Dangerous_Crazy_Lover Part-11

0
3795

#Dangerous_Crazy_Lover_?.
#Sumaiya_Moni.
#Part-11 .

কিন্ত আরিয়া বিদ্যুতের ডাকে সাড়া দেয় নি। বিদ্যুত কোন উপায় না পেয়ে অনেকটা বিরক্তি নিয়ে বৃদ্ধা আশ্রমে ভিতরে প্রবেশ করলো । বিদ্যুত ভিতরে গিয়ে দেখলো আরিয়া বৃদ্ধ লোকদের সাথে বসে গল্প শুরু করে দিয়েছে।

বিদ্যুতের রাগ হচ্ছে তারপর আরিয়ার কে কিছু বললো না। আরিয়া বৃদ্ধ লোকদের দাদু বলে ডাকছে। সেখানে অনেক বয়স্ক লোকে আছে । তাদের ছেলে মেয়েরা বৃদ্ধ বাবা,মার বোঝা টানতে পারবে না দেখে‌ এই বৃদ্ধা আশ্রমে রেখে গিয়েছে । সেখানে কেউ কেউ ছেলে মেয়ের শোখে কান্না করছে। আবার কেউ কষ্টে ঔষধ ঠিক মতো খাচ্ছে না । আরিয়া ৫মিনিটেই সবার সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলেছে। কাউ কে জোর করে ঔষধ খাইয়ে দিচ্ছে । আবার কাউ কে জোকস বলে হাসাচ্ছে। সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে আরিয়া। বিদ্যুত দূরে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আরিয়া কে দেখতে। আরিয়ার এমন রুপ বিদ্যুতের কাছে অজানা ছিল। এতো তাড়াতারি মানুষকে কি করে আপন করে নিতে হয় সেটা আরিয়া কে দেখে শিখা দরকার । আরিয়া তাদের সাথে কথা বলার ফাকেই বিদ্যুতের দিকে চোখ পড়ল। আরিয়া সেখান থেকে উঠে‌ এসে বিদ্যুতের হাত ধরে তাদের কাছে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যুতের ধ্যান ভাঙ্গে আরিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাবার ফলে। বিদ্যুত কিছু বলছে না । বিদ্যুতের চোখ এখনও আরিয়ার উপর স্থির । আরিয়া ওর দাদু দের কাছে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুত কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।

আরিয়া: শোনো দাদু রা,এই হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড । ওর নাম বিদ্যুত । সবাই হাই বল ওকে।

সবাই এক সাথে বিদ্যুত কে ” হাই” বললো।

বিদ্যুত তাদের কে কিছু বললো না। এখনো আরিয়া কে দেখতে ব্যস্ত।

আরিয়া: আচ্ছা দাদা ও দাদী রা চল আমরা একটা গেম খেলি।

সবাই এক সাথে বললো” কী গেম”

আরিয়া: রুমাল খুঁজানো।

সবাই আরিয়ার কথায় সায় দিল ।খেলার জন্য সবাই প্রস্তুত হয়ে গেছে । বিদ্যুত খেলা পারে না বিধায় খেলতে চাচ্ছিল না। কিন্ত আরিয়া বিদ্যুত কে টেনে মাঠে নামিয়ে দিল। সবাই এক সাথে খেলতে শুরু করল। আরিয়া খেলার মাঝে দুষ্টমিটা একটু বেশি করছে। তাও আবার বিদ্যুতের সাথে। আরিয়া ইচ্ছে করেই বার বার বিদ্যুতের পিছনে রুমার রাখছে আর বিদ্যুতের পিঠে জোরে জোরে কিল,ঘুষি মারছে। বিদ্যুত তো হা…কেননা বিদ্যুত খেলাটা ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারছে না। কিছুক্ষন পর বিদ্যুত ও খেলাটা বুঝে গেল। এখন আর আরিয়া বিদ্যুত কে জব্দ করতে পারে না। বেশ মন দিয়ে তাদের সাথে খেলছে বিদ্যুত। বিদ্যুত হারিয়ে গেল আরিয়া ও বৃদ্ধ লোকদের মাঝে। আরিয়ার মতো বিদ্যুত ও তাদের আপন করে নিয়েছে। সারা দিন হৈ-হুল্লোড়ের মাঝে ওদের দিন কেঁটে গেল । আজকেও টিংকুর কথা ভুলে গিয়েছে‌ ওরা দু জন। দুপুর হয়ে এসেছে। সবাই খাবার খাচ্ছে। আরিয়াকে ওর দাদা-দাদী রা খাইয়ে দিচ্ছে। আরিয়া মন ভরে খাচ্ছে আর বক বক করছে। দূর দাঁড়িয়ে বিদ্যুত এই দৃশ্য দেখছে। হঠাৎ বিদ্যুত কারো ডাকে পিছনে ফিরে তাকাল। তাকিয়ে দেখে একজন বৃদ্ধ মহিলা।

বৃদ্ধ মহিলা: বাবা তুমি এখানে দাঁড়িয়ে কী করছ? ওদের সাথে গিয়ে খাবার খাও। তোমারও তো খিদে পেয়েছে মনে হচ্ছে ।

বিদ্যুত: না আমার খিদে পায় নি।……[ নরম স্বুরে ]

বৃদ্ধ মহিলা: সেটা বললে হবে না বাবা। তোমার মুখ শুকনো শুকনো দেখাচ্ছে । আসো আমার সাথে।

কথাটা বলেই বিদ্যুতের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো আরিয়াদের কাছে । বিদ্যুত কে সেখানে নিয়ে গিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো।

বৃদ্ধ মহিলা: আরে সব কী নাতিন কে খাওয়াবে নাকি । এখানে নাতি যে খিদাই মরে যাচ্ছে সেদিকে কারো খেয়াল আছে নাকি?

সবাই বৃদ্ধ মহিলার কথায় তাল দিল । এবার আরিয়া কে ছেড়ে বিদ্যুত কে সেখানে বসিয়ে গপা গপ খাইয়ে ‌যাচ্ছে সবাই। বিদ্যুত তাদের কে না করতেও পারছে না। একের পর এক মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে । এক পর্যায় বিদ্যুতের পেট লোড হয়ে যায়। কিন্ত তাদের সেদিকে খেয়াল নেই। তারা এখনও বিদ্যুত কে খাইয়েই যাচ্ছে । কিছুক্ষন পর সাবই খাওয়া বন্ধ করে দিল আরিয়ার কথায়। বিদ্যুতে আজ অনেক খেয়েছে। এরকম কখনোই খাইনি। বিদ্যুতের করুন অবস্থা দেখে আরিয়া মিটমিটিয়ে হেসেই যাচ্ছে । সারা দিন তাদের সাথে কাটিয়ে সন্ধ্যের দিকে ওরা বাসায় আসে। আরিয়া ভিশন ক্লান্ত। বাসায় প্রবেশ করেই আরিয়া হল রমের সোফায় বসে গাঁ এলিয়ে দেয়। বিদ্যুত বাহিরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। লিলি ও রাইমা আরিয়ার সামনে এসে বললো।

লিলি: আরিয়া তোকে দেখে মনে হচ্ছে তুই খুব ক্লান্ত।

আরিয়া: হুমমমম……[ চোখ বন্ধ করে ]

রাইমা:‌ টিংকুকে খুঁজে পেলি?

আরিয়া: হুমমম…… [ চোখ বন্ধ করে ]

লিলি: কোথায় টিংকু?

আরিয়া চোখ মেলে এক হাত ওর চোখের মনির সামনে ধরে বললো…..?

আরিয়া: এখানে….।

লিলি তো পুরা রাগে ফায়ার । আরিয়ার এমন ফাজলামো দেখে।

লিলি: তোকে জিজ্ঞেস করেই আমার ভুল হয়েছে । কেন যে জিজ্ঞেস করতে গেলাম…… [ ঝাঝাল কন্ঠে ]

আরিয়া: হুমমমমমম……।

রাইমা: আবার হু হু শুরু করছে। তোর সমস্যা কী বল তো?

আরিয়া হাত দিয়ে ইশারায় লিলি ও রাইমা কে দেখাল।

রাইমা: আমাদের দিকে আঙুল তুলে কী বুঝাতে চাইছিস?

আরিয়া: আমার সমস্যা ।

লিলি: তার মানে আমরাই তোর সমস্যার মূল কারন ।

আরিয়া: হুমমমম…..।

লিলি: হারামি….থাক তুই আমরা যায়। আয় রাইমা ।

লিলি ও রাইমা রেগে চলে গেল। আরিয়া কিছুক্ষন পর সোফাতেই ঘুমিয়ে পড়লো। বিদ্যুত হল রুমে প্রবেশ করে দেখে আরিয়া ঘুমিয়ে গেছে।

বিদ্যুত: সারা দিন পাগলামি করে আর সন্ধ্যে হলেই ঘুমিয়ে যায়।

মুচকি হেসে আরিয়া কে কোলে তুলে নিয়ে উপরে চলে যায়। বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।

পরের দিন…..

গাড়িতে মর মরা হয়ে বসে আছে আরিয়া। বিদ্যুত আরিয়া কে সান্তনা দিচ্ছে ।

আরিয়া: উদ্যুত আমি কী আমার টিংকুকে খুঁজে পাব না।……[ ঠোঁট উলটিয়ে বাচ্চা দের মতো করে বললো ]

বিদ্যুত: তুমি এতো টেনশন করছ কেন? আমার লোকেরা তো টিংকুকে খোঁজচ্ছে। খুব তাড়াতারি টিংকুকে তুমি পেয়ে যাবে।

আরিয়া: আমার টিংকু….[ মন খারাপ করে বললো ]

বিদ্যুত: আরিয়া মন খারাপ করে না।

আরিয়া মন খারাপ করে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে । বিদ্যুত লেপটপে কাজ করছে। কিছুক্ষন পর আরিয়া রাস্তার পাশে একজন মহিলা কে কান্না করতে দেখতে পায়। মহিলাটি একজন মেয়েকে জড়িয়ে জোরে জোরে কান্না করছে। আরিয়া ড্রাইভার কে গাড়ি থামাতে বললো।

আরিয়া: আঙ্কেল গাড়ি থামান….গাড়ি থামান বলছি ।

বিদ্যুত: কী হয়েছে আরিয়া? গাড়ি থামাতে বলছো কেন?……..[ কিছুটা অবাক হয়ে ]

বিদ্যুতের প্রতি উওরে আরিয়া কিছু বললো না। গাড়ি থামার সাথে সাথে আরিয়া গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে সেই মহিলার কাছে যেতে লাগলো। বিদ্যুত ও আরিয়ার পিছু পিছু যেতে লাগলো । আরিয়া মহিলার সামনে গিয়ে দেখলো। একটা মেয়ে অজ্ঞ্যান অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। মেয়েটির গায়ের জামাটার বেশ কিছু অংশ ছেড়া। হাতে- মুখে খামচির দাগ। ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হয়ে শুকিয়ে আছে। আরিয়া ওর গায়ের উড়নাটা মেয়েটির গায়ের উপর দিয়ে বললো।

আরিয়া: আন্টি কী হয়েছে ওর? এই অবস্থা কে করলো ?

মহিলা: মা আমার সব শেষ হয়ে গেল রে….আমার মেয়েটিকে ওই জানোয়ারের দলেরা ধর্ষন করেছে।……[ কান্না করতে করতে বললো ]

আরিয়া: কারা‌ এই কাজ করেছে আন্টি?

মহিলা: আমার এলাকার এম পির ছেলে রবি ও তার লোকেরা। …….[ কান্না কন্ঠে ]

আরিয়া: আন্টি ওকে হাসপাতালে নিতে যেতে হবে। উদ্যুত ওকে একটু ধর।

বিদ্যুত এতক্ষন রাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আজ বিদ্যুতের রাগ হচ্ছে ওই ছেলে গুলোর উপর । কেন সেটা ওর কাছে অজানা । বিদ্যুত একাই মেয়েটিকে কোলে তুলে গাড়িতে নিয়ে বসাল। ড্রাইভার কে বলে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিল । কিছুক্ষন পর ওরা হাসপাতালে পৌঁছে যায় । নার্স দের কে ডেকে স্ট্রেচার করে মেয়েটি ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মেয়ের মা ওটির সামনে দাঁড়িয়ে কান্না করছে। আরিয়া তাকে সান্তনা দিচ্ছে । মহিলাটি কান্না করতে করতে বললো।

মহিলা: মা আমি এখন সমাজে মুখ দেখাব কী করে ? সবাই যে আমার উপর আঙুল তুলে বলবে ওই যে ধর্ষিতার মা যায়। তখন আমি তাদের প্রতি উওরে কী বলবো রে মা। আমি কী ইচ্ছে করে আমার মেয়েকে ধর্ষন করিয়েছি বল মা ?……[ কান্না করতে করতে বললো ]

আরিয়া: আন্টি এই ঘটনা হল কী করে? আর আপনার স্বামী কোথায়?

মহিলা: আমার স্বামী আমার মেয়ে রিমার যখন ৫ বছর ছিল তখনি রিক্স দুর্ঘটনা মারা যায়। তারপর থেকা মাইয়াটারে বুকে নিয়া বাঁইচা আছি। স্বামীর শোখ কাঁটিয়ে উঠার পর মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ কইরা আমার রিমা রে পড়াইতে শুরু করি। আমার মাইয়াটা পড়া-লেখায় মেলা ভালো ছিল। তাই আমি ওর পড়া লেখা বন্ধ করি নাই। প্রতিদিন যখন কলেজে যাইতো তখন ওই এম পির ছেলে ও তার লোকেরা আমার মাইয়াটারে উপৎপ করতো। কখনও উড়না ধইরা টান দিত,কখন আবার জামা ধইরা। আমার মাইয়াটা ওগরে কিছুই কইতো না। মাথা নিচু কইরা চইলা আইতো। আমারে রিমায় ওগো কথা কইছিল। আমি রিমারে কইছি প্রতিবাদ করার দরকার নাই। তাই আমার মাইয়াটা চাপ চইলা আইতো। কিন্তু কাল কে আর আমার মাইয়াটায় কলেজ থেকা আর বাড়িত আহে নাই। আমি সারা জাগায় অনেক খুঁজছি আমার মাইয়া টা রে । কিন্ত কোথাও পায় নাই। সারা রাত পার হয়ে গেল কিন্তু আমার মাইয়াটায় ফিরা আইলো না। আমি একা মানুষ কই কই খুঁজমু কও। শেষে পুলিশের কাছে গেলাম কেস করছে । তারা আমার কথা শুনলোই না। দুর দুর করে আমাকে তাড়িয়ে দিল । সারা রাত চোখের পাতা এক করতে পারি নাই। সকালে ওই রাস্তা দিয়ে মন মরা হইয়া হাঁটতা ছিলাম। তখন হঠাৎ কইরাই একটা কালো রঙের গাড়ি আইসা আমার মাইয়াটারে রাস্তার মধ্যে ফালাইয়া দিয়া গেল গা। আমি আমার মাইয়ার জামা দেইখা চিনি এইডা আমার রিমা। ওর কাছে যাইয়া দেখি ওরা আমার মাইয়ারে……..[ বাকিটা বলার আগেই কাঁদতে লাগলো ]

আরিয়া: আন্টি আপনি ওদের কাউ কে দেখেছেন ? যারা রিমাকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছিল তাদের কাউকে চিনতে পেরেছেন ?

মহিল: চিনতে পারি নাই তয় একটা ছেলে রবি কইয়া ডাক দিছিল। তখনি বুঝছি এটা‌ ওই এম পির ছেলে রবি হইবো।

আরিয়া: এই টুকুতেই হবে। আপনি থানায় গিয়ে ওদের নামে মামলা করুন।

মহিলা: মা রে এই দুনিয়াতে ধর্ষনের বিচার নাই। ওদের যদি পুলিশ ধরে ,তাহলে বড় বড় ওকিল রা টাকা খাইয়া কেস টারে মিথ্যা কইরা দেয়। আর এরা ছাড়া পাইয়া যায়। আর আমাদের গায়ে ধর্ষিতার দায় নিয়া জীবন কাঁটাইতে হয়।

আরিয়া: আন্টি আপনি কেস করুন। আমি আপনাকে ভালো লইয়ার জগাড় করে দেবো।

আন্টি: মা রে আমি গরিব ,আমার এই কেস কোন ওকিলেই নিবো না আর লড়াইও করবো না।

পাশ থেকে বিদ্যুত রেগে বলে উঠল ?

বিদ্যুত: আমি এই কেস নিবো? আমি লড়াই করবো এই কেস নিয়ে।

আরিয়া ও রিমার মা বিদ্যুতের দিকে ঘুরে তাকাল। বিদ্যুত নিচের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো। বিদ্যুত আরিয়া ও রিমার মার কথা সব শুনে ফেলে। বিদ্যুতের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে ওই অমানুষদের উপর। তাই বিদ্যুত ডিসিশন ন্যায় এই কেস নিয়ে ও লড়াই করবে। ওদের উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়বে বিদ্যুত ।

আরিয়া: আন্টি আপনাকে তো বলা হয় নি। ও বিদ্যুত আরিয়ার চৌধুরী । বড় ক্রিমিনাল লইয়ার । আপনার কেস বিদ্যুত হেনডেল করবে।

রিমার মা : মা রে তোগো কেমনে শুকরিয়া আদায় করমু ।

আরিয়া: আন্টি এগুলা বলবেন না।

বিদ্যুত: আরিয়া তুমি আন্টির সাথে হাসপাতালে থাকো। আমি আসছি। ……..[ রাগী কন্ঠে বলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠে বসে ]

গাড়িতে বসে বিদ্যুত রবিন কে কল দিয়ে রবির সব ইনফরমেশন বের করতে বললো। বিদ্যুত থানায় গিয়ে কেস ফাইল করে আসে।

এদিকে ডাক্তার এসে আরিয়া ও রিমার আম্মু কে বলে। রিমাকে নাকি একাদিক ভাবে ধর্ষন করা হয়েছে । শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে । বাঁচবে কিনা তা ঠিক বলতে পারছে না। এই কথা শুনে রিমার মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আরিয়া কোন রকম তাকে সামলে নিয়ে বিদ্যুত কে ফোন দিয়ে এই কথা জানিয়ে দেয়। এই কথা শুনে বিদ্যুত আরো রেগে যায়। পুলিশ কে সাথে নিয়ে রবিদের বাসায় গিয়ে বরি ও তার লোকদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করিয়ে থানায় নিয়ে আসে।
কেস কোর্টে চালার করে দেয়। পরশু কোর্টের শুনানি হবে। তার আগে বিদ্যুতের সব প্রমান বের করতে হবে ।

বিদ্যুত হাসপাতালে এসে রিমার সাথে দেখা করে। হাসপাতালের বিল পরিষদ করে আরিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।
বাসায় পৌঁছে বিদ্যুত আরিয়া কে কিছু না বলেই হনহন করে উপরে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে এ্যাস কালারের শার্ট পড়ে আবার বাহিরে বেরিয়ে যায়। যাবার আগে আরিয়ার কঁপালে চুমু এঁকে দিয়ে যায়। আরিয়া খুশি মুডে উপরে চলে যায়।

গাড়িতে বিদ্যুত ও রবিন বসে আসে।বিদ্যুত কেসের বিষয় এটা ওটা বসে যাচ্ছে রবিন শুধু হা করে সব শুনছে। আজকে ওর সামনে থাকা মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা দ্বিগুন ভেড়ে গেছে। এই প্রথম সত্যের পথে লড়বে বিদ্যুত। এটাই তো চেয়েছিল রবিন।
সব প্রমান জোগাড় করা হয়ে গেছে রবিনের বিরুদ্ধে। বিদ্যুত এই তিন দিন নাওয়া খাওয়া ভুলে রিমার কেস নিয়ে পড়ে ছিল। আরিয়া কে তেমন সময় দিতে পারে নি। লিলি,রাইমা,রবিন যতোই বিদ্যুত কে দেখছে ততই অবাক হচ্ছে । ওদের মনে একটাই প্রশ্ন। এই কী সেই বিদ্যুত আরিয়ার চৌধুরী? যে কিনা অন্যায় পথেই লড়তো। আর আজ সত্যের পথে‌ লড়ছে বিদ্যুত ।

তিন দিন পর…..
.
.
.
.
.
.
.
Continue to…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে