? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৮

0
853

? তোমার আড়ালে ?পার্ট :৮

Urme prema (sajiana monir)

আরোশ তার স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে এই মুখখানাতে হাজারো মায়া ভিড় করছে ।এই মায়া যেন তাকে এক ঘোরের মধ্যে নিয়ে যায় ।ভোরের আলো জানালার পর্দা ভেদ করে হালকা আলো রুমের মধ্যে এসে পড়ছে যা পুরো রুম আবছা আলোয় আলোকীত করে রেখেছে ।আরোশ নিজের হাতের বুরো আঙ্গুল নিয়ে সুবাহর ঠোঁটে ছোয়াচ্ছে আমার তার গালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করছে ।সুবাহ কপাল কুচকিঁয়ে কিছুটা নড়ে উঠে যেন সে কিছুটা ডিস্টার্ভ ফিল করছে আরোশ তা দেখে মুচকি হাসে তারপর আবার সুবাহর প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য পূনরায় একই কাজ করে এবার ও সুবাহ আগের মত নড়ে উঠে কিন্তু এবার আরোশের বুকে মুখ লুকায় তার আরোশকে বেশ শক্ত করে জরিয়ে ধরে ।আরোশ ও মুচকি হেসে সুবাহর মাথায় চুমু দিয়ে তার চুলে বিলি দিতে লাগে ।
আরোশ এই মূহুর্তে ঘোরে আছে সুবাহর মায়া জালে আটকিয়ে আছে ।কি করছে ?কেন করছে তা সে জানতে চায় না সে শুধু এই মুহূর্তটাকে আটকিয়ে রাখতে চায় ।সে এই সময়টাকে ধরে রাখতে চায় কিছু সময়ের জন্য সুবাহর মাঝে ডুবে যেতে চায় ।

সুবাহ র হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় আদো আদো চোখ খুলে দেখে তার দিকে কেউ ঝুকেঁ রয়েছে সুবাহ তাকে ঝাপসা দেখছে তাই চোখ ডোলতে ডোলতে সামনে তাকিয়ে দেখে আরোশ তার দিকে ঝুকেঁ আছে ।এনজরে তাকে দেখছে পলকহীন ভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে ।সুবাহ কিছুটা নড়ে চড়ে উঠে তারপর উঠতে নিলে আরোশ সুবাহ কে উঠতে না দিয়ে আটকিয়ে আগের মত পলকহীন ভাবে তাকিয়ে বলতে লাগে
“আমার দেখা শেষ হয়নি !
আজকের জন্য এখনো মন ভরে নি আরো কিছু সময় আমি দেখবো তোমায় !”
সুবাহ আরোশের কথায় আর এমন বযবহারে শক খায় তার সব মাথা উপর দিয়ে যাচ্ছে ।আর শুধু তার না আরোশ কি করছে কি বলছে সেনিজেই জানে না কারন এই মুহূর্তে সে নিজের মধ্যেই নেই সে সুবাহর ঘোরে আছে তার ভালোবাসার ঘোরে আছে !
সুবাহ ও আরোশের এই চাহনিতে কেমন জানো ঘোরে চলে যাচ্ছে ।সুবাহ আলতো হাতে মুচকি হেসে আরোশের ঠোঁটের নিচের তিলে স্পর্শ করে বেশ কিছু সময় সেখানে হাত বুলায় তার পর তার বাম গালের তিলে স্পর্শ করে বেশ কিছুসময় এভাবে কাটিয়ে দেয় হঠাৎ আরোশের রাগের কথা মনে পড়তেই তারাতারি করে উঠে চলে যেতে নেয় যেই বেড থেকে নামতে নিবে পিছন থেকে আরোশ সুবাহর হাত ধরে আটকিয়ে নেয় তার পর তাকে হেচকা টান দিয়ে নিজের কাছে আনে তারপর তার কপালে গভীর ভাবে চুমু দিয়ে বলতে লাগে
“যাও এবার !”
সুবাহ পুরো বোকা বনে গেলো ।তারপর বেশ কিছু সময় মনে মনে আরোশের হিসাব মিলাতে মিলাতে ওয়াশরুমে ডুকে পড়ে ফ্রেশ হতে ।
শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখে আরোশ শুয়ে আছে সুবাহ আরোশকে ঘুমে ভেবে আলতো পায়ে একপা দুপা করে আরোশের দিকে আগাতে লাগে ।তার পর তার কাছে বসে তার হাত আরোশের কপালে ছুঁয়িয়ে চুল গুলো নেড়ে তার দিকে ঝুকেঁ তার কপালে গভীর চুমু দিয়ে উঠে নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় ।সুবাহ যেতেই আরোশ মুচকি হেসে চোখ খুলে এতসময় ধরে সে ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে ছিলো সুবাহর পগলামি দেখার জন্য !

সুবাহ বারান্ধায় রোদে বসে চুল গুলো সামনে একপাশে এনে শুকাচ্ছে হালকা মিষ্টি রোদ গায়ে মাখাতে বেশ ভালোই লাগছে ।সুবাহ চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে ।হঠাৎ কারো রুমে প্রবেশ করার শব্দে পিছনে ঘুরে তাকায় তাকিয়ে দেখে আরোশ রুমে এসেছে একবার পিছনে ঘুরে তাকিয়ে আবার সামনে ফিরে ।
আরোশ বারান্ধায় এসে দেখে সুবাহ নিজের চুল শুকাচ্ছে এক সাইডে চুল আনার কারনে সাদা পিঠ স্পর্শ দেখা যাচ্ছে আর সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মাঝের ছোট চিলটা।আরোশে সেই তিলটা ক্রোমশই টানছে ।আরোশ চাওয়ার পর ও নিজের উপর নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা !
হঠাৎ কেউ পিছন থেকে সুবাহর কমোড় জরিয়ে ধরতেই সুবাহ কেপে উঠে পিছনে থাকা ব্যক্তি আস্তে আস্তে তার মুখ সুবাহর ঘাড়ে গুজঁতে লাগে ।সুবাহ প্রথমে ভয় পেলেও পরক্ষনে ঠি কই বুঝে যায় সে কে !
তার গায়েঁ সেই চিরচেনা সুবাস তার আসার বার্তা জানিয়ে দিয়েছে ।সুবাহ জানে সে তার হাত থেকে ছাড়া পাবেনা তাই সে বৃথা চেষ্টা করেও না !
আরোশ সুবাহর ঘাড়ে মুখ গুজেঁ চোখ বন্ধ করে তার গায়েঁর সুবাশ নিচ্ছে সুবাহ ও তাকে আটকাচ্ছেনা না কারন তার ও আরোশের বাহু ডোরে আবাদ্ধ থাকতে বেশ ভালো লাগছে ।আরোশ নিচু কন্ঠে বলতে লাগে
“সন্ধ্যায় রেডি থেকো !”
সুবাহ ভ্রু কুচঁকিয়ে জিগাসা করে
“কেন ?”
আরোশ আগের মত মুখ গুজেঁ বলতে লাগে
“তুমি আমার সাথে আজ সন্ধ্যায় ভার্সিটির ফাংশনে যাচ্ছো !”
সুবাহ আরোশের মুখে কথাটা শুনে বেশ কিছু সময় চুপ থাকে কিছু একটা ভেবে নিচু স্বরে উত্তর দিয়ে বলতে লাগে
“আমি যাবো না !”
আরোশ সুবাহ র মুখে যাওয়ার জন্য না শুনে মুখ তুলে ঠি ক ভাবে তাকিয়ে স্বাভাবীক ভাবে বলতে লাগে
“কেন যাবেনা !”
সুবাহ নিচু হয়ে শান্ত ভাবে বলতে লাগে
“আমার ভালোলাগছে না আমি যাবো না !”
এবার আরোশ সুবাহর দিকে নিজের শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলতে লাগে
“আমি এত কিছু শুনতে চাইনা তুমি যাবে !
সন্ধ্যায় যেন পুরো রেডি দেখি ।”
বলেই হন হন করে চলে যায় ।আরোশের যাওয়ার দিকে সুবাহ তাকিয়ে থাকে ।সুবাহ তো যেতে নিষেধ করেছে শুধু মাত্র নিদ্রার জন্য কারন সে চায়নি নিদ্রার মুখোমুখি সে হোক !
নিদ্রার কাছে বার বার অপমানীত হওয়ার শখ তার নেই আর নিদ্রা কিছু বললে না সে সয্য করতে পারবে না সে তাকে কিছু বলতে পারবে ।নিদ্রা যদি আরোশ আর তাকে দেখে তাহলে আবার ঝামেলা করবে যা সে একদম চায়না তাই সে আরোশের সাথে যেতে চাচ্ছে না কিন্তু আরোশ তো আর তার কথা শুনতে চাচ্ছেনা !

সন্ধ্যায় আরোশ রুমে এসে দেখে সুবাহ ঘরের লাইট অফ করে ঘুমাচ্ছে ।আরোশের তা দেখে বেশ মেজাজ গরম হয়ে যায় ।কারন সে সুবাহ কে বলেছিলো রেডি থাকতে কিন্তু সে রেডি না হয়ে ঘুমাচ্ছে তাই রুমে ডুকে টান দিয়ে বেড থেকে উঠায় ।হঠাৎ ঘুমের মধ্যে কেউ হেচকা টান দিতেই সুবাহর ঘুম ভেঙ্গে যায় ।সে লাফ দিয়ে বেড থেকে উঠে বসে বড় বড় শ্বাস নিতে থাকে !
হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখে আরোশ তার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে ।সুবাহ তা দেখে ভয়ে বেশ বড় একটা ডোক গিলে ।আরোশ রেগে হাত ধরে টান দিয়ে বেড থেকে নামিয়ে বলতে লাগে
“কি বলেছিলাম আমি তোমাকে ?”
সুবাহ ভয়ে ভয়ে উত্তর দেয়
“রে..রে…রেডি থাকতে ব..ব..বলেছেন !”
আরোশ চিৎকার করে রেগে বলতে লাগে
“তাহলে কেন রেডি হওনি ?”
সুবাহ আমতা আমতা করে বলতে লাগে
“আ..আমি যাবোনা !”
আরোশের তা শুনে যেন আরো রাগ বেড়ে গেল ।আরোশ সুবাহর বাহু শক্ত করে ধরে বলতে লাগে
“আমার কথার উপর কথা বলার সাহস পাও কোথা থেকে ?
তোমাকে যা বলেছি তা করো ।”
আরোশের কথা শুনে চোখ গোল গোল করে বলতে লাগে
“আমি যাবোনা মানে না !
আপনি কেন আমাকে জোর করছেন ?
তাছাড়া আপনি তো আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বিয়ে করেছেন ।তো আপনি আপনার সাথে না গেলেই কি আসে যায় ।”
আরোশ রেগে বলতে লাগে
“আমি কি করবো না করবো তা তোমাকে বলতে হবেনা ।”
বলেই কাবার্ড খুলে কাপড় খুঁজতে লাগে ।কিছু সময়ের মধ্যে একটা হোয়াইট স্টোনের পাড়ের কালো শাড়ি বের করে এনে সুবাহর হাতে ধরিয়ে দেয় ।তারপর বলতে লাগে
“৫ মিনিটের মধ্যে এটা পড়া দেখতে চাই !”
সুবাহ শাড়ি হাতে নিয়ে থম মেরে দাড়িয়েছে আছে আরোশ তা থেকে ধমকের স্বরে বলতে লাগে
“তুমি যাবে নাকি আমি পড়িয়ে দেব ?
অকে ঠিক আছে আমিই পড়িয়ে দিচ্ছি !”
বলেই সুবাহর শাড়িতে যেই হাত দিতে নেয় সুবাহ ভয়ে তারাতারি করে শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে দৌড় দেয় ।
কিছুসময় পর সুবাহ ওয়াশরুম থেকে বের হতেই আরোশ সুবাহর হাত ধরে টেনে ডেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে তার কানে দুল পড়াতে লাগে সুবাহ আরোশের কান্ড দেখে হা করে তাকিয়ে আছে ।আরোশ সেদিকে তেক্কার না করে ঘাড়ের চুল সরিয়ে গলায় নেকলেস পড়াতে লাগে ।
তারপর সুবাহ নিচের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
“বাকিটা আমি রেডি হই ?”
আরোশ সুবাহর কথা শুনে দূরে সরে নিজে রেডি হতে লাগে ।সুবাহ চুল গুলো ব্রাশ করে ছেড়ে দেয় ঠোঁটে হালকা পিংক লিপস্টিক দেয় ।
তারপর দুজন বেরিয়ে যায় ভার্সিটির উদ্দেশ্য ।

ভার্সিটির গেটের সামনে নামতেই নিদ্রাকে গেটের সামনে দেখতে পায় ।সুবাহ মাথা নিচু করে ভিতরে চলে যায় আরোশ নিদ্রাকে দেখে আরোশকে সুবাহকে আলতো করে জরিয়ে ধরে বাকাঁ হেসে ভিতরে চলে যায় নিদ্রা তা দেখে রেগে ফুসতে লাগে ।
আরোশ ভিতরে যেতেই ফ্রেন্ডসরা তাকে ঘিরে ধরে আসে তো মেয়েরা আছেই ভার্সিটির rockstar বলে কথা ।আরোশের পাশে মেয়েদের দেখে সুবাহ র মোটেও ভালো লাগছেনা ।সুবাহর মন খারাপ হয়ে যায় সুবাহ আস্তে আস্তে আরোশের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দূরে সরে যেতে নেয় ।আরোশ ভিড়ের মধ্যে খপ করে সুবাহর হাত ধরে কাছে এনে হালকা করে সুবাহর বাহু জরিয়ে ধরে মুচকি হেসে সামনে সবার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
“মিড মাই ওয়াইফ সুবাহ খাঁন !”
সুবাহ এমন কিছু আশা করেনি ।আরোশ সবার সামনে সুবাহকে এমন ভাবে পরিচয় করিয়ে দিবে তা তার কল্পনার বাহিরে ছিলো ।সে আরোশের দিকে ছল ছল করে চোখে মুচকি হেসে তাকিয়ে থাকে ।আরোশ সুবাহর বাহুতে হাত রেখে জরিয়ে ধরে সবার সাথে কথা বলতে লাগে আর সুবাহ তা দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে থাকে !

চলবে….
❤️❤️❤️❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন ???

সরি আমি রেগুলার গল্পটা দিতে পারছিনা তাই খুব তারাতারি গল্প শেষ করে দিবো আর কয়েকটা পার্টে শেষ করে দিবো ❤️❤️❤️

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে