#স্বামীর_বিয়ে১১
#সাখেরীন
অভ্রঃ রুহীনির কপালে চুমু খেয়ে ওকে কুলে তুলে নিলাম গাড়িতে ওকে বসিয়ে দিলাম, তারপর গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলাম
রুহীনিঃআমি আবারও গান অন করে অভ্রের বুকে মাথা রাখলাম।
হোটেলে এসে অভ্রের বুকে মাথা রেখে ঘুমের দেশে পা দিলাম।
পরেরদিন____
শীত করছে খুব তাই এসির পাওয়ারটা বাড়াতে উঠতে চাইলাম….. একি আমি উঠতে পারছি না?? কেউ আমাকে ধরে-বা চেপে রেখেছে তাই এবার ভালো করে তাকিয়ে দেখি অভ্রের কুলে আমইই…
অভ্রঃ রুহীনিকে বারান্দায় দাড়িয়ে আছি….।
অভ্রঃ( মুচকি হাসি দিয়ে) গুড মনিং জান।
রুহীনিঃ(অভ্রের বুকে নাক ঘষে) উমমম মনিং জান
অভ্রঃ আরো ঘুমাবে নাকি??( ভ্র কুঁচকে)
রুহীনিঃ না… কিন্তু আর একটু থাকি…( বলেই অভ্রের বুকে চুমু খেলাম তারপর আরো শক্ত করে জড়িয়ে দড়লাম)
অভ্রঃরুমের দিকে যেতে লাগলাম…।
তারপর দুজনেই ফ্রেশ হয়ে…ক্যাফেতে গেলাম শুধু কফি পান করে…. বেরিয়ে পড়লাম দিনের আলোয় শহরটাকে এক নজর করে দেখার জন্য। প্রাকৃতিক সাদা বরফের ঢাকা দেশকে মনে গভীর থেকে অনুভব করার জন্য। কিছু স্মৃতির রাখা জন্য।
অভ্রঃদেখলাম রুহীনি কি জেনো ভেবেই যাচ্ছে তাই হাতে অল্প পরিমাণ বরফ নিয়ে গলায় দিয়ে দৌড়াতে লাগলাম জানি এখন আর দাড়িয়ে থাকলে রক্ষা পাবো না।
রুহীনিঃহঠাৎ গলায় ঠান্ডা অনুভব করলাম ভালো করেই বুঝলাম বরফের সাথে এটা বুঝে গেছি এটা অভ্রের কাজ আমিও অল্প পরিমান বরফ নিয়ে তাকিয়ে দেখি অভ্র পালাচ্ছে …. তাই আমিও পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলাম।
মানালিতে তিন দিন ছিলাম অভ্র আর আমিই খুব ইনজয় করছি। আরো তিন দিন থাকতাম কিন্তু নূরের জন্য আবার বাংলাদেশে আজই ফিরছি।
( নূর হলো অভ্রের ছোট কালের ফ্রেন্ড পড়াশুনার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে ছিলো আগামীকাল ফিরবে)
অভ্রঃরুহীনি তুমি জানো আমার বাবা , মা,বোন,নিহাল,ও নূর,মমসি(নূরের মাকে অভ্র মমসি বলেই ডাকে) এই মানুষ ঘিরে আমার পৃথিবী ছিলো
আর এখন তুমিও সেই পৃথিবীর একজন মানুষ হয়ে আছো।
রুহীনিঃ( অভ্রের বুকে মাথা রাখলাম) আর তুমি সেই মানুষেদের স্বপ্ন, ভরসা-আশা,বিশ্বাস।
অভ্রঃরুহীনিকে জড়িয়ে দড়লাম।
অনেক জার্নির পর বাসায় পৌছালাম প্রায় ভোর হয়ে আসছে।
রুহীনিতো বাসায় ডুকেই অভ্রের মাকে সালাম করলো। অভ্রের মা বুকে জড়িয়ে নিলো।
সবাই ঘুমিয়ে আছে শুধু অভ্রের মা জেগে আছে এটাই মায়ের ভালোবাসা।
#পৃথিবীর_সকল সন্তানের শ্রেষ্ঠ ও নিরাপদ আশ্রয় মা, যিনি সন্তানের জন্য সব ত্যাগ করতে পারেন এবং সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃস্বার্থ ভালবাসে……
অভ্রের মাঃতোরা ফ্রেশ হয়ে আয়… আমি খাবার দিচ্ছি।
আমরা দুজনেই ফ্রেস হয়ে খেয়ে ঘুমুতে গেলাম।
সকাল ১০ টা বাজে ______
রুহীনিঃ ঘুম ঘুম চোখে দেখি অভ্র পাশে নেই হুড়মুড়ি দিয়ে উঠলাম ভালো করে খেয়াল করে দেখি বালিশের ওপরে একটা হলুদ চিরকুট । চিরকুটা দেখেই মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। চিরকুটটা খুলে পড়তে লাগলাম___________
অভ্রঃ
……. বউ আমি জানি তোমার মুখে এখন এক চিলতে হাসি ফুটে আছে….বড়ই দুঃখের সঙ্গে আমিই এই চিরকুটটা লিখছি…কারন আজ সকালে তোমার ঠোঁটের ছোয়া ও মধুর কন্ঠ শুনতে পাইনি…. যাই হোক টেবিলে ব্রেকফাস্ট রাখা আছে লক্ষি বউের মতো খেয়ে নিও…. দুপুরের দেখা হবে নূরেকে পিক আপ করে যাচ্ছি…. তোমাকে বলেই যেতাম কিন্তু তুমি ঘুমিয়ে ছিলে তাই ডিস্টার্ব করিনি তাই চিরকুটটা লিখেছি। লাভ ইউ জান……
রুহীনিঃ (মুচকি হাসি দিয়ে) লাভ ইউ টু( মনে মনে)
পড়া শেষে নিজেকে খুব স্পেশাল লাগছে। কখনো ভাবিনি আমার কপালে এমন সুখ জুটবে।
তারপর ফ্রেশ হয়ে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করলাম…..রেডি হলাম আমি বেশি সাজলাম নাহ।এন্ড সাজিও নাহ কারন অভ্র বলে সাজার থেকে না সাজলেই নাকি আমাকে ভালো দেখায়।
তাই শুধু ঠোঁটে হালকা করে লিপস্টিক দিলাম চোখে হালকা করে কাজল দিলাম আর চুলগুলা ছারলাম। নিচে গিয়ে তো আমি অবাক_____পুরো বাড়ি মুটামুটি ভাবে ড্রেক রেট করা।
অভ্রে বাবাঃ মামনি দাড়িয়ে না থেকে আমার সাথে এসে বসো।
রুহীনিঃ ( হুস ফিরলো একটু নূরের কথা বেশিই ভেবে ফেলেছি) না বাবা… আমি মার সাথে যাচ্ছি।
অভ্রের বাবাঃ আচ্ছা যাও
রুহীনি মার কাছে চলে এলাম_______
অভ্রের মাঃ কিরে ঘুম হলোতো ঠিক মতো??
রুহীনিঃ হুম…. কিন্তু আমাকে ডেকে দিলেইতো হলো আমি রান্না গুলো করে দিতাম।
অভ্রের মাঃসব রান্না শেষ এখন মাংসের কালো বুনাটা হলেই শেষ
রুহীনঃওহ
অভ্রের মাঃতুই শুধু একটা কাজ করে দিবি??
রুহীনিঃ কি বলো
অভ্রের মাঃ তুই তো জানিস এখন বাসায় সবাই তোর হাতের পায়েস ছাড়া অন্যকেও পায়েস রাঁধলে মুখেই নেই নাহ… তাই আমি বলি কি পায়েস টা একটু রেঁধে দে।
রুহীনিঃ হিহিহি ওকে মা আমি এখনি রেঁধে দিচ্ছি ।
অভ্রের মাঃ আমার লক্ষি বউমাটা।
রুহীনিঃ তালের পায়েস রান্না করবো। কারন এখন তালের সময়…তালের পায়েস খাওয়ার মজাই আলাদা।
তারপর আমি পায়েস
স্পেশাল রেসিপি তালের পায়েস রাঁধার জন্য আমি বিভিন্ন সামগ্রী নিতে লাগলাম_______
পাকা তালের গন্ধে জমে উঠেছে বাজার। তালের বড়া, তালের ক্ষীর এর সঙ্গে সত্যিই কোনও পদের তুলনা চলেনা। তবে দেখে নিন তালের পায়েসের সহজ রেসিপি।
তালের পায়েস বানাতে লাগবে-
চাল: ২৫০ গ্রাম
ঘন করে জ্বাল দেওয়া দুধ: ১ লিটার
ঘন করে জ্বাল দেওয়া তালের রস: ছোট এক বাটি
চিনি: পরিমাণ মতো
কাজু, কিসমিস: হাফ কাপ
ঘি: ২ চামচ
কনডেন্স মিল্ক: ৫ চামচ
যে ভাবে বানাবেন-
রান্নার আগেই চাল মিনিট ২০ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর জল ঝরিয়ে নিন
একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে চাল দিয়ে একটু ভেজে নিন
মিনিট পাঁচেকের পর কিছুটা দুধ দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
অন্য একটি পাত্রে বাকি দুধ মিনিট তিনেক ফুটিয়ে নিন তাতে তালের রস দিয়ে দিন
এরপর এতে চিনি দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন।
মিশ্রন ঘন হয়ে এল তাতে ফুটিয়ে রাখা চাল দিয়ে নাড়তে থাকুন।
ঘন হয়ে এলে কনডেন্স মিল্ক, কাজু, কিসমিস দিয়ে নামিয়ে নিন।
ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন সুস্বাদু তালের পায়েস।
|
চলবে…….