Love At 1st Sight Season 3 Part – 59

1
6416

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 59

writer-Jubaida Sobti

রাহুল : এমনিতে ও ভীতু! তারমধ্যে ওকে আরো ভয়…

– দাঁড়াও দেখাচ্ছি তোমায় ডেঞ্জার কিভাবে হয়!

জারিফা : নোওও স্নেহাআআআআ! প্লিজ সেভ মি! আমি তো মজা করছিলাম জিজু!
[ বাকিরা হাসতে লাগলো, রাহুল এগিয়ে আসলে জারিফা খাট থেকে একলাফে নেমে পড়ে ]

রাহুল : আরেহ ওয়েট! পালাচ্ছো কই!

নেহাল, আসিফ এবং রিদোয়ান, রুমে ঢুকতেই দেখে রাহুল আর জারিফা কাবাডি খেলার মতো এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছে

জারিফা : জোকিং জিজু জোকিং!

রাহুল : বাট! আম নট জোকিং! চলো দেখায় তোমাকে ডেঞ্জার কিভাবে হয়!

জারিফা : ইয়া আল্লাহ! এমন ভাবে বলছেন যেনো আপনার কতো আগের এক্সপেরিয়েন্স আছে!

রাহুল : হাহা! নাইস্ জোকস্! ইউ নোও মাই আধী-ঘারওয়ালী, কোনো কাজ করার পূর্বে রাহুলের এক্সপেরিয়েন্স এর দরকার পরে না, কজ,

শায়লা : কজ রাহুল নিজেই তো একটা এক্সপেরিয়েন্স তাই না জিজু [ বলতেই বাকিরাও হেসে উঠলো ]

জারিফা : [ কান ধরে ] সরিইইইইই জিজু!

নেহাল : হেইইই হোয়াট হ্যাপেন গাইস্?

রাহুল : [ জারিফার কান্ড দেখে হেসে ] চলো, যাও মাফ করলাম! [ বলেই স্নেহার পাশে গিয়ে বসলো ]

জারিফা : হিহি নাথিং! মিষ্টার অষ্ট্রেলিয়া!

নেহাল : [ কনফিউজড হয়ে মাথা চুলকিয়ে ] নাথিং?

রিদোয়ান : [ নেহালের কাধে হাত রেখে ] গাইস্ তোমাদের জন্য না, নেহাল একটি গেইম প্লান করেছে রুফ-টপে!

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ওয়াওও গেইমমম!

রিদোয়ান : মানে নাটকীয় সব কাজে তোমার এক্সাইটমেন্ট ফাষ্টে থাকবে,জানতাম!

জারিফা : [ মুখ গোমড়া করে ] আচ্ছা? হুহ! ঠিকাছে ঠিকাছে যান আমি খেলবোই না!

রিদোয়ান : আরেহ! বেবী আই জাষ্ট কিডিং![ জারিফা মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে গেলো, রিদোয়ান জারিফার দিক এগুতে যাচ্ছিলো তখনিই ]

জারিফা : [ চেচিয়ে ] স্টপ! স্টপ! খবরদার আমার কাছে ও আসবেন না!

রিদোয়ান : [ আহ্লাদি কন্ঠে ] সরি তো বেবী!

নেহাল : [ রিদোয়ানের দিক তাকিয়ে ] মানে তুই না আসলেই একটা ডিষ্টার্ব! কি দরকার ছিলো ওটা বলার? ইন্নোসেন্ট, কিট্টি, প্রিটি, সুইটি মেয়েটার মনটা খারাপ করে দিলি!

– মাই ডিয়ার ভাবীর শালী! উপস্ সরি! মাই ডিয়ার জারিফা! প্লিজ ডোন্ট বি আপসে্ট!

জারিফা : [ মুখ ভেংগিয়ে ] হুহ!

নেহাল : [ জারিফার দিক এগিয়ে গিয়ে ফিসফিসিয়ে ] লিসেন্ট! গেইমে না তুমি আর আমি একই টিমে থাকবো! তারপর ওখানেই রিভেঞ্জ নিয়ে নেবো ওর, ডান?

জারিফা : [ এক্সাইটেড হয়ে হেসে ] ডান মানে! আফকোর্স ডান!

রিদোয়ান : কিসের ডান?

জারিফা : [ নেহালের কাধে হাত রেখে ] আওর বিজনেস ইজ আওর বিজনেস! নান অফ ইয়র বিজনেস! [ রিদোয়ান শকড হয়ে তাকালো, জারিফা হেসে মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে যায়, নেহাল ও রিদোয়ানকে চোখ টিপ মেরে হাসতে থাকে ]

আসিফ : [ হেসে ] রিদ! কিছু মনে পড়ছে? ভার্সেটির র্যাগিং? আগে তুই থ্রেট দিতি এখন তোকে দেওয়ার জন্য একজন তৈরী হয়েছে! বাট আই লাইক ইট বস্!

রিদোয়ান : ইয়াহ! এঞ্জয় এঞ্জয়! টু সুন তোরটাও তৈরী হতে যাচ্ছে! এম আই রাইট?[ রাহুল, আসিফ এবং নেহাল তিনজনই হেসে উঠলো রিদোয়ানের কথায় ]

রাহুল : আরে রিদ! নেইম মেনশন করে বল?

রিদোয়ান : আরে ঠিক বলেছিস তো!

আসিফ : [ রিদোয়ানের মুখ চেপে ধরে,চেচিয়ে ] হ্যা! হ্যা! চলো চলো সবাই, গেইম খেলবো, লেইট হয়ে যাচ্ছে! কাম কাম হারি-আপ!

আলিসা : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] ইয়েস আম কামিং!

জাফসিন : আম অলসো্ গাইস! [ সবাই এক এক করে উঠে দাড়াতে লাগলো ]

শায়লা : [ মার্জানকে টেনে তুলে ] চল মার্জান! [ মার্জান পেছন মুড়ে খাট থেকে উঠে দাড়াতেই, চোখ পড়লো আসিফের দিক ]

আসিফ : লেটস্ গো গাইস্! আম ওয়েটিং [ বলেই মার্জানকে চোখ টিপ মেরে হেসে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে, বাকিরাও বেরুতে লাগলো এক এক করে ]

নেহাল : [ স্নেহার হাত ধরে ] আরে ভাবী বসে আছেন কেনো? গেইম খেলবেন না?

স্নেহা : হ্যা! খেলবো! কিন্তু…

নেহাল : তাহলে চলেন কাম কাম! [ বলেই হাত টেনে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎ আবার টান খাওয়ায় পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে রাহুল খাটে আধবসা হয়ে শুয়ে, তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার আরেক হাত আটকে ধরে আছে, স্নেহা ও নেহালকে চোখ দিয়ে ইশারা করে রাহুলের ধরে রাখা হাতটি দেখালো ]

নেহাল : হেইই ব্রো! হোয়াট হ্যাপেন?

রাহুল : নেহাল! আমার না তোর ভাবীর সাথে কিছু কথা বলার ছিলো! তোরা যা আমরা একটু পর আসছি!

নেহাল : তোকে না সারাবছর দিলেও কথা শেষ হবে না আমি ভালো করে জানি!

রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] হোয়াট আই ডু,ও যে এমনি!

নেহাল : লিসেন্ট! ব্রো পুরো রাত পরে আছে রোমান্স এর জন্য তখন করিস, নাও উই শুড বি গো!

রাহুল : আহা! বললাম তো! বেশিক্ষণ লাগবে না!

নেহাল : অনলি টু-মিনিটস্! ওকে?

রাহুল : [ হেসে ] ওকে ওকে! [ নেহাল ও হেসে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে, স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই রাহুল একটানে স্নেহাকে তার বুকের উপর শুয়ে নিলো ]

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরেহ! রাহুল…

রাহুল : শিসসস! [ বলেই স্নেহার সামনে চলে আসা চুল গুলো কানে গুজে দিলো ]

স্নেহা : কোথায় ছিলেন এতোক্ষণ?

রাহুল : মিস্ করছিলে আমায়? [ বলেই স্নেহাকে পাশ মুড়িয়ে শুয়ে দিয়ে রাহুল স্নেহার উপুর হয়ে শুয়ে পড়লো ]

স্নেহা : [ শকড হয়ে ] না..নাতো!

রাহুল : অহ! রিয়েলি?

স্নেহা : [ চোখ সরিয়ে ] হু..হুম!

রাহুল : তাহলে জিজ্ঞেস করছো যে কোথায় ছিলাম?

স্নেহা : কে..কেনো আমি জিজ্ঞেস করতে পারিনা?

রাহুল : হ্যা! তাতো অবশ্যই! বউ হোও আমার হক আছে জিজ্ঞেস করার!

স্নেহা : মানে সোজা জবাব দিলে হয় না?

রাহুল : [ হেসে স্নেহার বুকে হাত রেখে ] এইখানে ছিলাম আমি! তোমার হার্টের প্রতিটা বিটে! [ স্নেহা লজ্জা পেয়ে হেসে চোখ নামিয়ে ফেললো, রাহুল ও হেসে আংগুল দিয়ে স্নেহার গলায় স্লাইড করে চুল গুলো সরিয়ে নিলো, শিহরে উঠছে স্নেহা, তা দেখে রাহুল আলতো করে একটি চুমু খেলো স্নেহার গলায়,নিমিষেই চোখ বন্ধে কেপে উঠলো স্নেহা ]

রাহুল : [ স্নেহার চোখের দিক তাকিয়ে,আংগুল দিয়ে ঠোটে স্লাইড করে ] নেশা লাগে চোখে, নিশানা থাকে ঠোটে, হোয়াই স্নেহা হোয়াইইই!

স্নেহা : রার..রাহুল! দরজা খোলা!

রাহুল : তাহলে দরজা বন্ধ করে আসি?

স্নেহা : নাহ! [ বলেই হাত দিয়ে রাহুলকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে উঠে বসে, টেনেটুনে শাড়ী ঠিক করতে করতে ] আ..আপনি কি যেনো বলবেন বললেন?

রাহুল : [ হেসে স্নেহার কানের দিক ফু দিয়ে ] এতো টেনেটুনে ঢেকে রাখার কি আছে স্নেহা! নাও আম ইয়র হাজবেন্ড! বি কমফোর্টেবল!

স্নেহা : [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] ও..ওরা ওয়েট করছে,আমাদের যাওয়া উচিৎ!

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে দাঁড়িয়ে ] আরে!ওয়েট, কথা ছিলো তো সত্যি! [ স্নেহা মাথা তুলে তাকালো রাহুলের দিক ]

রাহুল : স্নেহা! রোডে তোমার বাবার সাথে দেখা হলো! উনি পরশুর ট্রেনের টিকিট কাটতে যাচ্ছিলো!

– আ..আই মিন, এখন তো সব ঠিকঠাক সো্ এগেইন গ্রামে যাওয়ার কি দরকার? এইখানেই তো আবার নতুন করে স্টে করতে পারে!

স্নেহা : রাহুল! রাশু গ্রামের স্কুলে এডমিটেড!

রাহুল : সো্ হোয়াট? ওকে শহরের ভালো কোনো একটি স্কুলে এডমিট করিয়ে দিবে! ছেলেই তো ওয়ান ইয়ার গ্যাপ গেলে প্রবলেম কি?

স্নেহা : এ..এক্সুলি রাহুল! আপনি যে টাকাগুলো সামিরকে দিয়েছেন ঐগুলো আমি এখনো বাবাকে বলিনি,

রাহুল : [ অবাক হয়ে ] হোয়াইই?

স্নেহা : কারণ আমি চাচ্ছিলাম যে বাবা! গ্রামে গিয়ে তাড়াতাড়ি করেই টাকার ব্যবস্থা করুক!

রাহুল : ওয়াও রিয়েলি? টাকাগুলো আমাকে রিটার্ন করার জন্য বুঝি? [ চুপ করে রইলো স্নেহা ]

রাহুল : স্নেহা! আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি আন্সার দাও!

স্নেহা : রাহুল! প্রবলেম আমার ফ্যামিলির ছিলো, এর ভোজা আপনি কেনো তুলবেন? আর এমনিতেও বাবা নিজ মুখেই বলেছিলো, গ্রামের বাড়ীটা বিক্রি করে হলেও সামিরের টাকা শোধ করে দিবে, তাই ভাবলাম টাকা গুলো রিটার্ন করিয়ে দেওয়ায় ভালো হবে,

রাহুল : আচ্ছা! ফ্যামিলি কার?

স্নেহা : আ..আমার!

রাহুল : বাবা কার?

স্নেহা : আমার!

রাহুল : তুমি এখন কার?

স্নেহা : আ..আপ..আপনার!

রাহুল : তাহলে যেটা আমার সেটা তোমার ও! সো্ আমাকে টাকা রিটার্ন করার কথা ভাবলে কেনো?

– [ দু-হাতে স্নেহার মুখ তুলে ] স্নেহা! তোমার ফ্যামিলির প্রবলেম মানে তোমার প্রবলেম, আর তোমার প্রবলেম মানে আমার প্রবলেম! সো্ ইটস্ সিম্পল!

– তুমি আমার ফ্যামিলিকে নিজের ফ্যামিলি মনে করতে পারলে আমি কেনো তোমার ফ্যামিলিকে নিজের মনে করতে পারবো না? বলো?

– পারবো না? [ মাথা নাড়ালো স্নেহা ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত শক্ত করে ধরে ] ঠিকাছে! তাহলে আজ থেকে আমি তাদের জন্য যা কিছুই না করবো এতে তুমি বাধা দিতে পারবে না! প্রমিস করো?

স্নেহা : [ হেসে মাথা নাড়িয়ে ] প্রমিস!

রাহুল : [ স্নেহার কপালে একটি চুমু খেয়ে ] ওকে চলো এবার! ওরা ওয়েট করছে! [ বলেই হুট করে স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো ]

স্নেহা : আরেহ! রাহুল! কি করছেন আপনি নামান প্লিজ! [ রাহুল হেসে হেসে স্নেহাকে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে, আর স্নেহা ছুটাছুটি করে নেমে যেতে ব্যস্ত ]

রাহুল : [ স্নেহাকে আরো শক্ত করে ধরে ] শক্তি কি আমার থেকে বেশি হ্যা? ছুটাছুটি করছো কেনো বলো তো?

স্নেহা : রাহুল! দাদী,ফুফিরা কেউ দেখবে!

রাহুল : তো দেখুক! আমি তো আমার ঘরে আমার বউকেই উঠিয়েছি! আর তুমি তোমার হাজবেন্ডের কোলে উঠেছো, সো্ হোয়াট?

স্নেহা : [ বিরক্তি হয়ে ] আপনি না একদম..

রাহুল : [ হেসে ] একদম বেশী আমি তাই না? [ স্নেহা আশেপাশে তাকাতে লাগলো বারবার ]

রাহুল : আচ্ছা স্নেহা! তুমি এতো লজ্জা পাও কেনো বলো তো? বাই দ্যা ওয়ে আই লাভ দিজ মোমেন্ট! যখন তুমি লজ্জায় স্ট্রোভেরী হয়ে যাও! [ স্নেহা রাহুলের কথায় ধ্যান না দিয়ে আশেপাশে তাকাতে লাগলো কেউ দেখছে কিনা, রাহুল বুঝতে পেরে আরো চেচিয়ে বলে উঠলো ] স্নেহাআআআআ লাভ ইউউউউউ

স্নেহা : [ তাড়াতাড়ি রাহুলের মুখ চেপে ধরে ] আরে আরেহ! স্টপ ইট! রাহুল, [ রাহুলের হাসি থামছে না স্নেহা মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে রাখা শর্তেও হেসে যাচ্ছে ]

স্নেহা : ইডিয়ট! [ বলতেই রাহুল মুখের উপর স্নেহার দিয়ে রাখা হাতে একটি কামড় দিতেই স্নেহা আহহ বলেই হাত সরিয়ে নিলো ]

রাহুল : [ হেসে ] তোমারিই তো ইডিয়ট!

স্নেহা : নামান এবার এসেই তো পড়েছি!

রাহুল : আমার যখন ইচ্ছে তখন নামাবো তুমি কে?

স্নেহা : আমি কে মানে? আমি আপনার বউ না?

রাহুল : [ থেমে গিয়ে ] আবার বলো? [ স্নেহা লজ্জা পেয়ে হেসে মুখে হাত দিয়ে ঢেকে ফেললো ]

রাহুল : ইশশশ! কি লজ্জা! [ রাহুল স্নেহাকে নিয়ে ছাদে উঠতেই বাকিরা চেচিয়ে উঠলো ]

শায়লা : এসো এসো তোমাদের সিটটাই খালি ছিলো শুধু!

স্নেহা : এইবার তো অন্তত নামান! এসেই তো পড়েছি!

রাহুল : তখন যেটা বলেছিলে সেটা আরেকবার বলো! নামিয়ে দিচ্ছি

স্নেহা : রাহুল!

রাহুল : না বললে নামাচ্ছিনা! [ বলেই আরো শক্ত করে ধরে নিলো ]

স্নেহা : আচ্ছা বব..বলছি!

রাহুল : হুম! বলো!

স্নেহা : আ..আ..আম..আমি

রাহুল : হোয়াট! আ আ আ?

স্নেহা : আ..আমি আপ আপনার বউ না?

রাহুল : [ হেসে ] হ্যা! তুমি আমার বউ, জান,আমার নিশ্বাস, বেচে থাকা আশ্বাস সবই তো তুমি!

স্নেহা : [ রাহুলের গাল টেনে দিয়ে ] হয়েছে এবার নামান! [ রাহুল হেসে নামিয়ে দিলো স্নেহাকে, স্নেহা হেটে গিয়ে বিছিয়ে রাখা বেডের উপর পা গুটিয়ে বসে পড়লো ]

নেহাল : কাম কাম ব্রো! শেষ হয়েছে রোমেন্স?

রাহুল : [ এগিয়ে গিয়ে স্নেহার পাশে বসে ] নো হয়নি!

নেহাল : তোকে সারাদিন দিলেও রোমেন্স শেষ হবে না! [ সবাই হেসে উঠে ]

রোহানী : ওকে গাইস লেটস্ স্টার্ট দ্যা গেইমস!

রাহুল : [ হঠাৎ শেম্পিং এর বোতোল দেখে ] ওয়াওও! শেম্পিং..

রিদোয়ান : [ বোতোল হাতে তুলে ধরে ] এতো খুশি হোওয়ার দরকার নেই দোস্ত এটা খালি বোতোল!

রাহুল : তাহলে এটা কেনো?

রোহানী : আমি বলছি! আমি হলাম আওট অফ গেইমস্! কজ আমার ভয় লাগে এসবে আমি কিছু বলতেও পারবো না করতেও পারবো না! তাই বোতোলটা আমিই ঘুরাবো! দেন বোতোলের হেডটা যারদিক ঘুরে পড়বে তাকে ট্রুথ এন্ড ডের এই দুটি অপশন থেকে যে কোনো একটি নিতে হবে!

– তারপর ট্রুথ হলে ট্রুথ বলবে ডের নিলে ডের দেখাবে!

রাহুল : ওয়াও লাভ ইট!

রোহানী : ওকে লেটস্ প্লে!

জাফসিন : [ এক্সাইটেড হয়ে ] শিয়র শিয়র! [ বলতেই রোহানী বোতোল ঘুরিয়ে দিলো, নিস্তব্ধ চারদিক, রাতের অন্ধকার রুফটপের কালারফুল স্পোর্ট লাইটগুলো জ্বলছে, কুয়াশা ভরা শীতল ঠান্ডা বাতাস বইছে, সবাই এক্সাইটমেন্ট নিয়ে তাকিয়ে আছে বোতোলের দিক,বোতোলের হেড গিয়ে থামলো আসিফের দিক, হাত তালি দিয়ে চেচিয়ে উঠলো সবাই ]

আসিফ : ওহ নো এট ফাষ্ট আমিই!

জারিফা : বলেন বলেন ট্রুথ অর ডের?

আসিফ : টু…ট্রুথ!

রাহুল : স্কিটিশ!

নেহাল : [ হেসে ] ইয়াহ! রাহুল রাইট!

আসিফ : আচ্ছা তোদের সময় আসুক দেখবো!

শায়লা : ওকে ওকে! ট্রুথ হলে আমি বলছি আপনাকে কি বলতে হবে! [ সবাই তাকালো শায়লার দিক ]

শায়লা : আপনি বলুন! আপনি যাকে সত্যিকারের ভালোবাসেন যার জন্য আপনি সব কিছুই করতে রাজি, তার নামের ফাষ্ট লেটারটা কি?

রিদোয়ান : ইয়েস্! ইন্টেলিজেন্ট শায়লা! নাইস কুয়েশ্চন! বল বল আসিফ?

জারিফা : [ শায়লার মাথায় বাড়ি দিয়ে ] আরে শুধু লেটার কেনো? পুরো নাম বলতে বললে কি হতো?

আসিফ : নো রুলস্ ইজ রুলস্! কুয়েশ্চন চেঞ্জ করা যাবে না!

জারিফা : আচ্ছা যান যান! ওকে!

আসিফ : [ দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ] যাকে আমি সত্যিকারের ভালোবাসতে শুরু করেছি, যার জন্য আমি জান দিতেও দ্বিধা বোধ করবো না, যার বিনা কারণে রেগে যাওয়া, বাচ্চামী এবং বদমাইশি কান্ডনামাগুলো আমি আজীবন ভালোবেসে যেতে রাজি! তার নামের ফাষ্ট লেটার হলো,

– এম! [ বলতেই সবাই মিটিমিটি হেসে মার্জানের দিক তাকাতে লাগলো ]

রাহুল : ওয়াহ! দোস্ত এতো ভালোবাসিস! গেইমটা না খেললে হয়তো আমরা জানতামই না!

মার্জান : আজীব সবাই আমার দিক কেনো এভাবে তাকিয়ে আছো! এম দিয়ে কি শুধু আমার নাম হয় নাকি? দুনিয়ায় আর কারো নাম নেই বুঝি!

নেহাল : ইয়া..ইয়াহ! [ হেসে উঠলো সবাই, মার্জান ও আসিফের চোখাচোখি হতেই হঠাৎ লজ্জা লেগে উঠায় হেসে দিলো ]

শায়লা : সি্ গাইস্ শি ইজ ব্লাশিং!

মার্জান : ধুর! [ বলেই উঠে চলে যাচ্ছিলো, তখনিই ]

রাহুল : [ আবার হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিয়ে ] আরে এটা ভালোবাসা নয় তো কি ডার্লিং! যখন ও তাকাবে আর তুমি ব্লাশিং হয়ে হাসবে!

মার্জান : দেখেন সবাই উল্টোপাল্টা কিসব বলছেন আমি.. কক..কবে ব্লাশিং হলাম!

রাহুল : আচ্ছা ওকে! নরমাল নরমাল! [ চোখ টিপ মেরে ] বাট উই আর আন্ডারস্ট্যান্ড হিহি! ওকে ওকে সরি! [ হেসে উঠলো সবাই ]

রোহানী : ওকে গাইস্! এটেনশন! [ বলেই আবারো ঘুরিয়ে দিলো বোতোল, উত্তেজিত সকলেই, কারদিক গিয়ে বোতোলের হেড থামবে এই আশায়, হঠাৎ বোতোলের হেড গিয়ে থামলো রাহুলের কাজিন আলিসার দিক ]

আলিসা : [ চেচিয়ে ] আমিও ট্রুথ ট্রুথ! ডের না বাবা!

নেহাল : হাহা! তুই তো দেখি বিগ স্কিটিশ! আগে থেকেই স্যালেন্ডার!

আলিসা : এক্সকিউজ মি! ডের আমার সত্যিই অনেক ভয় লাগে!

___এইদিকে, রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে দেখে, স্নেহা ঠান্ডায় হাত পা বটে কুড়িয়ে গেছে,

স্নেহা : [ ফিসফিসিয়ে ] কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?

রাহুল : ঠান্ডা লাগছে তোমার?

স্নেহা : মো..মোটেও না! আচ্ছা গেইম দেখেন!

রিদোয়ান : [ আলিসার দিক তাকিয়ে ] ওকে ওকে! আমি বলছি! তুই তোর একটা ডার্ক সিক্রেট বল!

আলিসা : আই হেভ নো ডার্ক সিক্রেট গাইস্!

আসিফ : কামঅন গুড ডার্ক সিক্রেট ওতো থাকতে পারে মানুষের!

আলিসা : [ কিছুক্ষণ চিন্তা করে ] ওকে! আমি না কখনো পর্ণ ভিডিও দেখিনি!

রাহুল : [শকড হয়ে ] হোয়াট? লায়ার!

রিদোয়ান : রিয়েলি?

নেহাল : ইজ ইট পসিবল?

আসিফ : আই থিংক শি ইজ কিডিং!

আলিসা : গাইস্ আম নট কিডিং! ইটস্ ট্রু! আই নেভার ওয়াচড!

রাহুল : হাও ইটস্ পসিবল?

জারিফা : এক সেকেন্ড স্টপ ইট! অল বয়স্!

– এটা আনবিলিভেবল কিছুইনা! কজ মেয়েদের ডার্ক সিক্রেটগুলো এমনিই হয়!
আপনারা ছেলেরা মেয়েদের ও কি আপনাদের মতোই মনে করেন নাকি? এখন আপনাদের ডার্ক সিক্রেটগুলো বলতে বলিনা! বের হবে এক এক নবাবের কুন্ডলী!

রিদোয়ান : নো নো! আই বিলিভ ইট! হতেই পারে এমন! চলো বাদ দাও নেক্সট স্টার্ট করো!

জারিফা : হ্যা! এখন তো বাদ দিতে বলবেনই!আপনার আগের কুন্ডলী গুলো যে ফাঁস হবে! [ কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো বাকিরা ]

রাহুল : [ স্নেহার দিক ফিরে ফিসফিসিয়ে ] আই কান্ট বিলিভ দিজ! এটা সম্ভব নাকি? আচ্ছা স্নেহা তুমি দেখেছো নাকি কখনো?

স্নেহা : ছিইইইই! নেভার!

রাহুল : রিয়েলি? [ হেসে ] এমনিতে তুমি দেখেছো বললেও আমি কখনো বিলিভ করতাম না!

– আচ্ছা ডোন্ট ওয়ারী আমার সাথে দেখিও আজ!

স্নেহা : [ রাহুলকে চিমটিয়ে ] ছিই রাহুল স্টপ ইট! তারমানে আপনি দেখেছেন?

রাহুল : নাহ! হ্যা কই না! হ্যা! না নাহ!

স্নেহা : [ রাহুলের কান টেনে দিয়ে ] দেখবেন আর?

রাহুল : আহহ! কখনো না!

স্নেহা : প্রমিস?

রাহুল : তোমাদের বাসার নিচে যে দারোয়ানটা ছিলো না? ওর প্রমিস!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে হেসে ] হোয়াট? [ বলেই কান আরো মুচড়ে দিতেই ]

রাহুল : ওকে ওকে ইয়র প্রমিস! স্নেহা!

স্নেহা : [ হেসে রাহুলের কান ছেড়ে দিয়ে ] আপনি শুধুশুধু দারোয়ানের প্রমিস খাচ্ছিলেন কেনো বলেন তো?

রাহুল : কারণ যাতে আমি ইচ্ছে করেই প্রমিস ভাংগতে পারি! আর প্রমিস ভাংগলে ও মরে যেতো!

স্নেহা : বেচারা দারোয়াণকে মেরে আপনার কি হবে বলেন তো?

রাহুল : বেচারা! তাই না? ইডিয়ট ও তোমায় ওর কূনজরে দেখেছিলো! [ স্নেহার মনে পড়তেই মুচকি হেসে রাহুলের হাত জড়িয়ে ধরে, বাকিদের দিক তাকালো ]

রোহানী : শেষ? আপনাদের ফিসফিস করা?

রাহুল : [ হেসে ] ইয়াহ ডান! [ বাকিরাও হেসে উঠলো ]

রোহানী : ওকে গাইস্ লেটস্ প্লে এগেইন! [ বলেই বোতোল ঘুরিয়ে দিলো আবারো সবাই উত্তেজিত হয়ে তাকিয়ে আছে বোতোলটির দিক, এইবার গিয়ে বোতোলের হেড থামলো রাহুলের দিক, চেচিয়ে উঠলো সবাই ]

জাফসিন : ভাইয়া এইবার দেখবো তুমিও স্কিটিশ নাকি ব্রেভ?

রাহুল : আম অ্যা ব্রেভ বয়! ওকে সো্ আম ডের!

জারিফা : আমি দিবো আমি আমি!

রাহুল : ওখেই!

জারিফা : যেহেতু নিউলি ম্যারেড! তাই রোমান্টিক কিছুই দি! এমনিতে তো রোমান্সে আপনি ওস্তাদ! [ হেসে উঠলো সবাই ]

– স্নেহাকে যেভাবে পেয়েছেন এটা এক্সপ্লেইন করেন! স্নেহার চোখের দিক তাকিয়ে এক পলকে! এজ অ্যা সিংগার! সো্ গানের মাধ্যমেই করতে হবে!

রাহুল : [ হেসে ] ওখে!

রোহানী : বাট উইদাউট গিটার? এক মিনিট আমি নিয়ে আনছি গিটার! [ বলেই গিটার আনতে দৌড় দিলো রোহানী ]

শায়লা : বাহ! শীতল বাতাসে, কুয়াশা ভরা রাতে এই সময় রোমান্টিক একটা সং ও হবে! ওয়াওও ভাবতেই ভালো লাগছে!

নেহাল : পাশে একটি পার্টনার হলে বোধহয় আরো বেশী ভালো লাগতো?

শায়লা : আজকালকার পার্টনারদের ভরসা করা যায় না! তাই আই থিংক পার্টনার না থাকাটাই বেটার হবে! [ হেসে উঠলো বাকিরা ]

নেহাল : একবার ভরসা করেই তো দেখো!

শায়লা : তাই?

জাফসিন : [ হেসে ] নেহাল ভাইয়া স্টপ ফ্লার্টিং উইথ ভাবীর শালী ওকে? [ কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো বাকিরাও ]

নেহাল : তোকে তো পড়ে দেখে নেবো! [ বলেই আবার শায়লার দিক তাকিয়ে রইলো, কিছুক্ষণ পরেই রোহানী গিটার নিয়ে এগিয়ে এসে রাহুলের হাতে ধরিয়ে দিলো ]

জারিফা : ওকে স্টার্ট স্টার্ট জিজু! [ আসিফ এক পলকে তাকিয়ে আছে মার্জানের দিক, মার্জান কিছুক্ষণ পর পর আড়চোখে তাকালেও আবার সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিচ্ছে ]

রাহুল : [ গিটার ঠিক করে হাতে নিয়ে স্নেহার দিক ফিরে বসে, চোখের দিক তাকিয়ে গিটার বাজাতে লাগলো, স্নেহা ও ব্লাশিং হয়ে মুচকি মুচকি হাসছে ]

♪ নাহ রাস্তা মালুম ♪
♪ নাহ তে্রা নাম পাতা মালুম ♪
♪ কেসে্ মেরে পিয়ারেমে তুঝকো ♪
♪ ঢুন্ডা কিয়া মালুম ♪

♪ নাহ রাস্তা মালুম ♪
♪ নাহ তে্রা নাম পাতা মালুম ♪
♪ কেসে্ মেরে পিয়ারেমে তুঝকো ♪
♪ ঢুন্ডা কিয়া মালুম ♪

♪ সি্ধা তে্~রে পা~স্ ♪

♪ সি্ধা তে্রে পাস্ মে আপনি ♪
♪ জানে ভি লেকে আগাইয়া ♪

♪ সা্থ সা্মান্দার পার মে তে্রে ♪
♪ পিছে পিছে আগাইয়া ♪
♪ মে তে্রে পিছে পিছে আগাইয়া ♪
♪ জুলমি তে্রি জা~~ন ♪
♪ ও জুলমি তে্রি জান ♪
♪ তে্রে কাধমোকি নিচে আগাইয়া আ~~♪

♪ সা্থ সা্মান্দার পার মে তে্রে ♪
♪ পিছে পিছে আগাইয়া♪
♪ মে তে্রে পিছে পিছে আগাইয়া ♪

[ গান শেষে এক্সাইটেড হয়ে তালি দিয়ে উঠলো সবাই, কিন্তু রাহুলের চোখ এখনো সরলো না স্নেহার চোখের দিক থেকে ]

রিদোয়ান : উহহহ! এক্সিলেন্ট দোস্ত!

আসিফ : ♪ জুলমি তে্রি জান তে্রে কাধমোকি নিচে আগাইয়া~আ~আ ♪

নেহাল : ♪ সা্থ সামুন্দার পার মে তে্রে, পিছে পিছে আগাইয়া ♪

শায়লা : হোয়াট অ্যা বেসূরা ভয়েস্!

নেহাল : হিহি, জানতাম! কপালে এই প্রশংসাটাই থাকবে [ আবারো কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো বাকিরা ]

আলিসা : [ রাহুল এখনো স্নেহার দিক তাকিয়ে থাকায় ] রাহুল ভাইয়া! গান তো শেষ! এইবার গেইমে জয়েন করতে পারবে আবার! নয়তো ভাবীকে এইভাবে দেখতে থাকলে চোখে ক্যাটেরেক্ট পড়ে যাবে [ হাসতে লাগলো বাকিরা, স্নেহা ও হেসে লজ্জা পেয়ে রাহুলের মুখ ধরে সোজা ফিরিয়ে দিলো ]

রোহানী : ওকে ওকে! গাইস লেটস্ প্লে এগেইন! [ বলেই বোতোল ঘুরিয়ে দিলো ]

____আর এইদিকে,

রাহুল ধীরেধীরে স্নেহার পেছনে হাত দিয়ে পিঠে স্লাইড করে চুলের ভেতর হাত রাখলো, ঠান্ডা ঠান্ডা রাহুলের হাতের স্পর্শে শিহরে উঠলো স্নেহা! না পারছে চেচাতে, না পারছে উঠে দাড়িয়ে যেতে, কারণ বাকি আরেকটি হাত ও রাহুল তার হাতের মুঠোয় বন্ধি করে ধরে রেখেছে,

মাথা মুড়িয়ে স্নেহা রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল হাসছে আর মুঠি বেধে ধরে রাখা স্নেহার হাতটি তার ঠোটের কাছে এনে একটি চুমু খেয়ে আবার নিজের দাড়িতে স্লাইড করছে, মুচকি হাসলো স্নেহা রাহুলের কান্ডে,

রাহুল ও স্নেহা তাকিয়ে আছে বুঝতে পেরে বাকি হাতটি স্নেহার পিঠের উপর থেকে স্লাইড করে শোল্ডার পর্যন্ত নিয়ে নিজের অনেকটা কাছাকাছি টেনে নিলো স্নেহাকে, যা দ্বারা রাহুলের আগলে ধরে রাখার আবরণে স্নেহার শীত ও কম লাগতে লাগলো, তাও ইচ্ছে করছিলো স্নেহার যেনো একদম গুটিশুটি হয়ে রাহুলের বুকের মাঝেই ঢুকে পড়বে, কিন্তু সবার মাঝে লজ্জা লাগছে, তাই আপতত এইটুকুতেই ইনাফ তার জন্য,

হঠাৎ বাকিদের চেচিয়ে উঠার শব্দে স্নেহা সোজা ফিরে তাকাতেই দেখে বোতোলের হেড নেহালের দিকই থেমেছে,

আসিফ : স্কিটিশ! তাই না? এইবার দেখি কি নিবি!

নেহাল : একটাই অপশন নেহালের জন্যে! ওয়ান এন্ড অনলি ডের ফর মি!

জারিফা : বাহ! এতো সাহস?

রাহুল : [ হেসে ] সুপার্ভ! আমি বলছি তোর কি করতে হবে!

নেহাল : [ দাঁড়িয়ে জ্যাকেটের কলার ঠিক করে ] বল বল!

রাহুল : প্যান্টের ভেতর আন্ডারওয়েল নাকি থ্রি কুয়াটার প্যান্ট! [ বাকিরা মুখ চেপে হেসে উঠলো ]

নেহাল : ছি! ব্রো এতোগুলো লেডিসের সামনে এসব জিজ্ঞেস করতে লজ্জা করেনা? শেইম অন ইউ! কমপক্ষে ভাবীকে তো খেয়াল কর!

রাহুল : [ হেসে ] আরে বলনা?

নেহাল : ও হ্যালো! আমি ট্রুথ নেইনি, সো্! কিছু বলতে পারবো না ডের নিয়েছি কি করতে হবে বল?

রাহুল : ডেরটা কমপ্লিট করার জন্য এটার আন্সার দেওয়া ইম্পরট্যান্ট নেহাল! [ নেহাল অবাক হয়ে তাকালো রাহুলের দিক ]

রিদোয়ান : আরে নেহাল ভয় পেয়ে গেলি? একটু আগেই তো বললি! একটাই অপশন তোর জন্য ওয়ান এন্ড অনলি ডের ফর ইউ!

নেহাল : না নাহ! ভয় পাবো কেনো! [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] দুটোই আছে আন্ডারওয়েল ও তি…থ্রি কুয়াটার প্যান্ট ও!

রাহুল : গ্রেট! তাহলে তুই এখন পুলে সুইমিং করে টু-রাউন্ডস দিবি! উইদাউট ক্লথস্! বাট থ্রি কুয়াটার প্যান্টটা রাখতে পারিস যেহেতু এইখানে লেডিসরা আছে! সো্ অতোটা সলিড কাজ দেবো না তোকে! জাষ্ট এটাই কর!

নেহাল : হোয়াটট হোয়াটট? তোকে কি রোমেন্টিক ডের দিয়েছে আর তুই আমাকে এটা দিবি? তারমধ্যে এই নিপিং উইন্টারে!

রাহুল : ডের নিয়েছিস নেহাল! সো্ ইউ আর অ্যা ব্রেভ বয় প্রুফ কর!

স্নেহা : রাহুল! এতো রাতে ঠান্ডায় সুইমিং করবে? পাগল হয়ে গেছেন আপনি? পানি কতো ঠান্ডা হবে ভেবে দেখেছেন?

রাহুল : ডের স্নেহা! ডের! সো্ হোয়াট?

স্নেহা : বাট রাহুল…

রাহুল : ওহো! ডোন্ট ওয়ারি না স্নেহা! [ বাকিরা ও হাসতে লাগলো নেহালের অবস্থা দেখে ]

জাফসিন : নেহাল ভাইয়া! তুমি সত্যিই ভয় পেয়ে গেছো! আমি তো ভেবেছিলাম তুমি দু-তিন মিনিটেই ডের ডান করবা!

আসিফ : [ হেসে ] ফেসে গেলো নেহাল! নিজের গেইমে নিজেই!

নেহাল : নো ফেসে যায়নি! আই উইল! [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] ওয়েট ব্রো নেক্সট তোর আবার আসুক! তারপর তোকে কি ডের দেই দেখিস! [ হেসে উঠলো সবাই, নেহাল সুইমিং এর দিক এগিয়ে গিয়ে জ্যাকেট, টি-শার্ট, জিন্স সবই খুলে রাখলো শুধু থ্রি কুয়াটার প্যান্টটি ছাড়া, ধীরেধীরে এক-পা এগিয়ে পানিতে পা রাখতেই ঠান্ডায় আবার তাড়াতাড়ি পা উঠিয়ে নিলো ]

স্নেহা : রাহুল! স্টপ ইট! একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না? ফেভার হয়ে যাবে তখন!

রাহুল : [ হেসে ] এতো টেনশন করো কেনো বলো তো? কিছু হবে না ডোন্ট ওয়ারি! [ বলতেই পানিতে ঝাপিয়ে পড়ার শব্দ এলো, রাহুল-স্নেহা দুজনেই পুলের দিক তাকাতেই দেখে নেহাল সুইমিং করছে, বাকিরা কেউ হাসছে আবার কেউ শিস বাজাচ্ছে ]

কিছুক্ষণ পরই নেহাল ভেজে ভেজা কাপা শরীর নিয়ে উঠে এলো, পুল থেকে,

রাহুল : [ হেসে ] ইউ ওকে নেহাল?

চলবে….

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে