Dangerous_Villain_Lover
part 10
#Writer_Tanjina_Akter_Misti
হঠাৎ মুখের সামনে কেউ খাবার ধরলো তাকিয়ে দেখি স্যার আমি অবাক হয়ে তাকালাম। এখনই তো হাতের কাছে থেকে টেনে নিলো আবার এখন মুখে তুলে দিচ্ছে পেয়েছে কি এই স্যারের ব্যাপার স্যাপার আমার মাথায় ঢুকে না কিছু সেকেন্ড সেকেন্ড রুপ বদলাম। আমি কথা গুলো ভাবছিলাম।
– কি হলো এমন বড় বড় করে তাকিয়ে আছো কেন খাও?
– স্যার আপনার মতলব টা কি বলেন তো।( ভ্রু কুচকে)
-মানে।
– মানে হলো আমি খেয়েছি কি না জানলেন কি ভাবে আর আমি না খেলেই বা আপনার কি আপনি কেন আমার জন্য এখানে এলেনে খাওয়াতে।
– এতো কিছু তোমার জানতে হবে না বুঝছো আর ভাবতে ও যে ও না চুপ চাপ খেয়ে নাও ক্লাসের টাইম হয়ে যাবে তো।
– নো আমি খাব না আপনি বললেই আমার করতে হবে নাকি।
– হুম করতে হবে খাও।
– নাহহ
আমি না করে চলেছি কেন খাব। এখনই তো নিয়ে নিলো আবার সাধছে আর স্যার যে কেন আমার সাথে এমন বিহেভ করছে। হঠাৎ আশেপাশে চোখ গেল সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে যেন চোখ দিয়ে গিলে খাবে কেন জানি রাগ হলো কটমট চোখে তাকিয়ে আছি হঠাৎ স্যার আমার মুখে খাবার পুরে দিল।
আমি চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছি স্যারের দিকে আমি সত্যি ভাবিনি এভাবে খাবার দিবে কথা ও বলতে পারছি না খাবারের জন্য।
– এখন খাবার খেয়ে কথা বলার টাই কর খাবার নিয়ে উম উম করলে তো বুঝি কিছু জান।
স্যারের কথা শুনে রাগে আমার শরীর কাপছে কিন্তু কিছু বলতে পারছি না। খাবার চিবুতে ও মন চাইছে না কিন্তু নয়লে তো কিছু বলতে পারবো না তাই খেতে লাগলাম কিন্তু এটা এতো জাল কেন ওফ প্রচুর জাল লাগছে আমি জাল খেতে পারি না অনেক কষ্ট শেষ করলাম কিছু বলতে যাবো স্যার আবার মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিল না কিছু বলতে পারছি না সইতে পারছি জালে চোখ দিয়ে পানি পরা শুরু করছে।গেমে একাকার হয়ে গেছি সিউর ভরিচ ছিলো তাই এমন লাগে ফেলে দিতে গেলে সবাইকে দেখে আর করি না।
রাহুল খেয়াল করলো ছোঁয়া কে দেখতে কেমন জানি লাগছে ঘেমে গেছে ঠোট লাল হয়ে চোখ দিয়ে পানি পরছি কিছু বলতে চাইছে কিন্তু খাবারের জন্য বলতে ও পারছে না এখন রাহুলের নিজের প্রতি রাখ লাগছে কেন যে জোর করতে গেল ছোঁয়া কে এমন লাগছে কেন রাহুল চিন্তা হয়ে ছোঁয়া কে কাছে এনে জিগ্গেস করতে লাগল,,,,
অস্পষ্ট শুরে জাল শব্দ টা কানে এসেছে। রাহুল ছোঁয়া কে ছেড়ে খাবার মুখে দিলো অনেক বেশি জাল হয়েছে বিরিয়ানী টা রাহুল জানে ছোঁয়া জাল খেতে পারে না এই খাবার টা তো অনেক জাল এটা খাওয়ানোর জন্য ছোঁয়া এমন অসুস্থ হ য়ে যাচ্ছে।
কি করে জাল কমাবে রাগে রাহুল লাল হয়ে গেছে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দিয়েছে ওয়েটার রা ভয়ে কাছে আসতে পারছে না সবাই রাহুল কে চিনে সে একজন মাফিয়া।
কি করবে ছোঁয়া কে পানি দিচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না তাই আর কিছু না ভেবে ছোঁয়া কে নিজের সাথে মিশিয়ে ঠোটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে। রুডলি কিস করতে থাকে আশেপাশের মানুষ যে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সে দিকে রাহুলের খেয়াল ও পেয় ও আছে ওর মায়াবতীকে নিয়ে।
ছোঁয়া যখন বুঝতে পারলো ওর সাথে কি হচ্ছে তখন ছোটাছুটি করতে লাগে। দীর্ঘ পনেরো মিনিট পর ছেড়ে দেয় রাহুল।
ছোঁয়া কথা কি বলবে ও তো ফ্রিজ হয়ে গেছে এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না কি রিয়াকশন করা উচিত ভেবে পাচ্ছে না। অবাক করা বিষয় এখন আর ছোঁয়ার জাল লাগছে না। মাথা নিচু করে বসে আছে আশেপাশের মানুষ অদ্ভুত নজরে দেখছে লজ্জা রাগ সব মিলিয়ে ছোঁয়া বোবা হয়ে গেছে।
কলেজ বসে আছে ছোঁয়া, টিয়া আর জেসি টিয়া আর জেসি কথা বলই যাচ্ছে কিন্তু ছোঁয়া চুপ করে আছে কিছু বলছে না।
– কিরে বোবা হয়ে আছিস কেন কিছু বল।
– ছোঁয়া কথা বল তুই আর স্যার এক সাথে এলি কি করে।
– কি হলো বল।
– আল্লাহ এই মেয়ের হয়েছে কি?
– দূর কথা বলবি না।
অবশেষে ছোঁয়া নিজেকে ঠান্ডা করে কথা বলে আর রেস্টুরেন্টের সব খুলে বলে সব শুনে দুজনের চোখ কোটরে থেকে বেরিয়ে আসার উপকম হয়।
– ছোঁয়া তুই ঠিক বলছিস।
– হুম তোর কি মনে হ য় আমি মিথ্যে বলবো।
– নাহ কিন্তু বিলিভ করতে কষ্ট হচ্ছে।
– কেন?
– আমি সিউর স্যার তোকে ভালোবাসে।
– হুয়াট
– হুম আমি সিউর ভালো না বাসলে এসব করতো না স্যার।
সত্যি কি স্যার আমাকে ভালোবাসে। দূর না কি ভাবছি সে আমার স্যার সে কেন এসব কিন্তু তাহলে স্যার ওমন করশো কেন আর ছোঁয়া টা আমার খুব পরিচীত লাগছে যেন আগে ও এই ছোঁয়া পেয়েছি।
রাতে রুমে বসে আছি হঠাৎ কেউ আমার চোখ আটকে ধরলো,,,
চলবে……..