হৃদয়ের বন্ধ পর্ব-০৩

0
990

#হৃদয়ের বন্ধ
#part:3
#লেখিকা:Afshana Afrin

“””অফিসে যেতেই চাকরির রিজাইনিং লেটার পাবে
ভাবতে পারেনি তোর্সা। তোর্সা কৌতূহলী হয়ে যানতে চাই কেন তাঁকে রিজাইন দেওয়া হচ্ছে। জায়ান বলল মিস তোর্সা আসলে আমার বর্তমানে সেকেন্ড পিএ ধরকার নেই তাই। তোর্সা বলল কিন্তু sir আপনি তো যানেন জব টা আমার জন্যে কি আপনি একটা অন্য পোস্টে দিয়ে দিন না। জায়ান গম্ভীর কন্ঠে বলে সরি তোর্সা সিট নেই আমি তোমাকে একটা কাজ পাইয়ে দিতে পারি করবে তুমি? তোর্সা কিছু না ভেবে বলে দেই সে রাজি। জায়ান একটা কাগজ লিখে দিয়ে বলল এই কাগজ টা ঠিকানা দেওয়া অফিসে গিয়ে এমডি কে দিবে আর কাজ টা হলো একটা বাচ্চা কে দেখা শুনা করা বেতন ডাবল পাবে 50.000 টাকা। টাকার কথা শুনে তোর্সা বলে সমস্যা নেই sir আমি পারবো। জায়ান বলল গুড আমি ফোন করে দিচ্ছি তুমি যাও। তোর্সা thank you বলে চলে যাই। তোর্সা যেতেই জায়ান অর্নব কে ফোন দিয়ে বলে কাজ শেষ ও আসছে বাকিটা দেখে নিস। অর্নব বাঁকা হেসে ফোনটা রেখে দেই। অরন্য অর্নব এর পাশে ফোনে গেমস খেলছিলো অর্নব উঠে অরন্য কে জড়িয়ে ধরে বলে তোকে কথা দিয়েছিলাম না সোনা তোর ভাবী আম্মু কে এনে দিবো আজ থেকে তোর্সা হবে তোর ভাবী আম্মু। অরন্য বলল কখন আসবে ভাবি আম্মু? অর্নব উওর দেই এই তো এখনি আসবে।

এক ঘন্টা জার্নি করে তোর্সা পৌছে যাই চৌধুরি কম্পানির সামনে। তোর্সা নামটা দেখেই বলে এটা তো অর্নব চৌধুরির অফিস তার মানে কি কালকের এই বাচ্চা টার জন্য লোক নিচ্ছে? যাই হোক দেখি কি আছে কপালে বলেই ভিতরে ডুকে যাই। ভিতরে ডুকে গার্ড কে জিজ্ঞাসা করে এমডির রুম কোনটা। গার্ড এমডির রুমে নিয়ে যাই। তোর্সা ঠিক টাক হয়ে বলল আসতে পারি sir.? অর্নব কিছুটা গম্ভীর কন্ঠে বলে কাম। তোর্সা ভিতরে ডুকতেই অরন্য দৌড়ে গিয়ে ভাবি আম্মু বলে জড়িয়ে ধরে। তোর্সা ও অরন্য কে কুলে নিয়ে চেয়ারে বসে। অর্নব তোর্সা কে দেখে এমন ভাব নিচ্ছে যেন তোর্সা কি করতে আসছে সে যানে না। অর্নব তোর্সা কে পশ্ন করে আপনি হঠাৎ আমার অফিসে মিস? তোর্সা সহজ ভাবে উওর দেই আসলে জায়ান sir পাঠিয়েছে এই নিন এই টা দিতে বলল। অর্নব কগজ টা নিয়ে কিছুটা গম্ভীর সুরে ম্যানেজার কে কল দেই। ম্যানেজার আসতেই অর্নব বলল ম্যানেজার সাহেব যেই নিয়োগ টা দেওয়া হয়েছিলো সেটা ক্লোজ করে দিন লোক নেওয়া হয়ে গেছে। অর্নব এর কথা শুনে ম্যানেজার চলে যাই। অর্নব বলল মিস তোর্সা আপনি তো যানেন কি জব আপনি কি রাজি? তোর্সা বলল জি আমার চাকরিটা ভিষন ধরকার। অর্নব বলল তাহলে কিছু শর্ত শুনে নিন আপনাকে আমার বাসাই থাকতে হবে 24 ঘন্টা বুজলেন? তোর্সা বলল কিন্তু sir বাসাই তো আরো লোক আছে ওরা কি ভাববে একটা অবিবাহিত মেয়ে একটা অবিবাহিত ছেলে এক বাসায়? অর্নব বাঁকা হেসে বলল আপনি কি বাই চান্স আমাকে বিয়ে করতে বলছেন মিস? তোর্সা তারা তারি করে বলল না। অর্নব বলল তো কি? তোর্সা ইতস্তত বোধ করে বলে আসলে আপনি তো বিষয় টা বুজতেই পারছেন। অর্নব গম্ভীর কন্ঠে বলে বুঝতে পেরেছি আপনি বাসাই আসেন আমি বুজে নিবো বিষয়টা। শুনুন অরন্য কে আপনার সব সময় টাইম দিতে হবে মম নেই অরন্য কে জন্মের পর থেকে মানুষ করেছি আমি ওর জন্মের সময় মম মারা যাই। তাই বুজতেই পারছেন মিস অরন্য আমার কতো আদরের,,””ওকে সব সময় খুশি রাখতে হবে ওর খেয়াল রাখতে হবে অরন্য সহজে কারো সাথে মিশে না কিন্তু আপনাকে ওর দারুন লেগেছে বিক্সস আপনি বিউটি কুইন। অর্নব এর কথা শুনে তোর্সা কিছুটা টা লজ্জা পাই আবার অরন্য মুখের দিকে তাকিয়ে মন টা খারাপ হয়ে যাই এতো টুকু বাচ্চা মা নেই। তোর্সা অর্নব কে বলল তাহলে কবে থেকে জয়েন sir? অর্নব উওর দেই আপনি যখন চাইবেন। তোর্সা বলে তাহলে আজকে থেকেই আমি হোসটেল থেকে আমার জিনিস পত্র নিয়ে আসছি। অর্নব বলে সিউর মিস তার আগে একটা সাইন দিন 3 বছর এর আগে জব চারতে পারবেন না তাহলে জরিমানা 40 লাখ টাকা। তোর্সা চেঁচিয়ে বলে কিইই অসম্ভব । অর্নব বলে তাহলে আমার কিছুই করার নেই। তোর্সা এই বার ভাবনায় পরে যাই। ছোট অরন্য তোর্সার গালে হাত রেখে বলল ভাবী আম্মু তুমি কি চলে যাবে। তোর্সা অরন্যর মুখের দিকে কিছু কন তাকিয়ে উওর দেই না সোনা বাচ্চা তোমার সাথেই থাকবো। মিঃ অর্নব আমি রাজি। অর্নব একটা কাগজ দেই তোর্সা না পড়ে সাইন করে দেই। সাইন করতে অর্নব কাগজ টা নিয়ে শয়তানী হাঁসি দেই।
তোর্সা বলে তাহলে আসি sir সন্ধ্যায় চলে আসবো। অর্নব মাথা নারাই। তোর্সা অরন্যর গালে হাত রেখে বলে সোনা বাচ্চা আসি সন্ধ্যায় দেখা হবে। অরন্য বলে নো তুমি আর আসবে না আমি তোমাকে যেতে দিবো না। তোর্সা বলল আসবো সোনা বাচ্চা সত্যি। অরন্য জেদ ধরে বলল তাহলে আমাকে ও নিয়ে চলো তাহলে বিশ্বাস করবো। তোর্সা অর্নব কে পশ্ন করে আমি কি অরন্য কে নিবো? অর্নব উওর দেই সমস্যা নেই নিতে পারেন সন্ধ্যা আমি আপনাদের দুই জন কে নিয়ে আসবো। তোর্সা বলল ঠিক আছে sir তাহলে আমরা আসি। অর্নব মাথা নারাই,, অরন্য অর্নব এর গালে চুমু দিয়ে বলল টাটা ভাইয়া আব্বু
অর্নব অরন্যর গালে চুমু দিয়ে বলে টাটা আমার বাঁচ্ছা টা। অরন্য অর্নব কে পশ্ন করে তুমি আমাকে কিসি দিলে ভাবী আম্মু কে তো দিলে না তুমি তো খুব কিপটা ভাইয়া। অরন্যর কথা শুনে অর্নব আর তোর্সা বিষম খায়। অর্নব গম্ভীর কন্ঠে বলে কি হচ্ছে অর্নব তোমার ভাবী মা বড়ো! বড়ো দের চুমু দিতে হয়না। অরন্য বলল তাহলে তুমি তো বড়ো আমি তো তোমাকে দেই? এতো কিছু যানিনা ভাবি আম্মু কে তুমি কিসি দিবেই। অর্নব রেগে বলে কি হচ্ছে অরন্য কথা বুজোনা? অর্নব কে রাগতে দেখে তোর্সা অরন্য কে কুলে তুলে বলল রাগ করবেন না ও তো বাচ্চা বুজে না আমি বোঝাবো ওকে। তোর্সা অরন্যর কানে কানে কিছু একটা বলতেই অরন্য চেঁচিয়ে বলে নো ভাইয়ার কিসি দিতে হবে না তবুও তুমি যেও না তুমি আমার মাম্মী আমি কাদবো তুমি চলে গেলে। তোর্সা অরন্যর গালে চুমু দিয়ে বলে আমি যাচ্ছি না বাচ্চা চলো তোমাকে নিয়ে যাবো বলেই অর্নব এর কেবিন থেকে বেরিয়ে যাই। তোর্সা আর অরন্যর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অর্নব বলে আমি যানি তোর্সা তুমি ঠিক মায়ের মতো ওকে আগলে রাখবে। তবে তোমাকে না জানিয়ে একটা বড়ো কাজ করে ফেলেছি এ ছারা উপায় নেই আর…….
চলমান….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে