সুপ্ত অনুভূতি ২ পর্ব-১১

0
1906

#সুপ্ত_অনুভূতি🍂♥️
#সিজন_২
#পর্ব_১১
#Writer_Nusrat_Jahan_Sara

সকালে চোখে মুখে পানির ছিটে পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো আবিরের৷ পিটপিট করে চোখ খোলে তাকিয়ে দেখলো ওর থেকেই কিছুটা দূরে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে অনু চুল ঝারছে৷ আর ওর চুলের পানিই আবিরের চোখে মুখে পরেছে৷ নীল কাতান শাড়ি, চুল দিয়ে এখনও টপটপ করে পানি পরছে৷ অনুকে যেনো আজ সদ্য ফোটে ওটা গোলাপের মতোই নিষ্পাপ লাগছে৷ আবির অনুর দিকে মুগ্ধ ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রইলো৷

আবির কিছুক্ষণ অনুর দিকে তাকিয়ে দেখে আস্তে আস্তে খাট থেকে নেমে অনুর কাছে গিয়ে ওর চুল কানে গুজে দিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো৷

“আপনার ঘুম ভেঙেছে?তাহলে শাওয়ার সেরে আসুন যান৷ আর আমাকে ছাড়ুন৷
.
উহু৷ তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে৷.
.
এই কথাটা অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি৷
.
তবে আজ তোমাকে অন্য রকম সুন্দর লাগছে৷
.
হয়েছে ছাড়ুন এবার৷
অনু আবিরকে ছাড়িয়ে জোড় করে টেলে বাথরুমে পাটিয়ে দিলো৷ তারপর সেও নিচে চলে গেলো৷
🍁
সকাল নয়টা বাজে৷ কেউ এখনও উঠেনি৷ দুইজন সার্ভেন্ট কিচেনে বসে বসে সবজি কাটছে৷
অনু তাদের দিকে এগিয়ে গেলো৷

“আচ্ছা উনার সকালে কী খান?
.
একজন সার্ভেন্ট হাতের ছুড়ি রেখে অনুর দিকে তাকিয়ে বললো,,,
.
ম্যাডাম আপনি কেনো আসছেন? আমরাই নাস্তা বানিয়ে দিবো৷ আপনি আরাম করুন গিয়ে৷ তাছাড়াও বড় ম্যাডাম যদি জানেন তাহলে আমাদের খুব করে বকা দিবে৷
.
এই নিয়ে তোমাদের চিন্তা না করলেও চলবে৷ আমি সবাইকে নাহয় পুষিয়ে নিবো৷ এবার চট করে বলতো কী খান উনারা সকালে৷ আর আমাকে ম্যাডাম ডাকা অফ করো৷
.
তাহলে কী ডাকবো?৷
.
সেটা তোমাদের ইচ্ছা৷
.
যদি আবির কে আমরা ভাইজান বলে ডাকি সেক্ষেত্রে তো আপনি আমদের ভাবী৷ ভাবী ডাকলে চলবে?
.
চলবে মানে?দৌড়াবে৷
.
অনুর কথা শুনে সারভেন্ট দু’জন ফিক করে হেঁসে দিলো৷
.
এবার বলো তো তারাতাড়ি৷
.
ভাবী উনারা সকালে রুটি খান৷ ব্রেড দিয়ে জেলি ,বিরিয়ানি সাথে কষানো মাংস, ওমলেট আর স্যান্ডউইচ৷তবে আবির ভাইজানের খাবার একটু অন্য ধরনের৷
.
আবির কী খান তাহলে?
.
উনি সকালে কম চিনি দিয়ে কফি,অমলেট,আর ভেজিটেবল স্যুপ খান৷ আর কিচ্ছু না৷
.
স্যুপ!! ওয়াক!৷ আচ্ছা তোমাদের নাম তো বললেনা৷
.
আমার নাম নাসিমা আর ওর নাম জ্যুতি৷
.
বাহ্ নাইস নেম৷ আচ্ছা তোমরা আমাকে সব বেড় করে দাও ৷
.
সব রান্না শেষ শুধু রুটি করা বাকি৷
.
ওকে আমি নাহয় রুটিই বানাবো৷ ময়দা আমাকে বেড় করে দাও৷
.
আচ্ছা ভাবী
.
নাসিমা আর জ্যুতি অনুকে ময়দা বেড় করে দিলো৷
অনু চুলায় একটা পাতিলে পানি বসিয়ে দিলো৷ পানি গরম হলে এটা দিয়ে ময়দার গোলা বানিয়ে তারপর রুটি বানাবে৷
🍁
অনু!!অনু!!!আরে কোথায় তুমি ইয়ার৷?
আবির অনুকে বাথরুম থেকে ডাকছে কিন্তু অনুর কোনো খোঁজই নেই৷ বাথরুমের দরজা হাল্কা ফাঁক করে দেখলো অনু কোথায়৷রুমের কোথাও নেই রুম একেবারে ফাঁকা৷
আবির টাওয়াল পড়ে বেড়িয়ে আসলো৷ তখন অনুর টেলা ধাক্কার জন্য কাপড়ও নিয়ে যেতে পারেনি সাথে করে সেইজন্যেই ডাকছিলো৷

আবির কাপড় পড়ে নিচে গেলো৷ ড্রয়িং রুমে চোখ বুলালো না এখানেও অনু নেই৷ আবির এবার কিচেনে গেলো৷ দেখলো অনু শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুঁজে পাক্কা রাধুনীর মতো রুটি বেলছে৷

আবিরও কিচেনের ভিতরে গেলো৷ নাসিমা আর জ্যুতিকে চোখ দিয়ে ইশারা করলো চলে যাওয়ার জন্য৷ ওরা দু’জন চলে গেলো৷

আবির অনুর পিছন গিয়ে দাঁড়ালো৷

“আমার বউতো দেখছে রুটিও বানাতে জানে হুম৷
.
লিসেন আমি সবই জানি ওকে৷ আর এখন ভালো হবে যদি আপনি বকবক না করে আমাকে একা ছেড়ে দিন আমার রুটি বেলতে অসুবিধে হবে আপনার বকবকানির জন্যে৷৷
.
কোথায় অসুবিধে হচ্ছে৷ চলো বরং একসাথে রুটি বেলি৷
.
একসাথে কীভাবে করবো?
.
ওয়েট আমি দেখিয়ে দিচ্ছি৷
আবির অনুর হাতের উপর ওর দুই হাত রাখলো৷ তারপর বেলন দিয়ে রুটি বেলতে শুরু করলো৷
.
এবার বুঝেছো?তুমি আর আমি একসাথে কীভাবে রুটি বেলবো?
.
হুম বুঝেছি৷

আবির আর অনু প্রায় পাঁচটা রুটি এভাবে একজন আরেকজনের হাত ধরেই বানালো৷ বাকি রুটি অনু আগেই বানিয়ে ফেলেছিলো৷

আবির অনুকে নিজের দিকে ফিরিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো,,,একটা জিনিস মিসিং৷
.
কী জিনিস?
.
ওয়েট৷
আবির একটা লাল শাকের পাতা ছিড়ে তাতে গুল করে নখ দিয়ে কেটে অনুর কপালে লাগিয়ে দিলো৷

যাও টিপ দিয়ে দিলাম৷ লাল শাকের লাল টিপ হিহি৷
.
আপনারও একটা জিনিস মিসিং
.
আমার আবার কি মিসিং?
.
ওয়েট দেখাচ্ছি৷
অনু হাতে করে ময়দা এনে আবিরের সারা মুখে মাখিয়ে দিলো৷

এটা মিসিং ছিলো৷ নাও মেকাপ করিয়ে দিলাম হিহি৷ জানেন আপনাকে না একেবারে ভুত লাগছে না না ভুত না জোকার লাগছে৷ এখন সার্কাস দেখানো শুরু করেন তো৷
অনু আবিরকে দেখে হাসছে৷

হাসতে হাসতে হঠাৎ আবিরকেও ওর খুব কাছে দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলো৷
.
একি আপনি দূরে সরুন তো৷এতো কাছে এসেছেন কেনো হুম?
.
আবির আরও এগিয়ে এসে অনুকে টান দিয়ে একেবারে নিজের সঙ্গে মিশিয়ে নিলে৷
.
আমার কাজ শেষ হলে তবেই আমি দূরে সরবো সুইটহার্ট৷ ৷
.
আপনার তো কোন কাজ নেই৷
.
কে বলেছে কাজ নেই?

আবির আর কিছু না বলে নিজের গালের ময়দা অনুর গালে ঘষে লাগিয়ে দিলো৷

অনুকে ছেড়ে দিয়ে বললো,,নাও আমার কাজ শেষ৷

আবির পিছন ফিরতেই দেখলো ওর দাদিমা ওর দিকে তাকিয়ে আছেন ভ্রু কুচকে৷
.
তোমার আবার কী হলো?এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?আর এখানে দাঁড়িয়েই বা কী করছো?
.
দেখছি তোর আকাম কুকাম৷ কেমন ছেলেরে তুই রান্না ঘরেও বউয়ের পিছন পিছন চলে আসছিস৷ বেচারিকে রান্না করা সুযোগটাতো দে৷ একমুহূর্তের জন্যও ছাড়ছিস না৷ সবেমাত্র তো বিয়ে হলো৷

ফার্স্ট দাদিমা, আমি আমার বউয়ের সাথে আছি সো আকাম কুকাম বলবানা৷ সেকেন্ড আমি আমার বউকে ডিস্টার্ব করিনি বরং হেল্প করেছি৷ তাইনা অনু?
.
মোটেও না৷
.
এমা এসব কী বলছো তুমি?
.
হয়েছে হয়েছে৷ এবার বলো কি নাস্তা বানিয়েছো৷
.
সব নাসিমা আর জ্যুতিই করেছে আমি শুধু রুটি করেছি দাদীমা৷
.
আচ্ছা আমি যাই৷ গিয়ে দেখি আবিরের মা বাবা উঠেছে কী না সবাইকে নিয়ে একসাথে ব্রেকফাস্ট করবো৷আর আবির এবার ভুত থেকে একটু মানুষ হ৷ যে কেউ দেখে তোকে ভয় পাবে৷
কথাটা বলে দাদীমা চলে গেলো৷

“তোমার জন্যে দাদীমাও আমাকে অপমান করলো৷ রুমে এসো তারপর তোমার ফাজলামি বেড় করছি৷
.
এমা আমি তো আজ রুমেই যাবোনা৷ আমার না আপনাকে খুব ভয় করছে৷ আমি খুব ভয় পেয়েছি৷
সরেন তো এখান থেকে যত্তসব আউল ফাউল৷
.
ওয়াট আউল ফাউল!!! কে আউল ফাউল? আগে তো এই কথাটা কখনো শুনিনি৷
.
ঔ আসলে এই কথাটা আমি আবিষ্কার করেছি এবার থেকে নিয়মিত শুনবেন ওকে৷
🍁
খাবার টেবিলে বসে আছে সবাই৷ আবিরের বাবা কিছুক্ষণ নিরব থেকে বললেন,,,,
.
আবির আর পাঁচদিন পর আমেরিকায় চলে যাচ্ছে৷
.
অনু কথাটা শুনে আবিরের দিকে তাকালো৷ আবির গম্ভীর মুখ করে অমলেট খাচ্ছে৷

“আর অনু মা তোমারও কিন্তু নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে৷ শুনলাম তোমার নাকি একমাস পরেই ফাইনাল এক্সাম?
.
জ্বী বাবা৷
.
তাহলে আর কী মনোযোগ দিয়ে লেখা পড়া চালিয়ে যাও৷ তোমার বাবার খুনিকে ওতো শাস্তি দিতে হবে না-কি৷
🍁
আবির ব্রেকফাস্ট করে কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা রুমে চলে গেলো৷

অনু রুমে গিয়ে দেখলো আবির ল্যাপটপে কী যেনো করছে৷ওর কাছ থেকে ল্যাপটপ নিয়ে খাটে ছুঁড়ে মেরে আবিরকে জড়িয়ে ধরলো৷

“আপনি চলে যাবেন সেটা আগে বলেননি কেনো?
.
আবির অনু মাথায় হাত রেখে বললো,,আরে পাগলী গেলে তো শুনবেই ৷ তাছাড়াও যেতেতো হবেই আজ নাহয় কাল৷আমি মাত্র কয়েকদিনের জন্য এসেছিলাম৷ তোমাকে এসে যে বিয়ে করে নিবো সেটা কখনো ভাবিনি৷ কোম্পানি কিছুটা লসের দিকে আছে৷ গিয়ে আবার সব কিছু ঠিকঠাক করতে হবে৷ তোমাকে ওতো পড়তে হবে নিজের স্বপ্ন যে সত্যি করতে হবে তোমায়৷ বিয়ে করে সেটা ভুলে গেলে তো চলবেনা৷
আবির একের পর এক বলেই যাচ্ছে কিন্তু অনু পাল্টা কিচ্ছু বলছেনা৷ কিছুক্ষণ পর অনুভব করলো ওর বুকে তরল কী যেনো পড়ছে৷ আবির তারাতাড়ি অনুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে কাঁদছে৷ আবির অনুকে ওর বুক থেকে তুলে ফেললো অনুর কান্না দেখে প্রচন্ড রেগে গেছে সে৷

“যা মন চায় সেটাই করো গিয়ে যাও৷ তুৃমি কী চাইছো নিজেও লেখা পড়া করবেনা আর আমাকেও বিজনেস করতে দিবেনা হুম৷ এখানে কাঁদার কী আছে সেটাই বুঝতে পারছিনা৷ পাঁচ বছর আমাকে ছাড়া থাকতে পেরেছো আর এই ক’টা দিন থাকতে পারবেনা?
আবির রেগে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো৷ অনু যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে৷ আবিরের কথা শুনে বেচারি মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে৷
🍁
আবির রুমে বিশ মিনিট পর এসে দেখলো অনু ব্লাঙ্কেট টেনে শুয়ে আছে৷ আবির এগিয়ে গেলো অনুর দিকে৷
.
অনু!!অনু উঠো৷
.
অনু উঠছেনা আরও ঘুমের ভাব ধরে পড়ে আছে৷

কী হলো উঠো?
.
অনু তবুও উঠছেনা দেখে আবির অনুকে এসে সোজা কোলে তুলে নিলো৷

এই এই কী করছেন আপনি?
.
তুমি না ঘুমিয়ে ছিলে তাহলে উঠলে কী করে হুম?

অনু আবিরের কথার উত্তর না দিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো৷ আবির অনুকে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে ছাঁদের উদ্দেশ্য হাঁটা দিলো৷ পথেই তার দাদীমার সাথে দেখা৷

“একি তুই ওকে কোলে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস হতচ্ছাড়া?
.
উফ দাদীমা সেটাও কী তোমাকে বলতে হবে নাকি৷ যেখানে যাই সেখানেই তোমার আগমন৷ বলি কী তোমার কী আমার রোমান্সের বারোটা না বাজালে হয়না৷
.
না হয় না৷দিন দুপুরে কিসের রোমান্স৷?
.
ওসব তুমি বুঝবেনা বুড়ি৷ তুমি থাকো আমি চললাম৷
.
হ্যাঁ হ্যাঁ যাও যাও৷ এখন তো বউ পাইছো এখন তো আমি কেউ না৷
.
আবির ওর দাদীমার দিকে পিছন ফিরে বললো,,,

তোমার কেনো জ্বলে গো বুড়ি, তোমার কেনো জ্বলে? হাহাহা!!
.
আবির অনুকে ছাঁদে গিয়ে তবেই কোল থেকে নামালো৷ অনু লজ্জা আর অভিমানে মাথা নিচু করে রেখেছে৷

অনু আ’ম স্যরি৷ তখন তোমার সাথে এভাবে কথাটা বলা উচিৎ হয়নি৷ কিন্তু কী করবো বলো,আমি চাইছিলাম আমাদের বিয়ে হয়ে গেলে তোমার চোখ থেকে একফোঁটা অশ্রুও ঝরতে দিবোনা৷ তখন তুমি কাঁদছিলে তাই খুব রাগ হয়েছিলো৷
.
ঔ আসলে বাবার কথাও তখন খুব মনে পরেছিলো তাই৷
.
অনু আর একটা কথাও বললোনা৷ আবির জানে অনু অভিমান করেছে তাই ওর কাছে গিয়ে বললো,,

“ছাঁদ টা একটু ভালো করে দেখো তো ম্যাডাম

অনু আবিরের কথা শুনে চারিদিকে চোখ বুলালো৷ ছাঁদের প্রতিটা কোনায় কোনায় শুধু অপরাজিতা ফুল৷ অন্য ফুলও আছে তবে এই ফুলটাই বেশি৷

আবির অপরাজিতার একটা লতা ছিঁড়ে আনলো৷ লতায় পাচঁ থেকে ছয়টা ফুল আছে৷ আবির লতাটা দুই দিক থেকে এনে গিট্টু দিয়ে একটা ক্রাউন বানালো আর সেটা অনুর মাথায় লাগিয়ে দিলো৷ অনু শুধু আবিরকে চেয়ে চেয়ে দেখছে আবির কতটা ক্রিয়েটিভ৷

অনুঃওয়াও খুব সুন্দর এটা৷

দাদীমাঃআমারও সেম লাগবে৷
.
দাদীমা তুমি?
.
হ্যাঁ আমি৷ তাহলে এটাকেই রোমান্স বলে তাই না?আর শুন আমাকেও সেম ফুলের মালা বানিয়ে দে আমিও মাথায় দিবো৷ তবে হ্যাঁ আমার মালায় কিন্তু গোলাপও গিট্টু দিয়ে লাগিয়ে দিবি৷
.
দাদীমা এটা মালা নয়৷ মালা তো গলায় দেওয়ার জিনিস৷ এটা তো মাথায় দেয় এটাকে ক্রাউন বলে৷
.
কাউল বাউল যাই বলুক আমাকে দে বানিয়ে৷
.
হায় আল্লাহ্৷
.
আবির ওর দাদীমাকেও বানিয়ে দিলো তাতে তিনটি গোলাপও লাগিয়ে দিয়েছে৷

আবিরঃওয়াও তোমাকে তো একেবারে শাবানা লাগছে৷ ও শাবানা, শাবানা,শাবানা ওহো৷
.
আর তোকে ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো লাগে৷
দাদীমা কথাটা বলে হেঁসে চলে গেলেন৷
আবিরের মুখের হাসিও উধাও
.
এই অনু আমাকে কী দেখতে ইলিয়াস কাঞ্চন লাগে?
.
একদম না৷ আপনাকে কারও মতোই লাগেনা৷ আপনি সবার চাইতে অন্যরকম৷ আমার জীবনের দেখা সবচাইতে ভালো আর সুদর্শন পুরুষ৷

চলবে♥️

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে