শিউলি পাওয়া পর্ব-০২

0
5

#শিউলি_পাওয়া <দ্বিতীয় পর্ব>
#ঈপ্সিতা_মিত্র
<৩>
দমদমে ওরা যখন এসে পৌঁছলো তখন সকাল দশটা | অনেক দিন বাদে কলকাতায় এলো দীপ | দাদু দিদা মারা যাবার পর প্রায় চার কি পাঁচ বছর আর কলকাতা আসা হয়নি ওর | এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এইসব কথাই মনে হচ্ছিলো | কিন্তু এইসব ভাবনার ভিড়ে হঠাৎ আকাশের দিকে চোখটা চলে গেলো দীপের , নীল রঙের আকাশে সাদা মেঘগুলো ভিড় করে এসেছে | আর আসে পাশে ছড়িয়ে আছে সোনালী রোদ | ঠিক আজকের ভোরের স্বপ্নটার মতন ! একেই মনে হয় বলে শরৎ এর আকাশ ! ভেবেই একটা হাসি চলে এলো মুখে | যাই হোক, সেইদিন ক্যাব বুক করে হুগলী আসতে আসতে প্রায় দু ঘন্টা লেগেছিলো ওদের | এই আসার রাস্তাটাও খুব ভালো লেগেছে দীপের | সব জায়গায় একটা পুজো পুজো ভাব | কত প্যান্ডেল রাস্তার ধার দিয়ে সাজানো | এখনো সব মন্ডপগুলোতে কাজ চলছে | একটা অদ্ভুত ব্যস্ততা চারিদিকে | তার মাঝে হঠাৎ হঠাৎ রাস্তার ধারে কাশফুলের বন | শরৎ এর আকাশ আর কাশফুলের বন যে একসাথে এতো সুন্দর দেখতে লাগে সেটা দীপ যেন এই প্রথম আবিষ্কার করলো | আর এইসবের মাঝেই একটা ভাবনা বার বার এসে ভিড় করছিলো ওর মনে , গাড়ির কাঁচের ওপারের ছবিটার সাথে আজকের স্বপ্নে দেখা ছবিটার অদ্ভুত মিল ! এই সময়ই হঠাৎ অনিন্দর কথায় সম্বিত ফিরলো ,
” কিরে ? কি এতো ভাবছিস ? এসে গিয়েছি আমরা হুগলী | আর পাঁচ মিনিট বাদেই ময়ূরপঙ্খী ঘাট চলে আসবে বুঝলি | ওখানেই আমার বাড়ি |”
সেইদিন যখন ওরা ময়ূরপঙ্খী ঘাটের জগন্নাথ মন্দিরের সামনে এসে পৌঁছলো তখন ঘড়িতে সাড়ে বারোটা | জায়গাটা তো বেশ সুন্দর | ওই পারে না কি নৈহাটী ! ঘাটের চারিদিকে বসার জায়গা , ছোট ছোট পার্ক | এইখানেই তার মানে অনিন্দর বাড়ি | যদিও এই জায়গাটার কথা আগে ওর মুখে অনেক শুনেছে | আজকে এখানে এসে সেই সব ডেসক্রিপশনগুলোকেই মিলিয়ে দেখছিলো দীপ | এর মধ্যে অনিন্দ গাড়ি থেকে নেমেই পাঁচ মিনিটের জন্য গেলো পাড়ার ক্লাবে , ওর বাবার সঙ্গে দেখা করতে | এইবার দূর্গা পুজোর কমিটির সেক্রেটারি আসলে ওর বাবা | তাই খুব ব্যস্ত | এয়ারপোর্টের নিতে যেতে পারেনি উনি ছেলেকে |
যাই হোক , দীপ মনে মনে ভাবলো এই ফাঁকা সময়টায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে না থেকে ময়ূরপঙ্খী ঘাটের কিছু ফটোগ্র্যাফস তুলে নেয়া যাক | জায়গাটাকে একটু ফ্রেমবন্দি করা যাক | সেই ভেবেই গাড়ি থেকে ডিএসএলারটা বার করে গঙ্গার ধারে এগিয়ে গেলো | তারপর শান্ত গঙ্গার বেশ কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে থাকলো মন দিয়ে , আর তখনি একটা গলার আওয়াজ হঠাৎ কানে এলো , ” কি ব্যাপার ? আপনি ফটো তুলছেন কেন আমাদের ?”
কথাটা শুনে দীপ ক্যামেরা থেকে চোখ সরাতেই দেখলো সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে | চোখ দুটো টানা টানা , মুখটা বেশ মিষ্টি , আর তার মাঝে লম্বা চুল অগোছালো ভাবে বিনুনি বাঁধা | লাল রঙের সালোয়ারে যেন একটু বেশিই সুন্দরী লাগছে ! এই লাল সালোয়ারের আসে পাশে আরোও বেশ কয়েকটা মেয়ে দাঁড়িয়ে , কিন্তু চোখে এই মেয়েটাকেই লাগছে | কয়েক সেকেন্ডের জন্য এইসব অনেক ভাবনাই এসে ভিড় করলো দীপের মনে | যাই হোক , ও কিন্তু বেশ গম্ভীর ভাবেই উত্তর দিলো , — ” আপনাদের ফটো না , আমি এই জায়গাটার ফটো তুলছি | জায়গাটা বেশ সুন্দর তাই |”
কথাটা শুনে মেয়েটা ভ্রু নাচিয়ে বললো , ” ওহ , তাই বুঝি ! আমাকে এতো বোকা পেয়েছেন ?আমি কি বুঝি না কিছু ! হঠাৎ এই ভর দুপুরে কেউ ময়ূরপঙ্খী ঘাটের ফটো তোলে না | আপনি সুন্দরী মেয়ে দেখে ফটো তুলছিলেন | স্বীকার করুন |”
এই রে ! আচ্ছা ঝগড়ুটে তো | এবার দীপ বেশ বিরক্ত হয়েই বললো , ” কি ই বা এমন দেখতে আপনাদের যে আমি ফটো তুলতে যাবো ! আর যদি ফ্রেম এ চলে আসেন অবজেক্ট এর সঙ্গে , তাতে আমার কি দোষ ! আমি গঙ্গার ফটো তুলছিলাম | বুঝেছেন |”
এই কথাটা শুনে মেয়েটা আরো ক্ষেপে গেলো | তবে এবার রিজনটা অন্য , ” কি ই বা এমন দেখতে আমাদের কথাটার মানেটা কি ? আমাদের দেখতে খারাপ ! আপনি বললেই মানতে হবে ?”
এর উত্তরে দীপ ঠিক কি বলবে বুঝে উঠতে পারলো না ! আর এই সময়েই অনিন্দর গলা | পেছন ফিরে দেখে অনিন্দ হাসি হাসি মুখে ওদের দিকেই এগিয়ে আসতে আসতে মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করছে , ” কি রে কথা , কেমন আছিস ? কতদিন পরে দেখলাম তোকে |”
এর উত্তর দিতে গিয়ে মেয়েটারও মুখের সব রাগ হঠাৎ মুছে গিয়ে এক গাল হাসি , ” ভালো আছি অনিন্দদা | তুমি কেমন আছো ?”
এর মানে অনিন্দ চেনে এই মেয়েটাকে ! এই ভাবনার মাঝেই অনিন্দ কথার সাথে দীপের আলাপটা করিয়ে দিলো | যদিও দীপের পরিচয় পাওয়ার পরও কথার মুখে বিশেষ হাসি আসেনি | মুখটা গম্ভীর করেই বলেছিলো , “বুঝলাম |”
দীপেরও অবশ্য তাই | একই এক্সপ্রেশন ! এই ঝগড়ুটে মেয়েটার সাথে আলাপ হয়ে ওরও এমন কিছু ভালো লাগেনি | এইসব প্রাথমিক আলাপচারিতার পর কথা চলে যেতেই অনিন্দর কাছে দীপ ব্রেকিং নিউজটা শুনলো | এই কথাই না কি ভূমির বোন | অনিন্দর সিক্রেট ইনফর্মার | আর এক কথায় হবু শালিকা | এইসব শুনে দীপ ওর ভ্রুটা কয়েক ইঞ্চি তুলে বলেছিলো , ” বুঝলাম |”
<৪>
সেইদিন দীপ অনিন্দর বাড়ি গিয়ে একটা জিনিস বুঝেছিলো , যে এতো দিন ধরে অনিন্দ ওর মা বাবার সম্বন্ধে যা যা বলেছে , সেটা একদম ঠিক | দীপের এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন কত দিন ধরেই এই বাড়িতে আসে | মনেই হচ্ছে না যে এটা প্রথমবার | এই এতো কম সময়েই অনিন্দর মা বাবা ওকে এতো নিজের করে নিয়েছে ! গল্প আড্ডায় আজকের দুপুরটা পুরো জমজমাট | আর তার ওপরে অনিন্দর মায়ের হাতের রান্না ! জাস্ট অসাধারণ | আর এই সব কিছু মিলিয়েই দীপের এইবারের চতুর্থীটা পুরো জমে ক্ষীর | কিন্তু এর মধ্যেই খাবার টেবিলে অনিন্দ দীপকে কেসটা খাইয়ে দিলো | বেশ হাসি হাসি মুখে ও মা বাবার কাছে ফাঁস করে দিল যে দীপ খুব ভালো গিটার বাজাতে পারে , আর গানের গলাটাও ভীষণই সুন্দর | ব্যাস , দেখে কে ! অনিন্দর বাবা তো কথাটা শুনেই লাফিয়ে উঠলো সেইদিন | তার মানে আর একটা শিল্পী পাওয়া গেছে পাড়ার ফাংশনের জন্য | তা ও আবার যে সে শিল্পী না , স্বয়ং বোম্বে থেকে আসা শিল্পী , গিটারিস্ট | দীপের তো আর এরপর না বলার সুযোগই ছিল না | অনিন্দর বাবা তো পারলে দীপের গান গাওয়ার এনাউন্সমেন্টটা চতুর্থীর দুপুরেই করে দেয় ! তাই অগত্যা , চুপ করেই থাকতে হলো | শুধু এক ফাঁকে চোখ দুটো বড়ো বড়ো করে অনিন্দর দিকে তাকালো একবার , ওকে এইভাবে কেস খাওয়ানোর জন্য |
এইসবের মাঝেই চতুর্থীর বিকেল এসে হাজির | অনিন্দ যেই বিকেলটার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলো | আজ ফাইনালি ভূমির সাথে দেখা হবে | কতগুলো দিন বাদে সেই পুরোনো চেনা মুখটাকে দেখবে আজ ও ! এইসব ভাবতে ভাবতেই ভূমিদের বাড়ির দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো | আগে থেকেই কথা ওকে সব জানিয়ে রেখেছিলো | বাড়িতে এই সময় মা বাবা কেউ নেই | ভূমি একাই | তাই এটাই সুযোগ | যদিও অনিন্দর এই আগমনের ব্যাপারে ভূমি কিছুই জানতো না | সে তো নিজের ঘরে আপন মনে বইয়ের আলমারিটা গোছাচ্ছিল | কিন্তু হঠাৎ আনমনে ঘরের দরজার দিকে চোখ যেতেই থমকে গেলো , যেন পুরোনো সময় বিনা নোটিশে ওর কাছে এসে হাজির | যেই সময়টাকে ভূমি আর কখনোই দেখতে চায়নি ! আর কেনই বা দেখতে চাইবে ! এক তরফা অনেক কষ্ট পেয়েছে ও | আর না | তাই বেশ গম্ভীরভাবেই জিজ্ঞেস করেছিল , ” তুমি এখানে ? ”
এর উত্তর দিতে অনিন্দর অবশ্য বেশ কিছুক্ষন সময় লেগেছিলো | আসলে ও যেই মানুষটাকে একদিন ফেলে চলে গিয়েছিলো , তার চোখে চোখ রেখে কথা বলাটা একটু কঠিন | তা ও কিছু কথা সাজিয়ে বললো , ” হ্যাঁ , আমি | কেমন আছো ভূমি ?”
ভূমি কথাটা শুনে এক কথায়ই উত্তর দিলো , ” ভালো | ভালো আছি |” … আর তারপর আবার বইয়ের আলমারির দিকে চোখ ফিরিয়ে নিলো | অগোছালো বইগুলো যত্ন করে গোছাতে শুরু করলো | অনিন্দর জীবনটাও আজ খুব অগোছালো | এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবনটাকে একমাত্র ভূমিই পারে গুছিয়ে দিতে ! ভূমির দিকে তাকিয়ে এইসব কথা ভাবতে ভাবতে তাই বলে উঠলো , ” আই এম সরি ভূমি | আমার সেইবার দূর্গা পুজোয় আসা উচিত ছিল | ঐভাবে সম্পর্কটাকে ভেঙে দেয়াটা ঠিক হয়নি | তখন আসলে কেরিয়ার ছাড়া কিছুই ভাবতে পারতাম না | ব্যাঙ্গালোরে এম.ডি কমপ্লিট করার পর একটা বেটার অপরচুনিটি , একটা ভালো জায়গায় প্র্যাকটিস করতে চান্স পাওয়া , এইসবই ইম্পর্টেন্ট ছিল আমার কাছে | কিন্তু আজ ! ”
কথাটাকে শেষ না করতে দিয়েই ভূমি এবার বলে উঠলো , ” কিন্তু আজ হঠাৎ মনে হয়েছে যে লাইফে একটা স্ট্রেস বাস্টারও থাকা দরকার | সারাদিনের ক্লান্তি , কাজের টেনশন , স্ট্রেস এইসব কিছু শেয়ার করার জন্য একজন থাকা দরকার | তাই তুমি এখন এই বাড়িতে দাঁড়িয়ে , তাই না অনিন্দ ? ”
এই প্রশ্নের উত্তরে অনিন্দ কি বলবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলো না | তার মানে এই কয়েকটা বছরে ভূমি ওকে এতটাই হিসাবি ভেবে ফেলেছে ! এতটা সেলফিশ মনে করে ওকে ! কথাটা ভেবেই অনিন্দর মনটা ভিজে যাচ্ছিলো , বার বার | তবে সেইদিন অনিন্দ চুপ থাকলেও ভূমি চুপ থাকেনি , আবার বলতে শুরু করেছিল , ” আসলে তোমার দোষ না | এখন বেশিরভাগ মানুষই এই রকম | খুব হিসেবি | তাদের কাছে ফিলিংসটা ও একটা ইনভেসমেন্ট | আর কিছুই না | তুমি কখনো ভালোবাসোইনি অনিন্দ | যদি বাসতে তাহলে ঐভাবে ছেড়ে যেতে না | আর আজকে তোমার আসা , সরি বলা , এইসবই একটা ইনভেসমেন্ট | ওই লাইফের স্ট্রেস বাস্টারটাকে আসলে তুমি খুব মিস করছো | তাই এসেছো এখানে , আমার কাছে | কিন্তু আমি তো তোমাকে খুব ভালো ভাবে চিনি , তাই আমি জানি , তোমার মতন হিসেবি মানুষ কখনো সত্যি করে ফিল করতে পারে না | ভালোবাসতে পারে না | তুমি রিয়্যাল ফিলিংস কি , সেটা জানোই না | ”
ভূমির কথাগুলো শুনে অনিন্দর যেন সব কিছুই শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ | ভূমির কথাগুলোর মধ্যে পুরোনো আমি কে খুঁজে পাচ্ছে অনিন্দ | হ্যাঁ, ভূমি যেটা বলেছে একদম ঠিক | অনিন্দ একটা সময় ঠিক এই রকমই হিসেবি ছিল | ফিলিংস , রিলেশনশিপ এইসবটাকেই ও লাভ ক্ষতির হিসেবে ফেলতো | কিন্তু একটা সময়ের পর ওর জীবনের সব হিসেবি উল্টে পাল্টে গেলো | যখন ওর লাইফ থেকে এই চেনা গলার আওয়াজটা , এই পুরোনো ফেলে আসা মুখটা , এই ‘ভূমি’ নামটা শেষ হয়ে গেলো, সেইদিন বুঝলো কাউকে ভালোবাসলে কেমন লাগে | কেউ আসবে না জেনেও দিনের পর দিন তার জন্য অপেক্ষা করতে ঠিক কেমন লাগে ! তবে ও যা বুঝেছে, যেটা ফিল করেছে , সেটাকে কিছুতেই শব্দ দিয়ে সাজিয়ে আজকে ভূমির কাছে বলতে পারলো না | আসলে লাইফে তো কোনো স্ক্রিপ্ট রাইটার নেই , যে ঠিক সময় ঠিক ডায়লগটা রেডি করে হাতে ধরিয়ে দেবে ! আর মুখস্ত কথাগুলো বলে ফেললেই সিনটা পারফেক্ট হয়ে যাবে | সিনেমা আর রিয়্যাল লাইফে এটাই তো তফাৎ | বাস্তবে এই চরম মুহূর্তগুলোতে শব্দের অভাব হয় , ইমোশনসগুলো একসঙ্গে মনের মধ্যে মিলে মিশে যায় , গলা ধরে আসে কান্নায় , আর কথাগুলো না বলাই থেকে যায় ! তা ও শেষ বারের মতন অনিন্দ দুটো কথা সাজিয়ে ধরা গলায় বললো , ” আর একবার নতুন করে শুরু করা যায় না ? একেবারে প্রথম থেকে ?”
ভূমি অনিন্দর এই প্রশ্নের উত্তরটাও খুব কঠিন ভাবে দিয়েছিলো সেইদিন , ওর চোখে চোখ রেখে দৃঢ় গলায় বলেছিলো , ” না অনিন্দ | ভাঙা কাঁচকে যদি তুমি ফেভিকল দিয়ে জোড়া লাগিয়েও দাও , তাহলে দাগটা স্পষ্ট বোঝা যায় | সেটা আর কখনোই আগের মতন হয় না | আমাদের সম্পর্কটাও তাই | যেটা অনেকদিন আগেই ভেঙে গেছে , শেষ হয়ে গেছে | সেটাতে শুরু করার মতন আর কিছুই বাকি নেই |”
এরপর আর অনিন্দর কিছু বলার ছিল না ! সম্পর্কের মূল্য সময় থাকতে না বুঝলে সেটা হয়তো এইভাবেই টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যায় | আর এই ভাঙা টুকরো গুলোকে হাজার চাইলেও আর জোড়া লাগানো সম্ভব হয় না | সেইদিন বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে একা বসে এইসবই ভাবছিলো | ঘরের আলোগুলো ইচ্ছে করেই নেভানো ছিল | মাঝে মাঝে অন্ধকারের সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে করে এখন ওর | কি অদ্ভুত , একদিন হয়তো এইভাবেই একটা দুর্গাপুজোয় ও ভূমির জীবনে কিছু অন্ধকার এনে দিয়েছিলো ! আজকের পুজোয় ভূমি সেটাই আবার ওকে ফিরিয়ে দিলো |

<চলবে>

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে