#সুখ_একটি_প্রজাপতি (১)
কলমে~ #ফাতেমা_তুজ_নৌশি
চলবে….
ঘর ভর্তি লোকের সামনে বন্ধুর হবু স্ত্রী কে জাপটে ধরল অভিনব! সেখানেই থেমে নেই। লাল লজ্জা সব হারিয়ে মেয়েটির গালে বসিয়ে দিল স্বীয় ঠোঁটের অগভীর চিহ্ন।ফর্সা পাতলা কোমল গাল লাল হয়ে গেছে। মেয়েটির চিকন শরীরে পুরুষালি শীতল স্পর্শ! কেঁপে কেঁপে উঠে। অভিনব এক চিলতে হাসি ফুঁটিয়ে গলার ডান পাশে এগিয়ে যায়। ঠোঁট না ছুঁয়ে হালকা ভাবে ফু দেয়। আবেশে স্কার্ট খামচে ধরল ঝিল। বন্ধ করে নেয় ডাগর দুটি চোখ। পুরো ঘরময় জুড়ে চলছে এখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। লজ্জার থেকে বিস্ময় বেশি! বাঁধা দেওয়ার মতো অনুভূতির দেখা মিলছে না কারো মাঝেই। পাত্রী দেখতে এসে এমন কান্ড বোধহয় আজন্মকালে ও কেউ ঘটায় নি!
ঝিলের বড় চাচা মুখ খুললেন। আক্রোশে ওনার দুটি চোয়ালের রগ বেরিয়ে আসার জন্য ব্যস্ত।
“এই ছেলে তোমার সাহস তো দেখি কম নয়। আমার বাড়িতে আমার ই মেয়ের সাথে অসভ্যতামু করছো!”
“অসভ্যতামু কোথায় করলাম আঙ্কেল? আমি তো ভুল কিছু করি নি।”
“তোমার এই মুখ কি করে থাকে আমি ও দেখাচ্ছি সেটা।”
“হুম, হুম দেখান না দেখি একটু।”
বুকে হাত গুঁজে দিয়ে দাঁড়ায় অভিনব। ইকবাল মির্জা রেগে আগুন। ঝিল কি করবে বুঝতে পারছে না। হাতের তালু ঘেমে একাকার। মেয়েটির ইচ্ছে করছে ভরা সভায় মাটি ফাঁক হয়ে যাক। আর ঝিল সেখানে লুকিয়ে থাকুক। এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মেয়েটির জীবনে কখনোই আসে নি।
“ঝিল মামুনি ঘরে যা।”
“কিন্তু বড় পাপা — ”
“ঘরে যা বলছি।”
মাথা নিচু করে চলে যায় ঝিল। বুকের ভেতর ধীম ধীম করছে। যাওয়ার পূর্বে চোরাচোখে একবার অভিনবর পানে তাকায়। ছেলেটার মনে ভয় ডর কি কিচ্ছু নেই? মির্জা বাড়িতে এসে এমন অঘটন ঘটালো! নেহাত ই ঝিলের পাঁচ ভাই আর মেঝো কাকা বাসায় নেই। না হলে এত সময় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অভিনবর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পরত! মেয়েটি চলে যায়। ঝিলের বাবা জাফর মির্জা ইতোমধ্যেই অভিনবর কলার চেপে ধরেছেন। ওনার এক মাত্র মেয়ের এমন অসম্মান করা টা যে কত বড় অন্যায় তার প্রমাণ দেওয়া হবে আজ।
“জাফর সর তুই আমি দেখছি।”
“ভাইয়া আপনি সরুন আমি একে জ্যা ন্ত রাখব না আজ।”
“বললাম তো আমাকে দেখতে দে।”
জাফর মির্জা সরে যেতেই অভিনবর গালে থা প্পড় বসিয়ে দিলেন ইকবাল মির্জা। এই বাড়ির এক মাত্র মেয়ে ঝিল। চোখের মনি বললে ও কম হবে। সব থেকে আদরের সন্তান। ঘর ভর্তি মানুষের সামনে থা প্পড় খেয়ে থ হওয়ার কথা থাকলেও অভিনবর কোনো হেলদোল নেই। এত সময় পর অভিনবর বন্ধুর টনক নড়েছে। ছুটে আসতে চাইলে বড় ভাই তুহিন বাঁধা দিয়ে বসে। চোখ দ্বারা বুঝায় না যেতে। যা হচ্ছে হতে দে! না হলে বিপদ।
সবে মাত্র অভিনবর দিকে কালাশনিকভ একে ৪৭ ব ন্দু ক তাক করা হয়েছে। তৎক্ষনাৎ একজন গার্ড এসে খবর দেন মির্জাদের সব থেকে বড় শত্রু শিকাদার রা গাজীপুর থেকে মির্জা বাড়ির দিকে আসছে। খবরটা আসতেই গগনবিদারী হাসিতে মেতে উঠে অভিনব। লাল চোখের জাফর মির্জা স্তম্ভিত!
“আমি আপনাদের সাথে একান্তে কথা বলতে চাচ্ছি।”
“অভিনব তুই কেন বুঝতে চাচ্ছিস না এরা তোকে মে রে ফেলবে।”
তুহিনের বাঁধা অমান্য করে তরুণ এসেছে অভিনবর নিকট। ফিস ফিস কণ্ঠে বার বার একি কথা বলে যাচ্ছে। একটু ঝুঁকে অভিনব বলল
“চিন্তা করিস না দোস্ত। আমাকে এরা কিচ্ছু করবে না।”
“আহ অভিনব। এটা আমেরিকা নয় যে তোর পাওয়ার খাটাবি। এখানে তুই সময় পাবি না এক সেকেন্ড। প্লিজ দোস্ত ক্ষমা চেয়ে বের হয়ে যা।”
“তরুণ তুই পারিস ও বটে। একটু ওয়েট কর।”
চিন্তাতে পাগল হয়ে যাচ্ছে তরুণ। বিদেশ থেকে বন্ধুকে সাথে নিয়ে এসে এ কেমন মসিবতে পরা লাগল!
একটা ঘরে ইকবাল মির্জাকে নিয়ে আসর বসিয়েছে অভিনব। জাফর মির্জার মাথা গরম তাই সাথে নেওয়া হয় নি ভদ্রলোককে। এমনিতেই তিনি অত্যন্ত রগচটা মানুষ। পরিস্থিতি না বুঝে যখন তখন শুট করে দিবেন। তরুণ দরজার বাহিরে পায়চারি করছে। বিদেশ থেকে ফিরে বন্ধু আর ভাইকে নিয়ে মেয়ে দেখতে এসেছিল। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল!
দরজা খোলার আওয়াজে বিচলিত মানুষ গুলো থমকে গেল। ভেতরটা দমে থাকতে পারছে না ঠিক তবে বাহির টা স্থির। ক্রোধ নিয়ে জাফর মির্জা আগালেন। তরুণ এসে দাঁড়ায় অভিনবর কাছে। বন্ধুর পাশে শক্তপোক্ত দেয়াল হওয়ার প্রয়াসে। ভয়ে কাঁপছে দুটি ঠোঁট। যেন হীম ধরে গেছে। ইকবাল মির্জা মৃদু স্বরে বললেন
“তোমরা এখন বাড়ি যাও। আর এ ঘটনা এখানেই সীমাবদ্ধ। প্রয়োজনে মাথা থেকে আউট করে ফেলবে।”
“ভাই কি বলছেন কি? ওরা বাড়ি যাবে মানে!”
“জাফর তুমি এখন অশান্ত হয়ে আছ। এ নিয়ে পরে কথা হবে।”
অভিনবর নিকট তাকিয়ে ইকবাল মির্জা ফের বললেন
“এই চত্বরে যেন না দেখি। না হলে এবার ছেড়ে দিলে ও পরে ছাড় পাবে না খোকা।”
“তাহলে আমি আমার মৃ ত্যু র অপেক্ষায়। আমার সাথে স্বাক্ষাৎ যে শেষ হবে না আপনাদের।”
ইকবাল মির্জা দাঁতে দাঁত চেপে রইলেন। অভিনব মৃদু হেসে বেরিয়ে পরল। ওর সাথে সাথে বের হলো তরুণ আর তুহিন। হতবাক হয়ে আছে দুজন। এমন কাজের পরেও ছেড়ে দিল! মির্জারা এত শান্ত হলো কবে থেকে?
সারাটা বিকাল ঘর থেকে বের হতে পারে নি ঝিল। এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে এটা যদি ঘুণাক্ষরেও টের পেত তাহলে কখনোই পাত্র পক্ষের সামনে যেত না। মেয়েটা বার বার লজ্জাতে লাল নীল হচ্ছে। সাথে রাগ ও হচ্ছে। অজানা একটা ছেলে এসেই চুমু খেয়ে নিল! আর সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় বিন্দু মাত্র প্রতিবাদ করতে পারে নি ঝিল! এমন তো ছিল না মেয়েটি। বরাবরই প্রতিবাদী। তাহলে এবার কেন পারল না? অনেকক্ষণ পর উত্তর মিলে। ওমন বিদেশীর মায়া ভরা চেহারা দেখে নিজ সত্তাই তো হারিয়ে ফেলেছিল।ঘরে ঢুকেই তো হা হয়ে তাকিয়ে ছিল। ফোঁস করে দম ফেলল। একটা অস্বস্তি এসে ছুটোছুটি করছে। মৌনতা সেই কখন থেকে কল করে যাচ্ছে অথচ ঝিলের ধ্যান ছিল না। মেয়েটার বিরতিহীন কল দেখে বাধ্য হয়েই কল রিসিভ করে। ওপাশ থেকে এক নাগাড়ে বলছে মৌনতা,
“এই ঝিলি, কি হলো! খবর দিলি না যে। সব ঠিক তো? আচ্ছা ছেলের সাথে কথা বলে বিয়েটা ভেঙেছিস তো। কি রে কথা বলিস না কেন! দেখ আমার খুব টেনশন হচ্ছে। সকাল থেকে না খেয়ে আছি দোস্ত।”
“কানের পোকা বের করে দিবি তো। কথা বলার সুযোগ দে একটু।”
“উপস স্যরি। হ্যাঁ আমি চুপ থাকছি, এবার তুই বল।”
“বিয়ে বোধহয় ভেঙে গেছে।”
“বোধহয় মানে! কনফিউশন এ আছিস নাকি? ছেলেটা শুনে নি তোর কথা। তুই দিতে পারলি না কানের নিচে।”
“কথা বলার সুযোগ কোথায় পেলাম।”
“মানে?”
ঝিল নিরুত্তর রইল। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে বলতে ও কেমন দ্বিধা কাজ করছে। মৌনতা এক এক করে প্রশ্ন করছে ঝিল কেবল হু হা করে উত্তর করছে। চোখের সামনে শুধু সেই ছেলের হাস্য উজ্জল অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মুখ ভাসে। পাত্র পক্ষের নিকট যখন ঝিল কে বসানো হলো সেই ছেলেটা হালকা হাসছিল। সেই অমায়িক হাসির মায়ায় পরে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল ঝিল। ইস সে কি যে লজ্জা!
“তুই কি আমার সাথে কথা বলবি না বলে স্থির করেছিস?”
“মৌন তুই চলে আয়।”
“কোথায় আসব?”
“আমার বাসায়।”
“কেন?”
“আয় না রে দোস্ত। আমার ভালো লাগছে না কিছু। অনেক কিছু বলার আছে। মাথা জ্যাম হয়ে আছে।”
“আচ্ছা আমি আসছি কাল। তুই শান্ত হো।”
“কাল না আজ ই আয়। ইনফ্যাক্ট এখনি, আমি গাড়ি পাঠাচ্ছি।”
“কিন্তু ঝিল বাসায় ম্যানেজ তো করতে হবে। টাইম দে দোস্ত।”
“উফ তুই ভাবিস না তো। আমি ভাইয়া কে দিয়ে আঙ্কেল এর সাথে কথা বলাচ্ছি। তুই দ্রুত চলে আয়। নতুবা দেখা যাবে ঝিল বলে কোনো প্রাণী এ দুনিয়ায় নেই।”
মৌনতার দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শোনা গেল। ঝিল মেয়েটাকে নিয়ে চলা বড্ড মুশকিল। কখন কি করে বোঝা যায় না। মৌনতা কল কেঁটে দিয়েছে। এই অসময়ে জামা কাপড় গোছানো নিয়েও হলো আরেক প্রবলেম।
তুহিনের সম্মুখে বসে আছে অভিনব। এই অর্ধ বিদেশীর মাঝে যেমন রয়েছে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য্য। ঠিক তেমনি ভাবে রয়েছে বিশাল রহস্য। এমন কি তরুণ ও হতবাক। সে বার বার প্রশ্ন করে যাচ্ছে আলাদা করে কি এমন কথা হলো ইকবাল মির্জার সাথে যাঁর দরুণ তিনি ছেড়ে দিলেন। অভিনব এক বার তাকিয়েছিল। তেমন কিছুই বলে নি। শুধুই দূর্ভেদ্য হেসেছে। যেই হাসির মানে বোঝা অসীম কর্ম!
“আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কি করলি তুই,যাতে পাখি ডানা নামিয়ে নিল।”
“তেমন কিছু নয় রে বোকা। শুরুতে একটু আধটু ডানা তো ঝাপটাবেই।”
“তুমি কি মির্জা বংশের পূর্বপরিচিত?”
“তেমনটাই তুহিন ভাই। আসলে ওনাদের সাথে আমার আরো কিছু সর্ম্পক রয়েছে। আর সেটা মনে করাতেই তিনি আমাকে ছেড়ে দিলেন।”
“সম্পর্ক! কি এমন সম্পর্ক?”
“জানতে পারবি, একটু অপেক্ষা কর সবটাই জানতে পারবি। আর দোস্ত আম স্যরি।”
কথা বলতে বলতে তরুণের কাছে চলে এসেছে অভিনব। তরুণ মলিন হাসল। অভিনব ফের বলল
“অ্যাকচুয়ালি আমি এমনটা করতে চাই নি। বাট কেমন করে যেন করে ফেলেছি। ঘেটে গেছে সবটা।”
“আচ্ছা বাদ দে এসব। আমি মাইন্ড করি নি। তবে সব টা কিন্তু জানাতে হবে। না হলে শা লা ছাড়ব না।”
হাসল অভিনব। তরুণকে বুকে জড়িয়ে বলল,
“অবশ্যই। তুই আমার এক মাত্র জানের দোস্ত। তোকে না জানালে চলে?”
তরুণের ঠোঁট প্রসারিত হয়। তুহিন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে। এই ছেলেকে বোঝা অসম্ভব! তবে মনে মনে ভয় হচ্ছে খুব। যদি মির্জারা খেপে যায়! সেসব ভাবতেই লোম জেগে উঠল। শরীর ঘামতে শুরু করেছে তীর তীর করে। অভিনব বিষয়টা লক্ষ্য করেছে।
“আমি ড্রাইভ করি?”
বিনা বাক্যে ড্রাইভ করতে দিল তুহিন। ঘেমে নেয়ে একাকার। না জানি কি হয়! অথচ অভিনবর অধর জুড়ে রহস্যময় হাসি। যেন স্বর্গ জয় করে এসেছে।
মির্জারা আর শিকদাররা পাশাপাশি বসে আছে। এদের দেখে বোঝার উপায় নেই আজন্মকালের শত্রু এরা। দু পক্ষ এসেছে একটি ভালো কাজে। জাফর মির্জা আগে থেকেই তৈরি। কেউ বাড়াবাড়ি করলেই গু লি করে খুলি উড়িয়ে দেবেন। ইকবাল মির্জার ললাটে জেগেছে চিন্তার রেখা। ছোট ভাইকে নিয়ে পারেন না আর। র ক্ত গরম সর্বদা! পুলিশ কমিশনার আসলেন সবার মাঝে। নিয়ম অনুযায়ী দু পক্ষের উচিত সম্মান প্রদর্শন করা। কিন্তু হলো উল্টো। কেউ ই সম্মান দেখায় না। কমিশনার নিজে সম্মান প্রদর্শন করলেন।
“দুঃখিত আপনাদের অনেকটা সময় বসিয়ে রাখতে হলো।”
“তা তো বুঝলাম। তবে মিটিংটা তো দু দিন পরে ছিল। শিকদারদের এত তাগাদা কেন?”
কথাটা গাঁয়ে লাগলো ইববান শিকদারের। জাফর মির্জার দিকে তাকালেন। ইকবাল মির্জা ভাইয়ের হাত চেপে ধরলেন। এতে সামান্য ক্ষান্ত হলেন তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে কমিশনার বললেন
“মির্জা সাহেব আসলে আমার ই একটু তাগাদা। দেশের বাহিরে যাচ্ছি তো। তাই ভাবলাম দু পক্ষের কাজটা শেষ করে ফেলি আগে।”
“অতি উত্তম। তবে কমিশনার সাহেব আগে জানানো উচিত ছিল আমাদের। একটু হলেই তো ঝড় ঝামেলা শুরু হয়ে যেত।”
“খুব ই দুঃখিত ইকবাল ভাই। আমরা আসলে বুঝতে পারি নি। তবে ঝামেলা হয় নি এটাই শুকরিয়া।”
সময়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখেন ইববান শিকদার। ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন বারং বার। এতক্ষণে টু শব্দ অবধি করেন নি। এবার মুখ খুললেন তিনি।
“কমিশনার ফাউ প্যাঁচাল পারার সময় আমার কাছে নেই। আমরা লেট করি সব সময় সেই জন্য এবার আগে আসছি। এখন তো দেখি সময়ের আগে ফাউ কথা হয়। কি লাভ হলো আগে এসে!”
“চটবেন না ইববান ভাই। আমি এখনি কার্যক্রম শুরু করছি।”
ইববান শিকদার চোখের ইশারায় সম্মতি দিলেন। সকলে উঠে পড়তেই কমিশনার আশে পাশের কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ করলেন। সকলে এক সাথে স্বাক্ষর করে দু এলাকায় চুক্তি বদ্ধ হলেন। সম্প্রতি নদী পথে বেশ কয়েকটা সেতু তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে দু পক্ষ। মির্জাপুরের আর গাজীপুরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য বড় উপকার হবে এতে। এর বিশেষ এমাউন্টটা আসবে মির্জা আর শিকদার দের থেকে। কার্যক্রম শেষ হতেই মিষ্টির আয়োজন করা হলো। দু পক্ষের কেউ ই মিষ্টি খেল না। বরং মুখের ভঙ্গিমা বদল করে চলে গেল। কমিশনার হাঁফ ছেড়ে বাচলেন। কপালে বেয়ে নামা ঘাম টুকু সযত্নে মুছে নিলেন রুমালে। তারপর ই প্যাকেট থেকে টুক করে দু খানা ছানার মিষ্টি পেটে চালান করলেন। সব শান্তির বড় উৎস পেটের শান্তি।
চলবে