স্বপ্নীল ২৫

0
1288

স্বপ্নীল
২৫
এখন দুপুর ৩.৪৫বাজে। ।মনে হচ্ছে গভীর রাত এখন। ।
নীল আকাশটা কালো মেঘে চেয়ে গেছে।মেঘের গুড়ুম গুড়ুম শব্দ শোনা যাচ্ছে।চারদিক দিয়ে অন্ধাকার ঘিরে রয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।বৃষ্টির জন্য আশ পাশের সব কিছুই ঝাপসা ঝাপসা লাগছে।বারান্দা দাঁড়িয়ে নীল এতক্ষণ বৃষ্টি পানি নিয়ে খেলছিল।হাত বাঁড়িয়ে বৃষ্টি ফোঁটা হাতের তালুতে নিচ্ছে। বৃষ্টি তার যেমন প্রিয় তেমনি অপ্রিয় ও। অপ্রিয় হওয়ার একটাই কারণ সেটা হলো কলেজে যাওয়ার সময় যখন বৃষ্টি হয় তখন বৃষ্টি পানিতে রাস্তা ঘাট কর্দমা ভরে যায়।হাঁটা যায় না।আর প্রিয় এই কারণেই বৃষ্টি পানিতে ভিজতে ভালো লাগে তার। বৃষ্টি হলে ছাদের ছুটে চলে যায়। যাতে কেউ তাকে বৃষ্টিতে ভিজতে না দেখে!একবার বৃষ্টিতে ভিজে একটানা ১৫ দিন জ্বর ছিল। তাই তাকে দাদু বৃষ্টিতে ভিজতে দেখলে বকা বকি করে।

নীল ছুটে চলে যায় ছাদে! আজকে সে বৃষ্টিতে ভিজবে! অনেকদিন হইছে সে ভিজতে পারে না।তাকে এভাবে ছাদের দিকে ছুটতে দেখে স্বপ্ন।তার পিছন পিছন স্বপ্ন যায়।ছাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে দুহাত মেলে বৃষ্টিতে ভিজছে।চোখ বন্ধ করে বৃষ্টির ফোঁটা ফোঁটা পানি অনুভব করছে।খুশিতে গলার ওড়নাটা ছুড়ে ফেলে।ওড়না যেয়ে স্বপ্ন’র মুখে উপরে পড়ে।স্বপ্ন এতক্ষণ ছাদের দরজায় পা প্যাচিয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মনোমুগ্ধকর ভাবে তাকিয়ে নীলকে দেখছে।ওড়নাটা স্বপ্ন’র মুখের থেকে সরিয়ে মুটো করে হাতে নেয়।নীলের দিকে তাকায়, সে এখন দুটো আঁখি বন্ধ করে আছে।আরেকবার ওড়নার দিকে তাকায়,ওড়না মুখে কাছে নিয়ে গন্ধ শুকতে থাকে।মাতাল করা একটা ঘ্রান পাচ্ছে স্বপ্ন।নেশা ধরিয়ে দিচ্ছি নীলে এই ওড়না। ওড়নার থেকে চোখ সরিয়ে নীলের দিকে তাকায় সে।নীল কে খুব আবেদনময়ী লাগছে!ওড়না নিয়ে পা বাড়ায় স্বপ্ন নীলের দিকে।

নীলের ঠান্ডায় হাত পা কাপঁছ তরতর করে।হাতের লোমশ গুলো দাঁড়িয়ে গেছে।তারপর ভিজতে তার ভালোলাগছে।এই মুহুর্ত তার সুরওয়ালা কথা মনে পড়ছে।ইশ! এখন যদি তার সুরওয়ালা থাকত তাহলে কী ভালোই না হতো। পিছন ঘুরতে স্বপ্ন’র সাথে ধাক্কা খায় সে! স্বপ্ন এতটাই অবেচতন মন নিয়ে এগিয়ে আসছিল তাই ধাক্কা খেয়ে টাল সামলাতে না পেয়ে দুজনে হুমড়ি খেয়ে ছাঁদে পড়ে!স্বপ্ন নীলের সব ভার ছেড়ে দিয়ে নীলের ধ্যানে মগ্ন হয়ে যায়।স্বপ্ন নীলের এই ব্রাউন কালারে চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।এতদিন সে খেয়ালী করেনি নীলের চোখেরমনি ব্রাউন কালার। এই চোখে কারণে যেন নীলের সৌন্দর্য উপছে পড়ছে! চোখের নেশা যে ডুবে যাচ্ছে।

স্বপ্নকে এই মুহুর্তে ছাঁদে দেখে নীল কিছুইটা অবাক হয়।তার চেয়ে অবাক হয় স্বপ্নের এই ছাউনি দেখে।কেমন যেন নেশা লাগিয়ে দেখছে তাকে। স্বপ্ন’র চোখ যায় নীলের গোলাপি ওষ্ঠদ্বয়ের দিকে।কেমন তিরতির করে কাঁপছে! আর যেন নীলকে টানছে!কেমন যেন নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে।নিজের ওষ্ঠদ্বয় এগিয়ে নেয়! যখন নীলের ওষ্ঠদ্বয় ডুব দেবে।তখনই নীল ধাক্কা মেলে ফেলে দে তার উপর থেকে।নীল উঠে দাঁড়ায়!রাগি চোখে স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আছে। স্বপ্ন নীলের ধাক্কা খেয়ে হুস ফিরে। কি করতে যাচ্ছিল সে। নীল এটা নিয়ে তার মনে আমাকে নিয়ে খারাপ ধারণা পোষণ করবে! না তার আগেই ভুল ভাঙাতে হবে! স্বপ্ন উঠে দাঁড়ায়।নীলকে বলতে নিলেই নীল তাকে বাধা দিয়ে বলল,
-” দেখে তো খুব ভালো বুঝা যায়।যেন ভাজা মাছটা উল্টে খেতে পারে না। কিন্তু আসলে একটা লুচ্চা আপনি।কি করতে যাচ্ছিল আপনি।মেয়ে দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন। তাই হায়নারদের মত ঝাঁপিয়ে পড়েন।”
-“তুমি আমায় ভুল বুঝছো!”
-“আমি ঠিক বুঝেছি!ছাদের কি করছেন আপনি? কেন এসছেন ছাদের?
-“আসলে! ”
-“আসলে কী?জানি এখন কি বলবেন আপনি।আপনি ইচ্ছা করে করেনি? কেমনে জানি হয়ে গেছে?হ্যান ত্যান এসবই বলবেন! আমি জানি ছেলেরা ধরা পড়লে এসব বলে।লুচ্চা ব্যাটা!
স্বপ্ন বার বার বলতে যাচ্ছে কিছু কিন্তু নীল তাকে কোনো সুযোগ দিচ্ছে না কথা বলার।নীল তাকে অনেক গাল মন্দ করছে।স্বপ্ন দাঁড়িয়ে সব হজম করছে! নীল অনবরত বলে যাচ্ছে রেডিও মত।বন্ধ হওয়ার নাম নেই।কোনো মেয়ে এত কথা বলতে পারে স্বপ্ন’র জানা নাই। নীলকে দেখেই সে বুঝেছে।হঠাৎ নীলের চোখ যায় স্বপ্নের হাতে দিকে তার ওড়না স্বপ্নের হাতে।এবার নিজের দিকে তাকায় ওড়না গায়ে নেই সে খেয়াল ছিল না।বৃষ্টিতে ভিজে জামাকাপড় ছুপছুপ অবস্থা।নিজের শরীরে প্রতিটা অঙ্গ বোঝা যাচ্ছে।আর এইভাবে সে এই বজ্জাতের সামনে দাঁড়িয়ে বকবক করছে।এই লুচ্চা ব্যাটা তার সব দেখে নিয়েছে।এখন কি হবে তার।কান্না করতে ইচ্ছা করছে!কিন্তু সে এখন কান্না করবে না! এর শাস্তি যথাসময় সুযোগ বুঝে দেবে! নীল আচমকা খপাস করে স্বপ্ন’র হাত থেকে ওড়না নিয়ে গায়ে প্যাচিয়ে নেয়।নীলের এহেম আচারণে হতভম্ব হয়।
-“বেয়াদব ছেলে তুই আমার সব দেখে নিয়েছিস!তোর বারোটা আমি পরে বাজাচ্ছি।
এটা বলে এক ছুটে ভৌ -দৌড়!তাকে আর কে পায়। স্বপ্ন নীলের কথা শুনে বুঝতে পেরেছে।নীল লজ্জা পেয়েছে। এটা ভেবে সে মুচকি হাসছে।

প্রাচ্য বারান্দা দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছে। প্রাচ্য’র কেন জানি মনে হচ্ছে আকাশের এখন খুব মন খারাপ তার মতন। কি সুন্দর রৌদ্দুর ছিল।নীল আকাশের সাদা মেঘের খেলা ছিল ঘণ্টা দুয়েক আগে আর এখন অঝরে বৃষ্টির পানি ঝরছে।আকাশে কোনো কারণে মন খারাপ বলে সে কান্না করছে! আকাশের চোখে জল গুলো বৃষ্টির পানি হয়ে ঝরছে।তার কষ্টের পানি গুলো আমরা উপভোগ করি।এসব ভাবতে ভাবতে প্রাচ্য’র চোখ যায় নিচে তাদের বাগানের দিকে।সেখানে বেঞ্জ মধ্যে বসে আছে কেউ একজন।ভালো করে বুঝার চেষ্টা করছে কে সে।হঠাৎ করে প্রাচ্য বলে উঠে’তৃণ’!হ্যাঁ তৃণ এখানে বসে আছে।এই বৃষ্টির মধ্যে কেন ভিজছে সে?

প্রাচ্য রুম এসে একটা ছাতা নিয়ে নিচে যায়।ছাতা খুলে বাইরে বের হয়।প্রচণ্ড বৃষ্টিরগতি! বৃষ্টির ফোঁটা গতিতে যেন ছাতা ছিদ্র হয়ে যাবে।প্রাচ্য সেখানে যেয়ে তৃণ মাথার উপরে ছাতা রাখে।বৃষ্টির পানি মাথা পড়ছে না দেখে মুখ উপরে তুলে দেখে প্রাচ্য দাঁড়িয়ে আছে। তৃণ স্থির চাউনি দেখে প্রাচ্য’র কিছুটা অস্বস্তি হচ্ছিল।নিজেকে স্বাভাবিক রেখে প্রাচ্য বলল,
-“এখানে বসে আছিস কেন? ঘরে চল!”
তৃণ কিছু বলছে না তার দৃষ্টি এখন প্রাচ্য’র দিকে।প্রাচ্য আবার বলল,
-“বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বাহিরে থাকা এখন বোধহয় ঠিক হবে না ঘরে চল।”
এখন তৃণ মধ্যে নিরবতা! প্রাচ্য এবার তৃণ হাত ধরে বলল,
-“চল!
তৃণ পা নড়ছে না! এক জায়গা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।প্রাচ্য এখন মহাবিরক্ত লাগছে।তারপর নিজেকে শান্ত করে বলল,
-“ঘরে চল!
তৃণ প্রাচ্য হাত ধরে তার বুকে টেনে এনে ধরে।।হাত ফসকে ছাটা উড়ে যায়।দুজনে ভিজছে!কারো মধ্যে কোনো কথা নেই।প্রাচ্য তাকিয়ে আছে তৃণ চোখের দিকে।চোখ দুটো অসম্ভব লাল।তার মানে কি তৃণ এতক্ষণ ধরে বৃষ্টির পানিতে নিজের চোখে জল বিসর্জন দিচ্ছিল। প্রাচ্য এক সত্তা এটা বললে ও অন্য আরেক সত্তা বলছে,’না প্রাচ্য তৃণ মত ছেলে কাঁদবে! এটা তোর ভুল ধারণা! ‘ তার মধ্যে কিছুক্ষণ আগে মন খারাপে রেষমাত্রা খুজে পায়নি সে। কি হাসি খুশি ছিল তৃণ।
প্রাচ্য’র দুটো সত্তা দুইরকম কথা বলছে। মাথা ভিতরে সব কিছু হুমড়ি খাচ্ছে।ঠিক ভুল বুঝতে পাচ্ছে না সে।প্রাচ্য তৃণ থেকে ছুটার চেষ্টা করছে কিছুততে পারছে না।তৃণ দুহাত আঁকড়ে ধরে রেখেছে।কিছুক্ষন হাসপাস করে নিজে কে ছাড়া চেষ্টা বন্ধ করে দেয়।খুব রাগ হচ্ছে কেন সে দরদ দেখিয়ে ছাতা আনতে গেলো!তৃণ প্রাচ্য’র দুবাহু আকঁড়ে ধরে বলল,
-“মরে যাবো আমি তোকে ছাড়া! কেন বুঝিস না! খুব কষ্ট হচ্ছে আমার!দম আঁটকে আসছে, নিশ্বাস নিতে পাচ্ছি।তুই চলে গেলে আমি মরে যাবো। ”
প্রাচ্য বিদ্রূপ করে বলল,
-“মরে যাবি কেন? তুই মরলে তোর টিনা বেবি কি হবে।বেচারা তোকে ছাড়া মরেই যাবে!তার জন্য হলে তোকে বাঁচতে হবে।”
তৃণ খুব রাগ হচ্ছে।প্রাচ্য এভাবে কথা বলা দেখে। তার নিজের রাগ যথাযথ সংযত করে বলল,
-“এই তুই আমাকে জিনিস!এই তোর ভালোবাসা!একটু বিশ্বাস পর্যন্ত তুই আমায় করতে পাচ্ছিস না।আমার ভালোবাসায় না হয় খাদ ছিল।কিন্তু তোর ভালোবাসা তো কোনো খাদ ছিল না।তাহলে কেন তুই আমায় একটু ও বিশ্বাস করতে পাচ্ছিস না। কেন বল?
-“বিশ্বাস করার মত কোনো কাজ করেছিস তুই!আগে যেমন ছিলি মেয়ে পাগলা এখন আছিস। স্বভাব যায়না ধূলে একটা প্রবাদ আছে।তোর ক্ষেতে সেটাই যথার্থ।”
-“কি করলে তুই আমায় বিশ্বাস করবি বল?
-“তোকে আমি বিশ্বাস করতাম।নিজের থেকে বেশি বিশ্বাস তোকে করতাম।আমি ভেবেছি টিনার সাথে ফ্লাটিং করতি আমায় জেলাস ফিল করা জন্য।কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিলো! সেটা তোর আর টিনার ছবি গুলো প্রমাণ করে দিয়েছে।”
-“ওই গুলো মিথ্যে ছিল প্রাচ্য!টিনা,,,,,
তৃণকে বলতে না দিয়ে প্রাচ্য বলল,
-“মিথ্যে ছিল!ছবি গুলোর মধ্য তুই টিনার বুকে উপরে ছিলি। এগুলো মিথ্যে।তুই পারতি আমাকে কোনো ছেলের বুকের উপরে দেখতে।বল পারতি!
কান্না করতে করতে প্রাচ্য বলল।সত্যি তো সে কখন প্রাচ্যকে অন্য কারো বুকে উপরে দেখতে পারতো না।কখনোই না।কিন্তু এগুলো ভুয়া ছবি ছিল।কি করে প্রাচ্যকে সে বুঝাবে।প্রাচ্য এতটা অবুজ ছিল না আগে তাহলে কেন এত অবুজপণা করছে সে এখন।প্রাচ্য আবার বলল,
-“তাহলে আমি কি করে তোকে অন্যের বুকের উপরে তোকে দেখতে পারতাম।”
তৃণ বলল,
-“প্রাচ্য এগুলো টিনা ভুয়া ছবি তৈরী করেছে?
প্রাচ্য ঠাস করে তৃণ গালে থাপ্পর মেরে দেয়।তৃণ প্রাচ্য’র ব্যবহার হতম্ভব।বিষ্মিত হয়ে তাকিয়ে আছে নিজের গালে হাত দিয়ে।প্রাচ্য তাকে থাপ্পড় মেরেছে। প্রাচ্য চিল্লিয়ে বলল,
-“ভুয়া! এই ছবি গুলো ভুয়া ছিল!ধরা পরে গেছিস বলে মিথ্যে বলা শিখে গেলি তুই।নিজেকে বাঁচানোর জন্য অন্যের উপরে দোষ দেস।টিনা কেন তোর নামে মিথ্যে বলবে।কোনোই মেয়ে পারবেন না নিজেকে এভাবে অন্যছেলে সাথে জড়িয়ে এসব করতে।তুই নিশ্চয় করেছিস বলে টিনা বলেছে।নিজের দোষ শিকার করিস না,অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাস।”
হঠাৎ করে রোদ এসে প্রাচ্য’র হাত টেনে ধরে নিয়ে যায়। প্রাচ্য রোদকে বলল,
-“হাত ছাড়! আমার
রোদ রাগি চোখে তাকিয়ে বলল,
-“হাত ছাড়বো! আগে রুমে চল।”
এটা বলে টেনে নিয়ে যায়।তৃণ দাঁড়িয়ে প্রাচ্য’র কথা গুলো হজম করছিল। আর কখনো ভালোবাসি বলে প্রাচ্য সামনে যাবে না মনে প্রতিজ্ঞা করছে সে।প্রাচ্য নামে কাউকে সে ভালোবেসেছে দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাবে।প্রাচ্য’র কথা ভেবে সে কখনো আর কষ্ট পাবে না। আজ পর্যন্ত কেউ তার গায়ে হাত তুলে নি।প্রাচ্য তার গায়ে হাত তুলে দুঃসাহস দেখিয়ে ফেলেছে।আজ থেকে ভুল যাবে সে।এখন থেকে প্রাচ্য তার কাছে জাস্ট ফ্রেন্ড ছাড়া কিছু না।এই বৃষ্টির মধ্যে প্রাচ্য’র প্রতি সব অনুভূতি, ভালোবাসা সব বিসর্জন দিবে।ধুয়ে মুচে সাফ করে দিবে তার জীবন থেকে প্রাচ্যকে।

#চলবে
#কাউছার স্বর্ণা
ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন

,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে