EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার পর্ব-১৩

0
2494

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার ?
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ১৩শ

আমি আব্বুকে বললামঃ আব্বু আমাদের টিকেট কয়টায়?

আব্বুঃ আগামী কাল সকাল সাতটায়।

আমিঃ ঠিক আছে।

সামিয়া আর আমি রুমে আসলাম। সামিয়া বেড ঝাড়তে ঝাড়তে বললোঃ জানো আজকে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি।

আমি সামিয়াকে পিছন থেকে হালকা জড়িয়ে ধরে বললামঃ এতো খুশি হওয়ার কারণটা কি জানতে পারি কি?

সামিয়া বেড ঝাড়া রেখে আমার গলা জড়িয়ে ধরে বললোঃ এইযে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে হানিমুনে যাবো। এটা কি খুশির খবর নয়?

আমিঃ হ্যাঁ আমিও অনেক খুশি হয়েছি।( সামিয়ার কপালে চুমু)

বিকেলে আমি আর সামিয়া দুজনে শপিং করতে গেলাম। যদিও বিয়ের আগে প্রয়োজনীয় সব শপিং করা হয়েছিলো। কিন্তু হানিমুনে যাওয়ার জন্য আলাদা করে আবার শপিং করতেছি।

শপিং শেষ করে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পরে আমার জন্য এক কাপ কফি অর্ডার করলাম। সামিয়া কে জিজ্ঞাসা করলামঃ সামিয়া তুমি কি খাবে?

সামিয়া নম্র সরে বললঃ আমি ফুচকা খাবো।

আমিঃ কিহহ তোমার এখানো ছোট্ট বাচ্চাদের মতো ফুচকা খাওয়ার অভ্যাস গেল না।

সামিয়াঃ ফুচকা কি শুধু ছোট বাচ্চারাই খায়? একটু পিছনে তাকিয়ে দেখো।

সামিয়ার কথা শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে একটা মেয়েকে ফুচকা তুলে খাওয়াচ্ছে। আমি মুচকি হেঁসে সামিয়াকে বললামঃ তুমিও কি এইভাবে খেতে চাচ্ছো?

সামিয়া মাথা নেড়ে হ্যাঁ সম্মতি দিলো। আমি ওয়েটার কে বলে একটা প্লেট ফুচকা নিয়ে আসালাম। সামিয়া কে আমার পাশে বসিয়ে ফুচকা তুলে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
সামিয়া ছোট বাচ্চাদের মতো করে খাচ্ছে আর আমি ওর খাওয়া দেখতেছি। সামিয়া প্লেট থেকে একটা ফুচকা আমার মুখে তুলে দিলো। আমিও সেটা খেয়ে নিলাম। প্রিয় মানুষটির হাতে কোনো কিছু তুলে খাওয়া যে কত আনন্দের তা সকলেই জানে। আর প্রিয় মানুষটা যদি নিজের লাইফ পার্টনার হয়ে থাকে তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই।

ফুচকা খাওয়া শেষে বিল পেমেন্ট করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসলাম।গাড়ির কাছে এসে আমি সামিয়া কে বললামঃ আর কিছু খাবে কি?

সামিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললোঃ একটা আইসক্রিম হলে মন্দ হয়না।

সামিয়ার জন্য দোকান থেকে একটা আইসক্রিম নিয়ে আসলাম। সামিয়া কে আইসক্রিম দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম। সামিয়া আইসক্রিম খেতে খেতে আমার পাশের সিটে বসলো। আমি গাড়ি ড্রাইভ করতেছি আর সামিয়ার আইসক্রিম খাওয়ার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছি । বিষয়টা বুঝতে পেরে আমার দিকে আইসক্রিম টা এগিয়ে দিয়ে দুষ্টু হেসে বললোঃ আমাকে বললেই তো হয় তোমার খেতে মন চাচ্ছে বারবার এভাবে তাকানোর কি আছে?

আমিঃ আমি তোমার এই আইসক্রিম খাবো না।

সামিয়াঃ তাহলে কোনটা খাবে?

আইসক্রিম টা গলে যাওয়ার ফলে আইসক্রিম খাওয়ার সময় সামিয়ার দুই গালে কিছুটা লেগে যায়।আমি সামিয়ার গালের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে বললামঃ তোমার ওগুলো খাবো।

আমার কথা শুনে সামিয়া হাত দিয়ে যেমনি তার গালে লেগে থাকা আইসক্রিম গুলো মুছতে যাবে। তখনি আমি তার হাত টা ধরে ফেলে বললামঃ আমি থাকতে এগুলো এতো কষ্ট করে হাত দিয়ে মুছার কি আছে।( গাড়ি রোডের এক পাশে দাঁড় করাতে করাতে)

সামিয়াঃ ম মানে।(কিছুটা অবাক হয়ে)

সামিয়া কে আর কিছু না বলে একটান দিয়ে আমার কোলে বসিয়ে ওর গালে লেগে থাকা আইসক্রিম গুলো চুষে খেতে শুরু করলাম। আইসক্রিম খাওয়া শেষ করে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি সে এক নজরে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর ওর ঠোঁট গুলো কাপতেছে।

আমি লোভ সামলাতে না পেরে ঠোঁট গুলোতে হালকা ছোঁয়া দিলাম। সামিয়া আমার থেকে একটু সরিয়ে বসে বললোঃ এই তোমার রাস্তা ঘাটেও বাঁদরামি শুরু হয়ে গেছে?

আমি সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভ করতে করতে বললামঃ কি করবো বলো তোমার স্ট্রব্রেরির মতো গালে যদি মেঘের মতো বরফ কণা জমা হয়ে থাকে আর সেগুলো যদি গোলাপি ঠোঁট দুটোকে স্পর্শ করে তাহলে কি করে ঠিক থাকবো।

সামিয়া আমার কথা শুনে একটু ফিক করে হেঁসে দিয়ে বললোঃ আমাকে বলতে তাহলে আমি তোমাকে ভালোভাবেই খাওয়াতাম ।

আমিঃ সেটা নাহয় ধরাই থাকলো।

সামিয়াঃ হুঁ বললেই হলো।

বাসায় আসতে রাত আটটা বেজে গেল। গাড়ি পার্ক করে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে দুজনে ডিনার করার জন্য নিচে আসলাম। ডিনার শেষ করে রুমে এসে সামিয়া ল্যাগেজ ‌গুছাতে লাগলো। আর আমি অনলাইনে হোটেল বুক করে নিলাম।

সামিয়ার ল্যাকেজ গোছানো হলে আমার পাশে এসে শুয়ে পড়লো।আমি ল্যাপটপ টা রেখে করে লাইট অফ করে এসে সামিয়া কে আমার বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নাস্তা করে আব্বু আম্মু আর সাফিয়া কে বলে বাসা থেকে বের
হলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় সাফিয়া সামিয়া কে জড়িয়ে ধরে বললোঃ ভাবি তুমি আমার জন্য কি নিয়ে আসবে?

সামিয়া সাফিয়ার গালে হাত দিয়ে বললোঃ আমার ননদির জন্য একটা টেডি বিয়ার নিয়ে আসবো কেমন।

সামিয়ার কথা শুনে আব্বু আম্মু সবাই হাসতে লাগলো। যাইহোক, গাড়ি নিয়ে বাস স্ট্যান্ডে আসলাম। আর হ্যাঁ আমরা হানিমুনে যাচ্ছি বাসে করে। তবে প্লেনে জার্নি করলে বেশ মজাদার হতো।

বালুডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে এসে গাড়ি থেকে নেমে আমি আর সামিয়া বাসে উঠে পড়লাম। একটু পরেই বাস ছেড়ে দিলো। বাস ছেড়ে দেওয়ার পরে আমি ব্যাগ থেকে চাটনি আর কিছু চিপস সামিয়া কে দিলাম। সামিয়া আমার কাঁধে মাথা রেখে সেগুলো খাচ্ছে। মাঝে মাঝে আমাকেও খাইয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ যাবৎ জার্নি করে পৌঁছলাম কক্সবাজারে ।

বাস থেকে নেমে সোজায় হোটেলে চলে গেলাম। রাত হওয়ায় আর কোথাও ঘুরতে বের হলাম না। ম্যানেজারের কাছ থেকে রুমের চাবি নিয়ে এসে দরজা খুলে রুমে ঢুকলাম। ল্যাগেজ আর ব্যাগ গুলো সোফায় রেখে দুজনে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে গেলাম।

ফ্রেশ হয়ে বেডে বসতেই কে যেন দরজায় টোকা দিলো। দরজা খুলে দেখি ওয়েটার আমাদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছে। খাবার গুলো রুমে নিয়ে এসে দুইটা প্লেটে সাজিয়ে দিতে সামিয়া বললোঃ দুইটাই কেন সাজাইতেছো?

আমিঃ কেন তুমি খাবে না?

সামিয়াঃ খাবো কিন্তু তোমার হাতে।

আমিঃ ঠিক আছে।

এরপর এক প্লেটে খাবার নিয়ে সামিয়া কে তুলে খাইয়ে দিচ্ছি আর আমিও খাচ্ছি। খাওয়ার মাঝপথে সামিয়া হাত ধুয়ে আমার হাত থেকে প্লেট টা নিয়ে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে দু’জনেই ঘুমিয়ে পড়লাম। কেননা দীর্ঘ পথ জার্নি করার ফলে শরীরটা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে দুই জনে বের হলাম সকালের বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য সৈকতের উদ্দেশ্যে।

সৈকতে কিছু সময় অতিবাহিত করার পরে আবার ফিরে আসলাম হোটেল। হোটেল এসে নাস্তা করার পরে আবার বের হলাম কলাতলী বীচে। যেটা কক্সবাজার শহরের খুব নিকটে অবস্থিত।এভাবে সুগন্ধা বীচ,লাবণী বীচে গেলাম। বীচ গুলোতে বেশ কিছু সময় কাটালাম।

হিমছড়ি,রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড, মহেশখালী দ্বীপ,হিলটপ সার্কিট হাউস, ঝিনুক মার্কেট সহ কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলো খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করলাম। সামিয়ার সাথে খুব আনন্দে কেটে গেল তিন দিন। আগামি কাল সকালের টিকেট কেটেছি বাসায় যাওয়ার জন্য। সন্ধ্যার দিকে সামিয়া কে নিয়ে বের হলাম সাফিয়া, তিশা আব্বু আম্মুর জন্য কিছু শপিং করতে।

সামিয়ার পছন্দ মতো তাদের জন্য শপিং করে হোটেলে চলে আসলাম। রাতে ডিনার করে শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিলাম।

দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আবার ফিরিয়ে আসলাম নওগাঁয়। নওগাঁয় পৌঁছতে রাত হয়ে গেলো। বাস থেকে নামতেই দেখি আব্বু আর সাফিয়া গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের সাথে কথা বলে গাড়িতে উঠলাম। ড্রাইভার আংকেল গাড়ি চালাতে লাগলেন। আমি সামিয়া আর সাফিয়া পিছনে বসেছি। আব্বু ড্রাইভার আংকেলের পাশে বসেছে।

বাসায় এসে আম্মুর সাথে কথা বলে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ডিনার করার জন্য নিচে আসলাম। ডিনার শেষ করে আব্বু আম্মুর জন্য যা নিয়ে এসেছিলাম তা দিয়ে দিলাম। আর সাফিয়া কে রুমে আসতে বললাম।

আমি আর সামিয়া রুমে আসার কিছুক্ষণ পরে সাফিয়া আমার রুমে আসলো।সামিয়া ব্যাগ থেকে সাফিয়ার জন্য আনা নেকলেস আর পায়েল বের করে দিলো।

সাফিয়া এগুলো পেয়ে খুব খুশি হয়েছে। খুশির ঠেলায় সামিয়া কে জড়িয়ে ধরলো। সাফিয়া কিছুক্ষণ আমাদের সাথে গল্প করার পরে রুম থেকে বের হয়ে গেল। আমরাও ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকালে আজকে দেরিতে ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে সামিয়া কে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি তে গেলাম। সেখানে দুই দিন থাকার পরে বাসায় চলে আসলাম।

এইভাবে কেটে গেল এক সপ্তাহ। আজকে রাতে রাজশাহী তে যাবো। কেননা, কয়েক দিন পরে এক্সাম। আর সবচেয়ে বড় কথা সামিয়ার অফিস আছে।

আম্মু আব্বুর কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বের হলাম।আর হ্যাঁ সাফিয়াও আমাদের সঙ্গে যাবে। আম্মু আব্বু আসতে না দিতে চাইলেও আমার আর সামিয়ার জন্য আসতে দিলো। বিশেষ করে সামিয়ার জন্য।

রাজশাহীতে পৌঁছে মামার বাসায় সামনে যায়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে পড়লাম। বাসায় ঢুকে মামা মামিকে সালাম দিয়ে কেমন আছে তা জিজ্ঞাসা করে রুমে চলে আসলাম। তিশা আমার রুমটা আগে থেকেই পরিষ্কার করে রেখেছিলো।

রুমে আসার পরে আর ডিনার করলাম না। শুয়ে পড়লাম। সামিয়া মামা মামী আর সাফিয়া তিশার সঙ্গে গল্প করতেছে।

একটু পরে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিয়ে আমার বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়ল। পরের দিন সকাল আটটায় কলেজে গেলাম। আর সামিয়া তার অফিসে গেল। ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার পর সামিয়া কে নিয়ে বাসায় আসলাম।

পরের দিন কলেজে গেলাম। সামিয়াও আমার সঙ্গে ছিলো। তবে সে সাধারণ পোশাক পরে ছিলো। আমি সামিয়া আর আমার বন্ধুরা মানে রাফি, সিফাত,মিমি আর নীলিমা একজায়গায় বসে থেকে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় আবির আমাদের সামনে আসলো।আর ঠিক সেই মুহূর্তে আমার ফোনে কল আসলো। আমি ফোনটা রিসিভ করে সাইটে গেলাম।আর হ্যাঁ আমাদের বিয়ের কথা কলেজে আমার বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ জানে না।

এইদিকে, সিহাব সামিয়ার সামনে যায়ে বললোঃ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।

সামিয়া সহ সবাই অবাক। কারণ সিহাব যে খারাপ এটা সবাই জানে। আর এখানে এতগুলো মেয়ে থাকতে সামিয়াকে ডাকতেছে বিষয়টা অবাক হওয়ারই।

সামিয়া বললোঃ কি হয়েছে বলুন।

সামিয়া সিহাবকে চেনে না। যদিও সেদিন রাতে সিহাব তাকে রেপ করতে চেয়েছিল কিন্তু সামিয়া সিহাবের মুখটা ভালোভাবে দেখতে পারেনি। তবে সিহাবের নামে সামিয়া কেস লিখেছিলো এটা সত্য।

সিহাবঃ আসলে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।

সিহাবের কথাই উপস্থিত সবাই বেশ ঘাবড়ে যায়।

সামিয়া শান্ত ভাবে বললোঃ কি বললেন?

সিহাবঃ আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।

সামিয়া নিজের রাগকে চেক দিয়ে বললোঃ আমি বিবাহিতা। ঐ যে দেখতেছেন ( সাহিদ কে দেখিয়ে দিয়ে) এটা হলো আমার হাজবেন্ড।

সিহাবঃ দেখো আমি তোমাকে সাহিদের থেকে বেশি সুখে রাখবো। সাহিদের কাছ থেকে চলে এসো আমার কাছে।

সামিয়াঃ সেটা সম্ভব নয়।

সিহাবঃ কেন সম্ভব নয়? আমি কি সাহিদের থেকে দেখতে খারাপ? আমার কি অর্থ সম্পদ কম আছে? নাকি সাহিদ তোমাকে যেই সুখ দেয় আমি তা পারবোনা।

সিহাবের কথা শেষ হতে না হতেই সামিয়া ঠাসস ঠাসস করে সিহাবকে দুই টা চরম মেরে চিৎকার করে বললোঃ তোকে না আমি বললাম সাহিদ আমার হাজবেন্ড। তাকে আমি ভালোবাসি তবুও সে কথা তোর কানে গেল না। আর কি বললি সাহিদ আমাকে যেই সুখ,,,

কথা শেষ না করেই পায়ের জুতা খুলে সিহাবের গালে মারতে থাকে। সামিয়ার চিৎকার শুনে কলেজের সব স্টুডেন্ট একজায়গায় জড়ো হয়ে গেছে। সিহাব সামিয়ার হাতে জুতার বাড়ি খাওয়ার পরে রাগে আর অপমানে ফোসতেছে। সামিয়া কে মিমি আর নীলিমা সিহাবের কাছ থেকে সরানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু পারতেছে না।

আমি সামিয়ার চিৎকার শুনে এসে দেখি সব স্টুডেন্ট একজায়গায় জড়ো হয়ে গেছে।

আমি সামিয়ার কাছে যায়ে দেখি সে সিহাবকে ইচ্ছা মতো জুতা দিয়ে মারতেছে। আমি সামিয়া কে আবিরের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললামঃ কি হয়েছে সামিয়া?

সামিয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললো,,,

( চলবে)

? কেমন হচ্ছে তা কমেন্ট করে জানাবেন ?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে