♥Love At 1st Sight♥
~~~Season 3~~~
Part – 46
writer-Jubaida Sobti♥
মার্জান, শায়লা, জারিফা তিনজনই বেড়িয়ে পড়লো..
_________ এইদিকে,
রাহুল ড্রাইভ করছে, স্নেহা কোলের উপর লেপটপ রেখে কাপড় এর ডিজাইন দেখছে, গালে হাত দিয়ে হুটহাট একটার পর একটা খালি চেঞ্জ করতেই চলছে, মাথায় কনফিউজড এ ভরপুর হয়ে যাচ্ছে স্নেহার,ঠাস করেই লেপটপটা বন্ধ করে রেখেদিলো!
রাহুল : আরে কি হলো?
স্নেহা : দেখেন রাহুল! এসব আমার দ্বারা হবে না, আপনিই যে কোনো একটা চয়েস করে নিয়ে নিন ব্যাস!
রাহুল : কনফিউজড হওয়ার কি আছে? তুমি যেটাই পড়বে সেটাতেই তোমাকে এঞ্জেল লাগবে, [ চুপ করে জানালার পাশ ফিরে রইলো স্নেহা ]
রাহুল : কি হলো স্নেহা? তোমার মন খারাপ মনে হচ্ছে! একটু আগেই তো মেসেজে অনেক হুমকিটুমকি দিলা, আমি তো ভয়ে আমার ইম্পর্টেন্ট কাজটাজ সব ফেলে তাড়াহুড়ো করে চলে এলাম,
স্নেহা : মেসেজ গুলো আমি দিইনি!
রাহুল : [ অবাক হয়ে ] তাহলে?
স্নেহা : ওরা তিনজন মিলে দিয়েছে!
রাহুল : আচ্ছা ইউ মিন ঐ নটি কোম্পানির দল?
স্নেহা : হুমম!
রাহুল : হোয়াটট? হোয়াট, হোয়াট? আমাকে বোকা বানিয়েছে? [ হঠাৎ স্নেহার হাসি চলে এলো রাহুলের কথা শুনে ]
– হাসো তুমি ওরা আমার ইমোশন নিয়ে খেলেছে, আমি ভাবলাম তুমি নিজেই আমার সাথে টাইম স্পেন্ড করতে চাচ্ছিলে, হয়তো আমাকে খুব মিস্ করছিলে তাই আদর করে বললে সুইটহার্ট তুমি কোথায়? এক্ষুনি আসো..[ কাদো ভাবে ] তার মানে সব বানানো ছিলো! ইডিয়ট কোথাকার ওদের তো আমি আজ রাতেই দেখে নিবো!
স্নেহা : [ হেসে ] নিজেকে অতিচালাক মনে করলে এমনই হয়! [ রাহুল ও আর কিছু বললো না, শার্ট থেকে সানগ্লাসটা ছুটিয়ে নিয়ে চোখে পড়ে নিলো, বুঝতে পারছে পাশ থেকে স্নেহা তাকিয়ে আছে হাসি পাচ্ছিলো রাহুলের, তাও হাসি চেপে রেখে শিস বাজিয়ে গান করতে করতে গাড়ী চালাতে লাগলো, হঠাৎ খেয়াল করলো কেউ টান মেরে সানগ্লাসটা খুলে নিয়ে নিলো, পাশ ফিরে তাকাতেই দেখে সানগ্লাসটা স্নেহাই পড়ে নিচ্ছে, মনে মনে হারিয়ে যাচ্ছে রাহুল, স্নেহার সানগ্লাস পড়া রকিং স্টাইল দেখে, কিনা লাগছে উফফ! ইচ্ছে করছে গালটা টেনে একটা টাইট করে কিস দিবে, কিন্তু সবই ভাগ্যের খেলা এই সময় স্নেহা তার থেকে কমপক্ষে একহাত দূরে, তারউপর ড্রাইভিং ও করছে ]
হঠাৎ,
স্নেহা : [ চেচিয়ে ] রাহুলল! সামনে থাকান! [ রাহুল মাথাঘুরিয়ে সামনে তাকাতেই সাথেসাথে গাড়ী জোড়ে একটা ব্রেক নিয়ে থেমে গেলো, ভয়ের সাথে দীর্ঘ একটি শ্বাস ও বেড়িয়ে এলো দু-জনের, আর একটুর জন্য এক্সিডেন্ট হতে হতে বেচে গেলো, স্নেহার দিক আর তাকালো না রাহুল, কারণ সে জানে এখন স্নেহা তাকে বড় একটা কম্পোজিশন শুনিয়ে দিবে, তাই ধীরেধীরে গাড়ীটা সাইড করে একপাশ করে দাড় করালো, এর আগেও অনেকবার এক্সিডেন্ট এর মুখোমুখি হয়েছে রাহুল, কিন্তু মনে ভয় ছিলো না বরং আরও ফ্রিডম কাজ করতো, কিন্তু আজ হঠাৎ কেনো যেনো বুকটাও কাপছে, কারণ তার সাথে আজ স্নেহা ও আছে, যদি কিছু হয়ে যেতো? ]
স্নেহা : আজিব! ধ্যান কোথায় ছিলো আপনার?
রাহুল : তোমার কাছে!
স্নেহা : [ মাথা নাড়িয়ে, সানগ্লাসটা খুলে রাহুলের কাছে ছুড়ে মেরে ] ঠিকাছে! [ বলেই হুটহাট গাড়ীর দরজা খুলে পেছনের সি্টে গিয়ে বসে পড়লো, অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাহুল ]
রাহুল : আরে স্নেহা রাগ করছো কেনো?
স্নেহা : এখন থেকে আমি পেছনেই বসবো, তারপর আপনার ধ্যান শুধু ড্রাইভিং এ ফোকাস্ হবে,
রাহুল : [ গাড়ী থেকে নেমে, পেছনের সিটে এগিয়ে এসে বসে ] ওকে তো বাবা সরি আর হবে না,
– আচ্ছা নাও কান ধরলাম! [ চুপ করে রইলো স্নেহা ]
রাহুল : তুমি সানগ্লাস পড়েছিলে, কিনা লাগছিলো তোমায়,আমিতো পুরো… [ আড়চোখে তাকালো স্নেহা, চুপ হয়ে গেলো রাহুল, ধীরেধীরে স্নেহার হাতের উপর হাত রাখতেই হুট করে হাত সরিয়ে নিলো স্নেহা ]
রাহুল : [ ইমোশনাল হয়ে ] আ..আজকে আমার বিয়ে, কিছুটাতো রহোম করো স্নেহা! আর কখনো হবে না, ফোকাস্ অলোয়েজ ড্রাইভিং এ থাকবে, প্রমিস! [ জানালার পাশফিরে গেলো স্নেহা, হঠাৎ শুরশুরি লেগে উঠলো, কানের ধারে চুল সরিয়ে ফিসফিস করে কেউ বলতে লাগলো, আই লাভ ইউ! চোখ বন্ধ করে জোড়ে একটি শ্বাস ফেলে ভাবতে লাগলো স্নেহা কেনো যেনো রাহুলের মুখ থেকে আই লাভ ইউ! কথাটি শুনতেই নিজেকে স্বর্গে আবিস্কার করছে এমনই মনে হয়, হালকা করে কানে একটি কিস্ করলো রাহুল, শিউরে উঠে মাথা সরিয়ে ধীরেধীরে রাহুলের পাশ ফিরে তাকালো স্নেহা, তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে রাহুল, হঠাৎ লজ্জা লেগে উঠলো স্নেহার, ব্লাশিং হয়ে সেও হেসে উঠলো ]
রাহুল : [ স্নেহার গাল টেনে দিয়ে ] কামঅন স্নেহা! স্ট্রোভেরি ফ্লেভার হয়ে যাচ্ছো [ বলেই স্নেহার গালে কিস্ করতেই যাচ্ছিলো, হুট করেই স্নেহা পিছিয়ে গিয়ে,হেসে রাহুলের গালটাও টেনে দিলো ]
রাহুল : আও! স্নেহা! আগেই বলেছি আমি বাচ্চা না!
স্নেহা : তাহলে কি আমি বাচ্চা আমাকেও টানলেন কেনো?
রাহুল : তুমি বাচ্চা না তো কি? কথা নেই বার্তা নেই বাচ্চাদের মতো গালফুলিয়ে অপ করে পেছনে এসে বসে গেছো!
স্নেহা : [ আড়চোখে তাকিয়ে ] কথা নেই বার্তা নেই তাই না? একটু আগে এতোবড় ভূলটা কে করতে ছিলো শুনি? [ বলেই রাহুলের নাকটা টেনে চেপে ধরে রাখলো ]
রাহুল : [ হেসে নাক থেকে স্নেহার হাত ছুটিয়ে দিয়ে ] আচ্ছা ওকে সরি,এটা আর বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে না! [ বলেই স্নেহার মাথা টেনে কপালে একটি চুমু খেলো, মুচকি হেসে রাহুলের হাত জড়িয়ে কাধে মাথা রাখলো স্নেহা, এভাবেই গল্প করতে করতে এক ঘন্টা কাটিয়ে দিলো তারা ]
রাহুল : এখন তো অন্তত সামনে এসে বসবা! হুম?[ স্নেহা মাথা নাড়িয়ে একবার না করে দিলো, রাহুলের মুখটা গোমড়া করে ফেলায় আবার মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ করে ফেললো স্নেহা, দু-জনেই একসাথে হেসে উঠলো, বরাবরের মতোই স্নেহা সামনে এসে বসে পড়লো আর রাহুল ড্রাইভিং সি্টে বসে ড্রাইভ করছে, কিছুক্ষণ পরই রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে দেখলো, স্নেহা অনেক চিন্তিত ভাবে বসে আছে ]
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হুম?
রাহুল : কি চিন্তা করছো?
স্নেহা : কিছুই না! [ রাহুল বুঝতে পারলো স্নেহা মিথ্যে বলছে, তাই গাড়ী তাড়াতাড়ি মোড় ঘুড়িয়ে নিলো, গাড়ী এসে থামলো সেই জায়গায় যেখানে তারা রাতের শীতে দাঁড়িয়ে আইস্ক্রীম খেয়েছিলো ]
রাহুল : চলো আইস্ক্রীম খাবা!
স্নেহা : [ কনফিউজড হয়ে ] আমি কি বলেছি আইসক্রীম খাবো?
রাহুল : এমনিতে তো আইস্ক্রীমের গাড়ীটা দেখলেই লাফাতে থাকো আজ এতো কনফিউজড হচ্ছো কেনো? চলো নামো! [ রাহুলের কথা মতো স্নেহা ও নেমে দাড়ালো,আগের মতোই স্নেহার পছন্দের ম্যাংগো ফ্লেভার এর কুলফিটা নিলো, তাকিয়ে আছে রাহুল স্নেহার দিক, আইস্ক্রীম গলে পড়ে যাচ্ছে আর স্নেহার খবরই নেই! অন্যমনস্ক হয়ে আছে স্নেহা ]
রাহুল : [ স্নেহাকে নাড়িয়ে দিয়ে ] স্নেহা! কোথায় হারিয়ে গেলা?
স্নেহা : [ চমকে উঠে ] হ্যাঁ?.. নাহ কিছুনা [ বলেই অল্প একটু আইস্ক্রীম খেলো ]
রাহুল : স্নেহা তুমি ঠিকাছো তো? আজ তো তোমার সবচেয়ে বেশী খুশি হওয়ার কথা,আমি তো ভাবলাম খুশিতে তুমি চারপাচটা আইস্ক্রীম একসাথেই খেয়ে নিবা, কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি অনেক চিন্তিত!
স্নেহা : [ আইস্ক্রীমটা গ্লাসে ভরে রেখে ] আমার ইচ্ছে করছে না আইস্ক্রীম খেতে [ বলেই হুরহুর করে গাড়ীর পেছনের সিটে গিয়ে বসে পড়লো, রাহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে, কি হলো স্নেহার এমন বিহেভ করছে কেনো,আইস্ক্রীমের টাকা পে করে স্নেহার দিক এসে দরজা খুলতে গেলো, কিন্তু দরজা খুলছে না,বুঝতে পারলো রাহুল স্নেহা ভেতর থেকে লক করে রেখেছে, কিন্তু হঠাৎ এমন করার মানে কি? ]
রাহুল : স্নেহা! হোয়াট হ্যাপেন টেল মি! [ চুপ করেই বসে রইলো স্নেহা ]
রাহুল : [ গ্লাসে টোকা মেরে ] লক খুলো! [ কোনো জবাবই দিচ্ছে না স্নেহা ]
রাহুল : কি সমস্যা এমন কেনো করছো? আমি কিছু ভুল করেছি? [ মাথা নাড়ালো স্নেহা ]
– তাহলে?
স্নেহা : [ আরো একটু গ্লাস নামিয়ে ] রাহুল! আমি বাসায় যাবো!
রাহুল : লক খুলো!
স্নেহা : দেখেন আমার মন এমনিতেই খারাপ,আপনি গিয়ে গাড়ী চালান,আমাকে একটু একা থাকতে দিন,
রাহুল : আচ্ছা! এককাজ করি আমি রোডের মাঝে গিয়েই দাঁড়ায়,গাড়ী সবাই আমার উপরই চালিয়ে দিক! [ বলেই হেটে চলে যাচ্ছে ]
স্নেহা : [ দরজা খুলে চেচিয়ে ] আরে আরে! কই যাচ্ছেন! [ পেছন ফিরে তাকালো রাহুল ]
স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] খু..খুলেছি!
রাহুল : [ এগিয়ে এসে ] আরেকটু ভেতরে ঢুকো! [ পিছিয়ে গেলো স্নেহা,রাহুল ও স্নেহার পাশে বসে দরজা লাগিয়ে দিলো ]
– এইবার বলো মন কেনো খারাপ? আর যদি চুপ করে থাকো তাহলে দেখবা কি করি!
স্নেহা : ব..বললে আপনার মন ও খারাপ হয়ে যাবে তাই আপনি না জানাটাই ব্যাটার!
রাহুল : লিসেন্ট আমি না জানলে তোমার মন ভালো করবো কিভাবে?
স্নেহা : বললাম তো! তখন আপনার নিজের মনই খারাপ হয়ে যাবে!
রাহুল : আচ্ছা সমস্যা নেই আমার মন খারাপ হোক! তোমার মন ভালো করতে পারলেই হলো!
স্নেহা : বলবো?
রাহুল : হ্যা বলো!
স্নেহা : রাগবেন না কিন্তু বলেদিলাম!
রাহুল : ওকেই ওকে, রাগবো না!
স্নেহা : ব..বলছিলাম যে বিয়েতে যদি আপনার বা..বাবাকেও.. [ স্নেহার মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে দিলো রাহুল, স্নেহা আবারো কিছু বলতে যাবে তখনি ]
রাহুল : শিসসস! আজকে আমি তোমাকে বিয়ে করছি, আমি আজ অনেক অনেক খুশি! সো্ আজ এসব কথা বলে মুডটা নষ্ট করতে চাই না! হ্যাপি থাকো, যে চিন্তাটা করতে ছিলা ওটা মাথা থেকে ফেলে দাও!
স্নেহা : [ নাকফুলিয়ে রাহুল হাতটা ঝাড়ি মেরে সরিয়ে ] আপনি আসলেই একটা..
রাহুল : হ্যা! আমি অনেক কিছু! তাও হ্যাপি থাকো! কিন্তু যেটা বলতে ছিলা ওটা আর মাথায়ও আনবা না! চলো সামনে এসে বসো
স্নেহা : কখনোই না!
রাহুল : [ মাথা নাড়িয়ে ] ওকে! [ বলেই স্নেহার হাত টেনে ধরে বের করে আনলো ]
স্নেহা : দেখেন আপনি জবরদস্তি করছেন!
রাহুল : জবরদস্তির এখনো কি দেখেছো! হেটে গিয়ে বসবা নাকি কোলে তুলে বসাবো? [ মুখ ভেংগিয়ে হনহন করে সামনে গিয়ে বসে ধুপ করেই দরজা লাগিয়ে দিলো স্নেহা, হাসতে লাগলো রাহুল স্নেহার কান্ডে, আর না ভেবে গাড়ীতে গিয়ে উঠে বসলো, স্নেহা জানালার পাশ ফিরে রইলো ]
রাহুল : মন এখন খারাপ থাকলে সমস্যা নেই! রাতে ঠিক করে দিবো! [ with tedi smile ] [ স্নেহা বিরবির করে কি কি যেনো বলে নাক ফুলিয়ে রাখলো ]
রাহুল : ওহ গড স্নেহা! আর কতো লাল হবা রেড স্পাইসি্ ডিশ হয়ে যাচ্ছো! [ চুপ করেই রইলো স্নেহা ]
রাহুল : মনে মনে ভাবছো বিয়েই করবে না আমাকে তাই তো! [ হেসে ] কিন্তু এখন আর আমি তোমার পার্মিশন এর অপেক্ষায় থাকছি না, বাচ্চা মেয়ে থেকে আবার কিসের পার্মিশন? [ স্নেহা আড়চোখে একবার তাকিয়ে আবারো জানালার পাশ ফিরে গেলো ]
রাহুল : কাধে তুলে উঠিয়ে নিয়ে আসবো, [ অভিমান করে চুপচাপই রয়ে গেলো স্নেহা,রাহুল বকবক করে স্নেহাকে আরো রাগ তুলে দিতে দিতে এসে পৌছালো স্নেহার বাসার সামনে, তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে নামতে গেলো স্নেহা, কিন্তু দরজা খোলা যাচ্ছিলো না পাশ ফিরে রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে তেডি স্মাইল দিয়ে তাকিয়ে আছে ]
রাহুল : রিলেক্স স্নেহা! এতো তাড়া কিসের?একটা কিস্ দাও লক খুলে যাবে [ জোড়ে একটি শ্বাস ফেললো স্নেহা ] আচ্ছা শুনো! সন্ধায় তোমার জন্য কাপড় পাঠিয়ে দিবো, তৈরী থাকবা, [ মুখ ভেংগিয়ে অন্যপাশ ফিরে গেলো স্নেহা ]
রাহুল : [ হেসে ] আচ্ছা ঠিকাছে না পড়লে সমস্যা নেই! আমি এসে নিজ হাতেই পড়িয়ে দিবো! [ স্নেহা তাকাতেই রাহুল চোখ টিপ মারলো, হঠাৎ খেয়াল করলো স্নেহা রাহুলের দিক এগুচ্ছে, একদম কাছে এগিয়ে আসতেই অবাক হয়ে স্নেহার চুলের স্মেল নিতে লাগলো রাহুল, হাতটা এগিয়ে সুইচড চেপে ডোর লক ওপেন করলো স্নেহা ]
রাহুল : অও! আমাকে বললেই পারতে! [ with tedi smile ]
নাকফুলিয়ে হনহন করে নেমে চলে যাচ্ছে স্নেহা,
রাহুল : [ হেসে চিৎকার করে ] আরে স্নেহা! একটা বাই তো বলো! [ উপরে উঠে গেলো স্নেহা, বাসায় গিয়ে বেল বাজাতেই দেখে জারিফা,মার্জান,শায়লা তিনজনই একত্রে মিলে তাড়াহুড়া করে দরজা খুললো ]
জারিফা : তুই?
মার্জান : দু-ঘন্টাতেই শেষ! আরেকটু লেইট করে আসলেই পারতি! [ স্নেহা কিছু বলতে যাবে তখনিই জারিফা স্নেহাকে সরিয়ে আশেপাশে উকি দিয়ে দিয়ে দেখতে লাগলো ]
স্নেহা : আরে কাকে খুজছিস?
জারিফা : [ কনফিউজড হয়ে ] আব..রার..রাহুল রাহুলকে! ও আসেনি!
স্নেহা : নাহ! কিক..কিন্তু তোদের ভাবসাব দেখে তো মনে হচ্ছে তোরা আর কারো অপেক্ষা করছিলি!
শায়লা : মোটেও না, আ..আমরা তো রাহুলের অপেক্ষা করছিলাম! রাহুলের!
মার্জান : আরে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি? আয় ভেতরে আয়! [ বলেই স্নেহাকে টেনে নিয়ে রুমে চলে যায় ]
স্নেহা : এ..এক মিনিট, তোরা তখন আমার মোবাইল থেকে রাহুলকে ঐ মেসেজ গুলো কেনো দিলি?
জারিফা : আরে স্নেহা! আমরা চাচ্ছিলাম যে তোরা কিছুক্ষণ একসাথে টাইম স্পেন্ড কর তাইই!
স্নেহা : [ তিনজনের দিক কিচ্ছুক্ষণ ঘুরঘুর করে তাকিয়ে ] মাথায় কি চলছে তোদের বলতো?
মার্জান : আব..দে..দেখ স্নেহা! [ আলমারি খুলে ] এই কাপড়টা আজ পড়বো ভাবছি! দারুণ না? হুমম?
জারিফা : আর আমি এটা! দেখ দেখ!
শায়লা : আরে এই জুয়েলারি গুলি দেখ! উফফ আমার তো ওয়েটই হচ্ছে না কখন রাত হবে!
স্নেহা : বাহানা বানিয়ে বারবার কথা ঘুরিয়ে দিচ্ছিস! আর এসব তো আমাকে গতকাল রাতেও দেখিয়েছিস!
জারিফা : [ হেসে ] আরে তখন তো রাত ছিলো তাই না? তাই এখন আবার দিনে দেখাচ্ছি! কেমন দেখতে বল? হুম হুম? [ হঠাৎ বেল বেজে উঠলো দরজায়, স্নেহা খেয়াল করলো বেল এর সাথে সাথে এই তিনজনের চোখ দু-টো ও বড় বড় হয়ে গেছে, দৌড়ে দরজা খুলতে যাচ্ছিলো তিনজন ঐ সময় স্নেহা রুমের দরজায় হাত রেখে পথ আটকিয়ে ধরলো ]
মার্জান : আরে স্নেহা সর বেল বাজছে!
স্নেহা : তাতো আমিও শুনতে পাচ্ছি! কিন্তু সকাল থেকে দেখছি, দরজা খুলতে তোদের অনেক তাড়া?
মার্জান : আরে সকালে তো রাহুলকে মেসেজ করেছিলাম তাই ওর জন্য তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলতে যেতেছিলাম!
স্নেহা : [ মাথা নাড়িয়ে ] হুমম! তো এখন কিসের তাড়া?
জারিফা : আরে স্নেহা সর! [ বলেই স্নেহাকে সরিয়ে দরজা খুলতে যাবে তখনিই স্নেহার মা চেচিয়ে চেচিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলো, বাকিরা উকি দিয়ে তাকাতেই স্নেহা ও উকি দিয়ে দেখলো কে, সাথে সাথেই স্নেহা থমকে গেলো, চোখ দু-টো রসগোল্লার মতো বড় বড় হয়ে গেলো স্নেহার, নড়াচড়া বন্ধ একদম স্টেচিউ! ]
মার্জান : [ স্নেহার কাধে হাত রেখে এক্সাইটেড হয়ে ] আরে এসে গেছে! ওয়াও!
জারিফা : [ স্নেহাকে ধাক্ষা দিয়ে ফিসফিসিয়ে ] আরে স্নেহা দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যা না!
স্নেহা : আমি সপ্ন দেখছি? নাকি সত্যি সত্যিই দেখছি ?
চলবে….