স্বপ্নীল
৪৬
তামিম ঢাকা থেকে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়।বাড়ি ফিরে রুমে ঢুকে সোহাকে দেখতে পায়।তামিমের দেওয়া সেদিনের শাড়ি পড়েছে সোহা।শাড়ির সাথে মিলিয়ে গয়না পড়েছে ।সোহা তামিমের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে ফেলে।লজ্জা লাগছে খুব! সাথে জড়তা কাজ করছে।না জানি তামিম কি মনে করে বসে।ক্লজেট থেকে টি-শার্ট আর ট্রাউজার এনে বাড়িয়ে দেয় তামিমের দিকে।
তামিম সোহার হাত থেকে জামা কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে।সোহা ভাত বাড়তে নিলেই তামিম বাধা দিয়ে বলল,
-” আমি খেয়ে এসেছি।”
সোহা চোখ তুলে তাকায়।বোঝার চেষ্টা করে তামিম এখন কি রাগ করে আছে তার উপরে।তামিম বলল,
-” খাবো না আমি।এগুলো নিয়ে যা।”
সোহা বলল,
-” কখন খেয়েছেন তার ঠিক আছে? এখন খেতে হবে।ছোট মা বলেছে আপনি আসলে আপনাকে খেতে দিতে।”
-” মা বলছে বলেই খেতে দিতে এসেছিস। নিজে থেকে আসিস নি।”
-” আসলে না নয়!”
-” তাহলে কি? ”
সোহা কিছু বলল না।চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।তামিম বলল,
-” আমি এখন ঘুমাব। রুম থেকে যা!”
কথাটা শুনে সোহার মন খারাপ হয়ে যায়।তামিম কি বুঝতে পাচ্ছে না তার এই সাজ গোজের কারণ কি? তামিমের কথা মতই সে শাড়ি পড়ে এসেছে।সোহাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তামিম ভ্রু কুঁচকে বলল,
-” দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ”
-” আপনি কি আমার উপরে রাগ করে আছেন?”
ভ্রু,কপাল কুঁচকে তামিম বলল,
-” তোর উপরে রাগ করে থাকব কেন আমি? ”
সোহা তামিমের সামনে বসে পড়ে।কান্না করতে করতে বলল,
-” আমি আসতে চেয়েছিলাম।মা জেগে গেছিল বলে আসতে পারিনি।আজকে আপনার কথা মত সেজে এসেছি।তারপর কেন রাগ করে আছেন? ”
সোহার কান্না তামিম কোনোদিন সহ্য করতে পারে না।প্রেয়সী চোখে জল মুচে দিয়ে বলল,
-” কান্না করার লাগবে না।রাগ করে নেই আমি। ভাত দে,”
সোহা চোখ মুচে খাবার দেয়।তামিম নিজে ও খাচ্ছে সোহাকে খাইয়ে দিচ্ছে।খুশিতে সোহার চোখের জল উপছে পড়ছে।
তৃণ সবাইকে রাতে ডিনারে দাওয়ার দেয় তাদের বাড়িতে।সমুদ্র ছাড়া সবাই এসেছে।খেয়ে দেয় সবাই ছাদে আড্ডা দিতে থাকে।নীল বার বার স্বপ্ন সাথে কথা বলতে যায়।কিন্তু স্বপ্ন যেন তাকে না দেখার ভান করে কেটে পড়ে।স্বপ্নকে এবার একা পেয়ে নীল বলল,
-“আমাকে যদি এড়িয়ে যাওয়ার ছিল।তাহলে ফোন করে ঢাকা আনার মানে কি? ”
-” তাহলে বলতে হয় তুমি আমার জন্য ঢাকা এসেছো।”
নীল তোতলিয়ে বলল,
-” আপনার জন্য কেন হবে? আমি সুর ওয়ালা জন্য এসেছি?”
-” হুম!”
-” ধূসর ভাইয়া ছাড়া আপনার সাথে কাউকে দেখি নাইই আসতে।তাহলে সুর ওয়ালা কোথায়?আপনি বলছেন সুর ওয়ালাকে তৃণ ভাইয়াদের বাসায় নিয়ে আসবেন? ”
-” সবুর কর ও! সবুরে মেওয়া ফল! জানো!”
চরম বিরক্তি হচ্ছে নীলের।স্বপ্ন বলল,
-” তোমার সুর ওয়ালা তোমার সামনে হাজির করব একটা শর্তে?”
নীলের সমস্ত মুখ কুঁচকে যায়।সে বলল,
-” কি শর্ত?”
-” ৭ দিন আমার সাথে আমার বাসায় থাকতে হবে স্বামীর স্ত্রী মত।”
নীল আর্তনাদ করে বলল,
-” কি? ”
স্বপ্ন দু হাত দিয়ে কান চেপে ধরে বলল,
-” আস্তে কথা বলতে পারো না।”
-” পাগল হয়ে গেছেন আপনি।কি সব বলছেন? ”
-” ভেবে চিন্তই বলছি।তুমি রাজি আছো কি না বলো!”
নীলের কাট কাট জবাব,
-” না।আপনি ভাবলেন কি করে।আপনার বাজে প্রস্তাবে রাজি হবো।আমায় কি আপনার বেশ্যা পাড়া মেয়ে মনে হয়।এরকম একটা জঘন্য কাজ করতে রাজি হবো।আর সব চেয়ে বড় কথা।আপনার বেশ ভুশা দেখে যতটা ভদ্র লোক মনে আপনি তত নয়।ভুল জায়গা আপনি ভুল প্রস্তাব দিয়েছেন।”
স্বপ্ন বুঝতে পাচ্ছে নীল তার কথার অন্য মিন বের করছে।নীল বোঝানোর জন্য বলল,
-” তুমি আমায় ভুল বুঝছো।”
নীল উপহাস করে বলল,
-” ওহ তাই!”
-” হুম।আমার প্রস্তাব আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলি।স্বামী স্ত্রী মত থাকতে হবে আমি বুঝিয়ে ছি,৭ সাত দিন আমায় সময় দিতে হবে।একজন স্ত্রী যেমন স্বামী কে দেয়।”
-” সেই একই কথায় দাঁড়িয়ে ছে?”
-” না! তোমাকে আমি ভালোবাসি! তোমার সম্মানে হানি হবে এমন কোনো কাজ আমি করব না।এক সাথে থাকা মানে কি? ফিজিক্যাল রিলেশন। আমি তোমাকে যেটা বুঝাতে চেয়েছি তুমি তার অন্য কিছু মিন করেছো…
স্বপ্ন বাকি টুকু বলার আগেই নীল বলল,
-” তাই বুঝি।”
এভাবে তাদের মধ্যে অনেক তর্ক বিতর্ক চলতে সাথে।নীল সাফ সাফ জানিয়ে দেয়।তার সুর ওয়ালা সেই নিজেই খুঁজে বের করবে।স্বপ্ন কোনো সাহায্য দরকার নেই।মনে মনে স্বপ্নকে গালি দিয়ে নীল যেয়ে প্রাচ্য সব বলে।স্বপ্ন আগেই থেকেই প্রাচ্যকে বলে রেখেছে এসব।নীলের মনে স্বপ্ন সুর ওয়ালা হয়ে জায়গা করতে চায় না।স্বপ্ন কেই যেন নীল ভালোবাসে কাছে টেনে নেয়।তাই নীলকে তার সাথে সাত দিন থাকার প্রস্তাব দেয়।প্রাচ্য স্বপ্নকে সাপোর্ট করে।প্রাচ্য খুব ভালো করে জানে।স্বপ্ন এমন কোনো কাজ করবে না।নীলের সম্মান হানি হয়।স্বপ্ন সাথে থাকলে নীল স্বপ্ন প্রেমে পড়তে বাধ্য হবে।
প্রাচ্য নীলকে অনেক্ষন বুঝায়।যাতে স্বপ্ন প্রস্তাবে রাজি হয়।নীল কিছুতেই রাজি হয় না।প্রাচ্য বলল,
-” সুর ওয়লা কে খুঁজে পেতে হলে তোকে স্বপ্ন প্রস্তাবে রাজি হতেই হবে।না হলে কোনো দিন ও সুর ওয়ালাকে খুজে পাবি না।তার চেয়ে ভালো রাজি হয়ে যায়।”
প্রাচ্য’র কথা শুনে নীল ভাবতেই থাকে।প্রাচ্য ভুল কিছুই বলে নি।সত্যি সে খুঁজে পাবে কি করে।কোনো ক্লু তোনেই।যে সেই পথ ধরেই আগাবে।অবশেষে
স্বপ্ন প্রস্তাবে রাজি হওয়া ছাড়া কোনো পথই নেই।নীল ভিতু কন্ঠে বলল,
-” আপু আমার খুব ভয় করছে।এই ছেলে যদি আমার কোনো ক্ষতি করে ফেলে।”
প্রাচ্য আশ্বাস দিয়ে বলল,
-” আমায় বিশ্বাস করিস তো তুই।”
-” হুম!”
-” তাহলে আমি বলব।তুই রাজি হয়ে যায়।স্বপ্নকে তুই যতটা খারাপ ভাবছিস ততটা খারাপ নয়।ও খুব ভালো।আমার সব বন্ধুদের চেয়ে আমি আর রোদ স্বপ্নকে বেশি বিশ্বাস করি।”
নীল আর কোনো কথা বলল না।
সোহা আর তামিমে জোৎন্সা বিলাস করে।মধ্যে রাতে ঘরে ফিরে আসে তারা।তামিম যখন দরজা আটকিয়ে সোহার দিকে এগিয়ে আসছিল।তখন সোহার বুকের ভিতরে ঢিপঢিপ শব্দ করতে থাকে।দুই হাত দিয়ে বিছানার চাদর খামচে ধরে।তামিম তার পাশে বসে পড়ে।সোহা দিকে তাকায়! লজ্জায় জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে।মুচকি হাসে তামিম!এক হাত সোহার কোমরে দিয়ে কাছে টেনে আনে।।তামিমের স্পর্শ সোহার সবাঙ্গ কেঁপে উঠে।হাত পা কাপতে থাকে।সোহার থুতনি ধরে তার দিকে ঘুরায়।প্রথমে লজ্জা চোখ নামিয়ে ফেলে।একটু একটু করে তামিমের চোখের সাথে শুভদৃষ্টি বিনিময় করে।তামিমের চোখ যায় সোহার কাঁপা কাঁপা ঠোঁটের উপরে।থর থর করে কাঁপছে।তামিম মুচকি হাসে।সোহা চোখ নামিয়েই ফেলে।তামিম দু’হাতের আঁজলা দিয়ে সোহা মুখ তোলে।নিজের ঠোঁট বাঁড়িয়ে দেয় সোহার গোলাপি রাঙ্গা ওষ্ঠাদ্বয়ে।চুষে নিতে থাকে সুধা! সোহা দুহাত দিয়ে তামিমের চুল খামচে ধরে।তামিমের সঙ্গে পাল্লা দিতে থাকে।
তামিমছেড়ে দেয় সোহাকে।দুজনে মিলে হাঁপাতে থাকে।সোহা লজ্জা উঠে দাঁড়ায়।পা বাড়ায় বারান্দা দিকে। বাঁধা পড়তেই দাঁড়িয়ে যায়।পিছন ঘুরে তাকায়! তামিম তার শাড়ি আঁচল ধরে আছে।শাড়ি আঁচল ধরে টানতে থাকে।সোহা পিছু হঠতে হঠতে তামিমের কোলে এসে পড়ে।দু হাত দিয়ে সোহার কোমর চেপে ধরে।চুলে নাক ডুবায়।হিসহিসিয়ে বলল,
-” কোথায় যাওয়া হচ্ছে।”
লজ্জা কোনো কথা বলতে পারেনি সোহা।চোখ বন্ধ করে তামিমের স্পর্শ অনুভব করে।তামিম সোহার পেটে হাত দিয়ে স্লাইড করতে থাকে।সারা শরীরে বিদ্যুৎ ন্যায় শিহরণ জাগায়।শিরা উপশিরা শীতল হয়ে আসে।অন্য হাত দিয়ে সোহার কান থেকে দুল খুলে বিছানার এক পাশে রাখে।গলায় থেকে তার দেওয়া লকেট খুলে নেয়। সোহা ঠোঁট কামড়িয়ে নিজেকে ঠিক রাখছে।পিষ্ঠদেশ থেকে চুল গুলো সরিয়ে সামনে দেয়।ব্লাউজের ফিতা খুলে দেয়।সোহার বুকের ভিতরে ধুক ধুক করে শব্দ করতে থাকে।নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে আসে বারান্দা। জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে থাকে।তামিম উঠে এসে এক হাত দিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।সোহা পিঠে ঠোঁট ছোঁয়া। কেঁপে উঠে!তামিমের হাত খামচে দিয়ে ধরে।পিঠে পিঠে অসংখ্য চুমু দেয়।সোহার কাঁধ ধরে তার দিকে ঘুরায়।সোহা শাড়ি খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে আছে।তামিম মুচকি হেসে সোহাকে পাঁজাকোলা তুলে নেয়।বিছানায় শুয়ে দেয়।লাইট অফ করে সোহার উপরে ভর দিয়ে শোয়।তামিম ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,
-” সোহা!”
সোহা বন্ধ চোখ খুলে তাকায়।দুজন দুজনার দিকে মোহময় দৃষ্টি তাকায়!তামিম সোহার নাকের সাথে নাক ঘোষে বলল,
-” তোর কোনো আপত্তি নেই তো।”
সোহা দু’হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে বলল,
-” জানি না।”
তামিম মৃদু হাসে।এই জানি না মাধ্যমে বুঝে গেছে সোহা কি চায়।আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে মধু মিলন আলিঙ্গন করছে তারা দুজন।
কাক ডাকা ভোরে ঘুম ভাঙ্গে তাদের।তামিমের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে সোহা।আজ এই মেয়েটা পুরো পুরি তার হয়ে গেছে।যতই বাঁধা আসুক তাদের সম্পর্ক কোনো শেষ হয়ে যাবে না। তার সোহা রানিকে ছেড়ে যাবে না।সুখ,দুঃখে পাশে থাকবে।
আঙ্গুল দিয়ে সোহা মুখের উপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে দেয়।মাথা একটু উঁচু করে সোহার কপালে চুমু খায়।সোহা নড়ে চড়ে উঠে।নিভু নিভু চোখ খুলে তাকায়।চোখ সরিয়ে তামিমের বুকে মুখ লুকায়।লজ্জা সে মরে যাচ্ছে।কিভাবে তামিমের চোখের দিকে সে তাকাবে।তামিমের ডাকে,
-” সোহামনি!”
এ ডাকে শুধু ভালোবাসা খুঁজে পায় সোহা।তামিমের দিকে না তাকিয়ে আগের চেয়ে দ্বিগুন ভাবে ঝাপটে ধরে।তামিম বলল,
-” তাকাবে না।”
অনেক্ষন পর সোহা আস্তে বলল,
-” না! ”
তামিম হেসে দিয়ে বলল,
-” লজ্জা পাচ্ছিস!”
সোহা উঠে চলে যেতে নিলে নিজের এই অবস্থা দেখে আবার ঝাপটে ধরে তামিম কে।তামিম খিলখিল করে হেসে বলল,
-” কি হলো!”
-” কিছু না।”
তামিম দু ‘হাত দিয়ে সোহাকে জড়িয়ে ধরে।তামিমের বুকে মুখ গুঁজে বলল,
-” ফ্রেশ হবো আমি।”
-” যাও।”
-” উঁহু!
-” কি? ”
-” এ ভাবে আমি যেতে পারব না।আমার লজ্জা লাগছে।”
-” লজ্জা পাওয়ার কি আছে।আমি তোমার স্বামী তো, আর কালকে রাতে ওসবের পর কিসের এত লজ্জা।”
ইস! এই ছেলেটা কেন বার বার কালকের রাতে ঘটনা মনে করে দেয়।তার খুব লজ্জা লাগছে।এই ছেলেটা কি বুঝে না।না’ কি জেনে শুনে বার বার লজ্জায় ফেলে তাকে।তামিম বলল,
-” এত লজ্জা কই পাস তুই!”
সোহা কোনো কথা বলল না।তামিম বিছানার পাশ থেকে হাঁতড়িয়ে শাড়ি নিয়ে সোহার হাতে তুলে দিয়ে বলল,
-” এটা কোনো রকম প্যাঁচিয়ে ওয়াশরুমে যায়।”
শাড়ি হাতে নিয়ে সোহা বলল,
-” আপনি চোখ বন্ধ করুন!”
তামিম এমনভাবে সোহার দিকে তাকায়।সোহা লজ্জায় কুঁকড়ে যায়।তামিম নিজের এক হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে বলল,
-” এবার হয়েছে?”
-” চিটিং করার যাবে না”
-” আচ্ছা!”
সোহা ওয়াশরুম থেকে বের হলে তামিম যায়।যাওয়ার আগেই বলে যায়।সে আসা ছাড়া রুম থেকে যেন না বের হয়।কালকে রাতে যে জামা পড়ে এসেছে যে জামাটা পড়ে নেয়।তামিম গোসল করে বের হয়ে আয়নার সামনে এসে বলল,
-” কি রাক্ষুসীরে তুই! এই ভাবে জামাইর পিঠে মাংস নিয়ে নেয়।” আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঘাঁড় ঘুরিয়ে পিঠে খামচের দাগ গুলো দেখে বলল।সোহার চোখ যায় তামিমের পিঠের দিকে।ইশ! কি এক অবস্থা! সাদা পিঠদ্বয়ে লালচে দাগ হয়ে পড়েছে।হাতে রাখা তোয়ালে টা সোফায় রেখে।ড্রয়ার থেকে মলম নিয়ে বলল,
-” বসেন! ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছি।”
তামিম বসলেই।সোহার খুব যত্ন করে দাগ উপরে মলম লাগিয়ে দেয়।লাগানো শেষ হলে সোহার হাত থেকে মলম নিয়ে বলল,
-” তুই ও বস!”
সোহার ঘাড়ের কামড়ের দাগ গুলোয় মলম লাগিয়ে দেয়।মলম ড্রয়ারে রেখে বলল,
-” দাগ গুলো যে দেখা যায়।কারো চোখে পড়লে কি বলবি।”
চিন্তায় পড়ে যায় সোহা।আয়নার সামনে দাঁড়ায়।গলায় ঘাড়ে অসংখ্য দাগ।ঠোঁট এককোণা কেটে গেছে।আঙুল দিয়ে ছুয়ে ছুয়ে দেখছে।তামিম পিছন দিয়ে সোহাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-” কেউ জিজ্ঞেস করলে? বলবি তোর স্বামীয়ে দিয়েছে।”
সোহা তামিম কে ধাক্কা দিয়ে।লজ্জামিশ্রত একটা হাসি দেয়।চুল দিয়ে, ওড়না দিয়ে ঢেকে দেয়।তামিম মাথা চুলকিয়ে ঠোঁট কামড়িয়ে হেসে দেয়।
কাউছার স্বর্ণা।
আপনাদের সাড়া দেখে গল্প লেখার মন মানুষিক হারিয়ে যাচ্ছে দিন কে দিন।ভালো লাগছে না লেখতে।এত কষ্ট করে আপনাদের জন্য লেখি আপনার সাড়াই দেন না।তাহলে লেখে কি লাভ।সর্বশেষ বলব,ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন