লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ১১
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)
—-আমার ফ্রেন্ড এর দরকার নাই। প্লিজ আমাকে এতো ডিসটার্ব করো না আমি তোমাকে ফ্রেন্ড করবো না?
——মানে কী কেন? আমি কি তোমার সাথে বাজে বিহেভ করেছি বলো। আর আমি কি প্রেম প্রস্তাব দিয়েছি যে এমন করছো আমি তো বন্ধু হতে চাই বেস্ট ফ্রেন্ড প্লিজ হও না ! তোমার রিয়েক্ট দেখে মনে হচ্ছে আমি তোমাকে প্রেম করার জন্য জ্বালিয়ে মারছি।
—-প্লিজ সুজয় আমাকে…….
—–চুপ [ মুখে আঙ্গুল দিয়ে ] স্টপ প্লিজ এই নাও আমার নাম্বার সেভ করে দিলাম তোমার ফোন এ আমি তোমাকে ডিসটার্ব না,পড়ার জন্য কথা বলতে মাঝে মাঝে ফোন দেব,আসলে প্রতিদিন আমি কোচিং এ আসবো না তাই জিগ্গেস করে জেনে নেব।
—-আরে আমার কথা টা শুন তো,,,
আমার কথা কানে না নিয়ে ইয়ার ফোন কানে দিয়ে ফোন টিপতে টিপতে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল সুজয়। আমি ওর যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। এই তিন দিন ধরে পিছে লেগেছে তার এক কথা ” আমি তো তোমাকে ফ্রেন্ড হতে বলছি; প্রেমিকা হতে বলি নি যে এতো রিয়েক্ট করছো ” আমি শত না করে ও বুজাতে পারিনি ফ্রেন্ড হয়েই ছারবে।
তার সাথে যোগ হয়েছে কোয়েল সে তো সুজয় বলতে পাগল বলে কিনা ক্রাশ খেয়েছি ! তুই প্লিজ ফ্রেন্ড শিপ কর না…… দুজনে মিলে পিছে লেগেছে কি সুজয় কে খারাপ মনে হয় নি যথেষ্ট ভালো ওর মন…. আর কেউ আমাদের সাথে কথা বলে না কিন্তু সুজয় নিজে থেকেই ও যে বড় ঘরের ছেলে দেখেই বুঝা যায়। পরা লেখায় ওতো টা ও ভালো না দেখেই বুঝা যায় কিন্তু মন টা ভালো। ফ্রেন্ড করায় যায়।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ছাদে দাড়িয়ে ফুল গাছে পানি দিচ্ছি আযান দিবে এখন ই আমি এসেছি আধা ঘন্টা হয়েছে। এসে পানি দিতে এসেছি মামুনি অবশ্য না করেছিল কিন্তু আমার পানি দিতে ভালো লাগে প্রতিদিনই দেই। হঠাৎ হাতের ফোন বেজে উঠলো এই সময় কে ফোন দিলো মা তো আর ও পরে দেয় এই সন্ধ্যায় তত দেয় না। ফোন হাতে নিয়ে দেখি সুজয় নামে সেভ নাম্বার আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি এই নাম্বার আবার কখন সেভ করলাম। হঠাৎ মনে পরলো সুজয় ই তো জোর করে ফোন নিয়ে সেভ দিয়েছে।
এই সময় ফোন কি বলল আমি যখন তখন ফোন দিয়ে ডিসটার্ব করবো না। কিন্তু এখন এই সময় কিন ফোন এটা কি ফোন দেওয়ার সময় সন্ধ্যায়। পড়া ছাড়া নাকি ফোন দেবে না এখন কি পড়া শুনবে যদি না থাকে কালকেই ফ্রেন্ড থেকে বাদ করে দেব। ভেবেছিলাম ফ্রেন্ড করবো কিন্তু……
——হ্যালো,,, আসসালামু আলাইকুম!!
—-হ্যালো মিষ্টি…. এতো লেট হলো কেন ফোন রিসিভ করতে তোমার?
— এসব কি সুজয় তুমি না বললা ডিসটার্ব করবে না এখন ফোন দিয়েছো কেন? কি পড়া এখন তোমার এঈ সন্ধ্যায় কেউ কাউকে ফোন দেয় এই জন্য আমি ছেলে ফ্রেন্ড করতে চাইনি।
—-আরে আমার কথা শুনো আমি সিউর হওয়ার জন্য ফোন দিয়েছি এটা তোমার নাম্বার কিনা!!
—-মানে….!!
—আসলে তোমার ফোনে নাম্বার সেভ করে আমি আমার ফোনে সেভ না করেই চলে এসেছি এখন ভনে হলো এটা কার! হয়তো তোমার যদি অন্য কারো হয় জানতে কল করেছি বিলিভ মি।
——-ওহ আচ্ছা তাহলে এখন তো বুঝেছো এটা আমার বাই?
—- আরে একটা কথা…………..।
মিষ্টি কিছু না শুনেই ফোন রেখে দিল। পেছনে ফিরতেই দেখলো রাজ দাড়িয়ে আছে চোখ মুখ কেমন লাল হয়ে আছে। মিষ্টি রাজে দিকে তাকিয়ে আছে এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে কেন? আচমকা রাজ মিষ্টির হাত শক্ত করে ধরে নিলো।
—- কার সাথে কথা বলছিলে??
——- কেন কি হয়েছে আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন?
——যা জিগ্গেস করছি উওর দাও এই সন্ধ্যায় ছাদে দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছিলে…??
——আমার ফ্রেন্ড ছিলো…[ ভয়ে ভয়ে রাজ কে ভয়ংকর লাগছে ]
—–ছেলে না মেয়ে…!!
—–এসব কি প্রশ্ন যেই থাক আপনার কি আপনি এমন করছেন কেন? ছারুন হাত আমার লাগছে ছেলে হলেই আপনার কি এভাবে আমার সাথে ব্যবহার করতে পারেন না আপনি।
এতোক্ষনে রাজের টনক নরলো আসলেই তো আমি কেন এমন বিহেভ করছি। যেই থাক তাতে আমার কি আমার এতো রাগ হচ্ছে কেন? সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি হাত ছেড়ে নেমে এলো রাজ নিজের রুমে এসে পরলো। দুহাতে মাথা চেপে ধরে বসে আছে রাজ……
কীছু বুঝতে পারছে না কেন এতো রাগ হচ্ছে আমার কেন? মিষ্টি যদি রিলেশন ও করে তাতে আর কেন কষ্ট হচ্ছে কেন রাগ হচ্ছে? কি হলো আমার সব সময় শুতে গেলে খেতে গেলে শুধু মিষ্টির কথা মনে পরে ওর ভয় বোকা বোকা কথা প্রথম দিনের কথা। সব সময় ওর সাথে সময় কাটাতে মন চাই না হলে চাপা কষ্ট বুকে থাকে।
এগুলো কেন হয় আমার সাথে!
বন্ধুদের সাথে বসে আছে রাজ ধ্যান করে সবাই কথা বলে চলেছে কিন্তু রাজের ভুখে কথা নেই।
—হুয়াটস হ্যাপেন রাজ কি হয়েছে তোর এমন থ মেরে বসে আছিস কেন?
——মাইশা আর বলিস না তুই তো কাল আসিস নি কি অবস্থা এর এমন করে থাকে কি যেন ভাবে? তোকে খুব ভালোবাসে তো তাই এমন করে নিরব থাকে আজ তুই আছিস আর এমন থাকবে না কি বলিস রনি ঠিক না?
—-হুম ঠিক বলেছিস।
মাইশা তো লজ্জায় লাল নিল বেগুনি হতে লাগলো ও তো রাজ কে ভালোবাসে অনেক।
—তাই রাজ আমার জন্য এমন করে আছে। কিন্তু আমি তো আজ আছি ও আমার সাথে কথা বলছেসনা কেন?
—ওকেঈ জিগ্গেস করো আমরা জানি নাকি?
মাইশা এগিয়ে রাজের পাশে বসলো তারপর রাজের হাত ধরে কাধে মাথা রাখতেই ধাক্কায় খেয়ে পরে গেল।
—-মাইশা তোকে বলছিলাম আমার থেকে দূরে থাকবি সব সময় গা ঘেষে আমার একদভ পছন্দ না।
মাইশা সহ সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। রাছ কখনো এমন বাজে বিহেভ করে নি আজ এমন করছে কেন। মাইশা তত কান্না জুরে দিলো।
—–রাজ তুই আমাকে এভাবে ধাক্কা দিতে পারলি দেখ ত কতো ক্ষানি ব্যাথা পেয়েছি।
—-তাহলে গায়ে ঘেষে থাকিস এসব আমার পছন্দ না জানিস না এমনি তেই অসহ্য রাগ হচ্ছে কেন হচ্ছে?
মাইশা সরে গেল রাজ এতো রেগে আছে কেন? রাজের ব্যাপার টা একমাএ রিমন সব জানে। রিভনের সাথেই সব শেয়ার করে রাজ।
—- তুই প্রেমে পরেছিস ভাই কিন্তু শিকার খরতে চাইছিস নাসকেন বলতো।
—তুই আজেবাজে বকা বাদ দে? আমি প্রেমে অসম্ভব এসব প্রেমে টেমে আমি পরব না কখনো।
— সত্যি বলছি ভাই তুই প্রেমে পরেছিস আমি সিউর খুব তারাতারি বুঝতে পারবি।
চলবে❤
[ কাল গল্প দেয়নি তার জন্য সরি। একটা আপু মারা গেছে তাকে কখনো চিন্তাম না কিন্তু হঠাৎ তার মৃত্যুর খবর শুনে আমি গল্প লিখে উঠতে পারি নি। এতো কষ্ট হয়েছে মনে হয়েছে আপন কেউ ছেরে চলে গেছে। গল্প দিতে দেযি হয় বলে সবাই আমাকে বকেন অনেক আমি জানি কিন্তু আমি প্রতিদিন গল্প দিতে পারবো না সরি আমার লেখতে প্রবলেম হয় হাত ব্যাথা করে প্রচুর তাই আমি যখন ভালো লাগে দেয়। দৈয্য ধরে পরতে অনুরোধ রইল। সবাই আপুর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব দেন]