
শুধু আদর আর ভালোবাসার জন্য।
আর কিছু না।
এরপর থেকে যে পিটন দিবে আমি তার উপর অনেক রেগে যাবো।
ঠিক আছে?
দিশার রাগ কিছুটা কমেছে।
ইশান দিশার কপালে একটা কিস করলো।
আর বললো তুমি বড়দের মুখে মুখে যে তর্ক করো তার কি হবে?
বড়রা কোন কথা বললে চুপ করে শুনবে।
যদি চুপ করে থাকতে না পারো ঘরে এসে সেগুলো আমাকে বলবে।
যা মন চায়।
কিন্তু আর যেনো আমার বাবা মা বোন এবং তোমার ফ্যামিলির ও কারো সাথে তর্ক করতে না দেখি।
দিশা চুপ করে থাকলো।
–কি হলো?
কিছু তো বলো?
–আমি কিছু বললেই সেটা অপরাধ হয়ে যায়।
তাই আজ থেকে কোন কথা বলবো না।
কারো সাথেই না।
–এটাও একটা বেয়াদবি।
কথা বলবে না কেনো?
কথা না বললে তখন সবাই বলবে মেয়েটা খুব অহংকারী।
ভাব নিয়ে চলে।
–তুমি কি আমাকে এসব উপদেশ দেওয়ার জন্য এসেছো?
–না তো।
বউ টাকে একটু দেখার জন্য এসেছি।
এই বলে দিশাকে আদর করতে লাগলো।
–আবার?
বারন করলাম যে?
ইশান হাসতে লাগলো আর বললো মন থেকে বলছো?
–তো?
–মুখ ফুটে বললেই তো হয় জোর করেই আদর করো।
–মানে?
–এখন একটু চুপ করবে তুমি?
সবসময় ডিস্টার্ব করো।
দিশা এবার নিজেই ইশান কে কিস করলো।
আর বললো আমার ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছো তুমি?
–না।
তবে মায়ের সাথে যা করেছো তার জন্য এখনো রাগ হচ্ছে।
–,বাড়ি গিয়ে মার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো।
তাহলে কি রাগ কমবে তোমার?
–একটু কমবে।
তবে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না।
–ঠিক আছে।
আজ আর ইশান দিশা কে নিয়ে বাড়ি গেলো না।
এদিকে সে বাড়িতে ফোন করে একবার ও জানায় নি যে সে দিশা কে নিতে এসেছে।
সে দিশা কে কাছে পেয়ে সব ভুলে গেলো।
এদিকে তার বাবা মা তার জন্য চিন্তা করতে লাগলো।
ফোনটাও বন্ধ ছিলো।
কারন দিশা ফোন টা রাগ করে ফেলে দিয়েছিলো।
ফোন টা সেখানেই বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,
কেমন লাগলো গল্পটি অবশ্যয় জানাবে।
সবাই সবার মতামত কমেন্টে জানাবে।