Dangerous_Crazy_Lover Part-10

0
3412

#Dangerous_Crazy_Lover_?.
#Sumaiya_Moni.
#Part-10.

বিদ্যুত দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। ফোন কেঁটে ভাবছে‌ ওর কিছু খেতে হবে, খিদে পেয়েছে ওর । হুট করেই বিদ্যুত কারো হাতে স্পর্শ পায় ওর হাতে। বিদ্যুত পিছনে ঘুরে দেখে।

একটা ছোট্ট মেয়ে হাতে খিচুড়ির প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিদ্যুত কিছুক্ষন ছোট্ট মেয়েটির তাকিয়ে রইলো । ছোট্ট মেয়েটির চেহারায় অদ্ভুত এক মায়া আছে। মেয়েটি বিদ্যুতের হাতে খাবারের প্লেট টা দিয়ে দৌড়ে চলে গেল। বিদ্যুত মেয়েটির যাবার দিকে তাকিয়ে আছে । চোখ সরিয়ে খাবারের প্লেটের দিকে একবার তাকাল। দেখে মনে হচ্ছে ভালো,খেতেও মনে হচ্ছে সুস্বাদু হবে। হুট করেই আরিয়া বিদ্যুতের পাশে এসে বসে বললো ।

আরিয়া: এই যে মি.উদ্যুত! খাবারটা খাবার জন্য দেওয়া হয়েছে,তাকিয়ে তাকিয়ে দেখার জন্য নয়।

বিদ্যুত: ওই‌ মেয়েটি কে দিয়ে তুমি আমার জন্য খাবার পাঠিয়েছ ?……….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

আরিয়া: জ্বী না….দুপুর হয়েছে,সেই খেয়াল আছে আপনার? আপনি একা একা এখানে দাঁড়িয়ে আছেন। ওরা মনে করেছে আপনার খুদা লেগেছে তাই ওই‌ ছোট্ট মেয়েটি আপনাকে খাবার দিয়ে গিয়েছে । আর আপনি অনেক ভালো মানুষ ওরা এটা বলা বলি করছে ।

বিদ্যুত: ……[ বিদ্যুত আরিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ]

আরিয়া: একটা কথা কি জানেন? কিছু মানুষরা আছে খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে আপন‌ করে ন্যায়। কিন্ত কিছু কিছু জানোয়ার নামে মানুষ আছে যারা বিশ্বাস তো দূর নিচু জাতের মানুষ কে দু চোখে দেখতে পারে না । আচ্ছা উদ্যুত আপনিই বলুন । আমাদের শরীরের রক্ত তো এক। আমাদের যেই মাটি দিয়ে বানানো হয়েছে । ওই নিচু জাতের মানুষকেও সেই‌ একি মাটি দিয়ে বানানো হয়েছে । তাহলে আমরা ওদের এতো ঘৃনা কেনো করি। ওরাও তো আমাদের মতো মানুষ তাই না । ওদের কে ঘৃনা না করে একটু ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিলে কি আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায় ? ওরা এতিম। আর এতিম দের সাহাস্য ও ভালোবাসা দিলে আল্লাহ্ নাকি সন্তুষ্ট হন। তাহলে আমরা কেন ওদের কে দূরে ঠেলে দেই। ওদের কে আপন করে নিতে মানুষ এতো দিধাবোধ কেন করে? বলুন তো উদ্যুত?…… [ এক নাগাতে বলে বিদ্যুতের দিকে তাকাল ]

বিদ্যুত এতোক্ষন মন দিয়ে আরিয়ার কথা গুলো শুনছিল। বিদ্যুতের মনে কিছুটা অনুতপ্ত বোধ কাজ করছে। খাবারের প্লেট আরিয়ার হাতে দিয়ে উঠে কিছুটা নির্জন জাগায় চলে আসে । আরিয়া উঠে বাচ্চা দের সাথে খেলতে যায় ।

বিদ্যুত নির্জন জাগায় দিয়ে একটা গায়ের সাথে এক হাত ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু দূর থেকে আরিয়া ও বাচ্চা দের হাসির আওয়াজ ওর কানে এসে বার বার বারি খাচ্ছে । বিদ্যুত পিছন দিক ফিরে দু পা হেঁটে দূর থেকে ওদের খেলার দৃশ্য দেখছে। অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছে বিদ্যুতের মনের মধ্যে । আরিয়া দূর থেকে বিদ্যুত কে হাত নেড়ে ডাক দেয় খেলার জন্য। বিদ্যুত ওর অজানতেই আরিয়া ডাকে সাড়া দিয়ে ওদের সাথে খেলায় মেতে উঠে । বিদ্যুত আজ মন খুলে হাসছে। খেলার মাঝে বিদ্যুত পা ছিলিপ খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এটা দেখে বাচ্চারা ও আরিয়া হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। বিদ্যুত বাচ্চা দের কোলে নিয়ে হেসে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে । আরিয়া এই ফাকে বিদ্যুতের ক্যামেরায় এই সুন্দর মুহূর্তটা ক্যাপচার করে রাখলো । আর কিছু ভিডিও করলো। আরিয়া,বিদ্যুত প্রায় টিংকুর কথা ভুলেই গিয়েছে । সন্ধ্যাের দিকে ওরা দু জন বাসায় ফিরে। সারা দিন অনেক ছুটা ছুটি করার ফলে আরিয়া অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গাড়ির মধ্যেই বিদ্যুতের কাঁধে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে। বিদ্যুত আরিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে আরিয়া ঘুমিয়ে গেছে। বিদ্যুত মুচকি হেসে আরিয়া কে ওর বুকের মধ্যে হেলান দিয়ে শুইয়ে দেয়। গায়ে বিদ্যুতের কোট টা জড়িয়ে দেয়। কিছুক্ষন পর ওরা বাসায় পৌঁছে যায়। বিদ্যুত আরিয়াকে না ডেকেই কোলে করে আরিয়া কে উপরে নিয়ে যেতে লাগলো । নিচে থেকে এই দৃশ্য লিলি ও রাইমা দেখছিল।

বিদ্যুত ফ্রেশ হয়ে এসে আরিয়ার ঘুমন্ত চেহারার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে । নিষ্পাপ বাচ্চা দের মতো ঘুমাচ্ছে আরিয়া। চোখ সরিয়ে বারান্দায় চলে আসে। আজকের সারা দিনে যা যা করেছে সে গুলো ভাবতে থাকে বিদ্যুত । কিছুক্ষন পর বিদ্যুত বারান্দা থেকে এসে বিছানায় শুয়ে আরিয়াকে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে আরিয়ার কান্নার আওয়াজ শুনে‌ বিদ্যুতের ঘুম ভাঙ্গে। বিদ্যুত তাড়াতারি করে উঠে আরিয়ার গালে ওর দু হাত রেখে বললো?

বিদ্যুত: কী হয়েছে আরিয়া কান্না করছ কেন?

আরিয়া: আমার টিংকু কে এখনও খুঁজে পায় নি….[ ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করে বললো ]

বিদ্যুত: কান্না করে না….আজকে তোমাকে নিয়ে আবার বাহিরে খুঁজতে রেব হবো ঠিক আছে?……. [ চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো ]

আরিয়া: সত্যি….. [ ঠোঁট উলটিয়ে]

বিদ্যুত: সত্যি বলছি….[ মুচকি হেসে ]

আরিয়া: তুমি অনেক ভালো উদ্যুত…..[ বিদ্যুতের গলা জড়িয়ে ]

বিদ্যুত: তাই?

আরিয়া: হ্যাঁ উদ্যুত…. [ হেসে ]

বিদ্যুত: আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।

আরিয়া: আচ্ছা ।

আরিয়া ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে বিদ্যুত আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছে।

আরিয়া: এই যে উদ্যুত….?

বিদ্যুত: কী হয়েছে কিছু বলবে?….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

আরিয়া: গম্ভীর কন্ঠে কথা বলবেন না আমার সাথে । মিষ্টি করে হেসে কথা বলছেন ?

বিদ্যুত: ঠিক আছে….এখন বল ডাকলে কেন? কিছু বলবে?……[ নরম স্বুরে মৃদ হেসে বললো ]

আরিয়া: এবার হয়েছে । হ্যাঁ! একটা কথা বলতে চাই।

বিদ্যুত : বল ?

আরিয়া: সব সময় কালো রঙের শার্ট কেন পড়েন? অন্য রঙের শার্ট নেই আপনার?

বিদ্যুত: কালো রং টা আমার খুব পছন্দের তাই কালো রঙের শার্ট সব সময় পড়ি।

আরিয়া: এখন থেকে কালো রঙের শার্ট পড়া চলবে না।

বিদ্যুত: কেন?…[ কিছুটা রেগে ]

আরিয়া: আবার রেগে কথা বলছেন….[ কান্নার ভান করে ]

বিদ্যুত: ওহ! স্যরি স্যরি… আর রেগে কথা বলবো না।

আরিয়া: আমার সাথে রাগ দেখাবেন না,প্রমিস করেন….[ হাত বাড়িয়ে ]

বিদ্যুত: প্রমিস….[ আরিয়ার হাতের উপর হাত রেখে ]

আরিয়া: গুড বয়…দাঁড়ান আমি আপনার জন্য আলমারি থেকে শার্ট বের করে নিয়ে আসছি।

বলেই আরিয়া আলমারি থেকে একটা ব্লু রঙের শার্ট বের করে বিদ্যুতের সামনে এসে দাঁড়াল।

আরিয়া: নিন এটা পড়ে আসেন?

বিদ্যুত: এই রং টা আমার পছন্দের না। আমি‌ এটা পড়তে পারবো না…….[ রেগে ]

আরিয়া: আপনি আবার আমার সাথে রেগে কথা বলেছেন……[ বলেই কাঁদতে লাগলো ]

বিদ্যুত: ওপস….স্যরি স্যরি আরিয়া…আমি একদমি ভুলে গিয়েছি। কান্না করে না‌ প্লিজ……….[ নরম স্বুরে বললো ]

আরিয়া: না আপনি খুব পঁচা….[ বলে‌ আবার ও কাঁদতে লাগলো ]

বিদ্যুত: আচ্ছা আমি পঁচা…. তারপর ও কান্না থামাও আরিয়া। ওয়েট আমি শার্ট পড়ে আসছি।….[ বলেই শার্ট নিয়ে চেঞ্জিং রুমে চলে যায় ]

আরিয়া কান্না থামিয়ে একবার ভালো করে দেখে নিল বিদ্যুত চেঞ্জিং রুমে গিয়েছে কি না। বিদ্যুত বিরক্তি নিয়ে শার্ট পড়ে শার্টের হাতা বলটিয়ে চেঞ্জিং রুম থেকে বের হতে লাগলো। আরিয়া এখনও কেঁদেই যাচ্ছে ।

বিদ্যুত: দেখো আরিয়া আমি শার্ট পড়ে এসেছি । এবার কান্না থামাও।

আরিয়া চোখ মুছে বললো।

আরিয়া: অনেক সুন্দর লাগছে আপনাকে। আসুন আমার সাথে….।

আরিয়া বিদ্যুতের হাত ধরে ট্রেসিং টেবিলের সামনে নিয়ে এসে দাঁড় করাল। বিদ্যুত ঠিক বুঝতে পারছে না আরিয়া কি করছে চাইছে। আরিয়া বিদ্যুতের চুল চিরনি দিয়ে আচড়িয়ে দিচ্ছে আর বলছে।

আরিয়া: সব সময় এবাবে চুল আচড়াবের। ওই ভাবে আচড়ালে আপনাকে ভেবিল ও ক্রেজি ক্রেজি লাগে। তাই এই ভাবে আচড়াবেন ডেবিল আর ক্রেজি ক্রেজি লাগবে না। ভালো করে দেখে নিন কিভাবে আচড়াবেন। পরে কিন্তু বলবেন না যে আমি পারি না ভুলে গিয়েছে। তখন কিন্ত মাইর একটাও নিচে পড়বে না‌। সব আপনার পিঠে পড়বে হুহহহ……[ আরিয়া বক বক করেই যাচ্ছে ]

বিদ্যুত আরিয়ার দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে আছে । চোখের পলক যেন পড়ছেই না‌ ওর। আরিয়া তো বক বক করেই যাচ্ছে,করেই যাচ্ছে । কিছুক্ষন পর বিদ্যুত ধ্যান ভাঙ্গে আরিয়ার ধাক্কায়।

আরিয়া: এতো কী ভাবছেন বুঝতেছি না আমি?

বিদ্যুত: কিছু না। তুমি নিচে গিয়ে খাবার টেবিলে বস আমি এখনি আসছি।

আরিয়া: ওকে….।

আরিয়া নিচে চলে গেল । বিদ্যুত আয়ানায় নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। আজকে বিদ্যুত আর আগের বিদ্যুতের মধ্যে অনেকটা পার্থক্য দেখাচ্ছে। এই কী সেই বিদ্যুত আরিয়ার চৌধুরী? গায়ে নেই আগের কালো শার্ট। চুল গুলো এক পাশে শিথি করে সুন্দর ভাবে আচড়ানো। চেরার মধ্যেই নেই সেই রগচটা,ক্রেজি ভাব। আজকে নিজেকে নিজেরি চিনতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে । মনে মনে এতোক্ষন এই কথা গুলো ভাবছিল।
কিছুক্ষন পর মাথা দুলিয়ে মুচকি হাসলো বিদ্যুত ।
হাতের ঘড়িটা নিয়ে পড়তে পড়তে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে যেতে লাগলো।

আরিয়া নিচে‌ এসে দেখে লিলি,রাইমা,রবিন খাবার টেবিলে বসে আছে। আরিয়া মুড নিয়ে বললো।

আরিয়া: এই যে লালু,ক্লু,ব্লু…একটা ম্যাজিক দেখবি তোরা?

রাইমা: ওই তুই সর…কি সব নাম বলিস এই গুলা?

আরিয়া: কেন ঠিকিই তো আছে। লালু হচ্ছে-লিলি। ক্লু হচ্ছে-রাইমা। আর ব্লু হচ্ছে-রবিন। কী ঠিক আছে না নাম গুলো।

লিলি: রাইমা….আরিয়াকে থামতে বল বলছি।……[ কিছুটা রেগে ]

রাইমা: প্লিজ বোইন থাম…কী বলতে চাস সেটা বল?

রবিন: জ্বী আপু,আসল কথা বলেন।

আরিয়া: উপরে তাকিয়ে দেখ…..।

রাইমা,লিলি,রবিন আরিয়ার কথায় উপরে তাকিয়ে বড় জার বাতি ছাড়া আর কিছুই দেখল না।

লিলি: আরিয়ার তুই আমাদের সাথে মজা করতেছিস….[ কিছুটা রাগী কন্ঠে ]

রাইমা: উপরে কিছুই নাই…. উপরে কী দেখবো হ্যাঁ?…..[ পানির গ্লাস হাতে নিয়ে ]

রবিন: আপু আপনি ঠিক কী বলতে চাইছেন, ঠিক করে বলুন তো?

আরিয়া: আমি তিনটা গাধা দেখতে পাচ্ছি‌ আমার চোখের সামনে ।

লিলি: আরিয়া……[ রেগে ]

আরিয়া: তা নয়তো কী ? আমি উপরের দিকে তাকাতে বলি নাই । সিঁড়ির উপরে তাকাতে বলছি।

লিলি,রাইমা,রবিন এবার আরিয়ার কথায় সিঁড়ির উপরে তাকিয়ে থমকে যায়। ওরা তিন জন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে । সিঁড়ি দিয়ে বিদ্যুত নামছে। বিদ্যুত কে দেখে ওরা তিন জন হা। বিদ্যুতের গেট আপ পুরো চেঞ্জ। বাট এটা কী করে সম্ভব ?

আরিয়া: গিলে খাবি নাকি তোরা? এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন হ্যাঁ!

রাইমা: হ্যাঁ! রে এটা কী সপ্ন নাকি সত্যি?…. [ বিদ্যুতের দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বললো ]

রবিন: স্যারের এই অবস্থা কে করলো?….[ অবাক হয়ে ]

আরিয়া: সব আরিয়ার ক্যালমা?….[ মুড নিয়ে ]

লিলি: তুই……।

আরিয়া: হ আমি….।

বিদ্যুত ততক্ষনে টেবিলের সামনে এসে চেয়ার টেনে বসে পড়লো। ওরা তিন জন এখনো বিদ্যুতের দিকে তাকিয়ে আছে । বিদ্যুত ওদের এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো।

বিদ্যুত: হোয়াট?……[ ওদের দিকে তাকিয়ে ]

ওরা তিন জন আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে খাবার খেতে লাগলো।

