Love At 1st Sight Season 3 Part – 55

0
6302

Love At 1st Sight
~~~Season 3~~~

Part – 55

writer-Jubaida Sobti

স্নেহা : সাস..সামান্য একটুই, কেটে গেছে হয়তো কোথাও, খেয়াল নেই! [ বলেই হাত আচলের ওড়নায় বটে রাখলো, আর রাহুল নাক ফুলিয়ে তাকিয়ে আছে স্নেহার দিক ]

স্নেহা : এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো! বব..বললাম তো সামান্য একটু…

রাহুল : স্টপ ইট! স্নেহা! [ বলেই স্নেহার হাত টেনে নিয়ে দেখে, হাত ক্ষত হয়ে রক্তশুকিয়ে লাল হয়ে আছে ]

– স্নেহা! এসব কিভাবে হয়েছে? আর তুমি আমাকে কিছু বলোনি কেনো?

স্নেহা : আরে! আপনি এতো চিন্তা করছেন কেনো! এটা তেমন কিছুই হয়নি, জাষ্ট সামান্য একটুই কেটে গেছে! [ বলেই হাত টেনে নিয়ে নেয় ]

রাহুল : কিভাবে কেটেছে?

স্নেহা : [ চোখ নামিয়ে ] কোক…কোথায় কিভাবে কেটেছে অতোকিছু মনে নেই!

রাহুল : [ ধমক দিয়ে ] শাট-আপ স্নেহা! কেনো মিথ্যে বলছো!

স্নেহা : [ চমকে উঠে ] সস..সত্যি রাহুল!

রাহুল : [ হাত দিয়ে স্নেহার মাথা তুলে ধরে ] তাহলে আমার চোখে চোখ রেখে বলো! [ স্নেহা চোখ নামিয়ে ফেললো ]

– পারবানা বলতে, তাই তো? [ চুপ হয়ে থাকে স্নেহা, রাহুল দীর্ঘশ্বাস ফেলে এদিক ওদিক একবার তাকিয়ে আবার মাথায় হাত দিয়ে নিজের চুল মুঠোয় ভরে রাগ কমাতে লাগলো ]

স্নেহা : [ রাহুলের কাধে হাত রেখে ] রা..রাহুল!

রাহুল : [ হঠাৎ ভোর কুচকে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] এক সেকেন্ড স্নেহা! এটা কোনো তখন নেহা… [ বলেই কিছুক্ষণ চিন্তা করে ]

– ওহ শিট! ডেম ইট! এটা নেহাই করেছে রাইট? [ স্নেহা চুপ করে চেয়ে থাকে ]

রাহুল : [ মাথা নাড়িয়ে ] ইয়াহ! আই আন্ডারস্ট্যান্ড! তারমানে ও হ্যান্ডশেক করার সময় মনে মনে যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হয়েছে!

– [ দাঁড়িয়ে গিয়ে ] ইডিয়ট! তাই তো তোমাকে ওর সাথে হ্যান্ডশেক করতে বাধা দিয়েছিলাম! [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো ]

রাহুল : ওর মিডল ফিংগারে একটি রিং আছে! যেটা দ্বারা আমার সাথে কোনো মেয়ে দেখলে,হাত মেলানোর বাহানা করে সবার হাতেই,আঘাত করে বসে,

– আর তোমাকে তো ও পারছেনা যে…

– [ জোড়ে নিশ্বাস ফেলে খাটে পা দিয়ে বারি মেরে ] আমারই মিস্টেক ছিলো, ঐদিন পেট্রোল গুলো ঢেলে কেনো যে ওকে জ্বালিয়ে দিলাম না,

– [ চেচিয়ে ] আর তুমি! ইডিয়ট বাধা দেওয়ার পরে ও, ওর এক্টিং গুলো বিশ্বাস করে হাত মিলিয়ে নিলে!

স্নেহা : আ..আমার,মনে হয়েছিলো ও সস…সত্যি..সত্যিই…

রাহুল : ইউ ডোন্ট নোও স্নেহা! ও কতোটা নিচু নামতে পারে! শি ইজ আ ছিপ গার্ল! এসব ছিপ আইডিয়াগুলো শুধু ওর মাথায়ই আসতে পারে!

– আচ্ছা দেখি হাত দেখাও [ বলেই স্নেহার হাত টেনে নিয়ে ] কি হয়েছে হাতটার? আর তুমি যখন ও করেছিলো তখন আমায় কিছু বলোনি কেনো?

স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] আপ..আপনি রেগে যাবেন তাই!

রাহুল : তুমি! [ বিরক্তি হয়ে ] তুমি আসলেই একটা বোকা! ইডিয়ট! [ বলেই পকেট থেকে মোবাইল বের করে ফোন দিতে লাগলো ]

স্নেহা : কাকে ফোন দিচ্ছেন?

রাহুল : ডক্টর!

স্নেহা : ডক্টর কেনো?

রাহুল : আমরা তিনজনে মিলে হাইড এন্ড সিক খেলবো বলে!

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] না মানে… সামান্য একটুই কেটেছে এটার জন্য ডক্টরকে ফোন দেওয়ার কি প্রয়োজন?

রাহুল : তুমি যদি কোনটা প্রয়োজন অপ্রয়োজন বুঝতে তাহলে আর এই ঘটনাটা ঘটাতে না!

– [ কান থেকে ফোন নামিয়ে ] এই ইডিয়ট ডক্টরটা ও ফোন রিসিভ করছে না, এসব ডক্টরকে ভাদ্র মাসে পাগলা কুকুরের সামনে ছেড়ে দৌড়াতে দেওয়া উচিৎ,

– এতো রাতে অন্য ডক্টর পাবো কিনা ও কে জানে!

– [ হঠাৎ ] আরে হ্যা! নেহাল আছে তো!

স্নেহা : নেহাল?

রাহুল : হিমেটোলোজি স্টুডেন্ট!

স্নেহা : ওহ! [ রাহুল আর কিছু বললো না নেহালকেই ফোন দিলো ]

নেহাল : হ্যালো!

রাহুল : নেহাল! একটু আয়তো আমার রুমে!

নেহাল : ওহোহো ব্রাদার! আমার এসবের এক্সপেরিয়েন্স নেই! আমি কিছুই বলতে পারবো না!

রাহুল : শাট-আপ! তাড়াতাড়ি আয়!

নেহাল : এনি প্রবলেম ব্রো?

রাহুল : ইডিয়ট! আই সে্ কাম ফাষ্ট রাইট নাও!

নেহাল : ও..ওখে! ওখে কুল ব্রো কুল! আম কামিং! [ রাহুল ফোন রেখে তাকালো স্নেহার দিক, চোখাচোখি হোওয়ায় স্নেহা তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে এপাশ-ওপাশ চোখ নাড়াতে লাগলো ]

রাহুল : ম্যাথমেটিকস নিয়ে পড়ছো, মাথায় বুদ্ধিতে ভরপুর থাকার কথা,কিন্তু তুমি দেখছি পুরো উল্টো,পুরো মাথাটায় বোকামির ভান্ডার!

স্নেহা : কিছু হতে না হতেই আমার সাবজেক্টকে টেনে নিয়ে আসেন কেনো?

রাহুল : অহ রিয়েলি? কারণ এটা পড়তে পড়তেই তোমার মাথা আউট হয়ে গেছে!

স্নেহা : মো..মোটেও না!

রাহুল : নেক্সট টাইম থেকে উইদাউট মাই পারমিশন, ফ্যামিলি মেমবাররা ছাড়া কারো সাথে হ্যান্ডশেক, অথবা কেউ এসে যদি বলে ঐ মানুষটা সেন্সলেস হয়ে আছে অর ও মরে যাচ্ছে,

– দুনিয়া উল্টে গেলে ও তোমার যাওয়ার প্রয়োজন নেই!

স্নেহা : হোহ! কেউ বিপদে পড়েছে বললেও যাবো না এটা কেমন কথা?

রাহুল : হোহ! তাই না? [ বলেই স্নেহার হা করে থাকা মুখটা লাগিয়ে দিয়ে ] গিয়েছিলে তো ঐদিন ভার্সেটিতে,উল্টো নিজেই সেন্সলেস হয়ে কিডন্যাপ হয়ে বসেছিলে! [ স্নেহা ঢোগ গিলে চুপ হয়ে গেলো ]

রাহুল : স্নেহা! আমি তোমাকে বাধা দেওয়ায়, তুমি আমাকে এসবের জন্য বেড হাজবেন্ড মনে করলে ও আই ডোন্ট কেয়ার!

– কজ তোমার সেফটির জন্য আমি বেড কেনো? ভেরি বেড হাজবেন্ড হতেও রাজি! [ মনে মনে হাসতে লাগলো স্নেহা, কিছুক্ষণ পরেই দরজায় নক পড়লো, রাহুল উঠে গিয়ে তাড়াতাড়ি দরজা খুললো ]

নেহাল : অলরাইট ব্রো?

রাহুল : কাম! [ নেহাল রাহুলের পেছন পেছন ভেতরে এগিয়ে এলো, খাটের দিক তাকাতেই দেখে স্নেহা নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে ]

নেহাল : [ হাত নাড়িয়ে ] হ্যালো ভাবী!

রাহুল : সি্ হার হ্যান্ড!

নেহাল : হ্যান্ড? কি হয়েছে ভাবীর হাতে?

রাহুল : চেক ইট!

নেহাল : [ তাড়াতাড়ি স্নেহার পাশে বসে হাত এগিয়ে নিয়ে ] অহ মাই গড ভাবী! কিভাবে হলো এটা? হাওওওও?

রাহুল : নেহা করেছে ওর ফিংগার রিং দিয়ে, তুই জাষ্ট চেক কর যে,উল্টোপালটা কিছু এড করে দেইনি তো?

নেহাল : ইয়া..ইয়াহ! আই উইল চেক ইট! বাট এট! ফাষ্ট গিভ মি সা্ম কটোন এন্ড হ্যান্ড-রাব! [ রাহুল ড্রয়ার থেকে পুরো ফাষ্ট এইড বক্সটায় এনে দিলো নেহালকে, নেহাল কটোনে হ্যান্ড-রাব লাগিয়ে স্নেহার হাতের ব্লাড ক্লিন করে নিলো ]

রাহুল : [ অস্থির হয়ে ] টেল মি! না ইডিয়ট! হোয়াস্ দ্যা প্রবলেম?

নেহাল : ডোন্ট ওয়ারি ব্রো! জাষ্ট পিন প্রেস্ করেছে নাথিং এলস্!

রাহুল : ভালো করে চেক করে দেখ কোনো…

নেহাল : লুক! ভাবীস্ ব্লাড ইজ সো্ স্মুথ! যদি কিছু ডেঞ্জার হতো তাহলে ব্লাড কনজিয়েল্ড থাকতো!

স্নেহা : [ রাহুলের দিক তাকিয়ে ] দে..দেখেছেন! ডেঞ্জার কিছুই না আপনি শুধু শুধুই টেনশন করছিলেন! আর ওনাকে ও এতোরাতে ডিষ্টার্ব করলেন!

রাহুল : [ নাক ফুলিয়ে ] তাই?

নেহাল : [ হেসে স্নেহার হাত ব্যান্ডেজ করতে করতে ] নো নো ভাবী টেনশন করে চেকড করাটাও ইম্পর্ট্যান্ট! থেংক গড যে ডেঞ্জার কিছু ছিলো না, বাট হতেও তো পারতো!

– ফর এক্সাম্পল যে পিন দ্বারা হিট করা হয়েছে তাতে, এরসেনিক, বেল্লেডোনা, একোনেট, এই জাতীয় নামের কিছু পয়জন মিশিয়ে ও বডিতে পুশ করা যায়! এই পয়জন গুলো ব্লাডে মিশে গেলে ব্লাড প্লায়িং করা বন্ধ হয়ে যায় আই মিন ব্লাড কনজিয়েল্ড হয়ে যায়, প্লাস যে স্থানে পুশ করা হয় ঐ স্থানে ব্লাকপ্যাচ দেখা দেই! [ স্নেহা তাড়াতাড়ি হাতের দিক তাকিয়ে দেখতে লাগলো কোনো ব্লাকপ্যাচ আছে কিনা ]

নেহাল : [ হেসে ] ব্লোওজবস্ ভাবী! কিছু হয়নি! তবে হ্যা! আম শিয়র আপনার হাত প্রচুর পেইন করছে রাইট? আর এটা পিন পুশ করার পর থেকেই করছে, ইয়েস্ অর নো? [ স্নেহা আড়চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে দেখে রাহুল তার জবাব শোনার জন্য অনেক কৌতুহলি ভাবে তাকিয়ে আছে, হ্যা বলার সাথে সাথেই আরো কিছু স্পিচ দেওয়া শুরু করে দিবে, তাই ভেবেচিন্তে জবাব দেওয়া টাই ব্যাটার মনে করলো ]

স্নেহা : [ হেসে ] হ্যা! কক..করেছিলো কিন্তু এখন আর করছেনা!

রাহুল : লায়ার!

স্নেহা : সস..সত্যি!

নেহাল : না করলে তো ভালোই! বাট মোষ্ট অফ অল! পেইন করে, যার কারণ হলো রিং পিন গুলো সামুদ্রিক মাছের পয়জোনেস্ থিত দ্বারা তৈরী করা হয়! বাট পেইনটা ফিউ আওয়ারস্ এর জন্যই থাকে! এতে ফেয়ার থাকার কিছু নেই!

রাহুল : বাট পেইন কমবে কিভাবে?

নেহাল : ন্যাচারাল মেডিসিন! আই মিন রাইট নাও হট মিল্ক!

রাহুল : ওহ..ওখে!

নেহাল : ওখে! নাও আই শুড গো! গুড নাইট এন্ড টেক কেয়ার ভাবী!

স্নেহা : গুড নাইট! [ বেড়িয়ে গেলো নেহাল ]

রাহুল : তুমি বসো আমি আসছি!

স্নেহা : আ..আমি ঠিকাছি রাহুল..

রাহুল : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম! তোমার চোখ ও তাই বলছে! [ বলেই দরজা লাগিয়ে বেড়িয়ে গেলো ]

স্নেহা : একটা মিথ্যেও বলে থাকা যায় না,সবই ধরে ফেলে এই মিষ্টার তেডি স্মাইল! [ বলেই পাশফিরতে হঠাৎ চোখ পড়লো ফাষ্ট এইড বক্সের উপর, মুচকি হেসে বক্সটা গুছিয়ে নিয়ে ড্রয়ারে ভরে রাখলো, সাজানো রুমটির চারদিক চোখ বুলিয়ে দেখে আবারো হেটে খাটের ধারে এগিয়ে এসে বসলো,বিছানায় ছিটে থাকা ফুলের কিছু পাপড়ি হাতে তুলে নিয়ে ব্লাশিং হয়ে তাকিয়ে রইলো,কিছুক্ষণ আগেই রাহুলের গান গাওয়া ওড়না কেড়ে নিয়ে মাথায় দেওয়া মোমেন্ট গুলো ভাবছে আর হাসছে,

হঠাৎ, কিছুসময় পরই দরজা খোলার শব্দ এলো,পাশফিরে তাকাতেই দেখে, রাহুলই এসেছে হাতে গ্লাস ভরা দুধ নিয়ে ]

রাহুল : [ স্নেহার পাশে বসে ] নাও এটা ফিনিশ করো!

স্নেহা : [ ঢোগ গিলে ] এতো গুলো?

রাহুল : আবার বলো?

স্নেহা : নাহ! মানে, হাফ গ্লাস খেলেই আমার পেট ফুল হয়ে যায়! আর এইখানে তো…

রাহুল : পুরোটা ফিনিশ করবা! [ স্নেহা কিছু বলতে যাবে তখনি ]

রাহুল : নট ওয়ান মোর ওয়ার্ড! জাষ্ট ফিনিশ ইট! [ স্নেহা আর কিছু বললো না মুখ গোমড়া করে গ্লাস হাতে নিয়ে নিলো,জোড়ে একটি শ্বাস ফেলে গ্লাসে মুখ দিতেই সাথেসাথেই গরমের আচ লাগায় তাড়াতাড়ি চোখ-মুখ বটে রোবোট হয়ে যায় ]

রাহুল : [ চেচিয়ে ] কেয়ারফুল ডেম ইট! এটা গরম তো! [ বলেই স্নেহার হাত থেকে গ্লাস এগিয়ে নিয়ে নিলো,স্নেহা চোখ বটে মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে রাখলো ]

রাহুল : [ তাড়াতাড়ি স্নেহার মুখ থেকে হাত সরিয়ে ঠোটে স্লাইড করে ] বেশি লেগেছে? [ স্নেহা ধীরেধীরে চোখ খুলে মাথা নাড়ালো ]

রাহুল : এত্তো কেয়ারলেস্ কেনো তুমি? [ স্নেহা চুপ করে রইলো ]

– ওখে ওয়েট! [ বলেই রাহুল টেবিল থেকে পানির গ্লাস এনে স্নেহাকে খাইয়ে দিলো ]

স্নেহা : [ পানি খেয়ে ] আমি ঠিকাছি রাহুল!আমার হাত সত্যিই ব্যাথা করছে না,

রাহুল : আমি ঠান্ডা করে দিচ্ছি চুপচাপ খেয়ে নাও আর কোনো কথা নেই!

স্নেহা : কিন্তু! [ বলতেই রাহুল স্নেহার মুখে আংগুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিলো,আরেক হাতে দুধের গ্লাস তুলে নিয়ে ফু দিয়ে ঠান্ডা করতে লাগলো, এবং কিছুক্ষণ পরপরই স্নেহার মুখের সামনে এগিয়ে দিচ্ছিলো,স্নেহার ও কি আর করার বাধ্য মেয়ের মতো পুরো গ্লাসের দুধ ফিনিশ করতে হলো ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] আমি দোষ করেছি বলে আমাকে ইচ্ছে মতো খাওয়াচ্ছে! একবার আপনার দোষ খুজে পাই তারপর দেখবেন কিভাবে খাওয়ায়!

রাহুল : কি ভাবছো?

স্নেহা : কক..কই কিছুই তো না!

রাহুল : রিয়েলি? [ with tedi smile ]

স্নেহা : হুম!

রাহুল : সরি!

স্নেহা : সরি? কে…কেনো?

রাহুল : বকেছি তাই!

স্নেহা : [ সোজা তাকিয়ে ] তো কি হয়েছে! হক আছে আপনার, বউ হইতো!

রাহুল : [ মুচকি হেসে ] তাই? [ মাথা নাড়ালো স্নেহা ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত কাছে টেনে নিয়ে ] ব্যথা করছে অনেক তাই না?

স্নেহা : [ রাহুলের গাল টেনে দিয়ে ] হুম অনেক!

রাহুল : কামঅন স্নেহা! কতোবার বলেছি আমি বাচ্চা না!

স্নেহা : [ হেসে রাহুলের মুখের সামনে চুরি বাজিয়ে ] নিন! খুলে দিন! [ রাহুল স্নেহার হাত এগিয়ে নিয়ে দু-হাতের চুরি গুলো খুলে দিলো, সাথে সাথেই আবার স্নেহা খাটে পা তুলে পেছন হয়ে বসে পড়লো, রাহুল বুঝতে পেরে হেসে ধীরেধীরে স্নেহার গলার নেকলেস, কানের-দুল, মাথায় লাগানো টায়রা, সবই খুলে দিলো ]

স্নেহা : [ রাহুলের দিক ফিরে ] থেংক ইউউ! [ বলেই আবারো গাল টেনে দিয়ে ] ওহ! সরি,আপনি তো বাচ্চা না! [ রাহুল হেসে তাকালো স্নেহার দিক,স্নেহা ও বুঝতে পেরে হেসে খাট থেকে অর্নামেন্টস্ সব কুড়িয়ে নিয়ে ড্রেসিং এ রাখতে চলে গেলো ]

রাহুল : [ হাতে মাথা ভর দিয়ে শুয়ে উপরের দিক তাকিয়ে তাকিয়ে ] স্নেহা! তুমি আমার রিপ্লাই দাওনি কিন্তু এখনো!

স্নেহা : কিসের রিপ্লাই? আমার তো কিছু মনে নেই!

রাহুল : তোমার একটা চুড়ি রয়েগেছে এইদিকে! নিয়ে যাও!

স্নেহা : [ বুঝতে পেরে হেসে ] হ্যা ওটা আপনিই রেখে দিন! [ বলতেই রাহুল হেসে উঠে বসে দেখে, স্নেহা ড্রেসিং এর মিরর দেখে দেখে মাথার খোপা খুলছে, রাহুল মুচকি হেসে এগিয়ে গেলো স্নেহার দিক, পেছন থেকে ধীরেধীরে স্নেহার ওড়না সরিয়ে কোমোড়ে হাত রেখে দাড়ালো, স্নেহা ও মাথা থেকে হাত নামিয়ে স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে, হাত আর চলছিলো না খালি কোমোড়ে রাহুলের স্পর্শ পেয়ে ]

রাহুল : [ স্নেহার ঘাড়ে নাক দিয়ে স্লাইড করে ] আম সো্ হ্যাপি স্নেহা! ইউ নোও হোয়াই?

স্নেহা : [ রাহুলের দিক ফিরে কাধে হাত রেখে জড়িয়ে ] ইয়েস্ আই নোও! বিকজ নাও আম অনলি ইয়র!

রাহুল : এক্সকিউজ মি! নাও মানে? আগে ছিলানা?

স্নেহা : আরে নাহ! আমি তো আগেও আপনার ছিলাম…

রাহুল : তাই? [ with tedi smile ]

[ স্নেহা লজ্জা পেয়ে হেসে রাহুলের বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে, রাহুল ও হেসে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রেখে আস্তে করে কোলে তুলে নেয় স্নেহাকে, খাটের দিক এগিয়ে এসে বিছানার মাঝে শুয়ে দিলো,আর স্নেহা অপলক চোখে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক, রাহুল আলতো করে স্নেহার নাকে একটি চুমু খেয়ে উঠে যাচ্ছিলো তখনিই হঠাৎ স্নেহা রাহুলের হাত ধরে কাছে টান মারে, আর রাহুল ও আনব্যালেন্স থাকায় স্নেহার গায়ের উপর এসে পড়ে, দুজনেরই কপালের সাথে কপাল লেগে বাড়ি খেয়ে আঘাত হানি করে ]

স্নেহা : [ চেচিয়ে ] আআহহ!

রাহুল : শিট! সরি সরি সরি! [ বলেই স্নেহার কপাল ঘষে দিতে লাগলো, আর স্নেহা কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো ]

রাহুল : [ অবাক হয়ে হেসে ] হোয়াই আর ইউ লাফিং?

স্নেহা : [ হাসতে হাসতে ] আপনি ও তো হাসছেন!

রাহুল : [ হেসে ] হ্যা! কিন্তু তুমি কেনো হাসছো?

স্নেহা : বলছি! [ বলেই বসার জন্য মাথা উঠাচ্ছিলো তখনিই আবার রাহুলের মুখের সাথে বাড়ি খেয়ে নাক চেপে হেসে শুয়ে পড়লো ]

রাহুল : কেয়ারফুল ডেম ইট! [ বলেই স্নেহার নাকে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ] হোয়াট আর ইউ ডোয়িং হ্যা? কি হয়ে গেছে তোমার? ব্যথা পাচ্ছো আবার নিজে নিজে হাসছো!

স্নেহা : [ হেসে হেসে ] আই ডোন্ট নোও কি হচ্ছে!

রাহুল : [ হেসে স্নেহার পাশে মাথা রেখে শুয়ে ] পাগল হয়ে গেছো!

স্নেহা : আই থিংক! [ বলেই রাহুলের বুকে মাথা রেখে হাসতে হাসতে ] আই থিংক ইউ আর রাইট!

রাহুল : অহ রিয়েলি! তার মানে তুমি মেনে নিয়েছো তুমি পাগল!

– [ হেসে ] তাহলে আমি তখন যেটা বলেছিলাম ম্যাথমেটিকস্ পড়তে পড়তে তোমার মাথা আউট হয়েগেছে ওটাও রাইট বলেছি! [ স্নেহা তার জড়িয়ে রাখা হাত দিয়ে,দিলো একটা চিমটি রাহুলের পেটে ]

রাহুল : আআওও! [ বলেই আবার হেসে হেসে টাইট করে জড়িয়ে রাখলো স্নেহাকে, দুজনেই চুপচাপ হয়ে শুয়ে আছে, কিছু সময় পেড়িয়ে যাওয়ার পর স্নেহা মাথা তুলে তাকালো রাহুলের চেহেরার দিক, চোখ বন্ধ রাহুলের ]

স্নেহা : [ মনে মনে ] গতকাল রাতের না ঘুমানো ঘুম গুলো এক্ষুণিই দিচ্ছে! আর আমি সকালে ঘুমুতে বলায় কি বলে! ডোন্ট ওয়ারি স্নেহা! আমার না ঘুমিয়ে থাকার এক্সপেরিয়েন্স আছে! [ বলেই কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো রাহুলের চেহেরার দিক, মুচকি হেসে সামনের চুল গুলোর উপর হাত বুলিয়ে দিলো,ঠোটের দিক চোখ পড়াতে ব্লাশিং হয়ে হেসে হাত দিয়ে স্লাইড করে দিতে লাগলো দাড়ির উপর, হঠাৎ মনে পড়লো যদি তার হাতের স্পর্শে রাহুলের ঘুম ভেংগে যায়, তাই তাড়াহুড়ো করে সরিয়ে নিলো হাত, আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে, আবারো আস্তে করে রাহুলের বুকে মাথা রেখে চোখ বটে শুয়ে পড়লো ]

রাহুল : গুড নাইট স্নেহা! [ বলতেই স্নেহা অবাক হয়ে চোখ খুললো, মাথা উঠিয়ে রাহুলের চেহেরার দিক তাকাতেই দেখে,চোখ বন্ধ অবস্থায় ও হাসছে রাহুল, বুঝতে পারলো স্নেহা তার মানে রাহুল জেগে আছে ]

স্নেহা : [ মুচকি হেসে রাহুলের গালটা টেনে দিয়ে ] গুড নাইট! [ বলেই রাহুলকে জড়িয়ে বুকে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো, রাহুল ও হেসে স্নেহাকে আগলে নিয়ে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলো, এভাবেই দুজনে ঘুমিয়ে পড়লো ]

পরদিন সকাল ৯টা বেজে ১০ মিনিট,

আলসেমি কেটে কম্বল থেকে হাত বের করে ধীরেধীরে চোখ খুললো রাহুল, বুকে স্নেহাকে না পেয়ে অবাক হলো, পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখলো স্নেহা নেই! রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে ওয়াসরুমের সুইচের দিকও তাকিয়ে দেখলো সুইচ অফ!

রাহুল : [ মনে মনে ] তারমানে স্নেহা নিচে চলে গেছে, কিন্তু সবাইকে গুডমর্নিং বলার আগে আমাকে বলে যাওয়া উচিৎ ছিলো তো! বিয়ের পরের ফাষ্ট মর্নিং বলে কথা! [ হঠাৎ গায়ের কম্বল এর দিক চোখ পড়ায় কিছুক্ষণ চিন্তা করে মুচকি হেসে ] বাহ! বউ এর কেয়ার পাওয়া তাহলে শুরু!

– কিন্তু এই মেয়েটা নিজের ক্ষেত্রে পুরোই উল্টো! কেয়ারলেস্ গার্ল কোথাকার! হাতের পেইন কমেছে কিনা ও কে জানে! [ বলেই কম্বল সরিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে আলসেমি কেটে, আলমীরার দিক এগিয়ে গিয়ে কাপড় নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো,

ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে বেড়িয়ে, টাওয়েল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে ড্রেসিং এর দিক এগুচ্ছিলো, হঠাৎ রাহুলের এমন মনে হলো যেনো পেছন দিয়ে কেউ তাড়াহুড়ো করে আলমিরার কর্ণারে লুকে পড়েছে, পাশ ফিরে তাকালো রাহুল কিন্তু কাউকেই দেখা যাচ্ছে না, তবে কারো গোলাপী রঙের শাড়ীর আচলটা মাটিতে ঝুলে আছে! অবাক হয়ে মুচকি হাসলো রাহুল,কারণ সে বুঝতে পেরেছে এটা স্নেহারই কান্ড!

রাহুল : [ মনে মনে ] পাগলী একটা! ও কি তখনও এইদিকটা লুকে ছিলো নাকি?

– [ অবাক হয়ে ] কিন্তু এই স্নেহা আমার কাছ থেকে লুকছে কেনো?

[ টাওয়েলটা বিছানায় ছুড়ে ফেলে ধীরেধীরে এগিয়ে গেলো আলমীরার কর্ণারের দিক, আর স্নেহা রাহুলকে দেখতেই তাড়াহুড়ো করে উল্টোপাশ ফিরে গেলো, রাহুল ও অবাক হলো স্নেহার কান্ডে ]

রাহুল : হেইই দেয়ার! আই কেন সি্ ইউ! [ স্নেহা তাও ফিরে তাকালো না,বরং শাড়ীটা আরো টেনেটুনে নিয়ে গায়ে পেচিয়ে রাখলো,

রাহুল ও মুচকি হেসে স্নেহার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত তাকিয়ে, আধপেচানো শাড়ী পড়া দেখে বুঝতে পারলো, তারমানে স্নেহা নিচে যায়নি তখন ও এইদিকটা লুকিয়ে ছিলো তাকে দেখে,আর এই শাড়ী পড়ার মহানচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এতোক্ষণ ধরে ]

রাহুল : কামঅন! স্নেহা নাও আম ইয়র হায়বেন্ড! সো্ আমাকে লজ্জা পেয়ে লুকানোর কি আছে?

– কাম! [ স্নেহা তাও এলো না,লজ্জায় গুটি মেরে দাঁড়িয়েই আছে ঐ জায়গায় ]

রাহুল : [ স্নেহার হাত ধরে টেনে বের করে এনে ] হোয়াট স্নেহা?এতো লজ্জা? [ স্নেহা নিচের দিক তাকিয়ে চুপ হয়ে আছে ]

– আচ্ছা! শাড়ী পড়ছিলে?

স্নেহা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুম!

রাহুল : সো্ পড়া শেষ!

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে মাথা নাড়িয়ে ] নাহ!

– এক্সুলি! গতকাল রাতে দাদী বলে রেখেছিলো যাতে সকালে এই শাড়ীটাই পড়ি!

– বাট আ..আমি শাড়ী পড়তে জানিনা!

রাহুল : [ হেসে ] হুমম! তা তো দেখেই বোঝা যাচ্ছে!

স্নেহা : হাসছেন কেনো? আমি শাড়ী পড়িনা তাই জানিনা, এর আগে ভার্সেটি প্রোগ্রামে একবার পড়েছিলাম, তাও মার্জান পড়িয়ে দিয়েছিলো, [ রাহুলের ও মনে পড়লো সেই মোমেন্টটির কথা, যখন সে এন্ট্রি লাইট ঠিক করে অন করেছিলো, তখনি নীল রঙের একটি শাড়ী পড়ে স্নেহা গেইট দিয়ে ঢুকছিলো ]

রাহুল : আর কি না লেগেছিলো তোমাকে ঐদিন! ইচ্ছে করেছিলো…[ বলতেই স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো ]

রাহুল : আব.. ও..ওকে ডোন্ট ওয়ারি! টেনশন করছো কেনো, আজ আমি পড়িয়ে দেবো!

স্নেহা : আপনি?

রাহুল : হ্যা! আমি! তাতে অবাক হোওয়ার কি আছে? ছেলেরাও কি শাড়ী পড়ানো জানতে পারে না?

স্নেহা : হ্যা! পা..পারে! বাট আপনি?

– মানে কিভাবে?

রাহুল : শাট-আপ স্নেহা! এখন আবার কিভাবে জানি ওটার ডিটেইল ও বলতে হবে নাকি!

– এসো পড়িয়েদি [ বলেই স্নেহার হাত ধরে একদম কাছে টেনে নিলো,স্নেহা ও শকড হয়ে মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে গেছে, আর রাহুল মনে মনে হেসে স্নেহার ঘাড় থেকে ভেজা ভেজা পানি চুপসানো চুল গুলো সব একপাশ করে এনে রাখে, হাত দিয়ে ঘাড়ে স্লাইড করে আচল টেনে নিয়ে নেয়, ধীরেধীরে স্নেহাকে ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে চারদিকের পেচানো শাড়ীটা খুলে নিলো, আর এইদিকে স্নেহা লজ্জায় কোন দিকে না কোন দিকে ঢেকে রাখবে বুঝতে পারছিলো না, হাতদিয়ে কিচ্ছুক্ষণ পেট ঢাকছে তো কিছুক্ষণ ঘাড়ে হাত রেখে বুক ঢাকছে, আর রাহুল শাড়ী পড়ানোর বাহানা নিয়ে স্নেহার, পেটে, ঘাড়ে, হাতে স্লাইড করে ধরে ধরে স্নেহার নার্ভাসনেস্ এর মজা নিচ্ছে সাথে স্নেহার কান্ড দেখে মনে মনে হাসি ও পাচ্ছিলো প্রচুর ]

রাহুল : [ স্নেহার কানে ফিসফিসিয়ে ] স্নেহা! তুমি এতো সফট! কেনো? একদম মালাই কুলফির মতো! [ বলেই স্নেহার পেটে স্লাইড করে শাড়ী খুচে দিতে লাগলো আর এইদিকে স্নেহার রাহুলের হাতের স্পর্শে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো, চোখ বন্ধ করে, জোড়ে জোড়ে শ্বাস ফেলতে লাগলো স্নেহা ]

রাহুল : [ দাড়ি দিয়ে স্নেহার ঘাড়ে স্লাইড করে ] ইউ ওকে স্নেহা!

স্নেহা : [ ঢোগ গিলে ] তা..তাড়াতাড়ি! পড়ান.. লে..লেইট হচ্ছে তো!

রাহুল : [ হেসে ] ই..ইয়াহ শিয়র! [ বলেই হাতের পাঁচ আংগুলে পাঁচ বটা দিয়ে একটি কুচি বানিয়ে খুচে দিলো স্নেহার পেটিকোটে, তারপর ধীরেধীরে আচলটা টেনে নিয়ে স্নেহার কোমোড় থেকে ঘুড়িয়ে ঘাড়ে ঝুলিয়ে দিলো ]

রাহুল : ডান! [ বলেই কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে এক্সাইটেড হয়ে ] বাহ! স্নেহা আমি শাড়ী পড়িয়ে দিয়েছি! আর তোমাকে তো এমন লাগছে যেনো রেড কার্পেটে ওয়াক দিতে যাচ্ছো! সো্ সেক্সি!

স্নেহা : কিহ?

রাহুল : কিক..কিছুনা! তুমি এসো এইদিকে মিররে এসে দেখো! [ স্নেহা মাথা নাড়িয়ে হেসে এক পা সামনে এগুতেই, ঝরঝর করে শাড়ীর সামনের কুচি সব খুলে পড়লো, শকড হয়ে স্নেহা রাহুলের দিক একবার তাকিয়ে তাড়াতাড়ি কুচি ধরার জন্য নিচে ঝুকতেই ঘাড় থেকে শাড়ীর আচলটা ও খুলে পড়ে গেলো, রাহুল ও অবাক হয়ে চোখ বড় করে করে তাকিয়ে আছে, স্নেহা আড়চোখে রাহুলের দিক তাকিয়ে তাড়াতাড়ি শাড়ী কুড়িয়ে নিয়ে গায়ে পেচিয়ে উঠে দাড়ালো ]

রাহুল : [ লজ্জা পেয়ে ঘাড় চুলকাতে চুলকাতে ] স্নেহা! তুমি এখনো ভালো করে হাটতেও শেখোনি! [ বিরবির করে ] দু-বার হয়েছে ভাগ্যিস দুনোবারই আমার সামনে হয়েছে!

স্নেহা : আর আপনি যে বললেন আপনি শাড়ী পড়াতে পারেন?

– এক পা বাড়াতেই শাড়ী খুলে গেলো!

রাহুল : [ জিহবায় কামড় খেয়ে ] এ..এক্সুলি! আই কান্ট!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আচ্ছা? তারমানে আপনি এতোক্ষণ…

– এতোক্ষণ এডভান্টেজ নিচ্ছিলেন?

[ রাহুল পকেটে হাত রেখে তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার কাছে এসে দাঁড়ায়,স্নেহা ঢোগ গিলে পা পিছিয়ে নেই ]

রাহুল : [ স্নেহার নাকে নাক ঘষে ] নট এডভান্টেজ স্নেহা! নাও আম ইয়র হাজবেন্ড ছুতেই তো পারি!

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে