♥Love At 1St Sight♥
~~~Season 3~~~
Part – 26
writer-Jubaida Sobti♥
স্নেহা ও ব্লাশিং হয়ে জড়িয়ে ধরলো রাহুলকে,দুজনে চোখ বন্ধ করে রাখলো…অন্যরকম অজানা এক ভালো লাগা কাজ করছে…যা পৃথিবীর সকল ভালো লাগাকে হার মানাবে,
কিছুক্ষণ পর,
রাহুল : হেই!
স্নেহা : হুম!
রাহুল : ফাইনালি তুমি এখন আমার হয়ে গেছো!
স্নেহা : উমম! কই?.. নাতো!
রাহুল : Shut-up স্নেহা!
স্নেহা : [ হেসে ] হ্যা! আপনার তো হয়েছি কিন্তু এখনো ফাইনালি হয়নি!
রাহুল : আচ্ছা? তো ফাইনালি কবে হবা?..
স্নেহা : [ রাহুলকে আরো শক্ত করে চেপে ধরে ] যখন আমাদের বিয়ে হবে! তখন আমি ফাইনালি আপনার হবো!
রাহুল : [ দু-হাত দিয়ে স্নেহার মাথা তুলে তার দিক ফিরিয়ে নিয়ে ] তাহলে চলো..বিয়ে করে ফেলি..
[ স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ]
রাহুল : আমি তোমাকে ফাইনালি আমার করে নিতে চাই!
[ স্নেহা হেসে রাহুলের বুকে আবার মাথা রাখলো ]
রাহুল : স্নেহা যখনি তোমাকে বুকে জড়িয়েনি এমনই মনে হয়…যেনো পৃথিবীতে আর কিছু পাওয়ার বাকি নেই! সব পেয়েগেছি!
স্নেহা : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে মাথা তুলে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] আর আমি যখনি আপনার বুকে মাথা রাখি এমনই মনে হয় যেনো এর চেয়ে শান্তির স্থান আর কোথাও পাবো না…সব শান্তিই এইখানে!
রাহুল : [ স্নেহার কপাল টেনে নিয়ে একটি চুমু খেয়ে ] আই লাভ ইউ স্নেহা!
[ স্নেহা ব্লাশিং হয়ে রাহুলকে আবার জড়িয়ে ধরে, রাহুল ও হেসে জড়িয়ে ধরে রাখে ]
________________________________
এইদিকে,
জারিফা আর মার্জান বই হাতে দু-জন খাটে বসে আছে,
মার্জান : ইয়ার! জারিফা এখন তো অন্তত ফোনটা ধর,
জারিফা : তুই চুপচাপ পড় আর আমাকে ও পড়তে দে!
মার্জান : [ মুখ ভেংগিয়ে জোড়ে একটি শাস ফেলে জানালার সাথে হেলান দিয়ে বসে ] বাহ! কি ওয়েদার…ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস, আমার তো ইচ্ছে হয় যেনো সারাজীবনই শীতকাল থেকে যাক, আরে হ্যা! এই স্নেহা কই গেলো বলতো?.. একটু পর ৯টা বাজবে আর ও এখনো বাসায় আসেনি!
জারিফা : রাহুলের সাথেই আছে!
মার্জান : কথা হয়েছে তোর সাথে?..
জারিফা : মেসেজ করেছে!
– ইয়ার! একতো রাহুল গতকাল রাতে এতোকিছু হয়ে যাওয়ার পরে ও সকাল সকাল আবার ভার্সেটি এসে স্নেহার সাথে মিট করে গেছে…এখন আবার স্নেহার সাথে…মানে স্নেহা স্নেহা
– স্নেহা ছাড়া ও কিছু বুঝেই না…[ নাকফুলিয়ে ] আর এইদিকে ওকে দেখ… না ভার্সেটি এসেছিলো… না সকালে আমাকে ফোন দিয়ে একটা গুড মর্নিং বলেছে! জনাব দুপুর, ১২টায় আমাকে ফোন দিয়ে বলে গুড মর্নিং! [ বলেই মুখ ফুলিয়ে বই বন্ধ করে অন্যপাশ ফিরে বসে থাকে ]
মার্জান : [ হেসে ] আরে ওর ঘুম যখনি ভেংগেছে, তখন গুড মর্নিং বলেছে আরকি! আর ও তো বললোই ঘুমাতে ঘুমাতে সকাল ৬টা বেজে গেছিলো,
জারিফা : আরে! ওরা তিনজন মিলেই তো ঐ দারোয়ানটাকে ধোলায় করছিলো! নিশ্চয় রাহুলের ও ঘুমাতে লেইট হয়েছিলো তাও তো রাহুল স্নেহার জন্য ভার্সেটি চলে এসেছে!
মার্জান : [ বই বন্ধ করে জারিফার পাশ এসে বসে ] ইয়ার! সবার মাঝে ভালোবাসার ফিল আছে,কিন্তু সবার ফিলিংসটা সেইম না! এক এক জন এক এক তরিকায় সেটা প্রকাশ করে থাকে, রাহুল রাহুলের মতো করে তার ভালোবাসা প্রকাশ করে, আর রিদোয়ান রিদোয়ানের মতো,
– আর ও বেচারা কখন থেকেই তো তোকে সরি বলে যাচ্ছে, তুই তোর জেদ নিয়ে বসে আছিস!
জারিফা : ব্যাস! একবারে ওর শিক্ষা হয়ে যাক,এরপর থেকে ওর মনে থাকবে,
মার্জান : [ হেসে ] গুড মর্নিং মিস্ করেছে বেচারা! তাই এতোবড় শাস্তি, এরপর তো একটাও মিস্ করে নাই! গুড নুন, গুড আফটারনুন, গুড ইভিনিং এখন খালি গুড নাইটটা বলা বাকি আছে, [ বলেই কিটকিটিয়ে হাসতে থাকে ]
________________________________
এইদিকে,
স্নেহা : রাহুল! ডিনার ঠান্ডা হচ্ছে,
রাহুল : উমম! ব্যাস আর কিছুক্ষণ জরিয়ে ধরে রাখি!
স্নেহা : [ হেসে ] ব্যাস, ব্যাস আর কিছুক্ষণ কতোবারই তো বলেছেন!
[ বলেই রাহুল থেকে ছুটে দাঁড়ায় এবং একটু হেসে রাহুলকে টেনে চেয়ারে বসিয়ে দেই, রাহুল ও হেসে স্নেহার হাত ধরে টেনে পাশের চেয়ারটিতে বসিয়ে দেই! স্নেহা প্লেটে খাবার বাড়ছে আর রাহুল মুখে হাত দিয়ে এক পলকে স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে,]
স্নেহা : আর তাকিয়ে না থেকে নিন! এবার শুরু করুন!
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে ] ওকে! [ বলেই চামচ এগিয়ে নিয়ে প্লেটে রাখলো ]
স্নেহা চেয়ে আছে রাহুল তার ব্যান্ডেজ করা আংগুলটি বাদে বাকি আংগুল গুলোদিয়ে চামচটা সুবিধা করে ধরে খাবার মুখে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে…
একটু হেসে চামচটা কেড়ে নিলো স্নেহা!
রাহুল অবাক হয়ে তাকালো স্নেহার দিক!
স্নেহা : আ…যয..যদি চান আমি খাওয়াতে পারি! [ বলেই অন্যদিক ফিরে গেলো ]
[ Rahul give a tedi smile ]
স্নেহা : [ কোণা চোখে তাকিয়ে দেখে রাহুল হাসছে ] আব..বলছি যে যদি আপনি চান, তাহলে,
রাহুল : [ স্নেহার কাছে মুখ এনে ] উইদাউট স্পুন, যদি আপনি আপনার হাত দিয়ে খাওয়ান তাহলে খেতে পারি [ With tedi smile ]
স্নেহা ব্লাশিং হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে একটু হেসে বন প্লেটে হাতটা ধুয়ে নিলো,
রাহুল তাকিয়েই আছে স্নেহার চেহেরার দিক! স্নেহা রাহুলের প্লেটটা কাছে টেনে হাতে খাবার নিয়ে রাহুলের মুখে তুলে দিলো!
[ রাহুল খাবার মুখে নিয়ে বুকে হাত দিয়ে চোখ বড় করে করে চিবাতে লাগলো ]
স্নেহা : [ শকড হয়ে ] কিক..কি হয়েছে?..ঠিকাছেন আপনি?..[ পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে ] পাপ…পানি খান!
রাহুল : [ পানির গ্লাসটা নিয়ে টেবিলে রেখে দিয়ে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] স্নেহা! তোমার হাতে যাদু আছে মানতে হবে! কি না রান্না করেছো তোমারতো মাষ্টার সেফ এ জয়েন করা উচিৎ!
স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আপনার রিয়েক্ট দেখে তো আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম.. আমার মনে হয়েছিলো আপনার গলায় খাবার আটকে গেছে! [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আর আপনি যতোটাই রিয়েক্ট করছেন ততোটাই মজা হয়নি তা আমি ভালো করেই জানি!
রাহুল : রিয়েলি স্নেহা! আমি মিথ্যে বলছিনা…এক তো তোমার হাতের রান্না করা খাবার… তারউপর..তোমার সেই যাদুকরী হাতে খাইয়ে দিচ্ছো! ওয়াহ! সব মিলিয়ে একদম জমে ক্ষীর!
– বাই দ্যা ওয়ে তোমাকে অলরাউন্ডার বলে নোবেল দেওয়া উচিৎ! সব দিকে ব্রিলিয়ান্ট তুমি, স্টাডি, ডান্স, সিংগিং, কুকিং সবই ফাটাফাটি!
স্নেহা : একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে না?..
রাহুল : আচ্ছা আমার ক্ষিদে বেড়ে গেছে তাড়াতাড়ি খাওয়াও… [ স্নেহা আবার খাইয়ে দিলো ]
রাহুল : ওয়াহ! স্নেহা সুপ্পার!
– আচ্ছা শুনো… এগুলো সবই কিন্তু আমি খাবো! [ স্নেহা অবাক হয়ে তাকালে ] মানে যদি পেট ভরে যায়, সারারাত মিলে যখনি খিদে লাগবে একটু একটু করে খেয়ে নেবো! তাও সব আমিই খাবো!
– এইভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?..তুমি রান্না করেছো বলে কথা!
স্নেহা : [ কনফিউজড হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে মনে মনে ] আসলেই কি খাবার এত্তো মজা হয়েছে?..আমি এর আগে রান্না করেছি,কই কখনো তো রাহুলের মতো করে কেউ তারিফ করেনি!
রাহুল : [ স্নেহাকে নাড়িয়ে দিয়ে ] আরে কি হলো খাওয়াবে না?..বললাম তো খিদে পেয়ে গেছে আমার অনেক!
স্নেহা : হুম খাওয়াচ্ছি..এ..এক সেকেন্ড [ বলেই স্নেহা টেষ্ট করার জন্য তার মুখে খাবার দিতেই ছিলো! হুট করেই রাহুল স্নেহার হাত থামিয়ে ফেলে, স্নেহা অবাক হয়ে তাকালো রাহুলের দিক! ]
রাহুল : আরে কি করছো স্নেহা বললাম তো সব খাবার আমি খাবো…তুমি না একদম বেশি…আমার ক্ষিদে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছো [ বলেই স্নেহা থেকে প্লেটটা কেড়ে নিয়ে চামচ দিয়ে…খাওয়া শুরু করলো ]
রাহুল : স্নেহা! খাবারের স্মেলটা ও কিন্তু ওয়াও!
স্নেহা রাহুলের দিক হা করে তাকিয়ে আছে, এর আগে কখনো রাহুলকে এভাবে খেতে দেখেনি! স্নেহার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে রাহুলের কান্ড গুলো আসলেই কি এতোটা মজা হয়েছে খাবার…ইনফ্যাক্ট রাহুল স্নেহাকে ও একটু খেতে দিচ্ছে না!…
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে স্নেহা রাহুলের কাছ থেকে খাবারের প্লেটটা টেনে নিয়ে নিলো…
রাহুল : [ অবাক হয়ে ] আরে?.. [ বলেই প্লেটটা কেড়ে নিতে চাইলো সাথে সাথে স্নেহা প্লেটটা ওপাশ সরিয়ে ফেলে ]
স্নেহা : কি এমন মজা হয়েছে আমি ও একটু ট্রাই করি!
রাহুল : তোমার ট্রাই করতে হবে না তুমি নিজের রান্না অনেক খেয়েছো! এবার আমায় খেতে দাও!
[ স্নেহা কোনো জবাব না দিয়ে প্লেট থেকে খাবার নিয়ে মুখে তুলে নিলো,
এবং না চিবিয়ে স্নেহা অতোটুকুতেই মূর্তির মতো হয়ে গেলো, তা দেখে রাহুল তাড়াতাড়ি অন্যপাশ ফিরে যায়,…কিছুক্ষণ পর স্নেহা মুখে হাত দিয়ে কেশে উঠে… রাহুল তাড়াতাড়ি পানির গ্লাসটা নিয়ে স্নেহার মুখের সামনে এগিয়ে দিলো.. স্নেহা পানি খেয়ে অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো.. ]
রাহুল : [ ধীরেধীরে স্নেহার হাত থেকে প্লেটটা এগিয়ে নিয়ে কোণা চোখে স্নেহার দিক তাকিয়ে ] খাইয়ে দিবে বলে খাওয়াচ্ছো না…আমি নিজে খাচ্ছিলাম..তাও টেনে নিয়ে ফেলছো! [ বলেই আবার চামচ দিয়ে খাবার মুখে দিতেই স্নেহা রাহুলের হাত ধরে থামিয়ে ফেলে ]
স্নেহা : কি জঘন্য খাবার! মিষ্টির জন্য মুখেই দেওয়া যাচ্ছে না! আর আপনি এসব কিভাবে খাচ্ছেন!
[ রাহুল কোনো জবাব না দিয়ে আবারো খেতে চাইলে স্নেহা টান দিয়ে হাত থেকে চামচটা কেড়ে নিয়ে ফেলে ]
রাহুল : আরে স্নেহা!
স্নেহা : স্টপ রাহুল! এসব খেলে ফুড পয়েজন হবে!
আর আপনার ওভারএক্টিং দেখে আমার এমনই মনে হয়েছিলো,
– যে খাবারে কিছু একটা হয়েছে!
রাহুল : [ স্নেহার চেয়ারটা একদম কাছে টেনে নিয়ে স্নেহাকে তার দিক ফিরিয়ে সোজা করে ] খাবার যেমনটাই হবে হোক আমার জন্য তো এটা পৃথিবীর বড় বড় সেফ এর ডিশকে ও হার মানাবে! [ বলেই তেডি স্মাইল দিতে থাকে ]
স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] কি গাধার কাজ করেছি আমি! চিনি আর লবণ এর পার্থক্যটাই ভুলে গেছি! এমনটা কেনো হয়েছে বুঝতে পারছিনা..
রাহুল : রিলেক্স স্নেহা! দ্যাটস্ ওকে নো প্রবলেম,আপসে্ট হচ্ছো কেনো?..
স্নেহা : আর আপনি কিভাবে খাচ্ছিলেন এসব ছিঃ!
রাহুল : ও হ্যা! খাওয়া কিন্তু এখনো শেষ হয়নি আমার…
[ বলেই আবার স্নেহা থেকে চামচটা কেড়ে নিতে চাইলে স্নেহা হাত পেছনে দিয়ে চামচটা লুকিয়ে ফেলে ]
স্নেহা : [ রাহুলের গালে হাত বুলিয়ে ] এতো ভালোবাসেন রাহুল?..
রাহুল : এনি ডাউট?.. [ With tedi smile ]
[ স্নেহার চোখে জল এসে জমে গেছে, মুখে হাসি ফুটছে সাথে ব্লাশিং হচ্ছে ]
রাহুল : হাগ করো!
[ স্নেহা হেসে রাহুলকে জড়িয়ে ধরলো ]
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হুম!
রাহুল : জানো! আজ প্রথম, মা আর দাদী ছাড়া অন্য কেউ খাইয়ে দিয়েছে!
[ স্নেহা রাহুলকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ]
রাহুল : স্নেহা!
স্নেহা : হুমমম!
রাহুল : তোমাকে একটা জিনিষ দেওয়ার ছিলো!
স্নেহা : [ রাহুল থেকে ছুটে এসে ] কিহ?…
রাহুল : এক সেকেন্ড! [ বলেই পকেট থেকে একটি বক্স বের করে হাতে নিলো ]
স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] এটাই কি?…
রাহুল : [ বক্সটা খুলে একটি রিং বের করে হাতে ধরলো ] তোমার হাতটা দাও!
স্নেহা : রার…রাহুল! এটা…
রাহুল স্নেহার হাতটা এগিয়ে নিয়ে স্নেহার আংগুলে রিংটি পড়িয়ে দিলো!
[ স্নেহার চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পড়লো ]
রাহুল : [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] হেই! হোয়াই আর ইউ ক্রায়িং?..[ বলেই স্নেহার চোখের পানি গুলো মুছে দিলো ]
স্নেহা : [ কাদো কন্ঠে ] রাহুল!
রাহুল : শিসসস! ওক্কে..ওকে
[ বলেই ধীরেধীরে মুখ এগিয়ে নিয়ে স্নেহার গালে একটি চুমু দিলো ]
রাহুল : [ স্নেহার কানে ফিসফিসিয়ে ] ফিলিং বেটার?..
[ স্নেহা হেসে মাথা নাড়ালো ]
রাহুল : বাই দ্যা ওয়ে স্নেহা! আমার তো অনেক খিধে পেয়েছে!
স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে খাবারের দিক তাকালো,আবার রাহুলের দিক তাকিয়ে ] আচ্ছা?..আ… আমি আবার কিছু বানিয়ে দি? আই প্রমিস্ এবার সব দেখেশুনে করবো!
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে মাথা নাড়িয়ে ] উম!হুম! এতে টাইম লেগে যাবে…আমার এক্ষুণি চাই! [ বলেই স্নেহার ঠোটের দিক তাকিয়ে থাকে ]
[ স্নেহা বুঝতে পেরে চুপ হয়ে নিচের দিক তাকিয়ে ফেলে, রাহুল ধীরেধীরে মুখ কাছে আনতেই স্নেহা উঠে যেতে চায় কিন্তু রাহুল স্নেহার হাত চেপে ধরে রাখে…রাহুল চোখ বন্ধ করে মুখ যতো কাছে এগুচ্ছে আর স্নেহার হার্টবিট ততো বাড়তে চলছে… স্নেহা ও চোখ বন্ধ করে গুটিশুটি হয়ে যায়! ]
রাহুল : [ স্নেহার নাকের সাথে নাক লাগিয়ে ] যদি করি!
– তাহলে রাগ করবা?…
স্নেহা : [ জোড়ে জোড়ে শাস ফেলে ] নাহ!
রাহুল : [ ফিসফিসিয়ে ] তোমার কেমন ফিল হয়?..
স্নেহা : যেয…যেমনকি…হাহ..হারিয়ে গেছি…
[ রাহুল স্নেহার ঠোটের সাথে ঠোট লাগাতেই স্নেহা মাথা পিছিয়ে নেয় ]
রাহুল : কামঅন স্নেহা!
– এর আগেও তো দু-বার করেছো…
– এতো ভয় পাচ্ছো কেনো!
স্নেহা : [ কাপা গলায় ] দুদ..দুবার ককবে…এ..একবার করেছি!
রাহুল : ভার্সেটিতে…
স্নেহা : জোজ…জোড় করে কক….করেছেন!
রাহুল : [ চোখ খুলে হেসে চেঁচিয়ে ] হোয়াট?..
স্নেহা ও চমকে উঠে চোখ খুলে তাড়াতাড়ি সোজা হয়ে রাহুল থেকে সরে বসে,
রাহুল : [ হেসে ] বাই দ্যা ওয়ে স্নেহা পারমিশন নিয়ে করায় মজা কোথায় যেটা জোড় করে করেই পাওয়া যায়!
স্নেহা পানি ঢেলে হাত ধুয়ে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে, এবং ওড়না ঠিক করে মাথা নিচু করে অন্যপাশ ফিরে আছে…
কিছুক্ষণ পর রাহুলের দিক তাকাতেই হার্টবিট আবার দ্রুত চলতে লাগলো…
রাহুল উঠে দাঁড়ালো… তেডি স্মাইল দিয়ে স্নেহার একদম কাছে এসে দাঁড়ায়…
স্নেহা পা পিছিয়ে দিয়ে সরে দাঁড়ালো… রাহুল আবারো পা বাড়িয়ে কাছে এসে দাঁড়ায়…
স্নেহা পিছিয়ে গেলো… রাহুল এগিয়ে এলো… স্নেহা পেছাচ্ছে রাহুল এগুচ্ছে…
হুট করেই জানালার পাশের দেওয়ালের সাথে ধাক্ষা খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো স্নেহা! আড়চোখে পেছনের দিক তাকিয়ে দেখে আর পেছানোর জায়গা নেই!
বাতাস বেয়ে আসছে জানালা দিয়ে…পরদা গুলো ও বার বার উড়ে এসে গা ছুয়ে যাচ্ছে….
চোখ তুলে রাহুলের দিক তাকাতেই দেখে রাহুল স্নেহার এতোটাই কাছে এসে দাড়িয়েছে যে রাহুলের ছুড়ে দেওয়া প্রতিটা নিশাসই স্নেহার মুখে এসে পড়ছে…
রাহুল তেডি স্মাইল দিয়ে একহাত দেওয়ালে রেখে আরেক হাতে স্নেহার সামনের চুল গুলো কানে গুজে দিলো…
স্নেহা শিউরে উঠছে…
রাহুল স্নেহার কাছে মাথা এনে গাল দিয়ে স্নেহার গালে দাড়ি গুলো ঘষে দিলো… স্নেহা কেপে উঠছে বারবার, নাক দিয়ে মুখে স্লাইড করতেই স্নেহা ভোর কুচকে চোখ বন্ধ করে ফেললো….
ধীরেধীরে রাহুল মাথা নুয়ে…তার ঠোট দিয়ে স্নেহার পুরো ঠোট দখল করে নিলো…
সাথে সাথে স্নেহা রাহুলের…জ্যাকেটটা খামছে ধরলো….রাহুল স্নেহার পেটের দিক টি-শার্টের নিচে হাত দিয়ে স্লাইড করে কোমোড়ে জড়িয়ে ধরলো…
পা দিয়ে স্নেহার পায়ে স্লাইড করতেই স্নেহা শিউরে উঠে তার পা আলগে করে দাঁড়ায়…
চলবে….