Crush যখন বর Season_3Part_10/11/12

0
2550

Crush যখন বর Season_3Part_10
Writer-Afnan Lara

শিশির খাটে গিয়ে ফোন নিয়ে বসলো,তনু গিয়ে পাশে বসলো
শিশির বালিশ নিয়ে সোফায় চলে যেতে নিলো
তনু-কই যান
শিশির-তোমার সাথে এক বিছানায় আমি ঘুমাবো না
তনু-ঢং,আসুন খাটে আসুন আমি সোফায় যাব,,
শিশির-লাগবে না
তনু-বেশি কথা বললে আমি গিয়ে আপনার কোলে উঠে বসবো
শিশির বালিশ নিয়ে চলে এলো,,তনু সোফায় বসে তখন থেকে তাকিয়ে আছে,শিশিরের বিরক্ত লাগছে এমন করে কেউ তাকালে আসলেই অসহ্য লাগে,শিশির রুমের লাইট অফ করে দিলো
তনু-আম্মুউউউউউউউউউউউ
শিশির তাড়াতাড়ি করে লাইট জ্বালালো,কি হয়সে?
তনু-অন্ধকার তো,ঘুমাবো কি করে
শিশির ড্রিম লাইট জ্বালালো,তনু ৫মিনিটেই ঘুমিয়ে গেলো,,শিশিরের ঘুম নেই চোখে,,আগে যখন মন চাইতো তখনই গিয়ে নাতাশাকে দেখে আসতো,,এখন তা পারতেছে না,শিশির ওয়াসরুমে গিয়ে আসার সময় দেখলো তনুর বারবার ঘুমের মধ্যে শাড়ীর আঁচল দিয়ে গা ঢাকতেছে,মনে হয় শীত করছে ওর,,শিশির এসি অফ করে বিছানা থেকে চাদর টা এনে তনুর গায়ে দিয়ে দিলো,
শিশির-সকালে উঠে গায়ে চাদর দেখলে মাথায় উঠে বসবে,শিশির আবার চাদর টা নিয়ে নিলো
তনু জেগে গেলো
তনু-কি??ওহ চাদর,হুম পরিয়ে দেন,শীত করতেছে আমার
শিশির-দিব না,এটা আমি গায়ে দিব
তনু-?
তনু উঠে ব্যাগ থেকে খুঁজে ওড়না নিয়ে ওটা গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়লো,
শেষ রাতে শিশির ও ঘুমিয়ে গেলো,,সকাল বেলা তনু আগে উঠলো,,উঁকি মেরে দেখলো তার crush বর ঘুমাচ্ছে বালিশ জড়িয়ে ধরে,,
তনু শাড়ী নিয়ে চলে গেলো গোসল করতে,,গোসল করে এসে দেখলো এখনও ঘুমাচ্ছে শিশির,,,তনু চুপিচুপি গিয়ে শিশিরের পাশে নিচে বসলে,,শিশিরের বালিশ থেকে হাত সরিয়ে নিজের হাত রাখলো শিশিরের হাতের নিচে,,
তনু-হায় মে মার জাবা,,আমার বর আমার হাত ধরেছে,,তনু শিশিরের ফোন নিয়ে কয়েকটা ছবি তুললো,,
তনুর চুড়ির সাথে খোঁচা লেগে শিশির জেগে গেলো,ঘুমের ঘোর যায়নি,নাতাশা কে দেখতেছে শিশির,শিশির মিষ্টি একটা হাসি দিলো,
তনু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে শিশিরের দিকে,সত্যি হাসলো উনি?
শিশির চোখ মুছে আবার তাকিয়ে দেখলো তনু তাকিয়ে আছে বোকার মত,শিশির হাত ছাড়িয়ে উঠে বসলো
শিশির-কি এখানে কি?
তনু-?কিছু না,মশা বসছে গালে,থাপড়াইতে আসছিলাম?
শিশির-what?
তনু-ইয়ে মানে মশাকে থাপড়াইতে আসছিলাম,,
শিশির-আমার ফোন কই,তোমার হাতে কেন
তনু-ফোন নিয়ে দেখতেছিলাম,সুন্দর ফোনটা
শিশির-দাও আমি খাবার order করবো
তনু-না আমি নাস্তা বানিয়েছি
শিশির-ওহ,ওকে
শিশির বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো তার বউ নিমিষেই রুম গুছিয়ে ফেলেছে,
শিশির গিয়ে টেবিলে বসে রুটির সাথের ভাজি মুখে দিয়েই চোখ বন্ধ করে ফেললো
তনু-কি হলো মজা হয়নি?
শিশির-(পুরো দাদুর মত করে ভাজি বানিয়েছে,,আমি যে দাদুর হাতের ভাজি ই খাই,,সেই হয়সে),একটুও না
তনু-মিথ্যা বলেন কেন?আমি আপনার দাদুর থেকে ভাজির রেসিপি নিয়ে ৫দিন ধরে practice করসি,then সেম হয়সে,,
শিশির-কচু,একটুও মজা হয়নি,
তনু হাত থেকে ভাজি নিয়ে নিলো
তনু-খেতে হবে না
শিশির-না,আমি খাবো,আমার টাকায় কেনা সব,ফেলে দিতে দিবব না,পঁচা হলেও খাব,,শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে দেখলে তনু মুখকে এমন করে রাখসে(?☺️?)
শিশির-বেহায়া মাইয়া
তনু-????
শিশির খাওয়া শেষে ফোন নিয়ে দেখতেছে,গ্যালারী তে গিয়ে দেখলো তনু আর শিশিরের কয়েকটা ছবি,,একি!!!!!!!!এগুলা কখন তুললো,আর আমার ফোনের পাসওয়ার্ড জানে কিভাবে
শিশির রান্নাঘর থেকে তনুর হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো
শিশির-তুমি আমার ফোনের পাস জানো কেমনে?
তনু-1ste নাতাশা লিখসি,পরে আপনার আঙুল লেগে নাতশার A বড় হাতের হয়ে গিয়ে পাস খুলেছে,ব্যস বুঝে গেলাম পাস হলো'”NatashA
শিশির-ওরে শেয়ানা,,
তনু-এবার নিশ্চয় আমার নাম দিবেন?
শিশির-নাহ,নাতাশার আরেক নাম দিব যেটা তুমি জানো না,,
১১টার দিকে মা বাবা সবাই আসলো,,, তনু গোলাপি রঙের শাড়ী পরেছে,,শিশির হালকা গোলাপি রঙের পাঞ্জাবি পরেছে,,
তনু ব্লাউজের ফিতা লাগাতেই পারতেছে না,,শিশির রুমে এসেছে ঘড়ি পরার জন্য
তনু-এই যে ব্লাউজের ফিতাটা লাগাতে পারতেছি না ফিতা টা লাগিয়ে দিন না
শিশির-পাগল হইসো তুমি,পারবো না আমি
তনু-রিপা কে ডেকে দিন
শিশির বাইরে বেরিয়ে রিপাকে কোথাও পেলো না
শিশির তনুর মাকে বললো যেতে কিন্তু উনিও কাজে ব্যস্ত, শিশির রুমে এসে দেখলো তনু গয়না পড়তেছে
শিশির-পেলাম না কাউকে
তনু-আপনি লাগিয়ে দিন,আমি তো পারতেছি না,,এভাবেও তো বের হতে পারবো না,,
শিশির আস্তে আস্তে গিয়ে ফিতা ধরলো,শিশিরের হাত কাঁপতেছে
তনু আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখলো শিশির চোখ খুললো তো খুলে না,
তনু-হয়সে থাক
তনু শাড়ী টেনে পিঠ ঢেকে হাঁটা ধরলো শিশির হাত ধরলো,তনু অবাক হয়ে তাকাতেই শিশির হাত ছেড়ে দিলো
শিশির-আমি পারবো
শিশির ফিতা লাগিয়ে দিলো,,,শ্বাস বন্ধ করে,,
তনুর খুব হাসি পাচ্ছে,,মুখ চেপে ধরে রাখসে তনু,,
বেরিয়ে সবাইকে সালাম দেওয়া শেষে দুজনে গিয়ে সোফায় বসলো
মা-শিশির তনু আমরা কাল সকালে বাসায় যাব,,,
শিশির-আমি যাবো না আমার কাজ আছে
মা-কি বললি???আমি তোর উত্তর চাইনি
শিশির রেগে উঠে চলে গেলো,
মা-তনু রিপা,,টুসু ওদের ডাকো তো
তনু ওদের ডেকে আনলো,,
মা শিশিরের রুমে গেলো,,
মা-শিশির যা তোর frd দের নিয়ে ঘুরে আয়,,আমরা বাসায় আছি,তাড়াতাড়ি আসিস
শিশির তো খুশি হয়ে চলে গেলো,
মা তনুর কাজিন দের বললো শিশিরের রুমটা যাতে ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেয়,,
ওরা তাই করলো,,চমৎকার করে রুমটি সাজালো,,
মা তনুকেও ঢুকতে দেয়নি,,রাতে শিশির বাসায় ফিরলো,
মা-শিশির আগে খেয়ে নে পরে যাস আমি তোর জন্য বসে ছিলাম,,সবাই মিলে একসাথে খেতে বসলো,,তনু খাবার সার্ভ করতেছে,,শিশিরকে মুরগীর মাংস বাড়িয়ে দিয়ে এক দৌড় দিলো,,
মা-???
শিশির-?
শিশির-বাহ খাবার অনেক মজা হয়সে,,কোন restaurant থেকে আনায়সো
মা-তোর বউ বানাইসে এসব,,
শিশির-?ও,ঝাল বেশি দিসো,দারুচিনিও বেশি দিসো,একটুও মজা হয়নি
তনু-?আমি compliment 1ster গুলা মাথায় রাখি,,2nd গুলা মাথায় ঢুকাই না,
তনুর কথায় সবাই হেসে দিলো,,
মা-শিশির তনু এবার যাও তোমরা ঘুমাতে যাও,,
তনু সব ঠিকঠাক করতে যাবে মা হাত ধরে ঠেলে নিয়ে গেলো,,
দুজনেই রুমে ঢুকে অবাক হয়ে গেলো,,
তনু-বাহ what a surprise
শিশির-?ওহ তাই তো বলি আমাকে রুমে আসতে দেয় না কেন,,ঘুরতে যেতে বলসে কেন
তনু গিয়ে খাট দেখতে থাকলো,,গোলাপ একটা হাতে নিয়ে শিশিরকে দিলো,,শিশির সাইড করে সরে গেলো
তনু-আমাকে একটা দিন
শিশির -চুপচাপ শুয়ে পড়ো
তনু গিয়ে খাটের মাঝখানে বসলো,,
শিশির-ঠিক আছে,আমি সোফায় যাচ্ছি,
শিশির পিছনে তাকিয়ে দেখলো সোফা উধাও এবার তনুর দিকে তাকিয়ে দেখলো তনু নায়িকাদের মত খাটে লম্বা হয়ে শুয়ে আছে মুখে গোলাপ
এই দৃশ্য দেখে শিশিরের কাশি উঠে গেলো, তনু পানি এগিয়ে দিলো,
শিশির পানি খেয়ে খাটের এক কোণে বসলো,,
তনু-প্লিস আপনাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো
শিশির-চড় খাবা?
তনু-খাবো,তাও ধরবো
শিশির-দেখো তনু বাড়াবাড়ি করবা না
শিশির শুয়ে পরলো
তনু-এই এই
শিশির-তনু disturb করবা না
তনু কিছু বলতে যাবে দরজার বাইরে হাসাহাসির আওয়াজ আসতেছে,আর রিপা বললো দরজা খুলতে
তনু উঠে গিয়ে দরজা খুললো,,
রিপা-ধর
তনু-কি এটা?
রিপা-ভাইয়াকে দে
সবাই হাসতে হাসতে চলে গেলো,তনু শিশিরের কাছে এসে প্যাকেট টা দিলো
শিশির প্যাকেট টা ছিড়ে ভিতরে দেখলো pregnancy pill
এটা দেখে শিশিরের চোখ কপালে
তনু-কি এটা
শিশির-কিছু না
শিশির এটা নিয়ে dustbin এ ফেলে দিলো
তনু-আরে আমি দেখব তো
শিশির-দেখতে হবে না,,
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_11
পরেরদিন সকালে শিশির উঠে fresh হতে গিয়ে দেখলো বাথরুম লক
শিশির-তাড়াতাড়ি করো,আমার লেট হচ্ছে
তনু-গায়ে সাবান মাখসি,আপনি বললে ঐ অবস্থায় বেরিয়ে আসবো???
শিশির-না না থাক,আমি বসছি,জলদি করো
তনু গোসল করে টাওয়েলটা পরেই বেরিয়ে আসলো
শিশির চোখ তুলে তাকিয়েই ওর কাশ উঠে গেলো
তনু এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে শিশিরের গা ঘেঁষে বসলো
শিশির কাশের জন্য কিছু বলতে পারতেছে না,,
ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে পানি খেয়ে ঠিক হলো,,,
শিশির-এই কি সমস্যা তোমার,শাড়ী পরে বের হতে পারো নাই
তনু-আপনিই তো বললেন তাড়াতাড়ি করতে,
তনু উঠে শিশিরের হাত থেকে গ্লাস নিলো,যার লজ্জা পাওয়ার সে পাচ্ছে না,মাঝখান দিয়ে শিশির লজ্জায় শেষ,,নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো কিন্তু এখন ফ্লোরের জায়গায় তনুর হাঁটু দেখতেছে,,
তনু শিশিরের গেঞ্জি টেনে ধরলো,,আজ যেন শিশিরের শক্তি বাপের বাড়ি চলে গেসে,শিশির বরফের মত শক্ত হয়ে বসে আছে
তনু-কি জামাই???হ্যাং হয়ে গেলা?
শিশির-সরো,
শিশির চোখে হাত দিয়ে উঠে গেলো
তনু হাসতে হাসতে শেষ
তারপরই মনে হলো শাড়ী তো বাথরুমে,আর তার সাথে আমার ঐসব জিনিস ইস রে,এই দাঁড়ান দাঁড়ান
শিশির দরজা আটকে ফেললো,,
শিশির-আবার ধরবে আমাকে দরজা খুলবো না,,
তনুর জামার দিকে শিশিরের চোখ যায়নি,চুপচাপ গোসল করে বেরিয়ে এসেই দেখলো তনু কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি নিচে পড়তেছে,,
শিশির-কি??এখনও change করোনি কেন
তনু-আজব তো,আমার জামা কাপড় ভিতরে রয়ে গেসে,দরজা খুলতে বলসি তাও তে খুলেন নাই
মা-শশশশশশশশিশিশিশররর???
তনু শিশিরের মাকে থেকে ভয়ে লজ্জায় শিশিরের পিছনে গিয়ে লুকালো,শিশির রডের মত দাঁড়িয়ে আছে,
তনু-ইস রে মান ইজ্জত সব গেলো আমার
শিশির-লজ্জা পাইসো ভালো কথা আমাকে এমন খাঁমছে ধরসো কেন,ছাড়ো,
তনু-সরি
মা-তনু রেডি হয়ে আয় তোর ফুফু শাশুড়ী আসছে,আর দরজা টা লক কর
মা মুচকি হেসে চলে গেলো
শিশির এক টান দিয়ে তনুকে সামনে আনলো,
শিশির-দরজা খুলসে কে?
তনু-আমি?
শিশির-ভালো করসো,ফল ও তুমি পাইসো,যাও change করে আসো,,,আবালের মত কাজ করে
তনু-কি বললেন আপনি,
শিশির-কি বলসি আমি???
শিশির এগিয়ে যেতেই তনুর চুলের পানি যেখানে এতক্ষন পড়েছে সেখানে পা দিয়ে তনুকে নিয়ে ঠাস করে নিচে পড়লো
তনু-আউচ,মাগো
শিশির-উফ আমার হাতে লেগেছে,পানি আসলো কোথা থেকে
তনু-সত্যি বলি
শিশির-বলো
তনু-আমার চুলের পানি থেকে
শিশির-ইচ্ছে করতেছে চুল সব ছিড়ে হাতে ধরাই দিই,,
তনু একবার তাকাচ্ছে শিশিরের দিকে আবার তাকাচ্ছে নিজের দিকে,,তারপর এক হাত দিয়ে টাওয়েল টা উপরের দিকে টেনে ঠিক করতেছে,,তারপর চোখ বন্ধ করে বললো শিশিরকে উঠে যেতে
শিশির ও খেয়াল করে নিজেই লজ্জা পেয়ে উঠে গেলো,
দুজনের মুখ লাল টমেটো হয়ে আছে,,
তনু বাথরুমে চলে গেলো
শিশির বাইরে চলে গেলো,,
তনু বের হয়ে দেখলো।শিশির নেই,অফিসে চলে গেসে,মা বলসে দুপুরে চলে আসতে,সবাই মিলে চলে যাব আম্মুর বাসায়,,
তনু গিয়ে ফুফু শাশুড়ীকে সালাম দিলো,,
ফুফু-এটা কি নাতাশা?
মা-না এটা তনু
ফুফু-ভালো করসে ঐ মেয়েকে বিয়া করাও নাই
তনু-?
তনু গালে হাত দিয়ে বসে আছে,শিশির নিশ্চয় বাতাসাকে দেখতে গেসে,,
মা শিশিরকে ফোন দিয়ে তাড়াতাড়ি আসতে বললো,শিশির কাজ শেষ করে নাতাশাকে দেখতে গেলো,,
নাতাশার মা-Doctor বলেছে নাতাশা তোমাকে দেখলে response করে,থেকে যাও এখানে
শিশির-আমি কাল পরশু চলে আসবো একেবারে,,
শিশির নাতাশার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে এলো,,
সবাই গাড়ীতে শিশিরের ওয়েট করতেছে,,,শিশির গাড়ীতে বসে পিছনে তাকালো,,তনুকে দেখতে পেলো না
মা-তোর বউ তোর পাশে
শিশির পাশে তাকিয়ে দেখলো তনু দাঁত কেলিয়ে আছে??
শিশির-????
শিশির গাড়ী চালাচ্ছে,তনু আস্তে করে শিশিরের এক হাত জড়িয়ে ধরলো
শিশির-তনু,হাত ছাড়ো
তনু-শুনতে পাই নাই কি বললেন
শিশির-বেয়াদব মেয়ে
তনু-এটাও শুনিনি
শিশির এক হাত দিয়ে গাড়ী চালাচ্ছে আর তনু পারতেছে না শিশিরের দুহাত চেপে ধরে,শিশিরের গা কাঁপতেছে কি করবে,,গলা শুকায় গেসে,,,
রাতে সবাই বাসায় ফিরলো,,শিশির আর তনু তনুদের বাসায় আসলো,,,
শিশির খাওয়া শেষে রুমে এসে দেখলো তনু ঘুমিয়ে গেসে,, মনে হয় বেশি ক্লান্ত, যাক বাবা ভালো হয়সে,নাহলে এখন জ্বালাতো
শিশির গিয়ে খাটের এক কোণে শুয়ে পরলো,,১২টার দিলে তনুর হাত ঠাস করে শিশিরের বুকে পড়তেই শিশিরের ঘুম ভেঙে গেলো,,
শিশির-উফ মাত্র কত কষ্ট করে ঘুমটা আনিয়েছি,দিলো তো ঘুম ভাঙিয়ে,,,
শিশির তনুর হাত ধরে টেনে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলো
তনু ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে আছে,,
তনু-কি হয়সে
শিশির খেয়াল করলো তনুর গায়ে জ্বর,,কপালে হাত দিয়ে দেখলো সত্যি জ্বর,,
শিশির -হয়সে ঘুমাও
তনু আবার ঘুমিয়ে গেলো
সকালে শিশির তাকিয়ে দেখলো তনু শিশিরের গায়ের সাথে লেগে আছে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে তনু,,নিজের গায়ের জ্বর যেন শিশিরকে দিতে চায় তনু,,
শিশির সরাতে গিয়েও ওর মন দিচ্ছে না,হঠাৎ জ্বর এলো কেন,,
৯টা বাজে,,তনু এখনও শিশিরকে ধরে ঘুমাচ্ছে,শিশির ও নড়তেছে না,
মা-তনু তনু
মায়ের ডাকে তনু চোখ খুলে শিশিরের বুকে নিজেকে দেখে ভয়ে উঠে গেলো তার পর দেখলো শিশির নরমাল ভাবে তাকিয়ে আছে
তনু-সরি
তনু উঠে গেলো,
শিশির-আজ গোসল করো না
তনু-হুম,শীত লাগতেছে
তনু fresh হয়ে নাস্তা করতে গেলো,
মা-শিশির ওদের বাসায় গেসে কি কাজ আছে,এই ঔষুধ গুলা কিনে দিয়ে গেসে,,তোর জ্বর আসছে তাই
তনু-এত কেয়ারিং, মা সূর্য কোনদিকে উঠসে?
মা-চুপ,ঔষুধ খা,,
শিশির frd দের নিয়ে ঘুরতে গেলো
অমি-বুঝলি শিশির মন ভালো না
শিশির-কেন
অমি-আমার বউটার খুব জ্বর,ওর কথা মনে পড়তেছে,আমি যাই তোরা থাক
শিশিরের তনুর কথা মনে পড়লো,,
শিশির বাসায় এসে দেখলো তনু কাঁথা মুড়ে সোফায় বসে টিভি দেখতেছে
শিশির রুমে চলে গেলো, তনু উঠে পিছন পিছন গেলো
শিশির-কাল সকালে ঢাকা চলে যাব আমি
তনু-আর আমি?
শিশির-তুমি গিয়ে কি করবে
তনু মন খারাপ করে চলে গেলো,শিশির হয়ত তনুর এই expression আশা করেনি
শিশির-ধূর ও চলে গেসে আমার তো খুশি হওয়ার কথা
তনু মুখ কালো করে টিভি দেখতেছে,,
মা ফোন দিতেই ফোন হাতে নিলো
মা-শোন তোরা কাল যাওয়ার সময় দেখা করে যাস
তনু-তোমার ছেলে আমাকে নিবে না
মা-ও না নিলে ওরেও আমি যেতে দিব না
তনু -ইয়ে??????
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_12
তনু এসে নিজের জিনিস গুছাতে থাকলো
শিশির-হুম মায়ের কাছে থেকো,যাওয়ার সময় নামিয়ে দিয়ে যাব
তনু-??
পরেরদিন ♥♥
শিশির তাদের বাসায় গিয়ে মায়ের সাথে কথা বলে বের হওয়ার সময় দেখলো তনু ও আসতেছে
শিশির-তুমি কই যাও
মা-ও তোর সাথে যাবে
শিশির-আমি ওরে নিবো না
মা-চুপ,যা তনুকে নিয়ে, ফি আমানিল্লাহ
শিশির গিয়ে গাড়ীতে বসলো তনু পাশে বসে মুচকি মুচকি হাসতেছে
শিশিরের মন চাচ্ছে কাঁচা গিলে ফেলতে তনুকে
গাড়ীতে একটা কথাও বলেনি শিশির,,
তনু তো বকবক করেই যাচ্ছে,,
বাসায় এসেই শিশির ব্যাগ রেখে বেরিয়ে গেলো,
তনু-আবার সেই বাতাসাকে দেখতে গেসে মনে হয়,,
তনু fresh হয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে,ওর ফোন বেজে উঠলো,তনু দৌড়ে দেখতে গেলো শিশিরের কল মনে হয়,গিয়ে দেখলো unknown number,
তনু-হ্যালো
তন্ময় -হাই তনু
কন্ঠটা শুনেই তনুর গা কেঁপে উঠলো,লাইন কেটে দিলো,,
তনুর গলা শুকিয়ে গেসে ভয়ে,
১বছর আগের ঘটনা,,তন্ময় তনুকে খুব disturb করতো,,বখাটে ছিলো একদম তনু বাসা থেকে বের হতে পারতো না ভয়ে,,কিন্তু হঠাৎ করেই তন্ময়ের বাবা ভিসা করে ওকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়,কিন্তু তন্ময় প্রতিজ্ঞা করে সে ১বছর পর এসে তনুকে বিয়ে করবে,,
তনুর এতদিন মনেও ছিলো না,,ও যদি আমার শিশিরের ক্ষতি করে বিয়ের কথা শুনে,,কি করবো,,
তন্ময় আবার ফোন দিলো, তনু ফোন অফ করে দিলো,,মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে,,হঠাৎ করে হাত পা কাঁপতেছে তনুর,,খাটে গিয়ে শুয়ে পরলো,,
শিশির ঘন্টা খানেক পর এসে দেখলো তনু ঘুমাচ্ছে,,এই সন্ধ্যাবেলা ঘুমাচ্ছে কেন, জ্বর এলো নাকি,শিশির গিয়ে কপাল চেক করতেই ভয় পেয়ে গেলো, এত জ্বর,,শিশির দেরি না করেই পাশের একটা হসপিটাল থেকে doctor নিয়ে এলো,,উনি বললো ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা আছে,,
শিশির কি করবে বুঝতে পারতেছে না,,তনুকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসলো,,এডমিট করা হলো তনুকে,,
তনু চোখ খুলে তাকিয়ে দেখলো সে হসপিটালে,দূরে শিশিরকে দেখা যাচ্ছে,doctor এর সাথে কথা বলতেছে,,
তনু কথা বলতে পারতেছে না,,
শুধু তাকিয়ে আছে,,
শিশির পাশে এসে বসলো
শিশির-ঢাকায় আনায় এমন হয়সে,,আমাকে ফোন দিতে পারলা না
তনু-আপনি কি ফোন ধরেন কখনও আমার
শিশির চুপ হয়ে গেলো,,
তনু-আপনি কি এখন আমাকে রেখে চলে যাবেন
শিশির উঠে চলে গেলে
তনু-স্বার্থপর
শিশির বাইরে সিটে বসলো,,
একটা মহিলা এসে তনুর পাশের সিটে বসলো,
মহিলা-তোমার জামাই বাইরে বসে আছে
তনু-তাই????
তনুর বমি আসতেছে কষ্ট করে উঠে বসলো,
নার্স-আপনার husband কে ডেকে আনছি
তনু-না লাগবে না
এটা বলার পরই সাথে সাথেই শিশির এসে তনুর পিঠ ধরলো,তনুকে সামলে নিলো
তনুর সেদিকে খেয়াল নেই,বমি করে অচেতন হয়ে গেসে,
শিশিরের এবার টেনসন হচ্ছে,মেয়েটার যদি কিছু হয়ে যায়,
নাতাশার মা শিশিরকে কল দিয়ে বললো আসতে নাতাশার চোখ থেকে নাকি পানি যাচ্ছে,,
শিশির উঠতে যাবে তনুর হাত শিশির জামা আকড়ে ধরে আছে,তনু ঘুমাচ্ছে এখন ওরে একা রেখে যাই কি করে,,
শিশির নার্সকে ডেকে বললো খেয়াল রাখতে,বাড়তি টাকা দিলো,তারপর বেরিয়ে গেলো,
বিকালের দিকে তনুর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেলো,বমির সাথে রক্ত যাচ্ছে,,Treatment এর অনেক কিছুই কিনতে হবে,doctor বার বার বলতেছে patient এর অভিবাবক কই
শিশির নাতাশাকে দেখে আবার বেরিয়ে গেলো,,
হসপিটালে এসে দেখলো তনুর সিট খালি
নার্স শিশিরকে দেখে এগিয়ে গেলো
নার্স-এতক্ষন কই ছিলেন আপনি,জানেন আপনার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেসিলো,,দোকান থেকে অনেক কিছু কেনার লাগতো,ভাগ্যিস আমাদের স্যার ভালো তাই উনি উনার টাকা দিয়ে কিনে treatment শুরু করসে,,
শিশির-ও কই এখন,ঠিক আছে তো
নার্স শিশিরকে নিয়ে গেলো তনুর কাছে,হাতে নতুন করে canaler লাগানো হয়সো,তনু চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে,
শিশির মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো
doctor -আপনি কি সত্যি উনার husband?এমন অবস্থাতে কেউ ওয়াইফকে একা ছাড়ে?
শিশির কিছু বললো না,,
রাতে♥
শিশির সারাদিন কিছুই খায়নি,মা ফোন দিসে,শিশির কিছু বলেনি মাকে,
তনুর হাত ধরে বসে আছে,
তনু চোখ খুলে উঠার চেষ্টা করলো,
শিশির দিলো না
তনু-আপনি বাসায় গিয়ে fresh হন,আমি ঠিক আছি,
শিশির-না,লাগবে না
তনু-তখন নাতাশাকে দেখতে গেসিলেন তাই না
শিশির চুপ হয়ে রইলো,
তনু-সরি
শিশির-কেন
তনু-আপনি সত্যি নাতাশাকে ভালোবাসেন,আমি পারলে বিয়েটা আটকাতে পারতাম,কিন্তু আমি তা করিনি,আপনাকে এখন দোটানায় পড়তে হচ্ছে,,বুয়া কে বলেন এখানে এসে থাকতে আর আপনি বাসায় যান
শিশির-না,ঘুমাও
কয়েকদিন কেটে গেলো,,শিশির অফিসে যায় না,সারাদিন তনুর পাশেই থাকে,নাতাশার মাকে বলসে সে মায়ের বাসায়,,আজ তনু সুস্থ কিছুটা,Doctor বলসে বাসায় ফিরতে পারবে, বাসায় এসে তনু সোফায় বসলো,শিশির টিভি অন করে দিয়ে রুমে চলে গেলো,বসে ভাবতে থাকলো সে কি বদলে গেসে?তনুর জন্য নাতাশাকে sacrifice করছি আমি??আমি কি তনুকে,না যেই অসুস্থ হয় আমি কেয়ার করি সবার তাই বলে তো তাদের আমি ভালোবাসি না,নাতাশাকে ভালোবাসি,
শিশির ভাবতে ভাবতে fresh হয়ে নিলো, তনু সোফায় ঘুমিয়ে গেসে,
তনুকে কোলে তুলে নিতেই ফোন বেজে উঠলো,শিশির তাকিয়ে দেখলো নাতাশার মায়ের কল,শিশির তনুকে খাটে শুইয়ে দিয়ে ফোনটা হাতে নিতেই ওর মনে পড়লো একদিন হাজার কাজ নিয়ে শিশির ব্যস্ত ছিলো কিন্তু নাতাশার মায়ের কল দেখে কাজ ফেলে কল রিসিভ করসে সে,আর আজ কি হলো,
শিশির মাথাটা ধরেছে খুব,,কি করবো আমি, আমি নাতাশাকে ঠকাচ্ছি,
শিশির সোফার রুমেই ঘুমিয়ে গেলো,,
সকালে চোখ খুলতেই দেখলো,,একটা মেয়ে,,সারা ঘরে হাঁটছে আর এটা ওটা কাজ করতেছে,,চোখটা ঝাপসা ঝাপসা লাগায় শিশিরের মাথায় আসতেছে না ছোটাছোটি করা মেয়েটা তনু,চুল খোঁপা করা,,কাপড় কোমড়ে গোজানো,,পরনে নীল শাড়ী,,শিশির চোখ ডলে আবার তাকালো,তনু কাজের মাঝেই তাকালো শিশিরের দিকে
শিশির-তোমার শরীর খারাপ কি করতেছো তুমি
তনু-কিছুই না,নাস্তা বানালাম,আর এখন দুপুরের রান্না করতেছি
শিশির-মানে,কইটা বাজে,
তনু-১১টা
শিশির লাফ দিয়ে উঠে পড়লো,,
তনু-আরে আজ তো শুক্রবার
শিশির-ওহ,তাইলে ঠিক আছে
শিশির fresh হয়ে এসে খেতে বসলো
শিশির-আজ ঐ ভাজি নেই?
তনু মুচকি হেসে এগিয়ে দিলো,
শিশির-হাসার কিছু নেই,আমি মোটেও তোমাতে impressed নাহ
তনু-আমি তা ভাবতেছিও না,যাই হোক আজ আমি আপনার সাথে নাতাশাকে দেখতে যাব
শিশির-নাহ আমি তোমাকে ওখানে নিয়ে নাতাশার ক্ষতি করতে চাই না
তনু-দূর থেকেই দেখবো,তাও যাব প্লিসস প্লিস
শিশির-ওকে তৈরি হয়ে নাও
তনু এক দৌড়ে রেডি হয়ে নিলো,
শিশির কেবিনে ঢুকলো তনু উঁকি মেরে বাইরে থেকে দেখতেছে ভালো করে,হঠাৎ তনুর চোখ গেলো নাতাশার পায়ের দিকে,একি,এটা আমি কি দেখলাম,নেইলপলিশ???কোমায় থেকেও নেইলপলিশ লাগানো যায়,দেখসো কি শেয়ানা,হাতে লাগায় নাই শিশির দেখবে করে,তাই পায়ে লাগাইসে,শয়তান মাইয়া, অসভ্য,আমার স্বামীকে ছলে বলে এতদিন রাখসে,আগেই জানতাম এই মেয়ে মিথ্যা নাটক করতেছে,তনু পিছন ফিরে দেখতে যাবে শিশিরের গায়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাওয়া ধরলো শিশির ধরে ফেললো
শিশির-কি হয়সে
তনু-কিছু না,আসুন
দুজনেই গাড়ী থেকে নামার সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হলো,শিশির তো ভয়ে শেষ না জানি জ্বর বেড়ে যায়,শিশির তনুর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো
তনু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,আমার জ্বরর হওয়ার এত ভয় আপনার,,
শিশির দৌড়ানোর সময় তনুর দিকে তাকিয়ে দেখলো তনু হেসে তাকিয়ে আছে
শিশির-কয়েকদিনের জ্বরে অনেক জ্বালাইসো,তাই আর তা হতে দিচ্ছি না
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে