জন্মটা পতিতালয়ে
লেখকঃ Arian Sumon..
Part 09
..
সামিয়াঃ কি তাকিয়ে থাকলেই চলবে নাকি? কিছু করতে ইচ্ছে করছেনা??
আকাশঃ হুম আদর করতে ইচ্ছে করছে।
সামিয়াঃ তো করো।
আকাশ সামিয়ার কোমড়ে হাত দিয়ে কাছে টেনে নিল। তারপর ঠোটে ঠোট মিলিয়ে দিল।
তারপর সামিয়াকে বিছানায় নিয়ে গেল।
”
”
সামিয়াঃ ঐ কি হলো কি দেখছ
আকাশের ধ্যান ভাঙাল। লজ্জাও পেলোনা। এতক্ষন স্বপ্ন দেখতেছিল।
আকাশঃ নাহ কিছুনা।
সামিয়াঃ এখন শুয়ে পড়ো।
আকাশঃ হুম।
সামিয়া খাটে উঠে শুয়ে পড়ল।
কিন্তু আকাশ কোথায় শুবে। ভাবছে। খাটে শুইলে সামিয়া কি বলে।
সামিয়াও বিষয় টা খেয়াল করল।
সামিয়াঃ শুইতেছ না কেন?
আকাশঃ ইয়ে মানে কোথায় শুইতাম আমি?
সামিয়াঃ কোথায় আবার সোফায় শুয়ে পড়ো।
আকাশঃ হুম। ওকে।
আকাশ সোফায় শুয়ে পড়ল। সামিয়া লাইট অফ করে দিল।
আকাশ ভাবছে বিয়ে তো হয়ে গেল। প্রথম দিন নাকি বাসর রাত। অথচ আমরা আলাদা আলাদা শুইছি। হায়রে কপাল
আকাশ খেয়াল করল বাহির থেকে চাঁদের আলো এসে সামিয়ার মুখে পড়তেছিল। আকাশ সামিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আর ভাবছে কি মায়াবি চেহাড়া টা। যদি একটু স্পর্শ করার সুযোগ পাইতাম। তাহলে অন্তত মন টা শান্তি পাইত।
এসব ভাবতে ভাবতেই আকাশ ঘুমিয়ে গেল।
পরদিন সকালে,,,
আকাশের ঘুম ভেঙে গেল। আকাশ উঠে ফ্রেশ হলো। সামিয়া তখনও ঘুমাচ্ছিল।
আকাশ খেয়াল করল সামিয়ার মুখের উপর কয়েক টা চুল পড়ে আছে। ইচ্ছে করছে শুয়ে দিতে।
দিব দিব না করতে করতে। আকাশ সামিয়ার পাশে চলে যায়।
আকাশ আস্তে আস্তে চুলগুলো সড়াইতেই সামিয়ার ঘুম ভেঙে যায়।
আকাশ ভয়ে পেয়ে দূরে সড়ে যায়।
সামিয়াঃ কি করতেছিলে তুমি
আকাশঃ সরি সরি ম্যাম আমি আসলে চুল
সামিয়াঃ চুল চুলে কি হইছে
আকাশ একটা তেলাপোকা দেখল
আকাশঃ ম্যাম তেলাপোকা
সামিয়াঃ ও মারে
বলেই সামিয়া উঠে এসে আকাশ কে জড়িয়ে ধরল।
আকাশ তো মহাখুশি। অনেক টা চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো আকাশের মনে হলো।
সামিয়াঃ আকাশ ওটাকে সড়াও। প্লিজ প্লিজ প্লিজ
আকাশঃ চলে গেছে ম্যাম।
সামিয়া আকাশ কে ছেড়ে দিল।।
সামিয়া লজ্জা পেলো। সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল।
আকাশ খুশি মনে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।
”
”
আকাশ বাগানে পানি দিচ্ছিল।
এমন সময় সামিয়ার আব্বু আসল,,,
সামিয়ার আব্বুঃ এ কি বাবা তুমি এসব করছ
আকাশঃ এগুলোই তো আমার কাজ আংকেল
সামিয়ার আব্বুঃ তুমি এখন এ বাড়ির জামাই। তুমি আর এ কাজ করবানা
আকাশঃ তো আমি কি করব আংকেল।
সামিয়ার আব্বুঃ আপাদত কিছু করা লাগব না।
আকাশঃ আংকেল এ বাড়ির জামাই তো কি হইছে। এই সামান্য কাজ তো করতেই পারি।
সামিয়ার আব্বুঃ তা পারো তবে আমাকে আংকেল ডাকতে পারোনা।
আকাশঃ তো কি ডাকব
সামিয়ার আব্বুঃ আমি তোমার শশুড় হই। so আব্বু বলে ডাকবা
আকাশঃ এ কি করে হয়
সামিয়ার আব্বুঃ এটাই হয়। যা বলছি তাই করবা। এখন থেকে আব্বু বলে ডাকবা।
আকাশঃ আচ্ছা আংকেল চেষ্টা করব।
সামিয়ার আব্বুঃ আবার আংকেল বলে।
আকাশঃ না মানে আব্বু। যাহোক
সামিয়ার আব্বুঃ এখন চলো
আকাশঃ কোথায়?
সামিয়ার আব্বুঃ নাস্তা করবা আমাদের সাথে
আকাশঃ এ কি বলছেন। আপনাদের সাথে। না এটা সম্ভব না আংকেল। না মানে আব্বু
সামিয়ার আব্বুঃ বেশি কথা বলো কেন। চলো আমার সাথে।
সামিয়ার আব্বু আকাশের হাত ধরল। তারপর টেনে নিয়ে গেল।
আকাশ ভাবতেও পারছেনা এগুলো কি হচ্ছে। যে আমাকে ভালো বানালো। যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। সেই আমার বউ হয়ে গেল। ভাবলাম বাড়ির লোক মানবেনা। এখন দেখি সব উল্টা।।
ভাবতে ভাবতে আকাশের চোখ দিয়ে পানি চলে আসল।
আকাশ গিয়ে দেখে সামিয়া আর সামিয়ার আম্মু টেবিলে বসে আছে।
সামিয়াঃ কোথায় ছিলে তুমি
সামিয়ার আব্বুঃ কোথায় আবার বাগানে পানি দিচ্ছিল।
সামিয়াঃ এখন থেকে তুমি আর এ কাজ করবানা।
আকাশঃ ম্যাম আপনিও
সামিয়াঃ হ্যা। এখন খেতে বসো।
আকাশ বসল। ঠিক তখনি,,
সামিয়ার আম্মুঃ এখন কি এ ফকিন্নির বাচ্চার সাথে আমার খেতে হবে
সামিয়ার আব্বুঃ কি হচ্ছে কি মমতা ও এ বাড়ির জামাই। একটু সম্মান তো দাও
সামিয়ার আম্মুঃ ধুর জামাই। ওর এ বাড়ির জামাই হবার কি যোগ্যতা আছে?কোনো যোগ্যতাই নেই। ধ্যাত খাবই না।
সামিয়ার আম্মু উঠে চলে গেল।
আকাশ কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।
সবাই চুপ। একটু পর সামিয়ার আব্বুও উঠে চলে গেল।
সামিয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
আকাশ মাথা নিচু করে আছে। বুকে একটা চাপা কষ্ট।আমি কি চাইছিলাম নাকি এখানে আসতে। শুধু শুধু আমাকে এনে সবার খাওয়াটাই নষ্ট হলো।
একটু পর সামিয়াও উঠে চলে গেল।
”
”
”
তিন দিন পর,,
আকাশ বাহিরে গেছে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র আনতে।
সামিয়া বাসায় আসে। সামিয়া বাসায় আসতেই। ওর আম্মু এসে দাড়ালো।
সামিয়াঃ কিছু বলবা??
সামিয়ার আম্মুঃ হুম আয় আমার সাথে
সামিয়ার আম্মু সামিয়ার হাত ধরে আকাশ প্রথম যেই রুম টায় থাকত। সেই রুম টায় নিয়া গেল।
সামিয়া গিয়ে অভাক হয়ে যায়। অনেক গুলো মদের বোতল। কিছু বোতল খালি আবার কিছু বোতল এখনও ভাঙেনি।
সামিয়াঃ এগুলো এখানে কেন? কে আনছে??
সামিয়ার আম্মুঃ কে আর আনবে ঐ বেশ্যার পোলাই নিশ্চিত আনছে। ওরে তো প্রায়ই দেখতাম এ রুমে আসত। অনেক ক্ষন পর বেড় হত। কে জানত এখানে ও এই কাজ করে।
সামিয়াঃ মা তুমি সিউর??
সামিয়ার আম্মুঃ আমি একদম সিউর
সামিয়ার মাথা গরম হয়ে যায়। সামিয়া বিশ্বাস করতে পারছেনা আকাশ এসব করবে। আবার এ বাড়িতে এমন কেউও নাই যে এসব আনবে। একমাত্র আকাশই এসব খেত। সামিয়া ভাবতেও পারছেনা আকাশ এসব খায়।
”
”
কিছুক্ষন পর আকাশ আসে। এসেই দেখে টেবিলে কতগুলো মদের বোতল সাজানো। আর সামিয়া আর সামিয়ার আম্মু বসে আছে। সামিয়া কেমন যেন রেগে আছে।
সামিয়া আকাশ কে দেখেই। সোজা এসে ঠাসসস করে আকাশকে থাপ্পড় মারে।
আকাশঃ মারলেন কেন?
সামিয়াঃ কি ভাবিস নিজেকে তুই আমার সামনে নিজেকে ভালোভাবে রাখিস দেইখা আমি কিছু ধরতে পারব না??
আকাশঃ কি করেছি আমি??
সামিয়াঃ ওগুলো কি??
আকাশঃ মদের বোতল।
সামিয়াঃ এগুলো এ বাড়িতে কি করে?? কে আনছে
আকাশঃ আমি কি করে বলব
সামিয়াঃ একদম মিথ্যা কথা বলবিনা। এ বাড়িতে তুই ছাড়া কেউ এসব খায়না। একমাত্র তুই এসব খাইতি।
আকাশঃ বিশ্বাস করুন ম্যাম আমি এসব খাইনা এখন।
সামিয়াঃ বিশ্বাস করেই তো সব করেছিলাম। তুকে বিয়েও করেছি। কিন্তু আর না। তুই এখনি এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবি।
আকাশ সামিয়ার মার দিকে তাকাল। বুঝতে পারল আসল কাহিনি।
আকাশঃ ওকে ম্যাম আপনি যা বলছেন তাই হবে। আমি চলে যাব।( মাথা নিচু করে)
সামিয়াঃ হ্যা এখনই আমার সামনে থেকে চলে যাহ। আর কিছুদিন পর আমি ডাকলে এসে ডিভোর্স পেপারে সাইন করে যাইছ।
আকাশ কিছু বলল না। যেভাবে ছিল ওভাবেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়ল।
”
”
রাত্র একটা বাজে,,,
আকাশ ফুটপাতে বসে আছে।
ভাবছে আসলেই আমার মতো ছেলেরা কখনই ভালো হতে পারবেনা। কারন সমাজের উচু মানুষ গুলোর মনই অনেক ছোট। এরা ছোটদের দেখতে পারেনা। আপন করে নিতে পারেনা।
এমন সময়েই আকাশের চোখ যায় একটু দূরে।
দেখতে পেল তিন চার জন লোক একজন কে ধরার চেষ্টা করছে। ধরেও ফেলেছে।
আকাশ দৌড়ে সেখানে যায়। এবং দেখে একজনের হাতে ছুড়ি এবং একজনের হাতে পিস্তল। অন্য দুজন লোকটিকে ধরে রেখেছে।
আকাশ…..??????
TO BE CONTINUE