বিদ্যুত: আরিয়া বসো। আর রবিন টিংকুর কোন খোঁজ পেলে?…….[ নরম স্বুরে ]

রবিন: না স্যার… আসলে আমার সবাই অনেক খুঁজেছি। কিন্ত……..[ বিদ্যুত থামিয়ে দেয় ]

বিদ্যুত: আমি কোন কিন্ত শুনতে চাই না। টিংকুকে খুঁজে বের কর। যতো তাড়াতারি সম্ভব? ……….[ কিছুটা রাগী কন্ঠে ]

রবিন: জ্বী স্যার ।

সবাই চুপ চাপ খাচ্ছে। বিদ্যুত খাওয়া শেষ করে আরিয়ার উদ্দেশ্যে বললো।

বিদ্যুত: আরিয়া খাবার শেষ করে বাহিরে আসো । আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি তোমার জন্য…… [ বলেই চেয়ার ছেড়ে উঠে যায় ]

বিদ্যুত যাবার সাথে সাথে লিলি,রাইমা আরিয়ার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিল।

লিলি: এটা কিভাবে সম্ভব আরিয়া? বিদ্যুত এতো চেঞ্জ?……..[ অবাক হয়ে ]

রাইমা: একদিনে কিভাবে এতো পরিবর্তন হয় মানুষ?

আরিয়া: কেন আগে উদ্যুত খারাপ ছিল নাকি ?

লিলি: ওহ!….তোর তো আবার কিছু মনে নেই।

রাইমা: ওকে বলেও কোন লাভ নেই।

রবিন: তবে স্যার কে এই গেট আপ এ খুব ভালো লাগছে। এমনি যদি সব সময় থাকতো,তাহলে খুব ভালো হতো।

আরিয়া: ওয়েট এন্ড সি….বাই..।

আরিয়া এটা বলেই চলে গেল বিদ্যুতের কাছে। ওরা ঠিক বুঝতে পারেনি আরিয়ার কথার মানে। যে যার মতো খাবার খেতে মন দিল।

আরিয়া গাড়িতে উঠে বসার পর গাড়ি স্টার্ট দিল ড্রাইভার । গাড়ি চলতে লাগলো। আজকেও অনেক জাগায় খুঁজেছে টিংকুকে। কিন্তু টিংকুকে কোথাও পেল না ওরা। আরিয়া মন খারাপ করে গাড়ির সিটে মাথা হেলান দিয়ে বসে আছে । বিদ্যুত আরিয়া কে এবাবে দেখতে পারছে না। ওর ভিশন রাগ ও কষ্ট হচ্ছে । কিছুক্ষন গাড়ি চলার পর হুট করেই গাড়ি থেমে যায়। বিদ্যুত ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করলো?

বিদ্যুত: হোয়াট হ্যাপেন্ড?

ড্রাইভার: স্যার মনে হয় গাড়িতে কোন সমস্যা হইছে। আপনারা নাইমা দাঁড়ান আমি দেখতাছি গাড়িতে কি সমস্যা হইছে ।

বিদ্যুত: শিট…নষ্ট হবার সময় পেল না।

বিদ্যুত ও আরিয়া গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াল।
একটা শুংশান রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওরা। ওদের সামনেই বড় একটা বৃদ্ধা আশ্রম আছে । আরিয়ার‌ চোখ পড়ে বৃদ্ধা আশ্রমের দিকে। আরিয়া মুচকি হেসে বিদ্যুত কে কিছু না বলেই বৃদ্ধা আশ্রমের ভিতরে চলে যায়। বিদ্যুত আরিয়া কে বৃদ্ধা আশ্রমের ভিতরে দৌড়ে যেতে দেখেছে। পিছন থেকে ডাক দিয়ে ছিল অনেক বার। কিন্ত আরিয়া বিদ্যুতের ডাকে সাড়া দেয় নি। বিদ্যুত কোন উপায় না পেয়ে অনেকটা বিরক্তি নিয়ে বৃদ্ধা আশ্রমে ভিতরে প্রবেশ করলো । বিদ্যুত ভিতরে গিয়ে দেখলো আরিয়া বৃদ্ধ লোকদের সাথে বসে গল্প শুরু করে দিয়েছে।
.
.
.
.
.
Continue To……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে