লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?র্পব- ৮
#লেখিকা:তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)
গাড়িতে বসে আছি আমার পাশে ড্রাইভ করছে বাবু এখন ও তার নাম আমার অজানা। এটাই তার নাম নাকি অন্য নাম আছে জানি না বাসায় কাউকে বলতে ও দেখি নি। আর আমার জানার ও ইচ্ছে নেই যা খুশি থাক। গাড়ি ছুটে চলেছে দ্রুত গতিতে আমি বাইরে তাকিয়ে শহরের কোলাহল পরিবেশ দেখছি শত শত গাড়ি ছুটে চলেছে আপন গতিতে নিজের গন্তব্যে রাস্তার ধারে হাজারো মানুষ হেটে যাচ্ছে নানান কাজের সন্ধানে। কিছু ময়লা পোশাক পরে বাচ্চা রা ও দাড়িয়ে আছে চোখ মুখ ক্ষুধাকাতর সামনে দিয়ে কেউ গেলেই হাত পেতে ধরছে কেউ কিছু দিচ্ছে তো কেউ ধমক দিয়ে সরিয়ে চলে যাচ্ছে। কিছু মেয়ে ছেলে যাচ্ছে এরা আমার বয়সী ব্যাগ কাধে চেপে চলেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম এখন দশটা উনিশ বাজে ঘড়িটা ধপ করে থেমে গেলো আমি ভ্র ঢ় কুচকে বাবুর দিকে তাকালাম।
— কি হলো গাড়ি থামালেন কেন? আমরা কি এসে গেছি !
— নাহ আরেকটু সামনে।
— তাহলে এখানে থামলেন যে। তারাতারি চলেন এখন সময় নষ্ট কেন করছেন আমাদের দেরি হয়ে যাবে তো।
— হলে আমি কি করবো আমি কি ইচ্ছে করে গাড়ি থামিয়ে ছি নাকি সামনে দেখো।
— ইচ্ছে করে থামাননি মানে কি? গাড়ি আপনি চালাচ্ছেন থামালেন ও আপনি আর এখন বলছেন আপনি ইচ্ছে করে থামাননি? আমাকে কি পাগল মনে হয় আপনি যে আজেবাজে কথা বলে দিচ্ছেন?
— ও মাই গড তোমাকে আমি ভালোই ভেবেছিলাম কিন্তু তোমার মাথায় যে যে প্রবলেম আছে সেটা জানতাম না এখন জানলাম।
–কিহ বললেন আপনি আমার মাথায় প্রবলেম আছে।
— হ্যা
— আপনার কোন দিক দিয়ে মনে হয় আমার মাথায় সমস্যা আছে। গাড়ি থামিয়ে আমাকে এখন পাগল বলতে চাইছেন অসভ্য লোক একটা।
— তুমি কি কানা নাকি এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে? আচ্ছা দেখো তো আমাকে ঠিক দেখছো কিনা আচ্ছা বলো আমি কি রঙের শার্ট পরেছি?
— একবার মাথায় প্রবলেম বললেন আর এখন বলছেন কানা আপনি পেয়েছেন টা কি?
— তো কানা না থাকলে দেখছো না বাইরে কি হচ্ছে?
আমি এবার বাইরে তাকালাম। সব গাড়ি থেমে আছে সামনে সিকিউরিটি রা আছে তার মানে জ্যামে পরেছি আমরা। ইস না জেনেই কতো কথা বললাম আসলেই আমি কানা হয়েছি। বাইরে তাকিয়ে আছি একবার গার ঘুরিয়ে বাবুর দিকে তাকালাম এখন ও ফোন টিপে যাচ্ছে। সারাক্ষণ টিপতে কেমন লাগে আল্লাহ ই জানে। ফোনের ভেতরে ঢুকে যাবে এমন অবস্থা। কিন্তু মুখের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম এতো সুন্দর কেন এই ছেলেটা চুল গলো উরে এসে কপালে পরছে একটু পর পর তা হাত দিয়ে ঠিক করে নিচ্ছে। আমি তাকিয়ে আছি তার দিকে হঠাৎ কথায় আওয়াজ আসতেই চোখ সরিয়ে নিলাম তারাতারি।
— এই যে মিস আমি সুন্দর সেটা জানি তাই এতো এভাবে তাকিয়ে সেটা প্রমাণ না করলে ও চলবে । সামনে তাকিয়ে ঠিক হয়ে বসেন নয়তো আবার মাথা ফেটে যাবে সিট বেল্ট বাধেন।
কি বেয়াদব ছেলেরে বাবা একটু তাকিয়ে তাই কতো কথা। হুম সুন্দর তাই এভাবে বলার কি আছে কেন তাকাতে গেলাম দূর লজ্জা আমার মাথা কাটা। একেবারে জানালায় দিকে ঘুরে আছি একটু তাকানোর সাহস নেই। কিভাবে থাকবে সত্যি তো তাকিয়ে ছিলাম কি নিজ্জের প্রভাণ দিলাম দূর ভাললাগে না । কি বেহায়া ভাবছে আমাকে?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
হঠাৎ গাড়ি থেমে গেল আমি আবার কিছু বলতে যাবো দেখি ওনি আমার দিকে চেপে আসছে হাত বারিয়ে দিয়েছে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে চুখ বন্ধ করে ফেললাম হাতরা মনে হচ্ছে আমার গাল শুবে কিন্তু কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রেখে ও কোন ছোঁয়া পেলাম না তাকিয়ে দেখি হাত আমাকে অতিক্রম করে আমার পাশে পানির বতল নিয়ে নিলো। আমি নিশ্চিত পাগল হয়েছি কি থেকে কি ভাবছি নিজেই বুঝি না। আবার লজ্জায় সমুক্ষিন হলাম ছি ছি ছি কি মন মানুষিকতা আমার কি সব ভাবি।
গাড়ি থেকে নামলাম বিশাল এক ফ্লাটের্র সামনে র্সমনে বড় একটা গেইট একজন দাড়িয়ে আছে সিরি দিয়ে উঠে এলাম বাবুর সাথে সে এগীয়ে যাচ্ছে ব ড় একটা ফ্লোর কতো মানুষ আছে সবাই এদিক ওদিকে যাচ্ছে সামনেই সিড়ি কিন্তু অদ্ভুত টাইপের একসিড়িতে দাড়িয়ে যাচ্ছে আর সিড়ি গুলো উপরে উঠছে আমি অবাক চোখে দেখছি। এগুলো সব জীবনের ফাস্ট দেখছি কি অদ্ভুত সিড়ি এগুলো। হঠাৎ ডাকে ঘুর কাটলো দেখলাম বাবু আর একটু এগিয়ে আমাকে ডাকছে আমি যে তার কথা ভুলে এগুলো দেখা মগ্ন হয়ে গেছিলাম বুঝলাম। রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি দ্রুত তার দিকে গেলাম। আমি মনে মনে ভাবছি আমি ও কি এ অদ্ভুত সিড়িতে যাবো নাকি কিন্তু তা হলো না বাবু আমাকে নিয়ে সিড়ি অতিক্রম করে একটা বক্মের মতো জায়গায় নিয়ে এলো এটা আবার কি আমি দেখছি অবাক হয়ে কিসের যেন চাপলো আর দরজার মতো ফাক হয়ে এলো আমি তো অবাক হয়ে দেখছি। খুলার সাথে সাথে বাবুন ভেতরে ঢুকে গেল আমি ভ্রু কুচকে জিগ্যেস করছি ভেতরে কেন ঢুকলো আমাকে ডাকছে ভেতরে যৈতে কিন্তু আমি যাচ্ছি না কেমন কাচের একটা জায়গায় আমি যাবো না। এটা ভেঙএ যায় যদি কিন্তু এটা করে ই নাকি যেতে হবে আমি বললাম কেন? বলল পাচঁ তালা সিড়ি বেয়ে উঠতে সময় লাগবে সাথে র্জানিও আমি তাও যাচ্ছি না কিছু তেই এটায় যাবো না আমার ভয় করে বাবুন বলল এটা লিফট এটাতে গেলে তারাতারি হবে তবুও যাচ্ছি না এবার রেগে আমাকে টেনে ভেতরে নিয়ে এলো ভেতরে যাওয়া সাথে সাথে দরজা অফ হয়ে গেল।
— আপনি আমাকে মারতে চান নাকি এ কোথায় এলাম আমি দরজা বন্ধ কেন হলো? আমি বের হবো আমাকে বের করেন নয়তো ভরে যাবো এটা তে কি হলো বের করেন না?
— হুয়াট রাবির্শ তাই তোমাকে আমি আনতে চাই নিজের সঙ্গে কিছু হবে না। এমন চেচামেচি না করে চুপ করে শান্ত হয়ে দাড়িয়ে থাক সিড়ি দিয়ে গেলে অনেক সময় লাগতো এখন পাচঁ মিনিটেই হয়ে যাবে।
আমি কিছু বলবো হঠাৎ ঝাকি হলো আমি বাবুনের হাত শক্ত করে ধরে ফেললাম….. নরে কেন এতো আমি ভয়ে মরে যাবো আর জীবন এগুলোতে উঠমু না আমি।
মুখ বন্ধ করে হাত ধরে বলে চলেছি যা খুশি।
— হাত ছার আমরা এসে গেছি।
আমার এখন খেয়াল হলো আমি তো ভয়ে বাবুনের হাত ধরে ছিলাম।
— সরি বাবুন আসলে ভয়ে……
— বাবুন তুমি আমাকে বাবুন বলছো কেন?
— তো কি বলবো আপনার যা নাম তাই য় বলবো।
— এটা জাস্ট আম্মু বলে তুমি কেন বলবে?
— তো আমি কি বলবো?
— আমার নাম বলবে রাজ বলবে এতো সুন্দর একটা নাম থাকতে কিনা বাবু ইস আম্মুর জন্য আমার কি সব বলে কিন্তু মানা করা যায় না ছোট বেলার অভ্যাস তো।
ভর্তি শেষে
— তো তোমার তো ক্লাস হচ্ছে তুমি ক্লাষ করে চলে এসো কেমন আমি যাই।বাই
— যাই মানে আমাকে রেখেই চলে যাবেন?
চলবে❤